নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“পাঠকের একটি চিন্তাশীল মন্তব্যকে আমি নিজের লেখার চেয়েও বেশি মূল্যায়ন করি। পাঠকের মন্তব্য দেখে আমি বারবার ফিরে যাই নিজের লেখায়। নিজেকে অন্যের চোখে দেখে ভীষণভাবে প্রভাবিত হই। একেকটি মন্তব্য যেন নিজেকে দেখার একেকটি আয়না।” একজন বিখ্যাত অনলাইন একটিভিস্টের মন্তব্য। অন্য একজন অনলাইন লেখক অকপটে বললেন, “মন্তব্য ছাড়া নিজের লেখাকে নিজেই আমি চিনতে পারি না। কম বা হালকা মন্তব্যের লেখাগুলোকে যেন অন্যের সন্তানের মতো অচেনা লাগে!” আমি মনে করি, লেখা এবং মন্তব্য দু’টিই মৌলিক হতে পারে। যদি প্রশ্ন করা হয়, লেখা এবং মন্তব্যের মধ্যে কোনটিকে বেশি মনযোগ এবং গভীরভাবে দেখা হয়? আমি বলবো, মন্তব্য। একটি মৌলিক মন্তব্য দিয়ে সংশ্লিষ্ট পোস্টদাতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারেন। একটি লেখা লেখকের আত্মা – মন্তব্য দেওয়া মানে হলো, তার আত্মায় প্রবেশ করা। সংখ্যা কম হলেও তাৎপর্য অনেক!
নিজের পোস্ট প্রকাশ করা এবং অন্যের পোস্টে মন্তব্য দেওয়া – মাত্র দু’টি কাজ করেই ইন্টারনেটের ভারচুয়াল সমাজে আমরা নিজেদের অস্তিত্বকে ধরে রেখেছি। ফেইসবুক হোক আর ব্লগ হোক, প্রক্রিয়াটি প্রায় একই রকম। ভালো পোস্ট দিতে না পারলে তাতে কারও সাথে সম্পর্ক নষ্ট হয় না, কিন্তু ভালো মন্তব্য না্ করতে পারলে সম্পর্কে তো চির ধরেই, ভারচুয়াল ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়। ভালো লেখক মানেই হলো ভালো পাঠক। কিন্তু ইন্টারনেটে ‘ভালো মন্তব্যকারী’ না হলে ভালো পাঠক হবার হবার কোন মূল্য নেই। ভালো পাঠক হওয়া সত্ত্বেও ‘ভালো মন্তব্য’ করা হয়ে ওঠে না এরকম অনেক লেখক, গল্পকার ও ছড়াকার আমি দেখেছি। পড়েছেন বুঝেছেন কিন্তু কীভাবে এর ‘প্রতিক্রিয়া’ প্রকাশ করবেন, সেটি নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। ‘ভালো হয়েছে’, ‘দারুণ’ অথবা শুধু ‘ধন্যবাদ’ দিয়েই শেষ করেন। তাতে পোস্টদাতা মনে করতে পারে, আপনি তার লেখাই পড়েন নি।
ভালো মন্তব্য করতে ‘না পারার পেছনে’ অনেক কারণ আছে, কিন্তু ‘পারার পেছনে’ কী কী উপায় আছে - সেটি নিয়েই এখানে কথা বলতে চাই।
(১) আপনার ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রতি গুরুত্ব দিন:
পোস্ট/লেখাটি পড়ে আপনার কেমন লেগেছে? কিছু পোস্ট আছে আপনাকে হাসাবে, কিছু বিষয় আপনাকে বিষাদাক্রান্ত করবে, কিছু লেখা আপনাকে নতুন তথ্য জানাবে, কিছু বিষয় আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করবে, কিছু বিষয় আপনার প্রিয়জনের কথা মনে করিয়ে দেবে, অথবা আপনাকে স্মৃতিকাতর করে তুলবে, আপনাকে ঈশ্বরপ্রেমে মগ্ন করবে, আপনাকে কাঁদাবে অথবা আপনার দীর্ঘদিনের বিশ্বাসকে দেবে নাড়া। এরকম যদি হয়, তবে কেন তা হলো, মন্তব্যে প্রকাশ করুন।
(২) আপনার প্রতিক্রিয়া/মনোভাবটি বুঝে নিন:
প্রকাশিত পোস্টের বিষয়ে কি আপনি একমত? লেখক বা পোস্টদাতা একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, যাতে আপনি একমত অথবা দ্বিমত। দ্বিমত হলে ‘অব্যক্তিকভাবে’ অর্থাৎ ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে আপনার কারণটি তুলে ধরুন। একমত হলেও সেখানে কিছু অতিরিক্ত মতামত তুলে ধরতে পারেন।
(৩) লেখার আলোকে আপনার অভিজ্ঞতাকে পর্যবেক্ষণ করুন:
আপনারও কি একই অভিজ্ঞতা হয়েছে কখনও? যদি হয়ে থাকে, তবে যতটুকু বলা যায় সংক্ষেপে তুলে ধরতে পারেন। না হলেও ‘কেন হয় নি’ বলতে পারেন, যদি উপযুক্ত এবং প্রাসঙ্গিক মনে করেন।
(৪) আপনার ‘ধারণাগত উন্নয়নের’ বিষয়টি মূল্যায়ন করুন:
যে বিষটি আপনি সামনে পেলেন, তাতে কি নতুন কোন ধারণা হয়েছে? নতুন কিছু কি শিখতে পেরেছেন? নতুন কোন উপলব্ধি? তাহলে তা অকপটে তুলে ধরুন আপনার মন্তব্যে। তাতে আপনি ছোট হবেন না, আপনার মন্তব্যের গ্রহণযোগ্যতাই কেবল বৃদ্ধি পাবে।
(৫) আপনার সন্তুষ্টির বিষয়টি মূল্যায়ন করুন:
যে বিষটি আপনি দেখলেন বা পড়লেন, তাতে কি আপনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট? আরও কি কিছু বাকি আছে জানার? কিছু বিষয়ে কোন অপূর্ণতা আছে কি? বন্ধুত্বপূর্ণ ভঙ্গিতে সে বিষয়টিতে লেখক/পোস্টদাতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হলে ব্যক্তিগত বার্তার মাধ্যমে তা জানাতে পারেন। তাহলে পোস্টদাতা আপনার প্রতি মনে মনে কৃতজ্ঞ থাকবেন।
(৬) পোস্টদাতাকে আরেকটু জানার চেষ্টা করুন:
হয়তো লেখার বিষয়টিতে পোস্টদাতার পূর্বের কোন লেখার সংযোগ আছে, অথবা লেখকের সামাজিক পরিচয়ের যোগসূত্র আছে। পোস্টদাতার প্রোফাইলে ক্লিক করে মুহূর্তের মধ্যে জেনে নিন তার ব্যাকগ্রাউন্ড: তিনি কে, কী বিষয়ে লেখেন, কী তার উদ্দেশ্য ইত্যাদি ইত্যাদি। পাঠক বা মন্তব্যকারী সম্পর্কে তার কী মনোভাব সেটি জানার জন্য পূর্বের কোন পোস্টে ক্লিক করতে পারেন। সবকিছুই আপনার মন্তব্যকে সমৃদ্ধ করবে, সৃজনশীল করবে। খেয়াল রাখবেন, লেখকের বর্তমান লেখার ওপর ভিত্তি করেই আপনাকে মন্তব্য করতে হবে।
(৭) বিষয়টি সম্পর্কে আরেকটু জানার চেষ্টা করুন:
কবিতা হলে ভালোমতো পড়ে নিন, দুঃখের কবিতায় উচ্ছ্বাসপূর্ণ মন্তব্য দেবেন না! অথবা কবিতা পড়ে বলবেন না, গল্পটি ‘দারুণ হয়েছে!’ শোকবার্তায় ‘আনন্দের’ ইমোটিকোন দেবেন না! একবার ভুল হলে, আপনার ভারচুয়াল ইমেজ স্থায়িভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিষয় সম্পর্কে জানতে প্রয়োজনে আরও খোঁজ নিন। ইন্টারনেটে চাইলে পাওয়া যায় না এমন কোন তথ্য প্রায় নেই। বাংলায় সার্চ দিলেও আপনি অনেক তথ্য পেয়ে যাবেন।
(৮) মন্তব্যের কাঠামো নির্ধারণ করুন:
মন্তব্যের ঘরে শুধুই আপনার মন্তব্য দেবেন, নাকি পোস্টদাতার লেখা থেকে উদ্ধৃত করবেন? শুধুই মন্তব্য দিলে, সুস্পষ্টভাবে লিখুন আপনার প্রতিক্রিয়া। একাধিক বিষয়ে মন্তব্য দিতে একাধিক অনুচ্ছেদ ব্যবহার করুন। উদ্ধৃতি দিতে চাইলে, খেয়াল করবেন: লেখকের দুর্বল বিষয়টি যেন ওঠে না আসে! লেখক যে বিষয়টিতে আলোকপাত করতে চেয়েছেন, ঠিক সেটি খুঁজে বের করতে চেষ্টা করুন।
(৯) তুলনামূলক মূল্যায়ন করুন:
অন্য কারও লেখার সাথে কোন বিষয় সামঞ্জস্য/বিরোধপূর্ণ হলে তা গঠনমূলকভাবে তুলে ধরতে পারেন। ‘অন্য কেউ’ বলতে বর্তমান বা অতীতের, অনলাইন বা অফলাইনের যে কেউ হতে পারেন। লেখকেরও অন্য কোন লেখা/পোস্টের সাথে বর্তমান বিষয়টির মূল্যায়ন হতে পারে। তুলনামূলক মূল্যায়ন করতে যেয়ে কাউকে যেন ‘ব্যক্তিগতভাবে অবমূল্যায়ন’ না করা হয় খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে কৌশলগত কারণে ‘তুলনা’ পর্যন্ত গিয়ে থেমে যান, ‘মূল্যায়ন’ করতে চান না। আলোচনা করুন বিস্তারিতভাবে, কিন্তু সমালোচনা করুন সাবধানে! মূল্যায়ন একটি স্পর্শকাতর বিষয়, উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত এবং যুক্তি প্রদর্শন না করতে পারলে বিষয়টিতে না আগানোই হবে উত্তম।
(১০) ভারচুয়াল সততা রক্ষা করুন:
