নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উন্নয়ন ও মানবাধিকার কর্মী। শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার এবং নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার জন্য কাজ করি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে কৌতূহলী।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ স্কয়ারের চেতনাকে সিএনএন-এর নিউজে ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

দেশীয় মাধ্যমগুলো ছাড়া প্রজন্ম চত্বরের যুব বিপ্লবের খবরগুলো এখন পর্যন্ত ভালো কোন কাভারেজ পাচ্ছে না বিবিসি বা ভিওএ’তে। যোদ্ধাপরাধের বিচার নিয়েও এদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠার শেষ নেই। এর কারণ খুবই সোজা, পশ্চিমা শাসকেরা খুব ভালো বন্ধু ছিলো না বাংলাদেশ-এর মুক্তিযুদ্ধকালে।



“ঢাকার শাহবাগে একাত্তরের চেতনা জেগে ওঠেছে” শিরোনামে সিএনএন-এর অনলাইন সংস্করণে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে বেশ পরিপূর্ণ একটি নিউজ এসেছে। চমৎকার কিছু ছবিও এসেছে।



ছয়টি ভাগে বেশকিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে আন্তর্জাতিক পাঠকদের জন্য।



=======================

১) প্রথম ভাগে, ভূমিকা অংশে, আয়োজকদের তথ্য আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে ‘ব্লগার এন্ড অনলাইন একটিভিস্ট’ -এর উদ্যোগের কথা এবং কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেওয়ার দাবির কথা। “চারটি দশক ধরে আমরা শান্ত ছিলাম এই আশায় যে, যোদ্ধাপরাধীদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ রায় আমরা গ্রহণ করতে পারি না। কাদের মোল্লা জন্য ফাঁসির রায় না আসা পর্যন্ত আমরা শাহবাদ স্কয়ার ছাড়ছি না।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শোয়েবের কথা উদ্ধৃত করা হয় নিউজটিতে।



২) দ্বিতীয় ভাগটির শিরোনাম “ব্যাপক অংশগ্রহণ”।

সকল ধর্মের, সকল পেশার, সকল শ্রেণীর নারীপুরুষে শাহবাগ স্কয়ার এখন পরিপূর্ণ। বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসহ সকল বয়সের মানুষ সেখানে জড়ো হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের ছাত্রী রোমানা আহমেদ বললেন: “আমি রাজনীতিতে মোটেই আগ্রহী নই। কিন্তু আমি জানি একাত্তরে এদেশে কী হয়েছিলো। যোদ্ধাপরাধীরা আমাদেরকে কী নির্যাতন করেছে সেটা আমি জানি। আমরা তাদেরকে বাঁচতে দিতে পারি না। যেখানে থাকুক তাদেরকে মরতে হবে।”



“হত্যার শাস্তি যদি মৃতুদণ্ড হয়, তাহলে ৩ শতাধিক হত্যায় জড়িত থাকার পরও কীভাবে একজন অপরাধী কেবল যাবজ্জীবন শাস্তি পায়?” আরেকজন শিক্ষার্থীর প্রশ্ন।



৩) তৃতীয় ভাগটির নাম “প্রজন্ম চত্বর”।

ইন্টারনেটে অনেকেই জায়গাটির নাম ‘প্রজন্ম চত্বর’ বলছে, ইংরেজিতে যা হয় ‘জেনারেশন স্কয়ার’।

এর মানে হলো, আন্দোলনটি আয়োজিত হয়েছে তরুনদের আহ্বানে। যেসব মুক্তিযোদ্ধা সেখানে জড়ো হয়েছেন, তারা জানালেন যে, একাত্তরে তারা একই চেতনায় একত্রিত হয়েছিলেন। “যুব সম্প্রদায় একত্রিত হলে সবই সম্ভব। আজ তারা একত্রিত হয়েছে।”



৪) চতুর্থ অংশটির নাম “কর্তৃপক্ষের সমর্থন”।

সরকারের কর্তাব্যক্তিরা জানালেন যে, তারা নির্ধারিত ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করবেন। কিন্তু শাহবাগ চত্বরের আন্দোলনের ব্যাপারে তারা নিশ্চুপ। কিছু কিছু সরকার দলীয় নেতানেত্রী শাহবাগে গিয়ে তাদের সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বললেন, “আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে আয়োজিত গণআদালতে কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।” নিরাপত্তার জন্য শত শত আইনপ্রয়োগকারীকে নিয়োগ করা হয়েছে।



৫) পঞ্চম অংশটির নাম “মহাসমাবেশ”

৮ ফেব্রুয়ারিতে এক মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তারা সকল শ্রেণী এবং সকল পেশাজীবিদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন। তবে কোন দলীয় ব্যানার বহন করা যাবে না। সমগ্র দেশে এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। তবে শাহবাগের আন্দোলনটি ব্লগারদের দ্বারা আহূত।



৬) ষষ্ঠ এবং শেষ অংশটির নাম “আরেকটি তাহরীর স্কয়ার?”

