নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তেতাল্লিশ বছর ছটফটানির পর ব্রিটেন এই মাত্র আত্মহত্যা করলো! ডেবিড ক্যামেরোনকে সন্তানহারা পিতার মতো বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে। প্রতি বছর অক্সফোর্ড ডিকশনারি নতুন আবিষ্কৃত শব্দ তালিকা দেখিয়ে অহংকার করে, কিন্তু আমার দৃষ্টিতে Brexit হবে নিকৃষ্টতম ইংরেজি শব্দ। অবশেষে ব্রেক্সিটকে শব্দ হিসেবে অক্সফোর্ড গ্রহণ করে কিনা, জানি না। এখন তো তাদের প্রিন্টেড বই আর নেই! ব’ হলো সকল ‘বদ’ এর শুরু, বি’তে ব্যাড এবং বি’তে ব্রেক্সিট, যার আরেক অর্থ আত্মহত্যা। কোনটি বেশি খারাপ, বাংলা বদ, নাকি ইংরেজি ব্যাড? আচ্ছা বদ থেকে ব্যাড এসেছে, নাকি ব্যাড থেকে বদের উৎপত্তি? তার আগে একটি গল্প বলে নেই।
ধনী বাবার আদুরে ছেলে। বসে বসে খায় আর খেলে খেলে পেটের ভাত হজম করে। বড় ভাই কাবুল কঠোর পরিশ্রম করে বাবার সম্পদকে বৃদ্ধি করে চলেছে। কিন্তু ছোট ভাই আবুল শুধুই দিবাস্বপ্ন দেখে আর মাসে মাসে বান্ধবী বদলায়। দিবাস্বপ্নটি হলো, একদিন সে তার বাবার সম্পত্তির মালিক হবে। অন্তত অর্ধেক সম্পত্তির মালিক তো সে হবেই, কারণ মাত্রই দু’ভাই। অতএব তার আর কাজ করার কী দরকার!
সে কোন কাজ করে না, করার প্রয়োজনও পড়ে না। ছোট সন্তান হিসেবে সকলেই তাকে স্নেহের দৃষ্টিতে দেখে। তাকে পরিবারের সদস্য হিসেবে মনে করলেও তার শ্রম বা কাজ নিয়ে কেউ ভাবে না। বড় ভাই, প্রতিবেশি, মা, আত্মিয়স্বজন সকলেই এটি মেনে নিয়েছে। ফলে পারিবারিক আয়বৃদ্ধিতে ছোট ছেলের অবদান নিয়ে কেউ ভাবে না। অথচ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সে-ই সকলের আগে। কেনই বা হবে না, সে তো ছোট সন্তান! তার একটু বাড়তি অধিকার তো থাকতেই পারে! তাছাড়া এত সম্পত্তি কে ভোগ করবে? তার কি সেখানে ভাগ নেই? অন্তত অর্ধেক?
কিন্তু তার আর তর সইছে না। হইহুল্লা আড্ডাবাজি করার জন্য দরকার যখনতখন যেকোন পরিমাণ টাকাপয়সা। বান্ধবির সাথে সময় কাটাতেওতো টাকার দরকার। ওদিকে বাবা তো চাইলেই টাকা দিচ্ছে না! এই বুড়োটা কবে মরবে? এই সম্পদ কি তারই নয়? অন্তত অর্ধেক?
