নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উন্নয়ন ও মানবাধিকার কর্মী। শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার এবং নারীর অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার জন্য কাজ করি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, রাজনীতি ইত্যাদি বিষয়ে কৌতূহলী।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলছে বাণিজ্যিক শোষণ! রিভিউ লেখুন, মুনাফাখোরদের আগ্রাসন থেকে অসহায় ভোক্তাকে মুক্তি দিন...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

১)
রাতের নির্জনতায় অথবা অফিসের ব্যস্ততায় হুট করে একটি বার্তা এসে হাজির। আপনি হয়তো ভাবলেন বুঝি আপনার আপন কেউ আপনার খবর নিচ্ছে। কিন্তু না। ‘দারুণ অফার’ নামক নতুন আরেকটি অনাকাঙ্ক্ষিত মেসেজ। ছুটির দিন দুপুরের আহারশেষে আয়েশ করে একটি বৈকালিক ঘুম দিলেন, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠলো কই? ‘দারুণ অফার’ এসে হাজির! একটি প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য মোবাইল ফোন অপারেটর তাদের প্রোমোশনাল আইটেমগুলো নিয়ে এমন জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু করেছে যে, সেটি স্বাভাবিক জীবনকে অস্বস্তিতে ফেলছে। আগে তারা শুধু বার্তাতেই সীমাবদ্ধ থাকতো, কিন্তু এবার কল করতে শুরু করেছে। অসহায় গ্রাহক তখন কী করবেন?

দেশের সুপারশপগুলো শুরু করেছে সুপার বাটপারি। মনে করুন, ৫৪৪ টাকার বিল হয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে ৫৪৫ টাকা দিতে হবে, কারণ তাদের কাছে ১টাকা চেইন্জ নেই! কিছুদিন তারা ক্রেতাকে ১টাকা দামের চকলেট খেতে বাধ্য করেছে, এবার সেটিও আর করছে না। ৫৫০ টাকা দিলে বিনাবাক্যে ৫টাকা দিয়ে তারা পরবর্তি ক্রেতার দিকে মনযোগ দেয়। এটি তো গেলো দৃশ্যমান প্রতারণা। ধরুণ আপনার বিল হয়েছে ৫৪৭.২৫ টাকা। তবে কি তারা আপনাকে পৌনে তিন টাকা ফেরত দেবে? বড়জোড় ২টাকা পেতে পারেন। এভাবে তারা ক্রেতাকে ঠকিয়ে হাজার হাজার টাকা অতিরিক্ত আদায় করছে। কেউ কি হিসাব করেছে? তাছাড়া, পণ্যের কোয়ালিটির কথা বাদই দিলাম। তো এসব ক্ষেত্রে ভোক্তার কত সময় আছে, পঁচাত্তর পয়সার জন্য বিশাল বড় সুপারশপগুলোর সাথে বাদানুবাদে যাবার?

ফাস্টফুড রেস্তোরাঁগুলোতেও একই দশা। চারশ’ টাকা দিয়ে একটি বার্গার অর্ডার করে দেখবেন, সেখানে চিজ (পনির) নেই। কেন নেই? কারণ আপনি তা দিতে বলেন নি। পনির দেবার জন্য এক্সট্রা আরও হয়তো ৪০/৫০ টাকা যোগ করতে হবে। খাবারের মান নিয়ে কথা বলবেন? তাদের চাকচিক্য দেখে কি কখনও সন্দেহ হবে যে, তারা মৃত মুরগির মাংসকে হার্বাল স্পাইস মিশিয়ে ফ্রাই করে আপনাকে খাইয়েছে? নিশ্চিত হলেও তা বলার পরিবেশ আপনি পাবেন না, কারণ আপনি একা।

এ প্রসঙ্গে দেশের শিক্ষা বা চিকিৎসা সেবা নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজন আছে কি? চিকিৎসার সেবার অব্যবস্থা নিয়ে কথা বললে আরব্যরজনীর মতো শেষ হবার নয়। এখানেও স্বল্পবিত্তরা নিতান্তই একা আর অসহায়। উচ্চবিত্তদের জন্য দেশীয় চিকিৎসার দরকারই নেই!

ফলে খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি মৌলিক অধিকারগুলোর জন্য টাকা খরচ করেও ভোক্তা বঞ্চিত হচ্ছে। এভাবে ভোক্তাবাজারের বিভিন্ন সেবাখাত থেকে শোষণ, বঞ্চণা ও প্রতারণা চলছে হরিলুট কায়দায়। শোষকেরা এখানে ঐক্যবদ্ধ, শোষিতরা নানা ধারায় বিভক্ত।

পুঁজিবাদি সমাজে একটি মুনাফাখোর শোষক শ্রেণী গড়ে ওঠে এবং ওঠেছে। তারা দৈত্যের ন্যায় শক্তিশালী কারণ শাসকশ্রেণীও একই স্বার্থে তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ। মাঝে মাঝে শাসকেরা খুবই সূক্ষভাবে আইওয়াশ করেন অবশ্য। কিন্তু সকলেরই উদ্দেশ্য যেকোনভাবে লাভবান হওয়া। বিজনেস এথিক্স এখানে অনুপস্থিত। কোথাও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, নেই কোন আইনের প্রয়োগ। বিখ্যাত এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোও এই লাগামহীন বাজারের সুবিধা নিচ্ছে, কারণ এখানে তাদের ভালো থাকার বাধ্যবাদকতা নেই। অন্যদিকে শোষিতরা নিরব! কী করবে তারা? নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ভোক্তাশ্রেণীর তো কোনই ক্ষমতা নেই। মাঝেমাঝে ভোক্তার অধিকার বলে শুধুই চিৎকার করি, যা কোন কাজে আসে না।

মোদ্দাকথা হলো, ভোক্তারা নিজেদের মতামতকে কার্যকরভাবে প্রকাশ না করলে, তাদের অসহায়ত্ব সম্পর্কে কোন ধারণা সৃষ্টি হয় না। ভোক্তার আহাজারি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কানে পৌঁছায় না, পরিস্থিতিরও উন্নয়ন হয় না।



