নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিবাগী মন ফিরে নাকো কভু আট কুঠুরির পিঞ্জিরে।বনের পাখিরে পেরেছে কখনো বাধিতে কেহ জিঞ্জীরে?ঘাড়ভাঙা যার স্বভাবদোষ, দোরে কি-বা আসে যায়!ভাষাহীন মায়ার দাবীতে কেন বাধিতে চাও অবেলায়?

ক্বাবার পথে

আমি রক্তের কালিতে লিখেদেই ভালবাসা মানেনা কোন ভয়। প্রেমেজর্জর বুকে আশা জাগে বারবার নিজেকে করতে ক্ষয় । আমি বুকের রক্তে এঁকেছি ফুলের গায়ে লাল আল্পনা,বিজয়ের গদ্য। খাল-বিলে জেগে উঠা প্রতিটি শাপলায় লেখা আমার প্রেমের পদ্য ।

ক্বাবার পথে › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমযানের উদ্দেশ্যঃ

২০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৮

রমযানের উদ্দেশ্যঃ





১। তাকওয়া অর্জন করা ।

আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃহে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরয করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যাতে তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার । (সুরা ২ আয়াতঃ ১৮৩)



২। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে পুরস্কারের আশায়।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা বলেছেনঃ আদম সন্তানের সকল ইবাদত তার নিজের জন্ন্য শুধুমাত্র রোযা ব্যতিত। রোযা আমার জন্ন্য আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব। বোখারী ও মুসলিম



৩। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আর বলেছেনঃ একটি রোযার কারনে মানুষ দুইটি খুশীর মুহুর্ত পায়, যখন সে রোযা শেষে ইফতার করে তখন এবং যখন সে তার প্রভুর সাথে মিলিত হয় শুধু মাত্র তার রোযার কারণে। (আল বখারি এবংমুসলিম)



৪। রোযা আমাদের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং আল্লাহ তায়ালার বাধ্য থাকার অভ্যাস অর্জনে করতে সাহায্য করে এবং আমাদের হৃদয়ের অনাকাংখিত ইচ্ছাকে চূর্ণ করে দেয়। রোযা আমাদেরকে শিক্ষা দেয় কিভাবে নফসের অনাকাংখিত ইচ্ছাকে সংযত করা যায় এবং সাহায্য করে কিভাবে আল্লাহ তায়ালার বাধ্য থাকা যায়।



৫। জাহান্নামের আগুণ থেকে বাঁচার জন্য।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ অনেক পাপীষ্টকে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দেন এবং প্রতিরাতে এটি সম্পাদিত হয়।(অর্থাৎ রমযানের প্রতি রাতে) [আত-তিরমিযী এবং ইবনে মাজাহ ]



৬। হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ রোযা এবং কুরআন বান্দাদের পক্ষে সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, হে আমার প্রভু আমি তাকে দিনের খাবার থেকে বিরত রেখেছি এবং তোমার বাধ্য থাকার জন্য সাহায্য করেছি। তুমিআমার মতামত কে তার জন্য গ্রহন কর, এবং কুরআন বলবে আমি তাকে রাতের ঘুম থেকে বিরত রেখেছি, তুমি আমার মতামত কে তার জন্য গ্রহন কর, এবং তারা উভয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে গ্রহনযোগ্য হবে। (আহমেদ আলহাকীম এবং বায়হাকি)



৭। এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই যে, রোযার মাধ্যমে পাপের ক্ষমা পাওয়া যায় এবং রোযা আমাদের পাপকে মুছে দেয়।

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামায,এক জুমা থেকে আর এক জুমা এবং এক রমযান থেকে আর এক রমযান, এইগুলি দুইয়ের মাঝখানে যে পাপ হয় [অর্থাৎ দুই ইবাদতের মধ্যবর্তী পাপ সমূহ] তা মুছে দেয় যদি কবীরা গুণাহ এড়িয়ে চলে। (মুসলিম)

হযরত মুহাম্মদ (সঃ) আরো বলেছেনঃ যে কেউ রমযানের রোযা রাখে বিশ্বাসের সাথেতার পুর্ববতী গুণাহসমূহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন। (আল বুখারী ও মুসলিম)



ইমাম আহমদ এবং নাসীর মতে, যদি রমযানের পরে কোন পাপ হয় তা ও আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন। বিশ্বাসের সাথে রোযারাখা ও আল্লাহ তায়ালার অনুগত থাকা এবং রমযানের রোযা রাখা অনিবার্য । রোযা রাখতে হবে পুরষ্কারের আশায়। অতএব শুধুমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য রোযা রাখতে হবে। কখনো অন্য মানুষকে অনুসরণ করে এবং অন্যদের দেখানোর জন্য রোযা রাখা উচিত নয়।



সংকলিত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.