নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যমে-ব-জয়তে

মেহেদী হাসান+

সত্যের জয় হোক ।

মেহেদী হাসান+ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৭ মার্চ নিয়ে দুটি কথা ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২০

প্রথম কথা: ধর্মগ্রন্থ দুই ধরনের হয় স্মৃতি আর শ্রুতি । স্মৃতি হল মহা পবিত্র , কারণ তা মুখস্ত বিদ্যা , যা অপরিবর্তনীয় , শ্রুতি হল শুনে মনে রাখা বা শুনে শুনে প্রচার করা , কোন মুখস্ত নয় । .. যেমন বেদ স্মৃতি আর পূরাণ শ্রুতি । কোরাণ স্মৃতি আর হাদিস শ্রুতি । .. পূরাণ যদি বেদের সাথে না মিলে তবে বেদই আসল কারণ বেদ স্মৃতি । হাদিস যদি কোরাণের সাথে না মিলে তবে কোরাণই আসল কারণ হাদিস শ্রুতি আর কোরাণ স্মৃতি । ..

তেমনি , ৭ মার্চ যারা মঞ্চে ছিলেন , আর ময়দানে ৭ লাখ লোখ ছিলেন তাদের সাক্ষ্য হল স্মৃতি , যা ঐতিহাসিক , সত্য । যারা রেডিওতে বা ক্যান্টর্ণমেন্টের রেডিওতে ৮ মার্চ রেডিও পাকিস্তানের মাধ্যমে শুনেছেন তারা হলেন 'শ্রুতি' .. স্মৃতিতে যারা সাক্ষ্যদিবে তারাই আসল , শ্রুতিতে নয় । আমাদের ধর্মগ্রন্থ থেকেই ত শিক্ষা নিতে পারি ।

তাই নূরে আলম , আ স ম আব্দুর রব , বা তোফায়েলদের মত নেতারা সরাসরি যা দেখেছেন শুনেছেন সেটাই ৭ মার্চের সাক্ষ্য হিসেবে সঠিক , কোন ক্যান্টর্ণমেন্টে বসে রেডিও কানে ধরে শুনে 'শ্রুতি' বয়ান ত 'স্মৃতি'র সাক্ষ্যের ধারের কাছে যাবেনা ।

দ্বিতীয় কথা: ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিদন্দী কোন নেতা ছিলেননা , তাইত ভাষানী পর্যন্ত তার এক ভাষণে জনগণকে বলেছিলেন 'শেখ মুজিব যা কয় সেইটা তোমরা মাইনা লও ...' কারণ, ৭০এর নির্বাচনে বাংলার জনগণ তাকেই জনগণের ভাগ্যের অধীকার তুলে দিয়েছিল । তাই ত সমগ্র পাকিস্তানের ৭০এর নির্বাচনের বিজেতা হয়ে সমগ্র বাংলার একছত্রনেতা হয়ে গিয়েছিলেন । তিনি সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষনে জাতিকে দিক নির্দেশনা না দিয়ে পাকিস্তানের স্বার্থ দেখবেন তা হবার কোন বিষয় ছিলনা । ... আদতে জয় পাকিস্তান নামে কোন শ্লোগান পাকিস্তানের ইতিহাসে নেই , জীয়ে পাকিস্তান শব্দটিও কোন ইতিহাস খুজে পাওয়া যাবেনা । পাকিস্তানের শ্লোগান হল পাকিস্তান জিন্দাবাদ বা পাকিস্তান পায়েন্দাবাদ.... জীয়ে জি ভরকে , এটা জিটিভির শ্লোগান !!! জয় পাকিস্তান ত হতেই পারেনা , কারণ জয় শব্দটা নেয়া হয়েছে উর্দূতকে শ্লোগান উচ্চারণ করা হবেনা হিসেবে , তিনি মনে প্রাণে চেয়েছেন পাকিস্তান বা জিন্দাবাদ শব্দটা বাঙালীর ললাট থেকে মুছে যাক , তাইত বঙ্গবন্ধু জয় শব্দ ব্যবহার করেছেন শুধু বাঙালীদের জন্যই , আর জয় শব্দটি বাংলার ক্ষেত্রেই মানায় । তিনি ৭০ নির্বাচনের আগে ভাষণেও জয় বাংলা শব্দ ব্যবহার করেছেন , তিন বার করে জয় বংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা .. গর্জন করতেন আর সাথে সাথে বীর বাঙালীও তার সাথেই উচ্চারণ করতেন জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা.....

