নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মিশু মিলন

মিশু মিলন

আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।

মিশু মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোধূলিবাড়ি (উপন্যাস: পর্ব- আঠারো)

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫২

ষোলো

সেদিন ছিল কার্তিক মাসের এক বিকেল। সূর্য ডোবার অনেক আগে থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করেছিল। দূরের গ্রামগুলো ক্রমশ ঝাপসা হয়ে আসছিল। শীত পড়তে শুরু করেছিল। আমি আর আলপনা বসে ছিলাম বেঞ্চে। দু-জনের পিঠে পড়েছিল কার্তিকের শেষ বিকেলের মায়ারোদ। আলপনা যখন ডানদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলছিলেন, তখন ওর ডান গালে খেলা করছিল রোদ। কানের কাছের এক গোছা সাদা চুল তখন চকচক করছিল। আলপনার সোয়েটার বোনা শেষ হলে কাঁচি দিয়ে সুতা কেটে সোয়েটারটা নিজের মুখের সামনে মেলে ধরলেন। শেষ বিকেলের রোদে খয়েরি রঙের সোয়েটারটা দারুণ দেখাচ্ছিল!

‘কেমন হয়েছে?’ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন আলপনা।
বললাম, ‘দারুণ! আপনার এই সোয়েটার বুনন শিল্পের একটা পর্ব তৈরি করতে হবে ইউটিউবের জন্য।’
আলপনা হাসলেন। আমি আবার বললাম, ‘আপনি আসন সেলাই করতে পারেন?’
‘পারি একটু-আধটু।’
‘ভেরি গুড। আমি ইয়াসিন ভাইকে বলব আপনার সোয়েটার বোনা আর আসন সেলাইয়ের ভিডিও ধারণ করতে।’
‘এসব কেউ দেখবে?’
‘কেন দেখবে না? ইউটিউবাররা কত সিলি বিষয় নিয়ে ভিডিও তৈরি করছে, সে-সব মানুষ দেখছেও। যদিও এসব শিল্পের প্রতি আমাদের দেশের মানুষের আগ্রহ কম, তবু কিছু মানুষ তো দেখবে। তাছাড়া কত ভিউ হলো কিংবা মোটেও হলো না, তাতে শিল্পের কিছু আসে যায় না। ভিডিওগুলো আমাদের চ্যানেলে সংরক্ষিত থাকবে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেখবে। এখন তো আসন সেলাই, সোয়েটার বোনা এসব শিল্প প্রায় উঠেই যাচ্ছে। এই শিল্প যদি একেবারে বিলুপ্ত হয়েও যায়, তাহলেও একটা সময় যে এসব শিল্প ছিল, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তা জানতে পারবে ইউটিউব দেখে।’

‘এটা পরুন।’ হঠাৎ আমার দিকে সোয়েটারটা বাড়িয়ে দিলেন আলপনা।
‘আমি!’
‘আর তো কেউ নেই এখানে। আপনার গায়ে লাগলে আমার মেজো ছেলের গায়েও লাগবে। দেখি মাপটা ঠিক হলো কি না।’
‘মায়ের চোখ বলে কথা। আপনার ছেলের গায়ে ঠিক লেগে যাবে। গায়ে দিতে হবে না।’
‘তবুও একটু দিন না গায়ে। ছোট-বড় হলে আমি এখনই ঠিক করে দেব। একবার পাঠিয়ে দিলে তো আর ঠিক করতে পারবো না।’

অগত্যা আমাকে পরতেই হলো। আমার গায়ে একদম ফিট। দেখি আলপনা আমার দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে আছেন।

‘বললাম না, মায়ের চোখ বলে কথা! একদম ফিট।’
আমি সোয়েটারটা খুলতে যাব, অমনি আলপনা যেন আঁৎকে উঠে বললেন, ‘খুলবেন না!’

