![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাকাত ইসলামের মূল ভিত্তির অন্যতম তৃতীয় স্তম্ভ। ঈমানের
পরে সালাত অতঃপর জাকাতের স্থান। ঈমানের দাবিদার
সাহেবে নেসাব সবার ওপর জাকাত ফরজ। জাকাত শুধু রমাদান
(রোজার মাসেই ফরজ নয়। জাকাত সারা বছরই ফরজ। যখন থেকে বা যে মাসের যে তারিখ থেকে যিনি সাহেবে নেসাব
হবেন বা জাকাত দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন বা জাকাত
দেয়ার মতো অর্থসম্পদের মালিক হবেন, তখন থেকে চন্দ্র
বর্ষের হিসেবে এক বছর পূর্ণ হলেই জাকাত দিতে হবে।
এটি বছরের মহররম মাস থেকে জিলহজ মাসের
মধ্যে যেকোনো মাসেই হতে পারে। জাকাত ফরজ : আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হচ্ছে, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো আর
জাকাত আদায় করো, আর যারা আমার সামনে অবনত হয় তাদের
সাথে মিলিত হয়ে তোমরাও আমার আনুগত্য
করো’ (সূরা বাকারা: ৪৩ । আল্লাহ তায়ালা আরো নির্দেশ করেন, ‘(হে নবী!) আপনি তাদের ধনসম্পদ
থেকে সাদাকা (জাকাত গ্রহণ করুন, সাদাকা তাদের পবিত্র করে দেবে, তা দিয়ে আপনি তাদের পরিশোধিত
করে দেবেন আর আপনি তাদের জন্য দোয়া করবেন,
কেননা আপনার দোয়া তাদের জন্য হবে পরম সান্ত্বনা,
আল্লাহ তায়ালা সব কিছু শোনেন ও সব কিছু
জানেন’(সূরা তাওবা: ১০৩ । রাসূল সা:-কে আল্লাহ তায়ালা যে দায়িত্ব দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন তার
মধ্যে অন্যতম একটি দায়িত্ব ছিল, ‘ওয়াইয়ুযাক্কিকুম’
বা তোমাদের পরিশুদ্ধ করবেন বা পবিত্র
করবেন’(সূরা বাকারা : ১৫১ । জাকাত শব্দের অর্থ : আরবি জাকাআ শব্দ থেকে জাকাত শব্দের উৎপত্তি।
আরবি ‘জাকাআ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে পবিত্রতা, সততা,
বৃদ্ধি বা বর্ধন আর ‘জাকাত’ শব্দের আভিধানিক অর্থ
হচ্ছে পবিত্রতা, পরিশুদ্ধতা, পরিছন্নতা বা বৃদ্ধিকরণ।
জাকাত মালসম্পদকে বৃদ্ধি ও পরিশুদ্ধ করে। আল্লাহ
তায়ালা বলেন, ‘(হে নবী!) আপনি বলে দিন, আমার মালিক যাকে ইচ্ছা করেন তার রিজিক বৃদ্ধি করে দেন, আর
যাকে ইচ্ছা সঙ্কুচিত করেন, কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই
তা বোঝে না’ (সূরা সাবা: ৩৬ । জাকাত ও সাদাকার মধ্যে পার্থক্য : আরবি সাদাকা শব্দের আভিধানিক অর্থ
হচ্ছে দান, সাদাকা বা জাকাত। সাদাকা শব্দের অর্থ
জাকাত ধরা হলে তা হবে বাধ্যতামূলক দান বা আদায় যোগ্য
দান। আর সাদাকা শব্দের অর্থ দান খয়রাত
ভিা বা সাদাকা ধরা হলে তা হবে স্বেচ্ছায় দান। তবে কেহ
যদি সাদাকার নিয়ত করেন, তা হলে সে সাদাকা অবশ্যই আদায় করতেই হবে। জাকাতের উদ্দেশ্য : জাকাত ঈমানের
