নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলহাজ্ব আব্দুল কাদেরের করুণাময়

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৪

মরণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণেরই এই দুর্দিনেও সাতষট্টি বছরের বৃদ্ধ আলহাজ্ব আব্দুল কাদের এক ওয়াক্ত নামাজ কাজা করেন না, এমনকি বাসায়ও তিনি নামাজ পড়েন না, রোজ পাঁচবার মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। তার ধারণা বাসায় নামাজ পড়ার চেয়ে মসজিদে গিয়ে জামায়াতে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়লে পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালা বেশি খুশি হন এবং সোয়াব বেশি হয়! তার পুরো পরিবার; অর্থাৎ স্ত্রী, দুই ছেলে আর তাদের স্ত্রী এবং পাঁচ নাতি-নাতনীর সকলেই ধর্মান্ধ, আল্লাহ’র প্রতি তাদের অগাধ বিশ্বাস। তা সত্ত্বেও জুম্মা নামাজের আগে ড্রয়িংরুমে বসা আব্দুল কাদেরের উদ্দেশে তার বড় ছেলের বউ সুলতানা বলেন, ‘আব্বা, বয়স্ক মানুষগো করোনা ভাইরাস হইলে বিপদের আশঙ্কা বেশি থাকে। তার ওপর আপনার তো আবার ডায়াবেটিস আর অ্যাজমা আছে, আপনি মসজিদে নামাজ পড়তে যাইয়েন না, বাসায়ই নামাজ পড়েন।’

যেন সাত আসমানের ওপর থেকে ভূপাতিত হয়েছেন, এমন অবাক হয়ে আব্দুল কাদের সুলতানার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘তুমি দেখি নাস্তিক আর কাফেরগো মত কথা কইতাচো বৌমা! জানো না, ইসলামে ছোঁয়াচ রোগ বলে কিছু নাই! আমি মাদ্রাসায় পড়ছি, আমি ইসলাম সম্পর্কে অনেকের চেয়ে বেশি জানি। হুনো, সহি বোখারী শরীফে আছে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কইচেন-“ছোঁয়াচ রোগ বলে কিছু নাই।” একবার এক বেদুঈন নবীজিকে কইচিলেন- “এ ব্যাপারে আপনার কি মত যে, হরিণের ন্যায় সুস্থ উট প্রান্তরে থাকে। পরে কোনো চর্মরোগগ্রস্ত উট এদের সাথে মিশে সবগুলোকে চর্মরোগে আক্রান্ত করতে পারে।” তহন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কইচিলেন- “তা যদি হয় তবে প্রথমটিকে কে রোগাক্রান্ত করেচিল?” তাইলে এইবার তুমি আমারে কও যে, করোনা ভাইরাস যদি ছোঁয়াচ রোগ অয়, তাইলে প্রথম মানুষটার করোনা অইলো ক্যামনে?’

শ্বশুরের মুখে হাদিসের উদ্বৃতি শুনে সুলতানা আর কিছু না বলে বরং মনে মনে আল্লাহ’র কাছে ক্ষমা চায় শ্বশুরকে বাড়িতে নামাজ পড়তে বলার অপরাধে! আব্দুল কাদেরের বিপরীত দিকের সোফায় বসা তার ছোটছেলে ইমরান, যে মাত্রই কিছুদিন আগে পদার্থ বিজ্ঞানে মাস্টার্স পাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, সে বলে, ‘আব্বারে হুদাই ডর দ্যাহায়েন না তো ভাবী। করোনা ভাইরাস ছোঁয়াচ না! ইউটিউবে দেকচি, বুজুর্গ মাওলানারা কইচেন যে করোনা ভাইরাস ছোঁয়াচ না। মুফতি আমির হামজা আল্লাহ’র নামে কসম কইরা কইচেন যে করোনা ভাইরাস আমাগো দ্যাশে আইবো না। যদি আসে কোরান শরীফ মিথ্যা অইয়া যাইব। ওনারা তো আর না জাইনা এমনি এমনি এসব কথা কন নাই নাই। তাছাড়া আব্বা নিজেও ফাজিল পাস, আব্বা সব জানেন।’

