নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

© মাঈনউদ্দিন মইনুল। কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি, অনুমতি ছাড়া কেউ এব্লগ থেকে লেখা বা লেখার অংশ এখানে বা অন্য কোথাও প্রকাশ করবেন না।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আউটসোর্সিং: ব্লগে কোন আঁকিয়ে কি আছেন, একটি বেদনাতুর ছবি/কার্টুন এঁকে দেবার জন্য!?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৩





আউটসোর্সিং আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে। নাই মামার চেয়ে কানা মামার সুবিধা দিয়েছে। কিছুই যেখানে করতে পারতাম না, সেখানে ঘরে বসে নিজের পরিবারের সাথে থেকে দু’টি পয়সা আয় করে চলতে পারছি। বিশাল বড় পাওয়া।



মা-বাবার লাখ লাখ টাকা খরচ করে এন্জিনিয়ার হয়েছি, কম্পিউটার এন্জিনিয়ার। সেই সনদ দিয়ে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান হতে না পারলেও, সামাজিক কোন অবস্থান সৃষ্টি করতে না পারলেও, কোন প্রকার পদবী অর্জন করতে না পারলেও, টাকা তো আয় করতে পারছি! “তুই কী করস রে?” উত্তরে বলি, “আউটসোর্সিং”।



-আউটসোর্সিং? এইডা আবার কী চাকরি?

-চাকরি না। আত্মকর্মসংস্থান।




বুঝতে পারি, এই কথা বলার মধ্যে কতটুকু অহংকার কাজ করে একজন ফ্রিল্যান্সারের মনে। কিন্তু বন্ধুরা যখন সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনে বিভিন্ন পদবী নিয়ে সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে, তখন একটু হলেও ভেতরের কোথাও বেদনার সৃষ্টি হয়। অথবা দেখা গেলো, কেউ কোন বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হয়ে বাড়ি গাড়ি নিয়ে ‘পুরোপুরি সেটলড লাইফ লিড’ করছে। তখন হঠাৎ করেই প্রশ্ন জাগে, শুধুই কি অর্থের জন্য পড়াশুনা করেছি, সমাজে কি পরিচয়ের একটুও দরকার ছিলো না?



আমি বলছি তাদের কথা, যারা আউটসোর্সিংয়ের দরজায় প্রবেশ না করলে নিজেদের একাডেমিক সনদ দিয়ে সরকারি/বেসরকারি/কর্পোরেট সেক্টরে ভালো একটি চাকরির সংস্থান করতে পারতো। দরজা খোলা, তাই প্রবেশ করেছে। বন্ধ থাকলে হয়তো সামনের দিকে এগিয়ে আরও উন্নতর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারতো। শুধুই তাদের কথা বলছি।





তাদের জন্য আমার ব্যথিত নই, যারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে অথবা না করে, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় বেইসিক কম্পিউটার অপারেটিং রপ্ত করেছে। তারপর নিজের প্রচেষ্টায় গ্রাফিক্স বা ওয়েবডিজাইনিং অথবা এসইও শিখে আউটসোর্সিংয়ের জগতে বিশাল বাজার তৈরি করেছে। শুধু নিজের জন্য নয়, সমগোত্রীয় অন্যদের জন্যও তারা সৃষ্টি করেছে নিশ্চিত কর্মসংস্থান। নিজের বাড়িতে আপনজনের সাথে থেকেই তারা সংসারের আর্থিক চাহিদা মেটাচ্ছে। এমনকি অতিরিক্ত সম্পদেরও মালিক হচ্ছে। তাদের জন্য আমার কোন আফসোস নেই, কারণ অন্যথায় তারা আরও নিম্নস্থরের কাজে নিযুক্ত হতে হতো। অথবা বেকারত্বের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে অপরাধ জগতে ঢুকে যেতো। তাই, তাদের এই উত্তরণে আমি বরং গর্বিত।



আমি তাদের জন্য, সেসব ছোট-ভাইবোনদের জন্য ব্যথিত হই, যারা অনেক অর্থ ও মেধা দিয়ে শিক্ষাজীবনের প্রায় সবগুলো স্তর অতিক্রম করেছে। আত্মসিদ্ধির মহাসড়কে আর ক’টা দিন হাঁটতে পারলেই তারা আরও সম্মানজনক একটি কর্মসংস্থান অথবা সামাজিক অবস্থান অর্জন করতে পারতো। কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের ‘কুইক মানি’ তাদেরকে আত্মসিদ্ধির পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাদেরকে থামিয়ে দিয়েছে গ্রাফিক্স আর ওয়েব ডিজাইনের মাঝে। অন্যথায়, তারা বৃহত্তর সমাজে নিজের অবস্থান তো নিশ্চিত করতে পারতোই, সে সাথে দেশ ও জাতির উন্নয়নের ডিজাইন করতে পারতো।



আমি খুব চাচ্ছিলাম কেউ আমাদের চোখগুলো খুলে দিক। আমরা যে আউটসোর্সিংয়ের নামে নতুন নীলকুটির শোষণে পড়েছি, তা কেউ আমাদেরকে বলে দিক। আমি যুক্তি খুঁজতেছিলাম, কীভাবে এমন একটি জনপ্রিয় বিষয়ের বিপরীতে কথা বলা যায়। বস্তুত, আমি এর বিপক্ষে নই, চাই শুধু দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। চাই আরও নেগোশিয়েশন হোক, বাঙালির ক্ষমতা বাড়ুক শ্রমের দামটি আরেকটু বেশি হাঁকার। আর চাই, সম্ভাবনাময় ও প্রতিশ্রুতিশীল নতুন প্রজন্ম ওখান থেকে সোজা বের হয়ে আসুক। এসে জাতি ও দেশ গঠনের অন্যান্য কাজে হাত দিক।







আমার মনের কথাগুলো যেন অবিকল পেয়ে গেলাম একটি ব্লগপোস্টে। লিখেছেন সাবেক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ আবু সাঈদ :



“ইদানীং নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখানো হচ্ছে, লাখো বেকারের কাজের সংস্থান হবে। কীভাবে হবে? বিশ্বায়নের প্রভাব এখানেও হাত দিয়েছে এবং এর দূতিয়ালি করার মহাজনদের দেখা যাচ্ছে। প্রযুক্তির পরিভাষায় এর নাম 'আউটসোর্সিং'। করপোরেট বিজনেস হাউস, বড় বড় কোম্পানি তাদের গোটা কাজের কিছু অংশ বাইরে থেকে করিয়ে নিতে চায়। কারণ সস্তা মজুরি। আমেরিকায় যে কাজে শ্রমিকের পাওনা ঘণ্টায় ২৫ ডলার, মেক্সিকােতে তা ১ ডলার, চীনে ৫০ সেন্ট, ভিয়েতনামে ৩০-৩৫ সেন্ট, বাংলাদেশে ১২ সেন্ট। এই 'আউটসোর্সিং'-এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ঝুঁকে পড়ছে। রাত জেগে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে তারা যা শ্রম-মজুরি পাচ্ছে তাকে তারা লাভ মনে করে। আসলে তারা যে শোষিত হচ্ছে এ কথা বুঝলেও তাদের করার কিছুই নেই।





মায়ের কানের গয়না বিক্রি করে যারা পরীক্ষার ফিস দিয়েছে, বাবার একমাত্র ধানী জমিটি বিক্রি করে যারা সেশন চার্জ দিয়েছে, সেসব মেধাবী তরুনদের মাথায় ‘নব’ লাগিয়ে শোষণ করে নিচ্ছে তাদের জীবনী শক্তি। আউটসোর্সিংয়ের মায়ায় আটকে গিয়ে তারা আর উন্নততর বা সৃষ্টিশীল কিছু চোখে দেখছে না। তারা আর বের হতে চায় না, ঘরেই বসে থাকতে চায়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, শোষিত হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এবং মহানন্দে!



এমন কি কোন আঁকিয়ে আছেন? কোন কার্টুনিস্ট? যিনি যথাযথভাবে এবং কোন ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি না করে উপরের চিত্রটি ছবিতে রূপান্তর করতে পারেন?











[প্রবাসী পাঠক এবং কাল্পনিক ভালোবাসার বিফলে-মূল্য-ফেরত পরামর্শে আজকের পোস্টটিকে প্রথম পৃষ্ঠায় আনা গেলো। তাদেরকে ধন্যবাদ! ভাবতেছি, এতো রহস্য তারা জানে কেমনে!!]

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

থিওরি বলেছেন: আমেরিকায় যে কাজে শ্রমিকের পাওনা ঘণ্টায় ২৫ ডলার,
মেক্সিকােতে তা ১ ডলার, চীনে ৫০ সেন্ট,
ভিয়েতনামে ৩০-৩৫ সেন্ট, বাংলাদেশে ১২ সেন্ট। এই
'আউটসোর্সিং'-এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ঝুঁকে পড়ছে।
রাত জেগে দীর্ঘ সময় ব্যয় করে তারা যা শ্রম-
মজুরি পাচ্ছে তাকে তারা লাভ মনে করে।
আসলে তারা যে শোষিত হচ্ছে এ কথা বুঝলেও তাদের
করার কিছুই নেই।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:০৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
থিওরিকে ধন্যবাদ এবং আমার ব্লগে স্বাগতম :)

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০১

রাজিব বলেছেন: আপনার লেখার মূল চেতনার সঙ্গে আমি ১০০% একমত। তবে আপনি যা চাইছেন অর্থাৎ দৃষ্টি ভঙ্গীর পরিবর্তন তা সময় লাগবে। এ খাতে আমরা নতুন। এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীল হতে পারিনি। দুই পা দিয়ে শক্ত ভাবে দাড়াতে পারলে তারপর আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হবে এবং আরও দরকষাকষি করতে পারবো। ২০০৫-০৬ সালের কথা চিন্তা করুন। তখন কিন্তু ভাল ইন্টারনেট ছিল না। এমনকি মোবাইল ফোনের ইন্টারনেট ছিলনা। বিদেশ থেকে টাকা আসলে ব্যাংকের অফিসাররা বুঝত না ইন্টারনেটে কাজ করে টাকা আসে কি করে।
আর প্রায় ১০ বছর পর এখন সরকার প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে শেখাচ্ছে কি করে ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়। তাই আরও ১০ বছর সময় যেতে দিন। আমরা এখাতে অনেক ভাল করবো। ভারত যদি বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারে এখাতে আমরা ২-৩ বিলিয়ন ডলার তো পারবো। হয়তো ১০ বছর পর আমরা ১০ বিলিয়ন ডলারই আয় করতে পারবো। ১০-১৫ লক্ষ লোকের পেশা হবে এটি এবং ১ কোটি মানুষ এর উপর নির্ভর করে কিছুটা সচ্ছল ও সন্মানের সঙ্গে বেচে থাকবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ভারত যদি বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারে এখাতে আমরা ২-৩ বিলিয়ন ডলার তো পারবো। হয়তো ১০ বছর পর আমরা ১০ বিলিয়ন ডলারই আয় করতে পারবো।//


