নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ছাড়াই আপনি একটি পরিস্থিতিতে বিয়ে করেছেন। সেটি করেছেন প্রেম করে এবং পরিবার-পরিজনকে না জানিয়ে। এর যথাযথ কারণ এবং যুক্তি আপনার কাছে হয়তো আছে। কিন্তু ভিন্ন সম্প্রদায়ে বিয়ে হবার কারণে পরিবার এবং সমাজও আপনার প্রতিপক্ষ হয়ে আছে। ভীষণ মানসিক চাপে আপনি একেকটি ঘণ্টা অতিক্রম করছেন। এপরিস্থিতিতে আপনার বাবাই, যিনি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিও, আপনাকে সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো আপনার বাবা কখনও আপনাকে প্রাপ্তবয়স্ক এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে মেনে নেন নি। এবং এক্ষেত্রেও বাবা হবেন আপনার প্রধান সমস্যা। আপনার ধারণা আপনার কঠোর বাবা যদি আপনার যুক্তিগুলো শুনেন, তবে অবশ্যই আপনাদেরকে মেনে নেবেন। তিনি যদি তা মেনে নেন, তবে কেউ আর আপনাদেরকে বিপদে ফেলতে পারবে না। অন্যদিকে যদি কথাগুলো না শুনাতে পারেন, তবে পরিস্থিতি হবে সম্পূর্ণ বিপরীত। কিন্তু যদি আপনার বাবা আপনাকে না শুনেন তবে কেমন হতে পারে পরিস্থিতি?
আপনি মন-প্রাণ দিয়ে যাচ্ছেন কেউ আপনার কথাটি অন্তত শুনুক। আপনার ভেতরে অনেক কথা/ অভিমত/ তথ্য জমে আছে, আপনি যাচ্ছেন নির্দিষ্ট ব্যক্তিটি সেটি শুনুক। সে আপনার কথায় সম্মতি দিক অথবা না দিক, অন্তত আপনার কথাগুলো শেষ হতে দিক – এরকম পরিস্থিতি আপনার কি কখনও মনে হয়েছে? আপনার কি কখনও মনে হয়েছে যে, কেউ আপনার কথায় কর্ণপাতই করে নি? অথবা শুনেও শুনে নি? অনেক চেষ্টা করে কারও মনযোগ আকর্ষণের কথা কি আপনার মনে পড়ে? এরকম অসহায় পরিস্থিতিতে আপনার কেমন লাগে?
২) একটা সময় ছিল যখন বলা হতো, মানুষের অন্তরের প্রবেশের পথটি হলো তার পাকস্থলি। অর্থাৎ, মানুষকে ভালোভাবে ভোজন করিয়ে তার অন্তরে প্রবেশ করা যায়। কিন্তু আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় যোগাযোগের মাধ্যম যেমন বদলেছে, তেমনই বদলেছে মানুষের অন্তরের প্রবেশের রাস্তা! এই ব্যবস্থায় মানুষের অন্তরে প্রবেশের পথটি হলো তার কথায় কর্ণপাত করা। মানুষ যত রাবিশ বলুক, সে চায় তার কথা শুনাতে। তার কথা যে শুনবে, সেই পাবে তার অন্তরে প্রবেশের গোপন চাবি। বর্তমান সমাজে একজন ভালো শ্রোতা মানেই হলো ভালো বোদ্ধা। “ভালো একজন শ্রোতা শুধুই জনপ্রিয় নন, অবশেষে দেখায় যায় যে, চূড়ান্ত কথাগুলো তার কাছে জমা হয়ে আছে।” (উইলসন মিজনার) আজকের লেখাটি পৃথিবীর ভালো শ্রোতাদেরকে উৎসর্গ করছি, যারা বিশেষ কিছু করে নয়, শুনেই মানুষের মনে শান্তি এনেছেন।
একটি ব্যস্ততম কল সেন্টারের ব্যবস্থাপককে জিজ্ঞেস করা হলো, কীভাবে তিনি অগণিত অভিযোগের নিষ্পত্তি করেন। ব্যবস্থাপক শুধু সংক্ষেপে জানালেন যে, ৮০% অভিযোগ শুধু শুনে এবং লিখে রাখাতেই সমাধান হয়। বাকি ১০% অভিযোগ শেষ হয় অপেক্ষায়। অর্থাৎ কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখলেই ১০% অভিযোগের সমাধান হয়। মাত্র ১০% অভিযোগ নিয়ে বাস্তবিকভাবে তাদেরকে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে মূল চাবিকাঠি হলো, গ্রাহকের অভিযোগগুলো পূর্ণ মনযোগ এবং সহানুভূতির সাথে শুনে যাওয়া।
