নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ!

আমি রাতুল

আমি রাতুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটবলের এই অন্তিম লগ্নে আমার কিছু পরিকল্পনা (কল্পনা)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

মনোযোগ দিয়ে পড়বেন আশা করি।

বাংলাদেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ কোথায়?? একজন সাধারণ দর্শকের কাতারে দাঁড়িয়ে এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।। আমি খুব সাধারণ একজন দর্শক।। শুয়ে শুয়ে কল্পনার জগতে কিছু কিছু পরিকল্পনা বুনলাম।। জানিনা এ দেশে তা আদৌ সম্ভব কিনা।। তবে নিশ্চিত, ১২ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপে খেলবে।। অজ্ঞতাবশত কোন ভুল মার্জনীয়।

★ দেশের প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয় কে নিয়ে ইউনিয়ন ভিত্তিক একটি টুনার্মেন্ট হবে, সেখান থেকে সেরা স্কুল গুলো নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক, পরবর্তিতে জেলা ভিত্তিক এবং সর্বশেষ সারা দেশের সেরা স্কুল গুলো নিয়ে একটি টুনার্মেন্ট। আশা করা যায় দেশের ৬৪ জেলা থেকে ৬৪ জন হলেও প্রতিভাবান কিছু খেলোয়াড় পাবো, যাদেরকে একটি একাডেমির আওতায় নিয়ে এসে দীর্ঘমেয়াদী ট্রেনিংয়ের ব্যাবস্থা করতে হবে। ৫/১০ বছর পর আমরা এখান থেকে কিছু খেলোয়াড় নিশ্চিত। এখানেই শেষ না, প্রত্যেক জেলায় ক্লাব/সংগঠণ ভিত্তিক এই ছোট ছেলেপেলেদের নিয়ে বছরের ৩ টা মাস হলেও ৫/১০ দলের অনুর্ধ-১২/১৩/১৪ একটি লীগ চালাইতে হবে। ৬৪ জেলার চ্যাম্পিয়ন দলগুলোকে বছরের বাকি যেকোন ৩ মাসে আরেকটি লীগ আয়োজন করতে হবে।

★ একইভাবে সারা দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোকে নিয়ে উপরোক্ত উপায়ে খেলা চালিয়ে যেতে হবে, যা হবে অনুর্ধ-১৬।

★ বলে রাখা ভালো, প্রত্যেক জেলায় যথাসম্ভব কিছু ক্লাব রেজিস্টার করাতে হবে। যারা বাফুফের যেকোন সিদ্ধান্তে দায়বদ্ধ থাকবে। তারাই এই অনুর্ধ ১৪/ অনুর্ধ ১৬ লীগ গুলোতে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া প্রত্যেক জেলা ক্রীড়া সংস্থা গুলোকে শক্তিশালী করতে হবে, এবং দক্ষ জনবল নিয়োগ করতে হবে। তারা জেলা ব্যাপি এই টুণার্মেন্টের উপরে নজরদারী করবে এবিং সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করবে।

★ সারা দেশে ১ টি বছর যদি এই টুনার্মেন্ট গুলো আয়োজন করা যায় তবে আমরা ১টি ভালোমাণের অনুর্ধ ১৪ এবং ১ টি অনুর্ধ ১৬ দল পাবো। যাদেরকে নিয়মিত বাইরের দেশের সাথে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ব্যাবস্থা করতে হবে।

★ দেশের প্রত্যেক ইউনিয়ন এবং পৌরসভার চেয়ারম্যান কে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠণ করতে হবে। যারা গ্রাম/ এলাকা নিয়ে টুণার্মেন্ট আয়জন করবে। প্রথমে তা হবে ইউনিয়ন ভিত্তিক, সেখান থেকে সেরা দল নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক, সর্বশেষে জেলা ভিত্তিক টুণার্মেন্ট আয়োজন করতে হবে। এসব খেলার উপরে জেলা ক্রীড়া সংস্থা দক্ষ লোক দিয়ে নজরদারি করবে, একই সাথে জেলার রেজিস্টার্ড ক্লাব গুলোও নজরদারি করবে। সর্বশেষে, ক্লাবগুলো তাদের দল গুছাবে। এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থা গুলোও তাদের একটি দল গঠণ করবে। অতঃপর, জেলায় ক্লাব গুলোকে নিয়ে লীগ চালু হবে। প্রত্যেক জেলার চ্যাম্পিয়ন দল গুলোর মাঝে প্লে অফের ভিত্তিতে ৪র্থ ডিভিশন এবং ৩য় ডিভিশন লীগ চালু করতে হবে।

★ একই সাথে ৬৪ জেলা নিয়ে জেলাভিত্তিক টুণার্মেন্ট আয়োজন করতে হবে। সারা দেশব্যাপি যে খেলা চলবে।

★ এছাড়া ২য় বিভাগ লীগ এবং প্রিমিয়ার লিগ সহ মুল টুণার্মেন্টের একটি চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে।

★ জাতীয় দলের নিয়মিত প্রীতি ম্যাচের আয়োজন করতে হবে। এছাড়া জাতীয় দল ভিত্তিক আরো যে সমস্ত পরিকল্পনা তা বর্ণনা করার প্রয়োজন মনে করলাম না।

সর্বশেষে আর দুটি কথা বলি।।

★ বাফুফে কমিটি ২ ভাগে ভাগ থাকবে। ১. টুণার্মেন্ট পরিচালনা কমিটি, ২. জাতীয় দল ভিত্তিক কমিটি। ২ টি কমিটি আলাদাভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যেখানে কেউ কারো উপর দায়বদ্ধ থাকতে পারবেনা। জাতীয় দলের মনে জাতীয় দল চলবে, লীগের মনে লীগ চলবে। এবং এবং এবং ক্লাব গূলো বাধ্যবাধকতায় আবদ্ধ থাকবে।

★ সর্বোপরি দুর্নীতি থেকে প্রত্যেককে দূরে থাকতে হবে।

শোনেন, জাপান একটা পরিকল্পনা নিয়েছিলো ১৬ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলার, তারা ১২ বছরের মাথায় বিশ্বকাপ খেলেছিলো। হ্যাপি ফ্রিকিং।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.