![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাবিশ্বের সাধারণ একজন নাগরিক
ছোটবেলায় দুষ্টুমি করেছি অনেক, এমনকি কলেজ ভার্সিটি লাইফেও। কলেজে ২য় বর্ষে পড়ার সময় ৪র্থ বর্ষের মুরাদ ভাই রাত সাড়ে এগারটার দিকে আমাকে ডাকলেন। বললেন: যাবা নাকি? আমরা যাত্রা দেখতে যাচ্ছি।
আমি কখনও যাত্রা দেখতে যাইনি- ঐ প্রবাদটার কারণে, 'যাত্রা দেখে ফাতরা লোকে।'
যাইহোক বললাম: ও, যাত্রা! অবশ্যই যাবো।'
রাত রারোটার দিকে আমরা ৩০ জনের মত পাহাড়তলী স্কুলের মাঠে পৌঁছুলাম। আমাদের দলে সবাই ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের , কেবল আমিই ছিলাম ২য় বর্ষের। যাইহোক, আমরা প্যান্ডেলের ভিতর ঢুকে ১ম শ্রেণীতে বসা সামনের দু'সাঁরির সবাইকে তুলে দিলাম তাদের সিট থেকে। সবাই হৈ চৈ করতে লাগল, কারণ তারা ২০০ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে সিটে বসেছে। তখন দায়িত্বরত লোকরা স্কুলের সভাপতিকে খরব দিল। তিনি হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এলেন। সাথে এল থানার ওসি। ওসি যখন দেখল আমরা কারা, তখন তিনি আর আমাদেরকে ঘাটালেন না। মুরাদভাই সভাপতিকে বললেন: আমাদের কারও সারারাত ধরে যাত্রা দেখবার শখ নেই। আমরা শেফালী ঘোষের গান ও জরিনার ড্যান্স দেখেই চলে যাব।'
সভাপতি বললেন: এ অনুষ্ঠান হচ্ছে স্কুলের উন্নয়ণ কল্পে কিছু ফান্ড তৈরীর জন্যে। আপনাদেরকে নিশ্চয়ই আর বুঝিয়ে বলা লাগবে না।
মুরাদভাই বললেন: ঠিক আছে আমরা বিষয়টা দেখব।
যাইহোক, গান শুনে ও ফাতরা নাচ দেখে রাত দেড়টার দিকে আমরা ক্যাম্পাসে ফিরে এলাম। অবশ্য আমরা আসবার আগে চাঁদা তুলে ১০০০টাকা স্কুল কমিটিকে দিয়েছিলাম।
তো যা বলছিলাম, এমননি একটা ফালতু কাজ করলাম আজ আমি ও আমার বন্ধু জিয়া। গিয়েছিলাম এক বন্ধুর বাসায় কাঁঠাল বাগানে। ওখান থেকে বেইলি রোডে আমার বাসায় ফেরার পথে হাঁটতে হাঁটতে যখন নেভী চিফের বাসার গলিতে ঢুকলাম, দেখলাম লেডিস ক্লাবে একটা বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে। জিয়া বলল: বাসায় গিয়ে তো আমার ঠান্ডা ভাত খেতে হবে, তার চেয়ে চল এখান থেকে বিয়েটা খেয়ে যাই।
আমি বললাম: তা বেশ বলেছিস, চল যাই।
তো ভিতরে গিয়ে এক টবিলে দু'জন বসে পড়লাম। পাশের টেবিলে দেখি আমার ছোট ভাইয়ের এক বন্ধু, ঢাবির টিচার তার বৌ-বাচ্চা নিয়ে বসেছে। আমি তাড়াতাড়ি জিয়াকে বললাম: এ টেবিলে না অন্য টেবিলে বসতে হবে।
অন্য এক টেবিলে গিয়ে বসলাম। তারপর খাওয়া-দাওয়া সেরে ধীরে সুস্থ্যে বেরিয়ে পড়লাম। নাহ আর কোন পরিচিত লোকের সাথে দেখা হয়নি। আমরা যখন রেড ক্রিসেন্ট হসপিটালের সামনে আসলাম, কানে ড্রামের আওয়াজ এল। এগিয়ে দেখি কনসার্ট হচ্ছে অফিসার্স ক্লাবে। তো জিয়াকে বললাম কনসার্টটা দেখে গেলে কেমন হয়?
ও বলল: ভালই তো এ বয়সে তো কনসার্ট টনসার্ট দেখা হয়না তেমন।
বললাম: তাহলে চল।
প্রচন্ড ভীড়, গেটের বাইরে রাস্তায়। গেটে গিয়ে পকেট থেকে ভিজিটিং কার্ডটা হাতে নিয়ে দেখালাম।
দারোয়ান আমার কার্ড নয়, আমার দিকে নজর দিল এবং গেট খুলে দিল। ভিতরে ঢুকলাম, সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের ছেলে মেয়ে বৌ দিয়ে পুরো প্যান্ডেল ভরা। যাইহোক স্টেজে নজর দিলাম, সুনিধি চৌহান গাইছে। সে যে বাংলাদেশে এসেছে এখবরই তো জানিনে। যাহোক পুরো আসর জমজমাট। বেশ ভালই লাগছিল সুনিধির গান। তবে তার মাত্র দু'টো গান শুনেই চলে আসতে হল। কারণ কনসার্ট শেষ।
কনসার্ট থেকে এসেই এ লেখা। এই বয়সে আমরা দু'বন্ধু এমন কাজ করলাম ভেবে এখন বেশ লজ্জা লাগছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১
চ।ন্দু বলেছেন: তা যা বলেছেন! নিশ্চয়ই...........
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৩
শূন্য পথিক বলেছেন: হাহা! দারুন মজা!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৪
চ।ন্দু বলেছেন: তা বটে, তবে বয়স তো চল্লিশ পার হয়েছে, এ বয়সে এগুলো মানায়?
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৮
মোঃ নুর রায়হান বলেছেন:
৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
আমি বাঁধনহারা বলেছেন:
ভালো লাগল
+++++++++++
ভালো থাকবেন
মনে রাখবেন!!!
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
মৌমিতা আহমেদ মৌ বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছা এইদরণের কাজ করার ... কিন্তু সযোগই পাই না । । খুব ভালো কাজ করেছেন । +++
৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৩
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন:
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
আশিক মাসুম বলেছেন: আর লজ্জা বাঙ্গালির লজ্জায় ফ্রমালিন দেওয়া আছে। ভাই মজা করার কোন বয়স নাই। যতটা মজা করলেন ততটা নিজেকে কিছু দিলেন। পরবর্তীতে গেলে আমারেও সাথে নিয়েন