বাবা তো তাড়াতাড়ি মরবে বলে মনে হচ্ছে না। বরং কামকাজ করে ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ওঠছে! তবে কী করা? সবাই তাকে পছন্দ করে, বাবা কেন তাকে পছন্দ করে না? কেন শুধু নিজের পায়ে দাঁড়াতে বলে? বাবা তার বড় সন্তানের সাথে সবসময় হাসিমুখে কথা বলে, অথচ তাকে দেখলেই সব হাসি থেমে যায়। সমাজের সবাই তার বড়ভাইয়ের প্রশংসা করে। বাবাকে সকলে ডাকে ‘কাবুলের বাবা’। কিন্তু বাবা তো আবুলেরও বাবা! এভাবে বড়ভাইয়ের গুণের কাছে আবুল যেন দিন দিন ছোট হতে হতে মিশে যাচ্ছে। এরকম অস্তিত্বহীনতায় সে আর থাকতে চায় না।
এনিয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর সে ভেবেছে এবং অপেক্ষা করেছে। এখন সে প্রাপ্ত বয়স্ক। আর কত? এবার বাবার সাথে একটা এসপার-ওসপার করা দরকার। অনেক চিন্তা করে সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্সিট! সে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যাবে। নাহ্ আর নয়! বাড়ি থেকে বের হয়ে সে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। স্বাধীন হয়ে গেলে সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। জীবনকে সে উপভোগ করতে চায়। তার কিসের এতো চিন্তা? বাবার সম্পদ আছে না? অন্তত অর্ধেক?
ছোট ছেলে আবুলের ‘এক্সিট’ প্রস্তাবে বাবা স্তম্ভিত এবং ব্যথিত! প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করার মতো উপযুক্ত কোন কথা বাবা খুঁজে পেলেন না। সন্তানদের নিয়ে তার সব স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মার! তিনি শুধু বললেন, আগামি এক সপ্তাহ সময় দিলাম তোমাকে। এক সপ্তাহ পর রাতের খাবারে যখন সকলে উপস্থিত থাকে, তখন আমাকে মনের কথা সকলের সামনে প্রকাশ করবে।
একটি সপ্তাহ আবুলের জন্য দীর্ঘ সময়। তবু সে খুশি মনেই মেনে নিলো। কারণ সে ভেবেছিলো, তার বাবা সাথে সাথে প্রত্যাখ্যান করবে অথবা খালি হাতেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবে।
এক সপ্তাহ পর আবুল রাতের খাবারের জন্য অপেক্ষা করলো। সকলের উপস্থিতিতে সে জানিয়ে দিলো যে, সে আর পরিবারের সাথে থাকতে চায় না। প্রাপ্ত বয়স্ক হয়েছে এবং নিজের সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার তার আছে। বাবা একদিন পরিবারের সকলের উপস্থিতিতে ছোট সন্তানকে তার সম্পদের ভাগ বুঝিয়ে দিলেন। ছোট সন্তান সব বিক্রি করে দিয়ে বাড়িছাড়া হয়ে গেলো।
দূরদেশে চলে গেলো আবুল, যেখানে পরিবার বা আত্মীনস্বজনদের কেউ তাকে পাবে না। বাবার সম্পদের টাকা পেয়ে আবুল ধনী হলেও, তার স্বভাবের পরিবর্তন হলো না। ফলে কিছুদিন হিসেব করে চলার পর পূর্বের উড়নচণ্ডে জীবনে ফিরে গেলো এবং কয়েক মাসের মধ্যে সব টাকা খরচ করে ফেললো। তৃতীয় মাসের এক ভোর সকালে আবুল তার বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ক্ষমা চেয়ে বললো, সন্তান হিসেবে নয়, বাড়ির চাকর হিসেবে বাবা যেন তাকে একটি কাজ দেয়। সন্তানহারা বাবা সন্তান পেয়ে এবারও স্তম্ভিত এবং বাক্যহারা। আবুল ক্ষমা পেলো, কাজও পেলো। কিন্তু আর সেই সন্তানের সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে পারলো না। (গল্পটি বেশি বড় হয়ে গেলো?)
ইউরোজোনে থেকে কিছুই লাভ হয় নি আমাদের। সব লাভ নিয়ে গেছে উত্তর আর পূর্ব ইউরোপিয়ানরা। উত্তর ইউরোপিয়ানরা দলে দলে এসে আমাদের দেশ ময়লা করে ফেলেছে। দেশটারে শেষ ‘করি দিছে’!
ব্রিটেন হলো ইউরোপের মুকুট। আছে এর শতবছরের গৌরব আর প্রতিপত্তি। ইউরোপের গড়পরতা দেশগুলোর মধ্যে ঐতিহ্যবাহী ব্রিটেন হারিয়ে যেতে বসেছিলো। ব্লা... ব্লা... ব্লা....