দেশের ডাক্তারদের নিয়ে যখন সমালোচনা হয়, তখন একজন সুদক্ষ শ্রোতা এবং ব্যতিক্রমী ডাক্তারের কথা আমি স্মরণ করি। তাতে ডাক্তারদের প্রতি আমার অসন্তুষ্টি থাকে না। কর্মজীবনে আমি এই ডাক্তারকে পেয়েছি, যিনি আমার প্রকল্পে কাজ করেছেন আমার টিমমেট হিসেবে। সুন্দর হাতের লেখায় তার প্রেসক্রিপশনও ছিলো ব্যতিক্রম - সবাই পড়তে পারতো। তার কাছে রোগী আসতো অন্যের কাঁধে হাত দিয়ে আর ফিরে যেতো একা হেঁটে। এটি কোন বিস্ময়কর বিষয় নয়, অথবা ডাক্তারেরও যে খুব বেশি হাতযশ ছিলো তা নয়। বিষয়টি হলো সম্পর্কের। তিনি সবার সাথে মিশতে পারতেন এবং আন্তরিকভাবে শরীর সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারতেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি ছিলেন একজন উত্তম শ্রোতা। তার সাথে কথা বলে রোগী মানসিক শক্তি তখনই ফিরে পেতো। বাকিটুকু ওষুধ আর বিশ্রামের বিষয়।
৩) আমি তোমাকে শুনি = ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’
আমাদের সমাজের অবস্থা হলো এরকম: বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, নিয়েছে আবেগ। পাশাপাশি বসে স্মার্টফোনে আঙ্গুল চালাচ্ছি, অথচ পাশে বসা আপন মানুষটির কথা শুনছি না। এত কাছে থেকেই আজ আমরা কত দূরে চলে গেছি। ইমেলের পর যেমন চিঠিলেখার প্রচলন চলে গেছে, তেমনি স্মার্টফোনের ফ্রি-চ্যাটিং এর যুগে কথা বলা ও কথা শোরনার প্রচলন কমে যাচ্ছে। মানুষ হয়ে যাচ্ছে দারুণভাবে আত্মকেন্দ্রিক। এরকম এক ধ্বংসায়মান সমাজ ব্যবস্থায়, ‘অন্যের কথা মনযোগ দিয়ে শোনা’ একটি বিরল মানবিক গুণে পরিণত হচ্ছে। শুনলেও অন্যকে চেনা যায়, সম্পর্ক গড়া যায়; এগিয়ে যাওয়া যায়। এখন ‘তোমাকে আমি শুনি’ হলো ‘তোমাকে আমি ভালোবাসি’ বলার আধুনিক রূপ। (অবশ্য, ব্লগীয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিষয়টি হতে পারে একটু অন্যরকম: ‘আপনার লেখা আমি পড়ি’।)
‘ভালোবাসার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে শোনা।’ (পল টিলিচ) কিন্তু এবিষয়ে আমার ব্যক্তিগত দুর্বলতাটি অত্যন্ত সহজাত। তাহলো আমি কোনকিছুতে যখন মনযোগ দেই, তখন আমার দেহ-মন-প্রাণ চলে যায় সেটিতে। কী বই, কী কম্পিউটার, কী টিভির সংবাদ অথবা নাটক। তখন অন্য কোনকিছু আমার কানেও আসে না, চোখেও ভাসে না। ধরুন টিভিতে খবর দেখছি, তখন আমার সঙ্গীনীটি কোন বক্তব্য বা অভিমত বা অভিযোগ নিয়ে আসলেন, প্রথমমত সেটি আমার কর্ণেই প্রবেশ করে না। অভ্যাসগতভাবে হুম বা হ্যাঁ দিয়ে অনেক বার ধরা পড়েছি। কিন্তু আমার সঙ্গীনীটি খুব অভিমানী। যখনই প্রমাণিত হয়েছে যে, আমি না শুনেই জবাব বা সম্মতি দিয়েছি অথবা যখন সাব্যস্ত হয়েছে যে, তার গুরুত্বপূর্ণ কোন কথা আমি শুনি নি, তখন থেকেই ‘অবরোধ’ শুরু। মানে তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। অন্তত বেশ কিছু সময় চলে যাবে, স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে। তার যুক্তিটি হলো, আমি তার কথায় গুরুত্ব দেই না। অথচ সে যে আমাকে অন্য কিছুতে ব্যস্ত থাকার পরও কথা বলেছে, তার কোন দোষ নেই! এ নিয়ে আমাদের মধ্যে প্রায়ই খুঁনসুঁটি হয়। তার হিসাবটি খুব সোজা, তার ধারণা তার কথা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। সামান্য একটি শোনার বিষয় থেকে সম্পর্ক অবনতির দিকে যেতে পারে, যদি অন্যান্য বিষয়ও অনুকূল না থাকে।
সম্প্রতি একটি টিভি শো’তে অনুষ্ঠানের পরিচালক পুরস্কার বিজয়ী শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলেন,
-তো, তুমি বড় হলে কী হতে চাও?
