নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

© মাঈনউদ্দিন মইনুল। কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি, অনুমতি ছাড়া কেউ এব্লগ থেকে লেখা বা লেখার অংশ এখানে বা অন্য কোথাও প্রকাশ করবেন না।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিংগাপুর এবং ‘উপকারী একনায়ক’ লি কুয়ান ইউ

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৭





১)

২০০৮ সালের জুলাই মাস। একটি মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উপলক্ষে সিংগাপুরের চাংগি বিমানবন্দরে অবতরণ করলাম। মাধ্যম সিংগাপুর এয়ারলাইন্স। কথা ছিল অফিস থেকে পিকআপ করবে, কিন্তু কথা কেউ রাখে নি। হয়তো রেখেছিলো, কিন্তু আমার সাথে দেখা হয় নি। অপরিচিত দেশে পাবলিক ট্রান্সপোর্টেও যাবার সাহস হলো না। ঘুমহীন রাতের ক্লান্তিতে এডভেন্চার করার ইচ্ছেটুকুও উধাও হয়েছে। অগত্যা বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষমান ট্যাক্সিতে আসন নিলাম। ভোর সাড়ে ছয়টার সিংগাপুর। শুভ্র সকাল। গাড়ির উইন্ডো খুলে দিলাম বিদেশি হাওয়ার জন্য। নতুন দেশের আকাশ-বাতাশ, রাস্তাঘাট, ফুল ও পাখি সবকিছু নতুন। প্রাণভরে দেখতে থাকলাম। গাড়ির গতির কারণে দেখে শেষ করতে পারছিলাম না, যেন জোর করে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে সামনে! নিমিষে রাতের ক্লান্তি দূর হয়ে গেলো।



অসম্ভব সুন্দর ও পরিপাটি এক শহর সিংগাপুর। প্রতি রবিবারে এমআরটিতে করে দোবিঘাট হয়ে মোস্তফামার্কেট বা লিটল চাইনা ইত্যাদি জায়গায় বিচরণ করতাম। ট্রেইনের টিকিট কেনা, ট্রেইনে ওঠা, সঠিক স্টেশনটিতে নামা, ট্রেইন পরিবর্তন করা, উদ্বৃত্ত অর্থ স্বয়ংক্রিয় মেশিন থেকে ফেরত নেওয়া – এই কাজগুলো বিশাল বড় চ্যালেন্জ হিসেবে দেখা দিলো। প্রতি মিনিটে একেকটি স্টেশন অতিক্রম করছে। ছুটির দিনেও ব্যস্ত মানুষের আনাগুনা। চাইনিজ, মালে, ইন্ডিয়ান, অষ্ট্রেলিয়ান, ইংলিশ নানারকমের মানুষের ভিড়। সকলকেই মনে হয় স্থানীয় – কেবল আমিই বিদেশি। তাদের হইহুল্লাকে অতিক্রম করে ট্রেনের ঘোষকের কথা মনযোগ দিয়ে শুনতে হতো। মোস্তফা মার্কেটে আসলে বাঙালিদের ভিড় দেখে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য, দৈনিক পত্রিকা ইত্যাদি দেখে মনে হতো বাঙালি এক শহর। সপ্তাহব্যাপী কঠোর পরিশ্রমের পরও প্রবাসী বাঙালিদের চোখেমুখে প্রশান্তি ও সুখ ভেসে ওঠতো। সব দেখে মনে হতো সিঙ্গাপুরেই থেকে যাই!



প্রতিদিন সন্ধায় বের হতাম নিকটতম ডাউনটাউনে ঘুরেবেড়ানোর জন্য। একটি বহুজাতিক নগর কতটুকু বৈচিত্রময় হয়ে ওঠতে পারে সেটি না দেখলে বুঝানো কঠিন। কিন্তু এত বৈচিত্রের মাঝেও সবকিছুতে শৃঙ্খলা ও উন্নত সমাজের পরিচয় স্পষ্ট বুঝতে পারা যায়। একদিনে মেরিনা বিচ ও সেনতোজা আইল্যান্ড ভ্রমণ করে মুগ্ধ হলাম ট্যুরিজম শিল্পে সিংগাপুর সরকারের আগ্রহ, আয়োজন এবং অর্জন দেখে। শুধু ট্যুরিজম দিয়েই তাদের অর্থনীতি চালাতে পারে। কিন্তু না, এটিই তাদের আয়ের একমাত্র উৎস নয়, নৌবন্দর ব্যবস্থাপনা, জাহাজ মেরামত ব্যবস্থা, রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতজরণ প্রভৃতি থেকে তাদের অর্থনীতি পরিচালিত হয়। হতদরিদ্র বা চরম দারিদ্র্তা সিংগাপুরে বিরল বরং মাথাপিছু মিলিয়নেয়ারের শতকরা হার পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। সহজে ব্যবসা করার জন্য পৃথিবীর উত্তম স্থান হলো সিংগাপুর। এসব দেখে বাংলাদেশি হিসেবে একটি বিষয় নিয়ে আমি কৌতূহলী হলাম। বিষয়টি হলো, কারা সিংগাপুরকে চালায়, অথবা এদের শাসনতন্ত্র কীভাবে পরিচালিত হয়।