অনলাইনে এটি সহজ, কারণ এখানে স্বার্থের দ্বন্দ্ব কম। বাস্তব জীবনে নিজের আবেগ-উচ্ছ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করা সাধারণত কঠিন, কিন্তু আঙ্গুলকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ! নিজের ইচ্ছার বাইরে কাউকে খুশি করার চাপে থাকবেন না। সপ্তাহে ৫০০ লেখা পড়ে ৫০০টি ‘জেনুইন’ মন্তব্য দেওয়া প্রায় অবাস্তব, অসম্ভব এবং অগ্রহণযোগ্য। হয় আপনি বিদ্যাসাগরের জিন বহন করছেন, না হয় ভারচুয়াল প্রতারণা করছেন! দায়িত্বশীল মন্তব্য করে ভারচুয়াল ব্যক্তিত্ব তুলে ধরা, আর ‘সেরা মন্তব্যকারী’ হওয়া এক বিষয় নয়। আপনি কোনটি হতে চান, বেছে নিন। ভালো লাগলে পড়ুন, ইচ্ছে হলে মন্তব্য দিন। চাপে থাকারও প্রয়োজন নেই। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সততা রক্ষা করুন এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে লেখার মূল্যায়ন করুন, লেখককে যেন লক্ষবস্তু না করেন।
শেষ কথা:
মন্তব্যে স্বকীয়তা/নিজস্বতা রাখা কেবলই চেষ্টা আর ইচ্ছার ব্যাপার। যদি কিছু না বলতে পারেন, তবে অন্তত প্রচলিত শব্দাবলীকে এড়িয়ে নতুন শব্দ ব্যবহার করুন। তারপরও কিছু বলতে না পারলে দয়া করে মন্তব্য দেবেন না। অনেকেই মনে করেন, শুধু নিজের পোস্ট তৈরি করার সময়ই মনোযোগী হতে হয়, সৃজনশীল হতে হয়। আমি তাতে শতভাগ দ্বিমত পোষণ করছি, কারণ তাতে ভারচুয়াল ব্যক্তিত্বের দ্বিমুখী অবস্থানটি পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়। পোস্ট দেওয়া এবং মন্তব্য দেওয়া – দু’টি ভূমিকাই সমান গুরুত্বের। দু’টিতেই সমানভাবে দায়িত্বশীল হতে হয়। লেখা এবং প্রতিক্রিয়া উভয়ের সাথে আপনার নিজের নামটি জড়িয়ে আছে। পোস্ট এবং মন্তব্য দু’টিই আপনার, কোনটির মালিকানা অস্বীকার করার কায়দা নেই।
[[[ পাবলিক ব্লগে লিখতে গিয়ে কিছু উপলব্ধি আসলো - সেটাই শেয়ার করলাম। সহব্লগাররা এখানে নির্দ্বিধায় আরও কিছু বিষয় যোগ করতে পারেন । আলোচনা-সমালোচনার দ্বারও উন্মুক্ত থাকলো। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আধুনিক ব্লগারদের সামর্থ্য আর সম্ভাবনা যেকোন সময়ের চেয়ে এখন বেশি। বিশ্বাস করি, ছাপার অক্ষরের চেয়ে ব্লগারের লেখার শক্তি অন্যরকমভাবে বেশি, কারণ এখন বইয়ের পাতার চেয়ে কম্পিউটারের স্ক্রিনে মানুষ বেশি দৃষ্টি রাখে। তাই, এবিষয়ে সামু’তে ধারাবাহিকভাবে লিখে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।]]]
প্রাসঙ্গিক আরেকটি লেখা:
আধুনিক ব্লগারদের ১০টি প্রিয় ভুল ।
*ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “সময় আর মুড সহায় হলে বিস্তারিত বলতে ভালোবাসি।”
-হাহাহা, আমারও একই অবস্থা হয়। ধন্যবাদ
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভালো পোস্ট।
কিন্তু অনেকে তার লেখা সম্পর্কে কিছু বললে তা ইতিবাচক দৃষ্টিতে না দেখতে পারার হীনতায় ভোগেন। আবার কেউ আছেন পোস্ট দিয়ে তীর্থের কাকের মতো বসে থাকেন অন্যের কমেন্টের প্রত্যাশায় অথচ নিজে যাবেন না অন্যের পোস্টে।
মুখ রক্ষার জন্যেও অনেকে নিকৃষ্ট মানের লেখাকে ভালো বলে লেখকের সৃজনশীলতাকে দমিয়ে রাখেন।
অবশ্য আমার মন্তব্যের জবাবে ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোনো কথা থাকলে তার পোস্টকে বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
ভালো থাকুন সব সময়।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: একদম খাসা বলেছেন, কবি সাব
সকলেই তো লেখক নন। প্রেরণা পেলে লেখতে লেখতে লেখক হতে পারেন অনেকেই।
সামু’তে অনেক ভালো লেখক আছেন, অথচ তাদের এই ‘ভালো’ নিয়ে কোন অহংকার নেই। আমি তো মুগ্ধ!
আপনার মন্তব্য আমার লেখাকে সমৃদ্ধ করেছে। ধন্যবাদ!
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ভালা লাগলো, আপনার সাথে সহমত। বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ করছি সামুতে মন্তব্য খরা চলছে। অনেক সময় দেখা যায় ৫০/৬০ বার পঠিত হওয়ার পরও কোন মন্তব্য নাই, এটা দুঃখজনক। তবে পাঠক সংখ্যাও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় পোষ্টের চাইতে মন্তব্য পড়তেই ভালো লাগে যখন মন্তেব্যের মাধ্যমে আলোচনা বেম জমে উঠে।
এই পোষ্টের পরে পাঠক মন্তব্য করার ব্যাপারে আগ্রহী হবে বলে মনে করি, হওয়া উচিত। আমি নিজেও মন্তব্য করার ব্যাপারে যথেষ্ট অলস, এই আলসেমী ছাড়তে পারবো আশা করছি।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “আমি নিজেও মন্তব্য করার ব্যাপারে যথেষ্ট অলস, এই আলসেমী ছাড়তে পারবো আশা করছি।”
-এ অলসতা সকলেরই আছে। অন্তত আমাকে আপনার দলে নিয়ে নিন
লেখা মনে ধরলে, দু’এক কথা যাই লিখি মন্তব্যের ঘরে, তা যেন আন্তরিক হয়। সেটাই আমার চাওয়া।
-মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
রাধাচূড়া ফুল বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। সত্যি ভালো লাগল এবং কিছু শিখলাম।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: রাধাচূড়া ফুলকে আমার ব্লগে স্বাগতম!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটা পোষ্ট। ভালো লাগল। এই ব্যাপারে আমার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আমি ভালো পোষ্টের ক্ষেত্রে বাহ! খুব চমৎকার, কিংবা ভালো লাগল এর বাইরে খুব বেশি কিছু বলার খুঁজে পাই না। মাঝে মাঝে আমি নিজেই একঘেয়েমিতে ভুগি। তবে আমি চেষ্টা করি পোষ্টদাতার অবস্থাবুঝে তাকে মন্তব্য করতে। যেমন ধরুন, একজন খুব ভালো গল্প লিখেন, তার পোষ্টে এক রকম মন্তব্য হবে আবার যিনি বেশ আনাড়ি, মাত্র পরীক্ষামূলক ভাবে লেখা শুরু করেছেন তার পোষ্টে একরকম হবে।
আমি যখন দেখব আনাড়ী ব্যক্তি নিয়মিত কিছু লিখছেন তখন সেখানে গিয়ে তাকে সত্যিকার ভালো মন্দ জানানোটা জরুরী। নতুন হিসেবে তার যদি শেখার মনভাব থাকে তাহলে সেখানেও তাকে পরামর্শ দেয়া যায়। তবে জুলিয়ান দা যেমনটা বললেন, অনেকেই পরামর্শ ভালো ভাবে নিতে চান না। তাদের ক্ষেত্রে পরামর্শ দেয়া এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
পোষ্টটা ভালো লাগল। গুড ওয়ান।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনি তো আমার কথা বললেন। লেখা উপভোগ করলেও জোতমতো মন্তব্য করতে পারি না। নিজেই অতৃপ্ত, লেখক কীভাবে তৃপ্ত হবেন। কিন্তু আপনি পোস্টদাতার অবস্থা বুঝে মন্তব্য করতে পারেন, এটি একটি ভালো গুণ বলতে হবে।
নতুনদের বিষয়ে আপনার মনোভাবের সাথে আমি একমত। জুলিয়ান ভাই ঠিক কথাটিই বললেন। আমরা সমালোচনা সাধারণত সহ্য করি না। এবিষয়ে ৯ নম্বর অনুচ্ছেদে আমার অবস্থান তুলে ধরেছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় কাল্পনিক ভালোবাসা
৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক কিছু শিখলাম।
মনে হইতেছে এই পোস্ট আমার জন্যই লেখা হইছে।
+++++++++++ ।
আপনার কাছ থেকে এরকম আরো পোস্ট আশা ক
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আমার শ্রম তবে সার্থক। ধন্যবাদ।
তবে লেখার সব বিষয় যে আমিও পালন করি, তা নয়। তাই, লেখাটি আমারও জন্য!
