![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি পানির বয়স সূর্যের চাইতেও বেশি !! অবাক হলেন ত ? হ্যাঁ গবেষণা এটিই বেড়িয়ে এসেছে । তার মানে দাঁড়ালো সূর্যেরও আগে পৃথিবীর সৃষ্টি । যখন কিনা গ্যালক্সির সৃষ্টি হয়েছে তখনই পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে , আর পৃথিবীর সাথেই পানির উদ্ভব হয়েছে । বেশ গোলমেলে বিষয়টা .. কিন্তু এমনটা ধারণা করছে যারা তারাও কোম বড় বিজ্ঞানী নোন । একেবারে নাসা থেকে বেড়িয়ে এল এই তত্বটি । সূর্যের বয়স ৪.৬ বিলিয়ন বছর হলেও তার চাইতে আগে পানির জন্ম হয়েছে । কারণ, পানিতে থাকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন , যা মহাবিশ্বব্রহ্মান্ডে বহু কাল থেকেই রয়েছে । তাই সূর্যই যে আমাদের সূষ্টির মূল তা নয় , বরং সূর্য হল প্রাণ রক্ষার জন্য উপকরণ । পৃথিবীতে প্রাণী বসবাসের জন্য উপযোগি করেছে সূর্যের আলো আর আমাদের বায়ুমন্ডল ।
আমরা যারা ভাবতা সূর্যের আগে কিছুই ছিলনা , বা সবকিছুর মূলেই সূর্য তাদের ধারণা ভুল হযে গেল । আমরা এতদিন বাইবেলের সেই অমোঘবানীকে মিথ্যা হিসেবে প্রতিপাদ্য করতাম, তারাই মিথ্যা হয়ে গেলাম ! বাইবেলে আছে সূর্যের আগেই পৃথিবী ও জল সৃষ্টি ।
“আদিতে ঈশ্বর পৃথিবী ও আকাশ সৃষ্টি করলেন , দুনিয়ার উপরটা তখনও কোন বিশেষ আকার পায়নি, আর তার মধ্যে জীবন্ত কিছুই ছিলনা; তার উপরে ছিল অন্ধকার ঢাকা গভীর জল । .... ঈশ্বর বললেন ‘আলো হোক’ আর তাতে আলো হল । তিনি দেখলেন তা চমৎকার হয়েছে ।”- পবিত্র বাইবেল (আদিপুস্তক ১: ১-৫) ।
এতদিন বাইবেলের অনুসারীরা মুখবুঝে সহ্য করতেন যে বাইবেলে ভুল আছে । কারণ, আলো বা সূর্য সৃষ্টির আগে পৃথিবী বা জল সৃষ্টি কল্পনা করা যায় না । কিন্তু আজ কি প্রমাণিত হল ? আজ তাদের মধ্যে একটা আলাদা আনন্দ বিরাজ করবে যে তাদের বাইবেল যা ৩.৫ বছর আগে এসেছে তা আজ বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণ হল যে এটি ভুল নয় । বরং দীর্ঘদিন পর হলেও সত্য বলে প্রমাণিত । অনেক বিতর্কের খন্ডল হল । .... আসলে ধর্মগ্রন্থ সমূহকে যারা ভুল প্রমাণের চেষ্টায় ব্রত সেই নাস্তিকদের মুখেই চুনকালি পরছে বার বার । আবার দেখুন, হিন্দুধর্মের পৌরাণীক কাহিনী যদি ধরেন , পৃথিবীর গঙ্গানদী আদিতে আকাশে বিরাজ করত । পৃথিবীর সৃষ্টির বহুকাল পর সেই আকাশ গঙ্গাকে পাতালে আনা হয় । তার মানে হল , পানীর অস্তিত্ব শুধু পৃথিবী নামক গ্রহেই নয় বরং আকাশের কোন কোন গ্রহেও পাওয়া যায় । ... পানি আগে সৃষ্টি আর সূর্য বা আলো এবং প্রাণ পরে সৃষ্টি তার প্রমাণ পাওয়া যায় ব্রহ্মবৈবর্তপূরাণে ও বিষ্ণু পূরাণে । .. পূরান বর্ণনা মতে ভগবান বিষ্ণুদেব কর্ণনর্ভসমূদ্রে গভীর নিদ্রার সময় তার নাভী থেকে একটি পদ্মফুলের সৃষ্টি হয় , আর সেই ফুলেই ব্রহ্মদেব জন্মগ্রহণ করেন । তার পর ব্রহ্মদেব সৃষ্টিকাজ পরিচালনা করেন ।
ইসলাম ধর্মের গ্রন্থসমূহে এ বিষয়ে বিশদ কোন আলোচনা নেই । শুধু কোরানে আছে আল্লাহ তা’লা ছয় দিবসে তার সৃষ্টিকার্য পরিচালনা করেন । তবে বিভিন্ন বিশ্লেষকদের মতে এই ছয় দিবস বলতে পৃথিবীর কোন দিনরাতের হিসেবে নয় , বরং এটি একটি কাল, ছয় মহাকালকে বুঝিয়েছেন ।
কাহিনী হোক বা বানী , ধর্মগ্রন্থের মূল বিষয় কিন্তু শেষমেষ মিলেই যায় ।
অনেকে ভাবতে পারেন সূর্যের আলো ছাড়া ত পানি ঠান্ডায় বরফে পরিনত হবে । হতয় তাই , তবে সেটা পানিরই ত উপাদান, যা সূর্যের সৃষ্টির পর তরলে পরিনত হয়েছে । আর তার পরই আস্তে আস্তে পৃথিবীর বুকে প্রাণের সৃষ্টি লাভ হতে শুরু করে ।
নাসার খবরে এটাই এসেছে “Up to half the water on Earth is likely older than the solar system, raising the likelihood that life exists elsewhere in the galaxy, according to a
The research in the journal Science found that "a significant fraction" of the water on Earth was inherited from interstellar space, and was there before the Sun was formed some 4.6 billion years ago.
সংবাদ সূত্র: http://observerbd.com/details.php?id=45628
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
মেহেদী হাসান+ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই .।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪০
খাটাস বলেছেন: আসলেই গোলমেলে। সুন্দর তথ্য শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ। জেনে রাখলাম।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
মেহেদী হাসান+ বলেছেন: ধন্যবাদ.।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
অতিক্ষুদ্র বলেছেন: "তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরী করেছেন, তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল কাজ করে। আর যদি আপনি তাদেরকে বলেন যে, "নিশ্চয় তোমাদেরকে মৃত্যুর পরে জীবিত ওঠানো হবে, তখন কাফেরেরা অবশ্য বলে এটা তো স্পষ্ট যাদু!" (আল-কুরআন, সূরা হূদ, আয়াত-৭)