নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তারা ভরা রাত

আকাশের ঐ মিটিমিটি তারার সাথে কইব কথা

মিটিমিটি তারা

আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজেকে খুজে ফিরি

মিটিমিটি তারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বফকির আমেরিকা বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশই ফকির আমেরিকাকে অর্থের জোগান দিচ্ছে প্রতিবছর!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০





প্রতিষ্ঠিত ধারণা হলো, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে অর্থ দেয়, খাদ্য দেয়, নানা রকম সুবিধা দেয়। নইলে বাংলাদেশ ডুবে মরত। তাই তার কথা অমান্য করা যাবে না। কিন্তু সত্য বরং বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্রে গড় আমদানি শুল্কহার যেখানে শতকরা ১ ভাগের মতো, সেখানে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের ওপর শুল্কহার শতকরা গড়ে ১৫ ভাগ, কোনো কোনো পণ্যে আরও বেশি। গত এক বছরে বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির শতকরা প্রায় ২৩ ভাগ যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এ হিসাবে গত বছরও বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক বাবদ প্রদান করেছে কমপক্ষে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কয়েক বছর আগে পর্যন্ত যে ঋণ অনুদান বাংলাদেশে আসত, এটি তার ছয় গুণেরও বেশি, এখন তা আরও অনেক গুণ বেশি। অর্থাত্ যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে নয়, বাংলাদেশই যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থের জোগান দিচ্ছে প্রতিবছর!



যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের জন্য জিএসপি বা শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার নিয়ে একটা কৃত্রিম হাহাকার ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প কোনো জিএসপি সুবিধা কখনো পায়নি। বরং বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে অনেক রকম বৈষম্যের শিকার। তারাই ‘মুক্তবাজার নীতিমালা’ ভঙ্গ করে বাংলাদেশের গার্মেন্টসের ওপর বৈষম্যমূলক শুল্ক আরোপ করে রেখেছে! সে জন্য বিশেষ সুবিধা বা অনুগ্রহের দরকার নেই। যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অন্যান্যদেশের অনুপাতেই শুল্ক আরোপ করে; তাহলেই বাংলাদেশের প্রতিবছর পাঁচ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ কমে এবং সেটা গার্মেন্টস খাতে। বাণিজ্য সম্প্রসারণই লক্ষ্য হলে শুল্কহার গড় মানে নামিয়ে আনলেই চলে!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

সালমা শারমিন বলেছেন: কারে যে বুঝাই...................... :-& :-& :-&

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪

হারান সত্য বলেছেন: ধনী দেশগুলি আন্তর্জাতিক সীমানার নামে কিছু দেশকে দরিদ্র করে রাখে যেখানে জীবন যাত্রার মান হবে খুবই নিচু। ফলে সেখানে শ্রমের মুল্য হবে কম - ধনী দেশের ব্যাবসায়ীরা ঐসব দরিদ্র দেশ থেকে কম মুল্যে কাজ করিয়ে নিতে পারবে। এ'ভাবে দরিদ্র দেশের সম্পদ পাচার হয়ে যায় ধনী দেশে।

আপনি শুধুমাত্র শুল্কের হিসেব করলেন - অথচ হিসেবটা হওয়া উচিত ছিল যে পরিমান পোষাক বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ইউরোপে যায় তা যদি তারা নিজেদের দেশে তৈরী করত তাহলে কত খরচ হত, আর বাংলাদেশে তৈরী করতে কত খরচ হয়েছে। এই দুইএর পার্থক্যটার পুরো সুবিধাভোদিতো তারাই। ১০০ টাকার জিনিস যদি ১০ টাকায় তৈরী করা যায় তাহলে কি ৯০ টাকাই লাভ নয়?

এ'ভাবে একটু চিন্তা করলই বুঝবেন ধনী দেশগুলি কিভাবে গরিব দেশগুলিকে শোষন করে টিকে আছে। যদি গরিব দেশগুলি না থাকে বা এইভাবে শোষিত হতে না চায় তাহলে ওদের বড়লোকি দু'দিনও টিকবে না।

________________________________________________
আসুন জানি মহাসত্যের পরিচয় , মুক্ত হই ধর্মান্ধতা ও ধর্মবিদ্বেষ থেকে।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

পাজল্‌ড বলেছেন: লেখাটা Prof. Anu Mohammad sir এর। একমত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

মিটিমিটি তারা বলেছেন: প্রথম আলুতে প্রকাশিত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.