নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) আজকাল পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আমাদের মাননীয় মন্ত্রী-সচিবরা যেভাবে দৌড়াদৌড়ি করেন, তাতে প্রশ্ন জাগে: আসলে পরীক্ষা কারা দিচ্ছে আর কারা পাশ করছে। আমার স্কুল জীবনের এক বন্ধু মেট্রিকের টেস্ট পরীক্ষায় গণিতে ফেল করে হৃদয় উজাড় করে প্রধানশিক্ষকের কাছে অনুরোধ করেছিল, যেন তাকে একটিবার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের সুনামে অতিরিক্ত যত্ন্শীল প্রধানশিক্ষক সে অনুরোধে কর্ণপাত করলেন না। “আমার বিদ্যার্জন এখানেই শেষ” বলে সেই যে বিদ্যালয় ছাড়লো, আর তাকে দেখা যায় নি বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায়। এইচএসসি’র প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলে নিজের নাম না দেখে “আমার আর বাড়ি যাওয়া হলো না রে!” বলে আমার এক সহকর্মীর আদরের সন্তান আত্মহত্যা করে। তথাকথিত ভালো ছাত্র হয়েও শুধুমাত্র জিপিএ-৫ না পাওয়ার কারণে আত্মহত্যা করে আমাদের এই প্রিয় স্বদেশে।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া শিক্ষাব্যবস্থায় পরিচালিত আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যে এভাবে কত জীবন নষ্ট করছে কে জানে। পরিস্থিতিটি এরকম দাঁড়িয়েছে যে, “তুমি যদি শিক্ষিত হতে চাও, তবে তোমাকে পাশ করতে হবে।” আমাকে পাশ করতে হবে গণিত ইংরেজি ভূগোল বিজ্ঞান ইতিহাস পৌরনীতিতে। আমার কিসে আগ্রহ, আমার কিসে ঝোঁক বা আমি কী বিষয়ে নিজেকে গড়ে তুলতে চাই সেটা এখানে বিবেচ্য নয়। “আগে পাশ দাও, পরে যা-খুশি হও, অথবা না হও।”
পাবলিক বাসে বসলে অনেক মজার কথপোকথন শুনা যায়। দুই সহযাত্রী আমার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন:
-ভাবছি একটা মাস্টার্স ডিগ্রি নিতেই হবে। শ্বশুরবাড়িতে মুখ দেখাতে পারছি না।
-তা কোন বিষয়ে আপনি মাস্টার্স করতে চান? অন্যজনের জিজ্ঞাসা।
-আমি তো বাণিজ্যে স্নাতক করেছি, কিন্তু বাণিজ্যের কোন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়ার ধৈর্য্য এখন আমার নেই। তাই বাংলা অথবা ইসলামের ইতিহাসে পড়তে পারি।
এথেকে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা তথা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কেমন ধারণা হয়?
২) স্যুটেট-বুটেড ব্যক্তিটি যখন তার বিএমডাব্লিউ’র জানালা দিয়ে পরিচ্ছন্ন রাস্তায় খালি বোতল বা সিগারেটের প্যাকেট ফেলে দিয়ে গাড়ি হাঁকে, তখন কি তাকে শিক্ষিত মনে হয়? পথচারিকে ধোয়াচ্ছন্ন করে দিয়ে কালো সানগ্লাস পরিহিত ব্যক্তিটি যখন সিগারেট ফুঁকে, তখন কি মনে হয় সে শিক্ষিত? মাত্র পাঁচটি টাকার জন্য আমরা যখন একজন খেটে-খাওয়া রিক্সাওয়ালার গায়ে হাত তুলি, তখন কি মনে হয়, শিক্ষা আমাদেরকে কিছু করতে পেরেছে? শহরের অধিকাংশ মানুষই উচ্চশিক্ষিত, তারপরও কি গাড়িতে ওঠার সময় লাইনে দাঁড়াবার জন্য তাদেরকে ধমকাতে হয় না? যে সমাজে নারীর জন্য গাড়িতে আলাদা বরাদ্দ করে রাখতে হয়, এবং বাসের চেংড়া যাত্রীদেরকে আসনে বসিয়ে রেখে বয়স্ক নাগরিককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সে সমাজের শিক্ষা যে কোন কাজের আসে নি, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান নিয়ে আলোচনা করতে খুব মজা পাই আমরা, কারন কিছু কিছু প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান পাবলিক প্রতিষ্ঠানের চেয়েও ভাল হবার পরও অন্যান্যদের জন্য তারা গলা উঁচু করতে পারছে না। তাছাড়া তাদের আছে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা। অথচ দেশের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতক পড়ার জন্য এবার মাত্র দু’জন ছাত্র কোয়ালিফাই করেছে। এটি কি শিক্ষার্থীর দুর্বলতা, নাকি শিক্ষা ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা বলা মুসকিল। আমার প্রশ্ন, আমাদের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি গুণগত মানের ক্ষেত্রে ‘গড়পরতা’ ওপরে ওঠতে পেরেছে? গড়পরতা সকলেই কি সনদপত্র বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান নয়?
