| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর ফ্যানের সাথে বাঁধা ওড়নাটা খোলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় নীহারিকা। এখন সে যাবে দোকানে। ওড়না বাঁধার কারণ জানতে হলে আমাদেরকে তাকাতে হবে পিছনে, প্রায় দুই বছর পিছনে, যেদিন সিয়ামের সাথে তাঁর প্রথম পরিচয় হয়।
চোখে চশমা, মুখে খোচা খোচা দাড়ি, সুঠাম দেহের অধিকারি সিয়ামকে দেখে সবাই এক কথায় বলবে, অসম্ভব ভালো একটি ছেলে। এক গাদা গোলাপের বিনিময়ে যেদিন তাকে সারাজীবনের জন্য চাইলো, না করতে পারেনি নীহারিকা। প্রতিদিনই দেখা হতো তাদের। প্রতিদিন রান্না করে নিয়ে ক্যাম্পাসের বড় গাছটার নিচে দেখা করতো নীহারিকা। গাছের ছায়াতলে তারা কতকাল হারিয়ে গিয়েছিলে ভবিষ্যতের সংসারে!
একবার সিয়াম বাইক এক্সিডেন্ট করে গুরুতর আহত হয়ে মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলো। নীহারিকা সেবার সারাক্ষণ তার সেবায় নিয়োজিত ছিলো। চিকিৎসার খরচ যোগাতে মায়ের শেষ চিহ্ন কানের দুল গুলো বিক্রি করতে হয়েছিলো সেবার।
সিয়ামের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে বাবার চোখ ফাকি দিয়ে সিয়ামকে রুমেও এনেছে বহুবার। উষ্ণ চুম্বন, আলিঙ্গন, কোন কিছুরই কমতি ছিলো না তার ভালোবাসায়। কখনো পাপবোধ জাগ্রত হয়নি তার।
সিয়াম। এই নামটা শুনলেই এখন তার গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। অবিরাম বিষাদ এসে ভর করে তার উপর। কারণ, সিয়াম আসলে তাকে ভালোবাসেনি, খেলেছে তার শরীর নিয়ে। মাস দু’য়েক আগে সে জানতে পারে আরো ডজন খানেক মেয়ের সাথে তার এমন সম্পর্ক চালু আছে। প্রমান স্বরূপ কিছু ছবিও আছে তার হুয়াটসঅ্যাপে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি তার বেস্টফ্রেন্ট লিরাও।
সিদ্ধান্ত নেয়, আত্মহত্যা সে করবে না। আজকেই সে তার রুমে ডাকে সিয়ামকে। এখন সে দোকানে যাচ্ছে চাকু কিনতে, ফল কাটার চাকু। তবে, ফল কাটবে না, খুনও করবে না সে। কেটে ফেলবে তার পুরুষত্বের জোর।
দুপুরের দিকে নীহারিকার রুমে ঢুকে সিয়াম। উষ্ণ চুম্বনে বরণ করে নেয় সে। বন্ধ ঘর থেকে একটু পর একটা চিৎকার ভেসে আসে, “খানকির পোলা জোরে দে।“
©somewhere in net ltd.