| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিশু মিলন
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
কয়েকদিন আগে প্রায় সন্ধ্যাবেলা ভাত খেতে ঢুকেছি নড়াইলের পুরান বাসস্ট্যান্ডের নিউ সোনার গাঁও রেস্টুরেন্টে। সেখানে দু-জন বৃহন্নলা কাজ করেন। ম্যানেজারের মুখে সুন্নতি দাড়ি, তারপরও সেখানে দুজন বৃহন্নলা কাজ পেয়েছেন, ব্যাপারটা আমার বেশ ভালো লাগলো। বছর পঁচিশের এক তরুণ ওয়েটার আমাকে খাবার পরিবেশন করল। একজন বৃহন্নলা হাত ধুচ্ছিলেন বেসিনে, ওয়েটারটি এক কিশোর সহকর্মীকে ইশারা করে বৃহন্নলাকে দেখিয়ে হাতে তালি দিয়ে বিশ্রিভাবে বলল, ‘এই কতি, এই, এই!’
তারপর কুৎসিতভঅবে হাসল। বৃহন্নলা মুখ ফিরিয়ে একবার তাকালো ওয়েটারের দিকে। তারপর আবার মুখ ধুতে লাগল। তার সেই চাহনিতে সুখকর কিছু দেখতে পাইনি আমি, বরং দেখতে পেয়েছি অসহায়ত্ব।
খাওয়া শেষ করে কাউন্টারে বিল দেবার সময় ম্যানেজারকে বললাম, ‘আপনার এখানে দু-জন বৃহন্নলাকে কাজ দিয়েছেন, এটা খুবই ভালো কাজ করেছেন। যে বৃহন্নলারা কাজ করতে চান, প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তাদের কাজ দেওয়া। কিছুক্ষণ আগে আপনার একজন কর্মী একজন বৃহন্নলার সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করেছে। আমি নাম বলব না কে করেছে, আপনি শুধু আপনার কর্মীদের ডেকে একটু সচেতন করে দিয়েন, যাতে ওনাদের দু-জনের সাথে কেউ খারাপ আচরণ না করে। তারা একে-অন্যের সহকর্মী, সহকর্মীদের কাছে এরা সম্মান না পেলে, সহকর্মীরা এভাবে অপমান করলে, এরা কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, রাস্তায় গিয়ে চাঁদা তুলবে, অপরাধমুলক কাজ করবে।’
তিনি আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। কিছুটা বিব্রতও বোধ করলেন। বললেন, ‘কে বলেছে?’
‘নাম বলব না, তাহলে আপনি বকা দেবেন, আপনি শুধু অবসর সময়ে সব কর্মীকে ডেকে এই বিষয়ে একটু সচেতন করে দিয়েন, যাতে তারা আর এমন আচরণ না করে।’
বিল দিয়ে রেস্টুরেন্টের বাইরে চলে আসলাম। জলের বোতলটা নিতে ভুলে গিয়েছিলাম, আবার ঢুকলাম রেস্টুরেন্টে, দেখলাম ম্যানেজার একজনকে ডেকে জিজ্ঞেস করছেন যে কে এমন আচরণ করেছে। আমি জলের বোতল নিয়ে বেরিয়ে এলাম।
এই ওয়েটার ছেলেটির শিক্ষা নেই, তার মধ্যে সংস্কৃতি বলতে কিছুই নেই! সে ছোট থেকেই দেখেছে যে তার সমাজের অনেক মানুষ বৃহন্নলাদের সঙ্গে এমন আচরণ করে, সে-ও সেটাই করেছে তার সহকর্মীর সঙ্গে। ওকে কেউ এই বিষয়ে সচেতন করলে, হয়ত নিজের ভুল শুধরে নেবে। এই জন্যই নাম বলিনি।
কিন্তু আলতাফ শাহনেওয়াজ? তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা একজন শিক্ষিত মানুষ, একজন কবি। একজন কবি কখনও কোনো নারীকে বলতে পারেন, ‘যার ব্রেস্ট এমন ভচকানো, তাঁর বাংলা তো ভচকানো হবেই’?
