নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরাতন এক বন্ধুর সাথে সেদিন হঠাৎ করে লম্বা এক ফোনাড্ডা হয়ে গেলো। এক ঘণ্টা বিশ মিনিটের। অনেক ব্যক্তিগত তথ্য হালনাগাদ হলো। অনেক কথা অনেক হাসাহাসি। এখনকার সময়ের তুলনায় কত আরাম-আয়েশ এবং কত নিশ্চিন্ত শৈশব আমরা অতিক্রম করে এসেছি। এই এক ঘণ্টা বিশ মিনিটের আড্ডায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার উপলব্ধিতে এসেছে। তা হলো, মানুষ বদলায় না। চরিত্রের মৌলিক দিকগুগলো অপরিবর্তিত অবস্থায়ই বেড়ে ওঠে।
অনেক দৃশ্যমান উত্তম এবং প্রমাণসাপেক্ষ কৃতী মানুষের দৃষ্টান্তের মধ্যে আমাদের বেড়ে ওঠা। মহাত্মা গান্ধী আর মাও জেদং এর আদর্শ, আব্রাহাম লিংকন অথবা ম্যান্ডেলার আদর্শ, মার্র্টিন লুথার অথবা মাদার তেরিজা অথবা ফ্লুরেন্স নাইটিঙ্গেলের আদর্শ। তারা সকলেই নিজস্বতায় পরিপূর্ণ মানব। বই পুস্তক পত্রিকা পরীক্ষায় তাদেরই চরিত্র বিশ্লেষণ। যত আদর্শ, তত স্বপ্ন। তার সঙ্গে আছে সমাজ রাষ্ট্র রাজনীতির প্রভাব। এসবের মধ্যে কোন কোন বন্ধুর হঠাৎ ধনী হয়ে ওঠা। বিদেশী শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে সৌভাগ্যের হেঁচকা টান। কেউবা নবমশ্রেণী না পেরোতেই শাদিবিয়ের নিম্নমুখী টান। কেউবা বাজারে মুদি দোকানদার। এমন বৈচিত্রময় একটি মাইক্রো ইউনিভার্সে থেকে নিজেকে যেন ছোট ও তুচ্ছ মনে হয়। নিজের সবটুকুতে আপত্তি, নিজের অস্তিত্বে আড়ষ্টতা, নিজের ব্যক্তিত্বে সন্দেহ - নিজের সবকিছুকে মনে হয় মেডিওকার। অতৃপ্তি আর অসম্পূর্ণতাগুলো বড় হয়ে দেখা দিত শৈশবের দিনগুলোতে...
সক্রেটিস যথার্থ বলেছিলেন, নিজেকে জানো। ওস্কার ওয়াইল্ড বলেছিলেন, ‘আপনি’ হয়ে ওঠুন - বাকি সব হওয়া শেষ। জুডি গারল্যান্ড বলেছিলেন, সবসময় নিজের প্রধান সংস্করণ হয়ে ওঠুন, অন্য আরেকজনের দ্বিতীয় সংস্করণ হবার দরকার নেই। কথাগুলো একসময় ‘তাত্ত্বিক’ ও সুপারফিশিয়াল মনে হতো, বেশি তলিয়ে দেখতে চাইতাম না। যাপিত জীবনের পৌনে-এক অংশে এসে মনে হয়, নিজেকে আরেকটু যত্ন করলে, আরেকটু মূল্যায়ন করলে হয়তো অধিকতর সুফল পেতাম। নিঃস্বার্থ হবার শিক্ষা সবখানে পাওয়া যায়, একটু স্বার্থপর হবার নসিহত ভুলেও কেউ দেয় না। স্বার্থপর যে একদম হতে চাই নি, তা কিন্তু নয় - শুধু যথাযথভাবে হতে পারি নি। এ যেন ঘুমের ঘোরে দৌড়ানো - দৌড়াবেন কিন্তু রাস্তা কমবে না। মানুষ অনেক চেষ্টা করেও নিজের জন্য সত্যিকারভাবে কিছু করতে পারে না। জীবনের রহস্যের মতো এটিও যেন আরেক রহস্য।
মাঝে মাঝে ভাবি, যারা সমাজের মহৎ ও পুজনীয় ব্যক্তিতে উন্নীত হয়েছেন, তারা কি নিজের মতো করে নিজেকে সাজাতে পেরেছিলেন? অন্যদিকে যারা সমাজের খারাপ বা হীন শ্রেণীর মানুষ, যাদেরকে মানুষ ঘৃণা করে এবং যাদেরকে পুলিশ খুঁজে পেলেই নিশ্চিত জেল অথবা ফাঁসি, তারাও কি নিজের মতই বড় হয়েছেন? যারা নিজেকে ‘নিজের করে’ পেয়েছেন, তারা কি মহৎ, নাকি নিকৃষ্ট মানব? নিজেকে খুঁজা কি খুব স্বার্থপর?
