![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেনারেল এরশাদ শুক্রবারদিন সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা করে । মুসলীমদের জন্য পবিত্র দিন , কারণ, এই দিনকে নিয়ে কুরআনে সুরা জুম্মা নাজিল হয়েছে । এবং এই দিনে সমবেত হয়ে পার্থনার হুকুম দেয়া হয়েছে । এরশাদের সময়ের আগে বাংলাদেশে ও পাকিস্তানের সময়ে ছুটি রবিবার ছিল । এখনও রবিবার দিন সাপ্তাহিক ছুটি বহাল আছে পাকিস্তানে ।
আমাদের দেশে রবিবার পরিবর্তন করে শুক্রবার করা হয়েছে এটা কি জায়েজ হয়েছে নাকি নাজায়েজ ?.. হয়ত একবাক্যে সবাই বলবেন সম্পূর্ণ জায়েজ হয়েছে । .. শরীয়তের পরিবাভাষা কি জানিনা , তবে বহু মসলীম দেশে শুক্রবার ছুটি নেই । তাদের কারণ অনুসন্ধান করেছি । আর, আমার মনে আরও একটি প্রশ্ন ছিল , সেটার উত্তরও জানার চেষ্টা করেছি । . প্রশ্ন ছিল , এক আল্লাহ দুটা দিবসকে দুই ধর্মে কেন পবিত্র করে দিলেন !!??
কুর'আনে আল্লাহ বলেছেন 'ইহুদিদের জন্য সাবাত দিবসে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়েছিল , কিন্তু তারা তা অমান্য করে মাছ ধরার কারনে তাদের বানরে রূপান্ত করেছিনেন ।' সুরা নাহল পড়লেই স্পষ্ট হবে । ... ইহুদি ধর্ম আল্লাহর কাছে মননীত ছিল আর তারা বিভিন্ন অন্যায় করার কারণে আল্লাহ তা'লা ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিলেন । ইহুদি ধর্মের নবীদের যিনি মাবুদ , তিনিই মুসলীমের মাবুদ । তাহলে শুক্র ও শনি দুদিন কেন পবিত্র ??
কুর'আনে আল্লাহ জুম্মাহ দিবসকে পবিত্র করলেন । সুরাহ জুম্মা দ্রষ্টব্য ।
........ এর জবাব পেলাম বিভিন্ন মিডিয়া ও ওয়েব পেজ ঘেঁটে । তার উত্তর হল : ইহুদীদের মহত্ব আর আমাদের দিনের মহত্বই আলাদা । ....... ইহুদিদের জন্য শনিবার সাবাত ডে , কারণ ঐদিন আল্লাহ তা'লা সমস্থ সৃষ্টি রচনা করে বিরতী দিলেন । সেই দিনকে স্বরণ রেখে ছুটির দিন বা কর্ম দিবস বিরতীর দিন ঘোষণা করা হয়েছে । আর মুসলীমদের কোন সাবাত ডে নেই , যদি থাকত তবে অবশ্যই শনিবার হত । মুসলীমদের জন্য কর্ম বিরতীর জন্য কোন দিন নেই , শুক্রবার হল জুম্মাবার , জুম্মা মানে হল 'জমায়েত' । আর জুম্মাবারে কর্ম থেকে বিরতী থাকতে নিষেধ করেছেন আল্লাহ তা'লা । ... বলা হয়েছে তোমরা জমীনে বিছিয়ে পড় । রিজিক অনুসন্ধান কর । আর জুম্মার নামাজের সময় একত্রিত হয়ে পার্থনা কর । ...'And when the Prayer is finished, then may you disperse through the land, and seek of the Bounty of God: and celebrate the Praises of God often (and without stint): that ye may prosper.'(Al-Jumu`ah 62: 9-11) .... এর মাধ্যমে আল্লাহ ঘোষণা করছে নামাজ শেষ হলেই জমিনে ছড়িয়ে পড় । তার মানে হল ইহুদিদের মত শুক্রবারকে বিশেষ দিন হিসেবে কর্ম বিরতী করতে নিষেধ করেছেন । আর তা করা হলে ইহুদীদের অনুসরণ করা হবে । অর্থাৎ জুম্মা পালন করার সাথে সাথে সাবাত পালন করা হবে । আর সাবাত পালন ইসলামে নিষেধ । ইহুদি অনুকরণ মোটেও জায়েজ নেই । মুসলীম হিসেবে আমাদের উচিত হবে , শুক্রবার প্রার্থনার সময়ে অফিস ব্যবসা বিরতী রেখে নামাজ শেষে আবার অফিস চালু করা । এতে ইহুদীদের মত সাবাত পালন হবেনা অথচ জুম্মার নামাজও আদায় হয়ে যাবে । ... এরশাদ যে কাজ করেছেন তা হল , রবিবারকে পরিবর্তন করে শুক্রবার নামাজের দিবসের দিন বিবেচনা করে সাবাত ডে পালন করেছে । আমরা মুসলীম হিসেবে শুক্রবার কোনভাবেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারিনা । কারণ আল্লাহ তা'লা নামাজ শেষেই রিজিকের অনুসন্ধানে ছড়িয়ে পরতে বলেছেন , সাবাত পালন করতে বলেননি । যদি বলতেন তবে সাবাতকে ফরজ করে শনিবার দিন মুসলীমদের জন্য কর্ম বিরতী দিতেন ।
তাই কোর'আনের সঠিক ব্যাখ্যা বিবেচনা করে শুক্রবার পরিবর্তন করে (শনিবার নয়, কারণ ঐ দিন ইহুদিদের সাবাত) অন্য দিনকে সাপ্তাহিক ছুটি করা হোক , এতে মুসলীমরা ছাবাত পালন থেকে রক্ষা পাবে , আর আল্লাহ নির্দেশ রক্ষা হবে । শুক্রবার দিন যদি অফিস আদালত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়ে নামাজের সময়টুকু (কোরানের যা হুকুম) বিরতী দেয়া হয় তবে কোন সমস্যা হবার কথা না ।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
মাতাল ভাবনা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
শোয়াইব আহেমদ বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে সত্যিই হাসি পেল। ফাউ আলাপ আর ইংরেজীতে আয়াত না ঝেড়ে ডাইরেক রবিবার ছুটি চাই বললেই হত।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
মেহেদী হাসান+ বলেছেন: ভাইয়া, রবিবার ত ছুটি চাইনি । শুক্রবার রাখাটা আমার কাছে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে সঠিক মনে হয়নি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
ূথ‚ত্য বলেছেন: ভাল