সেই সময়ে আওয়ামীলীগের আদর্শই ছিল জয় বাংলা শব্দ দিয়েই ভাষণ শেষ করা । ...

তাই হুকহাট করে জয় পাকিস্তান নামে কোন নয়া শব্দের আবির্ভাব উনি ঘটাবেন এটা কল্পনা করাও পাপ !!

সবচেয়ে বড় কথা উনি ২৩ বছর সংগ্রাম করেছেন বাঙালীদের স্বার্থ রক্ষার্থে , হঠাৎ করে উনি পাকিস্তানীদের স্বার্থের জন্য জয় পাকিস্তান বলবেন , এটা তারই আদর্শের বিপরীত হত !!

তাই, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ 'জয়' বাংলা দিয়ে শেষ করেছিলেন ভাষণ এই প্রতিপাদ্য ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০

চলতি নিয়ম বলেছেন: স্বাধীনতা ও মুক্তির আহ্বান জানানো ওই ঐতিহাসিক সভায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ‘জয় পাকিস্তান’ বলা সম্ভব কি? না, তিনি বলেছেন? এই বিশাল জনসমুদ্রে কেউ বঙ্গবন্ধুকে ‘জয় পাকিস্তান’ বলতে শোনেনি। এটা পরবর্তীকালে আবিষ্কার করেছে স্বাধীনতার শত্রু শিবিরের সমর্থক একদল বুদ্ধিজীবী। তারা দেশবাসীর কাছে কথাটা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারেননি। তাই কি স্বাধীনতার পক্ষে শিবিরের একজন শীর্ষব্যক্তি হিসেবে পরিচিত মানুষের বুড়ো বয়সের ভীমরতির সুযোগ নিয়ে তাকে দিয়ে কথাটা বলিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করানোর চেষ্টা হচ্ছে?

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

মেহেদী হাসান+ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই .. ধন্যবাদ .।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:



"তাই নূরে আলম , আ স ম আব্দুর রব , বা তোফায়েলদের মত নেতারা সরাসরি যা দেখেছেন শুনেছেন সেটাই ৭ মার্চের সাক্ষ্য হিসেবে সঠিক "


-নূরে আলম , আ স ম আব্দুর রব , বা তোফায়েলরা হলো চোর ডাকাত; আর খন্দকার মুক্তিযোদ্ধা; খন্দকার যা বলেছেন সেটা সঠিক, এতে শেখ সাহেবের ঐতিহাসিক মুল্য কমেনি।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯

নিজাম বলেছেন: আপনার বক্তব্য শতভাগ সঠিক।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কলাবাগান১ বলেছেন: "তাই হুকহাট করে জয় পাকিস্তান নামে কোন নয়া শব্দের আবির্ভাব উনি ঘটাবেন এটা কল্পনা করাও পাপ !!"

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৫

শোভ বলেছেন: বঙ্গবন্বু ৭ই মার্চ যখন বক্তিতা দেন তার থেকে প্রায় দুই মাস পর আমার জন্ম হয় । আমার বয়স যখন ১৮ বছর তখন আমি বঙ্গবন্বুর ভাষন ক্যাসেটে শুনি । সেই ভাষন শুনে আমি এতোটাই শিহরিত হই , আমার মধ্যে এমন এক স্পৃহা জাগে যা তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা । আমি যদি তখন রেইছকোর্স ময়দানে উপস্থিত থাকতাম চোখ বন্ব করে যুদ্ব্যে ঝাপিয়ে পরতাম । বঙ্গবন্বু জয় বাংলা বলেছে নাকি জিয়ে পাকিস্বতান বলেছে তা শুনার সময় থাকতো না । খন্দকার সাহেব সেখানে উপস্থিত না থেকে নিজ কানে না শুনে অনুমান নির্ভর গল্প লিখে বিতর্কের সৃস্টি করেছেন কেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.