![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সন্ধ্যায় লালু ভাইয়ের দোকানে চায়ে টোস্ট বিস্কুট ডুবিয়ে খাচ্ছিলাম । সাধারণত এই সময়টায় যে প্রাইভেট টিউশনি করি সেই বাসায় চা খাই। আজ ছাত্রের ছোট বোনের জন্মদিন ; আমাকেও দাওয়াত দিয়েছিল- মাসের শেষ বলে এড়িয়ে গিয়েছি। পিছন থেকে হঠাৎ কে যেন বলে উঠল -লালু ভাই , সুমন কে এক পিস কেক দেন। শুধু শুধু শুকনো বিস্কুট খাচ্ছে।
পিছনে তাকিয়ে দেখি রফিক ভাই। রফিক ভাইয়ের হাসিমুখ শেষ কবে দেখেছি বলা মুশকিল, তবে তা প্রায় সাত বছরের বেশি হবে, কম না। রফিক ভাই ছিলেন মহল্লার ছেলেপুলেদের আইডল, আদর্শ ইয়াং ম্যান । আমরা অনেকেই সে সময় রফিক ভাইয়ের হেয়ার স্টাইল নকল করতাম।
ফুচকা খাওয়া থেকে পিকনিক- কি সাকরাইনে ঘুড়ি ওড়ানো বা ফানুস কেনা বা শবেবরাতের পটকা- সব আবদারই রফিক ভাইয়ের কাছে করতাম। দরাজ দিল রফিক ভাই সব আবদারই পুরণ করতেন , সবাইকে নিয়ে মেতে থাকতেন। মহল্লার যত খেলাধুলা , ফাংশন অরগানাইজ করা- সবকিছুতেই রফিক ভাই। আমাদের ক্রিকেট টিমের স্পনসর্শিপ, ফুটবল টিমের খাওয়া-দাওয়া জার্সি-বুট; সবকিছুতেই রফিক ভাই। আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে মহল্লায় আমারা ছেলেপুলেরা রফিক ভাইয়ের নামে অজ্ঞান ছিলাম। প্রায় সাত -আট বছর আগে উনি হঠাৎ করেই কেন যেন নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। মহল্লার খেলাধূলার সেই পরিবেশটা এখন আর আগের মত সরগরম না ।
রফিক ভাই কে কোন অবস্থাতেই অসুখী লোক বলা চলে না। বাংলামোটরে চালু বনেদি ব্যবসা, মোটর পার্টসের । দুটা ৬ তলা বাড়ি মহল্লায়, একটার তিন তলায় দু ইউনিট নিয়ে ওনারা থাকেন। সুন্দরী স্ত্রী , ছেলেটাও ভালো ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে ঢুকেছে। শ্বশুর বাড়ির অবস্থাও ভালো। কোথাও কোনো গ্যাঞ্জাম থাকার কথা না , বাড়ি ভাড়া থেকেই যা আসে তা থেকে সংসার খরচ চলেও কিছু রয়ে যায়। ওনার বাবাও দরাজ দিল ছিলেন। ওনার মাও কখনো আমাদের পেছনে খরচ করায় কোনো বাধা দেননি। বাবা মারা যাওয়ার পর রফিক ভাইই ব্যবসা সামলান; কিন্তু রফিক ভাইয়ের দূরে সরে যাওয়ার কারণ ব্যবসা না, কারণটা অনেক পরে জেনেছি।
শুরুটা হলো এভাবে। বিয়ের মাস চারেক পর থেকে রফিক ভাই কেমন করে যেন ধীরে ধীরে একটু একটু সরে গেলেন। মাধুরিমা ভাবীকে আমরা অনেক আগে থেকেই চিনি (সে সময় মাধুরিমা আপা বলতাম) । উনি রফিক ভাইকে চাপ দিয়ে আমাদের থেকে দূরে সরিয়ে দেবেন এটা ভাবাটাও কঠিন। কাজেই একটা বড় সময় আমরা একটা দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলাম রফিক ভাই দূরে সরে যাবার কারণ নিয়ে। তো জবাব টা পেয়ে গেলাম রফিক ভাইয়ের বাসায় গত বছর কাজের লোক ঢোকার পর ।
রফিক ভাইয়ের মা কাজের লোক পছন্দ করতেন না । বাসার যা কাজ , এমন খুব বেশি কিছু না । তাছাড়া আমরা নিজেরাও রফিক ভাইয়ের বাসায় বহু বার গিয়ে দেখেছি -- ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে ওভেন, টোস্টার- ইলেকট্রিক অ্যাপ্লায়েন্স যা যা থাকার কথা সবই আছে। কাজেই কাজের লোকের অভাবে খুব বেশি সমস্যা হবার কথা না।
যাহোক অনেক প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল যখন রফিক ভাইয়ের মার গতবছর হঠাৎ করে হার্টের সমস্যা ধরা পড়লো। ঘরে ছোট বাচ্চা, দ্বিতীয় বাচ্চা আসার পথে। মাধুরিমা ভাবি সব সামলে উঠতে পারছিলেন না। বাধ্য হয়ে ময়নার মাকে ঠিকে কাজের লোক হিসেবে রাখতে হলো।
ময়নার মা আরো ৩-৪ বাসায় কাজ করে, এদের মধ্যে আমার সমবয়সি হারুনদের বাসাও একটা। এই বাসাগুলোর কোন বাসায় কি রান্না হলো, কে কোন দামের চাল খায়, কার কতখানি তরকারি বেঁচে গেল বা কার বাসায় দুধ পুড়ে গেলো বা কার মোজায় ফুটো আছে সবই ময়নার মার কল্যাণে জানা যায়। যাহোক ময়নার মা আর হারুনের কল্যানে রফিক ভাইয়ের সমস্যার কারণ জানা গেল।
রফিক ভাইয়ের মা রফিক ভাইকে বিয়ের জন্য অনেকদিন থেকেই বলছিলেন। রফিক ভাইয়ের কোন পছন্দ আছে কিনা জানতে চাইছিলেন। আমরা এমনিতেই জানি রফিক এর তেমন কোন ইয়ে ছিল না। তবে রফিক ভাই একদিন কথায় কথায় ওনার মাকে বলেছিলেন মাধুরীমা কে বেশ লাগে।
মাধুরিমা আপু এ পাড়ারই মেয়ে। ওনার বাবা ব্যবসায়ী, জিন্দাবাজারে অনেক বড় ক্রোকারিজের দোকান আছে। মাঝখানে একবার দেখেছিলাম ইউনিভার্সিটি থেকে ফেরার সময় রিকশায় করে ১৫-২০টা কাপ-মেডেল নিয়ে ফিরছেন। ভালো অ্যাথলেট। কাজেই রফিক ভাইয়ের সাথে মাধুরিমা আপার বিয়ে খুব সুখের হবে , এটা নিয়ে আমাদের কোনো সন্দেহ ছিল না। বিয়েতে আমরা যথেষ্ট ফুর্তি ও করেছিলাম।
সমস্যা শুরু হয়েছিল বিয়ের পর কোন এক সময় রফিক ভাইয়ের মা মাধুরী আপাকে বলেছিলেন যে ওনার ইচ্ছে ছিল ছেলের বিয়ে কোন ডাক্তারের সাথে দেবেন। এরপর থেকেই বউ-শাশুড়ির সম্পর্কের অবনতি। বাসায় আসলে রফিক ভাই দু'পক্ষেরই অভিযোগ সামলাতে যেরবার । অবশেষে রফিক ভাই দোকানে অতিরিক্ত সময় থাকা শুরু করলেন। ব্যবসার কারণে মাঝে মাঝেই বাইরে যাওয়া শুরু করলেন। যখন আমাদের সাথে কথা বলতেন মুখে হাসি থাকতো না, অবশেষে আমাদের সাথে মেলা মেশা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেলো।
এই রফিক ভাই হঠাৎ করে হাসিমুখে আমাকে আর একটা কেক দেওয়ার জন্য লালু ভাই কে বলছেন, ঘটনা মেলাতে পারছিলাম না। রফিক ভাই নিজেও লালু ভাইয়ের দোকান থেকে একটা অতিরিক্ত সর দেওয়া চা নিলেন। এটাও গত ছয়-সাত বছরে ঘটেনি। যাহোক রফিক ভাই প্রায় এক ঘন্টা ধরে আমাদের সঙ্গে আড্ডা দিয়ে ক্লাব এর খবরা খবর নিলেন। ব্যাডমিন্টন খেলার কী ব্যবস্থা জিজ্ঞাসা করে বললেন কালকেই বাল্ব এর সেট লাগানোর জন্য। পরশু থেকে রেগুলার খেলা চালু হয়ে যাবে ।
বাসায় যেয়ে ভাবছিলাম- ঘটনা কি করে কি হলো। যাহোক পরদিন দুপুরে শানে নুজুল জেনে গেলাম। ঘত দুমাস হলো ময়নার মা আমাদের বাসাতেও সকালবেলা কাপড় ধুয়ে দিয়ে যায়। ময়নার মার কাছ থেকে যা জানা গেল তাই তা এই যে হঠাৎ করে বউ শাশুড়ি খুব ভাব হয়ে গেছে। মাধুরিমা ভাবী এখন নিয়মিত প্রতিদিনই শাশুড়িকে নিয়ে শপিং এ যান, এটা সেটা কিনে দেন, জড়িয়ে ধরেন, দিনে কয়বার করে কোলাকুলি করেন। বউ শাশুড়ি এখন অনেক ভাব।
এটা ফেব্রুয়ারির শেষের দিকের কথা। এর পরের তিন সপ্তাহ আমি নিজেও দেখেছি মাধুরিমা ভাবি আর ওনার শাশুড়ি গাড়িতে করে শপিংয়ে যাচ্ছেন বা ফিরছেন। মাঝে মাঝে রিক্সায়ও দেখেছি, রফিক ভাই গাড়ি নিয়ে বাইরে থাকলে। কোলাকুলির ব্যাপারটা দেখিনি, তবে ভাবি যে শক্ত করে মাঝে মাঝেই শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরছেন তা চোখে পড়েছে।
এরপর লকডাউন শুরু হয়ে গেল । ময়নার মা বেতন নিয়ে চলে গিয়েছে। আবার মে মাসের ১ তারিখে এসে বেতন নিয়ে যাবে । শপিংমলগুলো বন্ধ। মাধুরিমা ভাবি আর শাশুড়ির সাথে শপিং-এ যেতে পারেন না। তবে মাঝে মাঝেই বারান্দা দিয়ে দেখি , বউ শাশুড়ি একসঙ্গে বেরিয়ে কাঁচাবাজারে যাচ্ছেন , আর বাজার সেরে একসঙ্গে হাত ধরাধরি করে বাসায় ফিরছেন। রফিক ভাইয়ের অনেক দিনের কষ্ট সম্ভবত দূর হয়েছে ।
বিবাহিতা মহিলাদের বলছি, আপনারা আপনাদের শাশুড়িকে নিয়মিত হাগ করুন, জড়িয়ে ধরুন, বউ শাশুড়ি এক সাথে সব্জির বাজার করুণ। তবে যে সমস্ত মহিলাদের নিজেদের হার্টের সমস্যা আছে বা ডায়াবেটিস আছে তারা এত শাশুড়ি সোহাগি না হলেও চলবে।