সন্তান, ভাই, ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবী, পিতা ইত্যাদি পর্ব শেষ। আরও অনেক কিছু হয়তো হওয়া যাবে। কিন্তু অনেক কিছুর মাঝে আজ পর্যন্ত ‘আমি’ হবার জন্য পর্যাপ্ত প্রচেষ্টা দিতে পারি নি। যখনই নিজের মতো করে, নিজের পছন্দমতো কিছু করতে চেয়েছি, তখনই প্রকৃতি ও পরিবেশ বাধ সেধেছে। আপন হতে চেয়েছে পর। বন্ধু হতে চেয়েছে প্রতিপক্ষ। অবচেতনে ফিরে এসেছি ‘আমি’ হবার পথ থেকে। মনে হচ্ছে এ পৃথিবীতে অনেক কিছুই হওয়া সহজ, শুধু ‘নিজের সত্ত্বায় গড়ে ওঠা’ ছাড়া।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
গুলিয়ে যাবার কথাই তো ছিলাম....
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় অন্ধুবিন্দু!
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: পড়লাম --পড়ে যে অনুভূতি হল সেটা হচ্ছে ''আমি'' হওয়া খুব সহজ নয়, আবার সহজ ।অনেকেই পারে আবার অনেকেই পারেনা। অনেকেই কত সহজে স্বার্থপর হয়ে যায় আবার অনেকেই অন্যের জন্য নিজের স্বার্থের জলাঞ্জলি দেয়।
কি বলব!!!
ভাল থাকবেন মইনুল ভাই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর কথা বলেছেন, নাসরিন চৌধুরী
লেখাটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে......
আপনিও ভালো থাকবেন......
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গল্প লেখা ত মানুষ ধরার একটা চেষ্টা -এই কাজ করতে গিয়ে
অনেক কনফিউশন চলে আসে । মানুষের কোন জিনিসটাকে ভজলে আসল মানুষ পাওয়া যাবে ? বা আসল মানুষটা কোথায় থাকে?
তার কাজের ভেতর নাকি সে যা করতে পারেনি তার ভেতর?
শেষ অব্দি মানুষের থাকেটা কি ? তার স্বপ্ন , তার তেষ্টা তার আকাঙ্খা । রুপকথায় পাখা মেলা কি গুলি চালানো । অব্যক্ত সুখ , দুঃখ ।
এখন সাকসেস পেলেও বিষাদ লাগে, না পেলেও তাই ।কারণ জানি - সফলতা ব্যর্থতার চাইতেও জীবন অনেক বড় ।
পৃথিবীর তাবৎ মহাপুরুষ ও জীবনের ব্যপ্তির চাইতে ক্ষুদ্র ।
ছোটবেলায় যা না পেলে অনেক কিছু মনে হত বড়বেলায় তা ভেবে হাসি - অই বয়েসটাকে মায়াভরে করুণা করি । কী বোকা ছিলাম ।
এখন কার টাও ভবিষ্যতে গেলে এমনই মনে হবে । দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবার সময় সুনীলের এক উপন্যাসের চরিত্রের মত হয়ত বলতে হবে -
দেখে গেলাম ।
বুকের ভেতর চাপ চাপ দুঃখ নিয়ে ।
যা যা ঘটল তার সাক্ষীগোপাল হয়ে রইলাম ।
আমি হওয়া যে কি কঠিন - তা যে আমিত্বের পথে না হেটেছে বুঝতে পারবে না । আমার আমির উপর কত সাগর আছড়ে পরতে চায় । কেউ চায়
ভালবেসে , কেউ ভয় দেখিয়ে , আমার আমিকে রুদ্ধ করতে ।'' আমি '' কে বিকশিত করার একটা স্তরে এই মহাপুরুষরাও একটা বড় বাধা ।
আবার '' আমি '' নামক গাছের চারাগাছে তাদের বারিধারাও অপরিহার্য। তাদের সঠিকভাবে হ্যান্ডল করার কায়দাটাও তাই জানা চাই । জরুরী ও বটে ।
