নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আততায়ী।

মেহরাব হাসান খান

আমি H2O,,,,Solid,Liquid & Gas.How do you deserve me?

মেহরাব হাসান খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমার্হ

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩০


ভাবছি সিগারেট ছেড়ে দিবো, টাকা নষ্ট আবার স্বাস্থ্য নষ্ট। কবে থেকে ছাড়বো, এটা সিদ্ধান্ত নেবার জন্যও আরেকটা সিগারেট জ্বালানো দরকার। আমার কাছে সিগারেট আছে, দেশলাই নাই। আশেপাশে কেউই নেই যার কাছে আগুন চাওয়া যায়।
একটু দূরেই বিরক্ত মুখে একটা ছেলে বসে আছে। ওর সামনে বিস্তীর্ণ ব্রহ্মপুত্র, পেছনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল বোটানিক্যাল গার্ডেন; ছেলেটা কোনটাই দেখছে না। ও মনোযোগ দিয়ে নদীর পাড়ে আঙুল দিয়ে বালু খুড়ছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ায় বৃহত্তম, বিশ্বে ৩য়।কত লোক টাকা খরচ করে এখানে বেড়াতে আসে। অথচ ছেলেটার আগ্রহ নেই! ও একমনে বালু খুড়েই যাচ্ছে।

সচারাচর যারা নদী পছন্দ করে তারা পাড়ে বালুতে পা ছড়িয়ে বসে। ছেলেটাও বসেছে। কিন্তু নদী দেখছে না। কতই বয়স হবে? ১২ কি ১৩? জিজ্ঞেস করবো কি হয়েছে? না থাক। আমার কি?
আমার এখন নিকোটিন দরকার, শরীরের প্রতিটি কোষ আন্দোলন করছে।
এক বুড়া মিয়া বিড়ি টানতে টানতে যাচ্ছে, আমি তার কাছে আগুন চাইতে ইতস্তত করছি। আমি উনার পিছন পিছন হাটছি, বিড়ি টানা শেষ হলে তিনি ফেলে দিবেন। আমি তা থেকে আমার সিগারেট জ্বালাবো।
হাটতে হাটতে অনেক দূর চলে এসেছি, ঐতো স্টিলের রেল ব্রিজ দেখা যাচ্ছিল। বুড়া মিয়া খাওয়া বিড়িটা হুট করে ব্রহ্মপুত্রে ফেলে দিলেন। আমার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল!

"এই যে বুড়া মিয়া, দাঁড়ান। দাঁড়ান, কথা আছে।"
উনি আমার দিকে জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে রইলেন।
"আপনি দেখেছেন, আমি তখন থেকে আপনার পিছনে আসছি কেবল আপনার বিড়ি থেকে আমার সিগারেট জ্বালাবো তাই। আর আপনি বিড়িটা পানিতে ফেলে দিলেন?"
"কাহা ব্যাডা চেতেন ক্যা, এই লন। আগুন লন।"
সিগারেটে প্রথম টান দিতেই আযান দিল।

শীতের সময় এই এক সমস্যা, আযান দিতেই অন্ধকার ঝেকে বসবে।আমি দ্রুত পায়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের গেটের দিকে হাটছি। তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে। নয়তো গেট বন্ধ করে দিবে।
ছেলেটাকে সেখানেই পাওয়া গেল। আগের মতই মনোযোগ দিয়ে বালি খুড়ছে।
"এই ছেলে, সন্ধ্যা হয়ে গেছে। তুমি বাড়ি যাবে না?"
ছেলেটা আমার দিকে তাকালো,কিছু বলল না। ওর পরনে কমলা টি-শার্ট, লেদার জ্যাকেট, পায়ে স্পোর্টস সুজ,হাতে ঘড়ি। চুল সুন্দর করে কাটা। বাবা-মা ছেলেকে ভদ্র প্রমাণ করার জন্য যে ছোট করে চুল কাটে তেমন না; আধুনিক কাট দেয়া,বেকহাম কাট। এমন ছেলে চোখের আড়াল হলেই বাবা-মা অস্থির হয়ে যাবার কথা, এই ছেলে প্রায় ২ ঘন্টা ধরে নদীর পাড়ে!
ভালো করে দেখলাম।
এই ছেলেটাকে কোথায় যেন দেখেছি?
ফেসবুক ঘুরে এসে নিশ্চিত হলাম, এটা আমার বন্ধু আবিদ আর পুষ্পের ছেলে।