গর্বিত পিতার চোখে ছেলের দিকে তাকান আব্দুল কাদের, ছেলে তার অজ্ঞান নয়, ছেলের ইসলামের প্রতি অগাধ বিশ্বাস আছে আর বুজুর্গ মাওলানারা কী বলেন সে বিষয়েও খোঁজখবর রাখে দেখে তার চোখে প্রায় জল এসে যায়! আব্দুল কাদের মনে মনে ভাবেন, আহা, পোলা আমার হীরের টুকরো! মাশাল্লাহ, দুইডা পোলাই দ্বীনের পথে আছে। এমন পোলা থাকলে দুনিয়ায় বাঁইচা থাকনের যে কী সুখ! নামাজ পড়তে পড়তে এই বয়সেই কপালে দাগ ফ্যালাইয়া দিচে! মনে মনে বলেন- দোয়া করি বাজান, দিলে এমন ইমান লইয়া বাঁইচা থাকো।
তারপর বৌমার উদ্দেশে বলেন, ‘হুনো বৌমা, করোনা অইতাচে পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালার তরফ থেইকা চীনের মাইনষের প্রতি গজব! চীনারা কাফের, এই কাফেররা উইঘুরের মুসলমানগো উপর অমানুষিক নির্যাতন করচে। হের লাইগাই পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালার’র গোস্বা অইচে, তিনি গজব হিসেবে চীনাদের উপর করোনা ভাইরাস নাজিল করেচেন! আলহামদুলিল্লাহ!’

বাপের দেখাদেখি ইমরানও বলে, ‘আলহামদুলিল্লাহ! ঠিকই কইচেন আব্বা!’

তারপর স্ত্রীর উদ্দেশে হাঁক ছাড়েন, ‘কইগো…আমার জায়নামাজটা দাও। এর পরে গেলে মসজিদের ভিতরে জায়গা পামু না, রাস্তায় খাড়াইতে অইবো।’

স্ত্রী ফাতেমা বেগম সবুজ রঙের জায়নামাজখানা নিয়ে এসে স্বামীর হাতে দেন, ইমরানও নিজের ঘরে গিয়ে জায়নামাজ নিয়ে আসে, আব্দুল কাদেরের বড়ছেলে ইরফান তার ঘর থেকে বের হয় জায়নামাজ হাতে, তারপর বাপ এবং দুইছেলে জুম্মার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়।

দিন যায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ চীনের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে ইতালি, ফ্রান্স, আমেরিকা, স্পেন, ইরান, কানাডা, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু আবদুল কাদেরের তখনো দৃঢ় বিশ্বাস যে নবীজি যেহেতু বলেছেন ছোঁয়াচ রোগ বলে কিছু নেই, তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ স্পর্শজনিত কারণে হচ্ছে না, আল্লাহ কাফেরদের শরীরে এই ভাইরাস ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। এই ভাইরাস চোখে দেখা যায় না, অদৃশ্য। বদরযুদ্ধে আল্লাহ’র পাঠানো অদৃশ্য ফেরেশতারা যেমনি নবীর পক্ষে যুদ্ধ করে কুরাইশদের পরাজিত করেছিলেন, তেমনি আল্লাহ প্রেরিত এই অদৃশ্য করোনা ভাইরাস কাফেরদের হত্যা করছে! আর ইরানের মুসলমানদের করোনা ভাইরাস হচ্ছে এজন্য যে তারাও অর্ধেক কাফের, অর্থাৎ শিয়া; সুন্নি মুসলমানদের কখনোই করোনা হতে পারে না। এমনটাই ধারণা আব্দুল কাদেরের। শিয়া, কুর্দি কিংবা আহমদিয়াদের তিনি সহি মুসলমান হিসেবে গণ্য করেন না।

