![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বগুড়া ৩ হল আদমদীঘি দুপচাঁচিয়া এলাকা নিয়ে, এখানে দীর্ঘদিন সংসদ সদস্য থেকেছেন রাজাকার আব্দুল মজিদ তালুকদার , তার মৃত্যুর পর তারই ছেলে , যিনি নিজেও রাজাকারের কমান্ডার ছিলেন তিনি হলেন আব্দুল মমিন তালুকদার খোকা । .. খোকা সাহেব করেছেন এক কান্ড । উনি কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে ডেকেছিলেন, কেন ডেকেছিলেন সেটা বলছি পরে । আগে শুনুন ...
একদিন আমি কড়ই বাজারে বসে চা পান করছিলাম । পার্শের গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধা এসে আমার সাথে দেখা করলেন । আমি উনাকে সালাম দিয়ে চা পানের আমন্ত্রণ জানালাম । উনার সাথে হাত মিলেতেই এক মুক্তিযোদ্ধা বলছেন , হাত মিলিওনা মেহেদী , এই মুক্তিযোদ্ধা রাজাকারের সাথে হাত মিলায় । .. আমি ত অবাক । কি ব্যাপার জানতে চাইলাম ।
পার্শের গ্রামের সেই মুক্তিযোদ্ধা (যিনি খোকার এমপির সাথে হাত মিলিয়েছেন) উনি জানালেন , আরে না ... ও ফাইজলামো করছে । ... আমি বললাম খুলে বলুন ত ব্যাপারটা ।
উনি জানালে আসল ঘটনাটা কি , যা বিএনপির এমপি খোকার কান্ড । কেন তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ডেকেছিলেন তা বলতে লাগলেন ।
এমপি খোকা কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের দাওয়াত করেছিলেন । উনি সেই মুক্তিযোদ্ধাদের দিয়ে একটা মুছেলিকা লিখে নিতে দাওয়াত দিয়েছিলেন । আর এটি করতে পারলে মুক্তিযোদ্ধারা কি চায় তাই দেয়া হবে । ব্যাস ...
এই মুক্তিযোদ্ধা গিয়ে দেখে আরও ৩ জন আছে যা ঐ এমপির নিজ ইউনিয়নের । এমপিকে জিঙ্গেস করা হল কেন ডেকেছেন ? রাজাকার খোকা এমপি জানালেন , মুক্তিযোদ্ধা মহ দয়, আপনারা একটি কাজ করে দিবেন তাহলে আপনারা যা চাইবেন তাই দেয়া হবে । কি করে দিবেন ত ? ... মুক্তিযোদ্ধা এই ব্যক্তি আবার বললেন কাজটা কি ??? এমপি খোকা জানালেন , আপনার এই মুচেলিকাতে সই করে দিবেন । মুক্তিযোদ্ধা বললেন , কি লেখা আছে ??্এমপি জানালেন, এখানে লেখা আছে আপনারা যারা মুক্তিযোদ্ধা আছেন তারা আমার বাবা সাবেক এমপি আব্দুল মজিদ তালুকদারের সাথে পরামর্শ করে ভারতে ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন । ...
মুক্তিযোদ্ধা ঐ ব্যক্তি বললেন, দুর ... আন্য কাজ থাকলে বলেন , এত বড় অপরাধ আমার দ্বারা হবেনা !! আপনার বাবা মজিদ সাহেব মুসলীম লীগের নেতা ছিলেন , এমপি ছিলেন পাকিস্তান পার্লামেন্টের , মেলেটারি এনে আমাদের দাবড়িয়ে বেড়িয়েছেন , তাকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বানাতে পারব না । আমরা আওয়ামী লীগ নেতা কছিম সাহেবের নির্দেশে ভারতে ট্রেইনিং নিতে গিয়েছিলাম , ওখানে আওয়ামী লীগের নেতা জলিলের সই ছাড়া কেউ ট্রেইনিং্এ অংশ নিতে পারেনি , কেউ মুক্তিযোদ্ধাও হতে পারেনি । এসব টিকবেনা , আমাদের মাফ করবেন । ....
এবার এই মুক্তিযোদ্ধা আমার সামনে হাসতে হাসতে বললেন তোমাকে তোমার ঐ মুক্তিযোদ্ধা চাচা এই কারণে বলেছে যে আমি এমপির সাথে হাত মিলিয়ে এসেছি । ...... আমিও হাফ ছেড়ে বাঁচলাম , যাক আপনাকে ধন্যবাদ , এমপি খোকার মুখের উপর এটা বলে এসেছেন ধন্যবাদ ।
..এখন কথা হল এমন প্রোলভোন ত যদি আমাদের গ্রাম এলাকার এমপি দিতে পারে তবে ত ঢাকার বিএনপির বড় বড় নেতারা বহু বড় বড় মুক্তিযোদ্ধাকে বহু প্রোলভন দিতেই পারে , আর তাতে কেউ আটকে যেতে পারে , যেমন এ কে খোন্দকার । ... এরা নিজেদের লোভে কারও জালে আটকে গিয়ে যা খুশি বলতেই পারে , তারা রাজাকারকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বানাতেও পারে আবার ৭ মার্চের ভাষণে জয় পাকিস্তান যুক্তি করানোর চেষ্টা করতেই পারে ।
এখানে একে খন্দকার যে অন্ধকারে হাঁটেনি তা কি করে বলবেন আপনারা ??
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৩
মেহেদী হাসান+ বলেছেন: ঐ অবস্থানে থাকলেই খুশি হতাম । মিথ্যার ঢেঁকি হতে গেলেন কেন ?
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
কলাবাগান১ বলেছেন: তারা রাজাকারকে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বানাতেও পারে আবার ৭ মার্চের ভাষণে জয় পাকিস্তান যুক্তি করানোর চেষ্টা করতেই পারে ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
মেহেদী হাসান+ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন:
খন্দকারও মুক্তিযোদ্ধা, আপনার মত কেহ নন।