বাচ্চাদের সাইকোলজি অদ্ভুত!ওরা কিছু বলতে নাই চাইলে, কথা বের করা অসম্ভব। একটা রিসার্চে বললো, ৮০% শিশু পরিচিত লোকদের কাছে সেক্সুয়ালি এবিউজড হয়। কয়টা ঘটনা আমরা শুনি? শিশুটা চুপ করে যায়, কাজে-পড়াশোনায় অনীহা প্রকাশ করে, হৈ-হুল্লোড় করে না, পছন্দের খাবারেও অরুচি ধরে যায়। কই? তবুও কাউকে কিছু বলে না।
আমি একটু দূরেই বসে পরলাম। দেখি কি হয়?
ছেলেটা আমাকে মাঝেমধ্যেই দেখছে।

৩০ কি ৪০ মিনিট পেড়িয়ে গেল। নদীর পাড়ে গাঢ় অন্ধকার।এতক্ষণ যে মেয়েটা ছেলেটার সাথে নৌকায় চড়ে বেড়িয়েছে, সেও আর থাকতে চাচ্ছে না। হলে বা বাসায় ফিরতে বারবার তাড়া দিচ্ছে।
এখন নদীতে যে নৌকা আছে সবগুলোর ছইয়ে ভারী পর্দা। আমি চাইলেও নৌকা ব্রহ্মপুত্রে বেড়াতে পারিনা, আমার সঙ্গী নেই!সঙ্গীহীন লোকদের নিয়ে নৌকা চালাতে এখানকার মাঝিরা ঠিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। অথচ নদীর চারপাশের দারুণ সৌন্দর্য! ছন, কাশের ঘন সবুজ জংগল, বড় মন্দিরের সাজুগুজু করা লোকজন, পাড়ের চায়ের দোকান; সবই প্রকৃতির অংশ।

ছেলেটা আমার দিকে এগিয়ে এল।
"আপনি বাসায় যাবেন না?"
"তুমি বাসায় যাবে না?"
"না, আমি যাবো না। আপনি চলে যান। আপনি চলে গেলেই আমি একটা কাজ করবো।"
"কি করবে?নদীতে ঝাপ দিবে? এখনি দাও। তোমার ঘড়ি,জুতো আর লেদার জ্যাকেট খুলে ঝাপ দিয়ো, ওগুলো আমি নিয়ে পালাবো!"
"আপনি কিভাবে জানলেন আমি ঝাপ দিবো?"
"আমি অনেক কিছুই জানি।শুনবে? তাহলে চল ঐদিকে, তোমাকে খাবার কিনে দেই। তুমি নিশ্চয়ই সকাল থেকে কিছু খাওনি।"
"আপনি কি যাদুকর? আমি 'একজন যাদুকর' গল্প পড়েছি। একটা ছেলে অংকে শুন্য পেয়ে বাড়ি থেকে পালায়। একজন যাদুকর তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আমি কিন্তু কিছুতেই বাড়ি ফিরে যাবো না! আমার জিলা স্কুলে চান্স হয়নি!"
ছেলেটি অঝোরে কেঁদে ফেলল। আমার উচিত তাকে সান্ত্বনা দেয়া। আমি উল্টোপথে গেলাম!