২)

মালয়েশিয়ার পাশে মাত্র ৭১৮ বর্গকিলোমিটারের ছোট একটি নগররাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ১৮১৯ সালে যার প্রতিষ্ঠা। সংস্কৃত ‘সিনহাপুরা’ থেকে মালয় সিঙ্গাপুরা শব্দটি আসে, যার অর্থ সিংহ নগর। সমস্ত শহরজুড়ে শিংহের আকৃতিসম্বলিত সিংগাপুর একটি দুর্নীতিমুক্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং আধুনিক রাষ্ট্র।



১৯৬৩ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হবার পরপরই শহরটি মালয়েশিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে মাত্র দু’বছর পর বহিষ্কৃত হয় (১৯৬৫)। সিংগাপুরকে কমিউনিস্ট মতবাদে প্রভাবিত মনে করে মালয় কতৃপক্ষ সিংগাপুরকে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেয়। নতুন স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দ্বীপদেশ সিংগাপুর তখন সত্যিই বিপাকে পড়ে। স্বাধীন সিংগাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউ এই বলে সিংগাপুরিয়ানদেরকে সাহস দেন: “এবিষয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। অনেককিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলে যায়। কিন্তু শক্ত হোন, শান্ত থাকুন। সিংগাপুরে আমরা একটি বহুবর্ণের জাতি গঠন করতে যাচ্ছি... প্রত্যেকেই স্থান পাবে, পাবে সমান অধিকার, ভাষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম।” বিচ্ছিন্ন হবার সময়ে যারা সিংগাপুরে ছিল সকলেই সিংগাপুরিয়ান জাতীয়তা পেলো। সিংগাপুর হলো রিপাবলিক অভ্ সিংগাপুর। প্রধানমন্ত্রী শাসিত নির্বাচিত ও অনির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত ওয়েস্টমিনস্ট্রিয়াল গভর্নমেন্ট। কেউ কেউ বলে মিশ্র শাসনব্যবস্থা (হাইব্রিড গভর্নমেন্ট)।



ব্যবস্থা যা-ই হোক, ফলই যেহেতু পদ্ধতির বিচারক, সিংগাপুরের শাসনব্যবস্থাকে উত্তমই বলতে হয়। মেরিটোক্রেসির বাংলা যদি মেধাতন্ত্র হয়, তবে মেধাতন্ত্রই কায়েম করেছেন জনাব লি কুয়ান ইউ। মেধাই পদ ও দায়িত্ব পাবার একমাত্র উপায়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ধারাবাহিকভাবে দেশটিকে সর্বনিম্ন দুর্নীতির (লিস্ট করাপ্ট) দেশ হিসেবে সনদ দিয়ে যাচ্ছে। আইনের শাসন কায়েম করাতেও সিংগাপুরের অবস্থান প্রথম সারিতে। হংকংয়ের পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ মুক্ত-অর্থনীতির দেশ। রপ্তানিতে ১৪তম এবং আমদানিতে ১৫তম। এর সমুদ্রবন্দর পৃথিবীর ৫টি ব্যস্ততম বন্দরের মধ্যে একটি। উন্নত এবং প্রাণবন্ত অর্থনীতি।





৩)

লি কুয়ান ইউর মৃত্যুতে সপ্তাহব্যাপী শোক পালিত হচ্ছে সমগ্র সিংগাপুরে। একান্নব্বই বছর বয়সে আধুনিক সিংগাপুরের জনক, পৃথিবী-বিখ্যাত রাষ্ট্রনায়ক এবং এশিয়ার জায়ান্ট লি কুয়ান ইউ মুত্যৃবরণ করেন (১৯২৩-২০১৫)। ১৯৬৫ থেকে শুরু করে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি কোন-না-কোনভাবে সিংগাপুরের শাসনতন্ত্রে জড়িয়ে ছিলেন, কারণ তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায় নি শাসনের মেয়াদ শেষ হবার পরও।