কিছু কিছু ব্লগার একে আরেকটি তাহরীর স্কয়ারের সাথে মিলিয়েছেন। তাহরীর স্কয়ারের আন্দোলন ছিলো সরকারের বিরুদ্ধে, কিন্তু এখানে আন্দোলনকারীরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। যোদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড ছাড়া তারা আর কিছুই চাচ্ছে না। সামহোয়ার ইন ব্লগে একজন ব্লগার লিখেছেন, “তাহরীর স্কয়ার শুধুই একটি অনুপ্রেরণা। জনগণ চাইলেই যে পারে, ওটা ছিলো একটি দৃষ্টান্ত। আন্দোলনের উদ্দেশ্য এক না হলেও, একই রকমভাবে আমরা জনগণকে উৎসাহিত করতে পারি।”



তবে সকলেই “তাহরীর স্কয়ার” নামে একমত নন। ব্লগার আলম চৌধুরী বললেন, “এটি তাহরীর স্কয়ার নয়। এটি হলো বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে মেডিকেল কলেজের চত্বর। অন্য দেশ থেকে দৃষ্টান্ত আনার প্রয়োজন নেই, যেখানে আমাদের নিজেদেরই তা আছে।”



আন্দোলনটি চতুর্থ দিনে গড়ানোর সাথে সাথে ‘প্রজন্ম চত্তরে’ মানুষের অংশগ্রহণ আরও বেড়েই চলেছে। এ যেন একাত্তরের ফিরে আসা চেতনা।

===============================



*শুধু গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মূলবক্তব্য দেওয়া হলো, সহযোদ্ধা ভাইবোনদের জন্য। জয় বাংলা!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সবুজ-ভাই বলেছেন: এটা আই রিপোর্ট মূলত ব্যাক্তিগত মতামতের ব্লগ কোন অফিসিয়াল নিউজ নয়। তারপরও আ.ই.সজীবের লেখাটি ভাল হয়েছে। কিন্তু আন্দোলোনে দেশের খুব লাভ হবে বলে এখনও মনে হচ্ছে না।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আই-রিপোর্ট, তো খবরেই লেখা আছে, কিন্তু সিএনএন কর্তৃক সমর্থিত নিউজ। আন্দোলনে যুক্ত না থাকলেই কেবল ফলাফল সম্পর্কে এরকম মতামত দেওয়া যায়। আপনি কি দেশে অবস্থা করছেন না?

ফলাফল নিয়ে সন্দিহান হয়ে আন্দোলন করা যায় না। মুক্তিযুদ্ধও ওভাবে করা যেতো না।

আপনাকে শুভেচ্ছা!

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

এই সব দিন রাত্রি বলেছেন: পুট দিস অন টিভি নামে একটা বাটন আছে নিচে, ওটাতে দিতে হলে সাইন আপ করতে হয়। সবাই সাধ্যমত চেষ্টা করুন, সব আন্তর্জাতিক মাধ্যমে এটাকে ব্রেকিং নিউজ করতে হলে আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।

শুভেচ্ছা অফুরন্ত!!

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪০

সবুজ-ভাই বলেছেন: ফলাফলটা কি হবে আপনার মুখ থেকেই একটু শুনি ?

স্বাধীন দেশ তো তাই বেশীদিন দেশে থাকতে পারিনি।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনি মনে হয় অকারণেই আহত হয়েছেন।

শুনুন, এটি মুক্তিযুদ্ধের সিকোয়েল। দায়মুক্তির আন্দোলন। যুব বিপ্লব।
সারাদেশ কাঁপছে চেতনাদীপ্ত উত্তেজনায়। ষষ্ঠ দিনেও অংশগ্রহণ অব্যাহত।
প্রতিটি জেলায় গঠিত হয়েছে গণজাগরণ চত্বর। শুধু ঢাকায় নয়।

এমন অভাবনীয় আন্দোলন আগে কখনও দেখি নি।এটি কোন মিডিয়ার পক্ষে পুরোপুরি কাভারেজ দেওয়া সম্ভব নয়, যেমন সম্ভব ছিলো না মুক্তিযুদ্ধের কাভারেজ দেওয়া।

আপনি বাংলাদেশের হলে খবর রাখুন, যতটুকু ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। ফলাফল আপনিও বলতে পারবেন। আমাদের প্রত্যাশা একটি ভালো খবর।

শুভেচ্ছা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.