নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অখাদ্য লেখাগুলো কেউ নিজ খরচে বই বানিয়ে প্রকাশ করে সেটি বাজারজাত করে দেবে, এটি ভাবতেই সেই গল্পটি মনে পড়ে যায়। গল্পটি সবারই জানা। প্রকাশকের দৌরাত্ম্য এবং লেখকের সৃষ্টির প্রতি অবহেলার সেই মর্মন্তুদ কাহিনি। লেখা প্রকাশ তো দূরে থাক, লেখা পড়েই দেখেন না অহংকারী প্রকাশক। লেখক অপেক্ষার প্রহর গুণেন। কাজহীনতায় এক দুঃসহ জীবনে পতিত হন লেখক। অপেক্ষার জীবন কঠিন। প্রেমিকাও অবিশ্বাস করতে শুরু করে। অবশেষে হয়তো আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। লেখা প্রকাশ পেলো। সেই লেখা পাঠকপ্রিয়তাও পেলো। শুধু পাঠকপ্রিয়তা নয়, বলা যায়, রাতারাতি প্রসিদ্ধ লেখকে পরিণত হলেন সেই নবীন কবি। কিন্তু হায়, এতদিন নিজের সৃষ্টির প্রতি অপমান আর অপ্রকাশিত থাকার বেদনা সইতে না পেরে হতভাগা লেখক কিছুদিন আগেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। আত্মহত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু সেই বিতর্ক থাকুক। কী হলো সেই কবির জীবনে? মরণোত্তর পুরস্কার!
বর্তমান বাজারে লেখার 'শতভাগ প্রকাশক' পাওয়া প্রায় অসম্ভব একটি বিষয়। এজন্য অনেকেই প্রকাশক বা সম্পাদকের পথে পা মাড়াতে চান না। নিজেই নিজের লেখার মুগ্ধ পাঠক! বই বানিয়ে মলাট দেখতে চান, গন্ধ নিতে চান নিজের বইয়ের, পেতে চান অটোগ্রাফ দেবার আনন্দ। লেখক হিসেবে একটি অতি স্বাভাবিক একটি চাওয়া। ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ হয়তোবা ছাপার খরচ যুগিয়ে নিয়েছেন। কেউ অপেক্ষা করছেন সময়ের। কিন্তু এটি কি সবার ক্ষেত্রে ভালো ফল দিয়েছে? প্রশ্ন থাকলো পাঠকের কাছে।
প্রকাশকেরা প্রথমেই যা দেখতে চান, তা হলো বিক্রয়যোগ্যতা বা বইটি বিক্রি হবার সম্ভাবনা। কোন কারণে বইয়ের লেখক আগে থেকেই বিখ্যাত হলে প্রকাশকদের সেই আশঙ্কা অনেকটাই কেটে যায়। এসব ছাড়াও বইয়ের প্রকাশক পাওয়া যায়, যদি লেখার মান থাকে প্রশ্নাতীতভাবে ভালো। ভালো একজন জামিনদার থাকলেও বইয়ের প্রকাশক পাওয়া যায়। কোন বেস্টসেলার বইয়ের লেখক যদি একটি রিভিউ লেখে দেন অথবা একটি সুপারিশপত্র, সেটিও প্রকাশকের মনকে বিগলিত করে।
প্রশ্নটি হলো, নবীন লেখক কোন পথে যাবেন। নিজের লেখা নিজেই প্রকাশ করবেন, নাকি প্রকাশকের দ্বারস্থ হবেন? দু’টি পথেরই ভালোমন্দ দিক আছে। প্রথার বিপরীতে যেতে হলে প্রথাটি প্রথমত জানতে হয়। অর্থাৎ যারা প্রকাশকের মাধ্যমে বই প্রকাশ করেছেন, তারা কেন করেছেন কীভাবে করেছেন, সেটি মূল্যায়ন করে দেখা উচিত।
প্রকাশকের মাধ্যমে বই প্রকাশ
প্রকাশকের মাধ্যমে বই প্রকাশ করা একটি প্রচলিত এবং স্বাভাবিক উপায়, কারণ একই সাথে কন্যা এবং বরের বাবা হওয়া যায় না। বিখ্যাত বইয়ের লেখক হওয়া আর বইয়ের বাজারজাত করা এক নয়। ভালো লেখক আর ভালো বিক্রেতা দু’টি ভিন্ন বিষয়। প্রকাশক পাওয়া মানে লেখার প্রথম স্বীকৃতি পাওয়া। তাই প্রসিদ্ধ প্রকাশকের দায়িত্বে বই প্রকাশ করতে পারা একটি সৌভাগ্যের বিষয়।
কিন্তু সৌভাগ্য তাদেরই, যারা পরিশ্রম করতে এবং ধৈর্য্য ধরতে পারেন। প্রত্যাখ্যাত হবার বেদনাকে মেনে নিতে হয়, হতাশাকে হজম করতে হয়। বিখ্যাত কিশোর সাহিত্যিক এবং হ্যারি পটার সিরিজের লেখক জেকে রলিং কমপক্ষে বারোটি প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। শেষে কোন এক প্রকাশকের কন্যার সাহায্যে তিনি সুদৃষ্টি পেয়েছিলেন। তার পরের সবই ইতিহাস। লর্ড অভ্ ফ্লাইস-এর লেখক উইলিয়াম গোল্ডিংও একুশ বার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। গোল্ডিং-এর দৃষ্টান্ত থেকে বুঝা যায় যে, সাহিত্যে নোবেল পাওয়া লেখকেরাও প্রকাশক কর্তৃক নিগৃহীত হতে পারেন। বাংলা ভাষার অনেক কবি-লেখক আছেন, যাদের প্রতিভা প্রথম দৃষ্টিতে প্রকাশকের আনুকূল্যতা পায় নি। কিন্তু প্রকাশকের অবহেলা প্রকৃত লেখককে থামাতে পারে না, বরং প্রেরণাকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
প্রত্যাখ্যান ‘লেখক চরিত্রকে’ গড়ে তোলে, কারণ এটি লেখককে নিজ লেখায় পুনরায় দৃষ্টি দিতে বাধ্য করে। প্রতিটি অস্বীকৃতি লেখককে সমালোচকের স্তরে নামিয়ে দেয়, যা লেখার উন্নয়নে সহায়তা করে। কারাজীবন যেমন রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরীক্ষা, তেমনই প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে লেখকের ‘লেখক সত্ত্বার’ পরীক্ষা হয়। কিন্তু প্রত্যাখ্যাত বা উপেক্ষিত হবার ভয় লেখকের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। লেখককে প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হয়।