আপনার মন্তব্যের সাথে পুরো একমত আমি। লেখায় আমি কী বুঝাতে চেয়েছি, আশা করি সেটি বুঝেছেন। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

রাজিবকে আমার ব্লগে স্বাগতম :)

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্যাপারটা ভেবে দেখার মত।

যথেস্ট যৌক্তিক বিষয় দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপনা করেছেন।

প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সেটির আবেদনও বাড়িয়েছেন।

সুন্দর ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রেরণার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, প্রিয় সহব্লগার :)

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: যদিও আউটসোর্সিং আমাদের দেশের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, তারপরও পোস্টের মূল্ভাবের সাথে একমত। এভাবে শোষিত হওয়া মেনে নেয়া যায় না।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//এভাবে শোষিত হওয়া মেনে নেয়া যায় না।//


ধন্যবাদ, আমি তুমি আমরা :)
লেখার মূলভাবটি এটিই।

শুভেচ্ছা জানবেন :)

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

রাজিব বলেছেন: @আমি তুমি আমরা বলেছেন: যদিও আউটসোর্সিং আমাদের দেশের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে একটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে, তারপরও পোস্টের মূল্ভাবের সাথে একমত। এভাবে শোষিত হওয়া মেনে নেয়া যায় না।
আপনার সঙ্গেও একমত কিন্তু এভাবে শোষিত হবার বিকল্প হচ্ছে আরও বেশী শোষিত হওয়া। দিনের পর দিনে সারা রাত কাজ করা মোটেও আনন্দিত হবার মত কিছু নয়। আর নির্দিষ্ট কোন বেতন নেই আউটসোর্সিং খাতে। তারপরও কেন আমরা করি? পেটের দায়ে। এর বিকল্প আসলেই ভয়াবহ- শিক্ষিত হয়ে বেকার, বাংলাদেশী কোম্পানিতে অনেক ক্ষেত্রেই মেধার মূল্যায়ন হয়না এর ফলে অনেক মেধাবী লোক কাজ করে সন্তস্ট নয়।
আমার ব্লগঃ http://ecombd.net/

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//এভাবে শোষিত হবার বিকল্প হচ্ছে আরও বেশী শোষিত হওয়া। দিনের পর দিনে সারা রাত কাজ করা মোটেও আনন্দিত হবার মত কিছু নয়।// সুন্দর অভিমত তুলে ধরেছেন।

হুম শিক্ষিত বেকার হওয়ার চেয়ে এটি নিঃসন্দেহে ভালো।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ :)


//আপনার দেওয়া লিংক ধরে ‘ই-কমার্স ও ট্যুরিজম’ নিয়ে লেখাটি পড়লাম। সুন্দর ইংলিশ :) ইংলিশ ব্লগারদের অনেক সম্ভাবনা। চালিয়ে যান!

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

ডি মুন বলেছেন: সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, শোষিত হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এবং মহানন্দে!

শেষমেশ এটাই চরমতম সত্য। আশেপাশে অনেককেই দেখছি আউটসোর্সিং দিকে নিবিষ্ট হচ্ছেন। উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেও শুরু করছেন আর্টিকেল রাইটিং কিংবা ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ। অনেকক্ষেত্রে বাধ্য হয়ে করছেন। সাময়িক বেকারত্ব সইতে না পেরে। আর একসময় ব্যাপারটায় ঢুকে গেলে তখন সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এবং মহানন্দে শোষিত হচ্ছেন।

এ অবস্থার উত্তোরণ হোক এমনটাই প্রত্যাশা।

সুন্দর একটি বিষয়কে সামনে নিয়ে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমিও একই প্রত্যাশা নিয়ে লেখাটি পোস্ট করেছি, প্রিয় ডি মুন।

মূল সুরটি ধরতে পারায় আনন্দ পেলাম।

শুভেচ্ছা জানবেন :)

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৫

রাজিব বলেছেন: @ডি মুন ভাইঃ
যারা অনেক মেধা নিয়ে এ পথে বাড়ায় তাদের প্রায় প্রত্যেকেই বেকারত্ব বা টাকার জন্য গিয়েছে বলে মনে হয়না। মেধার মূল্যায়ন না হবার ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ পথে পা বাড়ায়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//প্রত্যেকেই বেকারত্ব বা টাকার জন্য গিয়েছে বলে মনে হয়না। মেধার মূল্যায়ন না হবার ফলে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ পথে পা বাড়ায়।//


