![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে ফ্যসিস্ট আওয়ামিলীগের পতনের পর দরকার ছিল বিপ্লবী সরকার গঠন। যে বিপ্লবী সরকারে উচিত ছিল বিপ্লবের স্টেকোহোল্ডারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা। একমাত্র তাহলেই এই রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হত। কিন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলির অধিকাংশই বিপ্লবের অংশীদার নয়। যে কারনে এই উপদেষ্টামন্ডলি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ১ দফা দাবীর ফ্যসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ এবং নতুন রাজনৈ্তিক বন্দোবস্ত কায়েমের বিষয়ে কোন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিতে সমর্থ হচ্ছে না।
সবচেয়ে দুঃক্ষজনক অবস্থান হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈ্তিক দল বিএনপির। ১৬ বছর দমন, নির্যাতনের স্বীকার এই দলটি দেশের জনগনকে সংঘবদ্ধ করতে সবসময়েই চরম ব্যার্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন সারাদেশের ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সাফল্যের মধু খাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতায় যাবার জন্য। যেহেতু এই দেশের অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত ও চরম দরিদ্র , তাই এই দরিদ্র মানুষদের মিথ্যা আশ্বাষ , সামান্য টাকা ও মার্কার লোভ দেখিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করা অনেকটাই সহজ। বিএনপি এই কারনেই সংস্কার বা দেশ সেবায় এতটুকু আগ্রহী নয়। তাদের আগ্রহ কেবল নির্বাচনে!
জিয়া পরিবারের লোভের মাত্রা সম্পর্কে আমাদের সবারই খুব ভাল করেই জানা আছে। শেখ ও জিয়া পরিবার একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এদের চিন্তা চেতনায় দেশ ও জনগন এক বিন্দুও নাই। ক্ষমতার জন্য এরা সবকিছু করতে পারে। ক্ষমতায় যেতে মরিয়া বিএনপির ফ্যসিস্ট আওয়ামিলীগের পুনর্বাসনেও বিন্দুমাত্র আপত্তি নাই। বিপ্লবীদের সামনে কি অবস্থা হবে, তা নিয়ে তাদের কোন চিন্তাই নাই। আসলে বিএনপি যদি বিপ্লবে সত্যিই অংশগ্রহন করত , তাহলে তাদের পক্ষে সম্ভব হত না আজকের এই সেচ্ছাচারী অবস্থান নেয়া। আন্দোলনে বিএনপির কর্মীরা ছাত্রদের ভীরে মিশে গিয়েছিল কিন্ত বিএনপির নেতৃবৃন্দ নয়। তাদের কাউকেই আমরা সেসময় দেখিনি। বেশিরভাগই নেতাই বিদেশে চলে গিয়েছিল কিংবা গর্তে মুখ লুকিয়ে রেখেছিল। অনলাইনে বিপ্লবের পক্ষে অত্যন্ত সক্রিয় ভুমিকায় দেখেছি কেবল মির্জা ফখরুলের জামাতা ফাহাম আব্দুস সালাম, রুমিন ফারহানা , জাহেদূর রহমান প্রমুখকে।
ফ্যসিবাদি ব্যবস্থা বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের পথে এখন প্রধান কাটা বিএনপি। তাই বিএনপির মাঝে ব্যপক সংস্কার প্রয়োজন। এই দলে গনতান্ত্রিক চর্চা এবং শহীদ জিয়াউর রহমান এর আদর্শকে ফিরিয়ে আনা অতি আবশ্যক। আশা করি আজকেরএই সেমিনারে বিএনপি পন্থী জুলাই বিপ্লবের স্টেক হোল্ডারদের কাছ থেকে আমরা কাংখিত কোণ দিক নির্দেশনা পাব ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০০
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: যদি এক ডাকাত দলের বদলে আরেক ডাকাত দল ক্ষমতায় আসে, তাহলে কি দরকার ছিল এত রক্তপাতের ? বিএনপি তাদের কথায় ও কাজে বারবার প্রমান দিচ্ছে যে , তাদের দরকার শুধু ক্ষমতা। বিএনপি নেতাদের চোখ কেবল লীগের নেতাদের টাকার দিকে। মামলা বানিজ্যের মাধ্যমে এই টাকা পকেটস্থ করার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
জুলাই বিপ্লবে নেতৃতে দেয়া সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তা সবই গুজব। তাদেরকে রাজনীতির ময়দান থেকে সরানোর জন্য নানান ষঢ়যন্ত্র চলছে। তবে কিছু জায়গায় সমন্বয়কদের নাম ভাঙ্গিয়ে যেসব অপকর্ম হচ্ছে , সে বিষয়ে নাহিদ আসিফরা সরাসরি বলে দিয়েছে যে, সমন্বয়ক পরিচয়ে কোন তদবির বা বানিজ্য করার কোন সুযোগই নাই। যদি কেউ করার চেষ্টা করে , তবে তাদের যেন কোনপ্রকার প্রশ্রয় না দেয়া। চাইলে আইনের কাছেও সোপর্দ করা যেতে পারে।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
বাকপ্রবাস বলেছেন: বিএনপিকে লীগ এর বি টিম মনে করি, এই দলটাও ভারত নিয়ন্ত্রিত।
রুমিন ফারহানা হাসিনা আমলে প্লট এর জন্য আবেদন করেছে, যেদিন জানলাম সেদিন থেকে আর আগ্রহ নাই, আলোচনায় তার নাম দেখলাম। নাটকবাজিদের দিয়ে দেশের কিছু হবেনা।
ফাহাম এবং জাহেদ ঠিক আছে, জাহেদ এর সব টিউব ভিডিও আমি দেখি, এবং সম্পূর্ণ দেখি ও শুনি। ওনাকে আমি গুরুত্ব দিই
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: রুমিন ফারহানাতো লীগের অবৈধ সংসদের এম্পিও ছিল। তবে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বেশ সাহসী ভুমিকা রেখেছিল। দেখা যাক আজকের সেমিনারে তারা কি ধরনের বক্তব্য দেয়।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১১
জটিল ভাই বলেছেন:
নির্দেশনা পেলেও পরে কি তা বাস্তবায়ন হবে?