৩) মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েন (১৮৩৫-১৯১০) বলেছিলেন, “আমি কখনও আমার শিক্ষাকে বিদ্যালয় দ্বারা বাধাগ্রস্ত হতে দেই নি।” কমপিউটার জিনিয়াস বিল গেটসও খুব ভালো ছাত্র ছিলেন না। নিজের শিক্ষা সম্পর্কে হারবার্ড ড্রপআউট বিল গেটস এর একটি মজার উক্তি হলো এরকম: “গণিতে আমি খুবই কাঁচা ছিলাম কিন্তু আ্মার বন্ধু খুব ভালো ছিলেন গণিতে। বন্ধুটি বর্তমানে মাইক্রোসফটের একজন সেরা প্রকৌশলী আর আমি এর চেয়ারম্যান!”
বিখ্যাত কম্পিউটার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ‘ডেল’ এর মালিক মাইকেল ডেল কলেজে ওঠেই পড়াশুনা ছেড়ে দিয়েছিলেন কম্পিউটার বিক্রয়ের সময় বের করার জন্য।
কমপক্ষে ১০০০ প্রযুক্তির পেটেন্ট-এ্রর মালিক ও বিদ্যুতের আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের (১৮৪৭-১৯৩১) কথা কে না জানে! নিজ বিদ্যালয়ে ‘স্টুপিড’ বলে পরিচিত এই খ্যাতনামা বিজ্ঞানী মার খেতে খেতে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলেন।
স্বশিক্ষিত কিন্তু কীর্তিমান মনীষীদের তালিকাটি একেবারে ছোট নয়। তারা প্রমাণ করেছেন, সত্যিকার শিক্ষা শুধুই কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পণ্য নয়।
আমাদের নতুন শিক্ষানীতিতে অনেক বিষয়ই সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু পা্বলিক পরীক্ষার পাশের হারকে সরকারের কৃতীত্ব দেখানোর যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিভ্রান্ত না হয়ে পারি না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজেই আজ শিক্ষাবিস্তারের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুশিক্ষিত মানেই স্বশিক্ষিত। শিক্ষার্থীর স্বাধীনতাই শিক্ষা বিস্তারের প্রধান উপায়। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীর স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে। কেড়ে নিয়েছে তাদের স্বশিক্ষিত হবার সুযোগ। শিক্ষার্থীকে অবাধে তাদের পছন্দমতো শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ যদি না দেওয়া হয়, এবং সামগ্রিক শিক্ষার সাথে যদি নৈতিক শিক্ষাকে যুক্ত না করা হয়, তবে আমাদের বিদ্যালয়গুলোই হবে প্রকৃত শিক্ষাগ্রহণের প্রধান প্রতিবন্ধকতা। (০৮/১০/২০১২)
[অন্য একটি ব্লগ থেকে স্থানান্তরিত]
--------------------------------
একটি প্রাসঙ্গিক লেখা: “সাউথপোলার অথবা স্বশিক্ষিত ক্ষণজীবীরা”
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, ইমতিয়াজ১৩....
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: বেশ সুনিপন একটি পোস্ট । ভাললাগা রইল বন্ধু
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় কবি পরিবেশ বন্ধু
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: দ্বিতীয় প্লাস।
বিদ্যালয় আমারে শিক্ষিত হতে দিলো না!! ব্লগ আমারে বানাইলো মহামহোপাধ্যায়
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ব্লগ আমারে বানাইলো মহামহোপাধ্যায়//
- হাহাহা....
আমি কি তাহলে ব্লগোপাধ্যায় না বন্দোপাধ্যায়
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:২০
সুমন কর বলেছেন: আমার কথাগুলোই যেন বললেন। চমৎকার বলেছেন ১০০% সহমত।
আজকাল বাংলাদেশে খারাপ ছাত্রছাত্রী হারিক্যান দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহাহা.... খাঁটি কথা বলেছেন, সুমন কর
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:২৮
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আমাদের দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থাকে জোড়ে একটা ঝাকি দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে?