আমি খানিকটা চমকে তার মুখের দিকে তাকালাম। বুঝলাম মুহূর্তের জন্য তিনি কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলেন।

পর মুহূর্তেই আলপনা যেন খানিকটা লজ্জা পেলেন। বললেন, ‘স্যরি।..... আসলে সোয়েটারটা আপনার গায়ে দারুণ মানিয়েছে। এখন তো শীত পড়তে শুরু করেছে। এটা আপনিই পরবেন। ছেলেকে আমি আরেকটা সোয়েটার বানিয়ে দেব।’

আমি থ হয়ে আলপনার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম, চোখ ফেরাতে পারলাম না। বুঝলাম, ছেলের কথাটা অজুহাত। আলপনা আসলে আমার জন্যই বানিয়েছেন সোয়েটারটা। এর আগে বুননের সময় আমার গায়ের মাপও নিয়েছেন দু-তিন দিন। বলেছিলেন, ‘আমার মেজো ছেলের স্বাস্থ্য আপনার মতোই। আপনার মাপে বানালেই ওর হবে।’

আলপনার সন্তানরা এতদিনে একবারের জন্যও তাকে দেখতে আসেনি, তিনিও যাননি সন্তানদের কাছে। তিনি জানেন যে সন্তানরা তার তৈরি এসব সোয়েটার পরবে না। তাই তিনি সোয়েটার বুনে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের উপহার দেন। এর আগে বেণুদিকে একটা হলুদ রঙের সোয়েটার উপহার দিয়েছেন।

আমি কতক্ষণ আলপনার মুখের দিকে তাকিয়েছিলাম জানি না। হঠাৎ অনুভব করলাম আমার চোখ দুটো জলে ভরে উঠেছে। কেন চোখ ভিজবে না, বলুন? জাহানার সঙ্গে দু-বছরের সম্পর্ক বাদ দিলে যে মানুষ প্রায় সারাজীবন চৈত্রের দ্বিপ্রহরের খরতাপে পুড়েছে, এই বার্ধক্যে এসে সেই মানুষ কার্তিকের কুয়াশা মাখা বিকেলের মোলায়েম মায়ারোদে কোনো নারীর কাছ থেকে এমন উপহার পেলে আবেগাপ্লুত হবে না! কান্না না এসে কি পারে! স্ত্রীর কাছ থেকে তো জীবনে কোনোদিন এমন উপহার পাইনি!

দেখলাম, আমার জল ছলছল চোখ দেখে আলপনার চোখও ভিজে উঠেছে। কিন্তু তিনি দ্রুত চোখের জল লুকিয়ে স্বাভাবিক হয়ে বললেন, ‘কী ছেলে মানুষি করছেন বলুন তো! প্লিজ, আমাকে অপরাধী করবেন না।’

এর পরের কয়েকটা দিনের বেশিরভাগ সময় আমি সোয়েটারটা গায়ে পরে রইলাম। মনে হলো আমাকে কেবল উষ্ণতা-ই দিচ্ছে না সোয়েটারটা, কী যেন এক মায়ায় জড়িয়ে রেখেছে আমাকে! অনেক বছর বাদে আমার মনে হলো আমি যেন জাহানারাকে ফিরে পেয়েছি, মাঝখানে অনেকগুলো বছর আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, ঘুম ভাঙতেই দুজন দুজনকে পেয়েছি, আমার বয়স বেড়েছে, জাহানারাও!

সত্যিই জাহানারার সঙ্গে আশ্চর্য মিল আলপনার! দুজনেই সুশিক্ষিত। শুধু শিক্ষা তো অনেকেরই থাকে, কিন্তু সংস্কৃতি থাকে ক’জনের মধ্যে? সংস্কৃতি হলো যে-কোনো জাতির শিকড়, সেই শিকড় নিজের মননে প্রোথিত করতে পারে কেবল উন্নত চিন্তার মানুষেরাই। জাহানারা আর আলপনার মধ্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতি দুই-ই দেখতে পেয়েছি আমি। দুজনই উদার মনের, সংস্কারমুক্ত। তাই জাহানারার সঙ্গে কথা বলে আমি যে সুখ পেতাম, আলপনার সঙ্গে কথা বলেও সেই সুখ অনুরণিত হতে থাকে আমার মধ্যে। জাহানারার মতোই আলপনার সঙ্গেও আমি নানা বিষয় নিয়ে আলাপ করতে পারি, আলাপ এমন জমে যায় যে আমাদের কারোর-ই সময়জ্ঞান থাকে না। মনে হয় বেঞ্চে বসে গল্প করা বিকেলগুলো বড্ড তাড়াতারি সন্ধে হয়ে যায়!