*মাধুরিমা নামটির কপিরাইট উম্মুক্ত করায় ইসিয়াক ভাইকে কৃতজ্ঞতা।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৫
মা.হাসান বলেছেন: আমার উনি ব্লগে আসেন না, কাজেই আমার এটা সেটা করলে ধরা পড়ার ভয় কম।
ইসিয়াক ভাই উদার লোক, সবার জন্য মাধুরিমা নামটা ব্যবহারের জন্য উম্মুক্ত করেছেন। তবে শুধু নামটাই ব্যবহার করা যাবে, এর বেশি চিন্তা করবেন না।
মাথা বেশি ঘুরালে সামনে যাকে পাবেন তার সাথে কোলাকুলি করে নেন।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৩
প্রেক্ষা বলেছেন: শিরোনামে শুধুমাত্র বিবাহিত মহিলাদের জন্য লেখা হয়েছে দেখে মনে অবৈধ ইচ্ছা জাগিয়ে উঠিলো।তাই বিবাহিত তো দূরে থাক বয়স ১৮ হইতে আরো বছর তিনেক বাকি থাকা আমি একটানে পড়ে ফেললুম।
খুবই মজাদার লিখেছেন।তা ইহা কি ক্রাইম পেট্রল এর মতো সত্য ঘটনা অবলম্বন এ লিখা???
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪০
মা.হাসান বলেছেন: আঠারোর নিচে পড়া নিষেধ- এমন পোস্টে নাকি আঠারোর কম লোকই বেশি থাকে।
ছোট বেলায় নিজে প্রত্যক্ষ করেছি- এক টিকিটে দুই সিনেমার দর্শকদের মধ্যে ইস্কুলের ছেলেরাই বেশি।
কাজেই আপনার এখানে আসা অপ্রত্যাশিত না।
ছাত্র অবস্থায় লালু ভাই নামের একজন সহৃদয় চা ওয়ালার দোকানে অনেক চা-কেক খেয়েছি, চায়ে টোস্ট ডুবিয়ে অবশ্য খাওয়া হয়নি। গল্পের সাথে বাস্তবের এটুকুই মিল।
গল্প মজাদার বলায় অনেক শুকরিয়া ।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গল্প দারুন উপভোগ্য হয়েছে।
হাসান ভাই শুভেচ্ছা জানবেন।
এমন শ্বাশুরী যেন সব ঘরে বিরাজ
করে। তা হলে তার মেয়েটাও অন্য
ঘরে সুখে থাকবে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৫
মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ নূরু ভাই।
ব্লগার মৌরি হক একটা গল্প লিখেছিলো- চৈতালী জীবন, সময় সুযোগ থাকলে পড়ে আসতে পারেন। এই বিষয়ে মহিলাদের অনেকেই একচোখা নীতি অবলম্বন করেন। শাশুড়িকে নিজের মার মতো ভালোবাসা বা পুত্র বধুকে নিজের মেয়ের আদর দেয়া গেলে সমস্যা থাকতো বলে মনে হয় না।
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনস্তত্ত্ববিদদের বউ আর শাশুড়ির সম্পর্কের ব্যাপারে গবেষণা করা উচিত।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশ-ভারতে না, পশ্চিমা দেশ গুলোতেও আছে। তবে ওখানে ছেলে-মেয়ে বড় হবার পর বাবা-মায়ের সাথে থাকে না বলে সমস্যা কম। মনস্তত্ত্ববিদরা কারণ বলতে পারে, কিন্তু এর সমাধান নাই
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই অবজেকশান, মধুরিমা নাম মোটেও সবার জন্য উন্মুক্ত না। দ্বিতীয়তঃ বুজবার পারছি না আপনি কি ইচ্ছায় না অনিচ্ছায় নামের বানান লেখছেন, যদি ইচ্ছায় লেখেন আপত্তি নাই, কারন আমার "মধুরিমা", আপনার "মাধুরিমা" এক না। কিন্তু যদি অনিচ্ছাকৃত ভুল হয় তবে এখনি ঠিক করার জোর দাবী জানাচ্ছি। এই নামটা কবি আমাকে অনেক আগে দিছে সেদিন মফিজ ভাই ভুয়ামি কইরা নিজে নিজে উন্মুক্ত করছে। তাই পোষ্টের তলায় আপনি যে দাবী করছেন তা সঠিক না, বিশ্বাস না হইলে কবিরে জিগান।
আর বাংগালী ঘরে, এক লগে বউ শ্বাশুড়ী থাকবে আর হাল্কা পাতলা হবে না, এইডাও ঠিক না। কারন এনিয়া অনেক গল্প, উপন্যাস, কাহিনী তৈরী হয়েছে। তাই এগুলা আমাদের সাংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। যদিও আমার মা আমার সাথে থাকে, আমিও চাই এমুন কিছু আমার বাসায় হোক মানে মাঝে মাঝে হাল্কা পাতলা ক্যাচাল বউ শ্বাশুড়ী, সেটা তো হয়ই না উপরন্ত বাসার দুই মহিলা এক জোট হইয়া আমার সাথে মাঝে মাঝে যা তা ব্যাবহার করে। আর আইজ পর্যন্ত কোন দিন দেখলাম না, আমার নিজের বিয়া করা বউর লগে আমার ঝগড়া লাগার পর আমার নিজের মা আমার পক্ষ নিছে। সারা জীবন পরের মাইয়ারে সাপোর্ট দিয়া গেল
