| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিশু মিলন
আমি বর্তমানে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগে লিখি। আমার সকল লেখা আমি এই দুটি ব্লগেই সংরক্ষণ করে রাখতে চাই। এই দুটি ব্লগের বাইরে অনলাইন পোর্টাল, লিটল ম্যাগাজিন এবং অন্য দু-একটি ব্লগে কিছু লেখা প্রকাশিত হলেও পরবর্তীতে কিছু কিছু লেখা আমি আবার সম্পাদনা করেছি। ফলে ইস্টিশন এবং সামহোয়্যার ইন ব্লগের লেখাই আমার চূড়ান্ত সম্পাদিত লেখা। এই দুটি ব্লগের বাইরে অন্যসব লেখা আমি প্রত্যাহার করছি। মিশু মিলন ঢাকা। ৯ এপ্রিল, ২০১৯।
লিখছিলাম, লেখার বিরতিতে ফেইসবুকে ঢুকে এই ছবিটা দেখে একা একাই হাসলাম, ব্যাপক বিনোদিত হলাম! বিনোদিত হবার কারণ সামনের সারিতে সর্বডানে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, সেই ফয়েজ জহির ভাই, আরণ্যকের বড় ভাই। ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে সারাদেশে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে লালবদর জঙ্গিরা। এই সময়ে তারা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর যেমনি ভেঙেছে; তেমনি ভাঙচুর করেছে অসংখ্য মাজার, বাউল আখড়া, প্রায় দুই হাজার ভাস্কর্য। অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র ভেঙেছে। মাজারপন্থী ও বাউলদের মারধর করেছে। কয়েকজনকে মেরেও ফেলেছে। এইসব ভাঙচুরের মাঝেই অক্টোবরের প্রথমদিকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগে পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন ফয়েজ জহির। তার যোগদানের পরেও অনেক মাজার ও বাউল আখড়ায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর এবং বাউল-মাজারপন্থীদের মারধর করেছে জঙ্গিরা। তিনি কখনো-ই কোনো প্রতিবাদ করেননি, জিহাদী জঙ্গিরা সারাদেশে এত তাণ্ডব চালানোর পরও তার বিবেক জাগ্রত হয়নি, তিনি নীরবে শিল্পকলার চাকরি করেছেন। এই বছর সেপ্টেম্বর মাসে শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ থেকে ফয়েজ জহিরকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছে। কয়েক মাস ঘাপটি মেরে থাকার পর এখন হঠাৎ তার ঘুমন্ত বিবেক জাগ্রত হয়েছে! সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তিনি রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন পোস্টার হাতে! তার হাতের পোস্টারে কী লেখা? সম্ভবত লেখা- ‘শিল্পীদের কণ্ঠ থামানো যায় না।’
ওরেরররররর বাবাবাবাবাবাবা…….বিরাটটটটট বিপ্লবী! দেড় বছর ঘুমানোর পর হঠাৎ তার বিপ্লবী চেতনা, প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জানান দিতে শুরু করেছে- ‘আমি আছি, মরি নাই!’
আপনি আমার কাছে মৃত জহির ভাই, আমার মতো আরও অনেকের কাছেই আপনি মৃত! আপনার পোস্টারে লেখা ‘শিল্পীদের কণ্ঠ থামানো যায় না।’ অথচ আপনি নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক থাকা অবস্থায় শিল্পকলায় প্রাঙ্গণেমোর নাট্যদলকে হল বরাদ্দ দেননি। আপনি শিল্পীদের কণ্ঠরোধ করেছেন। প্রাঙ্গণেমোরের নাটকে আপনাদের সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কথা নেই, অথচ আপনি তাদের নাটক করতে দেননি। হয়ত দলের কারো ব্যক্তিগত রাজনৈতিক বিশ্বাসের কারণে। আর আজ আপনি আসছেন শিল্পীদের পাঁশে দাঁড়াতে, শিল্পীর জাত খুঁইয়ে এখন আসছেন জাতে উঠতে! নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ থেকে যদি আপনাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় না করত, তাহলে আপনি এখনও ওই চাকরিটা করতেন, গাঞ্জুটোকাই ফাসেকীর পোঁদ চাঁটতেন, আজও রাস্তায় এসে দাঁড়াতেন না। ওরা আপনাকে ব্যবহার করে পোঁদ মুছে টিস্যুর মতো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে, এখন আপনি অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন, আপনার পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই আপনি এখন আপনার ৫ আগস্টের পূর্বের সত্তা বাঁচানোর জন্য বন্ধু-বান্ধুবের সঙ্গে ভিড়ে মিশে যেতে চাইছেন। যেন মাঝের এক বছরে আপনি ভাজা মাছটিও উল্টে খাননি!
আপনি শিল্পী নন জহির ভাই, আপনি নাট্যকর্মী নন, আপনি ধুরন্ধর, আপনি সুবিধাবাদী, নাট্যকর্মীদের লজ্জা! আমার কানে বাজছে হীরা ভাইয়ের লেখা ময়ূর সিংহাসন নাটকে সম্রাট শাহজাহানের বেশে মামুন ভাইয়ের সেই সংলাপ, ‘আওরঙ্গজেব…..বিশ্বাসঘাতক…..!’
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ-ই আসলে ফয়েজ জহির! ডাইনে তাকাই- ফয়েজ জহির, বাঁয়ে তাকাই-ফয়েজ জহির, রাজপথে- ফয়েজ জহির।
হায়, কাতারে কাতারে ফয়েজ জহিরদের দেশে জন্ম আমার!
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জুলাই আপরাইজিং এ যারা ছিলো সবাইকে গণহারে লালবদর জংগী tag দেয়ায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই ।