![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাবিশ্বের সাধারণ একজন নাগরিক
............................সমুদ্রপথে বাণিজ্যের জন্যে কার্থেজের খ্যাতি ছিল। গভীর সমুদ্রের উপর নির্মিত তার বন্দরে সর্বদা জাহাজের ভীড় লেগে থাকত, আর সমুদ্রতীরের দোকান পসারীতে জিনিসপত্রের প্রাচুর্য ছিল দেখবার মত। জাহাজের মাঝিমাল্লা এবং বন্দরের খালাসীরা ছিল দাস। অত্যন্ত শক্তিশালী নৌবাহিনী ও বিশাল সৈন্যদল ছিল কার্থেজের। সৈন্যরা প্রধানত: ছিল ভাড়াটে যোদ্ধা। কার্থেজবাসীরা সমুদ্রোপকূলবর্তী বহু এলাকা ও দ্বীপ নিজেদের অধিকারে এনেছিল। সমগ্র পশ্চিম ভূ-মধ্যসাগরীয় অঞ্চলে প্রভূত্ব স্থাপনের চেষ্টা করেছিল তারা।
খ্রী:পূ: ২৬৮ অব্দে রোম সিসিলি দ্বীপ দখলের চেষ্টা করলে কার্থেজ ও রোমের মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যায়। এই যুদ্ধকে বলা হয় পুনিক যুদ্ধ। যুদ্ধ চলেছিল বিশ বৎসরেরও অধিক এবং পরিশেষে রোম জয়লাভ করে। সিসিলি, সার্দিনিয়া ও কোর্সিকো দ্বীপগুলো রোমের অধীনে চলে আসে। পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করল কার্থেজ। স্পেনকে কব্জা করে নিল তারা। সেখানে এই অভিযান পরিচালনা করলেন তরুণ সেনাপতি হানিবল। হানিবলের সৈন্য পরিচালনার কৌশল এবং অসাধারণ শৈর্য্যবীর্যের কাহিনী ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র।
স্পেনে অভিযানের কারণে খ্রী:পূ: ২১৮ অব্দে রোম কার্থেজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে ২য় পুনিক যুদ্ধ শুরু হয়। তখন হানিবল তার বাহিনী নিয়ে তুষারাবৃত পার্বত্যপথ দিয়ে আল্পস পর্বত অতিক্রম করে ইটালীতে গিয়ে পৌঁছুলেন; রোমকদের জন্যে এ ছিল একেবারে কল্পনার বাইরে। কার্থেজ বাহিনীর অর্ধেকই পর্বত অতিক্রম করার পথেই প্রচন্ড ঠান্ডায় মৃত্যূমুখে পতিত হয়েছিল। যারা বেঁচে ছিল তাদের নিয়ে হানিবল ইটালীর পো নদীর অববাহিকায় উপস্থিত হলেন। সেখানে উত্তর ইটালীর অধিবাসী দুর্ধর্ষ গল উপজাতী হানিবলের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দিল। হারান শক্তি ফিরে পাবার পর হানিবল ধীরে ধীরে উত্তর থেকে দক্ষিণ ইটালী অভিমুখে অভিযান শুরু করলেন। পথিমধ্যে তিনি ছোট খাট বাঁধা অতিক্রম করে কানে এসে পৌঁছুলেন, সেখানে সম্মিলিত রোমান বাহিনী অপেক্ষা করছিল।
কানে অপেক্ষারত রোমান বাহিনীতে ছিল ৮০ হাজার পদাতিক ও ছয় হাজার অশ্বারোহী সেনা। অন্যদিকে হানিবলের সাথে ছিল চল্লিশ হাজার পদাতিক ও দশ হাজার অশ্বারোহী সৈন্য। রোমানরা তাদের পদাতিক বাহিনীকে চতুর্ভুজ আকারে সারিবদ্ধভাবে বিন্যস্ত করেছিল। আর অশ্বারোহী সেনা পদাতিক বাহিনীর দু‘পাশে পার্শ্ববাহিনী হিসেবে দাঁড়িয়ে ছিল। হানিবল যখন দেখলেন যে, রোমান পদাতিকের সংখ্যা তার দ্বিগুন, তখন তিনি এক দু:সাহসিক পরিকল্পণা গ্রহণ করলেন। নিজের বাহিনীকে তিনি এমনভাবে অর্ধাচন্দ্রাকারে বিন্যাস করলেন যে পিঠের দিকটা রইল রোমানদের মুখোমুখি, আর দু‘পাশে রাখলেন শ্রেষ্ঠ কিছু পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনী।