এখন ত মহাপুরুষদের আত্মজীবনী অনেক কাট ছাট । মহিমায় আচড় লাগতে পারে এমন কিছু থাকে না । যেন জন্ম হতেই মহাপুরুষ হবার ছকবাধা পথে হেটেছেন ।
তাদের ত্রুটিবিচ্যুতির পাত্তা নেই । সব ত সুনীলের অই অর্ধেক জীবন । তবু অসব হবে । কারণ - ভাবমূর্তি নির্মাণের সাথে সমাজ , রাষ্ট্র ও বাণিজ্যের
চাকভাঙা মধু জড়িত । তাহারা একে অন্যের পরিপূরক ।
সামান্য এক রত্তি লেখা। অথচ সবচেয়ে কম বলেও সবচেয়ে বেশি বলে গেলেন । এই আর্ট যে কোন লেখকের জন্য ই ঈর্ষার কারণ । আপনি লিখলে অনেক ভাল করতে পারতেন ।
আপনার দেয়া অন্যান্য পোস্ট ও আপনার এই সক্ষমতার কথা বলে ।
যারা সমাজের মহৎ ও পুজনীয় ব্যক্তিতে উন্নীত হয়েছেন, তারা কি নিজের মতো করে নিজেকে সাজাতে পেরেছিলেন?
অন্যদিকে যারা সমাজের খারাপ বা হীন শ্রেণীর মানুষ,
যাদেরকে মানুষ ঘৃণা করে এবং যাদেরকে পুলিশ খুঁজে পেলেই নিশ্চিত জেল অথবা ফাঁসি, তারাও কি নিজের মতই বড় হয়েছেন?
যারা নিজেকে ‘নিজের করে’ পেয়েছেন, তারা কি মহৎ, নাকি নিকৃষ্ট মানব? নিজেকে খুঁজা কি খুব স্বার্থপর?
- কোনদিন যদি এই প্রশ্নের উত্তর পাই তাহলে আপনাকে জানিয়ে দেব ।
লেখাটার আরো কিছু অংশ কোট করতে চাইছিলাম । দুর্ভাগ্য - তা না পারার অক্ষমতায় পুরো পোস্ট
প্রিয়তে নিলাম এবং সেইজন্য আমি গর্বিত ।
এই ক্ষুদ্র ব্লগীয় জীবনে যে কয়জন ব্যক্তির জন্য ব্লগে আসতে ভাল লাগে , আপনি তাদের একজন ।
আপনার নিকটা দেখামাত্রই আমার মন নির্মল আনন্দে ভরে যায়, আনন্দের বারিধারা মনকে সিক্ত করে ।
আপনাকে অনেক ভালবাসি। ব্লগে কত মানুষ আসে যায় নদীর জলের মত , আমিও হয়ত একদিন ব্লগে আসিব না , কিংবা ব্লগ নামের কোন জিনিস হয়ত থাকিবে না ।
কিন্তু আমি আপনাকে সবসময়ের জন্য মনে রাখিব - আপনার পরিশীলিত ও পরিস্রুত লেখনী , আপনার সহজ ,আন্তরিকতা মেশানো হিউমার
আপনার এই চমৎকার রজনীগন্ধা ফুলের মত সুবাসিত ব্লগীয় ব্যক্তিত্বের জন্য । ভেতরে সোনালি সূর্যের জ্বালানী না থাকলে এমনটা হওয়া যায়না ।
এই সময়টাতে যতদিন আপনি পৃথিবীতে আছেন - আপনার আমিকে কিছুটা হলেও ফিরে পান এই কামনাই থাকল প্রিয় মাইনুল ভাইয়ের জন্য ।
ভাল থাকবেন । পরম করুণাময়ের ছায়া আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ঘিরে রাখুক ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ছোটবেলায় যা না পেলে অনেক কিছু মনে হত বড়বেলায় তা ভেবে হাসি - অই বয়েসটাকে মায়াভরে করুণা করি । কী বোকা ছিলাম ।
এখন কার টাও ভবিষ্যতে গেলে এমনই মনে হবে । দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবার সময় সুনীলের এক উপন্যাসের চরিত্রের মত হয়ত বলতে হবে -
দেখে গেলাম ।
বুকের ভেতর চাপ চাপ দুঃখ নিয়ে ।
যা যা ঘটল তার সাক্ষীগোপাল হয়ে রইলাম । //
-হাহাহা, সেটাই হবে হয়তো...