২)
গত বছর কোরিয়া বেড়াতে গিয়েছিলাম। সপ্তাহ দুই বেড়ানোর পর ফেরার পথে সঙ্গত কারণেই লাগেজটা মোটা হয়ে গেলো! উপায় না দেখে আরেকটি লাগেজ কিনতে বাধ্য হলাম। কিন্তু বিমানে ওঠার পূর্বের রাতে দেখা গেলো যে, লাগেজটির একপাশের সেলাই ঢোলা হয়ে গেছে। মহাফ্যাসাদে পড়লাম! এখন তো আর কেনার সময় নেই, বদলাবারও সুযোগ নেই! কিন্তু আমার সফরসঙ্গীকে ততটা চিন্তিত হতে দেখলাম না। কিছুক্ষণ পর আমাকে জানানো হলো যে, লাগেজের দোকান থেকে নতুন একটি লাগেজ ২০মিনিটের মধ্যেই বাসায় পৌঁছাবে। সত্যিই তাই হলো! তারা বাতিলকৃত লাগেজটি নিতে চাইলেন না, দেখতেও চাইলেন না, বরং দুঃখ প্রকাশ করলেন। আমি তো বিস্ময়ে হতবাক!

আমাদের দেশে হলে তো এই সমস্যার দায়িত্বই দোকানদার মাথায় নিতো না। অবিলম্বে আমি এই যাদুর মাজেজা জানার জন্য ওঠেপড়ে লাগলাম। আমার সফরসঙ্গী জানালেন যে, এখানে ইন্টারনেট কমিউনিটি খুবই প্রভাবশালী। প্রসঙ্গত, ইন্টারনেট ব্যবহারে (internet penetration) কোরিয়ানরা পৃথিবীর শীর্ষে। কোন কোম্পানি/পণ্য সম্পর্কে কোন ভোক্তা যদি নেতিবাচক কোন অভিমত প্রকাশ করে, তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা হাজার হাজার ভোক্তার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন সকাল হতে হতেই কোম্পানিতে লালবাত্তি!

আমরা তো দিনভর ফেইসবুক দিয়ে ইন্টারনেট চালাই আর পণ্যের নিম্নমান নিয়ে মুখেমুখেই চিল্লাবিল্লা করি। ছবিসহ দু’টি লাইন লেখে দিলেই কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোম্পানির টনক নড়বে। সেটা করি না – ব্যস্ত থাকি সেল্ফি আর কাউফিতে। আইন বলুন আর সরকার বলুন, না কাঁদলে আপন মাতাই দুগ্ধ দেয় না!

একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সম্প্রতি ‘রিভিউ’ নামে একটি বিভাগ খুলেছে। সেখানে মূলত বিভিন্ন ব্র্যান্ড নিয়ে ইতিবাচক গুণকীর্তন করা হয়। তবু কোন ভোক্তা সেখানে তার নিজের অভিমতটি প্রকাশ করতে পারেন। তাছাড়া, ব্লগে, ফেইসবুকে অথবা টুইটারে প্রকাশ করতে পারেন নির্দিষ্ট সেবা/পণ্য সম্পর্কে ভোক্তার অভিজ্ঞতা। তাতে প্রতারিত/সংক্ষুব্ধ ভোক্তাদের মধ্যে একতা বৃদ্ধি পাবে, সে সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানও সচেতন হতে বাধ্য হবে।


পণ্য বা সেবার বাস্তব ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক রিভিউ লেখে আমরা সমাজের অসামান্য উপকার সাধন করতে পারি:

• প্রফেশনাল রিভিউ: পেশাদার মূল্যায়ন। আমরা নির্দিষ্ট কোন ব্র্যান্ডের ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারি। সঙ্গে থাকবে ইতিবাচক ও নেতিবাচক বিষয়ের সুসমন্বয়। দামের সাথে উপযোগিতার তুলনা। এটি সংশ্লিষ্ট কোম্পানির জন্য মহামূল্যবান নির্দেশনা হতে পারে। নিজের পরিচিত পণ্য দিয়েই শুরু করা যায় রিভিউ। উচ্চাকাঙ্ক্ষী ব্র্যান্ডগুলো এসব মূল্যায়নকে খুবই গুরুত্ব দেয়। একসময় উচ্চমূল্যে বিক্রি হতে পারে একটি রিভিউ।

• কনজিউমার রিভিউ: ভোক্তার অভিমত। এর আরেক নাম হতে পারে, তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। এটি পেশাদার অথবা ভারসাম্যপূর্ণ হবার বাধ্যবাদকতা নেই। ভোক্তা যখন-তখন একটি রিভিউ লেখে তা নিজের ফেইসবুকে/ব্লগে/টুইটারে প্রকাশ করতে পারেন। তাতে কিছু কাজও হবে, ক্ষোভও প্রশমিত হবে। একপেশে বা আবেগাক্রান্ত না হলে সেটি বেশি ফলদায়ক হবে। যুক্তি এবং প্রমাণনির্ভর হলে সেটি কাঙ্ক্ষিত সুফল নিয়ে আসবে। ছবি থাকলে তো কথাই নেই!



ব্লগিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো, নাগরিক সাংবাদিকতা, যা আউট-অভ্-ফোকাস ও অবহেলিত মানুষের অধিকারের কথা বলে। আমি মনে করি, ব্লগারদের নৈতিক দায়িত্ব আছে দেশের অসহায় ভোক্তাদের পক্ষে কথা বলার। তারা নিজেরাও তো একেকজন ভোক্তা। বাস বলুন আর রিক্শা বলুন, কাঁচাবাজার বলুন আর শেয়ার বাজার বলুন – ভোক্তার চেয়ে অসহায় আর কে আছে!

মন্তব্য ৭৮ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কোন কোম্পানি/পণ্য সম্পর্কে কোন ভোক্তা যদি নেতিবাচক কোন অভিমত প্রকাশ করে, তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা হাজার হাজার ভোক্তার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন সকাল হতে হতেই কোম্পানিতে লালবাত্তি!