কঠিন সত্য কথা বলেছেন ভাই। কিন্তু উচ্চশিক্ষিত এবং সম্ভাবনাময় তরুণেরা যাতে একে সারাজীবনের জন্য একে পাথেয় এবং জীবনের লক্ষ্য হিসেবে না নেবার জন্য... এটিই আমার চাওয়া।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, রাজিব। আপনার মন্তব্যগুলো আমার লেখার গুরুত্বপূর্ণ সংযুক্তি হিসেবে কাজ করবে।

শুভেচ্ছা :)

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয়ে দৃষ্টিপাত করার জন্য ধন্যবাদ। আমি নিজেই এ ব্যাপারে অনেক পড়ে জেনেছি। এটি আরো পরিষ্কারভাবে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের বোঝাতে হবে। যাতে তাদের শ্রমের যথার্থ মূল্যায়ন হয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
// এটি আরো পরিষ্কারভাবে আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েদের বোঝাতে হবে। যাতে তাদের শ্রমের যথার্থ মূল্যায়ন হয়।//


সেরা মন্তব্য, সুমন কর! আমি ঠিক এটিই বলতে চেয়েছি।

বিশেষ ধন্যবাদ আপনাকে :)

৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

পিলাস তো একদম আম্রিকা থেকে ঢাকায় এসে পৌঁছলো, খেয়াঘাট ভাইজান...

অনেক দিন পর পেয়ে আনন্দিত...
ভালো থাকুন.... :)

১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: উপযুক্ত কর্ম সংস্থানের অভাবের জন্যই অধিকাংশ আউটসোর্সিং এর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ঠিক! উপযুক্ত কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আউটসোর্সিং চলতে পারে। এটি কখনও একটি দেশের কর্মসংস্থানের প্রধান উপায় হতে পারে না।

শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় প্রবাসী পাঠক :)

১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই গুরত্বপূর্ন একটি পোষ্ট! আসলে এটা হচ্ছে বর্তমান সময়ের ট্রেন্ড। এই ট্রেন্ডে কিভাবে আপনি পা দিবেন সেটা শেখানোর জন্যও ব্যবসা হচ্ছে।

আর আউট সোর্সিং এর নামে আমাদের দেশে অনেক কাজ এলেও যাদের দিয়ে কাজ করান হচ্ছে তাদের প্রতি করানো হচ্ছে অমানবিক খাটুনি। যেমন ধরুন আমি একজন চিনি যিনি দুপুর ৩ টা থেকে শুরু করে ভোর ৭ টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেন। এখানে মজার বিষয় হচ্ছে সাব কন্টাকে যারা এই কাজ করেন, তারা কিন্তু মূল পারিশ্রমিকটি পাচ্ছেন না। যা পান সেটা আসলের তুলনায় বহুগুন কম।

বিষয়টা সত্যি দুঃখজনক।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//যেমন ধরুন আমি একজন চিনি যিনি দুপুর ৩ টা থেকে শুরু করে ভোর ৭ টা পর্যন্ত একটানা কাজ করেন। এখানে মজার বিষয় হচ্ছে সাবকন্ট্রাকে যারা এই কাজ করেন, তারা কিন্তু মূল পারিশ্রমিকটি পাচ্ছেন না। যা পান সেটা আসলের তুলনায় বহুগুন কম।//


দেখুন এদেশেও আছে আরেক স্তরের শোষক। এটি তো দেশের প্রধান চাকরি হতে পারে না। অথচ তা-ই বানানোর চেষ্টা চলছে।

সুন্দর মন্তব্য দিয়ে যুক্ত হবার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা, কাল্পনিক ভালোবাসা :)

আপনাদের মন্তব্যে আড্ডার সুভাস পাই... ;)
শুভেচ্ছা জানবেন :)

১২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:০২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ছবিটা আসলে সুন্দর ;)

মূল কমেন্টঃ আউট সোর্সিং নিঃসন্দেহে সম্ভাবনার একটা জায়গা , সম্ভবত আপনার মূল বক্তব্য টি ধরতে পেরেছি , আউট সোর্সিং (হয়তো ?? ) কারো কারো স্কিলকে আটকে রাখছে একটা গন্ডির ভেতরে !
মনে আছে থিওরি অফ কম্পিউট্যাশন এর ক্লাসে মামুন স্যার সকাল ৮ টার ক্লাসে দুইজনকে প্রতিদিন চোখ মুছতে মুছতে সাড়ে ৮ টায় হাজির হতে দেখতেন , দুইজনই আউট সোর্সিং করত , ভালোই কামাই হতো ! সেকেন্ড ইয়ারে এত টাকা ইনকাম করা দুটো্ ছেলেকে স্যার দুই দিন ক্লাসের বাইরে দাড় করিয়ে রেখেছেন ! ওনার বক্তব্য হলো ১০০ টাকার কাজ ৫ টাকায় করে ক্লাস মিস করে ঐ একই জায়গায় আটকে থাকার মত বুদ্ধিহীন কাউকে উনি ওনার ছাত্র মনে করেন না !!