এক সময় আমাদের শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে আমার কোন দ্বিমত ছিল না। কারণ তখন তুলনা করার মতো কোন কিছু হাতের কাছে ছিল না। কিন্তু এখন তুলনা করতে পারি অবস্থানগত কারণে। তুলনা করতে যেয়ে দেখি, কত আহাম্মকের মতো আমরা ছোট বেলায় যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ শিখেছি। খান একাডেমীর কথাতো এখন বাংলাদেশের সবাই জানে। একবার ঢুঁ মেরে দেখে নিলে বুঝতে পারবেন কত তফাৎ। কত সহজ পদ্ধতিতে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করা যায় খান একাডেমী না ঘাঁটলে আর বিদেশ না আসলে বুঝতেই পাড়তাম না। অথচ এখনো আমাদের দেশে 'হাতে আছে' পদ্ধতিতেই চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞান পড়ানোর সময় মেট্রিক পরীক্ষার আগে ছাড়া আর কখনো আমরা হাতে কলমে কিছু শিখতে পারি নাই। ল্যাবে যাওয়াতো দূরের কথা। অথচ এখানে প্রাইমারী পর্যায়েই হাতে কলমে অনেক কিছু দেখানো হয়।
আমাদের দেশে স্বশিক্ষিতদের কোন দাম নাই। তবে সার্টিফিকেট এর যথেষ্ট দাম আছে। তাই সবাই সার্টিফিকেট এর পিছনেই দৌড়াচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের আগে তাদের অভিভাবকরাই এই দৌড়ে বরং এগিয়ে যাচ্ছে। ফলে ছাত্রছাত্রীরা ক্রমেই মেধা বিকাশের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছে।
জোড় করে সন্তানের উপর নিজের পছন্দমতো বিষয় চাপিয়ে দেয়ার রীতি আমাদের দেশে বহুকালের পুরনো। সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত জনগণ সেই রীতিতেই এখনো নিজেদের অভ্যস্ত রেখেছে। ফলে এক সময় পর সব কিছু ক্যাঁচে যাচ্ছে। তবুও আমাদের ভুল ভাঙছে না।
আপনি নিজেই বেশ গুছিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সংজুক্তির অবকাশ নাই। সময় পেলে কাল আবার আসবো। ব্যস্ততা আমারে ঠাঁসা দিয়া ধরছে ভাইজান।
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট তিন দিন প্রচেষ্টার পর দিতে পেড়েছেন। ভাগ্যিস মাত্র তিন দিন! আরও বেশী সময় নিলে হয়তো এই পোস্টের চেহারাই আমরা দেখতে পেতাম না।
এই সব বিষয়ে ব্লগে আরও বেশী বেশী পোস্ট প্রকাশ পাওয়া দরকার। কিন্তু পাই না। খবুই দুঃখের ব্যাপার। ভালো থাকবেন ভাইজান।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিশাল কেইস স্টোরি যুক্ত করে আমার লেখাকে করেছেন সম্মানীত....
অনেক কৃতজ্ঞতা.... প্রিয় বিদ্রোহী বাঙালী
আপনার মন্তব্য যে ব্লগারের জন্য বিশাল প্রাপ্তি।
এভাবে প্রেরণা হয়ে থাকুন.....
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
সোহানী বলেছেন: কি বলবো বা কি বলা উচিত বুঝতে পারছি না.... সারা পৃথিবী যেখানে শিশু শিক্ষার উপর মারাত্বক গুরুত্ব দেয় সেখানে আমরা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেই....... এবং সেটা বোঝার ও ক্ষমতা আমাদের নেই..... আর হাঁ, এর মাশুল কিন্তু আমরা অলরেডি দিচ্ছি ..ভবিষ্যতে আরো ও প্রবল আকারে দিব..............
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
“মাশুল কিন্তু আমরা ইতিমধ্যে দিচ্ছি” সত্যি।
কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা জানবেন, সোহানী
৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০২
ঢাকাবাসী বলেছেন: গুটিকয়েক নেতা আমলা আর গদিনশীন শি.মন্ত্রীর কল্যানে পৃথিবীর নিকৃস্টতম শিক্ষা ব্যাবস্হা বাংলাদেশের!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কবে আমাদের মুক্তি ঘটবে?
কমপক্ষে শিক্ষাখাতটিকে অবমুক্ত রাখা যায় না?
