নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

...!!!

.... !!!

ম. রহমান

স্বপ্ন দেখার অস ুখ টা আমার ছোটবেলা থেকেই ছিলো, স্বপ্নের মাঝেই আমি হারিয়ে যেতাম তারার দেশে -মেঘের ছোয়ায় একটু পুল কিত অনুভব করি-মেঘগুলো ও যেন হারিয়ে যায়- আমার ঐ কালো কুচকুচে ভালবাসার মানুষটির দিকে চেয়ে থাকি হাজার বছর-তাও আবার স্বপ্নের মাঝে- সেদিন স্বপ্নে পাহাড়ের ঢালুদেশ দিয়ে হাটছিলাম -- কারো অনুভবেই যেন হদয়ের গতি বেড়ে গেল- সেটা ভয় থেকে জন্ম নেয়নি- আবার কেন জানি ভয় পাই? দুনিয়ার সব মানুষকেই যেন মনে হয় অচল... তারা যেন কিছু একটা বুঝতে পারে না । .......................... [email protected]

ম. রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাডেমিক বালিকা সিরিজ - ২

০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৩

একাডেমিক বালিকা সিরিজ - ২

আমরা কিভাবে আমাদের পছন্দের বালিকা (research area) খুঁজে বের করি ? ১৫/১৬ বছর বালকরা (novice researcher) বালিকাদের একটু অন্যভাবে (ভালোলাগা, খারাপলাগা) দেখা শুরু করি । কোন কোন বালিকা (research area) কে ভয় পাই, কাউকে কাউকে সম্মান করি, আবার কাউকে কাউকে দুষ্ট মনে করি । এরকম বালিকা (research area) হলেই বাদ । কোন কোন বালিকাকে (research area) দেখলেই মনের মাঝে আকুপাকু করে, তাকে পাবার জন্য । এটাই হচ্ছে বালকের (researcher) জন্য সঠিক বালিকা (research area) । এখন এসব বালিকার (research area) মাঝে কেউ বেঁটে সাথে সুন্দরী (Researcher topic), কেউ লম্বা সাথে কালো (Researcher topic), কেউ শ্যামলা সাথে মাঝামাঝি গড়নের (Researcher topic), কেউ সুন্দরী সাথে গলার স্বর ছেলেদের মতো (Researcher topic)( :-P ), বালক (researcher) যে রকম চায়, সে রকম পাওয়া না গেলেও কাছাকাছি একটা বালিকা (Researcher topic) তার চাই ই চাই । বালিকার একটা ঝাকানাকা নাম (research title) দিতেই হবে। যেই নাম শুনলেই মানুষ দেখার জন্য অস্হির হয়ে যাবে । ধরুন, বালিকার নাম (research title) দিলেন "ফুলবানু" অথবা "হাজেরা" । এই যুগে যে কেউ শুনলেই বলবে ক্ষ্যাত । বালকের (researcher) নিকটজন ও ইগনোর করবে । আর বালিকার বাবা (Supervisor) ও বলবে ক্ষ্যাত । তাই, বালিকার নাম (research title) হতে হবে আধুনিক (ultra modern) যা শুনলেই বুকের ভেতর মোচর দিয়ে উঠবে পাবার জন্য ।

কিভাবে ভালো প্রেমপএ (Research proposal) লিখবেন:

প্রথম প্রথম যখন বালকরা (researcher) প্রেমপএ (Research proposal) লিখে তখন একটু তালগোল পাকিয়ে ফেলে, ঐটাই স্বাভাবিক ।

যেমন ধরেন বালক বালিকা কে লিখছে,

"কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি. তোমাকে যে দিন, প্রথম দেখেছিলাম, লালচে বাদামী, শাড়ী পড়া। চুল গুলো হাওয়াতে উঁরিয়ে, কোন এক মায়াবী সন্ধ্যায়, ভার্সিটিতে দাঁড়িয়ে হাঁসছিলে"।"তোমার ঘন কালো চুলে হারিয়ে যায় মন,. শুনতে কি পাও কান পেতে? হে মোর বনলতা সেন,. চুলের ঐ ঝর্ণাধারায় বন্দী হৃদয়, চায় না ছেড়ে যেতে"। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় , "কুঁচবরণ কন্যা রে তার মেঘবরণ কেশ। ওরে আমায় নিয়ে যাও রে নদী সেই সে কন্যার দেশ রে। পরনে তার মেঘ-ডম্বুর উদয়-তারার শাড়ি ওরে রূপ নিয়ে তার চাঁদ-সুরুজে করে কাড়াকাড়ি রে আমি তারি লাগি বিবাগী ভাই আমার চির-পথিক বেশ রে।"