ইদানিং আমাদের দেশে কিছু সফটওয়্যার ফার্ম আছে যেগুলো চলে আউটসোর্সিং এর উপর ! তাও কারো ব্যাক্তিগত আইডির উপরে , আইডি টার প্রোফাইল এত ভারী হয়েছে যে একা সামলানো না , তাই এম্পয়ি নিয়ে অফিস খুলে বসেছে , দুই দিন আগেই এক ছোট ভাইয়ের এমন অফিস ঘুরে এলাম !

আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত , তবে মূল ব্যাপারটা হলো নিজের জ্ঞানের পরিধি টাকে বন্দী হবার সুযোগ না দিয়ে নিজের প্রাপ্যটা বুঝে নিতে হবে , মামুন স্যার আমাকে সফল ভাবেই বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন সেটা তখনই সম্ভব যখন যোগ্যতাটা লেভেলে উঠবে , ডিপার্টমেন্টের এক বড় ভাইকে চিনি গ্রাজুয়েশান শেষ করে তিন -চারটা চা্করী ছেড়েছেন শুধু "আরো " বেতন বাড়িয়ে দেন নি বলে , পার্ট টাইম আউটসোর্সার এখন চাকুরী ছেড়ে ফুলটাইম আউটসোর্সিং করেন !

পোষ্ট টি উভয় পাক্ষিক আলচোনার দাবি রাখে !

আত্নকর্মসংস্থান কিন্তু হচ্ছে কিন্তু সেটা যেন আপনার জ্ঞান কে গ্রাফিক্স আর ওয়ব ডিজাইনিং এর মাঝে আটকে না থাকা থাকলে পাস মার্ক দেয়া যাবে !

টেকনোলজি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে , বেসিক টা শক্ত না থাকলে ৫ বছর পরের কাজে হাত ই দেয়া যাবেনা ! গ্রাফিক্স ডিজাইনিং কিংবা শুধুমাত্র ওয়েব ডিজাইনিং এর কাজ গুলো যত সস্তায় করে দিচ্ছে যখনই এপ্লিকশেন হচ্ছে দাম টা কিন্তু বাড়ছে , কিন্তু কথা হচ্ছে সেই মানসম্পন্ন এপ্লিকেশন (হোক ডেক্সটপ কিংবা ওয়েব ) টা করার মত লোকজনের স্বল্পতাটা কিন্তু মাঠে বেশ নগ্ন ভাবে লক্ষনীয় , ইষ্ট ওয়েষ্টে একবার এক প্রোগ্রামং কন্টেষ্টে একটি প্রতিষ্টান থেকে এসেছিল , আমার ক্যাম্পাসেও ওনারা সেমিনার করেছিলেন ওনারা চাকরী দেয়ার জন্য বসে আছেন , ওনাদের যে ধরনের লোকজন দরকার তার যোগান পাচ্ছেন না !

এর দায় সম্ভবত আউট সোর্সং এর ডলার এর লোভে ছোট খাট এসিইও, গ্রাফিক্স আর ওয়েভ ্ডিজাইন এ আটকে থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার কিংবা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আর হয়ে উঠা হচ্ছেনা , ঐ যে রাত জেগে এসইও আর ওয়েব ডিজাইনের কাজ করে ক্লাসে আসতে আধা ঘন্টা দেরী করে যে ! মামুন স্যার ঠিক ই ছিলেন !

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় স্বপ্নবাজ অভি, আপনি একটি অসাধারণ কেইস স্টোরি তুলে ধরেছেন। দৃষ্টান্ত ছাড়া যুক্তি অচল। আপনি আমার লেখাকে সচল করে দিলেন।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন: শুধু দু’একটি বিষয়ে দক্ষ হলে অবশেষে আউটসোসিংয়ে আটকে থাকতে হবে। এক প্রকার জিম্মি অবস্থা...

আপনার স্বতঃস্ফূর্ত মন্তব্য আমার পোস্টে রাজসাক্ষী হয়ে গেলো!


অনেক কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা.... :)

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: আবেদনের সুরটা মনে লেগেছে । তবু চাই আরো বেশি মানুষ এই কাজে আসুক, মেধা উদ্ভাবনী আর এক্সপারটাইজ দিয়ে এই অপরচুনিটি কাজে লাগাক । পাশাপাশি আমাদের সচেতন বিবেক সজাগ থাকুক সকল শ্রম শোষনের বিরুদ্ধে ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
একমত। আপনার শেষ কথাই আমারও মূল কথা.... :)


ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন, মামুন রশিদ ভাই....

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


এই ভাবে দুই চার পয়সা রোজগার করে যদি চলতে পারে মন্দ কি। চুরি কিংবা ছিনাতাইতো করছেনা। আমাগর দেশের মানুষের একটাই সমস্যা চাকরী না পাইলে ভাল বাসা আর ভাল বউ পাওয়া যাবেনা। এই ধারনা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সমস্যা হলো পেমেন্ট এনক্যাশ করা নিয়ে। এটার একটা সমাধান হলে ভাল হয়।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার কথায় আমার বিন্দুমাত্র দ্বিমত নেই, প্রিয় কাণ্ডারি অথর্ব!


আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা রইলো.... :)

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

bakta বলেছেন:
আছে । কত দেবেন বলুন ?