রোমান পদাতিক বাহিনী সামনে এসে আঘাত করল। কার্থেজ বাহিনীর মধ্যভাগে আঘাত করে রোম বাহিনী অগ্রসর হয়ে ঢুকে পড়ার ফলে তাদের উভয় পার্শ্ব অরক্ষিত হয়ে গেল। আর ঠিক সেই সময় হানিবলের পার্শ্ববাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী সেনারা দু‘পাশ থেকে শত্রুর উপর ঝাপিয়ে পড়ল। কার্থেজের অশ্বারোহী বাহিনী রোমের অশ্বারোহী বাহিনীকে পিছন দিক থেকে আক্রমণ করল। রোমের পদাতিক বাহিনীর বিন্যাস এতে ভেঙ্গে গিয়ে সৈন্যরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। ওদিকে হানিবলের সেনারা সেসময় রোমান বাহিনীকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। রোমানরা পরাজিত হল। হানিবল ৭০ হাজারের মত রোমান সৈন্য বন্দী করল।
রোম পরাজিত হওয়ায় ইটালীর বহু শহর হানিবলের পক্ষে চলে আসে। রোমের অবস্থা তখন সঙ্কটজনক হয়ে দাঁড়ায়। এতদসত্ত্বেও রোমান সিনেট হানিবলের কাছে কোন সন্ধির প্রস্তাব পেশ করেনি। সুতরাং কার্থেজ বাহিনী নিয়ে হানিবল রোমের একদম কাছে চলে এলেন। হানিবল দেখলেন কান যুদ্ধ শেষে তার বাহিনীর যে শক্তি অবশিষ্ট আছে তা দিয়ে বিশাল দুর্ভেদ্য এই নগরীকে দখল করা একেবারেই অসম্ভব। সুতরাং তিনি ইটালীর দক্ষিণ দিকে সরে গেলেন।
কানের যুদ্ধ শেষ হবার ১২ বৎসর পর রোমানরা সিসিলি থেকে আফ্রিকার দিকে অভিযান শুরু করল। এই অভিযানে রোমান সেনাপতি ছিলেন সসিপিও। এই সময় হানিবল ছিলেন ইটালীতে। তিনি দেখলেন কার্থেজকে রক্ষা করতে হলে তার এখন ইটালী ছেড়ে যাওয়া অপরিহার্য।
খ্রী:পূ: ২০২ অব্দে কার্থেজের অনতিদূরে জাম্মা শহরের কাছে রোমান ও কার্থেজ বাহিনী একে অপরের মুখোমুখি হল। এবারের যুদ্ধে রোমানদের অশ্বারোহী বাহিনী কার্থেজের চেয়ে অনেক বেশী ছিল। রোমান ও কার্থেজীয় পদাতিক বাহিনীর মধ্যে যখন সূদীর্ঘ ও প্রচন্ড যুদ্ধ চলছিল, সেইসময় (খ্রী:পূ: ২০১ অব্দে) হানিবলের বাহিনীকে পিছন থেকে আক্রমণ করল রোমান অশ্বারোহী বাহিনী এবং তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করে দিল।
এই পরাজয়ের ফলে রোমের কাছে কার্থেজ তার যুদ্ধ জাহাজ সমর্পণ ছাড়াও বিশাল অঙ্কের যুদ্ধপণ দিতে বাধ্য হল; কার্থেজের আধিপত্য প্রায় আর কোথাও রইল না। অন্যদিকে এই বিজয়ের ফলে রোমানদের সামনে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে আরও নতুন নতুন অঞ্চল দখলের পথ উন্মুক্ত হয়ে গেল। যুদ্ধ শেষে রোমান সিনেট হানিবলকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়। হানিবল রোমানদের হাতে ধরা দিতে চাননি; তিনি মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও আশ্রয় নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি, নিজ গৃহের চতুর্দিক রোমান সেনা পরিবেষ্টিত দেখে তিনি বিষপানে আত্মহত্যা করেন।