হুম, চেষ্টা করবো আরও লিখতে।
শুভেচ্ছা, ইরফান আহমেদ বর্ষন
৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
স্বাধীকার বলেছেন:
ভালো লিখেছেন। মন্তব্য অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সাধারণত বড় মন্তব দিয়ে থাকি। অল্পকথায় ঠিক মতো সব বুঝাতে পারিনা। এমনও হয়েছে যে, পোস্টের চাইতে আমার মন্তব্যই বড়। সেক্ষেত্রে ভয়টা হলো লেখক বিরক্ত হন কিনা-সেটা নিয়ে।
সমাজ-রাষ্ট্র ইতিহাস এসব বিষয়ের পোস্টেই সাধারণত মন্তব্য করি। ফুল পাখি লতা পাতা আমি তুমি-এসব লেখা বুঝিনা, পড়িনা-তাই মন্তব্যও করিনা। আরেকটি বিষয় মেনে চলি সেটা হলো, কারো পোস্টে মন্তব্য দিলে লেখক মন্তব্যের জবাব না দিলে-তার আর কোনো লেখাতেই মন্তব্য করিনা-যত ভালো লেখাই হোক, যত দামী ব্লগারই হোক।
যেসব ব্লগার অনবরত পোস্ট প্রজনন করেই চলে, আগের পোস্টের মন্তব্যের জবাব না দিয়েই আরেকটি পোস্ট করে-তাদের লেখায় মন্তব্য না দেওয়াই উচিত। এতে দুটো কাজ হতে পারে, তিনি মন্তব্যের জবাবের প্রতি যে দায়বদ্ধ তা বুঝতে পারবেন, ফ্লাডিংটাও কমার সুযোগ থাকে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “অল্পকথায় ঠিক মতো সব বুঝাতে পারিনা। এমনও হয়েছে যে, পোস্টের চাইতে আমার মন্তব্যই বড়। সেক্ষেত্রে ভয়টা হলো লেখক বিরক্ত হন কিনা-সেটা নিয়ে।”
--------------------------------
হাহাহা, এরকম অনেকেরই হয়। মন্তব্য দীর্ঘ হলেও সঙ্গত কারণেই লেখক সেটা পড়েন। তবে মন্তব্যের দৈর্ঘ যা-ই হোক, আন্তরিকতাটি জরুরি।
আমিও পছন্দমতো পড়ি। কবিতা কম বুঝি! যা ভালো লাগে, তা পড়ি। ভাব আসলে মন্তব্যও করি
ফ্লাডিং যারা করে এবং যারা মন্তব্যের উত্তর দেয় না, তাদের সম্পর্কে আপনার অবস্থানের যুক্তি আছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, স্বাধীকার!
এবং আমার ব্লগে স্বাগতম
৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
দি ম্যাট্রিট্রিকস রিলোডেড বলেছেন: পোস্ট অনেক ভালো হয়ছে
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম
ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত।
কৃতজ্ঞতা জানবেন!
৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হৃদয় রিয়াজ বলেছেন: সত্যি তো ব্যাপারগুলো ওইভাবে ভাবা হয় নি। লেখক কে ধন্যবাদ চমিৎকার একটা বিষয়ে আলোকপাত করার জন্য…
ভাল লাগা।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নিজের অভিমত জানাবার জন্য।
এব্লগে আপনাকে স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা
১০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: একটা পোস্ট দেয়ার মতই মন্তব্যের অনেক দায় দায়িত্ব থাকে, সেদিকে সবার নজর দেয়া উচিৎ।
আপনার সুন্দর আলোচনার জন্য ধন্যবাদ
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ডাইরেক্ট টু দ্য হার্ট
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাই!
১১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: আমি মনে করি কোন পোস্ট পড়লে মন্তব্য করে আসা উচিত । আপনার মন্তব্যে ঐ পোস্ট সম্পর্কে শুধু আপনার ভাবনারই প্রকাশ ঘটে না, একটা ব্লগিয় ইন্টারেকশন তৈরি হয় । আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, শুধু লিখলে বা পড়লেই ব্লগার হওয়া যায়না । ব্লগিংয়ের মুল কনসেপ্টই হল কমিউনিটির সাথে ইন্টারেকশন, আর এই ইন্টারেকশন হয় মুলত মন্তব্যের মাধ্যমে ।
এখন মন্তব্য ছোট বা বড় এটা কোন উল্লেখযোগ্য ব্যাপার নয় । মন্তব্য হতে হবে পোস্ট প্রাসঙ্গিক । অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য তা যত সুন্দরই হোক, তা কাম্য নয় ।
মন্তব্যে পোস্ট প্রসঙ্গে আপনার চিন্তার প্রকাশ থাকবে । এখন আপনি এক লাইনেই চমৎকারভাবে আপনার চিন্তাটা প্রকাশ করতে পারেন, কিংবা প্রসঙ্গের আরও ভিতরে ঢুকে আপনার চিন্তাটা বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারেন ।
মন্তব্য হিসাবে আমার সবচেয়ে পছন্দ বুদ্ধিদীপ্ত 'ওয়ান লাইনার' বা পান্চ লাইন । পোস্টের বক্তব্য নিয়ে পাঠকের চিন্তা, একই সাথে দারুণ হাস্যরস- এক লাইনেই যারা প্রকাশ করতে পারেন তাদের স্যালুট জানাই ।
আমি 'ওয়ান লাইনার' পারি না, তাই আমার মন্তব্য একটু বড় হয়ে যায় ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, শুধু লিখলে বা পড়লেই ব্লগার হওয়া যায়না। ব্লগিংয়ের মুল কনসেপ্টই হল কমিউনিটির সাথে ইন্টারেকশন, আর এই ইন্টারেকশন হয় মুলত মন্তব্যের মাধ্যমে।”
--------------------------
চমৎকার সংযুক্তি দিয়েছেন ভাই! আপনার প্রতিটি কথাই উদ্ধৃতি করার মতো! হুম, মন্তব্যের দৈর্ঘ্য মূল বিষয় নয়, জেনুইন হওয়াই আসল কথা।
‘ওয়ানলাইনার’ ভালো পারেন এরকম ব্লগার সামু’তে আছেন। তাদের কথা আমি উপভোগ করি। আমিও তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মামুন রশিদ
১২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
বেশ ভালো লেখা। সুলিখিত লেখা। যত্ন ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর আছে।
হ্যাঁ, "মন্তব্য"-ই ব্যক্তি, ব্যক্তিত্ব। মন্তব্যের মাধ্যমেই পোষ্টদাতার জ্ঞান, চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা, রসবোধ, পরিমিতিবোধ, মাত্রাবোধ ইত্যাদি আচঁ করা যায়।
খুবই ম্যাচিউর্ড্ লেখকের জন্য সংক্ষিপ্ত মন্তব্য হলে চলে।
আমি পোষ্টের সংখ্যা, ভিজিটর নয়, মন্তব্যের নিরিখেই ব্লগারের মান বিচার করি। সেরকম একজন ব্লগার পেয়েছি "রাগ ইমন"। আই লাইক হার। প্রথম দিককার ব্লগার।
খুবই নির্ভুল লেখা এটি। সুন্দর বাংলা। এ রকম নির্ভুল বাংলা সামুতে খুব কম দেখা যায়।
+++
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “মন্তব্যের মাধ্যমেই পোষ্টদাতার জ্ঞান, চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা, রসবোধ, পরিমিতিবোধ, মাত্রাবোধ ইত্যাদি আচঁ করা যায়। খুবই ম্যাচিউর্ড্ লেখকের জন্য সংক্ষিপ্ত মন্তব্য হলে চলে।”
-----------------------------------
দারুণ বললেন! সংক্ষিপ্ত লিখতে পারা একটি শিল্প, যার ধারেকাছেও আমি নেই! ‘রাগ ইমনকে’ খুঁজে দেখবো।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে সিক্ত হলাম, আশরাফ মাহমুদ মুন্না
অনেক কৃতজ্ঞতা
১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪১
শায়মা বলেছেন: বুঝেছি ভাইয়া আমার লেখা না পড়েই কমেন্ট দিয়ে আর ধরা খেয়েই তুমি এই পোস্টের বিষয়বস্তু নিয়ে ভেবেছো!:p
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শায়মা, আপনার কথামতো আপনি তো তাহলে আমার লেখার ‘প্রেরণা’ হয়ে গেলেন, ভাই! ধন্যবাদ।
আপনার লেখা আমি বুঝি পড়ি না?! আপনার খেয়াল থাকা উচিত, আপনার লেখা পড়ে প্রথমবারেই আমি অনুসরণ করতে শুরু করেছি। দেখুন।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে আমি সবসময়ই খুশি।
শুভেচ্ছা অফুরন্ত
১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫০
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: আমি আবার পানি ভাত টাইপ ব্লগার, আমার দৌড় সেই ভালা লাগা আর খারাপ লাগার মাঝে সীীমাবদ্ধ! তয় টেরাই করি সত থাকার তবে অনেক সময় সেটাও পারা যায় না!