তার মানে তিনি নারীকে সর্বদা বাজে দৃষ্টিতে দেখতে অভ্যস্ত, তিনি দৃষ্টি দিয়ে নারীকে ধর্ষণ করেন! কী দুর্দশা আমাদের, একজন কবির আচরণ রাস্তায় বেড়ে ওঠা ধর্ষক মজনুর মতো!
তিনি একজন নারীর শরীর নিয়ে নোংরা কথা বলেছেন, এর মাধ্যমে তিনি তার চেহারা নিয়ে কথা বলার অধিকারও দিয়েছেন। আমি মোটেও সুপুরুষ নই, মানুষের চেহারা নিয়ে কথাও বলি না। কিন্তু আজ বলব। খানাখন্দে ভরা আলতাফ শাহনেওয়াজের ভচকানো চেহারা দেখলে কী মনে হয়? তাকে দেখলে মনে হয় একজন নেশাগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, আমশয়গ্রস্ত অমানুষ। নেশা করে দিনভর পার্কে, ফুটপাতে, ফুটওভার ব্রিজে যারা ঘুমায় আর রাতের বেলায় ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে, পথনারীদের শরীরে হাত দেয়, ধর্ষণ করে; ঠিক তাদের মতো মনে হয়!
বলিহারি বাপু সেই নারীর রুচিকে, যিনি কিনা আলতাফ শাহনেওয়াজের মতো এইরকম ভচকানো চেহারার একটা অমানুষকে বিয়ে করেছেন! চেহারার দিকে তাকালেই তো গা গুলায়! মানুষ কালো হতে পারে, সুদর্শন নাও হতে পারে, কিন্তু চেহারায় একটুও লাবণ্যতা-মায়ার ছাপ থাকবে না? দীর্ঘকাল অসততার চর্চার ছাপ তার চেহারায় স্পষ্ট! সমাজের কথিত সুদর্শন নয়, এমন মানুষও তার মনের মাধুর্য দিয়ে সুপুরুষ হয়ে উঠতে পারে। শুনেছি আলতাফ শাহনেওয়াজ ফ্ল্যাট আর অনেক টাকার মালিক হয়েছেন। আমাদের দেশে কবিতা লিখে বা সাহিত্য সম্পাদনা করে এটা সম্ভব! নাকি তিনি খুব বিত্তবান ঘরের সন্তান? আমাশয়গ্রস্ত চেহারা তো তা বলে না!
হঠাৎ যতই অর্থ-সম্পদের মালিক হোক, চিন্তা-চেতনার দিক থেকে আলতাফ শাহনেওয়াজ দরিদ্র, ধর্ষক মজনু শ্রেণির!
আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে স্বর্ণময়ী বিশ্বাস আত্মহত্যা করেছেন, আসলে আলতাফ শাহনেওয়াজ তাকে হত্যা করেছেন। কিন্তু বিচার চাইব কার কাছে?
অক্টোবর, ২০২৫
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৭
মিশু মিলন বলেছেন: হ্যাঁ, নিউজ দেখলাম।
২|
২৩ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল
৩|
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: একজন কবির লেখার স্বাধীনতা আছে।
একজন কবি যদি দারুন উপমা দিতে পারেন, মন্দও উপমাও দিতে পারেন।
এটা নিয়ে এত হাউকাউ কেন?
কবি আল মাহমুদও তো নারীদের নিয়ে রসালো কবিতা লিখেছেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫
মিশু মিলন বলেছেন: একজন কবির অবশ্যই লেখার স্বাধীনতা আছে, উপমা দেবার স্বাধীনতা আছে। সেটা তার কবিতায়, লেখায়। তিনি কোনো নারীকে সরাসরি তার শরীর নিয়ে কথা বলতে পারেন না, বোধ করি সেই স্বাধীনতা কোনো নারী-ই পুরুষদের দেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:৫৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জাবির টিচার হতে চলেছেন তিনি ।
।