প্রকাশক পাবার পরও লেখকের পরীক্ষা শেষ হয় না। সকল পরীক্ষাকে অতিক্রম করার পর শুরু হয় নতুন পরীক্ষা । সেটি হলো, প্রকাশকের মতের সাথে এবং তার শেডিউলের সাথে তাল মেলাতে পারা। লেখকের কাছে তার লেখা অমূল্য এবং প্রশ্নাতীত, কিন্তু প্রকাশকের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ পাঠকমুখী। এই দ্বন্দ্বকে মেনে নিয়ে ডেডলাইন মোতাবেক লেখাটি শেষ করতে পারাও লেখকের জন্য বড় পরীক্ষা।
প্রকাশকের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকক্ষেত্রেই লেখার পাঠকপ্রিয়তাকে বাড়িয়ে দেয়। তার অভিজ্ঞ সম্পাদনায় একটি কাঁচা লেখা পাঠকের চোখে পরিচ্ছন্ন এবং দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে।
ভাষাগত শুদ্ধতার বিষয়টি একজনের পক্ষে নিশ্চিত করা কঠিন। সম্পাদকের পক্ষপাতহীন কাটাছেঁড়ায় একটি লেখা পায় ভাষাগত শুদ্ধতা। লেখক লেখেন আবেগ আর অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে, কিন্তু সম্পাদক পড়েন সহস্র পাঠকের দৃষ্টিতে।
এখানে বইয়ের দান্দনিক বিষয়টির জন্যও প্রকাশকের দরকার। প্রকাশক জানেন কীভাবে প্রচ্ছদ, ছবি, অক্ষরবিন্যাস এবং পৃষ্ঠাবিন্যাসের সমন্বয়ে একটি বই মানসম্মত ও পাঠকপ্রিয় হয়ে ওঠে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আইনি মারপ্যাঁচ। লেখকের সব লেখাই যে সৃজনশীল, গঠনমূলক এবং সামাজিকভাবে অনুকূল হবে তা নয়। লেখকের চোখে বিষয়গুলো অধরা থেকে যেতে পারে। অভিজ্ঞ প্রকাশক নিশ্চিত করেন যে, লেখকের সৃষ্টি পাঠক-উপযোগী।
প্রকাশক নৈতিকভাবেই লেখকের গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক এবং তার গ্রন্থস্বত্ত্বের রক্ষক। তারচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, তিনি আর্থিক দায়দায়িত্বের অংশীদার। বই বাজার না পেলে সাধারণত প্রকাশক দায় নেন।
বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে একেক প্রকাশনা সংস্থা একেকটি বিক্রয়যন্ত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের আছে পুস্তক ব্যবসায়ীদের সাথে বিস্তৃত নেটওয়ার্ক, পরীক্ষীত সম্পর্ক। আছে অভিজ্ঞ কর্মীবাহিনি। লেখক-সুলভ আত্মগরিমা তাদের নেই। বিপরীতে আছে বই বিক্রি করে ব্যবসায় টিকে থাকার তাড়না।
আমরা দেখতে পাই যে, প্রকাশকের পৃষ্ঠপোষকতা লেখককে প্রেরণা দেয় আরও লেখার জন্য। ব্যবসায়িক লাভের কারণেই লেখার মান বৃদ্ধি পায়। অতএব বই লেখে বৃহত্তর পাঠক সমাজে পরিচিতি পেতে চাইলে প্রকাশকের বিকল্প নেই।
নিজেই নিজের লেখার প্রকাশক
এখানে বিবেচ্য বিষয়টি হলো লেখকের স্বাধীনতা। লেখক স্বভাবতই স্বাধীনচেতা এবং সমাজের পথপ্রদর্শক। পরাধীন আত্মা কখনও ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক হতে পারে না। তাহলে সক্রেটিস আর গ্যালিলিওরা আজ অচেনাই থেকে যেতেন। কোন কালজয়ী লেখক তার প্রকাশকের পছন্দমতো গড়ে ওঠেছে এরকম নজির আমরা পাই না।
লেখকই প্রকাশক নির্বাচন করেন, প্রকাশক লেখককে নয়। সুলেখক মানে হলো, নির্ধারকের ভূমিকায় তারাই থাকবেন। পথিকই পথের সৃষ্টি করেছে।
লেখক বৃহত্তর পরিসরে তার গ্রন্থের ভবিষ্যতকে দেখতে পান। প্রকাশকের মুনাফামুখী দৃষ্টি কেবল বর্তমানকেই দেখতে পায়। দূর ভবিষ্যত তাদের কাছে তত গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশের স্বশিক্ষিত দার্শনিক আরজআলী মাতুব্বরের লেখা জনসমক্ষে এসেছে তার মৃত্যুরও পর। প্রকাশক কোথায় ছিলেন!
লেখকই উত্তম প্রকাশক হতে পারেন, কারণ প্রকাশকেরা একদেশদর্শী। শুধুই পাঠকের পছন্দের কথা তারা ভাবেন। পাঠকের মনস্তাত্ত্বিক উন্নয়নের বিষয় তাদের কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অপমান করে লেখককে তাড়িয়ে দেবার মুহূর্তকাল পরেই তারা একই লেখকের পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে পাণ্ডুলিপি সংগ্রহ করেছেন, এরকম দৃষ্টান্ত আছে।
তাই, যদি নিজের পছন্দের লেখা প্রকাশ করতে হয় এবং যদি তাতে প্রকাশকের সমর্থন পাবার সম্ভাবনা না থাকে, তবে নিজের লেখার প্রকাশক নিজে হওয়াই উত্তম।
অন্যদিকে, রয়্যালটি বা লেখকের আর্থিক প্রাপ্তিটুকুও আজকাল কমে গেছে। যেমন: শিক্ষকদের মানোন্নয়নের জন্য একটি বইয়ের রয়্যালটি দশ শতাংশের বেশি নয়! লেখক যখন নিজেই পাঠক, বিক্রয়ের টাকাও সবটুকুই তার। অবশ্য লোকসানের দায়ও লেখকেরই!