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এই লেখাটি প্রকাশ করে যা পেয়েছি তার সবটুকু হয়ে যাবে আপনার...

১৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬

আমি ইহতিব বলেছেন: আমার কাছে ভালোই লাগে আউটসোর্সিং। অন্তত নিজের স্বাধীনতা মত কাজ করা যায়। ৯টা - ৫ টা অফিসের ঝামেলা নেই। আমার এক কলিগ দারুন বুদ্ধিমান, তিনি অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে সারাদিন দেখি টুকটাক ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করেন। মাস শেষে অফিসের বেতনের পাশাপাশি একটা ভালো এমাউন্টই জমা হয় তার একাউন্টে।

তবে যারা এটাকেই পুরোপুরি পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এবং রাত জেগে জেগে কাজ করতে হচ্ছে যাদের তাদের জন্য ব্যাপারটা একটু কষ্টকরই বটে।

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার মন্তব্যে মজা পেলাম। হুম.... নিজের স্বাধীনতার কথা ভাবলে আউটসোর্সিংয়ের তুলনা হয় না।

কিন্তু আপনার সহকর্মী অফিসের সময় ব্যয় করে যা করেন, তা পুরোপুরি নৈতিক কিনা আমার নিশ্চিত নই ;)

যাদের আর কোন বিকল্প/সম্ভাবনা নেই, তারা একে পুরোপুরি পেশা নিতে পারেন।

আমি ইহতিবকে অনেক দিন পর পেয়ে ভালো লাগলো.....
ভালো থাকবেন, এই শুভেচ্ছা :)

১৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১১

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ফ্রি ল্যান্সিং করা হলো না। তবে বেকারত্ব ঘুচাতে ভালো জিনিস নিঃসন্দেহে।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
‘বেকারত্ব ঘুচাতে ভালো জিনিস, নিঃসন্দেহে।’


ধন্যবাদ, কবি আশরাফুল ইসলাম দুর্জয় :)
শুভেচ্ছা!

১৮| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,




উভয় মুখি ইঙ্গিত দেয়া পোষ্ট ।

একটি মুখ আউটসোর্সিং এ মেধাবী মাথাগুলোর মাথা অনেকটা বিনে পয়সায় কিনে নেয়ার কর্পোরেট ফন্দি থেকে বাঁচার কথা বলছে । আর একটি মুখ বলছে , উন্নতর কর্মসংস্থানের দিকে চোখ ফেরাতে ।

কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, লাখো লাখো মেধাবী অ-মেধাবী বেকারদের জন্যে উন্নততর না হোক নুন্যতম একটি কাজের সংস্থান করা হয়েছে কি আজও ? করা সম্ভব কি ? আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা কি সেরকমের কোনও অবকাঠামো গড়ে তুলতে পেরেছে কি , নাকি সে রকম দুরদৃষ্টি তাদের আছে ? ভবিষ্যতেও পারবে কি ? যদি না ই থাকে সে রকম কিছু তবে কি হবে এখোন ? আগামী বছরগুলোতে যে আরও লাখ লাখ তরুন তরুনী এই বেকারদের হাটে পা ফেলবে তাদের কী হবে ? তাদের ভবিষ্যতটি কারা ভাববেন ?

আপনি ঠিকই বলেছেন , নাই মামার চেয়ে কানা মামা ও ভালো । এই মূহুর্তে যে লাখো কর্মসংস্থানের প্রয়োজন , সেখানে আউটসোর্সিং এর এই কানা মামাটি খুব একটা খারাপ নয় । ২নং মন্তব্যে ব্লগার রাজীব এর কথাটি মোটেও ফেলনা নয় । একটা ধনাত্মক আশাবাদের কথা বলেছেন রাজীব তার দুরদৃষ্টি থেকে । ব্লগার স্বপ্নবাজ অভির “পোষ্ট টি উভয় পাক্ষিক আলচোনার দাবি রাখে “ এই বক্তব্যের সাথেও কন্ঠ মেলানো যেতেই পারে ।
শুভবুদ্ধির লোকেরা একদিকে না তাকিয়ে যদি সকল বাস্তবতার দিকে চোখ রাখেন তবে আশু করনীয়, মধ্যবর্তী সময়কালে করনীয় আর দুরবর্তী সময়কালে করনীয় কাজগুলি খুঁজে পেতে পারেন । লাখো তরুন – তরুনীর শ্রমের দু’টি হাত কে কিভাবে , কেমোন করে, কোথায় কাজে লাগাতে হবে তা যতো কমসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার সাথে প্রয়োগের রুপরেখা তৈরী করা যাবে ততই মঙ্গল ।
আপনার লেখা আর মন্তব্যগুলো দেখে আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে ........

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখা এবং মন্তব্য উভয়েরই বিশ্লেষণ করলেন, এক সাথে! মূল বিষয়টির গভীরে গিয়ে আরও কিছু প্রশ্ন তুলে এনেছেন, যা বিষয়টিকে আরও ভালোভাবে দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।

ধন্যবাদ, অনেক ধন্যবাদ :)

বুদ্ধিপূর্বক কোনকিছু করা এবং ডান-বাম দেখে কোন কিছুতে হাত দেওয়া যেন আমাদের স্বভাবে নেই। বাঙালির স্বভাবটি হলো এরকম যে, হুজুগ না আসলে সেটি করা হয় না। হুজুগে মেতে হুমড়ি খেয়ে সকলেই সেটাতে গিয়ে পড়বে। এর বড় সুবিধাটি হলো, কিছু দিন পর এমনিতেই ভালোমন্দ বের হয়ে আসে!