আহারে রফিক ভাইর জীবনে শনির টান আইল বইলা। আগে কত ভালা ছিল!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৫
মা.হাসান বলেছেন:
ভুয়া ভাই ব্লাক লেবেল-রেড লেবেল কিছু একটা দিয়া মধুরিমারে ম্যানেজ করছে। এই লোক ট্রেডিং এক্সপার্ট।
যদিও নায়কের নাম ইসিয়াক ভাইয়ের নামে রাখছি, এর পরেও সে যদি দাবি করে এই রফিক সেই রফিক না, অন্য রফিক ক্যামনে মধুরিমার বাচ্চার বাপ হয়, এজন্য আকার লাগায়ে দিলাম।
যেই লোক ভাবে বিয়া কইরা সুখি হইবো সেই *লদের জন্য সমবেদনা নাই। ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠিরকেও নরক হয়ে স্বর্গে যেতে হয়েছে। আমাদেরও মরার পরে স্বর্গ বাসের শর্ত হিসেবে কিছু যন্ত্রনা সহ্য করা দরকার। এই জন্য বিয়ের বিধান।
আপনার মাকে ধন্যবাদ উনি সংসারে শান্তি বজায়ে রাখতে পারছেন। আপনাকে সমর্থন করলে কুরুক্ষেত্র বাধতে সময় লাগতো না। আপনি বড় জোর নিজের শালার সমর্থন পাইতে পারেন।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মা.হাসান,
আমার জন্যে এই লেখাটি পড়ায় ১৪৪ধারা জারি থাকলেও পড়লুম এই কারনে যে, আমার ঘরের বিবাহিতা স্ত্রী মহিলাটিকে শোনাবো বলে
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৭
মা.হাসান বলেছেন: ...আমার ঘরের বিবাহিতা স্ত্রী মহিলাটিকে শোনাবো বলে...
আপনি নমস্য পুরুষ, শোনাইতে পারেন। আমরা সারা জীবন শুধু শুনিয়া গেলাম।
৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: শুক্রবার থেকেই লকডাউনে যাবে ইবলিশ শয়তান। কড়া কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে তাকে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
মা.হাসান বলেছেন: আশা করি আপনার মা আপনাকে গেটে তালা মেরে আটকে রাখবে।
৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৯
দজিয়েব বলেছেন: ভালো লাগলো ভাই।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: সাহসী পুরুষ।
ধন্যবাদ ভাই।
৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৫
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন:
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯
মা.হাসান বলেছেন:
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পরিপক্ব ও পরিপাটি লেখা ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯
মা.হাসান বলেছেন: ততোধিক পরিপক্ব কমেন্ট
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৯
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চুপচাপ পড়ে গেলাম!
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০
মা.হাসান বলেছেন: সাবধানী পুরুষ।
অনেক শুভকামনা।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: প্রথমবার এসে ফিরে গেছি সাবধান বানীর জন্য
সোয়ামীরে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে আবার ফিরলাম যে এই লেখা তাইলে আমার / আমাদের জন্যই।
ভাল লেখা উপদেশ টুপদেশ ও আছে দেখছি তবেঁ আজকাল ফার্মের মুরগীর মগজ নেয়া মেয়েরা বুঝলেই হয়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
মা.হাসান বলেছেন: ...সোয়ামীরে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়ে আবার ফিরলাম...
