নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনটা অদ্ভুতভাবে কেটে যাচ্ছে। এর ছুটে চলা এখন আর ঠিকমতো খেয়ালও করতে পারছি না। দিন থেকে সপ্তাহ, সপ্তাহ থেকে মাস, মাস থেকে বছর। এরশাদের আমল, খালেদার প্রথম আমল, হাসিনার প্রথম আমল, খালেদার দ্বিতীয় আমল, মাঝখানে দু’বছর বিশেষ তত্ত্বাবধায়কের আমল, আবার হাসিনার দ্বিতীয় আমল শেষ হয়ে এবার আমরা তৃতীয় আমলে আছি। যারা জিয়া বা সাত্তারের আমল দেখেছেন তারা আরও তাড়াতাড়ি জীবনের পরিক্রমাটি দেখতে পাবেন। এভাবে চিন্তা করলে জীবনটাকে মাত্র কয়েকটা ফালিতে ভাগ করে ফেলা যায়। আবার দেখুন, ফুটবলের বিশ্বকাপ দিয়ে হিসাব করলে চার করে ভাগ হয়ে যায় জীবনটুকু। ২০১৪, ২০১০, ২০০৬, ২০০২, ১৯৯৮, ১৯৯৪, ১৯৯০, ১৯৮৬, ১৮৮২... আর কত বছর যাওয়া যায়। দেখা যাবে জন্মসাল পার হয়ে গেছি!
শিক্ষাজীবন যারা নিয়মিতভাবে অতিক্রম করেন তারা জীবনের পঁচিশটি বছর স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে অতিক্রম করেন। কর্মজীবন এবং সংসার জীবন কারও জীবনে পাশাপাশি চলে, কারও জীবনে আসে প্রথমটির পরে। হাসি আনন্দ আর সাংসারিক ব্যস্ততায় চলে যায় আরও পঁচিশটি বছর। পরবর্তি সময়টুকুর অধিকাংশ চলে যায় অপেক্ষায় - কখন আসবে বিদায়ের কাল। এই ক্যাটেগরিতে জীবনকে মাত্র তিন-চার ভাগ করা যায়।
টিভিতে হারকিউলিস দেখতাম, ম্যাকাইভার দেখতাম,মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড, অথবা ধরুন, এক্স ফাইলস। এক্স ফাইলসের প্রারম্ভিক মিউজিকটি কি কারও মনে পরে? এই সেদিনের কথা। অথচ কতটি বছর হয়ে গেলো! এই সেদিন না অর্জুনা রানাতুঙ্গার শ্রীলংকা প্রথম জিতে নিলো ক্রিকেটের বিশ্বকাপ! মাছ মার্কায় পাশ করে মেয়র হলেন মোহাম্মদ হানিফ! আহা, এরশাদ তো এই সেদিন কেবল পদত্যাগ করলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ঢাকায় বিক্ষিপ্ত বিজয় মিছিল। নব্বুইয়ের গণ আন্দোলন! মাঝখানে স্বপ্নবিভোর শহুরে শিক্ষাজীবন। দীর্ঘদিন গ্রামে থেকে আবার ফিরে আসা ঢাকার জীবনে। শুরুর দিকে ছাত্র; তারপর খণ্ডকালীন ছাত্র। শেষের দিকে খণ্ডকালীন চাকুরে। এখন পূর্ণকালীণ সেমি-প্রৌঢ় পেশাজীবি! ক’দিনের কথা! দিনের শেষে মনে হয়, ঢাকায় এসে যেন সময়ের চাকা আরও বেশি গতিতে চলতে শুরু করছে।
একটা সময় ছিলো, যখন সবকিছুকে খুব গুরুত্বের সাথে নিতাম। ছোট হোক বড় হোক সব কাজকে নিজের যোগ্যতা প্রকাশের জন্য সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতাম। এর সুফল নিয়ে স্বপ্নে বিভোর হতাম। চিন্তা দিতাম, শ্রম দিতাম নিজেই। টিমকে কেবল ‘ফলো’ করতে বলতাম। রাতের পর রাত ওটার পেছনে লেগে থাকতাম। ক্ষুধা, ক্লান্তি, নিদ্রামগ্নতা ভুলে শেষ পর্যন্ত ওটাতেই যুক্ত থাকতাম। শেষ দিনটি পর্যন্ত আত্মপ্রকাশের উত্তেজনায় ছটফট করতাম। ফল আসতো - অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সুফল। সুফল আসার পর, শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভিড় লেগে যেতো। কে কীভাবে আমাকে সাহায্য করেছে; কীভাবে অবদান রেখেছে তা প্রকাশ করার জন্য সহপাঠী-সহকর্মীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগে যেতো। জুনিয়র হলে কৃতীত্ব নিজের কাছে কিছুটা ফিরে আসতো। সিনিয়র হলে, অধিকাংশ সময়েই বেদখল হতো! সবক্ষেত্রেই কৃতীত্ব ভাগাভাগি হয়ে যেতো। কে চ্যালেন্জ নিয়েছে, কে শেষাবধি লেগে আছিলো, তা কেউ মনে রাখতো না। বিরবির করে তখন ওপরে তাকিয়ে বলতাম, ‘ধন্যবাদ ঈশ্বর! কাজটি তো করতে পেরেছি, সেটাই বড় পাওয়া।’ সুফল আসতো প্রতিষ্ঠানের, প্রমোশন হতো বিগ বসের। নির্বোধ মন বলতো, কী দরকার ছিলো এতটা পরিশ্রমের! পুরস্কার নেই - কমপক্ষে স্বীকৃতিটাতো পাওয়া উচিত ছিলো! সুবোধ মন আমাকে প্রবোধ দিয়ে বলতো: চালিয়ে যাও, কাজ শিখছো, নিজেকে আবিষ্কার করছো, আত্মবিশ্বাস বাড়ছে - এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে?
এখনও যে চ্যালেন্জ নিচ্ছি না, তা নয়। কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। মাণের চেয়ে পরিমাণের দিকে মনযোগ বেড়েছে। ‘কয়েকজনের জন্য এ-প্লাস নয়, সকলের পাশ চাই’ - এরকম একটা মনোভাব। কিছু বিষয়ে চমৎকার হলে চলবে না, সকল বিষয়ে এগিয়ে থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করাতে হবে বিশিষ্ট হিসেবে। কাজ উদ্ধার করতে হবে, যে কোনভাবে! তাই এখন খুঁজি কে ওই কাজটি ভালোভাবে করতে পারবে; কাকে কাজটি দিলে দ্রুত এবং নিশ্চিতভাবে ফল আসবে। কে কাজটি মাথায় নিয়ে শেষ বেলায় এসে অজুহাত দাঁড় করিয়ে ‘সরি’ বলবে না; কে আমার নির্দেশ বুঝবে - এসব নিয়ে ভাবি। কিন্তু আগের সেই ‘সিরিয়াস’ ভাবটুকু নেই, সেটা ফিরে পেতেও মন চায় না। তার পরিবর্তে একটি নতুন উপলব্ধি এসে ভর করেছে। আমি দেখেছি, আমি যাতে বেশি মনোযোগ দিই, তাতে আমার টিমমেটরা কম মনোযোগ দেয়। ফল আসে কম। মনযোগ ব্যাপারটা টবের পানি আর বাতাসের মতো হয়ে গেছে। পানি বেশি থাকলে বাতাস কম! তাই কিছু ক্ষেত্রে ইচ্ছে করেই মনোযোগ কম দেই অথবা কম দেখাই। তাতে যদি অধিকাংশ মানুষের মনযোগ বাড়ে! সুফল এখনও আসে, তবে ভাগ করাতেই আমার আনন্দ। মূল্যায়নের দিন দৃষ্টিতে সমস্ত মনযোগ নিয়ে খুঁজি টিমের কোন সদস্যটি বেশি শ্রম ও আন্তরিকতা দিয়েছে। তাকেই করি পুরস্কৃত! বাকি সকলকে প্রেরণা দেই আগামির জন্য। সামগ্রিক সফলতায় গর্ববোধ করি, প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে চলায় পুলকিত হই।
কিন্তু সমস্যা গুরুতর হচ্ছে। যেসব অসুখ অপেক্ষাতেই সেরে যেতো, এখন ওষুধ খেলেও যায় না। ক্লান্তি এসে ভর যখন তখন। দারুণ ক্লান্তি! জীবনে যা কখনও হয় নি, তা হতে শুরু করেছে। অফিসের ডেসকে ঘুম আসতে চায়! নাউজুবিল্লাহ। ‘টিমলিডারকে কোন রকমের শারীরিক দুর্বলতা প্রদর্শন করা চলিবে না।’ প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত এই নসিহত আর আমাকে ঝিমানো থেকে আটকাতে পারে না। সিনিয়রের ভয় তো কেটে গেছে সেই কবে! এখন ভয় করে সময়কে নিয়ে। দারুণ ভয় পাই আমি সময়কে। হল্লা করে ছুটছে আমার পেছনে। কবে যে সময় এসে বলবে, অনেক হয়েছে - এবার থামো! পড়নের কাপড়েই সাথে চলো! সব কথা হবে থানায়। ইউ আর আন্ডার এরেস্ট!