ভাল একটা আইডিয়া মাথায় দিয়েছেন ভাই। এখন ওদের টাইট দেওয়ার একটা উপায় পেলাম। অনলাইনেই টাইট দিতে হবে বেটাদের। সেদিন গ্রামীনফোনের সেন্টারে সিম রিপ্লেসমেন্টের জন্য যাবার পর প্রায়োরিটি অনুসারে আমিই সার্ভিস অপারেটরের সামনে বসলাম।
দুটি সুদর্শী মেয়ে আসার পর ওঁরা কিছু জিজ্ঞেস করতেই দেখি আমাকে বসিয়ে রেখে বেটা দাঁড়িয়ে ওদের ট্যাব নিয়ে ঠিক করে দিচ্ছে। মেজাজটা যা খারাপ হয়েছিল!! X(

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এখন থেকে রিভিউ লেখা শুরু করুন।
রিভিউ লেখার ওস্তাদ হয়ে যান।
খেলার ফল বদলে দিন, গেম চেন্জার :)

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,



আপনার মিষ্টি হাসির মতোই দৃষ্টিকাড়া পোষ্ট ।
একদম ঠিক বলেছেন প্রথম অংশে । এই তো আজ সকালে অফিসে যাবার পথে ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যে ছয় ছয়খানা ‘দারুণ অফার’ এলো । কাঁহাতক কষ্ট করে "ডিলিট মেসেজ" বাটন টেপা যায় ?
আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন কমিটি বা এই রকম নামে কিছু একটা লোক দেখানো কমিটি আছে সচেতন নাগরিকদের নিয়ে । জানিনে তারা কাদের অধিকার সংরক্ষন করেন !!!
এখন কিন্তু সামাজিক সাইটগুলো মেইন ষ্ট্রীম মিডিয়ার থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠছে ক্রমেক্রমে । এটাই যা আশার ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সামাজিক সাইটগুলোই এখন অস্পৃশ্য মানুষের অধিকার আদায়ের একমাত্র উপায়।

সুন্দর মন্তব্য দিয়ে সঙ্গে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা, আহমেদ জী এস ভাই :)

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

প্রামানিক বলেছেন: একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সম্প্রতি ‘রিভিউ’ নামে একটি বিভাগ খুলেছে। সেখানে মূলত বিভিন্ন ব্র্যান্ড নিয়ে ইতিবাচক গুণকীর্তন করা হয়। তবু কোন ভোক্তা সেখানে তার নিজের অভিমতটি প্রকাশ করতে পারেন। তাছাড়া, ব্লগে, ফেইসবুকে অথবা টুইটারে প্রকাশ করতে পারেন নির্দিষ্ট সেবা/পণ্য সম্পর্কে ভোক্তার অভিজ্ঞতা। তাতে প্রতারিত/সংক্ষুব্ধ ভোক্তাদের মধ্যে একতা বৃদ্ধি পাবে, সে সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানও সচেতন হতে বাধ্য হবে।

ঠিক কথাই বলেছেন মইনুল ভাই। মেসেজের জ্বালায় খুব বিরক্ত হচ্ছি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ, ছড়াকার প্রামানিক ভাই...
ভালো থাকবেন! :)

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ব্লগিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো, নাগরিক সাংবাদিকতা, যা আউট-অভ্-ফোকাস ও অবহেলিত মানুষের অধিকারের কথা বলে। আমি মনে করি, ব্লগারদের নৈতিক দায়িত্ব আছে দেশের অসহায় ভোক্তাদের পক্ষে কথা বলার। তারা নিজেরাও তো একেকজন ভোক্তা। বাস বলুন আর রিক্শা বলুন, কাঁচাবাজার বলুন আর শেয়ার বাজার বলুন – ভোক্তার চেয়ে অসহায় আর কে আছে! ------------

বেড়ালের গলায় ঘন্টাটি বাধবে কে ভাই!!!!
'চাচা, আপন প্রাণ বাচা '- এখন এই অবস্থা!!!!! আপনার মত ক'রে বলারই বা কা আছে!!!!
ভাল থাকবেন মইনুল ভাই!!!!!

(আপনার টাকা আপনি ব্যাংকে রেখেছেন, কার্ড দিয়ে তুললেও তারা সার্ভিস চার্জ কেটে নেবে! কারণ, আপনি যে ভোক্তা!! :( )

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কামরুন নাহার আপাকে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১

এস কাজী বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ভাই অত্যন্ত ভাল কথা বলেছেন।

কিন্তু এক খুব বাজে একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। এই যে আপনি বললেন রিভিউ লিখতে। এসব রিভিউ পেইজ পর্যন্ত আজকাল মেনিপুলেট হয়ে যাচ্ছে। এই ধরুন ফেসবুক একিছু ফুড রিভিউ গ্রুপ আছে। রেস্টুরেন্ট মালিক রা করে কি তাদের পরিচিত কয়েকজনকে খাইয়ে রিভিউ লেখায় ভাল হয়ছে বলে। আবার দেখা যায় অনেক সময় বাজে রিভিউ দিলে কিছুক্ষন পরে পোস্ট গায়েব। এত গেল ফুড রিলেটেড গ্রুপ গুলোর কথা। হতে পারে অন্য গ্রুপ গুলোর ও অবস্থা এরকম।

তবে আমি হতাশার কথা বললাম। আপনি যেটা বললেন নিউজ পোর্টালের 'রিভিউ' বিভাগ যদি ঠিকমত কাজ করে বা কঞ্জিউমাররা সচেতন হয় তাহলে কোরিয়ার মত অবস্থা হতে বেশি দেরি হবে না। ধন্যবাদ

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এটিই তো চলছে এখন। এজন্য চাই সত্যিকর ভোক্তার অভিমত।

যেখানে রিভিউ দেবার উপযুক্ত জায়গা আছে, সেখানে রিভিউ দিতে পারেন। সকলেরই কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা আছে। অন্তত খারাপ অভিজ্ঞতা তো আছে! এসব একত্র করলে দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর পতন হবেই।

অথবা নিজেই একটি ব্লগ খুলে ফেলুন.... সেখানে বিভিন্ন সেবা/পণ্য নিয়ে নিজের মূল্যায়ন তুলে ধরুন :)

ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন, প্রিয় এস কাজী :)

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১১

নতুন বলেছেন: সচেতনতা বাড়লেই সব ব্যবসায়ীরা কাস্টমারের সাভিসের দিকে নজর দিতে বাধ্য হবে। এক চেটিয়া ব্যবসা করতে পারবেনা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

একদম একমত!