এই হলো ব্রেক্সিটপন্থীদের (৫১.৯/৪৮.১) মনোভাবের একটি সামারি পিকচার। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি অন্যরকম। একান্তই একলা চলার মনোভাব থেকে এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতার ফল হিসেবে ৫১.৯% জনগণ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকার বিপক্ষে মত দিয়েছে। এ মনোভাব বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং অগ্রগতির পরিপন্থী। ব্রিটেন একটি স্বার্থবাদী মনোভাব দেখিয়েছে। এতে তাদের কতটুকু লাভ হবে, সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এমুহূর্তে যতটুকু বলা যায়, তাতে তাদের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে না।
ইউরোপের দরজা হিসেবে লন্ডন বা ইংল্যান্ডকে আর কেউ ব্যবহার করবে না।
ইউরোপের দরজা হিসেবে লন্ডন বা ইংল্যান্ডকে আর কেউ ব্যবহার করবে না। অন্তত পরিস্থিতি আর বিগত ৪৩ বছরের মতো এতো উদার হবে না। আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, পর্যটক, গবেষক সকলের জন্য লন্ডন ছিল সমগ্র ইউরোপের জন্য গেইটওয়ে। এই সুযোগকে বেশি কাজে লাগিয়েছে ব্রিটিশ ব্যবসায়িরা। তারা অন্যান্য ইউরোপিয় দেশে অবাধে রপ্তানি করেছে। ইংল্যান্ডও পেয়েছে বিশাল রাজস্ব আয়। উপকৃত হয়েছে ব্রিটিশ জনগণ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে থাকার সমস্ত সুবিধাগুলো হারালো।
ব্রিটেনবাসীরা সিদ্ধান্ত ফেললেও পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে কিছু সময় লেগে যাবে। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে থাকার সুবিধাগুলো হারাবে।
ব্রিটিশদের সূর্য একসময় ডুবতো না (সূর্য তো কখনও ডুবতো না আজও ডুবে না!)। এরকম বলা হতো, কারণ পৃথিবীটাকে ব্যান্ডেজ করে রেখেছিল ব্রিটিশ কলোনী। সে দিন আর নেই, চীন ভারত ইত্যাদি জনসংখ্যা বহুল দেশগুলোতে পুঞ্জিভূত হচ্ছে বিশ্ববাজারের মুনাফা। এখন ব্রিটেনের একা থাকা মানে হলো বোকা থাকা। জোটবদ্ধ থাকার সকল বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক ফায়দা হারাতে বসেছে আজকের ব্রিটেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন না হয় ছেড়েই দিলো, কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ভৌগলিকভাবে কি বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে ব্রিটেন? বলতে কি পারবে, যাও তোমরা আর প্রতিবেশি নও? ফলে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সম্পর্ক, কূটনৈতিক সুবিধাদি, জোটবদ্ধ হয়ে কোন সুবিধা আদায়, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবে সকল বিশেষ অধিকার।
ইইউ’র সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিছিন্ন হবার পর ইউরোপের দেশগুলোর সাথে স্বার্থের সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য ব্রিটেনকে নতুনভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে হবে।একই ভাবে ইইউ’র সাথেও সম্পর্কের শর্তগুলো নতুনভাবে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাব খাটাবার শেষ অস্ত্রটুকু শেষ হলো।
কূটনীতি শুরু করতে হবে একদম ‘অ্যালফাবেট এ’ থেকে। বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাব খাটাবার শেষ অস্ত্রটুকু শেষ হলো। কমনওয়েলথ আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক তৈরি ও রক্ষার ক্ষেত্রে ব্রিটেন এখন আর ‘নেগোশিয়েটিং লেভারেজ’ পাবে না। উদ্যোগ নিতে হবে তাদেরকেই, অন্যরা পাবে এর সুবিধা।
কমনওয়েলথ বা সাবেক কলোনিগুলো তো আর বর্তমান কলোনি নয়। তারা স্বাধীন দেশ। অতএব কমনওলেথভুক্ত দেশগুলোর সাথেও নতুন করে সম্পর্ক শুরু করতে হবে।
ব্যবসায়িক অংশীদার এবং শ্রম ও মূলধনের উৎস খুঁজতেও ব্রিটিশদেরকে এখন মরিয়া হয়ে দৌড়াতে হবে।
রাজনীতি না বাদ দিলাম। ব্যবসায়িক অংশীদার এবং শ্রম ও মূলধনের উৎস খুঁজতেও ব্রিটিশদেরকে এখন মরিয়া হয়ে দৌড়াতে হবে। ভারত বা চীনের সাথে এককভাবে জোরদার করতে হবে নিজেদের তাগিদেই। বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেবার নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হতে পারে।
ভাই ডেভিড ক্যামেরোন, আপনার শেষের হলো শুরু!