-আপনার ছেলেবেলা অনেকের সাথে মিলে যাবে।
কবি যারা তারা আরও তৃপ্তি নিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারেন। আমি শুধু তাৎক্ষণিক ভাবনা (বলতে পারেন, যাতনা) গুলো নিয়ে একটু চিল্লাচিল্লি করে চলে যাই। আপনাদের ভালো লাগা আমাদের গলার মালা হয়ে থাকুক
দীর্ঘ মন্তব্যের শেষ প্যারাগুলোতে যা বললেন, তাতে মন ছুঁয়ে গেলো, ভাই। কর্মব্যস্ততার কারণে বেশি বহির্মুখী হতে পারি না। একটুখানি অনিচ্ছাও আছে সেই সাথে। তবু কোন উপলক্ষে ব্লগারদের সাথে দেখা হলে, আপনাকে দেখার ইচ্ছেটা সঞ্চয় করে রাখলাম।
ব্লগের অনেক প্রাপ্তির মধ্যে আপনাদের মতো সুহৃদ পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম, মাহমুদ০০৭...
ভালো থাকবেন আপনিও...
‘আমি’কে জাগিয়ে তুলুন, এই কামনা আপনার জন্যও...
শুভেচ্ছা
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৮
জাফরুল মবীন বলেছেন: লালনেরও একই কথা ছিল..“আপনারে আপনি চিনিনে....”
ধন্যবাদ আপনাকে অাত্মপোলদ্ধিমূলক লেখনিটির জন্য।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় জাফরুল মবীন...
ভালো থাকা হোক.......
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২
মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: মাহমুদ ভাই তো সব বলেই দিলেন...
আমি আর নতুন করে কি বলবো...!
বিশেষত তাঁর মন্তব্যের এটুকুর প্রতিটা বর্ণ আমার কথাগুলো প্রতিফলিত করছে আপনার জন্য প্রিয় ব্লগার....
"এই ক্ষুদ্র ব্লগীয় জীবনে যে কয়জন ব্যক্তির জন্য ব্লগে আসতে ভাল লাগে , আপনি তাদের একজন ।
আপনার নিকটা দেখামাত্রই আমার মন নির্মল আনন্দে ভরে যায়, আনন্দের বারিধারা মনকে সিক্ত করে ।
আপনাকে অনেক ভালবাসি। ব্লগে কত মানুষ আসে যায় নদীর জলের মত , আমিও হয়ত একদিন ব্লগে আসিব না , কিংবা ব্লগ নামের কোন জিনিস হয়ত থাকিবে না ।
কিন্তু আমি আপনাকে সবসময়ের জন্য মনে রাখিব - আপনার পরিশীলিত ও পরিস্রুত লেখনী , আপনার সহজ ,আন্তরিকতা মেশানো হিউমার
আপনার এই চমৎকার রজনীগন্ধা ফুলের মত সুবাসিত ব্লগীয় ব্যক্তিত্বের জন্য । ভেতরে সোনালি সূর্যের জ্বালানী না থাকলে এমনটা হওয়া যায়না ।
এই সময়টাতে যতদিন আপনি পৃথিবীতে আছেন - আপনার আমিকে কিছুটা হলেও ফিরে পান এই কামনাই থাকল প্রিয় মাইনুল ভাইয়ের জন্য ।
ভাল থাকবেন । পরম করুণাময়ের ছায়া আপনাকে ও আপনার পরিবারকে ঘিরে রাখুক "
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিন্ট মাধ্যমের লেখকেরা, আর্থিক কিছু পায়। কিছু পায় সুখ্যাতি।
আমার মনে হয় ব্লগারের প্রাপ্তি হলো, আপনাদের মতো আন্তরিক কিছু বন্ধু পাওয়া... যারা লেখার গভীরে প্রবেশ করে লেখকের অন্তরের খবর সংগ্রহ করেন।
যা মনে চায় তাই লিখে দেই। ভাষা নেই, অলংকার নেই - নেই ছন্দ, নেই রূপক। তবু, আন্তরিক মন্তব্য দিয়ে আপনারা প্রেরণা যোগাচ্ছেন।
অনেক কৃতজ্ঞতা, প্রিয় অ্যানোনিমাস....