(বালক মানুষের কথা দিয়ে ভরে ফেলেছে, নিজে কিছুই বলছে না। বালক নিজে কিছু বলার চেষ্টা কর, অথবা উনাদের কথাগুলোর সারমর্ম নিজের ভাষায় লিখতে হবে )।

এরপরে লিখছে চোখ নিয়ে,

"মায়াবী চোখ. মায়াবী চোখ. তোমার দুই চোখেতে কাজল মেখে আমাকে ভালোবাসা দিও? চাইলে তুমি ঘন করে মাশকারা লাগাতে পারো। আইশ্যাডো বেশি দিয়ে চোখের পাতা উল্টোও না, তা'হলে তোমার চোখের ভাষা আমি বুঝব না। এক পলক দৃষ্টি দিয়ে শুধু আমাকে দেখো, তোমার মায়াবী চোখের ভাষা দিয়ে কাব্য লিখিব "। "মানুষের চোখ নাকি মনের কথা বলে। কবিরা চোখ নিয়ে লিখে গেছেন কত কাব্য" । বালক মানুষের কথা দিয়ে ভরে ফেলেছে, চোখ নিয়ে নিজে কিছুই বলছে না। বালক নিজে কিছু বলার চেষ্টা কর, বালিকার চোখ দেখার পরে নিজের অনুভূতি টা অল্প করে হলেও লিখো । বালিকার বাবা (Supervisor) তাতেই বেশী খুশী হবেন ।

এরপরেই ঠোট নিয়ে লিখতে গিয়েই সমস্যা বাঁধিয়ে ফেলেছে বালক ।

"ঠোট দুটো কি সৃষ্টি শুধু মিষ্টি করে হাসতে,. নীরব ভাষায় বলে ওরা আমায় কাছে আসতে। নিকষ-কালো চুল যে তোমার,অন্ধকারে মেশা,. আবেশেতে জড়ায় আমায় ধরায় যেন নেশা। দুষ্টুমিতে ভরা তোমার মিষ্টি কথার তীর,. ছোঁড় যখন আমার পানে, হৃদয় হয় বিদির "। তারপরেই লিখেছে, আমার কাছে তোমার এ হাত, এ হাতের নখ, এ হাতের তালু, এর প্রতিটা রেখা যেখানে আমাদের সুখ- বাসনার গপ্প আছে গাঁথা! "যখন একলা একা কান্দি, মন আশা দিয়া বান্ধি, হিয়ার মাঝেই বন্ধু তোমার নাম । আমার এমন নিরন কালে তোমার ভালোবাসার জালে, হইয়া আমার একি পরিনাম" ।

(একটু খেয়াল করুন বালক কথা বলছে ঠোট নিয়ে, এখানে হাত, হাতের নখ, হাতের তালু আসলো কিভাবে) । তারপরেই অন্যকিছু নিয়ে লিখছে । এরকম লিখলে খাপছাড়া মনে হবে । বালিকা, বালিকার বান্ধবীদের (reader) দিয়ে এটা পড়ানো কষ্ট হয়ে যাবে । তাই, প্রেমপএ (research proposal) এমনভাবে লিখতে হবে, বারবার পড়লে ও যেন আবার পড়তে ইচ্ছে হয় ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫

শায়মা বলেছেন: হা হা তুমি একটা স্যাম্পল লিখে দাও ভাইয়া। :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৪

ম. রহমান বলেছেন: স্যাম্পল লিখে দিলে তো বালিকা আমার প্রেমেই হাবুডুবু খাবে ! :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.