অশেষ ধন্যবাদ, প্রিয় ঢাকাবাসী, আপনাকে
৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২১
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: সামগ্রিক শিক্ষার সাথে যদি নৈতিক শিক্ষাকে যুক্ত না করা হয়, তবে আমাদের বিদ্যালয়গুলোই হবে প্রকৃত শিক্ষাগ্রহণের প্রধান প্রতিবন্ধকতা। ---সম্পূর্ণ একমত
আসলে শিক্ষিত কাকে বলে ? আপনার লেখার ২য় পয়েন্টির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । যেখানে আপনি বলেছেন
স্যুটেট-বুটেড ব্যক্তিটি যখন .............
আমাদের প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাটা সত্যিকার অর্থে ঢেলে সাজাতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ সমপোযোগী একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, ইমতিয়ার১৩....
শুভেচ্ছা জানবেন
৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭
আবু শাকিল বলেছেন: খুব ভাল কিছু তুলে এনেছেন।
ধন্যবাদ মঈনুল ভাই
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, আবু শাকিল ভাই
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪১
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: তথাকথিত শিহ্মাব্যবস্থার জন্য শুধু আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থা নয় বরং মানসিকতাও আজ পঙ্গু।
পোস্টে ভাললাগা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা....
১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
জুন বলেছেন: অত্যন্ত সত্য কথাগুলো তুলে ধরেছেন মাইনুদ্দিন মইনুল ।শিক্ষার্থীকে অবাধে তাদের পছন্দমতো শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ যদি দেওয়া হয়, এবং সামগ্রিক শিক্ষার সাথে যদি নৈতিক শিক্ষাকে যুক্ত করা হয়, তবে আমাদের বিদ্যালয়গুলোই হবে প্রকৃত শিক্ষাগ্রহণের প্রধান কেন্দ্র।
চমৎকার পোষ্টটি পড়েছিলাম আগেই , ভেবেছি মন্তব্য করেছি
চার নং +
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জিয়!
লেখাটি পড়ে মন্তব্য দেবার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা গ্রহণ করুন, প্রিয় জনাব জুন ভগ্নি
১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০১
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
মইনুল,
কথা হলো- আমরা শিক্ষিত জাতি চাই না, অর্থ-উন্নত জাতি চাই। শিক্ষিত সন্তান চাই না, টাকা কামানোর মেশিন চাই .... বাকি সব বুকি-ঝুকি মারতে
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সার কথা আপনিই বলে দিলেন, অন্ধবিন্দু...
মন্তব্য পেয়ে যথারীতি আনন্দিত
[ আমাদের নির্বাচকের ভালো লাগে নি বিধায় তিনি লেখাটি উপেক্ষা করে গেছেন। তবু আপনাদের দৃষ্টিতে পড়ায় আমি খুশি। ]
১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: চরম সত্য কথাগুলো তুলে ধরেছেন ভাইয়া বিষয় গুলো আসলেই ভাবার প্রয়োজন সকলের
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ, সুপ্ত আহমেদ
১৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:১৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার কথাগুলোর সাথে পূর্ণ সহমত জ্ঞাপন করছি।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার জাফরুল মবীন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৪০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বাস্তবতার প্রেক্ষীতে লেখাটি ভাল লাগলো।। মজার ব্যাপার হলো আমরা শিক্ষিত পাচ্ছি কিন্তু আচার ব্যাবহার তথা সামাজিক কল্যান নয়।। আর আমার হিসাবে অধিক শিক্ষিত মানেই সমাজের অধিক কল্যান।।(জানি না একমত হবেন কি না??দ্বিমতকেও স্বাগতম যদি যুক্তসংগত হয়)।।
তবে বানিজ্য থেকে ইসলামি ইতিহাসের কথা শুনে অজান্তেই একটু হাসি এসে গেলো।।
আপনার শেষ কথাটিতে একেবারে একমত যে,সামগ্রিক শিক্ষার সাথে যদি নৈতিক শিক্ষাকে যুক্ত না করা হয়,যোগ না হয় তাহলে "এক বালতি দুধে একফোটা চনার" মতই হবে।।
আর এর থকে বেশী কি আশা করতে পারি যেখানে ছাত্র-ছাত্রীরা দেখে তাদের ভর্তির নামে পিতা-মাতাকে দিতে হচ্ছে ডোনেশনের নামে বিরাট অংকের ঘুষ!! পরিনতি একটাই।।
