নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭

একজন শৌখিন লেখক আমি, আবার কবিও বলা যেতে পারে । যখন যা ভালো লাগে তাই লিখি ।

মোশারফ হোসেন ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছবি আর মিলানের গল্প ।। হাসপাতাল বিড়ম্বনা

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৪

হন্তদন্ত হয়েই হাসপাতালে ঢুকলো ছবি । আশেপাশের কাউকে ভ্রূক্ষেপ না করে একেবারে মিলানের বেডের পাশে গিয়ে দাঁড়ালো । মিলান অবশ্য ছবির এমন আচরণ আশা করেনি । মিলানকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ছবি বলতে লাগলো,

- কি হয়েছে তোমার ? কি ভাবে হলো ? দেখে সাইকেল চালাতে পারো না ? কি ভাবছিলে উল্টাপাল্টা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ? এখন তো হাতের উপর দিয়ে সামান্য প্যাড়া গেলো কিন্তু যদি বেশিকিছু হয়ে যেতো ? যদি প্রাণটাই যেতো ? কারও কথা ভাবতে চাও না, তাই না ? তোমার কিছু হলে আমার কি হতো ? এটা কি ভেবে দেখেছো ? নাকি এখানেও তোমার হেঁয়ালিপনা ?

প্রায় এক নিঃশ্বাসেই কথাগুলো বলে গেলো ছবি । মেয়েটা হাঁপাচ্ছে, ভালো পরিমাণেই । এক পলক ছবিকে দেখে মিলানেরই ভয় ধরে গেলো । ও মা, মেয়েটা আবার অসুস্থ হয়ে পড়বে না তো !! কিন্তু মিলানের বিছানার পাশেই মিলানের মা আর মিলানের এক চাচা বসে ছিল, এই বিষয়টা ছবি একেবারেই খেয়াল করেনি এতক্ষণ । ওদিকে মিলানও সরাসরি বলতে পারছে না । মিলান ইচ্ছা করে কাশি দিয়ে ছবির মনোযোগ ঘুরানোর চেষ্ঠা করতেই ছবি আবারও বলে উঠলো,

- কি ব্যাপার, কাশিও বাঁধিয়েছ ? বাহ, আর কিছু ? আচ্ছা, কবে থেকে নিজের শরীরের প্রতি যত্নটা নেওয়া শুরু করবা, একবার বলো তো...

অবস্থা বেগতিক আর ছবির বেখেয়ালি মনোভাব বুঝতে পেরে মিলান এবার মায়ের দিকে তাকিয়ে মা কে বললো,

- মা, ও ছবি । আমার বান্ধবী । তুমি মনে হয় ওকে কোনদিন দেখোনি !!!

মিলানের মা একটা ছোট্ট করে মুচকি হেসে বললো,

- তোর বান্ধবীর মনে হয় তোকে নিয়ে চিন্তা অনেক । এক কাজ কর, আমি আর তোর চাচা একটু বাইরে যাচ্ছি, তোরা কথা বল ।

এতক্ষণ মিলানের মা যে মিলানের পাশে বসে ছিল, এটা এতপরে বুঝতে পেরে ছবি নিজের জিহ্বাতে কামড় দিলো । ইশ, কি লজ্জা !! মিলানের মায়ের সামনেই এতকিছু করা হয়ে গেছে অথচ মিলান তো ছবির ব্যাপারে তার মা কে কিছুই জানায়নি । ছবি মিলানের মা কে সালাম দিলো । ঘটনার আকস্মিকতায় মিলান অনেকটা নীরব হয়ে গেছে । ছবিও বুঝতে পারছে না তার কি করা উচিৎ !! মিলানের মা অবশ্য সবই বুঝতে পেরেছে । ছেলের সাথে এই ব্যাপারে পরে কথা বলা যাবে, এই চিন্তা করে মিলানের চাচাকে নিয়ে হাসপাতালের রুমের বাইরে চলে গেলো মিলানের মা । মা চলে যেতেই ছবি আর মিলান দুইজন দুইজনের দিকে তাকিয়ে ফিক করে হেসে দিলো । তাহলে এতদিনে, বাসায় জানানোর সময় চলে এসেছে !! ওদিকে মিলান আবার ভাবতে লাগলো মা সবকিছু ভালোভাবে নেবে তো !! :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.