এক্ষেত্রে লেখকের সিদ্ধান্তে বাধা দেবার কেউ নেই। নিজের বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে এর মূল্য নির্ধারণ পর্যন্ত সবটুকু প্রক্রিয়ায় লেখকই সর্বেসর্বা। বইয়ের বিষয় নিয়েও মাতব্বরি করার মতো তার ওপরে কেউ নেই। অবশ্য লেখার বিষয় যদি বিতর্কিত হয়, তবে নিজে এর প্রকাশক হওয়া ছাড়া আর কোন বিকল্পও নেই।
কিছু বিষয়ে নিজের প্রকাশক হওয়া ছাড়া তেমন কোন পথ থাকে না। নতুন কোন আবিষ্কার অথবা অনুসন্ধান/গবেষণার প্রেক্ষিতে কোন বই লেখলে, তাতে প্রকাশক ঝুঁকি নিতে চাইবেন না। এক্ষেত্রে লেখকের প্রকাশক হওয়া ছাড়া গত্যান্তর নেই।
যারা ‘টিউন/হাউ টু’ টাইপের লেখক (যথা: ঘরে বসে আয় করুন; নিজেই এসইও শিখুন; ই-মার্কেটিংয়ের ৭টি পদ্ধতি; ধনী হবার ১০টি সহজ উপায় ইত্যাদি) তারা নিশ্চিন্তে বই বের করতে পারেন। নিজেই।
উভয়দিকেই একটি মিল আছে। তা হলো লেখার মান এবং পাঠকের গ্রহণযোগ্যতা। লেখার বিষয় মৌলিক হলে, কনটেন্ট ভালো থাকলে এবং পুস্তক ব্যবসায়ীদের সাথে সামান্যতম যোগাযোগ থাকলে নিজেই প্রকাশক হওয়া যায়। আর্থিক সঙ্গতি থাকলে আর্থিক সাফল্যও লেখক একাই ভোগ করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ‘প্রকাশকের কর্তব্য’ সম্পর্কে লেখককে সজাগ থাকতে হবে। তখন নিজেকে শুধু লেখক ভেবে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। লেখকরা স্বাধারণত অন্তর্মুখী স্বভাবের হয়ে থাকেন; তারা কতটুকু প্রকাশক হয়ে ওঠতে পারবেন, নিজেরাই বুঝতে পারবেন। অন্তর্মুখী লেখকদের জন্য প্রকাশকই উদ্ধারকর্তা। লেখার মান ভালো থাকলে এবং পেশাদারী রীতিতে নিজেকে প্রকাশ করতে চাইলে, প্রকাশকের বিকল্প নেই। তবে জুতসই প্রকাশক হতে হবে। প্রসিদ্ধ প্রকাশকের আস্থা অর্জনের জন্য প্রয়োজনে এক যুগ অপেক্ষায় থাকা যায়। আজকাল তো অপেক্ষায় থাকতে হয় না, অনলাইন এবং অগণিত দৈনিক বা সাপ্তাহিক পত্রিকায় অথবা লিটল ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশ চলতেই পারে। পরে সেগুলোকে স্মারক হিসেবে নিয়ে প্রকাশকের আস্থা অর্জনে ব্যবহার করা যায়। (১ মে ২০১৬)
[ সবকথা বলা যায় নি। বিষয়টি নিয়ে মন খোলে আলোচনা করার করার জন্য সহব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ]
--------------------------------------------------------------------
টীকা:
১) লেখক প্রকাশকের পার্থক্যটি আজকাল ঠিক আগের মতো আছে কিনা যাচাই করা যেতে পারে। কিছু প্রকাশক আছেন, যারা নবীন লেখকদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দেবার মহৎ উদ্দেশ্যে লেখকের খরচেই বই প্রকাশ করেন। এসব ঊন-প্রকাশকের নাম যথাস্থানে যথাগুরুত্বেই থাকে। বইয়ের লাভ হলেও সেখানে সিংহভাগ তারাই নেন, কারণ তারা নবীন লেখককে পরিচিত করিয়ে বিশাল মহৎ কার্য সাধন করেছেন। কিছু লেখকও লেখক থাকেন না, বনে যান প্রকাশক। এটি ভালো নাকি মন্দ, সেটি অবশ্য অন্য বিতর্ক।
২) শুরুতে দু’একবার প্রত্যাখ্যাত হওয়া যেন বিরহ প্রেমের স্মৃতি। এটি না হলে যেন প্রেম থাকে অপূর্ণ! প্রেমিক হওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। অনেক লেখক একে উপভোগ করেছেন। সেসব দুঃসময় নিয়ে সৃষ্টি করেছেন নতুন লেখা।
৩) কিছু সাইট আছে, যারা এসব বিরহকে গেঁথে তুলছে নতুন লেখকদের প্রেরণার জন্য। প্রত্যাখ্যাত লেখকদের অভিমতও তারা প্রকাশ করে। এরকম একটি সাইট: প্রত্যাখ্যাত সাহিত্য যা পরবর্তিতে বেস্টসেলার হয়।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ... এত্তো তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলেছেন... ও আল্লাহ!
২| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২০
শায়মা বলেছেন: নিজেই নিজের লেখা প্রকাশই ভালো। এহ রে প্রকাশকের অপছন্দ হবে আমার নিজের এত পছন্দের এত কষ্টের লেখাগুলো আর সেটা সেধে পড়ে শুনতে যাবো? কোনো দরকারই নেই!
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখিকা সাহসিকা! যুক্তি একদম ঠিক।
গ্রন্থকারদের জগতে আপনি তো আগেই বাস করছেন। নিশ্চয়ই আপনার কাছ থেকে শেখার থাকবে অনেক কিছু
থেংকু শায়মামনি!!!
৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৩
মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেছেন: তবু বই বানাবো....
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
উখে!
৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৩
পবন সরকার বলেছেন: অসম্ভব ভাল একটি লেখা। পড়ে মুগ্ধ হলাম।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মুগ্ধতা জানাবার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা....
৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৭
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া নেক্সট বইমেলায় কি বই বের করছো এখুনি বলো !!!!!!!! সব বুঝে গেছি কিন্তু।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
‘কী বই বের করছি’ না বলে জিজ্ঞেস করুন কত নম্বর বই বের করছি...
আহা... আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক। অন্তত একযুগ পার হতে দিন
৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিষয়ের উপর লিখেছেন।
অনেক প্রকাশক সারা বছর মূখিয়ে থাকেন সেল্ফ পাবলিশিং লেখকের অপেক্ষায়! দায়সারা প্রকাশনা দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ!
তুলনামূলক আলোচনায় অনেকেই নিজের মতো করে পথ খুঁজে পাবে।
++++++++++++
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সেল্ফ পাবলিশিং হলে বইয়ের ‘মান এবং এর বাজারজাতকরণের’ বিষয়ে প্রকাশকের সহযোগিতা থাকবে সর্বনিম্ন।
//তুলনামূলক আলোচনায় অনেকেই নিজের মতো করে পথ খুঁজে পাবে।// তা-ই হোক তবে!
৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:০২
জুন বলেছেন: সামুতে লেখা সব জগাখিচুড়ী এক কপি প্রিন্ট করে মরক্কো চামড়ায় ( স্বপ্নেই যখন পোলাও খাবো তখন আর ঘি কম দিবো কেন তেমনি বাধাই বা সস্তা করবো কেন ) বাধিয়ে বুক সেল্ফে রেখে দেবো
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঝুনাফা.... আপনি সত্যিকার পাবলিশারই পাবেন... ইহা আমি গ্যারান্টি দিয়া কইতে পারি
আপনি আমাদের প্রেরণা
ভুলে যেন যেওনা... (ছন্দ কি হলো?)
৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৮
প্রামানিক বলেছেন: মইনুল ভাই, চিন্তা করে দেখলাম, নিজের লেখা নিজে বের করাই ভাল, তাতে কারো মুখের দিকে তাকাতে হয় না। লাভ লোকসান যা হয় নিজের কাছেই থাকে। ইচ্ছামত বন্ধু বান্ধবদের নিজের বই উপহার দেয়া যায়। প্রকাশকের ক্যাটক্যাটানি থাকে না।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... খাঁটি কথা!
এত্ত টিয়া কই ফান?
৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:০৯
দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: চমৎকার একটা বিষয় উত্থাপন করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ মইনুল ভাই! পুরো পোস্টে আপনি যে যুক্তি এবং উপমা গুলো উল্লেখ করেছেন, আপনার প্রত্যেকটা কথার সাথে পূর্ণ সহমত পোষণ করছি! কিইইইইন্তু আপনার পোস্টের একটা বিষয় এখন বর্তমান সময়ের সাথে ঠিক যায় না!
সেটা হলো- আজকালকার দিনে আর লেখক কর্তৃক প্রকাশক নির্বাচিত হয় না। বরং হয় ঠিক তার উল্টোটা! অর্থাৎ প্রকাশক কর্তৃকই লেখক নির্বাচন! আমি নিজে দেখেছি, এমন অনেক নবীন লেখক আছেন যারা সামান্য একটা কবিতার বই কিংবা গল্পগ্রন্থ প্রকাশের জন্য, অনেক গুণী প্রকাশকদের দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে পায়ের চামড়া ক্ষয় করে ফেলেছেন, অথচ প্রকাশক কর্তৃক শুধু আশার বানী ছাড়া আর কিছু শুনতে পাননি!
ভাই সত্যিটা হলো, আজকাল টাকাই সব কিছু! ঐযে কথায় আছে না, টাকা থাকলে কালিপদ আর না থাকলে কেলো!
চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা.... বর্তমান সময়ের সাথে ঠিক যায় না। অকাট্য যুক্তি। টাকা হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় যুক্তি।
ধন্যবাদ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার
১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:১০
প্রামানিক বলেছেন: মইনুল ভাই, আমার আপার নামটা ভুল করলেন, উনি জুন আপা, ঝুনাফা নয়।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই! ঝুনাফা’র নামটা আমি আজও লেখতে পারলাম না
অথচ দেখুন... তিনি আমাকে ক্ষমা করেই চলেছেন!
১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:১৪
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: পাঠক শ্রেণীতে বসলাম মইনুল ভাই
কেমন আছেন?
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
স্নিগ্ধ শোভনের স্নিগ্ধতা পাচ্ছি অনেক দিন পর...
মামুন রশিদ ভাইকে ফলো করতে করতে এসেছেন বুঝি
ভালো আছি... আপনাদেরকে অনেক দিন দেখছি না
ভালো থাকুন!
১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৫
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নবীন লেখকদের জন্য বই প্রকাশ করা যে কত জক্কি ঝামেলার ব্যাপার ভূক্তভোগী মাত্রই বুঝতে পারে । সাহিত্য লেখকদের কাছে আর্ট হলেও প্রকাশকদের কাছে ইন্ডাস্ট্রি । লেখকের আবেগের মূল্য প্রকাশকের কাছে নেই ।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//সাহিত্য লেখকদের কাছে আর্ট হলেও প্রকাশকদের কাছে ইন্ডাস্ট্রি । //
দেয়ালে বাঁধিয়ে রাখার মতো বাণী দিয়েছেন
১৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: আজকে কিভাবে লগইন করে ফেললাম অনেক দিন পর সামু পাতা দেখতে ভালই লাগছে
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এটাই তো ভালো লাগার জায়গা
১৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
টুকি ...
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আরে!!! আপনি তো ব্লগার তালিকা থেকে বাতিল! জানেন না? গল্পকার মামুন রশিদকে জিগান!
১৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
নীল মনি বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন।ভিন্ন ধরনের লেখা পড়লাম।নিজে প্রকাশক হতে হলে প্রয়োজন টাকা,কিন্তু এখন যে ওতো টাকা নেই,কিন্তু বই বের করার ইচ্ছেটুকু তো আছে,অনন্যোপায় হয়ে একটু ধার দেনা করে বপি বের করার ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে।প্রকাশক টাকার জন্য সাহিত্যের মান বিচার করতে পারছেন না।টাকার কাছে সবাই ধরা খেয়ে যাচ্ছে।আর এখনকার যুগ বলে কথা,সেদিন কী আর আছে দাদা"!!!!
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার শেষ প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। এজন্যই এ লেখা
মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ, নীল মনি.......................
১৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:৫৯
নীল মনি বলেছেন: বই *
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা!
১৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:০৪
নীল মনি বলেছেন: আপনাকে শুকরিয়া ভালো থাকবেন।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:১৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভালো থাকুন
১৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
সবই বুঝলুম কিন্তু উপরের ছকটি ঠিকঠাক বুঝতে পারিনি ।
যেখানে বিস্তৃত বাজার আর অধিক পাঠক আছে , যেখানে রয়্যালটি আছে লোকসান নেই , যেখানে অধিক বৈধতা আর গ্রহন যোগ্যতা আছে সেখানে নিজেই নিজের লেখার প্রকাশক কেন হবোনা ??????
অথচ ছকটি তো প্রকাশক না হতে এগুলোর পক্ষেই বলে গেছে । না কি কিছু বাদ পরে গেছে ছকে ? না কি আমারই বুঝতে ভুল ?
তবে সহ-ব্লগার জুন এর মন্তব্য -
সামুতে লেখা সব জগাখিচুড়ী এক কপি প্রিন্ট করে মরক্কো চামড়ায় ( স্বপ্নেই যখন পোলাও খাবো তখন আর ঘি কম দিবো কেন তেমনি বাধাই বা সস্তা করবো কেন |) বাধিয়ে বুক সেল্ফে রেখে দেবো /
এর চেয়ে ভালো প্রস্তাবনা আর নেই ।
০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাতুড়ে লেখকের লেখাগুলো যে পড়েন, তাতেই ধন্য।
‘সবই বুঝলে’ ছকের গুরুত্ব আর থাকে না
অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন, প্রিয় সহব্লগার.....
১৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১১:৩৩
পুলহ বলেছেন: আমার এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা প্রায় শূণ্য, তাই খুব বেশি কিছু বলতে পারছি না। এম্নিতে আপনার লেখাটা অত্যন্ত ব্যালান্সড মনে হয়েছে, অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
"কিছু প্রকাশক আছেন, যারা নবীন লেখকদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা দেবার মহৎ উদ্দেশ্যে লেখকের খরচেই বই প্রকাশ করেন।"-- এ ধরণের প্রকাশকের কথা আজকাল অনেক শুনি। তবে ভাই- যেটাই হোক- আমার মনে হয়- যতদিন না একটা বিশাল পাঠক সমাজ গড়ে উঠছে, ততদিন স্কোপ সব দিক থেকে এরকম ন্যারোই থাকবে। প্রকাশক যদি দেখে একটা বিশাল বাজার তার সামনে অপেক্ষা করে আছে- তখন সে রিস্ক নিতেও সাহস পাবে। অন্যদিকে লেখকের নিজের উতসাহটাও অটুট থাকবে; প্রকাশকের মতন ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি না থাকলেও পাঠক ছাড়া যে লেখকেরাও অচল- সেটাও তো অনেকাংশেই সত্য।
পোস্ট সংগ্রহে রাখলাম। শুভকামনা আপনার জন্য!