চোখমুখ কঠিন করে বললাম,"ছিঃতুমিতো দারুণ গাধা ছেলে। আমিতো বোকা-গাধাদের সাথে কথা বলি না। তুই থাক, আমি গেলাম।"
ছেলেটা আমার পিছন পিছন আসছে। আমি গেট পেড়িয়ে বাইরে আসতেই, আমার সামনে এসে দাড়ালো।
"আপনি আমাকে তুই তুই করলে বললেন কেন?"
"বোকা-গাধাদের তুইতোকারি করে কথা বলতে হয়, এটাই নিয়ম।"
"আমি মোটেই বোকা-গাধা না। আমি ফাইভ পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে প্রথম হয়েছি। সমাপনী পরিক্ষাতেও ভালো করবো। আপনিই বলুন, আমি কি গাধা?"
"তোমার তো জিলা স্কুলে চান্স হয়নি!"
"তাতে কি? আমি গাধা হয়ে গেলাম?"
"তাহলে কাঁদছো কেন?বাড়ি থেকে পালিয়ে নদীতে ঝাপ দিতে এলে কেন?"
"আমার আব্বু,আম্মু এটা কিছুতেই মেনে নেবে না।আব্বু বলেছে,আমাকে চায়ের দোকানে কাজে দিয়ে দেবে।আমার সব বন্ধুর চান্স হয়েছে, কেবল আমার হয়নি।"
"আর তুমি চাও বানাতে জানো না।"
"তা শিখে নিবো। আপনি বুঝতে পারছেন না, আমার আব্বু ডাক্তার, আম্মু ব্যাংকার। তারা খুব মন খারাপ করবেন, আমার সব কাজিনরাও ভালো ছাত্র। কেবল আমিই....."
ও আবার কাঁদছে।
"আমার আব্বু জামালপুর জিলা স্কুলে পরিক্ষা দিয়ে প্রথম হয়েছিল, আম্মু বিদ্যাময়ী স্কুলে পড়েছে। আর আমি কোথাও চান্স পেলাম না।আমার কোন বন্ধুও থাকবে না।"
ও শব্দ করে কেঁদে ফেললো।

আমি এবার ওর কাধে হাত রাখলাম।
"শোনো, অজপাড়াগাঁয়ের একটা ছেলে ক্লাস ফাইভে কোনভাবে জেলায় দ্বিতীয় হয়ে গেল। জিলা স্কুলে চান্সও পেয়ে গেল। কিন্তু পড়াশোনায় ওর মন নেই।কিছুই ভালো লাগে না,ক্লাসে সবাই ওকে গেয়ো ভূত ডাকে! স্বভাবতই ক্লাস এইটে ও টেনেটুনে সাধারণ গ্রেডে স্কলারশিপ পেল। ওর মনে হল, ও দুনিয়ার বড় গাধা! বাসায় এটা কিছুতেই মেনে নিবে না। ও সিদ্ধান্ত নিল, নদীতে ঝাপ দিবে। দিলও, তাতে কাজ হল না! ও সাতার জানতো।ও বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রথমে ঢাকা গিয়ে কিছুদিন হোটেলে কাজ করলো, তারপর সিলেট গিয়ে ধানকাটার কাজ করলো।"
"ও কি পরে কৃষক হয়ে গেল?"

"না, ঐকাজ আরও কঠিন!
তাই ও বাড়ি ফিরে এল। দেখল, ও যে সাধারণ গ্রেডে স্কলারশিপ পেয়েছে এতে কারও কিছুই আসে যায়নি! দু'একজন দুষ্টলোক কিছুদিন জিজ্ঞেস করেছে, পরে তারাও চুপ করে গেল।"
"কিন্তু,আমার দাদাবাড়ী, নানুবাড়ির লোকজন অত সহজে সব ভুলে যায় না।
ছেলেটা পরে কি করলো?"
"ছেলেটা ভালো করে পড়াশোনা করলো এসএসসিতে এ+ পেয়েছিল।তখন কিন্তু এতএত এ+ পেত না।"
"তারপর কি হল? ছেলেটা পরে কি করলো?"
"ছেলেটাকে বলা হল, নটরডেম কলেজে চান্স না পেলে ওকে পড়াশোনা করানো হবে না।"
"ও কি চান্স পেয়েছিল?"
"না, পায়নি!"
"ও কি করলো? মরে গেল, না আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে গেল?বলুন, বলুন না।"
আমি ওর হাতে একটা একটা কলা, ড্রাইকেক দিয়েছি। নিজেই ছিলে খাওয়া শুরু করলো।

আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথ দিয়ে হেটে ফিরছি। ও আমার গা ঘেষে হাটছে, বোঝাই যাচ্ছে অন্ধকার ভয় পায়। বাকৃবির রাস্তাগুলো কিন্তু অনেক সুন্দর, চারপাশে বড়বড় গাছ। তবে জমাটবাধা কুয়াশায় প্রায় কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
আমি আবার বলা শুরু করলাম।
"ও গ্রামের একটা কলেজে নিজেই ভর্তি হয়ে গেল। এইচএসসি পরিক্ষায় কলেজ থেকে বেশিরভাগ ছেলেই ফেল করলো। ও টেনেটুনে পাস করলো।"
"ওকে বাসা থেকে কিছু বলল না?ওর বাবা নিশ্চয়ই ডাক্তার নয়, আম্মুও ব্যাংকার নয়!"
"তা নয়, তবে আসল জিনিস কিন্তু বাকি!ওকে বলা হল, ওকে যে করেই হোক ডাক্তার হতে হবে। হতেই হবে, নয়তো ওর পড়াশোনার খরচ দেয়া হবে না!"
"ও কি ডাক্তার হতে পারলো?"
"হ্যা, ও মেডিকেল কলেজে ভর্তি হল।"
"ওর বাবা,মা নিশ্চয়ই খুশি হল!আর আমিতো জিলা স্কুলেই চান্স পেলাম না।আব্বু-আম্মু অনেক কষ্ট পেয়েছে!"
"শোনো না, ঘটনাতো শেষ না। প্রথম কয়েকটি পরিক্ষায় ও কিছুতেই মেডিকেলে পাস করতে পারল না।"
"এবার ও নিশ্চয়ই মারা গেল,তাই না?"
"ধুর বোকা!মরে গেল কি সব সমাধান হয়ে যায়?
ছেলেটা প্রথম বছর কিছুতেই পাস করতে পারলো না, ও সিদ্ধান্ত নিল মেডিকেলে পড়বে না। উকালতি পড়বে!"
"যে ডাক্তারি পড়তে পারলো না সে কি করে উকালতি পড়বে?"
"মজার ব্যাপার কি জানো? ছেলেটা উকালতি পড়াশোনায় দারুণ ভালো করলো। ওদের ক্লাসে সেরা রেজাল্ট করলো!"
"সত্যি!"
"হ্যা, সত্যিই।"
"ছেলেটা কি এখন বড় কিছু করে?"
"না, তবে যে ছেলেটা তখন পাস করতে পারেনি, এখন তার কথা সবাই শোনে, ও যতক্ষন কথা বলে সবাই তাকিয়ে থাকে।"
"ছেলেটা কি টিভিতে খবর পড়ে, না রাস্তায় রাস্তায় ওষুধ বেচে?আমি দেখেছি, ওদের কথা সবাই শোনে।"
"হা হা, ছেলে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ায়!"
"ও আল্লাহ! কি বলেন। আচ্ছা, ছেলেটা কি আপনি?"
"বাহ!তোমারতো অনেক বুদ্ধি।"
"কিন্তু আমার সব বন্ধু যে চলে গেল?"
"নতুন স্কুলে নতুন বন্ধু হবে।ভেবে দেখ, কি দারুণ হবে!"
"আপনি আমার সাথে আমাদের বাসায় যাবেন? আব্বুকে এগুলো বলবেন।"
"কেন? তুমি গুছিয়ে বলতে পারবে না?"
"পারবো, পারবো না কেন?"