সারাবিশ্বের নেতারা তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন। যুক্তরাষ্টের প্রেজিডেন্ট বারাক ওবামা তাকে ইতিহাসের বিশাল ব্যক্তিত্ব হিসেবে অভিহিত করেছেন; চীনা প্রেজিডেন্ট শি জিনপিং অভিহিত করেছেন বহুল সম্মানিত পরিকল্পনাবিদ হিসেবে; রাশিয়ার প্রেজিডেন্ট তাকে মনে করেছেন বিশ্বরাজনীতির একজন অভিভাবক; এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক।



একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে ৭দিন রাষ্ট্রীয় শোকের বিষয়টি নিঃসন্দেহে বিরল সম্মানের বিষয়। এর মধ্য দিয়ে সিংগাপুরের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠির জনগণ যেমন তাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মানে অভিন্ন অবস্থান প্রদর্শন করেছে, তেমনি রাষ্ট্রনায়ক ও একটি জাতির স্থপতি হিসেবে লি কুয়ান ইউ’র অবিসংবাদিত অবস্থানটুকু বিশ্ববাসী জানতে পারল আবারও। ভোটের জন্য বা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য কোন পলিসি গ্রহণ করলে বা কোন পদক্ষেপ নিলে আজকে তাকে কেউ এভাবে স্মরণ করতো না। সিংপুরিয়ানরা বহুজাতিক হলেও জাতির স্থপতির বিষয়ে নিজেদের ঐকমত্যের প্রমাণ রেখেছে। এমন একটি অবিসংবাদিত অবস্থান সৃষ্টি করার পেছনে লি-এর সর্ববাদি মনোভাব যে বিশেষ অবদান রেখেছে, এটা নিশ্চিত বলা যায়।



ধর্মের বিষয়ে লি ছিলেন নিরপেক্ষ এবং নিরাবেগ, কারণ তিনি ছিলেন সকল ধর্মের মানুষের রাষ্ট্রনায়ক। প্রথম বক্তৃতায়ই তিনি সকল ধর্ম ও সকল বর্ণের মানুষকে স্থান দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দি গার্ডিয়ানের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন: “ঈশ্বরের অস্তিত্ব আমি স্বীকারও করি না, অস্বীকারও করি না। তাই যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে তাদের নিয়ে আমি হাসাহাসিও করি না।” তার এই মনোভাব নাস্তিক ও আস্তিক সকলের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।



পশ্চিম সম্পর্কেও কোন অতিরিক্ত বাতিক ছিল না তার মনে। নিজ দেশের উন্নতির জন্য তিনি পশ্চিমের সাহায্য নিয়েছেন, ঠিক যতটুকু দরকার। “একটি কথা অকপটে বলি, পশ্চিমাদের ভালোদিকগুলো যদি আমাদের পথনির্দেশক না হয়, তবে পিছিয়েপড়া অবস্থা থেকে ওঠে আসতে পারবো না। পিছিয়েপড়া সমাজ নিয়ে একটি পিছিয়েপড়া অর্থনীতি আমরা পাবো। তবে পশ্চিমের সবকিছুই আমরা চাই না।”



সিংগাপুরের সৌভাগ্য যে লি-এর মতো একজন নেতা তারা পেয়েছিল, কারণ ব্রিটিশ উপানিবেশ থেকে মুক্ত করার সংগ্রাম থেকে শুরু করে, মালয়েশিয়া থেকে বিযুক্ত হওয়া পর্যন্ত লি কুয়ান ইউ সবসময় ছিলেন সিংগাপুরের জনগণের সঙ্গে। মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীন হওয়ার পর শুরু হয় লি-এর জীবনের নতুন অধ্যায়। একই সাথে শুরু হয় স্বাধীন সিংগাপুরের নবযাত্রা। লি এবং সিংগাপুরের জীবন একাকার হয়ে যায় অবশেষে। এই সংমিশ্রণের সফল ছিল বলে আজ আমরা একটি পরিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে সিংগাপুরকে দেখতে পাই।





৪)

