নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনে কি ভালবাসাটাই সব ? আবেগটাই সব ? বাস্তবতার কি কোনই জায়গা নেই এখানে ? :-&

০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

- আচ্ছা, চলো, আজকে রাস্তার পাশে বেলাল ভাইয়ের ফুচকা খাই ।
- না, কেন, তুমি না আমাদের রিলেশন হওয়ার সময় বলেছিলা, রাস্তার পাশে কোনকিছু তুমি খাও না । আর রাস্তার পাশে খাবার তো না-ই । তাহলে ?
-আরে ধুর, বাদ দাও তো, বেলাল ভাইয়ের ফুচকার অনেক সুনাম । সমস্যা নেই, চলো খাই ।

আবির ওর গালের খোঁচা খোঁচা দাড়িগুলো চুলকাতে থাকে । নীলার আচরণগুলো কখনই তার কাছে পরিস্কার নয় । আবির আর নীলা দুইজনেই একই ইউনিভার্সিটিতে পড়ে । আবির অবশ্য নীলার চেয়ে দুই বছরের সিনিয়র । ওদের মধ্যে ভাব হওয়ার ব্যাপারটাও একটু অদ্ভুত । একদিন বৃষ্টির দিনে আবির পথে আনমনা ভাবে চলার সময় খেয়াল না করে কাঁদার মধ্যে পড়ে যায় । সেটি দেখে আশেপাশের সবাই হেসে দেয় । কাঁদায় পড়ার পর আবির কিছুক্ষণ ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়ার পর সবার হাসি দেখে সেও হেসে দেয় । এই ব্যাপারটিই এক পাশ থেকে খেয়াল করে নীলা । সেখান থেকেই ভালো লাগা শুরু । এরপর আবিরের সম্পর্কে নীলার খোঁজ-খবর নেওয়া শুরু । হ্যাঁ, আবিরকে নীলাই প্রপোজ করে । আবির প্রথমে কিছু না বললেও, হ্যাঁ বলতে তিনদিন সময় নেয় ।

তবে আবিরের কাছে নীলা মেয়েটাকে বরাবরই একটু অদ্ভুত লাগে । একদিন ওকে জোর করে ধরে নিয়ে গেলো বসুন্ধরা সিটি । সেখানে আবিরকেই একটা শার্ট আর এক জোড়া জুতা কিনে দিলো । আবির কত না করলো, কিন্তু কে শোনে কার কথা । নীলা প্রায়ই বলে, আচ্ছা, তোমাকে যে বয়ফ্রেন্ড বলে আর দশটা মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেবো, আমার মান-সম্মানটা থাকবে ? তাই আবির আর সেদিন না করেনি । এত পাগলামির মাঝেও এই নীলা মেয়েটাই এখন আবিরের জীবন ।

আরেকদিন হলো কি, নীলা একদিন ক্যাম্পাসে একটি ছোট বক্স গিফট র‍্যাপ করে নিয়ে আসছে আবিরের জন্য । আবির অনেক অনুরোধ করে গিফটটি না নেওয়ার জন্য । কিন্তু যখন আবির খেয়াল করে নীলার চোখ ছলছল, তখন আর সে গিফটটি না নিয়ে পারে না । গিফট র‍্যাপটি খুলে অবাক হয় আবির । ভিতরে একটি মোবাইল । নীলাকে জিজ্ঞেস করতেই বলে, "আব্বু আমাকে জন্মদিনে কি দেবে জিজ্ঞেস করলে আমি বলি আরেকটা মোবাইল কিনে দাও । আমার তো একটা মোবাইল আছেই, আমি আরেকটা মোবাইল দিয়ে কি করবো ? তাই এইটা তুমিই রেখে দাও ।" আবির কিন্তু কিছু বলতে পারে না । নীলার আচরণগুলো দেখলে মাঝে মাঝে ওরও কান্না পায় কিন্তু সে কখনই নীলার সামনে কান্না করে না, গোপনে, একাকী করে ।

আচ্ছা, মেয়েটাকে তো ও কোনদিন বলিনি, তাহলে মেয়েটি এতকিছু জানে কি করে ? ও কিভাবে জানে আবিরের সারামাসের খরচের যোগান হয় শুধুমাত্র টিউশনির টাকা দিয়ে ? বাড়ি থেকে টাকা তো আসেই না বরং ওকেই বাড়িতে টাকা পাঠাতে হয় । আচ্ছা, মেয়েটি কেন শুধু ওর জন্য দামী কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়ার শখটা বাদ দিয়েছে ? ওর জন্যই কেন জীবনে কষ্টগুলোকে আপন করে নিতে চাইছে ? জীবনে কি ভালবাসাটাই সব ? আবেগটাই সব ? বাস্তবতার কি কোনই জায়গা নেই এখানে ? আবিরের মনে হাজারটা প্রশ্ন কিন্তু এটা সেও জানে এই প্রশ্নগুলো কখনই নীলাকে করা হবে না ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: এরকম প্রেমিকা পাওয়া বিনা খরচে মঙ্গলগ্রহ ভ্রমণের মতো একটা ব্যাপার। B-))

১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩১

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: হা হা হা হা । অনেকটাই সত্যই বলেছেন । তবে কিছু ব্যাপার থাকে, ব্যতিক্রমী ।

২| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:০৯

বিপরীত বাক বলেছেন: জীবনে ভালবাসাটাই সব। তবে সেটা অবশ্যই নারী পুরুষের ভালবাসা।

১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: ভালবাসাটা অনেক ধরনেরই হয় । শুধু নারী-পুরুষের ভালোবাসা শুধু একটি স্বরূপ মাত্র । ধন্যবাদ, কষ্ট করে গল্পটি পড়ার জন্য ।

৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৩:২২

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আবিরের দেখি দারুণ ভাগ্য। এমন ভাগ্যবান ছেলে তো আজকাল খুঁজেও পাওয়া যাবেনা।

১৪ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩

মোশারফ হোসেন ০০৭ বলেছেন: হ্যাঁ, তা হয়তো যথার্থই বলেছেন । ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখাটি পড়ার জন্য । :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.