[ একজন কর্মজীবির কর্পোরেট লাইফ অবলম্বনে ]
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, রেজওয়ানা আলী তনিমা
২| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:১৫
মামুন রশিদ বলেছেন: ‘টিমলিডারকে কোন রকমের শারীরিক দুর্বলতা প্রদর্শন করা চলিবে না।’ প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত এই নসিহত আর আমাকে ঝিমানো থেকে আটকাতে পারে না।
দিনের মধ্যভাগের পর হতে সূর্যের আলো ক্রমশ কমে আসবে, এটাই স্বাভাবিক । প্রথম যৌবনের তারুণ্য মধ্য চল্লিশে আশা করা উচিত নয় । তবে তারুণ্যে উদ্যমতা থাকলেও পূর্ণতা নেই । চল্লিশের পরই মানুষ যাত্রা করে পূর্ণতার দিকে- বিবেচনা-বুদ্ধি-উদ্ভাবন সব বিচারে । আর পূর্ণতার পথের এই যাত্রাকে ক্ষয়িষ্ণুতা ভাবা আপাত বিভ্রম ।
সব বিভ্রম ঠেলে জেগে উঠুন পূর্ণতার শক্তিতে ।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
যেন বিভ্রমই হয়, ভাই!
শক্তি পেলাম কথায়...
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৭
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: জীবন কখনো সাদাকালো আবার কখনো হয়তো রঙিন। সময়ের বাস্ততায় আমরা হয়তো চোখের রঙিন গ্লাসটা খুলে রাখি। খোলাচোখে যা কিছু দেখি সবই সাদাকালো লাগে। সময়ের এই ব্যস্ততায় আমাদের জীবনের পরিবর্তণ গুলো ধারাবাহিক ভাবে চোখে পড়ে না। কিন্তু কিছুটা সময় পরে আমরা যখন একটু পেছনে ফিরে তাকানোর ফুসরত পাই তাকিয়ে দেখি অনেক কিছুই চেঞ্জড।
এইজন্যই হয়তো 'দিনের শেষে ফালি ফালি করে কাটা জীবনটুকু' অদ্ভুত লাগে।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//সময়ের এই ব্যস্ততায় আমাদের জীবনের পরিবর্তণ গুলো ধারাবাহিক ভাবে চোখে পড়ে না। কিন্তু কিছুটা সময় পরে আমরা যখন একটু পেছনে ফিরে তাকানোর ফুসরত পাই তাকিয়ে দেখি অনেক কিছুই চেঞ্জড।// -সুন্দর করে বলেছেন
ধন্যবাদ, ভাই মৃদুল শ্রাবণ
ভালো থাকা হোক...