তবে অনেকে আছেন যারা তাদের লেখায় ভাল লাগে নাই টাইপ কমেন্ট দেখতে লাইক করেন না!
সমমনা অনেকের সাথে কিন্তু পজেটিভ নেগেটিভ কমেন্ট চালাচালি করতে বেশ ভালা যায়, অনেক কিছু শিখা যায়, জানা যায়
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ‘সমমনা’ হলে বা পরিচয় হবার পর সমালোচনা করা যায়। আমরা তো সমালোচনা বলতে শুধুই নেগেটিভ বুঝি। অথচ সাহিত্য সমালোচনা আরও উচ্চমার্গীয় বিষয়। এবিষয়ে ৯নম্বর অনুচ্ছেদে আমার অবস্থান আমি তুলে ধরেছি।
“তয় টেরাই করি সৎ থাকার তবে অনেক সময় সেটাও পারা যায় না!”
-হাহাহা!
এটিই সবচেয়ে সত্যিকার অবস্থা, আপনি যা বললেন। তাতে আপনার আন্তরিকতা বুঝা যায়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, মাসুম আহমদ ১৪!
শুভ ব্লগিং
১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো পোস্ট।
মনে করবেন না যে, আমি পড়িনি। পুরো লিখাই পড়েই বলছি এটা একটা ভালো পোস্ট। ও এবং ধন্যবাদ
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনাকে তো আমি জানি, খেয়া ঘাট!
দীর্ঘ মন্তব্য দিলেও আপনি যা বললেন, সেরকম অভিযোগ থাকতে পারে।
আপনাকেও ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
ভালো থাকুন প্রবাসে....
১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া সত্যি বলে দিয়েছি তাই প্রেরনা বলো আর যাই বলো....সত্যি কিন্তু চাপা থাকবেনা!
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনার লেখায় আমার প্রথম মন্তব্যটি দেখুন (ডিসেম্বর/২০১২)।
আপনার বিগত লেখায় (অগাস্ট/২০১৩) আমার প্রথম মন্তব্যে আমি কোথাও বলি নি যে, আপনার পুরো লেখাটি আমি পড়েছি। তবে দ্বিতীয় মন্তব্যে আমি সেটি বলেছি। যখন যা বলি আন্তরিকভাবেই বলি। লেখকের বিশ্বাসকে অবমূল্যায়ন করি নি। অতএব আপনি সত্যও বলছেন না, শায়মা
কিন্তু আপনি আমার ছোটবোন তুল্য, তাই ভুলটি ভাঙিয়ে দিতে হলো।
বলা বাহুল্য, আমার আজকের লেখাটি ‘সৃজনশীল মন্তব্য’ নিয়ে
শুভেচ্ছা আবারও
১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
মিনহাজুল হক শাওন বলেছেন: ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, মিনহাজুল হক শাওন
১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার পোস্টে আমি দুবার মন্তব্য দিছি , সামুর বাগে খাইছে এইবার নিয়ে
তিনবার এবং এনার্জিও শেষ আমার ।
শুধু সহমত জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি ।
আপনি বেশ ভাল ভাল পোস্ট দিচ্ছেন , পজিটিভ ব্লগিং করছেন ।
আপনার এ ব্যাপারটা আমার ভাল লাগছে ।
ভাল থাকুন মইনুল ভাই ।
শুভকামনা রইল ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মাহমুদ০০৭, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। সামু’র বাগ সমস্যার মধ্যেও একাধিকবার চেষ্টা করে শেষ এনার্জি দিয়ে একটি আন্তরিক মন্তব্য আপনি দিয়েছেন।
আমি কৃতজ্ঞ
আপনার জন্যও শুভকামনা
১৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪
এম মশিউর বলেছেন: শিক্ষনীয় পোস্ট।
অনেক বড় মাপের ব্লগাররা মনে করেন, তাদের থেকে নিম্ন মানের ব্লগারদের পোস্টে মন্তব্য করলে তাদের মান কমে যাবে।
কিন্তু নতুন ব্লগাররা তাদের প্রিয় ব্লগারদের মন্তব্য নিজের পোস্টে দেখলে অনেক অনুপ্রাণিত হয়।
তাই আমার মন্তব্যঃ নতুনদের পোস্টে কমেন্ট করে তাদের অনুপ্রাণিত করা হোক। তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে কিছু সাজেশন দিক। পোস্টের কোন দিকটা ভালো লেগেছে, কোন দিকটা ভালো লাগে নি, পোস্টটিতে আরো কি কি দেওয়া যেত বা কি কি বাদ দিলে ভালো হত___এই সব গঠনমূলক মন্তব্য করলে নতুনদের জন্য সুবিধা হত।।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “নতুনদের পোস্টে কমেন্ট করে তাদের অনুপ্রাণিত করা হোক।”
-আপনার দাবির প্রতি শতভাগ একাত্মতা রইলো
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এম মশিউর।
শুভেচ্ছা জানবেন!
২০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
শ্যামল জাহির বলেছেন: "তুলনামূলক মূল্যায়ন করতে যেয়ে কাউকে যেন ‘ব্যক্তিগতভাবে অবমূল্যায়ন’ না করা হয় খেয়াল রাখতে হবে।"
প্লাস!
-(১) শিরোনাম দেখে 'বাকিটুকু পড়ুন' ক্লিক করতে যখন দেখি অনেক লম্বা পোস্ট, তখন পড়ার আগ্রহ কমে যায়। বাধ্য হয়েই এড়িয়ে যাই। তাছাড়া, আমার নেটে থাকারও সময় কম।
(২) অনেক লিখার কঠিন শব্দ-বাক্য বুঝিনা বিধায়- লিখার উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনা!(আরো অনেক বিষয় আছে)
আপাতত এই বিষয় গুলির কারণে অনেকের পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ পাইনা।
মন্তব্য করার চেষ্টা করবো। তবে, আমার মত অনেক সাধারন পাঠকদের সহজে পড়ে মন্তব্য করার দিকটা লিখকদের দৃষ্টি রাখা উচিৎ!
ধন্যবাদ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: শ্যামল জাহির, আপনাকে ধন্যবাদ সহজাত দু’টি সমস্যা তুলে ধরার জন্য।
বলতে দ্বিধা নেই, এর মধ্যে আমিও আছি। আমি একজন পাঠক-লেখক! আমারও সময় কম এবং সবার লেখা বুঝি না। বিশেষত কবিতা তো আমার কাছে গণিতের চেয়েও কঠিন!
তাই, যা বুঝি তা-ই পড়ি, যাতে নিজের জন্য কিছু পাই তাতে মন্তব্য দিই।
অনেক শুভেচ্ছা জানবেন
২১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫২
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শুরুতেই একটু চমকে গিয়েছিলাম, সৃজনশীল মন্তব্যের আবার ফর্মুলা কী! মনোযোগী পাঠকের মন্তব্য সৃজনশীল হতে বাধ্য, যদি সে অকপটে নিজেকে প্রকাশ করে, আর যদি সেইটা লেখার সময় ও ভাব তার থেকে থাকে! অনেক সময় অনেক পোস্ট পড়ে অনেক কথা ভাবি, কিন্তু মন্তব্য আকারে গুছিয়ে লেখা হয় কম। তবে পোস্টে সামনের দিকে যেতে মূলভাব বুঝতে পেরেছি এবং অনেক ভালো লেগেছে! চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।
চলুন আপনার নির্দেশনা অনুসারে একটা সৃজনশীল মন্তব্য করা যাক-
(১)- শিরোনাম দেখে একটু চমকে গিয়েছিলাম! মন্তব্য করার আবার নিয়ম আছে নাকি! পরে পুরো পোস্ট পড়ে ভালো লেগেছে।
(২)- ভাই, আমি আপনার পোস্টের সাথে পুরোপুরি একমত। ব্লগের অন্যতম প্রধান শক্তি হচ্ছে এখানে সরাসরি লেখক পাঠকের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ, আর তার প্রধান বাহন হচ্ছে মন্তব্য। মন্তব্যের গুরুত্ব আপনি খুব দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যা আমারও মনের কথা!
(৩)- প্রযোজ্য নহে, যেহেতু এখানে আপনি কোনো অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন নি।
(৪)- মন্তব্য লেখার বিষয়ে আসলে আমি ততবেশী ভাবিনি কখনও, কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে আমার মাথায় অনেক চিন্তা খেলে গেল, এগুলো ভবিষ্যতে আমাকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করতে সাহায্য করবে। আপনাকে ধন্যবাদ।
(৫)- এই পোস্ট পড়ার আগে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে আমার খুব নিজেকে দূর্বল লাগতো, আমার আশঙ্কা হত আমি কি একটা নজরকারা মন্তব্য করতে পারব? এখন আমার নিজেকে অনেক আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে। আপনি যদি এবার আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে মন্তব্যের কিভাবে একটা সৃজনশীল উত্তর দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোকপাত করে একটা পোস্ট দেন, আমার মত অনেক দুবলা ব্লগার অনেক উপকৃত হবে। আশা করি বিষয়টা মাথা রাখবেন।
(৬)- আপনি একজন লেখক মানুষ, সেই সাথে স্বদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলা আপনাকে আলোড়িত করে, এরকম চমৎকার পোস্ট আমরা আপনার কাছ থেকে আরও আশা করি। আপনাকে আমি অনুসরণ শুরু করলাম!