পূর্ণতা, নেক আমল, তাকওয়াহ, অর্জিত সম্পদের পবিত্রতা,
ইসলামী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক ভারসাম্য ও
নিরাপত্তা আর দারিদ্র্য বিমোচন এক অন্যতম হাতিয়ার।
আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন ‘নিশ্চিত সফলকাম ওই সব
মুমিন ব্যক্তি, যারা তাদের সালাতে বিনয় ও নম্রতা প্রদর্শন করে, যারা অর্থহীন কথা ও কাজ থেকে বিরত
থাকে, যারা জাকাতের বা পরিশুদ্ধতার পন্থায় তাদের
কর্মফয়সালা করে’ (সূরা মুমিনুন: ১-৪ মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো যেমন অন্ন, বস্ত্র, শিা, চিকিৎসা, বাসস্থান ও
নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে রাষ্ট্র বা সরকার। রাষ্ট্রের
বা সরকারের পে মানুষের এসব চাহিদা পূরণ করতে অর্থের
প্রয়োজন। সরকার যদি আল্লাহ তায়ালার বিধান মোতাবেক
রাষ্ট্রপরিচালনা করে, তা হলে সে রাষ্ট্রের অর্থসংস্থান
কোথা থেকে হবে আল্লাহ তায়ালা তা বলে দিয়েছেন। মূলত সালাত কায়েম ও জাকাত আদায়ের দায়িত্ব হচ্ছে মুসলিম
রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের। এ ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার
সুস্পষ্ট ঘোষণা হচ্ছে, ‘আমি যদি এ (মুসলমানদের জমিনে (পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠা দান করি (বা রাষ্ট্রীয় মতা দেই তা হলে তার দায়িত্ব হবে, সালাত কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, নাগরিকদের সৎ কাজের আদেশ
দেয়া এবং সব প্রকার মন্দ বা খারাপ কাজ থেকে বিরত
রাখা’ (সূরা আল হাজ : ৪১ । জাকাত অস্বীকারকারীর পরিণতি : জাকাত আদায় না করার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ
তায়ালা বলেন, ‘দুর্ভোগ ওই সব অংশীবাদী মুশরিকদের জন্য,
যারা জাকাত আদায় করে না আর তারা আখিরাতেও বিশ্বাস
করে না’ (সূরা হা-মিম-আস সাজদা: ৬-৭ । আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, ‘আর যারা সোনা রুপা পুঞ্জীভূত
করে রাখে তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না তাদের কঠিন
আজাবের সংবাদ দাও। সেই দিন (হাশরের দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তাদের
কপালে, পার্শ্বদেশে ও পৃষ্ঠদেশে দাগ দেয়া হবে, সেই দিন
বলা হবে, এটিই সে বস্তু যা তোমরা নিজেদের জন্য পুঞ্জীভূত
করতে, সুতরাং তোমরা যা পুঞ্জীভূত করেছিলে তার স্বাধ
আস্বাধন করো’ (সূরা তওবা: ৩৪-৩৫ । জাকাত কার ওপর ফরজ : বৈধ সম্পদের মালিক ঈমানের দাবিদার সব নারী-