-বড় হয়ে আমি পাইলট হতে চাই।
মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের হারিয়ে-যাওয়া বিমানটির কথা মনে করে দর্শকরা হেসে ওঠলো। তাতে শিশুটিকে আড়ষ্ট দেখাল।
সঞ্চালক একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ফের জিজ্ঞেস করলেন,
-ভালো কথা। ধরো তোমার বিমানটির সকল মেশিন একসাথে বন্ধ হয়ে গেলো। তখন তুমি কী করবে?
-সকলকে বলবো সিটবেল্ট বেঁধে শক্ত হয়ে বসে থাকতে।
-আর তুমি?
-আমি সাথে সাথে প্যারাশুট পড়ে বিমান থেকে জাম্প দেবো।
এবার দর্শকদের হাসিতে সঞ্চালক নিজেই প্রায় থেমে গেলেন। কিন্তু দর্শকদের হাসির মধ্যে শিশুটি তখন কাঁদছে। শিশুটির প্রতি সঞ্চালক তার মনসংযোগ কমালেন না।
-কেন তুমি জাম্প দেবে?
-আমি তো তাদেরকে ফেলে যাবো না! আবার ফিরে সাহায্য নিয়ে আবার ফিরে আসবো।
শেষ কথাটি না শুনে আমরা প্রায়ই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি, অথবা নিজেদের অভিজ্ঞতা দিয়ে অন্যের কথা বিচার করি। ঠিক এই বিষয়টি মানুষকে ভালো শ্রোতা হতে দেয় না। আমরা অর্ধেক শুনি, এক চতুর্থাংশ বুঝি এবং প্রতিক্রিয়া করি দ্বিগুণ। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে বলেছেন, “কেউ কিছু বললে তাকে পুরোপুরি শুনুন। কিছু মানুষ আছে তারা কখনও অন্যের কথা শুনে না।”
৪) ভালোভাবে শোনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
শোনার অভ্যাস ‘সম্পর্ক তৈরি ও রক্ষায়’ দারুণ সহায়তা করে।
•তাদের আস্থা বেড়ে যায়
•তারা সম্মানীত বোধ করে
•সহজেই আপন হয়
•শ্রোতার প্রতি আনুগত্য বেড়ে যায়
•ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়
•সম্পর্ক গড়ে ওঠে/ বৃদ্ধি পায়
অন্যের কথা শুনলে তাৎক্ষণিকভাবে শ্রোতা যেসব সুবিধা পেয়ে থাকেন:
•বক্তার মনের অবস্থা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়
•শ্রোতা সম্পর্কে কোন নেতিবাচক অনুভূতি থাকলে সেসম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়
•ভবিষ্যতে কীভাবে তার সাথে আচরণ করতে হবে, তা জানা যায়
•ব্যক্তিগত দুর্বলতা/সবলতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়
•শ্রোতার প্রতি শ্রদ্ধা/আনুগত্য সৃষ্টি হয়
শোনার জন্য যেসব মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন:
•নিজের মনে আগ্রহ সৃষ্টি করা
•সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা দূর করা
•বিষয়টির সাথে মানসিকভাবে সম্পৃক্ত হওয়া
•ভেতরের বাধাগুলো দূর করা;
•মনকে উন্মুক্ত করে দেওয়া;
বাহ্যিক প্রস্তুতি:
•যে কথা বলে, তার দিকে তাকানো;
•স্বাভাবিক এবং স্বস্তিতে থাকা – অস্থিরতা না দেখানো;
•চোখে চোখ রাখা (ভুল প্রয়োগ যেন না হয!);
•বাইরের বাধা-বিপত্তিগুলো সরিয়ে রাখা;
•সঠিকভাবে ‘সারা’ দেওয়া;
•অভিযোগ শুনলেও কথা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা;
•একই অভিমত বা একই অভিজ্ঞতা থাকলেও সেটি এখন বলার দরকার নেই;
•বক্তার কথায় মনযোগ দেওয়া, অন্য কোন কথা বলার প্রস্তুতি বন্ধ করতে হবে;
আচরণগত বিষয়গুলো:
•স্মিত হাস্যে বক্তাকে কথা বলা চালিয়ে যেতে দেওয়া
•পরিস্থিতি বুঝে ‘আচ্ছা/ তাই নাকি/ হুম/ বুঝতে পেরেছি/ বলতে থাকুন’ ইত্যাদি বলা
