![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজেকে খুজে ফিরি
পাইকারী বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।গত দুই দিনে দেশের বড় পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে দামের তেমন কোনো প্রভাব না পড়ায়, এখনো চড়া দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে কেনা তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বাজারে আসলেই দাম কমবে বলে বিক্রেতারা জানান।
টিসিবির মাধ্যমে সরকারের পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণার পরপরই দাম কমতে শুরু করে পাইকারি বাজারে। ভারত থেকেও আসছে পেঁয়াজ। পাশাপাশি মিয়ানমার থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করতে ঋণপত্র খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। দুই একদিনের মধ্যে সে পেঁয়াজ বাজারে আসলে দাম আরো কমে আসবে বলে জানিয়েছেন তারা।
দাম দ্রুত কমতে শুরু করায় ক্রেতাশূণ্য হয়ে পড়েছে খাতুনগঞ্জের বাজারে। এখন পেঁয়াজ কিনলে পরে দাম আরো কমে লোকসানে পড়বেন এই আশঙ্কা খুচরা ব্যবসায়ীদের। আর পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ক্রেতা না পাওয়ায় তাদের লোকসান দিতে হচ্ছে।
তবে দাম কমার লক্ষণ নেই খুচরা বাজারে। খাতুনগঞ্জ থেকে দুই এক কিলোমিটার দূরে কাজিরদেউড়ি বাজারে চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এ নিয়ে ক্ষোভ সাধারণ ক্রেতাদের।
বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পাইকারী বাজারে কমতে থাকায় আগামী দুই একনিদের মধ্যে খুচরা বাজারে কমে আসবে পেঁয়াজের দাম।
ভারত থেকে আমদানি কিছুটা বাড়ায়, হিলি ও বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকার আড়ৎগুলোতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। হিলিতে দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা।
বুধবার হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৪২ থেকে ৪৫ টাকায়। যা মঙ্গলবার বিক্রি হয়েছে কেজিপ্রতি ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায়। বুধবার প্রায় ১৮ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এখনো প্রায় আসার অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পেঁয়াজবাহী ট্রাক।
এদিকে, বেনাপোলের পাইকারি বাজারগুলোতে মঙ্গলবার প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম আগের দিনের চেয়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। গত তিনদিনে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া, টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্তের কারণেও দাম কমছে বলে জানান তারা।
©somewhere in net ltd.