রিভিউ লেখতে হবে এজন্যই....

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, নতুন :)

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাণিজ্যিক শোষণ থেকে মুক্তি ? আমি বলবো দুঃসাধ্য । তবে অসাধ্য নয় । যারা করছেন তাদের মধ্যে ইথিকস গ্রো করতে হবে । অতি মাত্রায় ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে । ভোক্তার এখানে কতটুকু করার আছে? একচেটিয়া বাজার গুলোর প্রতিদন্দ্বি দাঁড় করাতে হবে । সেক্ষেত্রে সাধু শ্রেণীর ব্যবসায়ীদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে । কিংবা ক্রেতারা দলবদ্ধ হয়ে বাণিজ্যে নামতে পারেন । দারুন কিছু যুক্তি দিয়েছেন অত্যন্ত সাবলিল ভাষায় । ভাল লেগেছে ।+

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ, কবি সাহেব :)

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

চন্দ্রদ্বীপবাসী বলেছেন: রিভিউ লিখলে হয়ত কিছুটা বদলে দেয়া যাবে তবে আমরা ৯৯% ই থেকে যাব। কারণ আমাদের গোড়ায়ই যে গণ্ডগোল রয়েছে।

একটি প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য মোবাইল ফোন অপারেটর তাদের প্রোমোশনাল আইটেমগুলো নিয়ে এমন জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু করেছে যে, সেটি স্বাভাবিক জীবনকে অস্বস্তিতে ফেলছে। আগে তারা শুধু বার্তাতেই সীমাবদ্ধ থাকতো, কিন্তু এবার কল করতে শুরু করেছে। অসহায় গ্রাহক তখন কী করবেন?


ভোর সকাল দুপুর বিকাল সন্ধ্যা রাত কিছুই বাদ দেয় না। দৈনিক ২০-২৫টা এসএমএস পাঠায়।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

চন্দ্রদ্বীপবাসী! আপনার নামটি খুব সুন্দর। নিশ্চয় চন্দ্রদ্বীপের অধিবাসী?

আবার ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাই। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ :)

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২০

ইকরাম বাপ্পী বলেছেন: কোন কোম্পানি/পণ্য সম্পর্কে কোন ভোক্তা যদি নেতিবাচক কোন অভিমত প্রকাশ করে, তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে তা হাজার হাজার ভোক্তার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পরদিন সকাল হতে হতেই কোম্পানিতে লালবাত্তি



বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে তবে সেলফি কাউফি কমলে ভালো হবে আর কি

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

তাই মনে করি। ধন্যবাদ, ইকরাম বাপ্পী...
শুভেচ্ছা জানবেন :)

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ক্লাসে কিছুদিন আগে ফোন সাইলেন্ট করতে ভুলে গিয়েছিলাম| আর শালার আসল অফারদাতাকর্ণ কল| স্যারে ঝারা চার মিনিট গালি শুনেছি| ভাগ্য ভাল ক্লাস থেকে বের করে দেয়নি|
আর আপনার পোস্ট নিয়ে কী বলবো| আগের অনেকবারের মতই অসাধারণ

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এসব অবস্থায় ভোক্তাকে শুধু সচেতন হলেই হবে না, সরব হতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার সুযোগ নিতে হবে।

আরণ্যক রাখাল, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ :)

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৩৪

আনু মোল্লাহ বলেছেন: কক্সবাজারে হোটেল সিগালে আমাদের রুম বুকিং বাবদ ২৫০০০/= (পঁচিশ হাজার) টাকা অগ্রিম দেয়া ছিল। অনিবার্য কারনে সেটা আমরা ক্যান্সেল করি। এখন তারা আমাদের কোন টাকা ফেরত দেবে না। তখন বললাম ঠিক আছে তাহলে আমরা আমাদের বুকিং বাতিল করব না। তখন বলে সেটাও সম্ভব না। অর্থাৎ টাকাও পাব না, রুমও পাব না।

এটা যে মগের মল্লুক এতে কোন সন্দেহ আছে?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কোন সন্দেহ নেই। পৃথিবীতে একটিই মগের মুল্লুক এখনও বহাল আছে, যেটিতে আমরা বাস করি...
বিষয়টি নিয়ে চাইলে গর্বও করা যায় ;)

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানবেন, আনু মোল্লাহ :)

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের দেশেও অনলাইন এ্যাক্টিভিজম ধীরে ধীরে দানা বেঁধে উঠছে। আশীফ এন্তাজ রবির ফেসবুক স্ট্যাটাস ভাইরাল হবার প্রতিক্রিয়ায় "মজার স্কুল"এর সংগঠকদের জেলমুক্তি হওয়াটা একটা আশাপ্রদ ঘটনা। হয়তো বা একদিন আমরাও এক্ষেত্রে কোরিয়ানদের সমকক্ষ হতে পারবো :|

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিষয়টি সত্যিই প্রেরণাদায়ক।

আগামি কয়েক বছরে এদেশের ইন্টারনেট ইউজারের সংখ্যা/হার পৃথিবীতে রেকর্ড সৃষ্টি করবে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ব্যবহার করে এদেশেই সম্ভব ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। শুধু দায়িত্বশীল হবার বাকি... :)

কৃতজ্ঞতা জানবেন, প্রিয় গল্পকার :)

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:১৬

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পুঁজিবাদি সমাজে একটি মুনাফাখোর শোষক শ্রেণী গড়ে ওঠে এবং ওঠেছে। তারা দৈত্যের ন্যায় শক্তিশালী কারণ শাসকশ্রেণীও একই স্বার্থে তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ। মাঝে মাঝে শাসকেরা খুবই সূক্ষভাবে আইওয়াশ করেন অবশ্য।সুতরাং ভোক্তাদের কন্ঠস্বর পৌছাবে না কোথাও।। অনলাইনের কথা বলছেন? আমরা নেট ব্যবহার করি ঠিকই কিন্তু এর উপকারীতা বা মন থেকে নেয়ার ব্যাপারটা বেশীর ভাগ ব্যবহারকারীরই অজানা।। সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেবুর চেহারাটা একটু দেখুন।। আপনাকে দশটা লাইক দিয়ে আবার আমিই মিনমিন করে উল্লেখিত স্থানগুলিতে ঠকে এসে আবারও যাবো ঠকতে!! এথেকে উপকারীতা পেতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আরো অনেকদিন।। তবে বিরাট একলাফে অনেকটা যেতে পারি যদি মুনাফাখোর এবং সরকারের গাটছড়া ভাঙ্গা যায়।। তেমন সরকারই বা কোথায়,কোথায়ই বা সেই জনসচেতনাটা??