(৭)- এই পোস্টে প্রযোজ্য নহে।
(৮)- নিজের ইচ্ছার বাইরে কাউকে খুশি করার চাপে থাকবেন না। সপ্তাহে ৫০০ লেখা পড়ে ৫০০টি ‘জেনুইন’ মন্তব্য দেওয়া প্রায় অবাস্তব, অসম্ভব এবং অগ্রহণযোগ্য। হয় আপনি বিদ্যাসাগরের জিন বহন করছেন, না হয় ভারচুয়াল প্রতারণা করছেন! দায়িত্বশীল মন্তব্য করে ভারচুয়াল ব্যক্তিত্ব তুলে ধরা, আর ‘সেরা মন্তব্যকারী’ হওয়া এক বিষয় নয়। আপনি কোনটি হতে চান, বেছে নিন। ভালো লাগলে পড়ুন, ইচ্ছে হলে মন্তব্য দিন। চাপে থাকারও প্রয়োজন নেই। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সততা রক্ষা করুন এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে লেখার মূল্যায়ন করুন, লেখককে যেন লক্ষবস্তু না করেন।
(৯)- ব্লগে সুন্দর মন্তব্য করা বিষয়ে আগে কিছু পোস্ট আমি পড়েছি, তবে তা বেশীরভাগ ছিল কিভাবে আরও হিট হবেন, কিভাবে তেলবাজী মন্তব্য করবেন- অধকাংশই ফান পোস্ট। কিন্তু আপনি এই পোস্টে সিরিয়াসলি যে চমৎকার আলোচনাটা করেছেন তা আমি আগে পড়ি নাই।
(১০)- আমার ব্লগার পরিসংখ্যান বলে আমি এক বছরে যদি ৩০০০ মন্তব্য করে থাকি তাহলে - (৩০০০/৪৮)= ৬২ তার মানে আমি সপ্তাহে গড়ে মন্তব্য করেছি ৬০ খানা। যা আপনার পোস্টে উল্লেখিত ৫০০ এর ধারেকাছে নয়। ইহা প্রমান করে আমি মন্তব্য করার বিষয়ে সৎ!
শেষ কথাঃ আশা করছি আপনি আমার মন্তব্যের হাস্যরস অংশটুকু উপভোগ করবেন, এবং জানবেন আমি আপনার পোষ্টে অনেক ভালো লাগা রেখে যাচ্ছি!
শুভকামনা!
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: দারুণ কিছু অভিমত তুলে ধরেছেন। আমি উদ্ধৃতি করছি:
“মনোযোগী পাঠকের মন্তব্য সৃজনশীল হতে বাধ্য, যদি সে অকপটে নিজেকে প্রকাশ করে, আর যদি সেইটা লেখার সময় ও ভাব তার থেকে থাকে!”
“ব্লগের অন্যতম প্রধান শক্তি হচ্ছে এখানে সরাসরি লেখক পাঠকের মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ, আর তার প্রধান বাহন হচ্ছে মন্তব্য।”
-------------------------------------------------
আপনার প্রতিটি প্রতিক্রিয়া মজার এবং বুদ্ধিদীপ্ত। মন্তব্য সম্পর্কে আমার সকল অভিজ্ঞতার নির্যাস এখানে তুলে দিয়েছি। অন্তত আমার ঝুলিতে যা আছে। তবু আপনার কথামতো, মন্তব্য নিয়ে আরেকটি পোস্ট দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ৎঁৎঁৎঁ!
সত্যিই উপভোগ করেছি
২২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: অনেক সময় সৃজনশিল মন্তব্য দেওয়ার সময়টা মিলেনা । যারা ব্যাক্তি জীবনে যারা খুব ব্যস্ত থাকে তাদের পক্ষে সৃজনশীল মন্তব্য করা খুব টাপ হয়ে যায়।
মনে করুন আমি ১০ দিন পর ব্লগে আসার সময় পেয়েছি । অনুসারিত লিস্ট চেক করে দেখলাম ৩০ জন অনুসারিত ব্লগার পোস্ট দিয়েছেন এবং আমার হাতে ব্লগে সময় দেওয়ার মত সময় আছে মাত্র ২ ঘন্ঠা।
দুই ঘন্ঠার মধ্যে আমার ৩০ টা পোস্ট পড়তে হবে । নিজের পোষ্টে আসা মন্তব্য গুলোর জবাব দিতে হবে। অন্যের পোষ্টে মন্তব্য দিতে হবে।
এ অবস্থায় সৃজনশীল মন্তব্য করা একটু কষ্টকর বৈকি
ইয়ে মানে আমার এ মন্তব্যটা কি সৃজনশীল হয়েছে ?
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা, হুম, আপনার মন্তব্যটি আমার কাছে সৃজনশীল মনে হয়েছে।
৩০টা, ২০টা ৫০টা পোস্ট পড়তে হবে, এরকম চাপ নেবার দরকার আছে কি? পড়া তো আনন্দের জন্য। মনে চাইলে পড়ুন, যতগুলো খুশি! এবং মনে চাইলেই মন্তব্য দিন। আমার অভিমত জানালাম!
মজা করে মন্তব্য দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, তাসনুভা সাখাওয়াত বিধি
২৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওরে বাস ...
এত হিসাব করে মন্তব্য করতে গেলে তো বিপদ :-&
নাহ আজকাল ব্লগার হইতে ও পড়াশুনা করতে হয় । আমি পড়ুয়া ই ভাল আছি
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হুম, এত হিসাব করলে তো বিপদ হবেই
কিন্তু আমি এত হিসাব করতে বলি নি, শুধু একটি স্ট্যান্ডার্ড দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছি। ১০টির সবগুলোই পালন করতে হবে, তা নয়। তবে মন্তব্য করার সময় বিষয়গুলো খেয়াল করলে ভালো। অনেকে সহজাতভাবেই করেন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মনিরা সুলতানা
২৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৫
কামরুল হাসান জনি বলেছেন: অনেক যত্নশীল পোষ্ট। পোষ্টটা করতে গিয়ে অনেক পরিশ্রম করেছেন। পোষ্টটা পড়ে অনেক শিখলাম ভবিষ্যতেও শিখব বলে প্রিয়তে রাখলাম।
আপনার পোষ্ট পড়ার পর মন্তব্য করতে খুব ভয় লাগছিল। তারপরও সাহস করে মন্তব্যটা করে ফেললাম।
শুভ কামনা রইলো।
দোয়ার দরখাস্ত।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: হাহাহা, দোয়ার দরখাস্তটি গৃহীত হলো
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, কামরুল হাসান জনি
২৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৫
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমি আপনার একটি পয়েন্টের সাথে একমত নই।
বিষয়টি হলো, "উদ্ধৃতি দিতে চাইলে, খেয়াল করবেন: লেখকের দুর্বল বিষয়টি যেন ওঠে না আসে! "
এই ব্যাপারে আমি আমার প্রাক্তন দুই ম্যানেজারের কথা উল্লেখ্য করতে চাই।
১) আমার ট্রান্সফার হলো। আমি চলে আসলাম অন্য একটি ব্রাঞ্চে। একদিন আমাকে আগের ব্রাঞ্চ থেকে ডাকা হলো। গেলাম। বিষয় সংবর্ধনা দেয়া হবে। ম্যানেজার স্যার ঘোষণা দিলেন। আজকে সজীব সম্পর্কে যারা বলবে তাদের মধ্যে কয়েকজন বলবে ওর সম্পর্কে নেগেটিভ যদি কিছু থাকে তা নিয়ে। আমরা তার ভালো গুলোও আলোচনা করবো। খারাপ লাগা দিকগুলো বললে, নতুন জায়গায় নিজেকে সে সুধরে নিতে পারবে। সামনে এগিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
২) ম্যানেজার স্যার বলছেন, 'আমি কাজের ব্যাপারে কখনো কম্প্রোমাইজ করিনা। কাউকে দিলাম চেয়ার বানিয়ে দাও। সে চেয়ার বানালো কিন্তু একটু বাঁকা করে দিলো। আমাদের অনেকেই মনে করে- থাক, গরীব মানুষ। কিন্তু এইটা তাকে ধ্বংস করবে। সে জীবনেও সচেতন হবে না। আর এখন যদি আমি না নেই। বলি- যাও, ঠিক করে নিয়ে আসো তারপর নিবো। তবে অন্যের জন্যও সে যখন বানাবে যত্ন নিয়ে বানাবে। একই ভুল দ্বিতীয়বার করবেনা। আর কে যানে সুন্দর জিনিস বানাতে বানাতে সে কোনো ব্রান্ডে পরিণত হবেনা। পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজ মানে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা।'