প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরোনকে এবার দিন গুণতে হবে। রাজ্য শাসন আর আগের মতো কুসুমাস্তির্ণ হবে না, হবার নয়। মূলত তিনি এই গণভোট চান নি, বরং ইইউতে থাকার পক্ষে জোর তৎপরতা চালিয়েছেন। কিন্তু নিজদলের ভিন্নপন্থীদেরকে থামিয়ে রাখা, নতুন কোন রক্ষণশীল মতের উত্থান ইত্যাদি বহুমুখি চাপে পড়ে সরকার প্রধান হিসেবে তাকে এই ‘বিষের পেয়ালা’ পান করতে হয়েছে। কিন্তু এবার নিজ দলেও তার প্রভাব কমে আসবে। দলের এক্সিটপন্থীরা তার বিপক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাকে নামিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাকেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না।
ব্রিটেনের আর্থিক ক্ষতি
পাউন্ড এবং স্টকমার্কেটে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটি তাৎক্ষণিক না হলেও পর্যায়ক্রমে। এরকম পরিস্থিতিতে ক্যামেরোনের হাত শক্ত না থাকা মানে হলো, ইইউ’র সাথে উপযুক্ত দর কষাকষিতে ব্যর্থতা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও ছেড়ে দেবার পাত্র নয়। আরও কোন অর্থনৈতিক শক্তি সম্বলিত সদস্য যাতে ইইউ ছাড়তে না পারে, এজন্য তারা একটু নিষ্ঠুরভাবেই ব্রিটেনকে ছাড়পত্র দেবে। তাতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ব্রিটেন এবং ব্রিটেনবাসী।
ইউরোপ ছিলো ব্রিটিশ পণ্যের বিস্তৃত এবং নির্ভরযোগ্য বাজার। ব্রিটিশ পণ্যগুলো আর আগের মতো বিশেষ অধিকার বা নামে মাত্র শুল্কে রপ্তানি হবে পারবে না কোন ইউরোপিয়ান দেশে। ফলে রপ্তানি পড়বে অনি্শ্চয়তার মুখে।
অভিবাসন, আসা-যাওয়া আর আগের মতো নয়
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রায় ১২ লাখ ব্রিটিশ। তারা নিজ দেশে পাঠাচ্ছে তাদের দৈনিক ও মাসিক আয়। সমৃদ্ধ হচ্ছে ইংল্যান্ড। অবশ্য অন্যান্য ইউরোপিয়ান দেশ থেকেও ব্রিটেনে গিয়ে কাজ করছে এরকম দৃষ্টান্তও কম নয়। তবে এই ইইউ ছাড়া পর ব্রিটেনের ক্ষতি হবে বেশি, কারণ বাণিজ্যিক স্বার্থ তাদেরই বেশি।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শর্ত অনুযায়ি, ব্রিটেন ইউরোজোন ছাড়া অন্য কোন দেশে থেকে অভিবাসী দিতে নেওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে। ফলে বাংলাদেশসহ অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে থেকে শ্রমিক রপ্তানি কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতি বছরই ব্রিটেন তাদের ভিজা দেবার শর্ত কঠোর করে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় গরিব দেশগুলো। ইংল্যান্ড যেহেতু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখন এসব দেশ থেকে মানুষ নেবার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। লন্ডনের রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা অন্তত এরকমই আশা করছেন।
ইউনাইটেড কিংডম এর ‘ইউনাইটেড’ থাকা অনিশ্চিত হয়ে গেলো
ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে ইউনাইডেট কিংডম বা যুক্তরাজ্য, যাকে এপর্যন্ত ব্রিটেন বলে এসেছি। স্কটিশরা ইইউতে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। তারা যে ব্রিটিশ শাসনকে খুব একটা মেনে নিয়েছে তা কিন্তু নয় (২০১৪ সালে ৪৪ শতাংশ স্কটিশ স্বাধীন রাষ্ট্রের বিপক্ষে ভোট দিয়েছিল)। ইইউকে তারা ব্রিটিশদের ওপরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পেয়েছিলো। এবার ব্রিটিশ-বিরোধী অংশটি আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠতে পারে।