পুরুষের ওপর জাকাত ফরজ। তবে এতিম, অপ্রাপ্তবয়স্ক, বিকৃত
মস্তিষ্কদের েেত্র তাদের সম্পদের
রণাবেণকারী বা অভিভাবক তাদের পে জাকাত পরিশোধ
করবেন। হজরত ইবনে আব্বাস রা: বলেন, রাসূল সা: মুআয রা:-
কে ইয়েমেনে পাঠালেন এবং বললেন, তুমি প্রথমত তাদের এ স্যা দিতে বলবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই আর
আমি (মুহাম্মদ সা আল্লাহর প্রেরিত। তা যদি তারা মেনে নেয় তাদের বলবে, আল্লাহ তোমাদের
ওপর তোমাদের সম্পদের জাকাত ফরজ করেছেন, তা তাদের
ধনীদের থেকে আদায় করে গরিবের মধ্যে বণ্টন
করা হবে’ (বুখারি-৮০১ । যেসব মালের ওপর জাকাত ও ওশর ফরজ : (১ উৎপাদনমুখী সম্পদ যেমনÑ কৃষিজমির উৎপাদিত ফল, ফসল, শাকসব্জি ও কলকারখানার উৎপাদিত
দ্রব্যসামগ্রীর ওপর (২ গৃহপালিত পশুপাখি যেগুলো চারণ করা হয় (৩ যেসব দ্রব্য তাৎণিক বিনিময় করা যায়, যেমনÑ টাকা, সোনা, রুপা, ব্যবসায়ের মাল বা দ্রব্য
সামগ্রী (৪ খনিজ সম্পদ (৫ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ ইত্যাদি। জাকাতের নেসাব : নেসাব বলতে বোঝায় যে পরিমাণ মাল-
সম্পদ থাকলে এক ব্যক্তির ওপর জাকাত ফরজ হয়, তাই নেসাব।
আর যার নিকট নেসাব পরিমাণ মাল-সম্পদ থাকে,
তাকে বলা হয় সাহেবে নেসাব। রাসূল সা:-এর সময় সাধারণত
সোনা, রুপা, উট, ঘোড়া, ভেড়া, ছাগল, দুম্বা, খেজুর, গম
বা যবের নেসাব হিসাব করা হতো। ভিন্ন ভিন্ন মালের নেসাবের হিসাব ভিন্ন হবে। যেমনÑ সোনা, রুপা ও প্রচলিত
মুদ্রা বা টাকার নেসাব হবে নিম্নরূপ : সোনার নেসাব
হবে পাঁচ তোলা আড়াই মাশা বা সোয়া পাঁচ
তোলা সোনা বা তার সমপরিমাণ অর্থ থাকলে জাকাত ফরজ।
রুপার নেসাব হবে ৩৬ তোলা সাড়ে পাঁচ মাশা রুপা বা তার
সমপরিমাণ অর্থ থাকলে জাকাত ফরজ। মাওলানা আবদুশ শুকুর রহ: তার ইলমুল ফেকাহ গবেষণা গ্রন্থে এর উল্লেখ করেছেন।
মাওলানা ফিরিংগি রহ: তার গবেষণায়ও তা-ই উল্লেখ
করেছে। অবশ্য আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে যে সাড়ে ৭
তোলা সোনা অথবা সাড়ে ৫২ তোলা রুপা হলে জাকাত ফরজ
হবে’ (বেহেশতি জেওর । সর্বোচ্চ মূল্য ধরে জাকাত পরিশোধ করলে ফরজ আদায় হবে, তবে সর্বনিম্ন মূল্য
ধরে জাকাত পরিশোধ করলে ফরজ আদায়ের
সাথে সাথে এহসানও করা হবে। আল্লাহ
তায়ালা এহসানকারীদের ভালো বাসেন। ব্যবসায়ের মালের
জাকাত : ব্যবসায়ের শুরু থেকে চন্দ্র বর্ষের যেকোনো সময় এক
বছর পূর্ণ হলে, আর তা যদি সোনা বা রুপার হিসেবে প্রচলিত মুদ্রায় ও মূল্যে ব্যবসায়ের মাল ও নগদ অর্থসহ নেসাব
পরিমাণ হয়, তা হলে জাকাত ফরজ হবে। তবে ব্যবসায়ের
মালের দাম বৃদ্ধি পেয়ে বছরের কোনো এক সময়