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৭:৩৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: নিজের পেশাগত জীবন নিয়ে এর চেয়ে ভালো পোস্ট মর্টেম আর পড়েছি বলে মনে হয়না। যাই হোক, এই লেখা পড়ার পর আমার দুটো প্রশ্ন আছে। ১) সেমি-প্রৌঢ় শব্দটি কী আপনার নিজের আবিস্কার? আমি তো এতদিন ঝানতাম (সরি! জানতাম), যৌবনের পর প্রৌঢ়ত্ত্ব আসে। মাঝখানে এরকম একটা বয়স আছে, তা' তো ঝানতাম না। ২) পেশা হলো মানুষের জীবনের একটা অংশ মাত্র। পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের অন্যান্য অংশের মতো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে আমাদের মতো হতভাগাদের আপনার টিম মেট বলে মনে হয় কী? হলে তাদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
দুটো প্রশ্নই বেশ হৃষ্টপুষ্ট। কিন্তু উত্তর দু'চার বাক্যের বেশি হলে পড়বো না। ধন্যবাদ, মইনুল ভাই।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
উত্তর ১: হাহাহা! আমি এখন সেমি-প্রৌঢ়। ভাষার স্বাধীনতা নিয়েছি। মাইন্ড খাইয়েন বড় ভাই
উত্তর২: উত্তর ওপরে দেওয়া হয়েছে তবু একটু যোগ করছি: আপনি আমার চেয়ে অনেক যুবক আছেন, যা ঈর্ষণীয়
অনেক ধন্যবাদ, আবুহেনা ভাই
৫| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
মাহবু১৫৪ বলেছেন: এত সুন্দর করে লিখলেন! পড়ে খুব ভাল লাগলো
+++++++
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সত্যিই ভালো লেগেছে? হতাশ লাগে নি?
ধন্যবাদ, ভাই মাহবু১৫৪
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:০৩
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: টিভিতে হারকিউলিস দেখতাম, ম্যাকাইভার দেখতাম,মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড, অথবা ধরুন, এক্স ফাইলস।
ছোট বেলায় এগুলো আমি একদম মিস করতাম না। আপনার লেখা পড়ে খুব মনে পড়ছে সেই দিনগুলির কথা।
সত্যি দিনগুলো কিভাবে যেন চলে যাচ্ছে। লেখায় ভালোলাগা রইল।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিভিন্নজনের জীবন বিভিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে...
থেমে থাকছে না...
প্রিয় স্বর্ণলতা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
৭| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১২
ডি মুন বলেছেন: কিন্তু সমস্যা গুরুতর হচ্ছে। যেসব অসুখ অপেক্ষাতেই সেরে যেতো, এখন ওষুদ খেলেও যায় না। ক্লান্তি এসে ভর যখন তখন। দারুণ ক্লান্তি!
শেষমেষ সবকিছু ক্লান্তিতে বদলে যায়।
ভালো লিখেছেন। শুভেচ্ছা জানবেন মইনুল ভাই
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ক্লান্তিতে বদলে যায় এবং পানশে হয়ে যায়...
প্রিয় ডি মুন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২২
সোহানী বলেছেন: অসাধারন কর্পোরেট অনুভূতি.......
সত্যিই তো........ কবে যে সময় এসে বলবে, অনেক হয়েছে - এবার থামো ...... যতক্ষন না বলে আমরা যে থামবো না কারন থামলেই তো সব শেষ.. তাই না !!!!!!!
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঠিক তাই... সেটিই ভয়ের কারণ।
ভালো থাকুন, সকল সীমাবদ্ধতার মধ্যেও, সোহানী
৯| ২৪ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২২
সুমন কর বলেছেন: প্রথমে রাজনীতি, পরে বিশ্বকাপ, ছাত্রজীবন, ছোটেবলার স্মৃতি, হানিফ, এরশাদ, শুরুর দিকে ছাত্র; তারপর খণ্ডকালীন ছাত্র। শেষের দিকে খণ্ডকালীন চাকুরে। এখন পূর্ণকালীণ সেমি-প্রৌঢ় পেশাজীবি! ক’দিনের কথা! দিনের শেষে মনে হয়, ঢাকায় এসে যেন সময়ের চাকা আরও বেশি গতিতে চলতে শুরু করছে। .......
সুবোধ মন আমাকে প্রবোধ দিয়ে বলতো: চালিয়ে যাও, কাজ শিখছো, নিজেকে আবিষ্কার করছো, আত্মবিশ্বাস বাড়ছে - এর চেয়ে বড় পুরস্কার আর কী হতে পারে? ......
দারুণ একটি লেখা পড়লাম।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রেরণাদায়ক রিসপন্স
সুমন করকে অনেক কৃতজ্ঞতা
১০| ২৪ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, ভাল লাগল।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঢাকাবাসী, ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন
১১| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:০০
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: বেশ চমৎকার। খানিকটা দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে আছে। পুরনো দিনের কথা ভেবে কে না উদাস হয়?