নৌবাহিনী ও পদাতিক বাহিনী হারানোর পর কার্থেজ আর রোমের কাছে বিপদজনক ছিল না। কিন্তু কার্থেজরা তাদের নৌবাণিজ্য আগের মতই চালু রেখেছিল এবং পুন:রায় সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠছিল, যা রোমান অভিজাত ও বণিক সম্প্রদায়ের হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারা কার্থেজকে ধ্বংস করে তাদের নৌবাণিজ্য দখলে নিতে চাইল। সুতরাং কার্থেজকে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে রোমক বাহিনী খ্রী:পূ: ২য় শতকের মধ্যভাগে পুন:রায় আফ্রিকার মাটিতে পা রাখল এবং অবরোধ করল কার্থেজ। শুরু হল ৩য় পুনিক যুদ্ধ।
এ ছিল একটা অসম শক্তির যুদ্ধ। তবুও কার্থেজীয়রা নিজেদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্যে ৩ বৎসর যাবৎ দূর্গ মধ্যে অবরুদ্ধ থেকে বীরত্বের সাথে লড়াই করে গেল। যখন তাদের রসদ ফুরিয়ে গেল এবং আর দূর্গ মধ্য থেকে নিক্ষেপের কোন অস্ত্রপাতি রইল না, তখন সমস্ত কার্থেজীয় মেয়েরা তাদের লম্বা চুল কেটে ফেলে সেই চুল দিয়ে পাথর নিক্ষেপের জন্যে দড়ি তৈরী করে দিয়েছিল যোদ্ধাদের।
দীর্ঘ ৩ বৎসর অবরোধের কারণে অনাহারে দুর্বল হয়ে গেল কার্থেজীয়রা। এই সময় সুযোগ বুঝে রোমানরা অভিযান চালাল। রোমান বাহিনী নগরীতে ঢুকে পড়ে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করে দিল। একসপ্তাহ ধরে তারা এই লুটপাট ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল; এমনকি রাত্রেও তারা সংযোগকৃত অগ্নির ঐ অশুভ আলোয়ও তা করেছিল।
রোমের সিনেটের আদেশে কার্থেজকে পৃথিবীর বুক থেকে নিচিহ্ন করে দেয়ার পর বন্দী ৫০ হাজার কার্থেজবাসীকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়া হয়।
ভূমধ্য সাগরের পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চলে নিজেদের অধিকার বিস্তার করে ক্ষান্ত হয়নি রোমানরা। তারা বলকান উপদ্বীপ ও এশিয়া মাইনরেও অভিযান চালায়। প্রাচ্য অভিমুখে রোমের অগ্রসরণের ফলে পূর্ব ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ও বিশাল সাম্রাজ্যের সাথে তাদের যুদ্ধ বাঁধে। সিরিয়া সম্রাটের ছিল বিরাটায়তনের সেনাদল, হস্তী বাহিনী, তীক্ষ্ণ অস্ত্রযুক্ত রথচক্র এবং উষ্ট্র বাহিনী। বহুজাতির লোক নিয়ে এই বাহিনী গঠিত হয়েছিল। এশিয়া মাইনরে রোমক বাহিনীর সাথে যুদ্ধে সিরীয় সম্রাট পরাজিত হন ফলে তার সাম্রাজ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বহু রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