সাহেবে নেসাব বিবেচিত হলে, যে তারিখ থেকে মাল
নেসাব পরিমাণ হবে সে তারিখ থেকে এক বছরের মাথায়
যদি পরিমাণ হ্রাস না পায়, তা হলে জাকাত আদায় করতে হবে। ব্যবসায়ে অংশীদার থাকলে হিসাব
একত্রে করতে হবে, এতে সম্পদ নেসাব পরিমাণ
হলে একত্রে চুক্তি অনুযায়ী জাকাত আদায় করতে হবে,
তবে যেসব অংশীদারের পুঁজি নেসাব পরিমাণ নয়,
তাকে হিসাব থেকে বাদ দিতে হবে। আর অংশীদারদের
লভ্যাংশ থেকে সঞ্চিত অর্থ যদি নেসাব পরিমাণ হয়, যে দিন থেকে নেসাব পরিমাণ হবে সে দিন থেকে চন্দ্র বর্ষের
হিসেবে এক বছর হলে তারা আলাদাভাবে জাকাত দেবেন।
জাকাতের অংশ হবে শতকরা আড়াই ভাগ। দালান, ঘরবাড়ি ও
জমির জাকাত : দালান, ঘরবাড়ি ও জমি ব্যক্তিগত
অথবা ব্যবসায়িক ও উৎপাদন কাজে ব্যবহারে অথবা ভাড়ায়
খাটালে জাকাত দিতে হবে না। দালান, ঘরবাড়ি বিক্রির নিয়তে তৈরি করলে অথবা দালান, ঘরবাড়ি ও জমি ক্রয়,
বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে হলে তা ব্যবসায়িক পণ্য
হিসেবে ধরে নিয়ে নেসাব পরিমাণ হলে বছরান্তে অবশ্যই
জাকাত দিতে হবে। সোনা, রুপা ও নগদ অর্থের জাকাত : সোনা,
রুপা ব্যবসায়ের জন্য হোক কী ব্যবহারের অলঙ্কার হোক,
নেসাব পরিমাণ হলে তার জাকাত দিতে হবে। অর্থ বা টাকা ঘরে জমানো বা হাতে নগদ অথবা ব্যাংকে আমানত
হোক নেসাব পরিমাণ হলে জাকাত দিতে হবে। এ সব েেত্র
শতকরা আড়াই ভাগ হিসাবে জাকাত দিতে হবে। গৃহপালিত
পশুপাখির জাকাত : মাঠে ময়দানে চরে বেড়ায় এমন পশু
যা বংশবৃদ্ধি ও দুধের জন্য পালন করা হয় তা যদি নেসাব
পরিমাণ হয় তাহলে জাকাত ফরজ। কৃষিজাত ফল ফসল শাকসবজির ওশর : ওশর জাকাতের মতোই ফরজ। ওশর শব্দের
আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দশ ভাগের এক ভাগ। ওশরের
ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ হচ্ছে,
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপার্জনের উৎকৃষ্ট অংশ
আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং তার মধ্য থেকেও যা তোমাদের
আমি জমি থেকে বের করে দিয়েছি’ (সূরা বাকারা-: ২৬৭ । আল্লাহ তায়ালা আরো নির্দেশ করেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর হক
আদায় করো যেদিন তোমরা ফসল কাটবে’(সূরা আনআম: ১৪১ । ওশরের নেসাব পরিমাণ : কৃষিপণ্য ফল, ফসল, ধান, পাট, আলু,
গম, সরিষা, আম, কাঁঠাল, পেয়ারা,
শাকসবজি তরিতরকারি প্রভৃতি এগুলোর ব্যবহার যোগ্য ও
পরিমাণ পাঁচ ওয়াসাক বা ৩০ মণ হলে ওশর প্রযোজ্য হবে,
ওজন বা পরিমাণ নির্ধারণের েেত্র অনুমাননির্ভর
গ্রহণযোগ্য’ (সহিহ আল বুখারি-৮৯৬ । ব্যবহারের আগে বাগান, গাছের ফল বা জমির ফসল বিক্রি করে দিলে ফল