শুভেচ্ছা।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দীর্ঘশ্বাস ‘লুকাতে’ পারলাম কই
গল্পকার ইসহাক খানকে অনেক ধন্যবাদ।
১২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৮
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
টিভিতে হারকিউলিস দেখতাম, ম্যাকাইভার দেখতাম,মিস্টিরিয়াস আইল্যান্ড, অথবা ধরুন, এক্স ফাইলস। এক্স ফাইলসের প্রারম্ভিক মিউজিকটি কি কারও মনে পরে? এই সেদিনের কথা। অথচ কতটি বছর হয়ে গেলো!
আসলেই তাই !
এই সময় ফুরিয়ে যাওয়া বড় কষ্টকর !
আপনি ভালো আছেন তো ? লেখায় +++
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বড়ই কষ্টকর...
স্বপ্নচারী গ্রানমা, আপনি কেমন আছেন? আমি ভালো আছি
শুভেচ্ছা...
১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় হাসান মাহবুব, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ
দয়া করে সময়কে টেনে ধরার আয়োজন করুন
১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আরজু মুন জারিন বলেছেন: শিক্ষাজীবন যারা নিয়মিতভাবে অতিক্রম করেন তারা জীবনের পঁচিশটি বছর স্বপ্নাবিষ্ট হয়ে অতিক্রম করেন। কর্মজীবন এবং সংসার জীবন কারও জীবনে পাশাপাশি চলে, কারও জীবনে আসে প্রথমটির পরে। হাসি আনন্দ আর সাংসারিক ব্যস্ততায় চলে যায় আরও পঁচিশটি বছর। পরবর্তি সময়টুকুর অধিকাংশ চলে যায় অপেক্ষায় - কখন আসবে বিদায়ের কাল। এই ক্যাটেগরিতে জীবনকে মাত্র তিন-চার ভাগ করা যায়।
এখানে ভাল ইমো নেই যে আমার হৃদয় আবেগ প্রকাশ করব। এত চমত্কার লিখেন মইনুল ভাই মুগ্ধ হয়ে পড়ি। সাধারণ লিখা আপনার কলমের জোরে লিখার বৈশিষ্ট্যে মহিমান্বিত হয়ে উঠে। অনেক মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম আপনার লিখায়। ভাল থাকুন। শুভেচ্ছা দিয়ে গেলাম অনেক অনেক।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আন্তরিক মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম, প্রিয় আরজু মুন জারিন আপা
ভালো থাকা হোক... সবকিছু অতিক্রম করে...
১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০০
আরজু মুন জারিন বলেছেন: কিন্তু সমস্যা গুরুতর হচ্ছে। যেসব অসুখ অপেক্ষাতেই সেরে যেতো, এখন ওষুদ খেলেও যায় না। ক্লান্তি এসে ভর যখন তখন। দারুণ ক্লান্তি! জীবনে যা কখনও হয় নি, তা হতে শুরু করেছে। অফিসের ডেসকে ঘুম আসতে চায়!
ঘুম জাগানিয়া চেতনা হরনিয়া
কবিতা লিখা শুরু করেন।
কবিরা ঘুমাতে পারেনা নাকি।
ছন্দ নাকি নার্ভ আর শরীর কে এলার্ট রাখে।
২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
... এখন অসুধ খেলে অসুখ যায় না
শরীরকে আটকে ধরবো, নাকি সময়কে বলবো থামতে... বুঝি না।
কবিরা ঘুমাতে পারেন... (কিন্তু আমি তো কবি না)
হাহাহা, ভালো কথা বলেছেন, ছন্দ স্নায়ুকে তৎপর রাখে। ঠিক।
অনেক শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা জানবেন...
১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:৩৮
আরজু পনি বলেছেন:
এভাবে বলতে নেই...প্রতিটি জীবনকেই এরেস্ট হতে হবে...তবু্ও আমরা না জানার, না দেখার ভান করি ।
জীবন দর্শন পড়ে ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছা রইল, মইনুল ।।
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বলতে নেই, তবুও বলা হয়ে যায়...
যেতে নেই, তবু যেতে হয়
আরজুপনিকে অনেক শুভেচ্ছা
১৭| ২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০৮
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: একজন কর্মজীবির কর্পোরেট লাইফ অবলম্বনে ... একটা লেখা, লেখাটার গুনাগুন বিচার করাটা অর্থহীন! কারণ এমনই বাস্তব এমনই জীবন্ত কতগুলো লাইন পড়বার সময় মনে হচ্ছিলো যেন জীবনের অনেক অনেক গুলো ঘাট একরকম সফলভাবেই অতিক্রম করা একজন আমাকে কথাগুলো বলছেন, হয়তো আমার বড়ভাইয়ের মুখ থেকে কথাগুলো শুনছি ...
