নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোলার প্যানেল দিয়ে কৃত্রিম সূর্য তৈরি !!! সত্যিই তাজ্জব আবিস্কার, আদৌ সম্ভব কি ?

১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

- আচ্ছা, এক কাজ করলে কেমন হয় ?

মহিম যেন কথাটা নিজে নিজেই বললো, কারণ তার কথায় আশেপাশের কেউ ভ্রূক্ষেপ করলো না । সুমন সেই আগের মতই তার ব্যাটে স্টিং লাগিয়ে চলেছে, আশফাক জহিরকে গতকাল দেখা একটা ইংরেজি মুভির রিভিউ বলে চলেছে আর নয়ন আর সুহন তো পাশের বাসার ইরিন নামক সুন্দরী মেয়েটাকে কিভাবে পটানো যায়, সেই বিষয়ে বুদ্ধি-পরামর্শ করেই চলেছে নিজেদের মধ্যে । কিন্তু মহিম দমে গেলো না । সে বলেই চললো ।

- ভাবছি, একটা ডিভাইস বানাবো । সোলার প্যানেল দিয়ে তৈরি করবো কৃত্রিম সূর্য । তোরা যে যে আমার সাথে আছিস, সাহায্য করতে পারিস । নয়তো আমি একাকীই করতে পারবো ।

শেষের বলা কথাটাতে মনে হলো কাজ হলো, বাকী সকলেই নিজেদের কাজ ফেলে দিয়ে এবার মহিমের মুখ দিকে তাকালো । তাদের গ্রুপে জহির একটু বোকাসোকা । সে একেবারে হাঁ করেই মহিমের দিকে তাকিয়ে রইলো । নয়ন আর সুহন কিছুক্ষণ তাকিয়ে আবারও সেই বুদ্ধি-পরামর্শের কাজে মনোযোগ দিলো । তাদের কিছুক্ষণের দৃষ্টিই অনেক কিছু বলে দিয়েছে । মহিমের এই আইডিয়া পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয় । সকলের এত কম আগ্রহ দেখে মহিম আসর ছেড়ে চলে যেতে চাইলে, সুমন পিছন থেকে মহিমের শার্ট টেনে ধরে । মহিম পিছনে ফিরতেই সুমন জিজ্ঞেস করে –

- কি যেন বলছিলি ? কৃত্রিম সূর্য না কি যেন ?
- হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছিস । কৃত্রিম সূর্য ।
- তোর মাথা ঠিক আছে ? কি বলছিস এসব উল্টাপাল্টা ?
- হ্যাঁ, ঠিকই বলছি । হিসেব করে দেখ, রাত হলেই আমাদের কর্মের উদ্যমতা কমে যায় । ক্লান্তি চলে আসে । ঘুম চলে আসে । আমরা দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা করে ঘুমালে, ৬০ বছরের জীবনে প্রায় ১৫-২০ বছর আমরা ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেই । অথচ আমরা যদি এই রাতকে আলোকিত করতে পারি, দিনের মত করে তৈরি করতে পারি...

মহিমের কথা শেষ হতে না হতেই আশফাক বাধা দেয় ।

- এই দাড়া, দাড়া, রাতকে দিন করতে পারি মানে !! তুই কি নিজেকে ঈশ্বরের সমান দাবী করছিস ? শালা, নাস্তিক ।

আশফাকের কথায় মহিম মোটেও রাগলো না । বরং তার হাসি পেয়ে গেলো । আশফাককে উদ্দেশ্য করে এবার মহিম বললো –

- আমার কথাটা তো শোন আগে পুরোটুকু । এরপর যা বলার বলিস ।
- (মহিমের এই কথা শুনে আশফাকের রাগ একটু ঠাণ্ডা হলো) হ্যাঁ, বল ।
- ধর, আমরা সোলার প্যানেল কাজে লাগিয়ে বিদ্যুতের বিকল্পরূপে ব্যবহার করছি তো সেই কত বছর আগে থেকেই, তাই না ? এখন যদি আমরা এমন কোন আলোর উৎস তৈরি করতে পারি, যেটা একটা পাড়া কিংবা মহল্লা কিংবা একটা এলাকাকে কমপক্ষে রাতের সময়টুকুতে পুরোপুরি আলোকিত করে রাখবে । বিষয়টা ছোট পরিসরে ভেবে দেখ । এই আলোকিত ব্যাপারটাই অনেকটা ইন্টারেস্টিং ।
- কি বলিস ? একবার ভেবে দেখেছিস, তাহলে কত ওয়াটের আলো হওয়া লাগবে সেটা ?
- হ্যাঁ, সেটাই তো । আমরা একটা নির্দিষ্ট জায়গাতেই সেই ব্যবস্থা করবো । আবার আমরা তো এও জানি, এই বিশাল পরিমাণে আলো তৈরি করলে সেখানে হিটও তৈরি হবে মানে জায়গাটা বিশাল পরিমাণে গরম হবে । তবে বিষয়টা হ্যাংকগিং আকারেই তৈরি করতে হবে, মানে ঝুলন্ত । পুরো আলোর উৎসটা ঝুলে থাকবে, একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় । সেই আলোটাই পুরো এলাকাকে আর অন্ধকার হতে দেবে না । মানুষের রাতের বেলায় ক্লান্তির আসল রহস্যই কিন্তু এই আলোর অভাব । আর সূর্যের আলো যে শক্তির আধার, এটাই বা আমরা কে না জানি ।

মহিমের আইডিয়াটা এবার সত্যি সত্যি সবার পছন্দ হলো । এমনকি নয়ন আর সুহনেরও । সবাই একমত হলো যে কমপক্ষে পরীক্ষামূলকভাবে হলেও কাজটা করে দেখা যায় । যাক, আইডিয়াটা তাহলে সকলের ভালো লাগলো । মহিমের মুখে মুচকি হাসির একটা আভা ছেয়ে গেলো ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.