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//বিরাট একলাফে অনেকটা যেতে পারি যদি মুনাফাখোর এবং সরকারের গাটছড়া ভাঙ্গা যায়।//

তবে তা-ই হোক। সচেতনতার পাশাপাশি দরকার সোচ্চার হবার।

আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন, সচেতনহ্যাপী :)

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩০

কয়েস সামী বলেছেন: Vai kemon achen? e lekhata amar magazine e chai. deya jabe?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভাই কয়েস সামী! আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।

কোন সমস্যা নেই। ম্যাগাজিন পাঠাবার ঠিকানা তো জানেনই :)

১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: অনেক সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট। খুবই ভাল লাগলো! আপনার লেখার সব অংশ গুলোই অনেক চমৎকার এবং গোছানো তবে বিশেষ করে লেখার
'আমরা তো দিনভর ফেইসবুক দিয়ে ইন্টারনেট চালাই আর পণ্যের নিম্নমান নিয়ে মুখেমুখেই চিল্লাবিল্লা করি। ছবিসহ দু’টি লাইন লেখে দিলেই কিন্তু সংশ্লিষ্ট কোম্পানির টনক নড়বে। সেটা করি না – ব্যস্ত থাকি সেল্ফি আর কাউফিতে। আইন বলুন আর সরকার বলুন, না কাঁদলে আপন মাতাই দুগ্ধ দেয় না!'
এই অংশটা আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অবশ্যই এবিষয়ে আমারকে সচেতন হতে হবে।

তবে লেখার ভিতরে যদি একটু হিসাব করে বুঝিয়ে দিতেন কিভাবে মুনাফােখোররা ভোক্তাদের কাছথেকে অতিরিক্ত মুনাফার মাধ্যমে ঠিক কত টাকা লাভ করছে তাহলে আরো ভাল হতো। যেমন একজন ভোক্তার কাছ থেকে যদি তারা দিনে ২৫ পয়সা করে নেয়, তাহলে এক সপ্তাহে কতটাকা তাদের বাড়তি আয় হয়, মাসে কতটাকা বছরে কতটাকা এমন আর কি। তাহলে ফাটাকেষ্টর মত সাধারন মানুষদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়ে যেতো। :P :P

আমার চাওয়াটা সব সময় একটু বেশি বেশি থাকে ভাই। কিছু মনে করবেন না!
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখার মধ্যে 'তবে' এবং 'যদি' বের করার লোক পাই না। আপনি কিন্তু একাজটি নিয়মিত করে যেতে হবে, বুঝলেন? ;)

চাওয়াটা বেশি থাকারই দরকার।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, সাহসী সন্তান....
ভালো থাকুন :)

১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার ! চমৎকার বলেছেন। প্রতিটি কথার সাথে পূর্ণ সহমত।

সবাই মিলে লিখলে বা বললে কিছু কাজ, অবশ্যই হবে।

পোস্টে প্লাস।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

.... অবশ্যই হবে!

আন্তরিক মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ, কবি সুমন কর :)

ভালো থাকুন....... সবসময়!

১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: পুঁজিবাদি সমাজে একটি মুনাফাখোর শোষক শ্রেণী গড়ে ওঠে এবং ওঠেছে। তারা দৈত্যের ন্যায় শক্তিশালী কারণ শাসকশ্রেণীও একই স্বার্থে তাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ। মাঝে মাঝে শাসকেরা খুবই সূক্ষভাবে আইওয়াশ করেন অবশ্য। কিন্তু সকলেরই উদ্দেশ্য যেকোনভাবে লাভবান হওয়া। বিজনেস এথিক্স এখানে অনুপস্থিত। কোথাও কোন নিয়ন্ত্রণ নেই, নেই কোন আইনের প্রয়োগ। বিখ্যাত এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলোও এই লাগামহীন বাজারের সুবিধা নিচ্ছে, কারণ এখানে তাদের ভালো থাকার বাধ্যবাদকতা নেই। অন্যদিকে শোষিতরা নিরব! কী করবে তারা? নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত ভোক্তাশ্রেণীর তো কোনই ক্ষমতা নেই। মাঝেমাঝে ভোক্তার অধিকার বলে শুধুই চিৎকার করি, যা কোন কাজে আসে না।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশে দৃষ্টি দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, রেজওয়ানা আলী তনিমা :)
ভালো থাকবেন প্রবাসে!

১৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: দারুণ পোস্ট। আমাদের এই ইন্টারনেট প্রজন্মকে সচেতন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নাই। আপনার ধারণাটা আমাদের দেশে অভিনব। সকলের এটা নিয়ে ভাবা উচিত।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

... তবে তাই হোক!
অলওয়েজ ড্রিম.... অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। :)

১৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।









ভালো থাকবেন নিরন্তর।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনাকেও ধন্যবাদ, দেশ প্রেমিক বাঙালী...
শুভেচ্ছা জানবেন :)

২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সুপার শপগুলোর ভ্যাট কেটে রাখা একটি বিরক্তিকর ব্যাপার । ভ্যাট চালান চাইলে তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়, ক্রেতা বুঝে দূর্ব্যবহারও করে । এর বাইরেও বিভিন্ন প্রকারে বানিজ্য শোষণ চলে । আমরা অনেক কিছুতেই ভয়েজ রেইজ করি, কিন্তু এইসব বাণিজ্যিক শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের কোন উচ্চকণ্ঠ নেই ।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কতৃৃপক্ষের খবরদারি না থাকলে এমনই হয়।
...উচ্চকণ্ঠ দরকার।

গল্পকার মামুন রশিদ ভাইকে আবারও নিয়মিত দেখে ভালো লাগছে :)

