![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আনেক কিছুই লেখার কথা ছিল। হয়নি কিছুই। আমার জানালার ওপাশের মন উদাস করা ঝড়ো হাওয়া কখন যে ঢুকে পড়েছে ঘরে, চরাচর ডুবিয়ে দেয়া ঝুম বৃষ্টিকে সে ডাকছে এখন....
গ্রীষ্মের এক দুপুরের গল্প। যখন ভীষণ গরমে পীচের রাস্তা আগুন হয়ে আছে। শহরের উচু বিল্ডিং এর ফাঁক গলে হটাৎ গজিয়ে উঠা শীর্ণ গাছগুলোর পাতা বাতাসের অভাবে স্থির। ছুটির দিনের এই দুপুরে আমার বারান্দার সামনের রাস্তাটা প্রায় ফাঁকা। যেদিকে চোখ যায় সবকিছু নিশ্চুপ। হটাৎ হটাৎ দুএকজন পথচারী রোদ মাথায় করে এত দ্রুত চলছে যেন পালিয়ে গেলে বাঁচে। এই রোদদুপুরে সবকিছুর সংগে থেমে গেছে সময়ও। এই থেমে যাওয়া প্রকৃতির সাথে নিজেও থেমে আছি। শুধু মন চলে যাচ্ছে শৈশবে। এমন তীব্র গ্রীষ্মের দিনে গ্রামের চেহার থাকে অন্যরকম।
এই সময়টাতে গ্রামের কোন রাখাল হয়ত তার গরুগুলো মাঠে চড়তে দিয়ে বসে আছে বড় কোন গাছের ছায়ায়। বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে ইতস্তত তার গরুগুলো। পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট নদীর পানি রোদ পরে চকচক করছে রুপালী আলোয়। হটাৎ বয়ে যাওয়া বাতাসে থেমে থেমে তার বাঁশীর সুর দুরের গ্রামগুলোতে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সে এক অন্য জীবন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৩
"বৃষ্টির কান্না" বলেছেন: ব্লগার ভাই,
আমি নিম্ন লিখিত পোস্ট দেয়ার চার মিনিটের মধ্যেই মডারেটর আমার পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়।আপনারাই বিচার করুন-এই পোস্টে আমি কাউকে ব্যাক্তিগত আক্রম করেছিকিনা, ব্লগের নীতি পরিপন্থী কিছু করেছি কিনা? কি অপরাধে আমার পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নেয়া হলো-বুঝতে পারলামনা।আপনাদের অবগত করা যাচ্ছে-আমি একজন “জেনারেল” মর্যাদার ব্লগার।
একটি সাশ্রয়ী রান্নার রেসিপিঃ- "খানায়ে মউয়াত"
আমি কুদ্দুচিয়া কবীর এই দুর্মুল্যের বাজারে আজ আপনাদের একটি সাশ্রয়ী রান্নার রেসিপি দিচ্ছি। রান্নাটির নাম "খানায়ে মউয়াত"।আমার সাথে আমার সহকারী থাকবেন মিস ফরমালিন।
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ ফরমালিন, তুমি আমাকে প্রমান সাইজের একটা ওভেন প্রুফ কাঁচের বাটি দাও।
মিস ফরমালিনঃ আফা এই যে আমি আগেই রেডি করে রেখেছি।
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ ঠিকাচে, এবার............
মিস ফরমালিনঃ আফা, আগে রান্না উপাদান গুলো একটু বলে নিলে ভালো হয়না?