•মুখমণ্ডলে একই বক্তব্য রাখা: বিরক্তি বা অস্বস্তির চিহ্ন না রাখা
•‘আপনার কথা আমি যাচাই করে দেখছি/ দেখবো’ এরকম মনোভাব না দেখানো
•বক্তার কথাকে বুঝার জন্য অথবা আরও স্পষ্ট হবার জন্য প্রশ্ন করা যায়
•কিছু বলতে/ যোগ করতে চাইলে, কথা শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা
সাবধানতা:
•‘আপনি কি নিশ্চিত?’ এরকম বক্তব্য না দেওয়া
•‘পরিস্থিতি এত খারাপ না’ এরকম কথা না বলা
•কোনভাবেই বিতর্ক বা বক্তার কথাকে চ্যালেন্জ না করা
•বিষয় পরিবর্তন না করা, বা অন্য বিষয়ে জাম্প না করা
•কোনভাবেই কথায় বাধা সৃষ্টি না করা
•কোনভাবেই বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হওয়া
•‘অধিকাংশ মানুষই শুনে বলার জন্য।’ বলার সুযোগের অপেক্ষায় শুনবেন না।
অন্যের কথা শুনতে যেসব বিষয় বাধার সৃষ্টি করে:
•মানুষটি (বক্তা) সম্পর্কে নেতিবাচক পূর্বধারণা
•আগে থেকেই কিছু ধারণা করে ফেলা
•অন্যমনষ্কতা
•বক্তা সম্পর্কে অসম্মানবোধ
•বক্তা সম্পর্কে গোপন অভিযোগ/অভিমান
•আত্মঅহমিকা
অন্যের কথা শুনতে পারা একটি শিল্প: অভিজ্ঞদের পরামর্শ:
•কাজ বন্ধ করুন – যে কথা বলতেছে তার দিকে দৃষ্টি দিন
•তার কথা শুনুন এবং শান্ত হয়ে বসুন/দাঁড়ান
•হ্যাঁ বলে অথবা মাথা দিয়ে সাড়া দিন
•না বুঝলে অথবা আরও পরিষ্কার হবার জন্য প্রশ্ন করুন
•গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিশ্চিত হবার জন্য আবার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন।
(উপরোক্ত পদক্ষেপগুলো ক্ষেত্রবিশেষে বিভিন্ন হতে পারে।)
৫) ‘শোনা’ সম্পর্কে বিখ্যাত কয়েকটি উক্তি:
•ভালোবাসার প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে শোনা। -পল টিলিচ
•শুনতে আমি পছন্দ করি। শোনা থেকে আমি অনেক শিখেছি। অধিকাংশ মানুষ শুনতে চায় না। -আরনেস্ট হেমিংওয়ে
•যেসব সফল ব্যক্তির কথা আমি শুনেছি, তারা অধিকাংশই বলেছেন কম, শুনেছেন অনেক বেশি। -বারনার্ড বারুচ
•শোনার জন্য চেষ্টা লাগে। শুধুই শুনে যাওয়ার মধ্যে কিছু নেই – হাসেরাও শুনে। -আইগর স্ট্রাভিনস্কি
•ভালো একজন শ্রোতা শুধুই জনপ্রিয় নন, অবশেষে দেখায় যায় যে, চূড়ান্ত কথাগুলো তার কাছে জমা হয়ে আছে। -উইলসন মিজনার
•মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রয়োজনটি হচ্ছে অন্যকে বুঝা এবং বুঝতে দেওয়া। অন্যকে বুঝার সবচেয়ে উত্তম পথটি হচ্ছে, তাদের কথা শুনা। -ড. র্যা লফ নিকোলস
•ভালো শ্রোতা হতে মহৎ মানুষ হতে হয়। -ক্যালভিন কুলিজ
•আমাদের কান দু’টি কিন্তু মুখ একটি। অর্থাৎ আমাদেরকে বলার চেয়ে বেশি শুনতে হয়। -জেনো অভ সিটিয়াম
•অধিকাংশ মানুষই বুঝার ইচ্ছা নিয়ে শুনে না; তারা বলার প্রস্তুতি নিয়ে শুনে। -স্টিফেন আর কোভি
•শোনার বিষয়টি হৃদয় হতে আসে; অন্যের কাছে আসার অকৃত্তিম ইচ্ছা, যা উভয়কেই আকর্ষিত করে এবং শান্তি দেয়। -সারা হার্ট
৬) সর্বাঙ্গে শুনা
চোখ রাখুন বক্তার চোখে – এদিক ওদিক তাকাবেন না, আকাশের তারা গুণবে না
কর্ণযুগল সদা প্রস্তুত – অনেক কিছু না শুনতে চেয়ে শুধু কথা শুনায় মনোযোগ দিন
মুখ থাকুক বন্ধ - গুণ গুণ করে গান গেয়ে ওঠবেন না!