২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

জেন রসি বলেছেন: সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে এখন নাকি সবকিছু ভোক্তাকে কেন্দ্র করেই হয়। অর্থাৎ যারা ভোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের সন্তুষ্ট করতে পারবে তারাই সফল হবে।কিন্তু আমাদের দেশে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কোন শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে ওঠেনি। এসব ব্যাপার নিয়ে যৌক্তিক বিশ্লেষণ খুব কম হওয়ার কারনে এ দেশের ভোক্তারাও সচেতন নয়।

চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ভোক্তাই বাজারের রাজা। যেহেতু সবকিছুই ভোক্তাকে কেন্দ্র করে, সেহেতু ভোক্তাদের মনের কথা কোম্পানিগুলো শুনতে চায়, যদি সেটা কার্যকরভাবে বলা যায়। এই বাস্তবতাটুকু আমাদের দেশে গড়ে তুলতে হবে।

জেন রসি, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ :)

২২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: দেখুন ভোক্তাদের নিয়ে ভাবার জন্য এদেশে কেউ নেই। আর নেগেটিভ প্রোপাগান্ডাতে ৮০% অশিক্ষিতের দেশে ভয়ংকর করাপটেড দেশে খুব একটা ইমপ‌্যাকট পড়ে বলে দেখছিনা। কোরিয়া তো অনেক উন্নত শক্তিশালী দেশ, আরি কোলকাতাতে ভোক্তা অধিকার অনেক অনেক বেশি সুরক্ষিত। এদেশে পরিবহণ ব্যাবসায়ীরা সবাই নিজেরাই সরকারী নেতা বা রাজনৈতিক ভাবে জড়িত অথবা মন্ত্রী নেতাদের ঘুষ দিয়ে হাতে রাখে। এইতো গত ১৮ তারিখে এক বাস শ্রমিককে সুনির্দিষ্ট অপরাধের জন্য জরিমানা করায় কোন একজন সরকারী নেতার সহায়তায় পুরো ঢাকাতে বাস সার্ভিস অচল করে দেয়া হল! সুপারশপ গুলোর মালিক কারা? আপনি এসেছেন ভোক্তাদের কথা বলতে?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

শুধু আমাদের দেশেই ভোক্তার কোন অধিকার বা ক্ষমতা নেই। বাকি সব দেশেই আছে। এই অসহায়ত্ব থেকে মুক্তির পথ ভোক্তাকেই বের করতে হবে। ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ না হয়ে সোচ্চার হতে হবে। ঠাণ্ডা মেজাজে দৈত্যাকার বণিকদের সাথে অধিকারের লড়াই করতে হবে। একজনকে দেখে দশ জন আসবে। কোথাও না কোথাও থেকে শুরু করতে হবে।

ঢাকাবাসীকে অনেক দিন পর পেয়ে খুশি হলাম।
ভালো থাকবেন :)

২৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর আহ্বান । সচেতন হওয়া সকলের অধিকার । তাই এ সকল শোষণ থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে এখন প্রযুক্তিকে এভাবে ব্যবহারের বিকল্প নেই ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় কলমের কালি...
ভালো থাকুন :)

২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১৪

কয়েস সামী বলেছেন: ভাই আপনার নাম্বারটা হারায় ফেলসি। যদি টেক্সট করে দিতেন! ০১৭১২৮৮৬৪১০।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

অবশ্যই করে দেবো....
ভালো থাকবেন, কয়েস সামী :)

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

নেক্সাস বলেছেন: ব্লগিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো, নাগরিক সাংবাদিকতা, যা আউট-অভ্-ফোকাস ও অবহেলিত মানুষের অধিকারের কথা বলে। আমি মনে করি, ব্লগারদের নৈতিক দায়িত্ব আছে দেশের অসহায় ভোক্তাদের পক্ষে কথা বলার। তারা নিজেরাও তো একেকজন ভোক্তা। বাস বলুন আর রিক্শা বলুন, কাঁচাবাজার বলুন আর শেয়ার বাজার বলুন – ভোক্তার চেয়ে অসহায় আর কে আছে! ------------


একমত দাদা

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, কবি নেক্সাস...
শুভেচ্ছা জানবেন :)

২৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

আহমাদ জাদীদ বলেছেন: এখন অফার শুধু আর দারুণ নেই, আজকের অফার নাম দিয়েও প্রায় প্রতিদিন অফার আসতে থাকে ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আহমাদ জাদীদ :)

২৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

আবু শাকিল বলেছেন: বাণিজ্যিক শোষণ !।ইহা বহু আগে থেকে চলে এসেছে ,এখনো চলছে ।
আমরা ভোক্রারাই শোষণ করার সুযোগ করে দিচ্ছি ।
আপ[নি খুব দরকারি বিষয় তুলে এনেছেন । সবাই সোচ্চার হলে বাণিজ্যিক শোষণ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ ।
পোষ্টে+
ধন্যবাদ ভাইয়া ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্রিয় আবু শাকিল ভাইয়া.... আপনাকেও ধন্যবাদ!
ভালো থাকবেন :)

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৯

জুন বলেছেন: মাইনুদ্দিন মইনুল সুপার শপ এর জোচ্চুরি নিয়ে আর কত বলবো বা বলবেন। তাতে তাদের কিছু যায় আসে না।
আমার ছেলে ব্যাংকক থেকে ঢাকা আসার ঠিক দু চার দিন আগে একটা ট্যাব কিনেছে ব্রান্ড নিউ সিরিজ এনভিডিয়া। ইউজ করার পর দেখে তাড়াতাড়ি ব্যাটারি গরম হয়ে যাচ্ছে। আপনি বিশ্বাস করবেন সেই নির্মাতা কোম্পানীকে জানানোর সাথে সাথে নিজেদের খরচে ক্যুরিয়ার করে ঢাকার ঠিকানায় নতুন প্যাক করা ট্যাব পাঠিয়ে দিল। যা দেখে আমি অবাক হোলাম। পুরানো টা ফেরত নিল না কিন্ত অটো লক হয়ে গেল। এই জিনিস আমাদের দেশে চিন্তা করতে পারবেন আপনি স্বপ্নেও !
এই সব দুক্কের কিচ্ছা কইয়া লাভ নাই এই হলো আসল কথা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

জুনাপা... এই জিনিস আমাদের দেশে চিন্তা করা কঠিন।

তবু আশা করি দেরিতে হলেও একদিন এদেশে সব ভালো প্রতিষ্ঠিত হবে। হয়তো আমরা দেখে যেতে পারবো না।

'দুক্কের কিচ্ছা' কওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এভাবে কিচ্ছা কইলে/ব্লগে লেখলে কিছু ফায়দা তো আছেই... আফা!