এমন পাপিষ্ঠও জগতে আছে ইস্তিরিরা যাদের জিজ্ঞাসা করিয়া কাজ করে?
এক খানা ছবি দিয়ে, বানধাইয়া রাখমু।
... আজকাল ফার্মের মুরগীর মগজ নেয়া...
মাছকে সাতার শিখাইতে হয় না , ইহা আপনা আপনি চলিয়া আসে।
দুলাভাইয়ের জন্য অনেক শুভকামনা।
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪২
সোহানী বলেছেন: জী ঠিকাসে বুঝলাম। এবার ভাইগো নিয়া কিছু লিখেন...। সারা জীবনতো ওই এক কাসুন্দিই ঘাটলেন বউ শাশুড়ি। এবার জামাই শশুড় নিয়া কিছু বলেন..................
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
মা.হাসান বলেছেন: সারাদিন বসিয়া বসিয়া জি বাংলা আর স্টার প্লাস দেখি, কাজেই ইহার চাইতে বেশি কিই বা আমার নিকট আশা করেন।
জামাই শশুর লইয়া জি-স্টার কিছু করিবে না, করিলে মেকআপ আর্টিস্টেরা হরতাল ডাকিবে। তয় আপনারা কষ্ট করিয়া লিখিলে নিশ্চয়ই পড়মু,তয় সামনের একমাস না। সামনের একমাস গ্যাঞ্জাম একদম বন। সামনের একমাস- সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি...
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:০৮
ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্ট তো ফাটাফাটি হইছে কিন্তু পাত্রীরে তো চিনবার পারতাছি না। যা হউক সমস্যা নাইক্যা ।
"মধুরিমারে "মাধুরিমা" লিখলেন এইটাই যা কষ্ট পাইলাম। এই বানান ভুলের লাইগ্যা আপনেরে না শুনতে হয় প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশন ।
#বিড়ি চলবো নাকি? নাকি রং চা ? লাগলে দিমুনি, বইলেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭
মা.হাসান বলেছেন: নায়কের নাম রফিক রাখিয়াছি, কিন্তু এর পরেও যদি আপনি প্রশ্ন করেন - কে এই রফিক? এ ক্যামনে মধুরিমার বাচ্চার বাপ হয়? এই আশঙ্কায় একখানা আকার লাগাইয়া দিয়াছি।
প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশন হইতে গেলে তো ইস্কুল পরঝন্ত ঝাওয়া লাগে। আমারে বড় ঝোর বস্তির ফেইবুকার কইতে পারেন
আপাতত চা-বিড়ি বন। অতিরিক্ত থাকলে একখানা চটের বস্তা দিতে পারেন। সারাদিন বাড়ি থাকি, পিঠে বান্ধিয়া রাখিতাম।
১৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৩৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: বউ শাশুড়ি মধুর মিলন এবং রফিক ভাইয়ের আগের ফর্মে ফিরে যাওয়ায় গল্পে পরিপূর্ণতা পেয়েছে। মধুরিমা ভাবি এবং রফিক ভাই সুখে থাকুক, কারো বদ নজর যাতে না পরে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ কাছের মানুষ ভাই। বউ-শাশুড়ি-জামাই-শালা-শালি সবাই কাছাকাছি থাক, সুখে থাক। আপনিও ভালো থাকেন। অশেষ শুভকামনা।
১৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো দেখে গেলাম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৭
মা.হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
সতর্ক থাকবেন। বাইরে কম যাবেন।
১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মধুরিমা বা মাধুরী যেই হোন রফিকভাইয়েরা যেন খোলা মনে শ্বাস নিতে পারেন। শাশুড়ি-বৌমার ইউনিভার্সাল কাজিয়া যে বাসা মুক্ত সে বাসায় মধুরিমা মাধুরিমা হয়ে রবে চিরকাল।
বাই দা ওয়ে মাধুরিমার ফ্লু এবার কাকে ভর করে দেখা যাক। হেহেহে.....
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২৭
মা.হাসান বলেছেন: ইসিয়াক ভাই দখল ছাড়েন নাই। ভুয়া মফিজ ভাই এর সাথে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড ছিল। টঙের দোকানদার শের শায়রী ভাই এখনো খেলা শুরু করেন নাই। দেখা যাক কোথায় যায়।
১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এহহে, আমি যে পড়ে ফেললাম !!!!