ড্রাফট: ২৪/জুন/২০১৬।
---------------------------------
ইইউ-বিযুক্ত যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশ: প্রকাশিত খবর অনুসারে হাসিনা ব্যক্তিগতভাবেও প্রভাব খাটিয়েছেন, ব্রিটেনকে ইইউ’র পক্ষে ভোট দিতে। এর প্রধান কারণ হলো, দেশের রপ্তানি-জাত পণ্যের জন্য ইইউ’র বিস্তৃত বাজার ও জিএসপি সুবিধা। ইইউ ছাড়ার কারণে বাংলাদেশকে ব্রিটেনের সাথে আলাদাভাবে চুক্তি করতে হবে। তাতে পূর্বের সুবিধা কতটুকু থাকবে সেটা সময়ই বলে দেবে।
ব্রেক্সিট বিতর্কটি শুরু হলো! যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়া এবং এর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে তুমুল বিতর্কের স্বার্থে আমি সুস্পষ্ট একটি পক্ষ নিলাম। সকলকে আমন্ত্রণ।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম লেখতে লেখতেই ক্যামেরোন চলে যাবার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করলেন। এদের নেতৃত্ব থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের।
দেশের জনগণ তো নিজেদের স্বার্থের কথাই ভাববে, এটিই স্বাভাবিক। দেশের যারা নেতা, তাদের দায়িত্ব আছে জনগণের মনোভাবকে আত্মকেন্দ্রীকতা থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার দিকে পরিচালিত করা। আমার মনে হয়, যারা ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, তারা সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে বেশি ভেবেছে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম
২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ ! দেখা যাক ব্রিটেনের এই আলাদা হয়ে যাওয়া তাদের জন্য কতটা মঙ্গলজনক হয় ।
তবে আপনার লিখা পড়ে আমারও মনে হচ্ছে ব্রিটেন নিজের বড় ধরণের ক্ষতি করলো ।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিষ পান করার পর চেতনা হয় যে, সেটি ভালো ছিলো না। কিন্তু তখন আর ফেরা যায় না।
মাত্র ৫১.৯% জনগণ ভাবলো যে, তারা অনেক উন্নত এবং তারা একাই দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে পারবে।
হয়তো ব্রিটেনের উন্নতি হবে, হয়তো হবে না। সর্বশেষ পরিস্থিতি হয়তো খুব তাড়াতাড়ি জানতে পারবো না। কিন্তু যা জানতে পারলাম তা হলো, ব্রিটিশরা আধুনিকতা, পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়গুলোকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন এই বিশেষ সময়ে
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার কাছে মনে হয়েছে ই ইউ ছাড়ার সিদ্ধান্তটি ব্রিটিশদের জাত্যাভিমানের প্রকাশ। বিশেষতঃ ইংলিশদের। তবে এই সিদ্ধান্তের ভালো মন্দ দুটি দিকই আছে। সব কিছু পরিস্কার হবে সামনের বছরগুলোয়। আপনার বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ ভালো লাগলো।
আরও ভালো লাগলো আবুল কাবুল আর তাদের বাবার গল্প। আবুহেনার গল্পের দিন বোধহয় শেষ হতে চললো। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
"জাত্যাভিমানের প্রকাশ"....... একদম সঠিক টার্মটি ব্যবহার করেছেন... আবুহেনা ভাই।
দেখি তারা কী উন্নতি করে ফেলে!