ভালো থাকবেন আর ভ্রমণ চালিয়ে যাবেন :)

২৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:১৩

অন্ধবিন্দু বলেছেন:

(“বাণিজ্যিক শোষণ” কথাটা কি ঠিক হলো ?)
মোটে ইন্টারনেট আমরা ধরতে শিখেছি। আর কিছুটা সময় দেন, চালাতে একবার জেনে গেলে। এই কাজটা খুব ভালো পারি, ঐতিহ্য আছে। প্রফেশনাল রিভিউ হচ্ছে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স ও ফুড ক্যাটাগরিতে বেশ হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজে রিভিউ/কমেন্টস দারুণ কার্যকরী।

তবে যুক্তি-তথ্য-বিজ্ঞান ছাড়া চিল্লাবিল্লার কোনও মানে নাই, উল্টো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। শুধু ব্লগারদের নৈতিক দায়িত্বয়ই নয়। ব্লগারদের প্রধানতম ক্রিয়াটি অবশ্যই এতদর্থে উদ্দেশ্য-প্রণোদিত(এগ্রেসিভ) হওয়া উচিত। নিজেকে নিজে বলছি, গাল-গপ্প করাকে এখন আর ব্লগিং বলে না। ব্লগিং ভাষাটি আরো অনেক উন্নত গঠনসমৃদ্ধ মাধ্যম।

আপনাকে ধন্যবাদ হে ব্লগার মাঈনউদ্দিন মইনুল।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//এই কাজটা খুব ভালো পারি, ঐতিহ্য আছে।// B-)

প্রিয় অন্ধুবিন্দু... বরাবরের মতো আশার বাণী শুনালেন। আপনার যুক্তিতে আশ্বস্ত না হয়ে পারি না।

আশা করছি 'কিছুটা সময়' গেলে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে।

'গালগপ্প করাকে এখন আর ব্লগিং বলে না' .... আমি তাতে শতভাগ একমত।

৩০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

পাঠক মানব বলেছেন: "একটি প্রতিষ্ঠিত ও স্বনামধন্য মোবাইল ফোন অপারেটর তাদের প্রোমোশনাল আইটেমগুলো নিয়ে এমন জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু করেছে যে, সেটি স্বাভাবিক জীবনকে অস্বস্তিতে ফেলছে। "
একটি নয় সব গুলো কোম্পানী এই জ্বালা দেয়। মেসেজ না পড়লে একই মেসেজ বার বার সেন্ড করে। আরেকটি বড় সমস্যা হল এখন কোথাও কল করতে গেলেও দেখি মাঝে মাঝে কল যাবার বদলে আগে অপারেটরের নতুন অফার শোনায়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মন্তব্য দিয়ে যুক্ত হবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, পাঠক মানব।
শুভেচ্ছা জানবেন :)

৩১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার পোস্টটি খুবই সমসাময়িক এবং প্রয়োজনীয়। তবে আমার অবজার্ভেশন হল, আমরা বাংলাদেশীরা খুবই আবেগপ্রবণ এবং প্রচুর পরিমাণে হুজুগে। যুক্তি এবং দূরদর্শীতা এখানে খুবই কম কাজ করে। আমাদের সবারই মনে থাকার কথা বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত "অমুক পণ্য" "তমুক পণ্য" বর্জনের ক্যাম্পেইনের কথা। কিছুদিন চলার পরই এসব শেষ। সচেতনতার একটা মূল্যবান অনুষঙ্গ হল আত্মসম্মান বোধ। আমাদের অধিকাংশেরই এই জিনিসটাই নাই। এ কারণেই নিজের অধিকার আমরা আদায় করে নিতে পারি না।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম... ভালো কথা বলেছেন।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পদ্ম পুকুর।
ভালো থাকবেন :)

৩২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:



চমৎকার আইডিয়া ! কাজ স্টার্ট এখন থেকেই এবং আপনার পোষ্ট থেকেই।

বাংলাদেশ পুলিশ এর তত্ত্বাবধায়নে মেট্রো নামক একটা কোম্পানী বেশ কিছুদিন হলো বেকারী প্রোডাক্ট নিয়ে বাজারে এসেছে। আমি যেহেতু মেরিড ব্যাচেলর মানুষ তাই সকালে আমার কপালে পাউরুটি ছাড়া আর কিছু জোটে না। যাইহোক একদিন মেট্রো'র একটা পাউরুটি বাসায় নিয়ে আসলাম। মেয়াদ উর্ত্তীর্ন তারিখ হাতে ছিলো আরও ৩দিন পর। পরদিন সকালে তাড়াহুড়ো ছিলো বলে আর নাস্তা মানে পাউরুটি না খেয়েই অফিসে চলে গিয়েছিলাম। সন্ধায় এসে ক্ষুধা লেগে ছিলো বলে পাউরুটি খাবো বলে পাউরুটি প্যাকেট থেকে যেই খুললাম দেখি পাউরুটিতে ছত্রাকের বাসা বেঁধেছে। এখন বলেন আমি যদি এই রিভিউ দেই খাবারের তাইলে পরেরদিন আমাকে শ্বশুর বাড়ী গিয়ে সেই মেট্রোর পাউরুটিই হয়ত ভাগ্য জুটবে।

এখন বলেন রিভিউ কি নিয়মিত দিবো নাকি শোষিত হতেই থাকবো।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ওটা নিশ্চয়ই সম্পূর্ণ হাতের স্পর্শ ছাড়া (মানে পা দিয়ে) বানানো হয়েছিল। B-)

রিভিউ নিয়মিত দিন। মুভির রিভিউর চেয়ে এটি বেশি দরকারি নিশ্চয় ;)

কৃতজ্ঞতা... আর শুভেচ্ছা জানবেন, জনাব আমিনুর রহমান ভাইজান

৩৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: লেখা পড়ে উৎসাহিত হলাম। আসলেই এখন থেকে চেষ্টা করবো আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে রিভিউ লেখার। আর আপনার জানামতে কোন মাস প্ল্যাটফর্ম থাকলে সেটাও জানাতে পারেন। সবাই এক্টিভ হলে সময় লাগবেনা ছড়িয়ে পড়তে।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

প্লিজ শুরু করেন দিন। কবিতার চেয়ে বেশি প্রভাবশালী হবে.... গ্যারান্টি ;)
কারণ কবিতার পাঠক শুধুই কবি... :(

প্রিয় ডট কম বেটা ভারশনে রিভিউ শুরু করেছে...
কিন্তু নিজস্ব ব্যবস্থা থাকলে ভালো....