সফল এবং প্রগতিশীল শাসক মানেই কিছুটা এহেম..ইয়ে... স্বৈরশাসক প্রকৃতির হয়! এশিয়ার অন্যান্য উন্নত দেশের (মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, দ. কোরিয়া ইত্যাদি) পর্বতসমান সমৃদ্ধির মূলেও রয়েছেন একেকজন সফল প্যাট্রিআর্ক, যাদের জনপ্রিয়তা মোটামুটি দেবতাতুল্য। এঁদেরকে আদর করে বলা হয়, benevolent dictator বা উপকারী স্বৈরাচার। (কী চমৎকার এক প্যারাডক্স!) লি কুয়ান ইউ ছিলেন তাদের আধুনিক সংস্করণ এবং প্রকৃষ্ট এক দৃষ্টান্ত। শক্তহাতে তিনি সিংগাপুরকে শাসন করেছেন এবং একটি রাজনৈতিক দলই ক্ষমতাসীন আছে দীর্ঘ দিন যাবত। দেশের সবকিছু রাষ্ট্রই নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করে। তার আমলে প্রজাদের বিয়েশাদির কাজেও সিংগাপুরের সরকার মধ্যস্থতা করেছে, যেন আদর্শ পারিবারিক বন্ধনের মাধ্যমে বের হয়ে আসে ভবিষ্যতের সুনাগরিক! স্থপতিরা একটু একনায়কতান্ত্রিক হবেনই, শুধু বাঙালিই বুঝলো না স্থপতির কী মূল্য! বাঙালি সফল শাসকের মূল্যও কতটুকু বুঝে কে জানে! আফসোস!









তথ্যসূত্র:

১) বিভিন্ন মাধ্যমে লেখকের ব্যক্তিগত অধ্যয়ন ও অনুসন্ধান।

২) আ হিস্টরি অভ্ সিংগাপুর (১৯৯১), আর্নেস্ট জিউ, (সম্পাদনায় এডউইন লি), অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস।

৩) দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ), দ্য গার্ডিয়ান (ইউকে), এবং উইকিপিডিয়া।

৪) চ্যানেল নিউস এশিয়া ডট কম।

৫) ফিচার ছবিটি ভিয়েতনামিজ আর্টিস্ট Mai Huy Dung -এর আঁকা।









বিশেষ ব্যক্তিদের নিয়ে অন্যান্য লেখাগুলো

------------------------------------------------------------------



মাদিবা নেলসন ম্যান্ডেলা: কৃষ্ণাঙ্গদের খ্রিষ্ট

বিপ্লবী চে’গুয়েভারা

অসাম্প্রদায়িক নজরুল

গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস ও ম্যাজিক রিয়েলিজম

মাদার তেরিজা: ভালো কাজ করুন, লোকে বলবে স্বার্থপর

বিশ্বের খ্যাতিমানদের মৃত্যুকালীন শেষ কথা

লোকসঙ্গীত সম্রাট আব্দুর রহমান বয়াতির দেহঘড়ি

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৪

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক সুন্দর উপস্থাপন মইনুল ভাই।

আমার শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন।

ভালো থাকবেন। অনেক। সবসময়।

শুধু বাঙালিই বুঝলো না স্থপতির কী মূল্য! বাঙালি সফল শাসকের মূল্যও কতটুকু বুঝে কে জানে!

স্থপতি

সফল শাসক

গুরুত্বপূর্ণ!

এবং শুভকামনা পুনরায়।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, কবি!

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:২৬

প্রথম বাংলা বলেছেন: বাংলাদেশ কোনদিন উপকারি সৈরাচার পাবেনা।

সেটা রবীন্দ্রনাথ বলেছেন আরো আগেই

যথা=
"সাত কোটি বাঙালীর হে মুগ্ধ জননী
জন্ম দিয়েছো ঠিকই,
রেখেছো বাঙালী করে, মানুষ করোনি।

আমরা মানুষ ঠিক, তবে তারচেয়ে বেশি বাঙালী।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখাটি পড়ে সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, প্রথম বাংলা :)

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মোস্তফা মার্কেট সিংগাপুরের সবচেয়ে বিখ্যাত মার্কেট । আর ওদের সমুদ্র বন্দর সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মত ।একটা বিশাল সিংহমূর্তি আছে ওখানে ।তারপর ক্যাবলকার আছে ।আর আমার কাছে সমুদ্র বেশি ভাল লেগেছে । ভাল লাগলো আপনার পোস্ট । সুন্দর উপস্থাপনা আর তথ্য সমৃদ্ধিতে অনবদ্য পোস্ট ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনি তো মালয়েশিয়া ও সিংগাপুরের আদ্যপান্ত দেখে এসেছেন। এবিষয়ে কিছু লেখবেন, এই আশায় আছি :)


মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ, কবি সেলিম আনোয়ার :)

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লিকুকে নিয়ে ব্লগ ও ফেবুর প্রায় শতাধিক লেখার মধ্যে আপনার লেখাটি শ্রেষ্ঠ।
অনেক কষ্টকরে যত্নকরে লিখেছেন।
ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিশাল বড় প্রশংসা.... আপ্লুত হলাম..... হাসান ভাই :)

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০২

আরজু পনি বলেছেন:

নিজের দেশের কথা ভেবে লজ্জা লাগছে ! :|

দারুন শেয়ার মইনুল।

দ্বিতীয় প্লাস।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লজ্জার কী আছে, সাগর সোজা নদি.... জনগণ মোতাবেক শাসক 8-| B-)

মেনি থ্যাংকস..... আরজুপনি :)

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
"If you are a troublemaker... it's our job to politically destroy you... Everybody knows that in my bag I have a hatchet, and a very sharp one. You take me on, I take my hatchet, we meet in the cul-de-sac." আমারা করছি উল্টো; ট্রাবলমেকারদের দলে ভিড়িয়ে পলিটিক্যালি এগিয়ে থাকার চেষ্টা। কিন্তু ফলাফল একই হচ্ছে অথাৎ ক্যোল-ডে-সাক এ পতন। সাথে দেশবাসীও থাকছে অবশ্য। হাহ হা হা ...

যদিও গুটিকয়েক বাঙালির দায় সবার উপর চাপাতে চাই নে ...

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//অথাৎ ক্যোল-ডে-সাক এ পতন। সাথে দেশবাসীও থাকছে অবশ্য।//

হাহাহা.... ধন্যবাদ, অন্ধবিন্দু!
আপনার উপস্থিতি সবসময় আনন্দ দেয়...

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

জুন বলেছেন: কবে কবে আমাদের দেশে এমন একজন রাস্ট্রনায়কের জন্ম হবে ? আমাদের সোনার বাংলা জলে পুড়ে ছাই হয়ে গেল আর একটা জেলে গ্রাম আজ কোথায় মাথা তুলে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে, অর্থনীতির এক শীর্ষ পর্যায়ের দেশ হিসেবে।
শ্রদ্ধা রইলো এমন দেশ প্রেমিকের জন্য ।
+

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//একটা জেলে গ্রাম আজ কোথায় মাথা তুলে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে, অর্থনীতির এক শীর্ষ পর্যায়ের দেশ হিসেবে।//

-সত্যিই অবাক হতে হয়।

ধন্যবাদ জুনাপা, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য :)

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্রিয় গল্পকার হাসান মাহবুবকে অনেক ধন্যবাদ :)

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার লেখা! নিজের দেশের দিকে তাকাতে কষ্ট হচ্ছে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরে.... স্টার ব্লগারের উপস্থিতি!!!!
দারুণ খুশি হলাম কিন্তু!

শুভেচ্ছা, কাভা!

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭

কাজী রায়হান বলেছেন: চমৎকার ।। :)

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

থ্যাংকস......
শুভেচ্ছা!

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:২১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:


চমৎকার শেয়ার মঈনুল ভাই,
আমাদের দেশে কবে এমন একজন নেতা পাব?

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
পাওয়া যায়.... ধরে রাখতে পারি না :(


ধন্যবাদ, বঙ্গভূমি :)

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২১

ইলুসন বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা। পড়ে ভাল লাগল।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


লেখাটি পড়ে মন্তব্য দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, ইলুসন :)

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

আরজু মুন জারিন বলেছেন: লেখাটা এখন পড়ে শেষ করিনি মইনুল ভাই। শুভেচ্ছা জানাতে আসা। নাস্তা খেয়ে নেই। পরে আসব ডিটেইল্স পড়তে।

ভালো থাকুন আর এইধরনের ভালো পোস্ট লিখতে থাকুন আমাদের জন্য।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শুভেচ্ছা....
অপেক্ষায় থাকলাম :)

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫০

তোমোদাচি বলেছেন: দারুণ উপস্থাপনায় সিংগাপুর আর তার নেতাকে আবার জানলাম !