ভালো থাকুন.... এই শুভেচ্ছা
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৯
মামুন রশিদ বলেছেন: আত্মউপলব্ধি ভালো লাগলো । 'আমি' হয়ে উঠার পেছনে 'ওনাদের' বিরাট ভূমিকা আছে । জীবনের পথচলায় অসংখ্য 'মহাজন' আর 'আমজন' এর অভিজ্ঞতা থেকেই স্বমানসে 'আমি'র উৎপত্তি হয়ে থাকে, যা অপরের নির্যাসজাত হওয়ার পরেও একেবারেই অনন্য ।
ভালো লেগেছে পোস্ট ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম, আমি একমত, মামুন রশিদ ভাই
আমি আসলে অন্য দিকটিতে দৃষ্টি দিয়েছি।
একে একটি হতাশা-বাহিত পোস্ট বলে ধরে দিতে পারেন, জনাব।
আফসোস, কবি হতে পারলাম না
শুভেচ্ছা জানবেন.........
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
ডি মুন বলেছেন: "নিজের সবটুকুতে আপত্তি, নিজের অস্তিত্বে আড়ষ্টতা, নিজের ব্যক্তিত্বে সন্দেহ - নিজের সবকিছুকে মনে হয় মেডিওকার।"
------ এই হীনমন্যতাবোধ থেকে উত্তোরণের বোধকরি কোনো উপায় নেই যেহেতু আমাদের চোখ ধাধিয়ে দেয়ার মতো উপকরণ আত্তীকৃত মালিকদের অভাব নেই পৃথিবীতে।
" মানুষ অনেক চেষ্টা করেও নিজের জন্য সত্যিকারভাবে কিছু করতে পারে না। জীবনের রহস্যের মতো এটিও যেন আরেক রহস্য। "
------- এই লাইনটা আপনার গভীর জীবনবোধকে ফুটিয়ে তুলেছে। দুই লাইনে কতোকিছু বলে দিলেন।
" যারা নিজেকে ‘নিজের করে’ পেয়েছেন, তারা কি মহৎ, নাকি নিকৃষ্ট মানব? "
--------- 'নিজের করে' পাওয়া কি আসলেই যায়? কেউ কি পেরেছে?
" যখনই নিজের মতো করে, নিজের পছন্দমতো কিছু করতে চেয়েছি, তখনই প্রকৃতি ও পরিবেশ বাধ সেধেছে। আপন হতে চেয়েছে পর। বন্ধু হতে চেয়েছে প্রতিপক্ষ। অবচেতনে ফিরে এসেছি ‘আমি’ হবার পথ থেকে। মনে হচ্ছে এ পৃথিবীতে অনেক কিছুই হওয়া সহজ, শুধু ‘নিজের সত্ত্বায় গড়ে ওঠা’ ছাড়া। "
--------- অবচেতনে ফিরে এসেছি 'আমি' হবার পথ থেকে--- কথাগুলো একদম ভেতরে গিয়ে লাগলো। এভাবেই সবাই ফিরে গিয়ে অন্যের প্রতিরূপ তৈরি হই। নিজস্বতা হারিয়ে ফেলি। পাছে লোকে কিছু বলে।
প্রিয়তে নিলাম। খুব ভালো লাগলো জীবনঘনিষ্ট এই লেখা।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
চমৎকার রিভিউ দিয়েছেন, ডি মুন!
লেখাটির এত গভীরে যাবার খসরত নেবার জন্য আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ
৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৭
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অছাম রাইটিং । সেইরকম লেখা । লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
আমরা সবসময় অন্যকে আবিষ্কারে ব্যস্ত থাকি । অন্যের গুনগানে, অন্যের গীবতে । কিন্তু নিজে যে একজন এডভেনঞ্চার সেটাই ভুলে যাই । কোন একসময় সেটা মনে পড়ে কিন্তু তখন ইটছ ঠু লেট ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//নিজে যে একজন এডভেনঞ্চার সেটাই ভুলে যাই । কোন একসময় সেটা মনে পড়ে কিন্তু তখন ইটছ ঠু লেট ।//
-একদম খাঁটি কথা!
আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কলমের কালি
৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:২৬
আবু শাকিল বলেছেন: মারাত্নক লেখনি শক্তি। চমৎকার আত্ন বিশ্লেষণ ।
(" নিঃস্বার্থ হবার শিক্ষা সবখানে পাওয়া যায়, একটু স্বার্থপর হবার নসিহত ভুলেও কেউ দেয় না"
"পৃথিবীতে অনেক কিছুই হওয়া সহজ, শুধু ‘নিজের সত্ত্বায় গড়ে ওঠা’ ছাড়া।"
" ঘুমের ঘোরে দৌড়ানো - দৌড়াবেন কিন্তু রাস্তা কমবে না। "
"যারা সমাজের মহৎ ও পুজনীয় ব্যক্তিতে উন্নীত হয়েছেন, তারা কি নিজের মতো করে নিজেকে সাজাতে পেরেছিলেন? অন্যদিকে যারা সমাজের খারাপ বা হীন শ্রেণীর মানুষ, যাদেরকে মানুষ ঘৃণা করে এবং যাদেরকে পুলিশ খুঁজে পেলেই নিশ্চিত জেল অথবা ফাঁসি, তারাও কি নিজের মতই বড় হয়েছেন? যারা নিজেকে ‘নিজের করে’ পেয়েছেন, তারা কি মহৎ, নাকি নিকৃষ্ট মানব? নিজেকে খুঁজা কি খুব স্বার্থপর?"")
চমৎকার আত্ন বিশ্লেষণ । প্রিয় তে নিলাম।লেখায় অবশ্যই + মাইনুল ভাই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনি তো উদ্ধৃতি দিয়ে আমার কথাগুলোকে ‘বাণীতে’ পরিণত করেছেন। অনেক সম্মানীত বোধ করছি
সুন্দর বিশ্লেষণের জন্য অনেক ধন্যবাদ, আবু শাকিল ভাই
১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৩:০৭
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: "মানুষ বদলায় না। চরিত্রের মৌলিক দিকগুগলো অপরিবর্তিত অবস্থায়ই বেড়ে ওঠে।" একদম সত্যি কথা, জীবন থেকে এটা শিখেছি। বিজ্ঞান বলে, "জেনেটিকাল ক্যারেক্টারিটিকস"।
লেখায় ভালো লাগা জানবেন।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জেনেটিকেল ক্যারেক্টারিসটিক্স.... হুম!
অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় বোকা মন
১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৩০
বৃতি বলেছেন: কিছু চমৎকার ভাবনা। ভালো লাগলো ।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বৃতি, লেখাটিতে মন্তব্য দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: কেমন আছেন ডাক্তার?
আমি আমার মতই। আমি হয়ে উঠবার চেষ্টা সেই বালকবেলা থেকেই, কিন্তু হয়ে উঠতে আর পারছি কই। স্বার্থপর মানুষেরা বারবার ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে আমার আমি হয়ে উঠবার কাঠামোটিকে। ফের জোড়াতালি দিয়ে দাঁড় করাতে চেষ্টা করছি। কিন্তু আপনিও স্বীকার করবেন যে, জোড়া দেওয়া কোনো কিছু ভাঙলে আবার তাতে হয়তো জোড়া লাগানো সম্ভব। কিন্তু বারবার জুড়তে যেয়ে তার আকৃতিও যেমন বাড়ে, তার গায়ে যুক্ত হয় বাড়তি জিনিসও। মূল জিনিসটা হয়তো আর থাকে না তখন। বস্তু কণা ভাঙলে অবশিষ্টাংশ পরমাণু। ইদানীং তাকে ভেঙেও পাঁয়তারা চলছে গড-পার্টিকেল বের করবার। আসলে মানষেরা কি ভালো? যাদের অপার আগ্রহ কেবল ভাঙাভাঙ্গিতে।
তবে কখনো স্বার্থপর হওয়াটা খুবই জরুরি হয়ে দেখা দেয়। কিন্তু এটাও খুব সহজসাধ্য নয়। স্বার্থপর হতেও বুকের পাটা লাগে। মুহূর্তে চোখ উলটে ফেলতেও অপরিমেয় মনের জোর লাগে। এমনটা পারতাম না। সম্প্রতি হাতে খড়ি হয়ে গেছে স্বার্থপরতার। এখন চোখ উলটে ফেলতে পারি মুহূর্তেই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আবারও ‘ডাক্তার’...