৩৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: "আমি মনে করি, ব্লগারদের নৈতিক দায়িত্ব আছে দেশের অসহায় ভোক্তাদের পক্ষে কথা বলার" - হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। আমিও তাই মনে করি।
"বাস বলুন আর রিক্শা বলুন, কাঁচাবা-জার বলুন আর শেয়ার বাজার বলুন – ভোক্তার চেয়ে অসহায় আর কে আছে!" - কেউ নেই। তবে এরকম কিছু লেখা পড়ে ভোক্তারা উচ্চকন্ঠ হতে শিখলে অসহায়ত্ব কিছুটা ঘুচবে বলে মনে করি।
ধন্যবাদ আপনাকে, চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে প্রাঞ্জল ভাষায় এত সুন্দর করে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা তুলে ধরার জন্য।
ব্লগার ভাইয়েরা বোনেরা আসুন, এ বিষয়ে সচেতন হয়ে মাঝে মাঝে কলম ধরি!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রেরণাদায়ক অংশগ্রহণের জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, খায়রুল আহসান ভাই :)

৩৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৪

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: আমাদের বাঙ্গালীর প্রবলেম হইল পাছার কাপড় বেইচা দরকার হইলে ভাব দুচাইতে হইব। ইউ নো ম্যান আমি সুপার শপ ছাড়া বাজার করতে পারি না। কানের নীচে কইষা থাবড়া দেয়া দরকার- আমাদের বাপ মা রে কাচাবাজার থেকে বাজার করতে পারছে আর আমরা পারি না কেন। আমরাই পাছা পাইতা দিছি মারার জন্য, লোকজন ত মারবই।

তারপর আসি ফাস্টফুড আর চেইন রেস্টুরেন্ট গুলার। পুরাই বালের লেভেলের দাম। তারপরও দরকার হইলে নিজের কিডনী বেইচা ওইখানে খাইতে যাইব - কারণ ওইখানে গেলে ফেইসবুকে চেক ইন দেয়া যায়, একটা স্টাটাস দেয়া যায়, শো অফ করা যায় - আবুলের দোকানে চা পুরী খাইলে ত তা আর দেয়া যায় না।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার মন্তব্য পড়ে হাসলাম।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন :)

৩৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ৩৩ নং মন্তব্যের উত্তরে আপনার "কবিতার পাঠক শুধুই কবি" কথাটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। একদম ঠিক কথা বলেছেন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দুঃখজনক সত্য :(

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ, জনাব খায়রুঃল আহসান ভাই.... :)

৩৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সকল শংকার আশংকা মাথায় নিয়েও শুরুটা করতেই হবে। ভয়াবহ শোষনে আমরা কিনতা কুনতের আমলের চেয়েও বেশী শোষিত হচ্ছি! তখন শেকল হাতে পায়ে দেখা যেত। এখন অদৃশ শেকলে সবই বাঁধা!
কর্পোরেট ইদূর দৌড়ে নিজেকে সারভাইব করানো মরিচিকার পিছে ছুটতে গিয়ে ভুলে যাচ্ছি হাজার বছরের সংস্কৃতি, শিক্ষা, প্রতিবাদের ভাষা! ডিজিটাল গোলামীতে যেন স্বেচ্ছাবন্দীত্বে সকলেই!

লিখলে উল্টো হয়রানী হতে হয় ভাই। কি ভাবে লিখবেন?

আমার কদিন আগেই পোষ্ট দিয়েছিলাম মেয়ের স্কুলে বেতন আদায়ের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে! উল্টো স্কুল থেকে বের করে দেবার হুমকি দেয়! শিক্ষার মান নেই কোচিংয়ের দৌরাত্ব! অভিভাবক মিটিংয়ে আওয়াজ তুলতেই- আপনার ছেলে কোন ক।লাশে রোল কত?? ব্লা ব্লা..
যদিও পরে কোচিং আর বাধ্যতামূলক রাখেনি! কিন্তু পুরো সময়ই খাতা দেখায় চাপে রেখেছে ছেলেকে!

কোনদিকে কতজনের সাতৈ ফাইট দেবেন! যখন অভিমূন্যে চক্রবুহ্যের মতো কর্পোরেট বেনিয়া শোষকের ফাস আপনাকে ঘিরে আছে!!!
বদলাতে হলে চাই পরিপূর্ন বিপ্লব! আগাপাসতলা খোলনলচে বদলে দেয়া!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
“শুরুটা করতেই হবে।”


লেখার ক্ষমতাটা একটু ভিন্ন। মৌখিক প্রতিবাদের প্রমাণ নেই, রেফারেন্স করা যায় না।
লিখিত অভিমত বহুমুখী শক্তিধর।

বিপ্লব আসবেই.... এক পা দু’ পা করে এগুচ্ছে!
বিদ্রোহীকে রণক্লান্ত হলে চলবে না :)

৩৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

T2 বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করা হোক

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। পাঠকের মনে ‘স্টিকি’ হলেই আমি খুশি।

৩৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই কাজে আপনাকে আমাদের কাণ্ডারি হিসেবে পেতে চাই । সামনে থেকে শুরু করছি । আপনাকে উৎসর্গ দিয়ে :)

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শুরু করুন। প্রয়োগ দেখিয়ে দিন। এগিয়ে চলি আমরা :)

অনেক দিন পর আপনাকে দেখে আনন্দিত...

শুভেচ্ছা জানবেন, গল্পকার মাহমুদ০০৭ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.