এমন জীবন্ত কতগুলো লাইন যা হতে পারে যেকোন জীবনের পথে পা বাড়ানো নবীন পথিকের প্রত্যক্ষ ম্যাপ না হলেও পরোক্ষ গাইডলাইন...
কিংবা হতে পারে এমন কিছু প্রয়োজনীয় উপদেশ যেগুলো আসলে দেয়া হয়েছে কিংবা বর্ণনা হয়েছে স্রেফ আত্ন জীবনোপলব্ধি কিংবা জীবনের অনেক গুলো স্টেজ পার হয়ে একেবারে যেন বিকেল বেলাটায় বন্ধুর রাস্তাটার শেষ মাথায় অজানা গোধূলির দিকে ফিরে ফেলে আসা পথটাকে যুঝতে এবং বুঝতে ...
আমি মনে করি যেকোন কারো, যদি শুধু বুঝে নিতে পারে স্বাভাবিক কিন্তু অনবদ্য সাবলীল প্রাঞ্জল উপস্থাপনায় লাইনে লাইনে লুকিয়ে থাকা জীবনের একেকটা ধাপের বাস্তব জীবন্ত কল্পচিত্রগুলো তবে তার জন্য সামনের পথটুকোয় অনেক কিছুই অনুধাবন এবং ডিসিশান নেয়া হতে পারে কিছুটা হলেও সহজতর ... যেহেতু এখানে অভিজ্ঞতার সে জীবন্ত চিত্র গুলো ফুটে উঠেছে ...
চেয়েছিলাম কিছু কিছু যায়গা কোট করি, কিন্তু পরে দেখি প্রায় প্রতিটা যায়গাতেই একেকটা জীবন বাস্তবতার প্রাঞ্জল ছবি...
আমার চোখে অন্তত সেরকমই লাগলো কথাগুলো ...
দিনের শেষে ফালি ফালি করে কাটা এই জীবন চিত্রটা আমি রেখে দিলাম ব্লগের বাইরেও একেবারে নিজের কাছে ...
কানে কানে বলি একটা কথা, এটা একটা ভিডিও চিত্রই আমার কাছে
সময়ে কাজে দেবেনা এমন তো নয় ...
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিশাল বড় মূল্যায়ন করে দিলেন, অ্যানোনিমাস
আমি রীতিমতো মুগ্ধ।
ইয়া বড় প্রশংসায় বুকটাও ভরে গেলো...
জীবনের উপলব্ধি যদি কারও পথ চলায় কাজে আসে, তবে মন্দ কী!
‘ভিডিও চিত্রের’ মতো লেগেছে জেনে আরও মজা পেলাম
একটি চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
১৮| ২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার লেখায় আমাকে দেখতে পোলাম। ফালি ফালি করে কাটা এ জীবনটুকু।
পেছনে তাকালে মনে হয়, এই সেদিন মাটি কাঁপিয়ে মাথা ঘেঁষে উড়ে গেলো একঝাঁক বিমারু বিমান, আমরা একদঙ্গল নেংটো বালক আতঙ্কে লাঙ্গলচষা ক্ষেতরে উপর শুইয়ে পড়ে আর্তনাদ করছিলম।
তারপর কত গল্প, কত মোড়। আনন্দ, বেদনা।
সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে।’
ভালো লাগার পর মন বিষণ্ণতায় ছেয়ে গেলো।
“এখন ভয় করে সময়কে নিয়ে। দারুণ ভয় পাই আমি সময়কে। হল্লা করে ছুটছে আমার পেছনে। কবে যে সময় এসে বলবে, অনেক হয়েছে - এবার থামো! পরনের কাপড়েই সাথে চলো! সব কথা হবে থানায়। ইউ আর আন্ডার এরেস্ট!”
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
‘সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে।’ গানটি আমায় খুবই স্পর্শ করে
আমার ক্ষেত্রে যা হয় তা হলো: ভালো লাগার পর বিষণ্নতায় ছেয়ে যাওয়ার পর আবার ভালো লাগে
আপনারও লাগুক!