দুঃখিত অনেক বড় মন্তব্যের জন্য।। ক্ষমা করবেন।।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মন্তব্য বড় হয় নি, যথার্থই বলেছেন।
শুধু কয়েকটি বিষয়কে আলোকপাত করার জন্য এই লেখা। যত বড় শিরোনাম তত বড় লেখা হয় নি। তবু আপনাদের আন্তরিক মন্তব্যে আনন্দন পাই। প্রেরণা পাই আরও লেখার।
অনেক ধন্যবাদ, সচেতনহ্যাপী, আপনাকে
১৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
শিরোনামটি যথেষ্ট হাহাকারময় । বিদ্যালয় আর সেই বিদ্যা বিতরনের স্থানে নেই ।
শিক্ষাকে এখোন কোরবানীর হাটে তোলা হয়েছে । যে যতো দামে এই পণ্যটি কিনবেন তার ততো বেশী নেকী হবে । অর্থাৎ তার নাম-সুযশ ততো বেশী । কিন্তু উচ্চমার্গের কোরবানীর গরুও তো পথে ঘাটে "ল্যাদায়" । যেমন আপনি উদাহরন দিয়েছেন এই রকমটাই - মাত্র পাঁচটি টাকার জন্য আমরা যখন একজন খেটে-খাওয়া রিক্সাওয়ালার গায়ে হাত তুলি, তখন কি মনে হয়, শিক্ষা আমাদেরকে কিছু করতে পেরেছে? শহরের অধিকাংশ মানুষই উচ্চশিক্ষিত, তারপরও কি গাড়িতে ওঠার সময় লাইনে দাঁড়াবার জন্য তাদেরকে ধমকাতে হয় না? যে সমাজে নারীর জন্য গাড়িতে আলাদা বরাদ্দ করে রাখতে হয়, এবং বাসের চেংড়া যাত্রীদেরকে আসনে বসিয়ে রেখে বয়স্ক নাগরিককে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, সে সমাজের শিক্ষা যে কোন কাজের আসে নি, তা কি বলার অপেক্ষা রাখে?
তো কি করবেন ? একালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তো আর দশটা ভোগৌপণ্যের দোকানের মতোই । "ফেল কড়ি মাখো তেল" এর মতো যতো কড়ি দেবেন ততো দামী পণ্য পকেটস্থ করতে পারবেন । ওনারাই আপনাকে গছিয়ে দেবেন । অনেকটা "কেনাকাটা ডট কম" এর মতো । চাইলেই পেয়ে যাবেন যা চান । এটা তো সবাই-ই জানেন ।
সমস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাটাকেই গত দু'তিন যুগ ধরে এমন করে ধোলাই করা হয়েছে যে আসল রংটাই আর চেনা যায়না । আর যাবেও না ।
আর কি বলবো ? এই হাহাকারের যোগ্য উত্তর দেয়ার মতো বিদ্যাবুদ্ধিও আমাদের শেষ ।
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//একালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তো আর দশটা ভোগ্যপণ্যের দোকানের মতোই। "ফেল কড়ি মাখো তেল" এর মতো যতো কড়ি দেবেন ততো দামী পণ্য পকেটস্থ করতে পারবেন। ওনারাই আপনাকে গছিয়ে দেবেন । অনেকটা "কেনাকাটা ডট কম" এর মতো। //
-সত্যিই তাই। এটি হলো ভোগবাদি সমাজের চিরচেনা বৈশিষ্ট্য।
শিরোনামটি যত বড়, তত বৃহৎ লেখা এটি নয়। মনে অনেক হাহাকার নিয়ে শুরু করলেও চেনাজানা কিছু দৃষ্টান্তেই আটকে থাকলাম। এবিষয়ে যতটুকু বিদগ্ধ হয়েছি, ততটুকু লেখায় প্রকাশ পায় নি। আরও লেখার ইচ্ছে আছে।
লেখাটি পড়ে আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন, আহমেদ জী এস ভাই.....
সত্যিই ভালো লাগে এরকমের মন্তব্য। লেখার তাৎপর্যকে নতুন করে বুঝতে সাহায্য করে।
শুভেচ্ছা জানবেন
১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৫১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ লেখা ছিল । +++++++
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ, প্রিয় কলমের কালি
১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১১
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট। ধন্যবাদ মাইনুল ভাই।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রিয় ছড়াকার
১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৯
আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: মনের কথাটাই যেনো চোখের সামনে দেখলাম।নিজের সাথে মিল খোঁজার ফাঁকে পড়ে ফেললাম।ভালো লাগলো।
সাধুবাদ!
০৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মিল খুঁজে পাওয়ায় আমি আনন্দিত।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫
কামরুল হাসান জনি বলেছেন: চরম বাস্তবতা!
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: প্রথম ভাল লাগা। বিস্তারিত আগামীকাল বলার ইচ্ছা পোষন করছি কারন আজ অফিস ছুটি, বউ বাচ্চার কাছে ফিরে যাচ্ছি।