ধরিয়ে দিন। ভুল গুলো ধরিয়ে দিন। যারা জানেন, তাদের নিকট এইটুকু আমরা আশা করতেই পারি। এই ব্লগে যারা লিখেন তারা কেউ পেশাদারীত্ব নিয়ে লিখেন না। আমরা তা প্রত্যাশাও করিনা। তাই যারা জানেন তারা যদি ধরিয়ে না দেন, তবে নতুনরা শিখবেন কিভাবে। কে জানে আজকের এখানের লুকিয়ে থাকা ব্লগারটিই হয়তো হাক পাকিয়ে একসময় দুনিয়া কাঁপাবে। (কেউ যেন মনে না করে, মন্তব্যকারী সব জেনে বসে আছে।)
তবে পোস্টে মন্তব্যে সমালোচনার ক্ষেত্রে এমন সমালোচনা করা উচিত নয়, যেন সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। বরঞ্চ এমন সমালোচনা করা উচিত যেন সে গুছিয়ে নিতে পারে।
পোস্ট সম্পর্কে এতো ভালো ভালো বলা হয়েছে নতুন করে কিছু বলার নেই। সত্যিকার অর্থেই শুধু পোস্ট নয়, মন্তব্য একজনের সম্পর্কে আমাদের অনেক ধারণা দেয়। তার ব্যক্তিত্ব, তার ইমেজ সব কিছুই। তাই মন্তব্য হেলাফেলায় করা উচিত নয়। মন্তব্য ছোট হতে পারে। তবুও তা সুন্দর হওয়া উচিত। সমালোচনা করলেও গঠনমূলক হওয়া উচিত।
মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই, অনেক সুন্দর এবং জরুরী একটা বিষয়ের অবতারণার জন্য ধন্যবাদ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনার ম্যানেজারের প্রতিটি কথার সাথে আমি একমত। কর্মক্ষেত্রে প্রতিপক্ষই বেশি উপকার করে ক্যারিয়ার এগিয়ে নিয় যাবার পথে। আপনার যুক্তির সাথেও আমার দ্বিমত নেই।
কিন্তু সাহিত্যে বা লেখালেখির সমাজে ‘সমালোচনা’ একটি শিল্প। বলা যায় আরেক প্রকার সাহিত্য। তা যথার্থভাবে করতে পারাটা অনেকেরই হয়ে ওঠে না। তাছাড়া মন্তব্যের টেম্পলেটে উত্তম সমালোচনা করাও সম্ভব হয় না।
সমালোচনা গ্রহণ করতে পারাও আরেকটি বিশাল গুণ, যা সকলের মধ্যে আশা করা যায় না। ব্লগে সকলেই ব্লগার, কিন্তু সকলেই লেখক নন। কেউ কেউ ফেইসবুকারও আছেন। সকলেই লেখার চেষ্টা করছেন। সকলেরই বেড়ে ওঠার প্রয়োজন। দুধের শিশুকে শক্ত খাবার দেবার মত ভুলও হতে পারে।
এবার আমার ওই কথার পক্ষের যুক্তিটি দিচ্ছি। আমি মনে করি, নেতিবাচক বিষয়টি ওঠিয়ে নিয়ে এসে, তাতে যুক্তি দিয়ে আলোচনা বাড়ানোর চেয়ে, লেখকের ইতিবাচক দিকটি নিয়ে কথা বললে সেটি বৃদ্ধি পাবে। অনেকের মধ্যে নেতিবাচকতা একটি সময়ের বিষয় মাত্র। কালক্রমে কেটে যায়। লেখতে লেখতে এমনিতেই প্রজ্ঞার কাছে বালখিল্যতা হেরে যায়।
২৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
সুন্দর একটা পোস্টে চমৎকার কিছু বিষয় বিশ্লেষণ করেছেন। লেখার সব ওজন জড় হলো এ কথাগুলোতেঃ
নিজের ইচ্ছার বাইরে কাউকে খুশি করার চাপে থাকবেন না। সপ্তাহে ৫০০ লেখা পড়ে ৫০০টি ‘জেনুইন’ মন্তব্য দেওয়া প্রায় অবাস্তব, অসম্ভব এবং অগ্রহণযোগ্য। হয় আপনি বিদ্যাসাগরের জিন বহন করছেন, না হয় ভারচুয়াল প্রতারণা করছেন! দায়িত্বশীল মন্তব্য করে ভারচুয়াল ব্যক্তিত্ব তুলে ধরা, আর ‘সেরা মন্তব্যকারী’ হওয়া এক বিষয় নয়। আপনি কোনটি হতে চান, বেছে নিন। ভালো লাগলে পড়ুন, ইচ্ছে হলে মন্তব্য দিন। চাপে থাকারও প্রয়োজন নেই। মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সততা রক্ষা করুন এবং বস্তুনিষ্ঠভাবে লেখার মূল্যায়ন করুন, লেখককে যেন লক্ষবস্তু না করেন।
উদ্ধৃত কথাগুলো ছাড়াও জুলিয়ান ভাই ও বাবু>বাবুয়া>বাবুইয়ের কথাগুলোর সাথে দৃঢ়ভাবে একমত পোষণ করি।
কোনো একটা পোস্ট কেউ পুরোটা পড়েছেন কিনা তা তাঁর কমেন্ট থেকেই বিচক্ষণ লেখক ও পাঠকগণ বুঝে ফেলতে পারেন। ‘আগে প্লাস দিলাম, এখন পড়ে আসি‘ ধরনের কমেন্ট পরিহার করা উচিত। আমরা সচরাচর কমেন্টের সংখ্যা দ্বারা কোনো একটা পোস্টের স্কোর নির্ণয় করে থাকি। এ দ্বারা পোস্টের গুণগত মান প্রকাশ পায় না। কমেন্টে কী বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে কে বলেছেন, তার মান দ্বারা পুরো পোস্টটাকেই মূল্যায়ন করা যায়। যে বক্তব্য মূল পোস্টে ব্যাখ্যাত হয় নি, কমেন্টে অনেক সময় তা উঠে আসে, মনোজ্ঞ বিতর্কের মধ্য দিয়ে।
আমি খুব কম সংখ্যক পোস্টে কমেন্ট করে থাকি। কারণ, যে লেখা আমার ভালো লাগে তার দৈর্ঘ্য আমার ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটাতে পারে না; অর্থাৎ, ছোটো অথবা বড়, আমি সাধারণত পুরো লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি। ব্লগে যাঁরা আমাকে চেনেন, তাঁরা জানেন আমি তোষামোদি পছন্দ করি না, ভালোকে ভালো বলি নির্দ্বিধায়, মন্দকে
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: লেখার যে বিষয়ে আপনি আলোকপাত করেছেন, তাতে আমি মুগ্ধ।
আপনার মন্তব্য দিয়ে অন্যদের মতো আমিও আপনাকে চিনে রাখলাম!
“আমরা সচরাচর কমেন্টের সংখ্যা দ্বারা কোনো একটা পোস্টের স্কোর নির্ণয় করে থাকি। এ দ্বারা পোস্টের গুণগত মান প্রকাশ পায় না। কমেন্টে কী বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে কে বলেছেন, তার মান দ্বারা পুরো পোস্টটাকেই মূল্যায়ন করা যায়।” -সহমত।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সোনাবীজ
২৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কীভাবে যেন উপরের লেখাটা পোস্ট হয়ে গেলো অটোমেটিক্যালি, তাও কিছু অংশ বাদ রেখে!
-----
ভালোকে ভালো বলি নির্দ্বিধায়, মন্দকে মন্দ বলতেও দ্বিধা করি না, তা অবশ্য সহনযোগ্য ভাষায়। এ থেকে কেউ মনক্ষুণ্ণ যে হোন না, তা না। তবে পোস্টদাতার রিপ্লাই মনঃপূত না হলে তাঁর ত্রিসীমানায় পা মাড়াই না, যদি না তিনি ভুল বুঝতে পেরে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলেন। সৌজন্য ও বিনয় আমার কাছে অনেক গুরুত্ববহ।
আপনার চিন্তাশীল পোস্টগুলো ভালো লাগছে মইনুল ভাই। শুভ রাত্রি।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আমার লেখাগুলোতে চিন্তাশীল মতামত দেবার জন্য আমিও আপনার কাছে কৃতজ্ঞ
যুক্তি এবং সৌজন্যতার বিষয়টি না ভুলে গিয়ে ‘মন্দকে মন্দ’ বলা যায়। লেখক যা খুশি ভাবুক। একটি তো পাবলিক ব্লগ।
অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য
২৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পুরো লেখাটা পড়ে মন্তব্য করতে বেশ ভয়ই লাগছে। কে জানে আমার এই মন্তব্যটাও নির্ঘাত বাজে খরচের তালিকায় পরে যাবে। ভালো লেখাকে ভালো বলা খুব সহজ কিন্তু খারাপ লেখাকে খারাপ বলতে গেলে বুকের পাটা লাগে। কেইবা নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক শুনতে চায়?