০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনি ‘বিশাল পাঠক সমাজের’ কথা বলেছেন, এবং আমি তাতে শতভাগ একমত। পাঠকই পারেন, যেটি লেখক একা পারেন না। তাতে প্রকাশকের একাধিপত্য থাকবে না, কেননা পাঠকই বইবাজারের প্রভু। গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য।
অনেক কৃতজ্ঞতা... আমি ঠিক এটিই চেয়েছিলাম পোস্টের শেষে
২০| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ২:২৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব বিষয়ে সবার জানতে নেই ,আমি এই নীতির
আপনার তুলনা মূলক আলোচনা পড়লাম কিন্তু কিছু জানলাম কিনা বুঝতে পারলাম না
০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমিও একই নীতির। তবে বর্তমান বিষয়টি আমার আগ্রহের
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় সহব্লগার।
২১| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ২:৩১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যারা লিখেন তাদের প্রকাশকের কাছে বার বার গিয়ে জুতা ক্ষয় করার চেয়ে নিজের বই নিজেই বের করা উচিত।
তবে নিজের টাকায় বই বের করার আগে, "বই বিক্রি হলে হবে, না হলেও ক্ষতি নেই" এই চিন্তা মাথায় রাখা উচিত।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আচ্ছা, এই চিন্তা আমার মাথায় তুলে রাখলাম
অনেক অনেক থেংকু, ভান্দবি
২২| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪২
রুদ্র জাহেদ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন।দুটো ব্যাপারকেই বেশ ব্যালেন্স রেখে দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।লেখাটি শোকেসে তুলে রাখলাম
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
থাকুক তবে শোকেসে
কৃতজ্ঞতা জানবেন, রুদ্র জাহেদ!
২৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ সকাল ১০:১৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক আগে বই বের করার খুব শখ ছিল।এখন শখ মিটে গেছে কে যাবে রোজ রোজ প্রকাশকের কাছে পান্ডুলিপি নিয়ে।যদি টাকা হয় তখন নিজের বই নিজেই ছাপব
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শুভেচ্ছা থাকলো... আপনার অপ্রকাশিত বইটির জন্য
২৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
বৃতি বলেছেন: নিজেই নিজের বইয়ের প্রকাশক হবো ভাইয়া কে আমার লিখা পছন্দ করবে, কি করবে না, এত ভাবনা চিন্তার কি দরকার!
চমৎকার পোস্ট !
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... তাহলে তো ব্লগারদের জন্য সুসংবাদ বলতে হবে।
আপনি নিশ্চয়ই আমাদের পাণ্ডুলিপিগুলো ফিরিয়ে দেবেন না!
২৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো এই বিষয় নিয়ে আলোচনা ।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নীলপরিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৬| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
সাথিয়া বলেছেন: উপকারী লেখা +++
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কৃতজ্ঞতা জানবেন, সাথিয়া
২৭| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬
রানার ব্লগ বলেছেন: অখাদ্য লেখা কথা টা ঠিক যায় না। কারন কোন লেখা যে খাদ্য আর কোন লেখা অখাদ্য লেখা এটা সম্পূর্ণই পাঠোকের উপর নির্ভর করে। অনেকেই হুমায়ূন আহমেদের লেখাকে অখাদ্য বলেন । কেউতো হনূমান আহমেদ ও বলতো।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সহমত। ওটা ‘নিজের’ প্রতি বলেছি।
ধন্যবাদ
২৮| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬
মামুন রশিদ বলেছেন: যার যা কাজ তা তাকেই করতে দেয়া উচিত । সেই হিসাবে একজন লেখকের স্বীয় লেখার প্রতি মনযোগী হওয়া যেমন জরুরী, তেমনি একজন প্রকাশকের উচিত তার পেশাদারীত্বের প্রতি খেয়াল রাখা । লেখক এবং প্রকাশক একে অন্যের পরিপূরক । কিন্তু ইদানিং দুপক্ষের অনেকেই এই মানদন্ডের ভেতরে থাকছেন না, সমস্যার সেখানেই শুরু । অনেক লেখক লেখার মানের দিকে খেয়াল না রেখে নিজেকে প্রকাশ করাতেই বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন, আবার একই সঙ্গে প্রকাশকের অতি মোনাফালোভী মানসিকতা এবং খরচ বাঁচানোর জন্য সম্পাদনাবিহীন লেখা ছাপানোর প্রবনতা- এইসব মিলিয়ে প্রতি বছর আমাদের দেশে মানহীন বই প্রকাশের মিছিল শুরু হয় । পেশাদারী সম্পাদনা(অনেক লেখকই লেখায় স্বাধীনতার অযুহাতে তা পছন্দ করেন না) এবং লেখকের ন্যায্য রয়েল্টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লেখক এবং প্রকাশনা শিল্প কেউই ভাল থাকবেনা ।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম... সমস্যার শুরু সেখান থেকেই। আমাদের সাতজনমের ভাগ্য যে একটি বাংলা ব্লগ আছে!
মানহীন বইয়ের জন্যই এত কথা বলা। লেখক ভালো নই, কিন্তু পাঠক হিসেবে তো ফেলে দেবার নয়
মামুন রশিদ ভাই... আপনাকে পেয়ে তো হাতে আসমান পেলাম
২৯| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:১২
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: বড়ই সমস্যার কথা। প্রকাশকের পায়ে তেল মাখানোও একটা ঝক্কি। আবার নিজেই নিজের লেখার প্রকাশক হলেও ব্যাপক ঝামেলা।
তবে আমাদের মানে পাঠক সমাজের এই নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
চমৎকার পোস্ট। শুভকামনা রইল।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
একদম খাঁটি কথা। আমরা যারা পাঠক, তাদের আবার কিসের চিন্তা!
৩০| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
আপেক্ষিক বলেছেন: বিষয়টা সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন,বেশ ভাল লাগলো পড়ে। নিজেই নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী লিখি,আবার লিখিনা। তাই মাঝে মাঝে সামান্য সমালোচনাও ভাল লাগে না। তার উপর প্রকাশক। :-( নিজের জন্যই নিজের লেখা উচিৎ, অন্যের ভাল লাগলে সেটা বোনাস। আগে নিজের আত্মার শান্তি পরের অন্যের সন্তুষ্টি।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আগে নিজের আত্মার শান্তি.....