আশা করি, কী বুঝাতে চেয়েছি তা বুঝতে পেরেছেন B-) ;)

আপনার মন্তব্যটি অনেক গোছানো এবং সুচিন্তিত।
শুভেচ্ছা জানবেন, আহমেদ জী এস :)

১৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন। আমি এই বিযয় নিয়ে অনেক আগ্রহী ছিলাম একটা সময়।


ভালোলাগা রইল।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আগ্রহী হবার মতোই বিষয়।

ধন্যবাদ, প্রিয় এহসান সাবির :)

২০| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:১৮

রাজিব বলেছেন: আপনার পোষ্টের ঠিক উত্তর নয়। তবে একটা পোস্ট লিখেছি এ প্রসঙ্গেঃ
আউটসোর্সিং: আধুনিক দাসত্ব বনাম উজ্জল ভবিষ্যতের স্বপ্ন
Click This Link

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পড়ে আসলাম। আপনি তো সব বলে দিয়েছেন। আমি ফেইসবুকে শেয়ার দিয়েছি।

ধন্যবাদ :)

২১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৯

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
ভালো(যথার্থ) লিখেছেন।

মাঈনউদ্দিন মইনুল,
হুজুগ বা সুযোগ দুটোই কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে সাবধান ! সামনে গতিরোধক আছে ;)

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//হুজুগ বা সুযোগ দুটোই কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে সাবধান ! সামনে গতিরোধক আছে!//


-কিছু বলার বাকি রাখলেন না :)

ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা আপনাকে, অন্ধবিন্দু :)
অনেক দিন পর!

২২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

নীলসাধু বলেছেন: ভ্রাতা আপনার পোষ্ট পড়ে মন্তব্য দিতে গিয়ে পোষ্ট লিখে ফেলসি :প

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিষয়টি নিয়ে বিশদ আলোচনা প্রয়োজন...

অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা প্রিয় নীলসাধু ভাই :)

২৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৪

নীলসাধু বলেছেন: দেখুন সেই লেখা

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পড়ে আসলাম। দারুণ লিখেছেন!
পরিপূর্ণ পথনির্দেশনা....


অনেক ধন্যবাদ, নীলসাধু ভাই :)

২৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আউটসোর্সিংয়ের কোনো অভিজ্ঞতা আমার নেই। আমি একটা বাঁধাধরা চাকরি করি তো ;)


আউটসোর্সিং যারা করেন, তারা কেন আউটসোর্সিং করেন সেটা আমরা অনুমান করতে পারি। কেউ কেউ হয়তো অনেক চেষ্টা করেও কোনো কর্মসংস্থান বা চাকরির সুযোগ পান নি, অথবা চাকরি করতে ভালো লাগে না, কারণে চাকরি মানেই শৃঙ্খলাব্ধ হওয়া, নিয়মনীতি মেনে চলা, যা অনেকেরই ভালো লাগে না। এ অবস্থায় আউটসোর্সিংয়ের পথে নামেন।

যাদের অলরেডি একটা স্থায়ী চাকরি বা ব্যবসা রয়েছে, আউটসোর্সিং তাদেরকে কিছু অতিরিক্ত উপার্জনের দ্বারা আরও উন্নততর জীবনযাপনের সুযোগ করে দিতে পারে। আমার একটা স্থায়ী কর্মসংস্থান থাকা সত্ত্বেও আমি মাঝে মেঝে আউটসোর্সিংয়ের কথা ভাবি।

যারা আউটসোর্সিং করছেন, আশা করি তারা সর্বাগ্রে একটা স্থায়ী চাকরির সুযোগ খুঁজবেন, যাতে আরও ব্যাপক ও বৃহৎ পরিসরে নিজেকে দেশের উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা যায়। এরপর বাড়তি উপার্জনের চেষ্টা করে যদি সাফল্য পাওয়া যায়, ক্ষতি কী?

পোস্ট ভালো লাগলো, বরাবরের মতোই নতুন কিছু দিয়েছেন।

শুভেচ্ছা মাঈনউদ্দিন ভাই।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিস্তারিত মন্তব্যে আমার লেখার সারবক্তব্য তুলে দিয়েছেন, সোনাবীজ ভাই! থেংকু :)

আউটসোর্সিং যেন ‘আউটসাইড’ মাধ্যম হিসেবেই বিবেচিত হয়, সেটিই আমার চাওয়া। দেশের মেধাবী সমাজের শোষণের মাধ্যম যাতে না হয়। যোগ্যরা উপযুক্ত মূল্য আদায় করতে শিখুক।

আপনার আন্তরিক মন্তব্যে সবসময় বাড়তি প্রেরণা পাই। সেটি স্বীকার করতেই হবে!