হাতগুলো শান্তভাবে কোলে/টেবিলের ওপর রাখুন - পকেটেও রাখতে পারেন!
পদযুগল – মেঝেতে রাখুন – কটকট করে ফ্লোরে সুর তুলবেন না
দেহখানি বক্তা বরাবর ধরে রাখুন – তবে যথা দূরত্বে!
মস্তিষ্ক – মহাদুষ্টু। একে একান্তই আলোচ্য বিষয়ে ধরে রাখুন!
হৃদয় – বক্তার বিষয়ের প্রতি আন্তরিক হোন। শোনার বিষয়টি হৃদয় হতে আসে
*** কর্মজীবন/জীবন দর্শন নিয়ে অন্যান্য পোস্টগুলো:
•সাউথপোলার/ স্বশিক্ষিত ক্ষণজীবীরা
•কর্মক্ষেত্রের শুরুর দিনগুলো কেমন হওয়া চাই
•ইনার পিস - আত্মার শান্তি
•কৃত্তিম উপায়ে হাসুন!
-----------------
পরিশিষ্ট:
ক. ‘অন্যকে শোনা’ নিয়ে ব্যক্তিগত অনুসন্ধানের একটি লিখিত রূপ এটি। লেখক নিজেও এবিষয়ের শিক্ষার্থী!
খ. বিভিন্ন উৎস থেকে ছড়িয়ে থাকা তথ্যগুলো একসাথে করে উপস্থাপন করা হলো। কিছু কিছু কনসেপ্ট সংগৃহীত হলেও ভাষাগত সত্ত্ব লেখকের নিজের।
গ. ইংরেজি বক্তব্যের ছবিগুলো ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।
ঘ. বাংলা বক্তব্যের ছবিগুলো লেখকের নিজের।
ঙ. অন্যকে শোনা নিয়ে লেখকের অনুসন্ধান চলতেই থাকবে।
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঢাকাবাসীকে অনেক ধন্যবাদ
কারও ব্যক্তিগত উপলব্ধি অন্যের উপকারে আসলে সেটি হয় আনন্দের...
শুভেচ্ছা জানবেন...
২| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুণ বিশ্লেষণ ধর্মী লেখা ।
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সেলিম আনোয়ার
৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২
সাইকোপ্যাথ বলেছেন: what's the point of being a very nice person?
যাইহোক, পড়লাম, পুরোটা
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সাইকোপ্যাথ, আপনাকে প্রথমেই ধন্যবাদ, পুরো লেখাটি পড়ার জন্য।
দেখুন, আপনার প্রশ্নটি কিন্তু আমার ভালো লেগেছে, যদিও ‘নাইস’ হবার কথা আমি বলি নি।
৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পুরো লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। এক কথায় চমৎকার দিক নির্দেশনামূলক তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে, মানুষকে যত বেশি মনোযোগ দিয়ে শোনা যায়, তত বেশি লেখার উপাদান সংগ্রহ করা সহজ হয়। আমার মতো যারা টুক টাক লেখালেখি করেন, তাদের জন্য ভালো শ্রোতা হওয়া খুবই জরুরী।
ধন্যবাদ, মইনুল ভাই।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: //মানুষকে যত বেশি মনোযোগ দিয়ে শোনা যায়, তত বেশি লেখার উপাদান সংগ্রহ করা সহজ হয়। আমার মতো যারা টুক টাক লেখালেখি করেন, তাদের জন্য ভালো শ্রোতা হওয়া খুবই জরুরী।//
চমৎকার দর্শন...
আবুহেনা ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
৫| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
সময়ের ডানায় বলেছেন: অসাধারণ লেখা। আমি আপনার মতো কোন কিছুতে একবার মনোযোগ দিলে অন্যকিছুতেই খেয়াল থাকেনা।
আমার একটা দর্শন হচ্ছে , যা করব মনোযোগ দিয়ে করব না হলে করব না।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সেটাই ভালো
অনেক ধন্যবাদ, সমায়ের ডানায়...
ভালো থাকুন...
৬| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
না পারভীন বলেছেন: প্রাঞ্জল লেখনি।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ডাক্তার পারভীন
শুভেচ্ছা জানবেন....