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপেক্ষিক
৩১| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, প্রকাশকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে এক ধরণের অনুকম্পার ব্যাপার আছে। আমার প্রথম উপন্যাস প্রকাশের আগে অন্তত ছয় জন প্রকাশকের সাথে কথা বলেছি। তারা পাণ্ডুলিপি পড়ে দেখা তো দূরে থাক ( যা আপনিও বলেছেন), আমার বই প্রকাশ করে তারা আমাকে কৃতার্থ করে দেবেন এমন একটা ভাব তাদের কথাবার্তায়। অথচ বই প্রকাশের সমস্ত খরচ আমাকে বহন করতে হবে।
শেষে তিক্ত বিরক্ত হয়ে আমি নিজের বই নিজেই প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এতে বইয়ের প্রচ্ছদ ও মেক আপ গেট আপ তেমন উন্নত হলো না, কিন্তু আশ্চর্য কী জানেন, আমার প্রথম মুদ্রণের ১০০০ কপি বই দুই বছরে বিক্রি হয়ে গেল (কিছু সৌজন্য কপি ছাড়া)। তবে আমি স্বীকার করছি, নিজে প্রকাশ করা অথবা প্রকাশকের মাধ্যমে প্রকাশ করা এই দুই ধরণের প্রকাশনারই ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে, যেমনটি আপনি বলেছেন।
খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। উঠতি লেখকদের জন্য এই পোস্ট বেশ কাজে লাগবে। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার মতো লেখতে পারলে আমি প্রকাশকদেরকে আমার চেম্বারে যোগাযোগ করতে বলতাম
হেনা ভাইয়ের জন্য উভয় পথই সঠিক। লেখার মানই সমস্যার প্রথম সমাধান। দ্বিতীয়টি হলো পাঠক।
উঠতি লেখকদের কাজে লাগলেই খুশি......
৩২| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩২
তৌফিক মাসুদ বলেছেন: যদি কখনও নিজের লেখা নিজের মনে ধরে, তখন নিজেই প্রকাশক হয়ে যাব। পরিচিত জনদের কোন Birthday তে invite করে উপহার দিয়ে দেব।
আপনার লেখার বিষয় সব সময় দারুন।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... ভালো চিন্তা।
তোফিক মাসুককে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
৩৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪১
মুসাফির নামা বলেছেন: অনেক চমৎকার ব্লগিং ।ধন্যবাদ রইল।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনাকেও ধন্যবাদ, মুসাফির
৩৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
জেন রসি বলেছেন: প্রকাশকরা নতুন লেখকদের উপর আস্থা রাখতে পারেন না। আমার মনে হয় প্রচলিত ধ্যান ধারনার বাইরে কোন কিছু প্রকাশ করতে ভয় পান প্রকাশকরা। চমৎকার পোস্ট।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:১৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম। শুধু ‘প্রচলিত ধ্যানধারণা’ হলেও তাদের চলে না, ‘তাদের ধ্যানধারণা’ মতো হতে হয়।
জেন রসিকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
৩৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মইনুল ভাই, আপনার এই টাইপ চিন্তাভাবনা ইন্টারেস্টিং টপিক আমার জন্য। বই প্রকাশ করার পয়সা থাকলেও করবো না। কারণ সেই মাপের লেখা সম্ভব হবে না আমার দ্বারা। আমি এ জগতের মানুষও না।
যদিও হাইস্কুল লাইফে লেখালেখির প্রতি ক্ষতিকর ঝোঁক ছিল। তবে এটা পুষে রাখা বিপজ্জনক আমার জন্য!
পোস্টে ভাললাগা রেখে গেলাম।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনি তো ভালো লেখেন। চালিয়ে যান। লেখালেখির ঝোঁক পুষে রাখা কেন বিপজ্জনক হবে, বুঝলাম না
লেখালেখি হলো আত্মপ্রকাশ। আত্মপ্রকাশই বেঁচে থাকার প্রমাণ।
৩৬| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২১
গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কেউ প্রকাশ করতে না চাইলে , কি আর করা , নিজের বই নিজেই প্রকাশ করে ফেলবো ।
সেটাই ভালো , প্রকাশকের পিছে পিছে কে ঘুরবে ? আমি ওসবের মধ্যে নাই ।
সত্যিই দারুণ একটি বিষয়ে লিখেছেন ।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
গুলশান কিবরীয়ার বইটির জন্য অশেষ শুভ কামনা...
৩৭| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:২৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখালেখির ঝোঁক পুষে রাখা কেন বিপজ্জনক হবে, বুঝলাম না
আসলে প্রফেশনের ভিন্নতার কারণে এদিকে মাথা খাটালে অপরদিকে সমস্যা হয়। তাই পুর্ণ মনোযোগ দেয়াটা বাদ দিয়ে অলস সময়ের সদ্যব্যবহার করছি আরকি।
বিপজ্জনক আসলে কেবল আমার জন্য।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রফেশনের ভিন্নতা.... হুম! বুঝলাম।
লেখাকে বিনোদন হিসেবে নিন
লেখাগুলোই থেকে যাবে...
আর থেকে যাবে ‘উত্তরাধিকারযুক্ত’ ফেইসবুক প্রোফাইলটি!
৩৮| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৩৬
গেম চেঞ্জার বলেছেন: প্রামানিক বলেছেন: মইনুল ভাই, আমার আপার নামটা ভুল করলেন, উনি জুন আপা, ঝুনাফা নয়।
০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ১০:২৬ ০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই! ঝুনাফা’র নামটা আমি আজও লেখতে পারলাম না
অথচ দেখুন... তিনি আমাকে ক্ষমা করেই চলেছেন!
আহা প্রামানিক ভাই, আসেন- মইনুল ভাইয়ের জন্য এক কাপ সমবেদনা জানাই। পেন্সি কাপে।
০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:৪১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রামানিক ভাইকে যে এক কাপ চা দিলেই কেল্লা ফতে, সেটি গেইম চেইন্জার জানলেন কীভাবে... আমি তাই ভাবছি!
৩৯| ০৫ ই মে, ২০১৬ রাত ৯:২৫
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: খুব ইচ্ছে আছে আগামী বই মেলায় একটা ছোট গল্পের বই প্রকাশের।
সাধ আছে সাধ্য নেই।
লেখা আছে অর্থ নেই।
ইচ্ছে আছে কিন্তু সাহস নেই।
তাই হয়তো স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই রয়ে যাবে।
ক্ষতি কি তাতে?
স্বপ্নের মাঝেও মরে যাওয়াই শ্রেয়,
দুঃস্বপ্নের মাঝে বেচে থাকার চেয়ে।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সাহস করুন। ধন্যবাদ
৪০| ০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আপনার মতো লেখতে পারলে আমি প্রকাশকদেরকে আমার চেম্বারে যোগাযোগ করতে বলতাম
হেনা ভাইয়ের জন্য উভয় পথই সঠিক। লেখার মানই সমস্যার প্রথম সমাধান। দ্বিতীয়টি হলো পাঠক।
হাঃ হাঃ হাঃ। এই প্রকাশক জাতটাকে চেনার জন্য আপনাকে তাহলে একটা পাণ্ডুলিপি নিয়ে বাংলাবাজারে কয়েক মাস ঘুরাঘুরি করতে হবে মইনুল ভাই। সম্ভবত এই অভিজ্ঞতা আপনার হয়নি। লেখা যতই ভালো হোক, এই প্রকাশকরা কখনো নিজেরা আগ্রহ করে নতুন লেখকদের বই ছাপাবে না। এরা শুধু ব্যবসা বুঝে।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনারাই আমাদের প্রেরণা হয়ে থাকুন।
ধন্যবাদ, হেনা ভাই। অনেকদিন পর প্রবেশ করতে পারলাম। তাও পরদেশ থেকে।
৪১| ০৬ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: পোস্টে +++ এবং প্রিয়তে নিলাম !!!