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:০২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মোটেও হবে না , তা শতভাগ নিশ্চিত। আমাদের রাজনৈ্তিক দলগুলো গনতন্ত্র চায় ক্ষমতার লোভে কিন্ত আসলে নিজেরা চুরান্ত অগনতান্ত্রিক। ব্যক্তি পুজা , পরিবার পুজাই দলের মুল গঠনতন্ত্র।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিকে এক পাল্লায় মাপা মেনে নিতে পারলাম না। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যে বহুমাত্রিক পার্থক্য আছে। আওয়ামী লীগ চায় দেশের সবাই আওয়ামী লীগ হবে, তাদের স্তুতি গাইবে। অন্য দিকে, বিএনপি চায় নানান মতের মানুষ নানান পথে থাকুক কিন্তু দেশ গঠনের ঐক্যমত থাকতে হবে। অর্থাৎ বিএনপি নানা মত মেনে দেশ গঠন কে ঐক্যের শর্ত মনে করে। অতএব, উভয় দলকে একই ভাবে বিচার করতে পারি না।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: খুব বেশি পার্থক্য আসলে নাই। অথচ বিএনপির এমন হবার কথা ছিল না। তাদের ছিল গৌরবময় ইতিহাস। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর আদর্শ যদি বিএনপি বজায় রাখ্তো , তাহলে আওয়ামিলিগ বহু আগেই এই দেশের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হত এবং এই দেশটা আজ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মত একটা স্বচ্ছল মুসলিম প্রধান দেশ হত। কিন্ত বেগম জিয়া ও তারেক রহমান সব কিছুতেই লীগকেই অনুসরন করেছে। রাস্ট্রীয় সম্পদ লুটপাঠ , বিদেশে টাকা পাচারে দুই দলই এক। হয়ত লীগ ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকায় পাপের পাল্লা একটু বেশি ভারী।
এখনও বিএনপির নেতাদের কথাবার্তা দেখুন। ফ্যসিস্ট খুনে আওয়ামিলীগের নির্বাচন করাতে তাদের আপত্তি নাই! তারা সংবিধান সংস্কার চায় না, প্রেসিডেন্ট এর পদত্যাগ চায় না, ভারতের সাথে সুসম্পর্ক চায় ( সেটা কি নায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে কিনা তার কোন উল্লেখ নাই)! এমনকি জুলাই- অগাস্ট বিপ্লবের ঘোষনাপত্র তাদের আপত্তির কারনে এখন পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি। ক্ষমতায় যাবার আগেই এই অবস্থা, ক্ষমতায় গিয়ে এরা যে কি করবে ভাবতেও ভয় লাগছে। বিপ্লবীদের সামনে ফাসীর দড়িই এগিয়ে আসছে যদি বিএনপিকে না থামানো যায়।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সত্য কথা হলো- আওয়ামীলীগ বিএনপি কেউ ভালো না। সব শালা চোর হ্যায়।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিএনপি চাচ্ছে সব কালা কানুন থাকুক যেন তারা সেগুলির অপব্যবহার করতে পারে।
তবে বিএনপি এই ধরণের কাজ করে গেলে আওয়ামীলীগের মত ধরা খাবে। ছাত্রদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দল করা প্রয়োজন। তারা করছেও। আমাদের উচিত হবে সেই দলের উপর আশা রাখা।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০০
রবিন.হুড বলেছেন: রাজা যায় রাজা আসে কিন্তু জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন নাহি আসে। আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা মূদ্রার এপিঠ-ওপিঠ । বিগত দিনের রাজনীতি দেখে আমরা বুঝতে পেরেছি সকলে ব্যক্তিস্বার্থে রাজনীতি করছে। অন্তর্বতীকালীন সরকার জনগণের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ। কোটা আন্দোলনের নামে সরকার পরিবর্তন করে গনঅভ্যুত্থান বা বিপ্ললবের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় সমন্বয়ক ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করছে। জনগণের জন্য দরকার তৃতীয় ধারার রাজনৈতিক দল।