আমাদের বন্ধুত্ব এতটাই গভীর হয় যে এক পর্যায়ে দু-জন দু-জনের একান্ত ব্যক্তিগত কথাও একে অন্যকে বলতে থাকি। একদিন আমি আলপনাকে বললাম, ‘আপনি অল্প বয়সে বিধবা হয়েছিলেন। তারপর বাকি জীবন একা না কাটিয়ে আবার সংসার করার কথা ভাবতে পারতেন।’

আলপনা বললেন, ‘তখন আমি তিন সন্তানের মা। কেই-বা আমাকে বিয়ে করত! তাছাড়া আমি যে সমাজে বাস করতাম, সেই সমাজ আমাকে মেনে নিত না। ছিঃ ছিঃ করত। অনেক লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করতে হতো। আমি পুরুষ হলে অবশ্য সমাজ মেনে নিতো, পুরুষের পাঁচটা বিয়েও সমাজ মেনে নেয়!’
‘তা ঠিকই বলেছেন।’
‘বিয়ে করিনি, তাতেই লোকে আমাকে কত কথা বলত! আমার বরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান চুকে যাবার কয়েকদিন পরই আমি সাদা থান ছেড়ে রঙিন শাড়ি পরতে শুরু করি। আমার ইচ্ছে করেনি সাদা থান পরতে, কোনো পুরুষের মৃত্যু হলে তার স্ত্রীকে কেন সাদা থান পরতে হবে, কেন সে সাজগোঁজ করতে পারবে না! আমি মেনে নিতে পারিনি এসব। আমি রঙিন শাড়ি পরেছি, কপালে টিপ পরেছি, হাতে চুড়িও পরেছি। এমনকি পায়ে আলতাও পরেছি। আমার শাশুড়ি তখনও জীবিত ছিলেন। তিনি আমাকে বিধবার বেশে থাকতে বললে আমি অস্বীকার করেছিলাম, যাচ্ছেতাই ব্যবহার করেছিলেন আমার সঙ্গে। তবু আমি তার কথা মেনে নিইনি। একারণে তিনি আমার সঙ্গে কথা বলতেন না, আমার ছায়াও মাড়াতেন না। আমার দেবর, জা, আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশি, সবাই আমাকে ছিঃ ছিঃ করত! তারা বলাবলি করত- আমি নাকি পুরুষদের মন ভোলানোর জন্য এসব পরি! শাঁখা আমার খুব প্রিয় জানেন, শাঁখা পরতে খুব পছন্দ করতাম আমি। নানা ধরনের শাঁখা কিনতাম। বর মারা যাবার পর হাতের শাঁখজোড়া ভেঙে দিলেও ঘরে বেশ কয়েকজোড়া শাঁখা ছিল। শাঁখা পরলে হয়ত আরও কুতসিৎ কথা বলবে, এই চিন্তা করে আমি প্রকাশ্যে শাঁখা পরিনি। কিন্তু ঘরের মধ্যে মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য হাতে শাঁখা পরতাম। প্রকাশ্যে শাঁখা পরতে না পারা আমার সারা জীবনের আফসোস হয়ে আছে। শাঁখার মতো এমন নান্দনিক অলঙ্কার কেন শুধু সধবারাই পরবে! অলঙ্কারের তো কোনো ধর্ম হয় না, সংস্কার থাকে না, অলঙ্কার সবার, যার খুশি সে পরবে।’

আলপনার কথা আমাকে মুগ্ধ করল, একজন মানুষ সংস্কারমুক্ত ও মুক্তচিন্তার হলেই কেবল এমনভাবে ভাবতে পারে। বললাম, ‘তবু আপনি সেই সময়ে সমাজের কিছু শৃঙ্খল ছিঁড়ে সামনে এগিয়েছেন। নারীরা আপনার মতো সাহসী হয়ে উঠলেই সমাজের নারীবিরোধী সকল শৃঙ্খল ছিঁড়ে ফেলা সম্ভব।’
‘নিশ্চয় সম্ভব। হয়ত আরও সময় লাগবে। কিন্তু পরিবর্তন আসবেই।’
‘যদি কিছু মনে না করেন, একটা কথা বলবো?’
‘নিশ্চয়, বলুন।’
‘আপনার বর মারা যাবার পর আপনার জীবনে কখনো ভালোবাসা আসেনি? কিংবা কাউকে ভালোবাসাতে ইচ্ছে করেনি?’
আলপনা একটু চুপ করে রইলেন, তারপর হাসলেন, এরপর বললেন, ‘হ্যাঁ, ভালোবাসা এসেছিল, ভালো বেসেওছিলাম।’