মইনুল ভাই,
নিজের লেখা প্রকাশের জন্য আপনি যে দু'টা রাস্তা বাতলে দিয়েছেন, তা আমার মত দুব্বল লোকের কাছে খুবই বিপদসংকুল ও কন্টকাকীর্ণ মনে হয়েছে, ফ্রিজ থেকে এক বোতল ঠান্ডা পানি বের করে খেয়ে মন্তব্য লিখছি।
এবং একটি কুসুমাস্তীর্ণ তৃতীয় পথের আশায় চাতক পাখির মত আপনার পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম !!!!
নিবেদক -
একজন ভড়কে যাওয়া ......
ভাল থাকুন। সবসময়।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা....
এ পৃথিবী ভড়কে যাওয়াদের জন্য নয়।
এগিয়ে আসুন। প্রকাশিতব্য বইয়ের নাম বলুন। আমরা খুঁজতে শুরু করি
৪২| ০৯ ই মে, ২০১৬ রাত ৮:০১
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: আজকাল লেখালেখিকে প্রফেশনালি নেয়া লেখকের সংখ্যা খুবই কম। স্বপ্নটাকে মলাটে দেখতেই অনেকে সেলফ পাবলিশিং করেন।
তুলনামূলক ব্যাখ্যা ভাল লাগছে মইনুল ভাই।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//স্বপ্নটাকে মলাটে দেখতেই অনেকে সেলফ পাবলিশিং করেন। //
একমত। জনাব মৃদুল শ্রাবণ..... ক্যাপটেন, কেমন আছেন?
৪৩| ১০ ই মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৬
নাসির ভাই বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ ভ্রাতা
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ....
ভালো থাকবেন
৪৪| ১১ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩
সায়েম মুন বলেছেন: জুন আপুর কমেন্টটা এপিক। আর একজন ব্লগার লেখক প্রকাশককে তুলনা করেছেন আর্ট ইন্ডাস্ট্রীর সাথে। সেই সাথে অনেক প্রিয় ব্লগার মনে রাখার মত মন্তব্য করেছেন। ভবিষ্যৎ লেখকের কাজে দিবে সুলিখিত পোস্টটা। আমিও প্রিয়তে রেখে দিলাম।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ! আপনার মন্তব্যে প্রেরণা থাকে।
অনেক দিন পর উত্তর দিতে হচ্ছে বলে দুঃখিত।
সায়েম মুন... ভালো থাকবেন
৪৫| ১৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:১৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
বাজার সম্পর্কে আপনার লেখায় অত্যন্ত চৌকষ মূল্যায়ন লক্ষ্য করলাম। কিন্তু এসব যদি বিপ্রসাৎই থেকে যায় তাহলে কিন্তু হবে নে। লেখক সত্ত্বা থেকে পাঠকের লেখক হবার দায়িত্ব নিজের না প্রকাশকের সে প্রশ্নের উত্তর জটিল বলেই আমার সোজা কথা, ট্রাই করতে দোষ কি ? চান্স নেয়া যাক।
নতুন কোন আবিষ্কার অথবা অনুসন্ধান/গবেষণার প্রেক্ষিতে কোন বই লেখলে, তাতে প্রকাশক ঝুঁকি নিতে চাইবেন না। এক্ষেত্রে লেখকের প্রকাশক হওয়া ছাড়া গত্যান্তর নেই।যারা ‘টিউন/হাউ টু’ টাইপের লেখক (যথা: ঘরে বসে আয় করুন; নিজেই এসইও শিখুন; ই-মার্কেটিংয়ের ৭টি পদ্ধতি; ধনী হবার ১০টি সহজ উপায় ইত্যাদি) তারা নিশ্চিন্তে বই বের করতে পারেন। নিজেই।
জ্বী, প্রকাশকও জানেন অনুসন্ধান/গবেষণার কাটতি এদেশে বড়ই কম
আমিও হতাশ ....
আপনাদের লেখা পড়বো সময় করতে পারি না। ফেসবুকেও ঠিকানাটিও সংগ্রহে নাই। যদি দিতেন, পাঠক সাথে থাকার চেষ্টায় সুবিধে হতো মশায়
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় অন্ধবিন্দু.... আপনার অভিমতে দ্বিমত করার কিছু থাকে না, কারণ আমাদের চিন্তার নৈকট্য।
অনেক কৃতজ্ঞতা....
ফেইসবুক ডট কম/ এম এম এম আই এস ইউ এল (ব্যস আমাকে পেয়ে যাবেন!)
শুভেচ্ছা.....
৪৬| ১৭ ই মে, ২০১৬ রাত ১২:১৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মূলত আমাদের দেশে লেখনীশক্তির যতটা না দাম, তারচে প্রভাব বেশি পরিচিতির এবং এই কারণে নতুন লেখকেরা থমকে থাকেন। যদিও এটাই একমাত্র কারণ নয়।
চাকরির ক্ষেত্রে যেমন সিভি দিতে হয়, লেখকের ক্ষেত্রেও তা হলে ভাল হোতো। লেখক পান্ডুলিপির ওপরে একটা তালিকা দিয়ে দেবেন, তাঁর পূর্বতন লেখাগুলি কোন পত্রিকায়/ম্যাগাজিনে/প্রকাশনিতে প্রকাশিত হয়েছে, এতে তাঁর 'ক্যালিবার' বোঝা যাবে পরিষ্কার। আর 'এজেন্ট'দের বালাই নেই আমাদের কাছে, কিন্তু এরাও প্রয়োজন। লেখক যার সময় খুঁজে পান না, এজেন্ট তা পারেন এবং পান্ডুলিপি নিয়ে দৌড়াদৌড়ির ঝামেলাটাও তারা সামলে নেন।
আর নিজে প্রকাশ করতে গেলে ঝামেলার অন্ত নেই। সুবিধারও অন্ত নেই। এইটি হয়তো জনপ্রিয় চয়েস নয়, তবে লেখনী শক্তির ওপরে আস্থা থাকলে, এটিই বুদ্ধিমানের চয়েস।
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শতভাগ একমত। আমার লেখার সার কথা আপনি কয়েক লাইনে বলে দিয়েছেন।
প্রফেসর শঙ্কুকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা.....
