ইসলামী ব্যাংক এবং আমাদের করণীয়।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩২

ইসলামী ব্যাংক নিয়ে কানাঘুষা নতুন না হলেও সম্প্রতি ফেসবুক সহ নানা মিডিয়ায় এটা নতুন মাত্রা পেয়েছে, কেউ কেউ ইসলামী ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার অথবা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি তুলেছেন! ইসলামী ব্যাংক বন্ধ বা সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি ভাবাবেগে আক্রান্ত এবং বাস্তবতা বিবর্জিত! !

প্রথমত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে প্রতিষ্ঠিত একটি আইনানুগ প্রতিষ্ঠান যাকে আইন লঙ্ঘন না করা পর্যন্ত বন্ধ তো দুরের কথা কোন শাস্তিই দেয়া যায় না, তাই ইসলামী ব্যাংক কোন অন্যায় করলেও তার শাস্তি অন্যায় ভাবেও দেয়া যায় না, কোন শাস্তি দিতে চাইলে দিতে হবে তা আইনানুগ পদ্ধতিতে যেমনটি করা হয়েছে/হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে। ইসলামী ব্যাংক এর বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ জঙ্গি তৎপরতায় অর্থায়নের কিন্তু এ ধরণের অপরাধের বিচারের সুনির্দিষ্ট আইনী কাঠামো আছে যার ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটাই আইনসিদ্ধ।

দ্বিতীয়ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে একাই। তাই এটা বন্ধ করা একদিকে যেমন অর্থনৈতিক ভাবে ঝুঁকি পূর্ণ অপরদিকে ইসলামী ব্যাংকের বিশাল সংখ্যক গ্রাহকদের ধাক্কা সামলানো এই মুহূর্তে অন্যান্য সকল ব্যাংক মিলেও সম্ভব নয়! আর সরকারের সক্ষমতার প্রশ্ন নয়, আমরা এখন গ্লোবাল ভিলেজে বাস করি তাই গায়ের জোরে এর নিয়ন্ত্রণ নিলে এর মিলিয়ন মিলিয়ন গ্রাহকের বিলিয়ন বিলিয়ন টাকার ঝুঁকি বাড়বে আর আয়ু কমবে গ্রাহকদের।

তাই যে কোন ব্যাংক বন্ধের দাবি জটিলতা জনিত কারণে বর্জনীয় হলেও এর সহজ সরল এনার্জি এফিসিয়েন্ট গ্রীন সমাধান দিতে পারে গ্রাহকেরা ঐ ব্যাংক 'বর্জন' করে!

তবে বিভিন্ন সরকারি বা সরকারের অনুষ্ঠানে পৃষ্ঠ পোষকতা নেয়া ইসলামী ব্যাংক এর প্রফিট মিনিমাইজেন এর জন্য সাময়িক কৌশল হিসেবে কার্যকরী ও অর্থকরী হলেও অতি ব্যবহারে জনগণের চোখের ক্ষতি আর আখেরে তার দায় পরে ঐ গ্রাহকদের পকেটের উপরই।

০ টি +০/-০