কিছু বলতে গেলে দেখা যায় ঝগড়ার পর্যায়ে নেমে আসে ব্যাপারটা। ভাবটা লেখকের, অমুক কি জানে ? আমি তার চেয়ে বেশী জানি।কিংবা , আমিই ঠিক।
তাই ক্ষেত্রবিশেষে মন্তব্যের জায়গায় দায়সারা ব্লগসামাজিকতা রক্ষাই সার হয়।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: মূল্যবান কথা বলেছেন, রেজওয়ানা আলী তনিমা
সম্পর্ক সৌজন্যতা যুক্তি - এসবকে জলাঞ্জলি দিয়ে নেতিবাচক বললে, তা ভালো ফল নিয়ে আসে না।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২৯| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: খুব গুছিয়ে, চমৎকার ভাবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য প্রিয় ব্লগারকে অনেক ধন্যবাদ। এখানে অনেক ব্লগার মন্তব্য করে যাচ্ছেন তাই ভাবলাম আমিও এ ব্যাপারে আমার মতামত অনুভূতি এই প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করি।
পোস্ট পড়লে আমি মন্তব্য করার চেষ্টা করি, কেননা মনে হয় এটা পোস্টদাতার হক/ অধিকার। ভালো লাগলে বলি। মন্দ লাগলে, ঠিক যে জায়গাটা খারাপ লেগেছে সেটা তাকে ব্যক্তিগত ভাবে জানানোর চেষ্টা করি। ব্যক্তিগত ভাবে জানানোর উপায় না থাকলে জানানোই হয় না, এটা আমার একটা ব্যর্থতা এবং এটা অকপটে স্বীকার করি।
আর তথ্যগত কোন ভুল পেলে সেটা উপযুক্ত রেফারেন্সসহ পোস্ট দাতাকে অবহিত করি। তবে এই ব্যাপারটা (সমালোচনা) অনেকেই খুব স্বাভাবিকভাবে নিতে চান না। তাই ব্যক্তিত্ববান ব্লগার না হলে এধরনের কিছু বলা বিপদজনক। আমার মনে ব্লগিং করতে হলে আরেকটু উদার মানসিকতার প্রয়োজন (যারা সমালোচনাটা স্বাভাবিকভাবে নিতে চান না)।
আবার অনেকে মন্তব্যদাতা কে খেপিয়ে দিয়ে আরো দু-চারটা মন্তব্য আদায় করে নেন। এমন নজিরও দেখা যায় বলে শুনেছি।
মন্তব্যের উত্তর না পেলে নিজেকে খুব অপমানিত মনে হয়, এটা অন্য ব্লগারদের ক্ষেত্রে হয় কিনা জানি না তবে আমার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর মাত্রায় হয় এবং আমি মনে করি এটা পোস্ট দিয়ে উত্তর না পাওয়ার চেয়েও বেশি কষ্টের। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম যে আপনার বাসায় এসে আমি একটা কথা বলে গেলাম আর আপনি তার উত্তর দিলেন না। হুম পোস্টদাতার উত্তর দিতে দেরী হতেই পারে (ছয় মাস এমনকি একবছর বা তিনি আবার যখন ব্লগে ফিরে আসেন তখন)। কিন্তু একেবারেই না দেয়া বা নতুন পোস্টে মনোযোগী হওয়া ব্যাপারটা কষ্টের।
আবার অনেকেই আছেন যারা তাদের পুরনো পোস্টের নতুন কমেন্টের উত্তর দেন না। হোক পুরনো কিন্তু সেটা তো আপনারই পোস্ট।
আর সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় ভুগি তাহলো কোন পোস্ট বেশি ভালো লাগলে, খুব মুগ্ধ হলে আর কথা খুঁজে পাই না। তখন এই কথাটাই লেখে দেই যে এতোই মুগ্ধ হয়েছি যে কথা খুঁজে পাচ্ছি না। না জানি পোস্টদাতা কি মনে করেন!!
(উপরের কথাগুলো সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে আন্তরিকভাবে দূঃখিত।)
মইনুল ভাই, অনেক কথা বলে ফেললাম আপনার পোস্টে। কতোটা প্রাসঙ্গিক হল জানি না। তবে আপনার এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়াস খুব ভালো লেগেছে, আপনি অনুসারিত।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনি যা করেন, তার প্রত্যেকটি উত্তম ব্লগারের বৈশিষ্ট্য।
মন্তব্যের উত্তর না পেলে পাবলিক ব্লগের পাঠক মন খারাপ করবেনই। লেখকের সেবিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। পুরোনো পোস্টেও পাঠকের মন্তব্যের উত্তর দেওয়া উচিত।
বেশি ভালো লাগলে বা মুগ্ধ হলে ভাষা খুঁজার দরকার কী? যা আঙ্গুলে আসে লিখে দিন। লেখক তা বুঝে নেবেন
অনেক ধন্যবাদ, মহামহোপাধ্যায়, আপনাকে।
দীর্ঘ মন্তব্য দিয়ে অনেক তথ্য দিয়েছেন।
শুভ ব্লগিং
৩০| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মন্তব্য সংক্রান্ত এত চমৎকার পোষ্টে আমি চমৎকার মন্তব্য করতে অপারগ ! এ আমার ব্যার্থতা , মন্তব্য ব্লগীয় কালচারে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য !
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: আপনাকে অংশগ্রহণে আনন্দিত হলাম, স্বপ্নবাজ অভি
চমৎকার মন্তব্য সবসময় ‘চমৎকার’ হলেও চলে। আপনাকে তো আমি জানি।
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
৩১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২০
আরজু পনি বলেছেন:
আমি কোন পোস্টে মন্তব্য করলে পড়েই করি । পুরোটা পড়তে না পারলে সেটাও পোস্টদাতাকে জানানোর চেষ্টা করি ।
কখনো সময়ের অভাব হলে, পড়া শুরু করে মন্তব্য দিয়ে অফ লাইনে যেয়ে শেষ করি সেটা ।
আর খুব দীর্ঘ মন্তব্য ইচ্ছে করেই এড়িয়ে যাই, মনে হয় এতে পোস্ট দাতাও বিরক্ত হতে পারেন আর আমি পারিও না সাধারণত ।
অনেক সময় বেশি পোস্ট পড়ার টার্গেট থাকলে তখন মন্তব্যের আকৃতি ছোট করি ।
সব ধরনের পোস্টই পড়ি, কোন অসুবিধা বা কেচাল বা ভেজাল মনে করলে মন্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করি ।
আর বলতে বলতে ক্লান্ত লাগছে
আমি পিসিতে বসলে সময়ের টার্গেট থাকে যে, এর মধ্যে আমাকে পিসির সামনে থেকে উঠে যেতে হবে ।
এটা আমার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা
ঘড়ির দিক চোখ পড়াতে এটা বললাম
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: দীর্ঘ অথবা নাতিদীর্ঘ, যাই হোক, মন্তব্যটি আন্তরিক হলেই হলো।
লেখক ও পাঠকের মধ্যে ভাবনার যোগসূত্র হয়ে গেলে একটি শব্দ, এমনটি ‘একটি যতিচিহ্ন’ দিয়েও মন্তব্য করা যায়।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আরজুপনি
৩২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
বোকামন বলেছেন:
সম্মানিত লেখক,
পোস্টটির জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানবেন। বুঝতেই পারছি আপনি ব্লগিং জগতে যথেষ্ট অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এবং সিনিয়র। তাই আপনার কাছে থেকে পরামর্শ/উপদেশ পাওয়াটা অবশ্যই মূল্যবান।
আপনি আমার পোস্ট পড়েছেন, আমিও আপনার এই পোস্টটি আগেই পড়েছি(যদিও মন্তব্যে দেরী হয়ে গেলো) আপনার কথা আমার কথা- একই কথা নতুন আর কী বলবো। আন্তরিকতা, বিনয় এবং যা কিছু ভালো তার চর্চা বাড়তে থাকুক- এই কামনা করি :-)
আস সালামু আলাইকুম।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: উৎকৃষ্ট আনন্দ হলো, মানুষকে জানা। সত্যিই তা বিশ্বাস করছি।
প্রিয় বোকামন, আপনার আন্তরিক মন্তব্যে সিক্ত হলাম। যেন লেখা আর মন্তব্যের মাধ্য আপনাকে যতই জানছি, ততই মুগ্ধ হচ্ছি।
কৃতজ্ঞতা জানবেন
৩৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
ড. জেকিল বলেছেন: পোস্টটা অনেক আগেই পড়েছি, কমেন্ট লিখার পরেও পোস্ট করতে পারিনি।
অন্ত্যত আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন পোস্ট। অনেক কাজে দিবে। চিন্তা করার অনেক সুযোগ করে দিয়েছেন।
কমেন্ট না করার রোগ আমার মাত্রাতিরিক্ত তীব্র। তাই, পোস্টটি অনেক ধৈর্য নিয়ে পরলাম। অনেক সময় কিছু পোস্ট পরে খুব ভালো লাগে, কিন্তু কি কমেন্ট করবো ভেবে পাইনা। তাই শুধু লাইক বাটন চেপে চলে আসি, তার মানে এই না যে আমি পোস্টটি পড়িনি। আর সব পোস্টে সাধারানতো আলসেমির কারনে কমেন্ট করিনা, যেই সব পোস্ট পড়লে কমেন্ট দেওয়ার জন্য হাতে সুড়সুড়ি অনুভব করি সেই সব পোস্ট এ শুধু কমেন্ট করি।
স্বভাব টা বদলাতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। ভালো থাকবেন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: “অনেক সময় কিছু পোস্ট পরে খুব ভালো লাগে, কিন্তু কি কমেন্ট করবো ভেবে পাইনা। তাই শুধু লাইক বাটন চেপে চলে আসি, তার মানে এই না যে আমি পোস্টটি পড়িনি।”