নাফি বাসায় ঢুকে গেল। ড. আবিদ আর পুষ্প কিছুই বলল না। ওরা আমার দিকে এগিয়ে এল।
আবিদ জিজ্ঞেস করলো,"ওকে কোথায় খুজে পেয়েছিস?"
"ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে, নদীতে ঝাপ দিতে গিয়েছিল!"
পুষ্প কেঁদে ফেললো।
"ক্লাস ফাইভে ছেলেটা খুব সিরিয়াস হয়ে গেল। গল্পের বই পড়া, মুভি দেখা বন্ধ করে দিল। এমনকি ক্রিকেট খেলাও দেখত না। ওকে সমাপনীতে ভালো করতেই হবে। পরিক্ষা শেষ হতেই আমরা ওকে কোচিং-এ দিয়ে দিলাম। ওর সারা বছরে না পরে জমানো বই, সিনেমা তালা দিয়ে দিলাম। খুব মন খারাপ করলো!"
আবিদ বললো,"ছেলেটা এত চাপ নিয়ে ফেলেছে বুঝতেই পারিনি!এখন কি করবো বলতো?"
"তোদের ছেলে, যা ইচ্ছে কর!আমার আব্বার মত তোরা পানি ঘোলা করে খেতে পারিস, আবার পরিস্কারও খেতে পারিস।"
"আমরা আর ওকে পড়াশোনা নিয়ে চাপ দিবো না। যা ইচ্ছে করুক।"

নাফির না পড়া বইগুলো দেখে অবাক হয়েছি! ওর বয়সে আমি তিন গোয়েন্দা পড়তাম। ও পড়বে বলে জমিয়ে রেখেছে বিষাদসিন্ধু, প্যারাডক্সিকাল সাজিদ, অপেক্ষা, আমি তপু, দি আলকেমিস্ট! সিনেমার তালিকাও দারুণ, হালের কোন বিখ্যাত ছবি নেই। আছে এক যে ছিল রাজা, আমার বন্ধু রাশেদ, ছুটির ঘন্টা, The boy with Stripped Pajamas, Forrest Gump, Upside Down, সহজ পাঠের গল্প!
যে ছেলের বাবা-মা ছেলেকে এমন দারুণ সব বই,মুভি সংগ্রহ করে দিতে পারে তাদের বড় দু'একটা অপরাধ ক্ষমা করাই যায়!

আমরা সব সময় শিশুদের আমাদের সফলতার গল্প শোনাই। হয়তো চাপ দিতে চাই না, কিন্তু ওরা গল্পগুলো থেকেই চাপ নিয়ে নেয়। বাবা-মা,ভাই-বোন এটা করেছে, তাকেও করতে হবে। না করতে পারলেই সে ব্যর্থ। প্রত্যাশার চাপ যে কি ভয়ানক! মাঝেমধ্যে দু'একটা হেরে যাবার গল্প শোনালে কি হয়? এতে আর যাইহোক, শিশুটি ভেতর থেকে মারা যাবে না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: শুধু বাচ্চা কাচ্চা না সব মানুষের সাইকোলজি'ই বড় অদ্ভুত।
শিশুদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে তা রবীন্দ্রনাথ পরিস্কার বলে গেছেন।
পোষ্টে যে ক'টা বইয়ের নাম বলেছেন সব ক'টাই আমার পড়া।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: দি আলকেমিস্ট ঠিক জমেনি, তাই শেষ করতে পারিনি।
সিনেমাগুলো দেখেছেন?
The boy with stripped Pajamas দারুণ একটা মুভি।

২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

সেজুতি_শিপু বলেছেন: চমৎকার লেখা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: ধন্যবাদ। চেষ্টা করছি আরকি!

৩| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: কোনো শিশুকে পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত চাপ দেয়া উচিত না।
লেখা ভালো হয়েছে।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: অনেক সময় চাপটা আপনাআপনিই তৈরি হয়ে যায়। মস্তিষ্কের নিউরন নিজ দায়িত্বে এ কাজ করে ফেলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.