অনেক কৃতজ্ঞতা :)

২৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৫

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: প্রথমেই মার্ক করছি ভালোলাগায়, দারুণ একটা প্রাসঙ্গিক এবং অত্যন্ত গুরুত্ববহ টপিকে লিখেছেন প্রিয় ব্লগার ...

ব্লগে ছিলামনা কদিন, অনেকগুলো মন্তব্য জমে গেছে, জবাব দিয়ে আলোচনায় আসছি ... :) :)

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অ্যানোনিমাস.... থ্যাংকস প্রিয় ভাই....... :)

ভালো থাকুন...........

২৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৯

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: আমি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। আমার সমস্যাটা হলো আমি যে পদে চাকরি করি তার চেয়ে উপরের পদের কাজ শিখে নিয়েছি। কিন্তু এটা আমার জন্য হিতে-বিপরীত হয়েছে। অর্থাৎ আমাকে এখন দু’জনার কাজ করতে হচ্ছে। আমার নিজেরটার সাথে আমার বসেরটাও। যেহেতু আমি পারি’ তাই বস নিজের কাজটা আমাকে দিয়ে করিয়ে নিজে বেশ আরাম আয়েশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমার প্রমোশন হওয়ার কোন লক্ষন নেই। উপরে লোক আছে তাই আমার চেয়ে কম যোগ্যতর হয়েও তারা প্রমোশন পেয়ে গেছে।
আর একটা সমস্যা হলো মোবাইল ফোনের সুবাধে আমার ডিউটির কোন টাইম-টেবিল নেই (আটটা-পাঁচটা বা আটটা-আটটা )। আমাকে চব্বিশ ঘন্টা ফোন খোলা রাখতে হচ্ছে। অর্থাৎ আমার অফিসটা রাস্তার পাশে হওয়ায় বসেদের ব্যাক্তিগত কাজের জন্য আমাকে রাতেও জাগতে হচ্ছে। (আমি কিন্তু ‍অফিসের পিয়ন নই; হিসাব সহকারী )। এমতাবস্থায় আমি চিন্তা করেছি এই প্রতিষ্ঠানে যেভাবে আমি সময় দিচ্ছি এর অর্ধেক সময়ও যদি আমি নিজের প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করি আমি হয়তো সফল হব। ব্যাক্তিগত ভাবে কিছু করার মত অর্থকড়িও আমার নেই। আমি যদি আউটসোর্সিংটাকে পেশা হিসেবে নেই;
সে ক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? (চাকরি ছেড়ে আউটসোর্সিং ধরব এই বিষয়ে আমি ইদানিং বেশ দ্বন্দে আছি, আউটসোসিং করে কতটা সফল হওয়া যায় এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা কম। আপনার লেখাটা ভালো লাগছে, তাই আশা করি একটা ভালা পরারর্শ পাব। যার আউটসোর্সিং করেন আমার মন্তব্যটা পড়ে থাকলে তারাও ‍কিছু পরামর্শ দিলে কৃতজ্ঞ হব )।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:৫০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্রতি: এস এম মনিরুজ্জামান মিন্টু...

আউটসোর্সিংকে চাকরির বিকল্প হিসেবে নিতে চাইলে প্রথমেই বলবো, বর্তমান চাকরিটা ছাড়বেন না। ফ্রিল্যান্সিং করে আয়ের মুখ দেখতে চাইলেও আপনাকে বেশি কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, এখানে সুনির্দিষ্ট কিছু দক্ষতার প্রয়োজন। যেমন: কমপিউটারের এমএস এপ্লিকেশনগুলোতে দক্ষতা, গ্রাফিক্স, উয়েবডিজাইন, সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশন, ইংরেজির দক্ষতা ইত্যাদি।

উপরোক্ত দু’টি বিষয় বিবেচনা করে আগাতে পারলে এক সময় ফ্রিল্যান্সিং করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন।

বর্তমান চাকরিতেও আপনি ভালো আছেন। বসের কাজ জানা তো বিশাল বড় বিষয়। এসব দক্ষতা দিয়ে সমপর্যায়ের অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চেষ্টা করা যায় না? ভেবে দেখতে পারেন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা....

২৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৩২

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: সুন্‌দর পরামর্শের জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...

ভালো থাকবেন... এস এম মনিরুজ্জামান মিন্টু :)

২৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

মাসুদ রানা শুভ বলেছেন: আমি ৬ মাস একটি আউটসোর্সিং কোম্পানীতে জব করেছি। এরপর জবটি বাদ দিয়ে নিজে নিজে আউটসোর্সিং করার জন্য চেষ্টা করেছিলাম, ওডেস্ক এ অনেকগুলো টেস্ট ও দিয়ে সফল হয়েছিলাম, কিন্তু পেমেন্ট সিস্টেম ও ভাল কোন কাজ না পেয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছি। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে স্বচ্ছল হতে হলে, সরাসরি নিজেকে কাজ পেতে হবে, যা বেশ কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। এ ক্ষেত্রে ভাল কোন প্লাটফর্ম পেলে সুবিধা হয়। কোন কোম্পানীতে কাজ করে আসলে বেশি বেনেফিটেড হওয়া যায় না। পরিশেষে বলব,আউটসোর্সিং বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য আপনি দিলেন।

থ্যাংকস :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.