নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক লংমার্চ নিয়ে নানা ধরণের আলোচনা ও মতামত উত্থাপিত হচ্ছে। কেউ বলছে এটি বিরোধীদলের আয়োজন, কেউ বলছে এটি যোদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করার জন্য। কেউবা বলছে, এটি শাহবাগীদের বিপক্ষে প্রতি-বিপ্লব। এর অনেকটাই আংশিক সত্য হলেও, পরিপূর্ণ সত্যের জন্য আমাদেরকে আরও পর্যবেক্ষণ করা উচিত। একটি ধর্মীয় আন্দোলনের যে নিজস্ব আকর্ষণ আছে, সেটিও মনে রাখতে হবে। সরকারের ব্যর্থতা এবং অজনপ্রিয়তা এখন সামান্য চা’য়ের আড্ডায়ও প্রভাব ফেলবে, তাতে সন্দেহ নেই। ফলে, আলোচিত লংমার্চে যে জামাত-শিবির এবং অভিযুক্ত যোদ্ধাপরাধীদের মদদ আছে, সেটা কেউ প্রমাণ না দিলেও অনুমেয়।
জামাত-শিবিরের অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা নেই বললেই তা অস্বাভাবিক এবং অবিশ্বাস্য হবে। তারপরও বলা যায়, হেফাজতে ইসলাম অরাজনৈতিকভাবেই সংগঠিত হয়েছিলো এবং তাদের উদ্দেশ্যও ছিলো শুধুমাত্র ধর্মীয় মূল্যবোধের মধ্যে সীমিত। সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিমের দেশে আল্লাহ-রাসুলকে কথিত অবমাননার জন্য এতটুকু সমাবেশ কমই বলা যায়। যাদের বিরুদ্ধে যা বলা হচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, এবং নিজেদের নির্দলীয় অবস্থান সম্পর্কে যা দাবি করা হচ্ছে তা যদি সত্যি হয়, তাহলে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে কম লোকই হয়েছে বলতে হবে।
স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে হেফাজতে ইসলামের আয়োজনে বিরোধীদলীয় রাজনীতির প্রভাব ছিলো। অংশগ্রহণও ছিলো। এটি আরও সুস্পষ্ট হলো লংমার্চের দিন দু’টি দলের আনুভূমিক আনুগত্য দেখে। ‘মানবিক কারণে’ তারা খাদ্য পানীয় দিয়েছে বললেও সেটা ছিলো পুরোপুরি রাজনৈতিক সহযোগিতা, যেন সরকার-বিরোধী আন্দোলনে তাদের সংহতিকে কাজে লাগানো যায়। তাই, রাজনৈতিক দলগুলো একে যেভাবে উপস্থাপন করলে ফায়দা আছে, সেভাবেই তারা মতামত দিচ্ছে।
লংমার্চে উত্থাপিত দাবি ও বক্তব্যে অনেক বিষয় আছে দ্বিমত প্রকাশ করার, অনেক বিষয় আছে যা সংবিধান ও গণতন্ত্রের পরিপন্থী। তাদের দাবির নায্যতা নিয়েও চুলছেড়া বিশ্লেষণ করা যায়। কিন্তু যতই বিতর্ক থাকুক, একে প্রতি-বিপ্লব (counter revolution) হিসেবে চিহ্নিত করা হবে একটি অগভীর এবং দায়িত্বহীন পদক্ষেপ।
প্রতি-বিপ্লব বা তালেবান রাষ্ট্র বানাবার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখার কোন যুক্তিই নেই। ৮৭% ভাগ মুসলমানের এদেশে আল্লাহ-রাসুলকে কটাক্ষকারীদের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য সংগঠিত হেফাজতে ইসলামের উত্তেজনা একটি স্বাভাবিক স্বাভাবিকই প্রতিক্রিয়া। তাদের মত ও ধর্মীয় অনুভূতি প্রকাশের অধিকারকে সম্মান জানাই। লংমার্চের অনুমতি ও সহযোগিতা দিয়ে সরকার গণতান্ত্রিক দায় পালন করেছে।
ঠিক সেভাবে বাকি ১৩% জনতার ধর্মকেও কটাক্ষ করার সুযোগ নেই। কারও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার অধিকার সংবিধানে দেওয়া হয় নি। গণতান্ত্রিক দেশে পরমত সহিষ্ণুতা একটি অতি স্বাভাবিক আচরণবিধি। হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ নিয়ে যতই বিতর্ক সন্দেহ ও দ্বিধা থাকুক, এমুহূর্তে একে ‘অরাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্মেলন’ হিসেবে না দেখার কোন যুক্তি নেই।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১১
আমরা তোমাদের ভুলব না বলেছেন: ঠিক সেভাবে বাকি ১৩% জনতার ধর্মকেও কটাক্ষ করার সুযোগ নেই। কারও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার অধিকার সংবিধানে দেওয়া হয় নি। গণতান্ত্রিক দেশে পরমত সহিষ্ণুতা একটি অতি স্বাভাবিক আচরণবিধি। হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ নিয়ে যতই বিতর্ক সন্দেহ ও দ্বিধা থাকুক, এমুহূর্তে একে ‘অরাজনৈতিক এবং ধর্মীয় সম্মেলন’ হিসেবে না দেখার কোন যুক্তি নেই।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মতামতের জন্য ধন্যবাদ
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
পুংটা বলেছেন: দেশের মানুষ সব আজ হুজুর হয়ে গেছে। মানুষ আর নেই এই দেশে। :#>
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: যা আশংকা করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয় - তবে আপনার কথাই বাস্তবায়ন হবে। কায়মনে চাই সেটা না হোক!
মতামতের জন্য ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০১
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: আজব তো! ইন্দোনেশিয়ার শরিয়া অনুসরণ এক প্রদেশে মহিলাদের পাদ মারতে নিষিদ্ধ করে ফতোয়া দিয়েছে ।
বিঃদ্রঃ- খবরটি দেখে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা করছে