-আমার অনেক প্রিয় সহব্লগারদের মধ্যে এরকম উপসর্গটি আছে। তাদেরকে আমি জানি। আপনাকেও সেখানে রেখে দিলাম
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য, ডক্টর জেকিল।
৩৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:২৯
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দারুণ পোস্ট। অনলাইনে লেখালেখির সবচেয়ে ভাল যে দিকটা তা হল পাঠক/পাঠিকা তার অনুভূতি জানাতে পারছেন। আর লেখক/লেখিকা পাঠক/পাঠিকার অনুভূতি জানতে পারছেন খুব সহজে। লেখক/লেখিকা ও পাঠক/পাঠিকার মধ্যে পারস্পরিক মন্তব্যের আদানপ্রদানের ফলে লেখক/লেখিকা সুযোগ পাচ্ছেন লেখার দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার আর পাঠক/পাঠিকা সুযোগ পাচ্ছেন লেখাটি সম্পর্কে লেখক/লেখিকার নিজস্ব বিশ্লেষণ জেনে নেওয়ার।
ব্লগিং করতে এসে মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যের ব্যাপারে আমার যে ধারণা হয়েছে কিংবা মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য করার ক্ষেত্রে একজন ব্লগারের করণীয় কী সে সম্পর্কে আমি কিছু বক্তব্য তুলে ধরছিঃ
গতানুগতিক মন্তব্য না করে মন্তব্যের মধ্যেও স্বাতন্ত্র্য ফুটিয়ে তুলতে পারলে নিজেকে আলাদা করে চেনানো যায়।
আমি সাধারণত কোনো পোস্ট পড়তে গিয়ে যদি দেখি অনেক ভুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তাহলে ঐ পোস্ট আর কষ্ট করে পড়তে যাই না। লেখক/লেখিকা সম্পর্কে আমার একটি খারাপ ধারণা চলে আসে। অনেকেই বলেন, লেখার মানটাই আসল। বানান ভুলটুল কোনো ব্যাপার না। আমিও মনে করি লেখার মানটাই আসল। এবং এও মনে করি, নির্ভুল বানান এবং নির্ভুল বাক্যবিন্যাস মানসম্মত লেখার একটি অন্যতম উপাদান।
আমি আমার লেখার ব্যাপারে অন্যের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে সমালোচিত হতে ভালবাসি। যেহেতু একটা লেখা শেষ করে প্রায় সাথে সাথে আমরা পোস্ট করে থাকি সেহেতু যে সময়টুকু দিলে নিজের লেখার ভুলগুলি, দুর্বলতাগুলি ধরা পড়তে পারত সে সময়টুকু আমাদের দেওয়া হয় না। কিন্তু বিজ্ঞ পাঠক/পাঠিকার চোখে ঠিকই তা ধরা পড়ে। ফলে একটি মন্তব্যের মাধ্যমে পাঠক/পাঠিকা লেখক/লেখিকার বিশাল উপকারই করে থাকেন।
আমি যদি কোনো পোস্টে মন্তব্য করে জবাব না পাই তাহলে সেই ব্লগারের যাবতীয় পোস্ট বর্জন করি। সে যতই ভাল লেখুক। জবাব না পেলে অবমূল্যায়িত হলাম বলে বোধ করতে থাকি।
সকল পোস্টেই মন্তব্য করতে হবে এরকম ভাবাটা বোকামি। এটা কোনো প্রতিযোগিতা নয় যে আপনি চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেন। সামু ব্লগের একজন খুব অল্প বয়সী ব্লগার প্রায় সকল পোস্টেই মন্তব্য করে হয় + চিহ্ন দিয়ে অথবা ইমো দিয়ে। এমন মন্তব্য করতে তো আর কিছু ভাবতে হয় না। আমার সন্দেহ সে আদৌ পোস্টগুলো পড়ে কি না। আমি ঠিক করেছি তার এরকম মন্তব্যের আর জবাবই দেব না। আমার মনেহয় তার এই অবমূল্যায়ন প্রাপ্য।
শুভেচ্ছা জানবেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: বেশ পরিচ্ছন্ন একটি মনোভাব ফুঠে ওঠলো আপনার প্রতিটি কথায়। একটিতেও দ্বিমত করার কিছু নেই। অসাধারণ।
“গতানুগতিক মন্তব্য না করে মন্তব্যের মধ্যেও স্বাতন্ত্র্য ফুটিয়ে তুলতে পারলে নিজেকে আলাদা করে চেনানো যায়।” -ঠিক এ কথাটি বলতে চেয়েছি আমার পোস্টটিতে। আমার লেখার জিস্ট দিয়েছেন আপনি এক বাক্যে!
অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলে আমিও বিরক্ত হই। ভাষাগত শুদ্ধতা তো মানসম্পন্ন লেখার গুরুত্বপূর্ণ অংশ!
আপনি সমালোচিত হতে ভালোবাসেন! ভালো লাগলো শুনে।
মন্তব্যের প্রতিউত্তর নিয়ে যা বললেন, তাতেও আমি সহমত।
সব পোস্টে আমিও মন্তব্য করতে পারি না। তবে লেখায় সারবস্তু থাকলে তার একটি প্রতিক্রিয়া লেখকের প্রাপ্য। ইতিবাচক বা নেতিবাচক সেটি বিবেচ্য নয়।
আপনার সুন্দর মন্তব্যটি আমার লেখার সংযুক্তি হিসেবে ধরে নিচ্ছি। সুযোগ পেলে এসবে নিয়ে আলাদা পোস্টও দিতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, অলওয়েজ ড্রিম
শুভেচ্ছা রইলো!
৩৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
রেজোওয়ানা বলেছেন: হাতে সময় থাকলে এবং লেখার টপিকসটা পছন্দনীয় হলে এবং সেই সম্পর্কে কিছু জানাশোনা থাকলেই শুধু মাত্র বিস্তারিত মন্তব্য করার সহাস পাই! আর আমি লগ ইন করলে অনেক পোস্ট পড়ি, সেটাও সংক্ষিপ্ত মন্তব্য করার অন্যতম একটি কারণ
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ রেজোওয়ানা
পুরাতন লেখা খুঁজে পড়াও আরেকটি গুণ
মন্তব্য সংক্ষিপ্ত হতেই পারে। উপরে বিভিন্ন স্থানে বলেছি: মন্তব্য এক শব্দে বা শুধু যতিচিহ্ন দিয়েও হতে পারে। মূলকথা হলো লেখার সাথে পাঠকের উপলব্ধির যোগসূত্র। সেটি হলে, মন্তব্য যেকোন আদলে হতে পারে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
৩৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
আমি ইহতিব বলেছেন: আপনার এমন শিক্ষনীয় পোস্টগুলো যদি নতুন ব্লগারদের জন্য বাধ্যতামূলক পাঠ্য করার ব্যবস্থা করা যেতো তাহলে অনেক ভালো হতো। প্রতিটি পয়েন্ট যৌক্তিকভাবে তুলে ধরেছেন, ৭ নম্বর পয়েন্টটা পড়ে হাসি চলে আসলো। এমনও কেউ করে নাকি?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ব্লগের কিছু মন্তব্য যে কত মজার দু’একটা দৃষ্টান্ত দেই। ব্লগে বললে মজা হবে না। একজন অতি নিয়মিত এবং জৈষ্ঠ ব্লগার আমার পোস্টে মন্তব্য দিলেন “লেখাটি খুবই ভালো হয়েছে, বাবলা ভাই।” আমি ‘জমির হায়দার বাবলা’ হয়েছি অন্তত তিন বার। আরেকজন আমাকে নীলসাধূ ভাই বলে সম্বোধন করলেন। অবশ্য উনি পরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সবচেয়ে মজার হলো অতি সাম্প্রতিক মন্তব্যটি। তিনি বললেন, “লেখাটি আমি গতকাল পড়েছি – খুবই মূল্যবান কথা বলেছেন।” কিন্তু লেখাটি গতকাল আমি প্রকাশই করি নি। এরকম আরও আছে, আরও মজার। কিন্তু আর বলবো না….ওস্তাদের নিষেধ আছে! এবার আপনাদের গুলো বলুন তো একটা একটা করে। আমারও এরকম হয়ে থাকতে পারে…..ম্যান ইজ মরটাল… মানে মানুষ মাত্রই ভুল! [আমার ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে উদ্ধৃত]
আমি ইহতিবকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
৩৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
শাহেদ খান বলেছেন: মন্তব্যকারী হিসেবে আমি অধিকাংশ সময়ই সুবিধার না। পড়ার সময় মনোযোগী হলেও, অনেক সময়ই কমেন্ট করতে গিয়ে আমি শব্দ-সংকটে পড়ে যাই। তাই কমেন্টগুলো বেশিরভাগ সময়েই হয়তো গতানুগতিক হয়ে যায় খুব।
এই বিষয়টা নিয়ে আপনার পোস্টের বিস্তারিত আলোচনা খুব ভাল লাগল। এবং নিজের মন্তব্যের ব্যাপারেও আরেকটু যত্নবান হতে চেষ্টা নিব নিশ্চয়ই।
শুভেচ্ছা।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: এরকম অবস্থা প্রায় সকলেরই হয়। তারপরও প্রথাগত বিষয় নিয়মকানুন অনুসরণ করলে, শব্দসংকটের মধ্যেও একটি দায়িত্বশীল মন্তব্য করা যায়।
প্রিয় শাহেদ খান, আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং
আপনাকেও শুভেচ্ছা
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: অনেকসময় সময়ের অভাবে বিস্তারিত বলা হয় না। আমার মন্তব্যগুলো গতানুগতিক হয়। আর প্রচুর ব্লগ পড়ি তো, সবখানে দীর্ঘ মন্তব্য করাটা কঠিন হয়ে যায়। তবে সময় আর মুড সহায় হলে বিস্তারিত বলতে ভালোবাসি।