নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছায়াসঙ্গি

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম

চাইল্ড সাইকোলজিস্ট, শিশু বিকাশ কেন্দ্র, এস,এস,এম,সি মিটফোর্ড হাসপাতাল।

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক ধড়ফড় বা হার্টবিট বেড়ে যাওয়ার প্রসংগেঃ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

Presentation, Viva-board, Interview board প্রভৃতি বা ভীতিজনক কোন স্থানে বা পরিস্থিতির সম্মূখিন হলে আমাদের অনেক সময় বুক খুব জোরে জোরে ধুঁক ধুঁক করতে শুরু করে অর্থাৎ আমাদের হার্টবিট বেড়ে যায়।

যায়। এই বুকের ধুঁক ধুঁক আওয়াজের কারণে আমরা আরও বেশি নার্ভাস হয়ে পড়ি। তাই আমাদের presentation বা viva টি যতোটুকু ভালো হওয়ার কথা, তারচেয়েও খারাপ হয়।

এখন কি করা যেতে পারে। সেই সাথে চিন্তা হচ্ছে – এমন কেন হয়?

তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই বুক ধুঁক ধুঁক করার (সম্ভাব্য কারণের মধ্যে অন্যতম একটি) কারণ ।

আমরা সবাই জানি যে, এই ধরণের পরিস্থিতিতে আমাদের মাঝে stress(চাপ) খুব বেশি পরিমাণে কাজ করে। চিন্তা করতে থাকি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং আমার নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক সব কিছু। Tense বেড়ে যায় যার শারীরিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে রক্ত সঞ্চালনের গতিও বেড়ে যায়। রক্তে মিশে থাকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অক্সিজেন। তাই এই সময়ে অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালনে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে অতিরিক্ত অক্সিজেনের। কিন্তু দুশ্চিন্তায় (tense) থাকার কারণে আমরা ভুলে যাই অক্সিজেনের স্বাভাবিক (rhythm) মাত্রায় নেয়ার কথা। বরং আমাদের শ্বাসগুলো তুলনামূলকভাবে ছোট ছোট করে নিতে শুরু করি। যার কারণে ফুসফুসের কাজ ব্যহত হয়।

ফলে, আমাদের রক্তের জন্য প্রতি প্রশ্বাসে যতোটুকু অক্সিজেনের প্রয়োজন ফুসফুসের মাধ্যমে হৃদপিণ্ড ততটুকু অক্সিজেন পায় না। সে কারণে প্রয়োজনীয় অক্সিজেনের জন্য হৃদপিণ্ড পাম্প সঞ্চালনের গতি বাড়িয়ে দেয়। ঠিক তখন’ই, আমরা শুনতে পাই দ্রুত হার্টবিটের আওয়াজ। যা আমাদেরকে আরও চিন্তিত করে তুলে। শুধু কি তাই – এই অক্সিজেনের অভাবে আমাদের শরীরে দেখা দেয় শারীরিক কিছু উপসর্গের। যেমন,

১. ক্লান্তি বা অবসাদ,

২. খাবারে অনীহা বা খাবার পরিপাকে সমস্যা,

৩. স্মৃতিলোপ,

৪. গ্যাস্ট্রিকের রসক্ষরণ,

৫. পেশীসমূহ ব্যথা বা শরীরের বিভিন্ন অংশ ব্যথা প্রভৃতি।

এতোকিছু নিয়ে কোন মৌখিক বা লিখিত পরীক্ষা’ই খুব বেশি ভাল হয় না সেটা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। তাহলে জেনে নেই করণীয়।



করণীয়:

অক্সিজেন স্বল্পতা অর্থাৎ যখন’ই আমরা বুঝতে পারব বুক ধুঁক ধুঁক করে আওয়াজ দিচ্ছে অর্থাৎ হার্টবিট বেড়ে যাচ্ছে, তখন’ইঃ

১. (সম্ভব হলে আরাম করে বসে) চোখ বন্ধ করে নাক দিয়ে খুব বড় করে শ্বাস নিব।

২. একটুখানি সময় তা পেটে ধরে রাখব।

৩. তারপর আস্তে আস্তে সেই নিঃশ্বাস মুখ দিয়ে ছেড়ে দেব।

শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগের সময় মনোযোগ দিতে হবে কিভাবে এবং কোন পথে শ্বাস পেটে যাচ্ছে এবং বের হচ্ছে।