তারপর যখন বাংলাদেশে ফিরে আসা কিছু সুন্নী মুসলমান প্রবাসীর এবং তাদের মাধ্যমে স্থানীয় কিছু মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে, তখন আব্দুল কাদের এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এরা সুন্নী হলেও সহি ইসলামের পথে ছিল না, আর স্পর্শজনিত কারণে এদের করোনা হয়নি, আল্লাহ এদের ওপর গজব হিসেবে করোনা নাজিল করেছেন! এরা নিশ্চয় বেলেল্লাপনা করেছে, সিনেমা-টিভিতে নাচ-গান দেখেছে, হালাল পথে রোজগার করেনি; তাই এদের শরীরে করোনা ভাইরাস দিয়েছেন পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালা। সহি ইসলামের পথে থাকলে, আল্লাহ এবং আল্লাহ’র রসুলের প্রতি বিশ্বাস থাকলে তার করোনা হতে পারে না! এই বিশ্বাস নিয়েই আব্দুল কাদের মসজদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া অব্যাহত রাখেন। টেলিভিশনে কিংবা খবরের কাগজে ভাইরোলজী বিষেজ্ঞগণ মানুষকে সতর্ক করে বারবার জানিয়েছেন যে মানুষকে ঘরে থাকতে হবে, মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে, মসজিদে বা মন্দিরে যাওয়া যাবে না, ঘরেই নামাজ পড়তে হবে বা প্রার্থনা করতে হবে।

কিন্তু কে শোনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের কথা! আরো লক্ষ লক্ষ মানুষের মত আব্দুল কাদেরও মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া অব্যাহত রাখেন। বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশান তাতে আরো ইন্দন যোগায় এই ঘোষণা দিয়ে যে মুসজিদে নামাজ অব্যাহত থাকবে, তবে নামাজ হবে সংক্ষিপ্ত। তারপর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে, মানুষ মারা যেতে থাকলে, অবস্থা বেগতিক দেখে সরকারের পক্ষ থেকে ধর্ম মন্ত্রণালয় ঘোষণা করে যে ওয়াক্তের নামাজ একসঙ্গে পাঁচজন আর জুম্মার নামাজ দশজনের বেশি পড়তে পারবেন না।

এই ঘোষণার পরও নবীজির ভাষ্য অনুযায়ী করোনা ছোঁয়াচে রোগ নয়, এই বিশ্বাসে অটুট থেকে সেদিনও মাগরিব এর নামাজ পড়তে মসজিদে যান আব্দুল কাদের। আর নামাজে দাঁড়িয়েই তিনি হাঁচি দিতে শুরু করেন, তার হাঁচি দেওয়া দেখে অন্যরা নামাজের মধ্যেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন, কেউ কেউ জায়নামাজ নিয়ে দূরে সরে যায়। তিনি মুখে হাত দিয়ে কোনোরকমে হাঁচি চাপার চেষ্টা করেন। মসজিদ থেকে বাসায় আসেন ক্ষণে ক্ষণে হাঁচি দিতে দিতে, আর যতবার হাঁচি দেন ততবার হাঁচি শেষে বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ!’

গত কয়েকদিন ধরেই আব্দুল কাদের খুঁক খুঁক করে কাশছিলেন, এবার শুরু হলো হাঁচি। রাত সাড়ে নয়টার দিকে শোবার পর আব্দুল কাদেরের শরীরের সাথে স্ত্রী ফাতেমার শরীরের স্পর্শ লাগতেই ফাতেমা বলেন, ‘তোমার গাওখানা গরম লাগতাচে, জ্বর আইলোনি?’
আব্দুল কাদের বলেন, ‘হ গাও খান এট্টু গরম। কেমন যেন লাগতাচে।’

তার শ্বাস নিতেও যে কষ্ট হচ্ছে, এই ব্যাপারটা গোপন রাখেন আব্দুল কাদের, তিনি ভাবেন তার অ্যাজমার কারনে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
ভোরবেলা তিনবার পাতলা পায়খানা হয় আব্দুল কাদেরের। সকালবেলা তার শরীরের বৃত্তান্ত শুনে বড়ছেলে ইরফান বলে, ‘আব্বারে এট্টু হাসপাতালে নেওয়া লাগবো, টেস্ট কইরা দ্যাখতে অইবো।’

আব্দুল কাদের ছেলের কথা উড়িয়ে দ্যান, ‘ধুর, আল্লাহ’র ওপর আমার বিশ্বাস আছে। আমার অইসব করোনা-ফরোনা অইবো না। এট্টু জ্বর-জারি অইয়াই থাকে।’

তারপরও আব্দুল কাদেরের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যায় দুই ছেলে, ডাক্তার দেখিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সন্ধ্যায় জানা যায়, আব্দুল কাদেরের শরীরে রয়েছে করোনা ভাইরাস। তাকে তখনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসোরেশনে নিয়ে যায়। রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় আইসিউইতে। পরম করুণাময়ের ওপর অগাধ বিশ্বাস রেখে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে তার জীবন করোনাময় হয়ে যায়। তার পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালা তাকে করুণা করেননি!

শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি জানার পর থেকেই মনোকষ্টে প্রায় বাকরুদ্ধ আব্দুল কাদের। তিনি কেবল আত্মপ্রশ্নে জর্জরিত হচ্ছেন আর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন যে তার কেন করোনা ভাইরাস হলো? হাদিসে আছে করোনা ছোঁয়াচ রোগ নয়, হাদিসকে তো তিনি অবিশ্বাস করেননি কখনো। তবে কি পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালা তার ওপর গজব নাজিল করলেন? কিন্তু কোন অপরাধে? তিনি তো কখনো বেলেল্লাপনা করেননি, পরনারীর সঙ্গে ব্যাভিচার করেননি, কখনো নাটক-সিনেমা দ্যাখেননি, জ্ঞানত মিথ্যা কথা বলেননি, কাউকে ঠকাননি, সৎভাবে ব্যবসা করে হালাল রোজগার করেছেন, হালাল রোজকারের টাকায় দুই ছেলে আর দুই মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। তাহলে আল্লাহ কেন তাকে গজব দেবেন? তবে কি টেলিভিশনে ডাক্তাররা যা বলেছে তাই ঠিক, করোনা কি আসলেই ছোঁয়াচ রোগ? তিনি তো মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া ছাড়া আর কোথাও যাননি। তবে কি মসজিদ থেকেই তার শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েছে? করোনা ভাইরাস যদি ছোঁয়াচ রোগ হয়, তাহলে তো হাদিস মিথ্যে হয়ে যায়, নবীজির কথা মিথ্যে হয়ে যায়!

আব্দুল কাদেরকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়, তবু যেন তিনি শ্বাস নিজে পারেন না, তার দম আটকে আসতে চায়। তিনি মনে মনে বলেন, হায় আল্লাহ, দুনিয়ায় এত বাতাস, অথচ আমার বুকে এট্টু বাতাস নিতে পারতাচি না! দুনিয়াটা কেমন ঝাপসা ঝাপসা লাগে আব্দুল কাদেরে কাছে, তার কেবলই মনে হয় হাদিস কি মিথ্যে? নবীজির কথা কি মিথ্যে? তবে কি নাস্তিকগো কথাই সত্য যে পরম করুণাময় আল্লাহ-তায়ালা বলে কেউ নেই? বিশ্বাসভঙ্গে আব্দুল কাদেরের দু-চোখের কোনা দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে নামে, দুনিয়াটা কেমন ঝাপসা হয়ে আসে!


ঢাকা,
এপ্রিল, ২০২০












মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিশু মিলন,





ধর্ম নয়, ধর্মান্ধতাই যতো গোমরাহীর কারন। সে কারনেই হাদীস দিয়ে পবিত্র কোরানকে জাষ্টিফায়েড করার লোকের অভাব নেই এই অশিক্ষিতদের দেশে। এ যেন নোটবই দিয়ে টেক্সষ্ট বইয়ের মান নির্ণয়। এটাই চলছে এখন এদেশে। এদের নিয়ে আসলেই সৃষ্টিকর্তা পড়েছেন বিপাকে!

চরম বাস্তবতার পোষ্ট এবং ভয়ঙ্কর।

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: আব্দুল কাদের হচ্ছে উন্নত শ্রেণীর বলদ । এবং এই বলদ শ্রেনীর অভাব নাই এই দেশে !

কি ভয়ংকর এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে !! উপরওয়ালা এই সমস্ত বলদদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করুন !

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৭

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

সোনালি কাবিন বলেছেন: দারুণ হয়েছে

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৭

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:২৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ লেখা

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১০

মিশু মিলন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.