৪৭| ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
ফারুকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন: বেশ ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন । কাজের ঝামেলায় পড়তে পারিনি । শেয়ার করে রাখলাম, সনয় নিয়ে পড়ব । চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখায় ধন্যবাদ । কেউ না কেউ উপকৃত হবেন আমার বিশ্বাস । এ পর্যন্ত আমার ছয়টি বই প্রকাশকদের প্রকাশিত হয়েছে প্রকাশকদের মাধ্যমে । সপ্তম বইয়ের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে । আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি- নিজে বই প্রকাশ করে বিক্রি করা যে কি কষ্ট তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । লাইব্রেয়ারিওয়ালারা বই বিক্রি করে টাকা দিতে চায় না, আমও যায় ছালাও যায় । আর আমার মতো মফস্যল এলাকার ক্ষুদ্র লেখকদের বই প্রকাশকদের মাধ্যমে বের করা ? বাপরে বাপ. . । বই বিক্রির টাকা হিসাব করলে খুব কষ্ট লাগে ভাই, আমার ধারণা বই বিক্রি থেকে মদ বিক্রি হয় বেশি । প্রকাশকদের কাছ থেকে রয়েলিটি ? এটা সবা কপালে জুটেনা গো ভাই । যাহোক, আপনার লেখাটি সময় নিয়ে পড়ব । আশা করি উপকারে আসবে । ভালো থাকুন সব সময় । শুভ কামনা ।
======================
ধর্ম যারতার, মানবতা অধিকার
======================
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনাকে অভিনন্দন....
আমি চাই আপনার মন্তব্যটি আমার সম্মানীত সহব্লগাররা পড়ুন। প্রেরণা আছে।
৪৮| ২৩ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৬
ফারুকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন: মোবাইলে কমেন্ট লিখেছি তাই কিছু বানান ভূল হয়েছে । এজন্য দু:খ প্রকাশ করছি ।
======================
ধর্ম যারতার, মানবতা অধিকার
======================
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বুঝতে পেরেছি....
বানান ক'জনে সঠিক লেখে! আমিও না
৪৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৮:০৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: করা যেতেই পারে ......রবি ঠাকুরও প্রথমদিকে হ্যাণ্ডবিল করে নিজের লেখা মানুষের হাতে হাতে দিতেন
০৪ ঠা জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা.... ঠিক! যেতেই পারে।
এটি কি আপনার ছবি? গুড!
৫০| ২০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৩
শাহেদ খান বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা! বই হল সুন্দর মন এবং মননের সমন্বয়। একটাই চাওয়া - সব লেখকেরা আগে খুব ভাল পাঠক হোক। নাহলে সুযোগের সহজলভ্যতায় এখন নিজেই নিজের লেখায় মুগ্ধ হয়ে কাগজ-অপচয় করার বিরাট সম্ভাবনা থেকে যায়!
সবসময়ের শুভকামনা!
২১ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা.... ঠিক তাই!
থেংকু.... শাহেদ খান
৫১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৬
আলম দীপ্র বলেছেন: অনেক আগেই পড়েছিলাম লেখাটা । মন্তব্য করা হয় নাই !
চমৎকার লেখা !
০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, দীপ্র!
আপনাকে অনেক দিন পর পেলাম
ভালো থাকুন... সকল পরিস্থিতিতে!
৫২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
কামরুল হাসান জনি বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল যুক্তিসংগত লেখা। অনেক উপকৃত হলাম। ধন্যবাদ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, কামরুল হাসান জনি
(আপনি কি দেওয়ান কামরুল হাসান জনি, যাকে আমি চিনি?)
ভালো থাকবেন
৫৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১২
কামরুল হাসান জনি বলেছেন: না আমি দেওয়ান কামরুল নই। তবে আমাকে চিনেন। না চিনলেও চিনে নিবেন আশা করি। ভালো থাকবেন।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সখের কবি নামটি পরিচিত।
৫৪| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১০:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ পোস্ট, এবং মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো (কিছু) পড়ে মনে হলো, একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনাও বটে! নবীন লেখকদের জন্য আপনার এ পোস্ট একটি গাইডবুক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আপনার এ পোস্টের অনেক কথাই উদ্ধৃতিযোগ্য। কিন্তু মূল পোস্ট থেকে কপি-পেস্ট এর সুযোগ প্রত্যাহৃত হওয়ায় (বোধগম্য কারণে) সে পথে আর হাঁটলাম না।
১০ নং প্রতিমন্তব্যটাতে মজা পেয়েছি। অনেক মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য এখনো পড়া হয়নি, তাই আপনার এ পোস্টে হয়তো আবার আসতে হবে। তবে তার আগে পোস্টে ২২তম ভাললাগার চিহ্নটি অবশ্যই রেখে গেলাম। ++
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখালেখি, রাইটারস ব্লক, লেখকের সমস্যাগুলো নিয়ে একসময় ভেবেছি অনেক। পড়েছি অতি সামান্য। লেখেছি তার সবচেয়ে বেশি। হাহাহা! এই হলো নবীন লেখক হিসেবে আমার পরিচয়। এখনও নবীনই থেকে গেলাম।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, সহব্লগারদের সাথে আড্ডা দিতে ভালোবাসতাম। এখনও বাসি। কিন্তু অনিবার্য কারণে প্রায়োরিটি বদলে গেছে!
পুরাতন পোস্টগুলো আমার দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে গেছে। আপনি এমন এক লেখক-পাঠক যিনি লেখা, লেখার নিচে মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য সবই পড়েন এবং তাতে নিজের প্রতিক্রিয়া জানা। অনেক ধন্যবাদ।
৫৫| ০১ লা মে, ২০২১ রাত ১১:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা যেমন 'ব্যালান্সড', মামুন রশিদ এর মন্তব্যটাও (২৮ নং) তেমনি। সদ্যপ্রয়াত (ঠিক এক মাস আগে) আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর মন্তব্য দুটো দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল। উনি লিখতেন যেমন ভাল, মন্তব্যও করতেন ভাল।
"রবি ঠাকুরও প্রথমদিকে হ্যাণ্ডবিল করে নিজের লেখা মানুষের হাতে হাতে দিতেন" (৪৯ নং মন্তব্য) - বাহ, এ তত্থ্যটা তো আমাদের জন্য এক বিরাট প্রেরণা!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মামুন রশিদ আমাদের মধ্যে ছিলেন একজন তুখোড় গল্পলেখক হিসেবে। শুরু করেছিলেন চলচ্চিত্র রিভিউ দিয়ে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি অনিয়মিত। আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় নামটি অনেক বেদনা দেয় আমাকে। লেখায় লেখায় আমাদের পরিচয় হলেও সেটি অনেক গভীর ছিলো। বইমেলায় একবার দেখাও হয়েছিলো আবুহেনা ভাইয়ের সাথে।
লেখকের প্রকাশক জয়ের ঘটনা অনেক। পরাজয়ের ঘটনাগুলো তাতে চাপা পড়ে যায়। ফলে প্রখ্যাত লেখকদের জীবনের সংগ্রামগুলো অনেকই অজানা থাকে।
পুরাতন লেখায় মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা!
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মে, ২০১৬ রাত ৯:১৫
জাহিদ নীল বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। আপনি কয়টা বের করেছেন বই?