আর কিছু জিজ্ঞেস করা উচিত নয় ভেবে আমি চুপ করে রইলাম। আলপনাও কী এক ভাবনায় ডুব দিলেন, তারপর মুখ খুললেন, ‘আমার বরের সহকারী ছিল অনল পোদ্দার নামের একটা ছেলে, সদ্য ল পাস করে আমার বরের সহকারী হয়েছিল। মামলা সংক্রান্ত কাজে প্রায়ই আসত বাসায়, সেই সূত্রেই আলাপ। বেশ সুন্দর ছিল দেখতে, দারুণ গুছিয়ে কথা বলত। বয়সে আমার চেয়ে বেশ কয়েক বছরের ছোট ছিল। তারপর হঠাৎ করেই আমার বর মারা গেলেন। তিন ছেলেমেয়ে তখন ছোট, আরেকটা পেটে। সংসারের রানিং ইনকাম বন্ধ হয়ে গেল, বরের রেখে যাওয়া টাকায় সন্তানদের নিয়ে কতদিন চলতে পারবো, তাই আমি চাকরির চেষ্টা করতে লাগলাম। অনল মাঝে মাঝে বাসায় আসত আমাদের খোঁজ-খবর নিতে। আমি চাকরি করতে চাই শুনে সে তার এক ক্লায়েন্টকে অনুরোধ করে আমার স্কুলের চাকরিটা পাইয়ে দিয়েছিল। তার বাসায় আসা-যাওয়ার মাঝেই আমাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে বলেছিল যে, সে কোনোদিন বিয়ে করবে না, সারাজীবন আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবারের চাপে এই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেনি। আমিও চাইনি যে আমার জন্য তার জীবনটা অন্যরকম হোক। সে বিয়ে করল। বিয়ের পরও আমার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি সেটা চাইনি, আমি চাইনি যে আমার জন্য তার দাম্পত্যজীবনে কোনো ঝামেলা হোক। আমি সম্পর্ক থেকে সরে এসেছিলাম। যেহেতু একই শহরে থাকতাম, তাই পথে-ঘাটে দেখা হতো কখনো কখনো, কথাও হতো। সে-ই বলেছিল যে সে দাম্পত্যজীবনে সুখী হতে পারেনি। স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত। হঠাৎ হঠাৎ আমার সঙ্গে দেখা হলে সে কেবল তার অসুখী দাম্পত্য জীবনের কথাই আমাকে বলত। বলত যে সে বিয়ে করে ভুল করেছে, আমার সঙ্গে সম্পর্কেই সুখী ছিল। আমার খারাপ লাগত শুনে, ওকে যে আমি কেবল ভালোবাসতাম তাই-ই নয়, বয়সে ছোট হওয়ায় স্নেহও করতাম। সে নিজেও আমার কাছে নির্ভার আশ্রয় খুঁজে পেত। তারপর অনেকদিন আর ওর সঙ্গে দেখা হয়নি, প্রায় বছর খানেক হবে। একদিন বাজার করতে গিয়ে অ্যাডভোকেট ইমরানের সঙ্গে দেখা, তিনিও একসময় আমার বরের সহকর্মী ছিলেন। তার কাছ থেকেই জানতে পারি যে দাম্পত্য কলহজনিত কারণে অনল আত্মহত্যা করেছে!’

শুনে চুপ করে রইলাম, আলপনাও নীরবে তাকিয়ে রইলেন পুকুরের ওপাড়ে, অথবা শূন্যে। তার চোখে ও মুখাবয়বে আমি তখনও অনল পোদ্দার নামের ছেলেটির প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহ দেখতে পেলাম।

আমিও অন্য একদিন আমার গোপন ভালোবাসার কথা বলেছিলাম আলপনাকে, জাহানারার কথা। ফুলার রোডে জাহানারার সঙ্গে কিভাবে আমার দেখা হলো, কিভাবে আমি ওর ছবি আঁকার মডেল হলাম, আমাকে নিয়ে জাহানারার সেইসব পাগলামী আর ভালোবাসার প্রস্তাব দেওয়ার কথা বললাম আলপনাকে।

শুনে আলপনা বললেন, ‘জাহানারা এখন কোথায়?’

তখন সন্ধে, একটা চাতক ডেকে ডেকে হয়রান হয়ে আমাদের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল, সেও কি তার ভালোবাসার সঙ্গীকে হারিয়ে খুঁজে ফিরছিল!



(চলবে.......)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আলপনা, হাজানারা কিন্তু তপতী হারিয়ে গেলেন!!!!

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:২৩

মিশু মিলন বলেছেন: সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.