হাহাহা.... আবুহেনার গল্পের আকর্ষণ কখনও শেষ হবার নয়। শুধু একটি বিষয়কে আলোকপাত করার জন্য এই গল্পের অবতারণা। ওটাকে ওভাবেই ধরে নিন। তাছাড়া আজকাল আবুল নাম ছাড়া কোনকিছু যুক্তিসঙ্গতভাবে প্রকাশ করা কঠিন
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার এক বন্ধুর নাম আবুল। কিন্তু তাকে ঐ নামে ডাকলে সে রেগে যায়।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা! এখনও কি রাগ করে?
আমার সন্দেহ আছে, কারণ এখন তো 'আবুল' নামটি আবারও লাইমলাইটে চলে এসেছে।
কেন, সেটা আপনি জানেন!
৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই লেখাটা নির্বাচিত পাতায় যাচ্ছে না কেন? এত তথ্যসমৃদ্ধ ও শ্রমসাধ্য সমসাময়িক বিষয়ের ওপর লেখা পোস্ট অবশ্যই নির্বাচিত পাতায় যাওয়া উচিৎ।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আজ তো শুক্রবার
লেখকদের না হয় শুক্রশনি নেই!
ধন্যবাদ.... আবুহেনা ভাই
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৫
বিন্দু বিসর্গ বলেছেন: ব্রিটিশরা যে এত বোকার পরিচয় দিবে, এটা আগে জানা ছিলো না । এইবার টের পাবে
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নেতৃত্বে সমস্যা আছে।
৭| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওই লাইমলাইটে আসার কারণেই তো তার রাগ। সে বলে, আমার নাম আবুল কাশেম। আগে তো সবাই কাশেম বলে ডাকতো। কি একটা মাল আইল দেশে, আর তোরা আমারে আবুল নামে ডাকতে শুরু করলি।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভাই... কইতে চাইলাম না কিন্তু আপনি কইয়া দিলেন... ওটা কিন্তু আমার কথা নয় হুম!
হাহাপগে.... হাসতে হাসতে পড়ে গেলাম ভাই!
৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২
লুলুপাগলা বলেছেন: ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড এর স্বাধীনতা দাবী এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। অচিরেই তারা ইউনাইডেট কিংডম থেকে আলাদা হয়ে যাবে।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
খুব সম্ভাবনা আছে। ব্রিটিশদের সেই ত্যাজ নেই, এটি তাদের বুঝতে হতো।
৯| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩
বিন্দু বিসর্গ বলেছেন: তবে , গল্পটি কিন্তু দারুন লেগেছে । একেবারে কাঁটা গায়ে লবণ ছিটানোর মতন
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... আমি গল্পের মানুষ নই ভাই। ব্লগে অনেক ভালো গল্পকার আছেন, আমি যাদের ভক্ত।
তবু আপনার কথায় শক্তি পেলাম। ধন্যবাদ।
১০| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০০
কল্লোল পথিক বলেছেন:
এটা কেবল শুরু!
আজ থেকে ১০০ বছর পর আমরা ব্রিটেন বা ইংল্যান্ড শাসন করবো!
কি আশ্চর্য হলেন তো,
এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহাহা... হতেই পারে। প্রাচ্য আর তাদের কলোনি নয়।
(আপনার অতিরিক্ত মন্তব্যটি মুছে দিলাম।)
১১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬
বিজন রয় বলেছেন: হোক কিছু একটি হোক। হয় ধ্বংস না হয় সৃষ্টি। প্রতিদিন বৃহৎ পরিবর্তন হয় না।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কবিদের যেরকম কথা! এদের দরকার বিপ্লব। এছাড়া গা মেজমেজ করে!