চমৎকার লাগলো মা হাসান ভাই। রম্যের সাথে শিক্ষণীয় উপাদান ভালো ছিল। হাগ করা ঠিক হয় নি- করোনার কালে তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে তো। চা-দোকানের সামনেও ৬ ফুট ফারাক রাখতে হবে
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩১
মা.হাসান বলেছেন: বিবাহিতা মহিলারা মাইন্ড করিয়াছেন। দুই একজন বাদে কেহ আসেন নাই। অথবা শাশুড়ির সাথে কোলাকুলি তে ব্যস্ত আছেন।
বউ শাশুড়ি কোলাকুলি চলিতে থাকুক। শালী দুলাভাই কোলাকুলি রোজার মধ্যে বন্ধ থাক। সতর্ক থাকুন। শান্তি শান্তি।
১৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১১
মুক্তা নীল বলেছেন:
হাসান ভাই ,
খুবই মনোযোগ সহকারে পড়লাম এবং পাঠে অনেক
আনন্দিত ও পুলকিত হইলাম। এখন সোহানী আপার
সাথে আমিও একমত জামাই শশুর নিয়ে কিছু একটা লিখেন সত্যিই ভাই লেখাটা ভালো হয়েছে ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০২
মা.হাসান বলেছেন: আপু অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ব্লগে আসি মূলত গ্যাঞ্জাম করার জন্য। রোজার কারনে আপাতত কিছু দিন গ্যাঞ্জাম বন্ধ রাখিয়াছি। তাছাড়া জামাই-শশুরের গ্যাঞ্জামের বিশ্বাসযোগ্য প্লটের জন্য অনেক চিন্তা করতে হবে। মাথায় কিছু আসলে অবশ্যই লিখবো।
গেছো দাদা জামাই শশুরের সিগারেট খাওয়া নিয়ে কিছুদিন আগে দুইটা পোস্ট দিয়েছিলেন। আমার কাছে ভালো লেগেছিলো।
২০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ছোটকালে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে যারা নব্য প্রেমিক ছিল, তারা বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রেমের মহিমা প্রচার করতো (+) চিহ্নটা ব্যবহার করে। যেমন, ইসিয়াক+মধুরিমা। আপনি আর ব্যাঘ্রভাই যতোই এই (+) এর বন্ধন ভাঙ্গার চক্রান্ত করেন না কেন.....সফল হইতে পারিবেন না।
বন্যেরা যেমন বনে সুন্দর, বউ-শ্বাশড়ী তেমনি কাইজ্জা করলেই সুন্দর, স্বাভাবিক। এর অন্যথা আমার কাছে বেমানান লাগে। মনে হয় দুইজন এলিয়েন ভাব-ভালোবাসা বিনিময় করছে!!
আপনি শেষের দিকে লিখেছেন, সব্জির বাজার করুণ.......রমযানে শুনলাম সব্জির বাজার আসলেই করুণ!
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৯
মা.হাসান বলেছেন: সেকালের চ্যাংড়া-চেঙড়িরা পারদর্শি ছিলেন এমন তো না , আমিতো টেইলর সুইফকে দেখলাম ব্ল্যাংক স্পেসে গাছের বাকল কাটিয়া প্লাস চিহ্ণ দিয়া কি সব লিখিতেছে।
সকলে তো বাঁদরের মতো পাইপ বাইয়া চিঠি ডেলিভারি করিতে পারে না, বা হলের দরজায় সুন্দরী রমনী দেখিলেই স্লিপ ধরাইয়া দিতে পারে না , ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করিয়া হা হুতাস করার লোকও কিছু থাকিবে
। ইহাই স্বাভাবিক।
কাইজ্জা করা লোকদের কাইজ্জাই ভালো লাগিবে, ভাব ভালোবাসার মর্ম বুঝিলে সুমনা ভাবির এত কষ্ট থাকে না।
ভাবিয়াছিলাম বানানের ডাক্তারের হাতে ধরা পড়িলে বলিবো চক্ষু খারাপ, তাই বানান ভুল হইয়াছে। কিন্তু সম্প্রতি উপলব্ধি হইয়াছে, ইসকুল পালাইয়া যেমন রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায় না, তেমনি চক্ষু খারাপ হইলেই গেয়ানি হওয়া যায় না ।
ইসিয়াক ভাই কেবলই মধুরিমার সহিত ২য় হানিমুন শুরু (নাকি শেষ ? ) করিলেন-- মধুরিমাঃ এই আমি
২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমি কিন্তু পড়িনি
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২
মা.হাসান বলেছেন: না পড়ার জন্য ধন্যবাদ, তবে বউ-শাশুড়ির কোলাকুলির মাঝে উঁকি দেয়া কি ভালো দেখায়?
২২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৯
করুণাধারা বলেছেন: পড়লাম। গল্পের গরু গাছে ওঠে- আর বউ শাশুড়ির গলাগলি ভাব হয়!!!
আমার দুই খালাতো বোন একজন অ্যামেরিকান আর একজন চাইনিজ বিয়ে করেছে। দুজনের মত হল, যতই দেশ আলাদা হোক না কেন, "জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে, সে জাতির নাম শাশুড়ি জাতি..."
বিবাহিত পুরুষদের করনীয় কী সে সম্পর্কে একটা পোস্ট দেন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৫৬
মা.হাসান বলেছেন: মহিলাদের কোট: জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে, সে জাতির নাম শাশুড়ি জাতি...