৭| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে , প্রিয় মইনুল ভাই। হিসেব করে দেখেছি, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু তারাই, যারা আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে।
তবে দু'একটা বিষয়ে সমস্যা রয়ে গেল। যেমন অনেকেই আছেন , যারা স্বল্প বা অর্ধ পরিচিত কারো মুখোমুখি হয়ে বসে সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করে। তাদের জন্যে মনযোগী স্রোতা হবার জন্যে মনে হয় না আই কনট্যাকটটা একটি পূর্ব শর্ত।
আর আরেকটা বিষয় হল, বক্তার কথার ফাঁকে ফাঁকে প্রশ্ন করে বক্তাকে চ্যালেঞ্জ করাটা আমার মনে হয় শ্রোতার একটি দায়িত্তের মধ্যেই পড়ে, যদি বক্তা শ্রোতার কাছে পরামর্শ চাইতে আসে। কারণ প্রশ্নগুলোর মুখমুখি হলে বক্তা পুনরায় নিজের চিন্তা ভাবনা যাচাই করে দেখবে যে তাতে খুঁত ছিল বা আছে কিনা। এছাড়া সংশোধনের তো অন্য কোন উপায় নেই।
তবে হ্যাঁ, প্রশ্ন করলেও তাতে বক্তা যেন ব্যাপারটা তার প্রতি আঘাত হিসেবে না দেখেন , এমন ভাবে প্রশ্ন উত্থাপন করা উচিত।
শুভ প্রচেষ্টায় শুভ কামনা রইল।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু তারাই, যারা আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে।//
-হুম। ঠিক বলেছেন
মুখোমুখি বসার বিষয়টি আরেকটু হালকাভাবে দেখতে পারেন। অপরিচিতদের কথা কী বলবো, আমরা তো পরিচিতদেরকেই কত দুঃখ দেই তাদের কথায় কর্ণপাত না করে। বন্ধু/ পরিবারের সহস্য/ সহকর্মী?
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় সাজিদ উল হক আবির
অনেক শুভেচ্ছা...
৮| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
নীল ভোমরা বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট.....সকলের কাজে লাগবে আশা করি!
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নীল ভোমরাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
িরািমষ বলেছেন: অনেক দিন পর সামুতে একটা অসাধারন লেখা পড়লাম। আপনার সুন্দর লেখনিতে মুল বিষয়টি সম্পর্কে আমার মত অতি কথন মানুষদের জন্য পথ নির্দেশিকা দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার আন্তরিক মন্তব্যে আনন্দ পেলাম
ভালো থাকবেন
১০| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: জীবনে উন্নতি করতে হলে বা কিছু করতে হলে, আদর্শ স্বামী হতে হলে, বাবা-মার কাছে ভাল ছেলে হতে হলে, ভাল ছাত্র হতে হলে সবকিছুতেই শুধু শুনতে হবে, শুনতে হবে, শুনতে হবে।
ধন্যবাদ মইনুল ভাই অসাধারণ লেখার জন্য।
আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।+++++++++
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম, কথা ঠিক
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, বঙ্গভূমি
ভালো থাকবেন...
১১| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩০
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট। যার প্রতিটি পয়েন্টে বা লাইনে যুক্তি রয়েছে। আর প্রথম দিকে শুরু করা ১, ২ এর কাহিনী বা রূপক কাহিনীতে দারুণ একটা শিক্ষনীয় বিষয় আছে।
শেষের দিকে পয়েন্ট করে, যেগুলো লিখেছেন, চরম সত্য।
আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে, আপনার পয়েন্টগুলো অনুসরণ করি। উক্তিগুলোও বেশ।
গ্রেট পোস্ট।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমিও অনুসরণ করতে চাই... দোয়া করবেন
অনেক ধন্যবাদ, সুমন কর, আপনাকে...
আপনাদের মন্তব্যে আড্ডার আনন্দ পাই...
১২| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
লেখকের অনুসন্ধানকে সাধুবাদ জানাই।
নীতিকথা যুক্ত লেখা/কথা আমরা একখানে শুনি অন্য কানে ভুলি
[শিরোনামে ‘The Art of Listening’ পছন্দ হইলো না]
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... বুঝেছি। আপনার এরকম দৃষ্টিভঙ্গির যুক্তি আছে অবশ্যই...
কিন্তু লেখাটি শুধু্ই নীতিশিক্ষা নয়... অনেকটা স্বার্থশিক্ষা বলা যায়
[ দেখুন গল্পকার আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম কী বলেছেন ]
ধন্যবাদ আপনাকে, অন্ধবিন্দু
আপনার দিলখোলা মন্তব্যে সবসময়ই কিছু পাওয়া যায়...