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ডক্টর তোমাদাচিকে লেখায় পেয়ে আনন্দিত...

১৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০১

সোহানী বলেছেন: ভালো লাগলো লিখাটা পড়ে আর আফসোস জন্মালো নিজের দেশের জন্য।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ সোহানী, মন্তব্যে আপনাকে পেলে ভালো লাগে।
শুভেচ্ছা জানবেন :)

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

সুফিয়া বলেছেন: সিঙ্গাপুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা আমারও আপনার মতো। মনে হয়েছে কোথায় আমরা আর কোথায় সিঙ্গাপুর ! আর এসবকিছুই সম্ভব হয়েছে লি কুয়ান ইউ এর জন্য। স্যালুট তাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অথচ প্রায় একই সময়ে আমরা স্বাধীন হয়েছি...

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে, সুফিয়া :)

১৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:০০

হামিদ আহসান বলেছেন: "উপকারী একনায়ক" অভিধাটা যথার্থ সেটা সবাইকে মানতে হবে৷ কিন্তু ক্ষতিকর সব একনায়কগণ এখন বলতে শুরু করেছে যে,একনায়ক ছাড়া এশিয়ায় উন্নয়ন হবে না৷

সব শেষে তথ্যব হ ূল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ .....

২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ক্ষতিকর সব একনায়কগণ এখন বলতে শুরু করেছে যে,একনায়ক ছাড়া এশিয়ায় উন্নয়ন হবে না৷//

-এটাই তো একনায়কদের স্বভাব। তার কারণ খুঁজে বেড়ায় শুধু।


সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, হামিদ ভাই :)

১৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম। সময় করে পড়ে নিবো।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
স্নিগ্ধ শোভনকে অনেক ধন্যবাদ :)


(অনেকদিন পর পেলাম আপনাকে)

১৯| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১২

খোচা বাবা বলেছেন: আমাদের দেশে এমন একজন নেতা দরকার ছিল

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
একমত। খোঁচা না দেবার জন্য ধন্যবাদ ;)

২০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমাদের দূর্ভাগ্য, কোন লি কুয়ান ইউ আমরা পাইনি।এই মহান ব্যক্তিত্বের প্রতি শ্রদ্ধা রইল।

সামনে তাহলে আপনার সিংগাপুর ভ্রমণ নিয়ে কি কোন পোস্ট পাচ্ছি?

০২ রা এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
চিনতে না পারলে পাইলেই কী!



//সামনে তাহলে আপনার সিংগাপুর ভ্রমণ নিয়ে কি কোন পোস্ট পাচ্ছি?//

৭বছর আগের কথা কত খেয়াল থাকে। তবু এই লেখা প্রথমাংশে কিছু বলার চেষ্টা করেছি।

ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা জানবেন....

২১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: স্থপতিরা একটু একনায়কতান্ত্রিক হবেনই, শুধু বাঙালিই বুঝলো না স্থপতির কী মূল্য! বাঙালি সফল শাসকের মূল্যও কতটুকু বুঝে কে জানে! আফসোস!


সিংগাপুর -এর স্থপতি ও শাসক সম্মন্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানালেন, জানলাম সিংগাপুর কোষ।
অসংখ্য ধন্যবাদ!

২০০৮-এ আমিও গিয়েছিলাম সিংগাপুর, আপনার সাথে দেখা হয় নাই কেন।মোস্তফা মার্কেটে দেখা হওয়া উচিত ছিল না!!!! :) :)



০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
তাই নাকি... আহা, দেখা হওয়া উচিত ছিল।

শুভেচ্ছা জানবেন কামরুন নাহার আপা :)

২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: লিকুকে নিয়ে অনেক তথ্যবহুল লেখা আপনি লিখেছেন। লেখাটি খুব ভাল লাগল।

ধন্যবাদ মইনুল ভাই।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ছড়াকার সাহেব :)

২৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:৩০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: লি কুয়াং আর সিঙ্গাপুরের জনগণের সাথে শেখ মুজিব আর বঙ্গবাসীর তুলনা করে লাভ নেই

১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লাভ নেই। সেটাই তো দেখলাম :(

ধন্যবাদ আপনাকে, তনিমা!

২৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১১

এহসান সাবির বলেছেন: বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:১৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শুভেচ্ছা আপনাকেও, এহসান সাবির....
ভালো থাকুন নতুন ১৪২২ সালেও

২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: বেশ ভালো পোষ্ট।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মায়াবী রূপকথাকে ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.