নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মিথুন হাসান

মোঃ মিথুন হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোটা পদ্ধতি নিয়ে কিছু কথা

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

কিছুদিন ধরে অনলাইনে এক নতুন জাতের মেধাবীর আবির্ভাব হয়েছে। এরা ভীষণ মেধাবী। এই মেধাবীদের মেধা জমা করে রাখার কোন যায়গা নেই। মগজে এদের মেধা জমা করে রাখা যায় না। এদের শরীরের প্রতিটি ছিদ্রপথ দিয়ে পুঁজের মত মেধা বেয়ে বেয়ে পরে। সেই উপচে পরা মেধা দিয়ে এদের নাক, কান, মুখ, চোখ বন্ধ হয়ে যায়। অতিরিক্ত মেধার জন্য এরা নিঃশ্বাস নিতে পারে না, কানে শুনতে পারে না, কথা বলতেও পারে না, চোখেও দেখে না।

কিন্তু মেধাবীগুলো সেই মেধাকে কোন কাজেই লাগাতে পারে না। এরা কোনরকম কয়েকটি সার্টিফিকেট যোগাড় করে উঠে পরতে চায় এভারেস্টের চূড়ায়। এরা ভেবেই নেয় সরকার তথা রাষ্ট্র এদের পছন্দমত চাকুরী দিতে বাধ্য।

কিন্তু যখন এরা মঠে-ঘাটে-রাস্তায়-অফিসে-দোকানে নানান যায়গায় চাকুরীর ইন্টারভিউ দিয়েও চাকুরী পায় না তখন তারা নানান বাহানা খুজতে থাকে – কিভাবে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকা যায়।

বংশানুক্রমে এরা ভীরু আর কাপুরুষ হয়। তাই এরা নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে কোন শক্তিশালী প্রতিপক্ষের দিকে আঙ্গুল তুলতে সাহস পায় না। ব্যর্থতা ঢাকতে এরা প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নেয় কোন অসহায় মুক্তিযোদ্ধা বা কোন আদিবাসী বা কোন নারীকে। এই মেধাবীগুলো মঠে-ঘাটে-রাস্তায়-অফিসে-দোকানে সবজায়গায় বলে বেড়ায়, ‘আমাদের চাকুরীটা হোল না শুধু সেই মুক্তিযোদ্ধার ছেলেটি বা আদিবাসীটি বা মেয়েটির জন্য’। এরা কখনও নিজের অযোগ্যতার কথা স্বীকার করবে না।

এই মেধাবীগুলো এদের পূর্বপুরুষদের মতই ভীতু আর কাপুরুষ। মুক্তিযোদ্ধারা যখন বীরের মতন যুদ্ধ করছিল তখন এই মেধাবীদের পূর্বপুরুষেরা কুনো ব্যাঙের মতন মাচার নিচে লুকিয়ে থেকে অপেক্ষা করছিল আষাঢ় মাসের জন্য।

পূর্বপুরুষদের মতই ভীতু আর কাপুরুষ হবার কারণের মেধাবীগুলো কখনো ওই পেটমোটা দুর্নীতিবাজটির দিকে আঙ্গুল তুলতে সাহস পায়নি যে কিনা ঘুষের বিনিময়ে একজন অযোগ্যকে চাকুরী দিয়ে দিয়েছে, আঙ্গুল তুলেনি সেই লোকটির দিকে যে কিনা স্বজনপ্রীতির কারণে এক মূর্খকে অফিসার বানিয়ে দিয়েছে।

এই ভীতু মেধাবীরা পারে শুধু সেই কর্ম অক্ষম মুক্তিযোদ্ধাটির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে যার ছেলেটি চাকুরীর বেতন পেয়ে বাবার ওষুধ কিনে দেয়, এরা টিটকারী করে সেই আদিবাসীটির দিকে আঙ্গুল তুলে যে কিনা চাকুরীর বেতন পেয়ে এলাকার ভাঙ্গা রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য টাকা পাঁঠিয়ে দেয় আর মুখ বাকা করে সেই নারীটির দিকে তাকিয়ে যে কিনা বেতন পেয়ে ছোট ভাইয়ের স্কুলের ফি জমা দেয়।

সবশেষে একটা কথা মনে করিয়ে দেই, শাহবাগে দাড়িয়ে এই স্লোগানটি কিন্তু কোন জামাত-শিবির বা রাজাকারে দেয় নি, দিয়েছে এই স্বঘোষিত মেধাবীরাই - ‘ মুক্তিযোদ্ধাদের গালে, জুতা মার তালে তালে!!!’









রিজওয়ানুল মিথুন

২৩/০৮/২০১৪

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২১

প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন:

২| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: আমেরিকায়
দাসপ্রথা বিলোপকারী প্রেসিডেন্ট
আব্রাহাম লিংকনের কাছে একবার এক
নারী এসে বলেছিলেন, ‘মি.
প্রেসিডেন্ট, আপনার উচিত আমার
ছেলেকে সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত
অফিসার করে কর্নেল পদে নিয়োগ
প্রদান করা। কেননা, আমার
দাদা লেক্সিংটনে যুদ্ধ করেছেন, আমার
চাচা একমাত্র
ব্যক্তি যিনি ব্লাডেন্সবার্গে যুদ্ধের
ময়দান থেকে পালিয়ে যাননি, ‘আমার
বাবা নিউ অর্লিয়ান্সে যুদ্ধ করেছেন
আর আমার স্বামী মন্টেরিরির
যুদ্ধে মারা গেছেন।’
‘ম্যাডাম, আমি ধারণা করি’, লিংকন
প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘আপনার পরিবার
দেশের জন্য অনেক করেছে, এখন
অন্যদের সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে।’

৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিশালবাংলা বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধারা যখন বীরের মতন যুদ্ধ করছিল তখন এই মেধাবীদের পূর্বপুরুষেরা কুনো ব্যাঙের মতন মাচার নিচে লুকিয়ে থেকে অপেক্ষা করছিল আষাঢ় মাসের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.