১৩| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: সো রিচ পোস্ট, মনে হলো লিসেনিং নিয়ে একাডেমিক ডিসকাসন ।
পঞ্চম ভালোলাগা +
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বেশি একাডেমিক হয়ে গেলে দুঃখিত
তবে লিসনিং বিষয়টিতে আমাদের স্বভাবজাত অনীহার কারণে মাঝে মাঝে মনে হয়, বিষয়টি একাডেমিক কোন লেভেলে থাকলে ভালোই হতো
পঞ্চম ভালোলাগার জন্য সহস্র ধন্যবাদ
১৪| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫
ভারসাম্য বলেছেন: দারুণ বিষয়ে দারুণ লেখা! একেবারে 'শোনায় সোহাগা'।
+++
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা, দারুণ মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, ভারসাম্য
১৫| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:০৭
কয়েস সামী বলেছেন: বাহ!!
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ...
কয়েস সামীকে অনেক শুভেচ্ছা
১৬| ২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৯
চিরতার রস বলেছেন: থিউরী/উপাত্ত/অভিজ্ঞতার সংযোজন ঘটিয়ে দারুণভাবে ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন ভ্রাতা। আমারও এই টপিকের উপর কিছুটা পড়াশোনা ছিল। এটা নিয়ে স্টাডি করার পরে এখন মানুষের সাথে অনেক বেশি ক্লোজলী কানেক্টটেড হতে পারছি। ব্যাপারগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের দুর্বলতা যাচাই না করেই অন্যের দোষ দেওয়াটাই আমাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু একটু মাথা খাটালেই নিজের ছোট ছোট সীমাবদ্ধতাগুলো চোখের সামনে এসে পড়ে। শুধু নিজেকে নিজে যাচাই করার স্পৃহা থাকাটাই জরুরী।
পোস্টে প্লাস মইনুল ভাই ++++
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ব্যাপারগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের দুর্বলতা যাচাই না করেই অন্যের দোষ দেওয়াটাই আমাদের সহজাত বৈশিষ্ট্য। কিন্তু একটু মাথা খাটালেই নিজের ছোট ছোট সীমাবদ্ধতাগুলো চোখের সামনে এসে পড়ে।//
ঠিক বলেছেন।
ব্যক্তিগতভাবে আমি দেখেছি, শেষ পর্যন্ত শুনলে ব্যক্তির ওপর আরও বেশি প্রভাব সৃষ্টি করা যায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ভুল বুঝাবুঝি কমে যায়। এটি শুধুই একটি নৈতিক বিষয় হিসেবে আমি দেখছি না, পেশাদারিত্বেরও অংশ।
চিরতার রসকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
১৭| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এনাদার মাষ্টার পিস !
এটা অনেকটা তামিম ইকবালের ডাউন দা উইকেটে এসে ১০০ মিটার ছক্কা হাঁকানোর মতো !
আই এম রেডী ফর লিসেনিং
সুন্দর থাকুন !
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা, সাংঘাতিক মন্তব্য দিয়েছেন, স্বপ্নবাজ অভি।
আমি ভয় পাচ্ছি, ব্লগের জন্য বিষয়টি বেশি তাত্ত্বিক হয়ে গেলো কিনা।
কিন্তু আমি একে পেশাদারিত্বের অংশ হিসেবে দেখেছি বলে, এভাবে লিখলাম। অনেক ভুল বুঝতেও পারেন।
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুনতে থাকুন
১৮| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৬
নিঃসঙ্গ নির্বাসন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নিঃসঙ্গ নির্বাসন
ভালো থাকুন...
১৯| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ৯:৫২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ, দারুণ একটা বিষয়ের ওপরে লিখেছেন। ভাল লাগল বেশ।
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব....
শুভেচ্ছা জানবেন
২০| ২৬ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার একটা আর্টিকেল।
২৭ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
থ্যাংকস.... জনাব...
২১| ২৬ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
এহসান সাবির বলেছেন: খুবই সুন্দর।
খুব ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা।
২৮ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
শুভেচ্ছা জানবেন, এহসান সাবির....
