![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাঝে মাঝে ভাবি সত্যিই এমন যদি হত, আমি পাখির মতো উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ.....
বেচে থাকার জন্য কিছু মৌলিক অধিকার আছে।বাংলাদেশে সেই অধিকারগুলো হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা।যার প্রোত্যেকটি অধিকারকেই আমাদের কিনে নিতে হয়।সবাই সব অধিকার কিনতে পারে না।কারো কারো কিনতে হয় নিম্নমানের দ্রব্য বা সেবা।কারন সমাজে সবার সমান অর্থ-বিত্ত থাকে না।এই অর্থ-বিত্ত সমাজকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে।ভাগগুলো হল-
১।উচ্চবিত্ত
২।মধ্যবিত্ত এবং
৩।নিম্নবিত্ত
এদের মধ্যে সবচেয়ে করুণ অবস্থা মধ্যবিত্তদের........না, আমি মধ্যবিত্তদের নিয়ে ত্যানা প্যাচাইতে আসি নাই।আপনারা অনেক লেখা পড়ছেন মধ্যবিত্তদের কষ্ট নিয়া।আজকে এমন একটা শ্রেণীর কথা বলবো যাদেরকে আলাদা একটা শ্রেণী হিসেবে ধরাই হয় না।তারা হল নিম্ন মধ্যবিত্ত।যাদেরকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বলেই ধরে নেয় সবাই।কিন্তু বাস্তবতা খুবই কঠিন।মধ্যবিত্তরা কোথাও স্থান না পেলেও কবি সাহিত্যিকদের সৃষ্টিতে স্থান পায়।তাদের গল্পের নায়ক মধ্যবিত্তরাই হয়।তাদের সুখ দুঃখের কাব্য রচিত হয়।কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্তরা পর্দার আড়ালেই থেকে যায়।তাদের সুখ দুঃখের কথা কেউ বলে না।
যখন একটা মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে আদিকালের ভাঙ্গারী কম্পিউটারটা নিয়ে ফেসবুকে তার দুঃখের গল্প লিখে তখন নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলেটা প্লান করে কিভাবে টাকা জমানো যায়।কারন বন্ধুর ল্যাপটপ দেখে তারও সখ হয় নিজের ল্যাপটপ চালাতে।
মধ্যবিত্ত ছেলেটা যখন আত্মসম্মান বিসর্জনের ভয়ে কারো কাছে হাত পাতে না তখন নিম্নবিত্ত ছেলেটা বাবার অসহায় মুখের দিকে তাকিয়ে বাবার অনুরোধে বাবার মামাতো বা খালাতো ভাইয়ের সামান্য অনুদান হাত পেতে নেয়।মধ্যবিত্ত ছেলেটা কষ্ট করে হলেও তার আত্মসম্মান টিকিয়ে রাখে কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলেটা রাতের অন্ধকারে বালিশ ভেজায় আত্মসম্মান হারানোর অপমানে।
মধ্যবিত্ত ছেলেটার বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে বাবার পেনশনের টাকা তলানিতে এসে যায় আর নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলেটার বোনের বিয়ের জন্য বাবা তার পেনশনের টাকার পাশাপাশি তার ভাই-বোনদের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার পর্যন্ত করে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের মা যখন প্রাগৈতিহাসিক ফ্রীজটা গন্ধ করে বলে আফসুস করে তখন নিম্ন মধ্যবিত্ত পিতা স্বপ্ন দেখে ফ্রীজ কেনার।
মধ্যবিত্ত পরিবার যখন সন্ধ্যায় একসাথে সিরিয়াল দেখতে বসে তখন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার বিটিভি দেখতে দেখতে পরের মাসে ডিশ লাইন নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
মধ্যবিত্ত ছেলেটা যখন একটা মধ্যবিত্ত বাইক নিয়ে অফিসে যায় তখন নিম্ন মধ্যবিত্ত ছেলেটা Phonix সাইকেলে প্যাডাল মারতে থাকে।
এই হচ্ছে নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাহিনি।এখানে শুধুমাত্র মধ্যবিত্তদের সাথে তাদের বিভাজনটা দেখালাম।উচ্চবিত্তদের কথা নাহয় বাদই দিলাম।এরকম আরো অনেক বিষয় আছে যার সাথে অবিরত সংগ্রাম করছে নিম্ন মধ্যবিত্তরা।কিন্তু তাদের কেউ দেখে না,তাদের কথা কেউ লেখে না, তাদের কথা কেউ পড়েও না......
২| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১:৪১
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: তাদের দেখে, তাদের কথা লিখে, তাদের কথা পড়ে যান্ত্রিক মানুষদের কী লাভ!!!তাঁরা এভাবেই স্বপ্ন দেখে দেখে সংগ্রাম করে যেতে যেতে একদিন এই পৃথিবী ত্যাগ করে
৩| ৩০ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:০৪
মিডেল ক্লাস বলেছেন: সঠিক জানা নেই বলে দুঃখিত।কিছু দেশে মে বি রিক্রিয়েশনও মৌলিক অধিকার।আপননার জানা থাকলে আমাকে জানাবেন দয়া করে @চাঁদগাজী ভাই
৪| ৩০ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:০৭
মিডেল ক্লাস বলেছেন: হুম।এইটাই ঘটে থাকে।তাদের সংগ্রাম আমৃত্যু চলতে থাকে। @ রুদ্র জাহেদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১২:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
"বেচে থাকার জন্য কিছু মৌলিক অধিকার আছে।বাংলাদেশে সেই অধিকারগুলো হচ্ছে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও শিক্ষা। "
-এই অধিকারগুলো শুধু বাংলাদেশে?