পুরুষদের কোট: জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে, সে জাতির নাম স্ত্রী জাতি...
বিবাহিত পুরুষদের কর্তব্য- সেক্সপিয়ার (ব্লগের সেক্সপিয়ার না, বিলাতের সেক্সপিয়ার) নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বলিয়াছিলেন-- Many a good hanging prevents a bad marriage. কাজেই বউরা যখন ভাতারদের ঝুলাইয়া মারে তখন নিজের কপালের প্রশস্থতাকে সেক্সপিয়ারের কপালের সাথে তুলনা করিয়া ভাতারদের আত্মসুখ উপভোগ করা দরকার।
এখন এর বেশি গ্যাঞ্জাম না, রোজার পরে।
আমার ১২ এপ্রিলের পোস্টে আপনাকে কোন এক মন্তব্যের জবাবে স্মরণ করিয়াছিলাম
২৩| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৩৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফিনিশিং টুইস্টটা মাথার উপর দিয়ে গেল। শুধুশুধুই দুজনের ভাব হয়ে গেল?
০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৭
মা.হাসান বলেছেন: শুধু শুধু কেন হবে, শেষের লাইটায় তো কারণ বলে দেয়া আছে
২৪| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ২:৪২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
মাধুরিমা ইসিয়াক ভাইয়ের প্রেয়সী নাকি লেখকের তাতে পাঠক হিসাবে থোড়াই কেয়ার করি! নামটি কিন্তু জব্বর রুমান্টিক। এই নামটির প্রেমে পড়তে চেহারা না দেখলেও চলবে। মাধুরিমা নামটির সাথে সহনশীলতা আর মাধুর্য জড়িত। হের লাগি শ্বাশুড়ির সাথে এতো খাতির। এমন একখান খাঁটি বউমা বাঙালি শ্বাশুড়িদের দিবাস্বপ্ন হইলেও বাস্তবে ঝুটার সম্ভাবনা প্রায় শুণ্য।
লেখাটি খুব ভালো হয়েছে। প্রথম প্যারাটা জব্বর ছিল। ভালো থাকুন, প্রিয় মা. হাসান ভাই।
৩১ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১২
মা.হাসান বলেছেন: কাওসার ভাই , আপনি জিন্দা আছেন দেখিয়া দিল খুশ হইয়া গেলো।
শাশুড়ি-বউ এগুলান হলো দিল্লির লাড্ডু , না খাইয়া পস্তানোর চাইতে খাইয়া পস্তাইলেই ভালো করিবেন ।
অনেক শুভ কামনা।
২৫| ৩১ শে মে, ২০২০ রাত ২:২৫
রাকু হাসান বলেছেন:
বিশ্বাস করুন ,আমি আপনার পড়ি নাই । যেহেতু বলে দিয়েছেন শুধুমাত্র বিবাহিত মহিলাদের জন্য তাই
।মন্তব্যও দেখি নাই । আসছি কুশলাদি বিনিময় করতে । উস্তাদ তাহলে ভালো আছেন ? নড়াচড়া কম করেন নাকি ?
উস্তাদ ডাকাতে সমস্যা হলে ডাকবো না ,সমস্যা নেই ।
৩১ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৭
মা.হাসান বলেছেন: ভাবিকে পড়াইতে পারেন।
খোঁজ নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও আসা হয় কম।
আপনি কেমন আছেন?
২৬| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১২:৫১
রাকু হাসান বলেছেন:
হুম ভালো আছি ।
... সবাই ভালো থাকুক সেই কামনা ।
০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: বউ-শাশুড়ি-জামাই-শালি সকলের কল্যান হউক।
২৭| ০১ লা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৪
জুন বলেছেন: সোহানীর সাথে একমত, সারাক্ষণ শুধু বৌ শাশুড়ী ক্যান শশুর জামাই নিয়া কিছু ল্যাখেন আমাদের গেছোদাদার মত
যাই হোক লেখাটি দারুণ লাগলো
+
০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৩
মা.হাসান বলেছেন: গেছো দাদা অনন্য। অল্প জায়গায় ভালো পাঞ্চ লাইন দিয়ে উনি মাতিয়ে দিতে পারঙ্গম।
সারাক্ষণ বৌ-শাশুড়ি করিলাম কই? বউ- শাশুড়ি লইয়া আর কি পোস্ট দিয়াছি? আমার অত সাহস নাই
শশুর-জামাই লইয়া একখানা আইডিয়া মাথায় আছে, সময়-সুযোগ পাইলে লিখিবার ইচ্ছা আছে।
আপনার ভালো লাগায় আমি আনন্দিত।