বলকান উপদ্বীপে রোম তার ‘Divide and Rule’ পলিসি সঠিকভাবে কাজে লাগিয়েছিল। মেসিডোনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের সময় রোম, গ্রীকদেরকে স্বপক্ষে টেনে এনেছিল এই আশ্বাস দিয়ে যে, তারা তাদেরকে স্বাধীনতা দিয়ে দেবে।
শক্তি পরীক্ষায় মেসিডোনিয় ফালাঙ্গোস ও রোমান লেগিও মুখোমুখি হল। দীর্ঘ বল্লম সজ্জিত ফালাঙ্গোস ছিল অজেয়। রোমক বাহিনীর প্রথম আক্রমণ প্রতিহত করে তারা পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং রোমীয়দের পিছু হটিয়ে দিতে শুরু করে। কিন্তু এর ফলে তারা নিজেরা কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, আর সেই সুযোগে রোমের ক্ষিপ্রগতির সৈন্যরা মেসিডোনিয় বাহিনীর বুহ্য ভেদ করে ভিতরে ঢুকে পড়ে। সুদীর্ঘ বল্লম তখন আর কোন কাজে দেয়নি এবং মেসিডোনিয়রা পরাজয় বরণ করে।
মেসিডোনিয় সাম্রাজ্যের পতনের পর গ্রীকেরা নিজের স্বাধীনতা ফিরে পাবার চেষ্টা করল। তখন রোম তাদের বাঁধা অগ্রাহ্য করে খ্রীঃপূঃ ১৪৬ অব্দে গ্রীসের উপর নিজের প্রভূত্ব স্থাপন করল। রোমকদের ইচ্ছের বিরুদ্ধতা করার শাস্তিস্বরূপ রোম, গ্রীক সংস্কৃতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র কোরিন্থ নগরী একেবারে ধ্বংস করে দেয়।
রোমের বিজয়ী সেনাপতিরা সংবর্ধিত হত ত্রিউম্ফুসের মাধ্যমে। মেসিডোনিয়া বিজয়ী রোমান সেনাপতির জন্যেও ত্রিউম্ফুসের আয়োজন হল। এই ত্রিউম্ফুস দেখার জন্যে সব রাস্তাতেই যেখান থেকে শোভাযাত্রা দেখা সম্ভব, সেখানেই জনতা সমবেত হয়েছিল।
প্রথমদিন ভোরবেলা অন্ধকার থাকতেই লুন্ঠিত প্রস্তরমূর্ত্তি ও ছবিভর্ত্তি ২৫০টি গাড়ি আসতে শুরু করল। পরের দিন নগরের পথে পথে সবচেয়ে সুন্দর ও মূল্যবান মেসিডোনিয় অস্ত্র-শস্ত্র বোঝাই করা গাড়ি দেখা গেল। তামা ও লোহার তৈরী অস্ত্রগুলো ঝকঝক করছিল। সেগুলোর মাঝখানে তরবারী ও বল্লমের খোঁচা খোঁচা মাথা দেখা যাচ্ছিল। এর পিছু পিছূ সাড়ে সাতশ‘ ঘট ভর্তি রৌপ্য মুদ্রা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। চারজন করে লোক একেকটা ঘড়া বইছিল। তারও পিছনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছির রৌপ্যনির্মিত বিশালাকার ভারি ভারি পেয়ালা ও পাত্র। ৩য় দিন নিয়ে আসা হল বলিদানের জন্য ১২০টি মোটাসোটা বৃহদাকার ষাঁড়, তাদের শিং সোনালী রঙে রঞ্জিত। দূরে দেখা গেল, নিয়ে আসছে স্বর্ণমুদ্রা ভর্ত্তি ৭৭টি ঘড়া, আগেরগুলো যেমন ছিল সেরকমই আকারে বৃহৎ। এসবের পিছনে পিছনে আসছিল লোকজন, তাদের মাথার উপরে মূল্যবান প্রস্তর খঁচিত খাঁটি সোনার তৈরী বিরাটাকার পাত্র আর থালাগুলো তারা উর্দ্ধে তুলে ধরেছিল। এসবেরও পিছনে আসছিল মেসিডোনিয় সম্রাটের রাজশকট, তাতে রাজার অস্ত্রশস্ত্র ভর্তি, আর তার উপরে শোভা পাচ্ছিল তার রাজমুকুট।