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ ঠিকাচে, আমি দর্শক-শ্রোতাদের (পাঠক)বলে দিচ্চি- আমি আগেই বলেচি-এটা একটা সাশ্রয়ী রান্না তাই আপনারা কাওরান বাজার পাইকারী স্বব্জী মার্কেট থেকে কেজি পরিমান বিভিন্ন প্রকার স্বব্জীর ঝুটা কুড়িয়ে আনবেন।ইমামগঞ্জ থেকে আধা লিটার পরিমান জাহাজ মার্কা আলকাতরা, যে কোন ক্যামিকেলের দোকান থেকে এক বোতল সালফিউরিক এসিড, এক বোতল এন্ড্রিন এবং এক লিটার পরিমান কেরোসিন কিনে আনবেন। পাঠকবৃন্ধ, সব জিনিষের দাম বাড়লেও ফাহিনা-ফাউক সরকার আপনাদের ক্রয় ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে এই সব জি্নিষের দাম বাড়ায়নি।
মিস ফরমালিনঃ জী আফা, আমাদের সামনেই সব উপাদানগুলো রেডি আছে।
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ প্রথমে স্বব্জীর ঝুটাগুলো ওভেন প্রুফ কাঁচের বাটিতে নাও।
মিস ফরমালিনঃ আফা, স্বব্জীর ঝুটাগুলো একটু পানিতে ধুয়ে নেবো?
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ না, না, ওগুলো পানিতে মেশানো যাবেনা!বুঝেছো?
মিস ফরমালিনঃ হ্যা আফা বুজ্জী!
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ এবার ঐ ময়লা স্ববজীর সাথে এক এক করে কেরোসিন তেল, জাহাজমার্কা আলকাতরা ভালো করে মিশিয়ে নাও।এবার সালফিউরিক এসিড পুরোটাই ঢেলে দাও। সব শেষে এন্ড্রিনটা মিশিয়ে নাও। একটু সাবধানে করবে-যেনো তোমার হাতে না লাগে। ব্যাস হয়ে গেলো ন"খানায়ে মউয়াত" রান্না।
মিস ফরমালিনঃ আফা, এন্ড্রিন দেবো কেনো-ওটাতো মারাত্মক কীট নাশক।
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ এন্ড্রীনটা দিলে খাবারের ভিতরে যত রোগ জীবানু আছে-সব মরে যাবে।
ফরমালিনঃ আফা, ফ্লেভারটা কেমন জেনো উৎকট লাগছে!
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ ও আচ্ছা! ঠিকাচে- ফরমালিন, তুমি কোন পাব্লিক টয়লেটের ইউরেনাল থেকে কিছু ন্যাপ্তালিন তুলে নিয়ে এসো।এই ফাঁকে আমরা ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন বিরতি নিচ্ছি...... আপনারা আমাদের সাথেই থাকুন...
মিস ফরমালিনঃ আফা, এই যে প্রশাবের ভিতর থেকে ন্যাপ্তালিন তুলে নিয়ে এসেছি......
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ ঠিকাচে-এবার ন্যাপ্তালিনগুলো ভালো করে মিশিয়ে নাও......
মিস ফফরমালিনঃ আইচ্ছা!
কুদ্দুচিয়া কবীরঃ দেখেছো ফরমালিন, ন্যাপথালিন মিশানোর পর কি সুন্দর ফ্লেভার বের হছে.........! দর্শক শ্রোতা (পাঠক)আমাদের তৈরী হয়ে গেলো মজাদার “খানায়ে মউয়াত”। আমি এবার খাবার পরিবেশন প্রনালী বলে দিচ্ছি......
প্রথমে দেশের আনাচে কানাচে ঘাপ্টি মেরে লুকিয়ে থাকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌম বিরোধী, দেশের ভিতরে বর্ণচোরা বিদেশী দালাল, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের ঐরসে জন্মনেয়া কুলাংগার যারা এখন সামুতে ছাগু /ভাদা তাড়ানোর নামে নিজেদের পুর্ব অপকর্ম ঢেকে রাখার ব্যার্থ প্রয়াসী চিনহিত গালিবাজ, ধর্ম বিদ্বেস্বী, কোরআন অবমাননাকারী এবং সামুতে ক্যাচাল্কারীদের ধরে নিয়ে যান মহম্মদপুর বেড়ী বাঁধের উপড়।এবার এক একটাকে ধরে পিছ মোড়া করে হাত বাধুন, ঠ্যাং বাধুন। এবার চীত করে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ঠাইস্যা পারায়ে ধরে মুখের ভিতরে রান্না করা খাবার জোর পুর্বক এক চামুচ করে খাইয়ে দিন............ ব্যাস কেল্লা ফতে!
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ এই খাবার রান্না এবং পরিবেশন সম্পুর্নরুপে নিজ দ্বায়ীত্বে করিবেন।