২৮| ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: আপনার কাহিনী কি ভাইজান? নিজেও পোষ্ট দেন না, আবার গত কিছুদিন আমার কোন পোষ্টেও আসেন না, সজ্ঞানে কুন অন্যায় কিন্তু করি নাই, যদি কুন ভুল হয় জানবেন অজ্ঞানে সেক্ষেত্রে ক্ষমা ঘেন্না কইরা দিয়েন। আপনার অভাব বোধ করি পোষ্টে।
১২ ই জুন, ২০২০ রাত ২:১১
মা.হাসান বলেছেন: তওবা, এই সব কি কন।
ব্যস্ততার কারণে বেশ কিছু দিন তেমন ভাবে আসা হয় নি। গত তিন দিনের মতো হলও একটু আসার সুযোগ পাচ্ছি। আপনার বর্তমান পোস্টে গেছিলাম, কিন্তু আপনার প্রেমের পথে কাঁটা হতে চাই না বলে আপনার প্রেমিকার কমেন্ট পড়ে চলে এসেছি।
আপনি যখন অভয় দিলেন তখন যাবো, তয় সমস্যা হইলে কিন্তু দায় আমার না।
সোনাবীজ ভাই যা বলেছেন সত্য বলেছেন। ঐ চপ ছাড়া অন্য কোন চাপ মাথায় রাখবেন না।
২৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
ওমেরা বলেছেন: ওরে বাবা !! ছোট একটা ঘটনা বলতে এত কাহিনী বলতে হয় !! তবে ইনিয়ে - বিনিয়ে রসিয়ে - কসিয়ে এত আকর্ষন করে বলেছেন পাঠকে শেষ পর্যন্ত যেতেই হবে ।
শুধু মাত্র এই একটা কারনে আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি কারন আল্লাহ আমাকে ছেলে হিসাবে তৈরী করেনি।
বউ - শাশুড়ী দ্বন্দ্বে মাঝখানে একটা ছেলের অসহায়ত্ব কষ্ট কাছ থেকে দেখেছি ।
ধন্যবাদ ।
১৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:২৩
মা.হাসান বলেছেন: শুধু মাত্র এই একটা কারনে আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করি কারন আল্লাহ আমাকে ছেলে হিসাবে তৈরী করেনি।
শুকরিয়া ভালো গুণ, সকলের থাকে না।
ছোট গল্প, ইনিয়ে বিনিয়ে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বেলুনের মতো বড় করে বললাম, বেলুনটা না ফাটানোর জন্য ধন্যবাদ।
কষ্ট করে পড়ার জন্য আরেকটা ধন্যবাদ আপু।
৩০| ২৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'কার মোজায় ফুটো আছে' - না জানি আরো কত কিছু খেয়াল করেছে!
চায়ে টোস্ট ডুবিয়ে খাওয়ার অভ্যেসটা আমার এখনও আছে, গতকালও খেয়েছি। ছোটবেলায় আম্মার চোখে পড়ে গেলে তিনি কটমট করে তাকাতেন।
এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশ-ভারতে না, পশ্চিমা দেশ গুলোতেও আছে (৪ নং প্রতিমন্তব্য) - 'মাদার-ইন-ল' নিয়ে রচিত আমি বহু রসাত্মক ইংরেজী কবিতা পড়েছি, পুরুষ ও মহলা উভয় লিঙ্গের কবি কর্তৃক লিখিত। পড়ে ভাবতাম, ওদের দেশেও তাহলে??
"....তারা এতো শাশুড়ি-সোহাগী না হলেও চলবে" - !!!!
পোস্টে নারী ব্লগারদের মন্তব্যগুলো খেয়াল করছিলাম, দেখতে কে কিভাবে বিষয়টি নেন। না কেউই তেমন নেতিবাচকভাবে নেন নি। তাদের সবার মন্তব্যই ভাল লেগেছে, তবে বেস্ট ছিল মনিরা সুলতানা এবং ওমেরা এর মন্তব্য।
৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪৬
মা.হাসান বলেছেন: 'মাদার-ইন-ল' নিয়ে রচিত আমি বহু রসাত্মক ইংরেজী কবিতা পড়েছি, পুরুষ ও মহলা উভয় লিঙ্গের কবি কর্তৃক লিখিত। পড়ে ভাবতাম, ওদের দেশেও তাহলে??
আমার অবশ্য কবিতা পড়া হয় নি। তবে জোকসের জন্য একটা আলাদা ডিভিশন ই আছে- ইন ল দের নিয়ে। উভয় লিঙ্গের সাফারিঙের কথাই পাওয়া যায়।
কেউই তেমন নেতিবাচকভাবে নেন নি।
সত্য, কেউই সে রকম রিঅ্যাকশন দেখান নি। তবে হয়তো মনে মনে আফসোস করেছেন, তাদের দিন থাকতে থাকতে সময় মতো করোনা কেন আসে নি।
"....তারা এতো শাশুড়ি-সোহাগী না হলেও চলবে"
একে বারে পাঞ্চ লাইনে হাত দিয়েছেন, ঐ একটা লাইনের জন্যই তো পুরো গল্পটা লেখা ।
খুটিয়ে পড়ার জন্য, লাইকের জন্য এবং এত সুন্দর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এটা কি হলো? ইসিয়াক ভায়ের মধুরিমাকে নিয়ে আগে মফিজ ভাই এবার আপনি পড়লেন। আমার তো মাথা ঘুরাইতেছে।