//আপনিও স্বীকার করবেন যে, জোড়া দেওয়া কোনো কিছু ভাঙলে আবার তাতে হয়তো জোড়া লাগানো সম্ভব। কিন্তু বারবার জুড়তে যেয়ে তার আকৃতিও যেমন বাড়ে, তার গায়ে যুক্ত হয় বাড়তি জিনিসও। মূল জিনিসটা হয়তো আর থাকে না তখন। বস্তু কণা ভাঙলে অবশিষ্টাংশ পরমাণু। ইদানীং তাকে ভেঙেও পাঁয়তারা চলছে গড-পার্টিকেল বের করবার। আসলে মানষেরা কি ভালো? যাদের অপার আগ্রহ কেবল ভাঙাভাঙ্গিতে!//
-হাহাহা, জওয়াব নেই... লা’জওয়াব!
হুম.... স্বার্থপর হতে বা মুহূর্তে চোখ উল্টে ফেলতে বুকের পাটা লাগে... মনে জোর লাগে।.... সম্প্রতি আপনার উন্নয়ন হয়েছে জেনে আনন্দিত।
আপনি অনেক পরিপক্ষ একজন পর্যবেক্ষক। আপনার লেখাগুলোতে পাই গভীর জীবন-বোধের পরিচয়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় জুলিয়ান সিদ্দিকী ভাই
১৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
সায়েদা সোহেলী বলেছেন: অবচেতনে ফিরে এসেছি ‘আমি’ হবার পথ থেকে। মনে হচ্ছে এ পৃথিবীতে অনেক কিছুই হওয়া সহজ, শুধু ‘নিজের সত্ত্বায় গড়ে ওঠা’ ছাড়া। -----------------------
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ইহা আমার কথা....
আপনার কথা ভিন্ন হইতে পারে.... মানা নেই
সায়েদা সোহেলীকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা
১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
এহসান সাবির বলেছেন: পোস্টে পড়বার পর মন্তব্য পড়তে পড়তেই দিশেহারা...........!!
ভালোলাগা রইল।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় এহসান সাবির, মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ.....
ভালো থাকুন
১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৬
মাসুদ রানা শুভ বলেছেন: দারুন একটি লেখা পড়লাম,স্যার আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মাসুদ রানা শুভকে অনেক ধন্যবাদ
১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এহসান সাবির বলেছেন: পোস্টে পড়বার পর মন্তব্য পড়তে পড়তেই দিশেহারা...........!!
আমারও একই অবস্থা
আপনি আপনা আপনি "আপনি" হয়ে উঠুন এই কামনা করি।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দোয়া করিয়েন, ভাইডি
আপনিও চেষ্টা করুন.........
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
থেংকু.... লিরিকস, অনেক দিন পর
১৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:০৯
লিরিকস বলেছেন: কোন ছবির পোস্ট পাইনি এখনো ভাইয়া।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ছবি তো আমার ভালো হয় না.... দেখা যাক পুরানো কিছু ছবি পোস্ট দিতে পারি....
রিলিকস এর জন্য অনেক শুভেচ্ছা....
১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০০
ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: নিঃস্বার্থ হবার শিক্ষা সবখানে পাওয়া যায়, একটু স্বার্থপর হবার নসিহত ভুলেও কেউ দেয় না। একেবারে সত্যি কথা।
কিন্তু যেটি মিথ্যা নয় সেটি হচ্ছে,এই শিক্ষারও প্রয়োজন আছে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ক্লান্ত তীর্থকে অনেক দিন পর পেয়ে আনন্দিত...
আরও নিয়মিত দেখতে চাই...
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন.....
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মধ্য অংশে লেখাটা কিছুটা গুলিয়ে গেছে। আমি হতে চাওয়া দোষের কিছু নয়। কিন্তু কথা হলো এতসব ব্যাখ্যা/তত্ব পড়ে-ভেবে “আমি” কতোটা থাকবো
ভেবে দেখবেন, মঈনুল।