এভাবে ১০মিনিট করলেই দেখা যাবে, অক্সিজেনের স্বল্পতা দূর হয়ে বুক ধুঁক ধুঁক করা পালিয়েছে এবং হার্টবিট ফিরে এসেছে স্বাভাবিক অবস্থায়।

তাই বিশ্বাসের সাথে প্রশ্বাস নিয়ে presentation বা viva টি দেই আগের চেয়ে ভাল। অথবা ভীতিজনক কোন জায়গায় থাকলে সরে পড়ি তাড়াতাড়ি।

exercise-টি যে কোন মানুষ তার প্রতিদিনের কর্ম তালিকায় যোগ করলে অনেক দুঃচিন্তা, ক্লান্তি বা অবসাদ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।



(বিঃদ্রঃ Medical Science-এ অক্সিজেন স্বল্পতা নামে যে রোগটি রয়েছে, সেক্ষেত্রে উপরোক্ত করণীয় কার্যকরী নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে অক্সিজেন স্বল্পতায় অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। এই লেখাটিতে শুধুমাত্র self confident বাড়ানোর জন্য যেকোন পরিস্থিতিতে নিজের stress, tense থেকে মুক্ত থাকার অন্যতম উপায় অক্সিজেনের স্বাভাবিক (rhythm)-এর প্রতি নজর দেয়ার ইঙ্গিত করা হয়েছে।)



♥ উন্নত মন, সুস্থ জীবন ♥

♣♠ প্রতিদিন, প্রতিক্ষণ ♠♣

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

সুইট ভাই বলেছেন: এ রকম আরো লেখা আশা করছি... শুভ কামনা

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: আপনার আশা পূরণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

সুইট ভাই বলেছেন: এ রকম আরো লেখা আশা করছি... শুভ কামনা

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

সায়েম মুন বলেছেন: লেখাটা কয়েক দিন আগে পেলে ভাল হতো। বহু দিন ভাইবা টাইবা দেই না। তাই এ বিষয়ে ভীতি কাজ করে। কয়েক দিন আগে একটা ভাইবা পরীক্ষা দিতে গিয়ে হারে হারে টের পেয়েছি। #:-S

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

মো কবির বলেছেন:
কেন যে এই টা নিয়ে দিন কয়েক আগে দিলেন না, তাহলে চাকুরীটা হয়ে যেত।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: অনেক আগেই লেখাটি প্রস্তুত করা হয়েছিল। তবে একটি ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণের কারণে সময় করে ছাড়া হয়ে উঠে নি। অনিচ্ছাকৃত এই দেরির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি...@সায়েম মুন ও মো কবির

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে !

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

নতুন বলেছেন: ভাল জিনিস... সবার জানা থাকা ভাল..

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্টটির জন্য এবং আপনার সাথে একমত পোষণ করছি।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮

শায়লা িসিদ্দক বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ! :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: ভাল লাগল আপনার সুচিন্তিট মতামতটি শুনে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সে কারণে

৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

মশিকুর বলেছেন:
এই কাহিনী তাইলে। এইবার দরকার হইলে অক্সিজেন কিন্না লইয়া যামু।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: হা: হা: হা:
চমত্কার বলেছেন। তবে আমি বলব প্রাকৃতিকে তৈরি অক্সিজেনটি নিয়ে গেলে আর কিছুই লাগবে না। ধন্যবাদ

১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: চেষ্টা করতে হবে। আমার সব কিছুতেই হার্টবিট বেড়ে যায়। এত্ত ভিতু। :(

যাই হোক জিনিসটা প্রেমিকদেরও কাজে লাগবে, তাদের প্রেমিকাকে প্রপোজ করার ক্ষেত্রে। :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: হার্টবিট বেড়ে যাওয়া মানেই ভীতু, এটা ঠিক নয়।
কোথায় কোথায় এই পোষ্টটি কাজে লাগানো যেতে পারে - তার আরও একটি ব্যবহার আপনি বের করেছেন।
যার মানে আপনি খুব বুদ্ধিমান এবং যা প্রমান করছে আপনার ভেতরে খুব পটেনশিয়ালিটি রয়েছে। ধন্যবাদ...

১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: উপকারী লেখা।


কাজের সময় মনে থাকলে অনেকের উপকার হবে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: জ্বী, আমিও আপনার সাথে একমত

১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: খুবই খুবই ...... চমৎকার পোষ্ট।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো আপনার এতো confident দিয়ে বলার জন্য। আপনিও ভাল থাকবেন এবং স্বাগতম জানাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.