২২| ২৭ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: শোনা: The Art of Listening --- and its a must do to be a good artist
•চোখে চোখ রাখা (ভুল প্রয়োগ যেন না হয!); !!!! hi hi আপনি পারেন ও ।
নিজ অভিজ্ঞতায় বলছি , সাধারণত খুব সধারন দৃষ্টি সহকারে মনযোগী শ্রোতা আমি কিন্তু আপনার এই চোখে চোখ রাখা পদ্ধতিতে বক্তা (বেস কিছু সংখ্যক) দেখি তার বক্তব্য গুলিয়ে ফেলে কি মুশকিল বলুন তো !! নতুবা ১ বছরের বাচ্চা থেকে ১০০ বছরের বৃদ্ধ র যে কোন বক্তব্য আমার কাছে মুল্যবান , অনেক কিছু শুধুমাত্র শুনেই জানা এবং শেখা যায় , যা আমাদের জীবন নামক যুদ্ধে অপরিহার্য
+++++++++++ ধন্যবাদ
২৮ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার পর্যবেক্ষণ অনেক প্রখর! এত বড় লেখার মধ্যে (ব্রাকেটের বন্ধনিতে) সামান্য একটু রসিকতা করলাম, সেটিও আমার দৃষ্টি এড়ালো না
//অনেক কিছু শুধুমাত্র শুনেই জানা এবং শেখা যায় , যা আমাদের জীবন নামক যুদ্ধে অপরিহার্য//
-অপরিহার্য অভিমত দিয়েছেন, প্রিয় সায়েদা সোহেলী
আপনার মন্তব্যটি আমার এক ফেইসবুক বন্ধুর মন্তব্যের সাথে প্রায় মিলে গেলো: //যখন আমি উপলব্ধি করে ঈশ্বর সকলকেই সমানভাবে সৃষ্টি করেছেন তখন আমি বুঝি যে, তাদের চিন্তাগুলোও মূল্যবান। এজন্য তাদেরকে আমি শুনি। //
২৩| ২৮ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমিও উত্তম শ্রোতা!
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
একটি উত্তম গুণ আপনার আছে। বিরলও!
শুভেচ্ছা জানবেন, সিদ্দিকী ভাই
২৪| ৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আমি আপনাকে শুনছি । আপনি আমাকে শুনছেন ত ?
আরেকটা বোমশেল ।
ভাল থাকুন প্রিয় মাইনুল ভাই
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জি আমিও আপনাকে শুনছি। ব্লগ পড়লে তা ‘শুনা’ যায়
মন্তব্য দিয়ে সঙ্গে থাকার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, প্রিয় মাহমুদ০০৭
২৫| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:২১
লিরিকস বলেছেন: +
০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় লিরিকস
২৬| ০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: সামান্য হেয়ারিং নিয়ে এতো বিশ্লেষণ!! ... আসলেই আরেকটা মাস্টারপিস!
সময় করে পড়বো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে .. আপাতত সংগ্রহে রেখেদিলাম
ভালোকথা, থিসিস তৈরিতে আপনিও কিন্তু কম যান না ...
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা, এটি থিসিস নয়। আমার সংগ্রহটুকু একসাথে দিলাম।
বড় শব্দে প্রশংসা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, অ্যানোনিমাস
২৭| ০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: দুঃখিত! আসলে পোস্টটা দেরীতে চোখে পড়লো
যখন করেছিলেন ব্লগে ছিলাম না ...
নৈলে এমন পোস্ট কেউ এড়িয়ে যায়!?
এগুলোই তো ব্লগ পোস্ট
একটা সামান্য প্লাস দিয়ে গেলাম আপনার সুন্দর পোস্টের কাছে যা আসলেই কিছুনা ..
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আবারও আনন্দিত হলাম, আপনার আন্তরিক মন্তব্যে।
পোস্ট চোখ এড়িয়ে যেতেই পারে। আমারও যায়। আসলে সময়ই পাই না
আপনাকে নিশ্চিত করার জন্য বলে রাখছি:
আমার সব লেখাই সবাই পড়বে এবং শত শত মন্তব্য আসবে - এরকমটা আমি আশা করি না
আমি এতে কিছুই মনে করি না এবং তাতে অন্যের ভালো লেখায় মন্তব্য করা থেকে আমি কখনও বিরত থাকি না
আপনাদের সঙ্গ পেতে ভালো লাগে।
কিন্তু আমি জানি, আমি কেমন লেখক
তবু মন্তব্য পেতে কে না ভালোবাসে
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় অ্যানোনিমাস
ভালো থাকবেন।
২৮| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: মধুর সম্বোধনটার জন্য আরো একটা আন্তরিক ভালোলাগা মাখা ধন্যবাদ না দিয়ে যেতে পারলাম না প্রিয় ব্লগার...
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার নামটি আমার অনেক পছন্দের....
ভালো থাকবেন...
নিয়মিত সঙ্গ পেয়ে খুবই ভালো লাগছে
২৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮
লিরিকস বলেছেন: +
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আবারও ধন্যবাদ
৩০| ০৫ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৬:৩৩
কালের সময় বলেছেন: অনেক ভাল একটি পোষ্ট
পড়ে ভাল লাগলো ।
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কালের সময়কে অনেক ধন্যবাদ ...
শুভেচ্ছা জানবেন
৩১| ০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৩৯
সপ্ন অফুরন্ত বলেছেন: ভালো। অনেক নতুন কিছু জানলাম
০৬ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, স্বপ্ন অফুরন্ত
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:২৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: একটা মূল্যবান দরকারী থিসিস পেপার, সুন্দর লিখেছেন। সবার পড়া দরকার। খুব ভাল লেগেছে।