আসুন আগে নিজে বদলাই

২৯ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

 পৃথিবীতে বুদ্ধিবৃত্তি সম্পন্ন চিন্তাশীল স্বাধীন সত্তা হিসেবে যেদিন থেকে মানুষের যাত্রা শুরু সেদিন থেকেই যুক্তির চিন্তার সূত্রপাত ।
মানব মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল চিন্তন।আসুন সত্যেপোনীত হতে আমরা সুস্থ ও সঠিক চিন্তা করি।আমাদের লজিক যেন আমাদেরকে পরস্পরবিচ্ছিন্ন না করে দেয়।যে যুক্তি,যে চিন্তা,যে মুভমেন্ট আমাদেরকে একে অপরের শত্রু বানায় সেটা কখনো আমাদের জন্য সুফলদায়ক নয়, বেদনাদায়ক।
------------------------------------------------------------------- চিন্তা হচ্ছে মানুষের একটি বুদ্ধিমূলক প্রক্রিয়া। বুদ্ধিবৃত্তি মানুষের পশুবৃত্তিকে নিবৃত্ত করে। মানুষ চাইলে সে তার পশুবৃত্তিকে দমন করতে পারে।এর জন্যে প্রয়োজন সুস্থ চিন্তাচর্চা।স্বেচ্ছাচার মানুষকে পশুর পর্যায়ে নামিয়ে দেয়। আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা বা কর্তব্য হলো প্রতিটি মানুষের সুস্থ মানসিক বিকাশ সাধনে পরস্পরকে সহযোগীতা করা।কিন্তু সমস্যা হলো,আমাদের সমাজে এই মনোভাবের বড় অভাব। কোমলতা, মমতা, আদর সোহাগ পেলে আমাদের হৃদয় আনন্দে উচ্ছাসে ভরে ওঠে, যা আমাদের মানসিক বিকাশের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। পক্ষান্তরে নিষ্ঠুরতা, অবহেলা ও সহিংসতাপূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা আমাদের মধ্যে মানসিক জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। ক্রমান্বয়ে আমাদের মানবিক গুণাবলী আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং পাশবিক চিন্তাধারা সক্রিয় হয়ে ওঠে। একদিন বড় হয়ে মানব সমাজের জন্য বিপজ্জনক ও ধ্বংসাত্মক উপাদানে পরিণত হই।
------------------------------------------------------------------- মানসিক শূন্যতায় ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ি। শূন্যতা ঘোচানোর জন্য একসময় অসৎ, ভবঘুরে বন্ধুদের সাহচর্য খুঁজে নেই। অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায়, এরাই একদিন আমাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে এই বোধবুদ্ধিটুকু পর্যন্ত লোপ পেয়ে যায়। এই ব্যাধি শুধু গৃহহীন আশ্রয়হীন টোকাই বোকাইদের বেলায় নয়,ধনীর দুলালরাও  বখাটেবনে যান।অর্থাভাবের কারনে এমন হয়? না।বরং আমাদের পরিবার ও সমাজের উদাসীনতাই আমাদের এই অধঃপতনের মূল কারণ।
------------------------------------------------------------------- আমি এই সমাজের একজন হওয়ায় বহুমুখী দায়িত্ব আমার উপরও বর্তায়।আমি চোখ বন্ধ করে হাত গুটিয়ে থাকতে পারিনা।দায়ীত্বপালনে অবহেলা করতে পারিনা। যথাযথভাবে আপন কর্তব্য পালনে যদি যত্নশীল হই,তাহলে কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হতে পারবো।তাই আসেন কাউকে দায়ী করার আগে নিজের দিকে তাকাই।নিজের ভুলগুলো আগে শুধরে নেই।নিজের মধ্যে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়ের বোধোদয় সূচিত করি।

০ টি +০/-০