এই রথের পিছনে নিয়ে আসা হচ্ছিল রাজার সন্তানদের-দুই রাজকুমার ও এক রাজকুমারীকে। তাদের বয়স এত কম যে, কি দু:খের দিন শুরু হয়েছে তাদের জন্যে সেকথা বূঝতে পারার কথা নয়। তাদের পিছুপিছু আসছিলেন কাল পোষাক পরিহিত সম্রাট। এই সর্বনাশে তিনি যেন বোধশক্তি রহিত হয়ে গেছেন।
অত্যন্ত অলংকৃত জাঁকজমকপূর্ণ শকটে চড়ে চলেছিলেন স্বর্ণখঁচিত লাল পোষাক পরিহিত রোমান সেনাপতি। আর তাঁর পশ্চাতে চলেছিল তার সৈন্যদল, হাতে তাদের তেজপাতা গাছের ডাল, মুখে গান।..........ডিটেইল-PYTHEYA
২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:০৩
চ।ন্দু বলেছেন: আমি কোন কিছু লিখতে গেলে বড় হয়ে যায়। যাহোক এখানে শুধু আর্টিকেলের হেডিংকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যুদ্ধকে না। আর মূল পোষ্টের শেষের কিছু অংশ এখানে রয়েছে, পুরোটা না। আমার ব্লগ pytheya.blogspot.com ও faruquez.blogspot.com আমন্ত্রণ রইল আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৪:৪১
আশিক মারুফ বলেছেন: ভাল লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ৮:৫৩
চাঁপাডাঙার চান্দু বলেছেন: যুদ্ধ এবং সেনা বিন্যাসের ছবিসহ লেখলে আরও সুন্দর হত। ইতিহাস আমার খুবই প্রিয় এবং সবচেয়ে প্রিয় সমর নায়ক হ্যানিবল। ২য় পিউনিক যুদ্ধের রণকৌশল কতটা সুক্ষ এবং কৌশলী ছিল তা বর্ণনার অতীত। সর্বমোট ৭০-৮০ হাজার যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছিল ৬ঘণ্টার ওই যুদ্ধে, যাকে তুলনা করা হয় আজকের দিনের একটি পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের সাথে। এই যুদ্ধের আগে হ্যানিবল আল্পস পাড়ি দিয়ে কিভাবে ১০হাজার এবং প্রায় ২০হাজার সৈন্যের দুটি রোমান বাহিনীকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল, সেগুলোও যোগ করে দিন। কি কারণে হ্যানিবল রোমকে হাতের মুঠোয় পেয়েও ছেড়ে দিল এবং যার কারণে জামাহ'র যুদ্ধে তাকে পরাজয় বরণ করতে হোল?? সবমিলিয়ে একটি বিস্তারিত পোস্ট দিন, কারণ এই তথ্যগুলো মানুষকে আনন্দ দেয় কিন্তু সবাই এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখেনা।
এই যুদ্ধগুলোর ছবি গুগোলেই পাবেন, বা ইউটিউব হতেও স্ক্রিন সট নিয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। মনে হয় সেফ হন নি এখনো। শুভকামনা রইল, আমার ব্লগেও ঘুরে যাওয়ার আমন্ত্রন রইল।
হাতির ব্যবহার হ্যানিবলকে অনেক সুবিধা দিয়েছিল, যদিও পর্বত অতিক্রমের সময় অনেকগুলো মারা গিয়েছিল।
এই ছবিটিও দারুন