বা ফসল পাকলে ক্রেতার ওপর ওশর আদায়ের দায়িত্ব
বর্তাবে। কোন জমি বা গাছে বছরে ২/৩ বার ফসল বা ফল
হলে যতবার ফল বা ফসল হবে ততবার ওশর আদায় করতে হবে।
প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন যেখানে সেচের প্রয়োজন হয়
না সে েেত্র দশ ভাগের এক ভাগ আর যেখানে সেচসহ সার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় সে েেত্র বিশ ভাগের এক ভাগ
ওশর ধার্য করতে হবে। ওশর আদায়ের পূর্বে উৎপাদন খরচ
বা মজুরি ধরা যাবে না। বাগানের কাঠ, মধু এগুলোর ওশর
হবে দশ ভাগের এক ভাগ। জাকাত যারা পাওয়ার হকদার :
আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা হচ্ছে, এই সাদাকাগুলো (জাকাত হলো কেবল ফকির, মিসকিন, জাকাত আদায়কারী ও যাদের
চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস
বা বন্দী মুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর
পথে জিহাদকারীদের জন্য ও মুসাফিরের জন্যÑ এই
হলো আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত বিধান, আর আল্লাহ
তায়ালা সর্বজ্ঞ ও প্রজ্ঞাময়’ (সূরা তওবা: ৬০ । তা ছাড়া প্রচারবিমুখ ও নিজের অভাব গোপনকারী আল্লাহর
দ্বীনের দায়ি জাকাতের হকদার’(সূরা বাকারা: ২৭৩ । ‘জ্ঞানান্বেষণে নিয়োজিত মেধাবী ব্যক্তি জাকাতের
হকদার’(আল-মজমু । জাকাত কাকে কী পরিমাণ দেবো : হজরত ওমর রা: বলেছেন, ‘যখন দান করবে তখন সচ্ছল করে দিও’ (আবু
উবাইদা, আর আমওয়াল । যে যেই কাজের উপযোগী তার সে উপযোগিতা ও চাহিদা মোতাবেক জাকাত দেয়া প্রয়োজন
যাতে সে ব্যক্তি পুনরায় আর কারো কাছে তার জীবনে হাত
পাততে না হয়। প্রত্যেকেরই চাহিদা ভিন্ন ভিন্ন
সুতরাং ভিন্ন চাহিদার ভিন্ন লোকেদের ভিন্নভাবেই কর্ম
সংস্থান হোক বা অন্য কোনো পন্থায় হোক চাহিদা পূরণ করার
চেষ্টা করতে হবে, এটাই অধিকাংশ মাজহাবের ফকিদের মত, যা হজরত ওমর রা: নির্দেশ করেছেন। যাদের জাকাত
দেয়া যাবে না : (১ আব্বা-আম্মা, দাদা-দাদী, নানা- নানী ও তাদের আব্বা-আম্মা (২ ছেলেমেয়ে, নাতী- নাতনী, পৌত্র-পৌত্রী ও প্রোপৌত্র-প্রোপৌত্রী (৩ স্বামী (৪ স্ত্রী (৫ সাহেবে নেসাব বা সচ্ছল ব্যক্তি (৬ অমুসলিম ও (৭ নবী সা:-এর বংশধর। জাকাতের হিসাব : রাষ্ট্র আরোপিত কর, চুক্তির মেয়াদ
অনুযায়ী জাকাত বর্ষে পরিশোধ যোগ্য স্বল্পমেয়াদি ঋণের
টাকা ও একই বছরের হজের খরচ মোট সম্পদের হিসাব
থেকে বাদ দিয়ে জাকাতের নেসাব হিসাব করতে হবে।
দীর্ঘমেয়াদি ঋণ যদি ব্যবসায়িক বা উৎপাদন
কাজে নিয়োজিত থাকে তা হলে সে ঋণ গ্রহীতার ওপর জাকাত বর্তাবে।
©somewhere in net ltd.