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন, সোনাবীজ ভাই
১৯| ২৯ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ‘কয়েকজনের জন্য এ-প্লাস নয়, সকলের পাশ চাই
ভালো লাগা রইলো।
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা...
আমি তুমি আমরা
ফেবুতে আপনাকে পেয়ে আনন্দিত
(নাম না জানালে বন্ধু হওয়া যায় কি?)
২০| ৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:০১
খাটাস বলেছেন: লেখায় কিছু একটা ছিল, অনন্যতা হয়ত। মনের অজান্তেই তাই ভাল লাগা। অন্তর নিক্ষেপিত শুভেচ্ছা প্রিয় ভাই।
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:২৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখায় ‘অনন্যতা’ খুঁজে পাওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি।
খাটাসকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
২১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০৯
জুন বলেছেন: জীবনটা অদ্ভুতভাবে কেটে যাচ্ছে। এর ছুটে চলা এখন আর ঠিকমতো খেয়ালও করতে পারছি না।
আপনার লেখাটা পড়ে নিজের কথাও ভাবনায় এসে গেল। এক্স ফাইলসের মিউজিক আর তার প্রতিটি পর্ব না দেখলে ঘুম হতোনা। ওশিনকে জন্ম থেকে বুড়ো হতে দেখলাম। কবে চলে গেল সেই দিন গুলো কিন্ত ম্যাকগাইভারের সেই ছুরি অবশ্য আমার কাছে আছে এখনো ।
খুব অদ্ভুত সুন্দর করে লিখেছেন মাইনউদ্দিন মাইনুল ।
+
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জুন আপা... দুঃখিত দেরি হয়ে গেলো
সত্যিই, আজকাল সবকিছু এলোমেলো
সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা।
২২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
স্মৃতিচারণ । সুখ-দুখ, ভালোলাগা সব মিলিয়ে । ফালি ফালি করে কেটে কেটে দেখিয়েছেন সময়ের সাথে বয়ে চলা একটি জীবনের ছবি ।
সময়... সময় ... হায়রে .......সময় বয়ে চলে নাফ নদীর বানের লাহান .....
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নাফ নদীর বানের লাহান....
খুব দেখতে ইচ্ছে হলো নাফ নদীর বান।
কৃতজ্ঞতা জানবেন, আহমেদ জী এস
২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৭
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চমৎকার করে লিখেছেন কিন্তু! মনে হল যেন দিনলিপির একটা স্মৃতিচারণ পড়লাম, যার মাধ্যমে আবার জড়িয়ে নিয়েছেন অনেকের স্মৃতি, সাথে এইসব বেঁচে থাকা! ফালি ফালি করে কাটা এইসব দিন রাত্রি!
০৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বড়ই আফসোস লাগে... সময়কে নিয়ে।
হাজাহার পাতার মহাকাব্য লিখলেও এই হাহাকার শেষ হবার নয়
কবি ৎঁৎঁৎঁকে দেখলে সব সময় আনন্দ পাই...
ভালো থাকবেন প্রিয় সহব্লগার
২৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৪০
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: মাইনুদ্দিন ভাই আপনার এখানে আসলে সবসময়েই ফুরফুরা এক্তা অনুভুতি হয় । এইবার হল না ।
বয়সের সাথে সাথে অনেক কিছুই হারিয়ে যায় ।
পালাবি কোথায় - ইউ আর আন্ডার এরেস্ট! এই থাকে শেষ
পর্যন্ত কপালে ।
শুভকামনা অনেক অনেক প্রিয় মাইনুল ভাই । আল্লাহ আপনাকে
ভাল রাখুক । হাসিমাখা মুখ সবসময় বজায় থাকুক ।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//আপনার এখানে আসলে সবসময়েই ফুরফুরা এক্তা অনুভুতি হয় । এইবার হল না।//
-হুম বুঝেছি। এজন্যে দুঃখিত।
তবে বয়সের সাথে সাথে সবকিছুর সাথে হাসি হারিয়ে যাবে না, কথা দিলাম
ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত হতে পারছি না বলে দুঃখিত, মাহমুদ০০৭
মাসখানেক অতিক্রম করলে আরেকটু অবসর হবার আশা রাখি।
ভালো থাকবেন, ভাইটি আমার
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: ভালো লাগলো+