১২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫
বিজন রয় বলেছেন: কবিরাই যে কোন বিপ্লবের অগ্রভাগে থাকে। অনেক ধ্বংস আর সৃষ্টির মাঝে কবিরা অর্থাৎ মানুষেরা ঠিকে আছে।
বৃটিশরাও টিকে থাকবে।
২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম... কবিদের সম্পর্কে সকল পক্ষপাতিত্বে আপনিও আমাকে অগ্রভাগে পাবেন।
ব্রিটিশরা ধ্বংস হবে না। একথা আমি ভাবিও নি।
ওরা আমাদের ভাত খেয়েছে, বাঙালির ভাত বৃথা যায় না।
এখনও আমরা ওখানে রেস্টুরেন্ট বানিয়ে ওদেরকে খাইয়ে যাচ্ছি...
১৩| ২৪ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: যার উত্থান আছে তার পতন আছে। হয়তো অটোম্যান আর মোংগোলদের পরে তাদেরো পতন হতে যাচ্ছে। তনে এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে আমাদের মত দেশগুলো। জিএসপি সুবিধা আর আমরা পাচ্ছিনা। সেটা ধরেই নেয়া যায়।
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এখনও কিছু বলা যায় না। ব্রিটেন এখন নতুন করে সবকিছু সমন্বয় করার চাপে আছে। কোন দেশের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়, এরকম সিদ্ধান্ত নেবে না।
১৪| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৫
সুমন কর বলেছেন: ইউরোপীয় ইউনিয়ন না হয় ছেড়েই দিলো, কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ভৌগলিকভাবে কি বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে ব্রিটেন? বলতে কি পারবে, যাও তোমরা আর প্রতিবেশি নও? ফলে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত সম্পর্ক, কূটনৈতিক সুবিধাদি, জোটবদ্ধ হয়ে কোন সুবিধা আদায়, ইত্যাদি ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবে সকল বিশেষ অধিকার।
ইইউ’র সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিছিন্ন হবার পর ইউরোপের দেশগুলোর সাথে স্বার্থের সম্পর্ক সৃষ্টির জন্য ব্রিটেনকে নতুনভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করতে হবে।একই ভাবে ইইউ’র সাথেও সম্পর্কের শর্তগুলো নতুনভাবে নির্ধারণ করে নিতে হবে। --
একদম সময়োপযোগী পোস্ট। আপনি কি আগেই লিখে রেখেছিলেন !! হাহাহা.... (আজকের তারিখই আছে)
ডেভিড ক্যামেরোন'কে বিষের পেয়ালা পান করতে হল !!
গল্পটিও দারুণ হয়েছে।
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সকাল পর্যন্ত দেখলাম যে ‘রিমেইন’ এগিয়ে আছে, যদিও খুব সামান্য ব্যবধানে। সত্যিই তারা এমন করবে ধারণা করি নি। ধন্যবাদ, সুমন কর!
১৫| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মোটামুটি সিউর! স্কটিশরা আবার গণভোট আয়োজন করবে। আর আয়ারল্যান্ড! নট সিউর!
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভোটের খবর পাবার পর এযাবত অনেক পর্যালোচনার মুখোমুখি হলাম:
পাউন্ড আর শেয়ার বাজার চরম অধপতন...
ক্যামেরোন পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছে...
সাবেক পিএম টনি ব্লেয়ার দিয়েছেন শৃঙ্খলার আহ্বান.... আমার আশঙ্কাগুলোই সত্য হয়ে আসছে।
কিন্তু ব্রিটেনের দুর্ভাগ্যে কারও সৌভাগ্য নেই। কাজেই আনন্দিত হবার কিছু নেই...
১৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের অনেক জাতিকে পালন করেছে বৃটিশ, আজ ক্লান্ত, নিজকে কিছুটা সময় দিতে চায়।
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হুম... এ ছাড়া এদের আর উপায় কী? দেয়ালে যে পিঠ ঠেকে গেছে! তবে আজকের ব্রিটেন একসময়কার পরাশক্তি ব্রিটেনের ছায়া শুধুমাত্র। বর্তমান ব্রিটেন আর অন্য কোন দেশের দিকে তাকাতে ইচ্ছুক নয়। জোটের দিন তাদের শেষ হলো।
১৭| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪৮
পুলহ বলেছেন: "আরও কোন অর্থনৈতিক শক্তি সম্বলিত সদস্য যাতে ইইউ ছাড়তে না পারে, এজন্য তারা একটু নিষ্ঠুরভাবেই ব্রিটেনকে ছাড়পত্র দেবে। "-- ভালো পর্যবেক্ষণ
"ব্রেক্সিট বিতর্কটি শুরু হলো! যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়া এবং এর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে তুমুল বিতর্কের স্বার্থে আমি সুস্পষ্ট একটি পক্ষ নিলাম।"- আমিও আপনার পক্ষেরই লোক, যদিও ইইউ এখনি যথেষ্ট ভালনারেবল অবস্থায় আছে। তবে ভাই- আবুল যদি নিজেকে প্রুভ করতে পারতো, তাহলে কি একটা সময় পর সমাজের অন্য অংশেও আবুল সিনড্রম ব্যাপকভাবে ছড়ায়া পড়তো না?? এখন ইইউ কোনভাবে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেও ব্রিটেন যদি কোনভাবে নিজেকে ট্রেড বলেন, ইনভেস্টমেন্ট বলেন- সব দিক দিয়া নিজেকে আগায়া নিতে পারে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ঐক্য কি হুমকির মুখে পড়বে না??
পোস্টে প্লাস।
২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ইইউ বর্তমানে দুর্বল আছে বলেই ব্রিটেনের প্রস্থান সহজ হলো। তবে মনে রাখতে হবে যে, ব্রিটেন একটি রাষ্ট্র, কিন্তু ইইউ একটি রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাদের সংগঠিত হবার শক্তি এবং প্রয়োজনীয়তা উভয়ই বেশি। পরিণতি যেকোন দিকে মোড় নিতে পারে। কিন্তু আমার ইনটুইশন বলছে যে, ব্রিটেন রাষ্ট্র হিসেবে শক্তিশালী হলেও সেটি কখনও ইইউ’র দুর্বল হবার কারণ হবে না।
অনেক মজা পেলাম আপনার মন্তব্যটি পড়ে। আপনি লেখার প্রকাশিত অপ্রকাশিত সবকিছুই মূল্যায়ন করেছেন।
১৮| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১১:৩৪
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বিশ্লেষনধর্মী লেখা, যদিও অনেক বড় ছিল তবুও পড়ে আরাম পেয়েছি, উপস্থাপনার গুণে।
আমার ধারনা ইইউ থেকে বের হয়ে যাওয়ার ফলাফল পুরাপুরি বুঝতে ৪/৫ বছর লেগে যেতে পারে। ভালোও হতে পারে আবার খারাপও হতে পারে, সেটা সময় নিজেই পরিষ্কার ভাবে প্রকাশ করে দিবে। সেক্ষেত্রে আপনার লেখার উপমা কিন্তু অদল-বদল হয়ে যাবে। ইইউ হয়ে যাবে ছোট ছেলেটি আর ইউকে হয়ে যাবে বড় ছেলে।
আমার পরিচিত কয়েকজন বাংলাদেশি, যারা অনেক বছর ধরে ইউকেতে আছে তাদের সাথে কথা বলে যেটা জানলাম, এই সিদ্ধান্তে তারা খুশি। দেখা যাক কি হয়।
তবে সারা পৃথিবীতেই গরীব, নিঃস্ব মানুষের চেহারা এক, তাদের কষ্টের প্রকৃতি এক, তাদের সংগ্রামের ধরন এক। এ ক্ষেত্রে মনে হয় না এই শ্রেণীর কোন পরিবর্তন হবে। যাই হোক, গুড লাক পুওর পিপল, গুড লাক ইউকে।
২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্য সবসময় একটি চিন্তাশীল দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
ইইউ’র ক্ষতি হবে এবং বেশ কিছু চ্যালেন্জের মুখে পড়বে, তাতে সন্দেহ নেই। কিছু দেশের ইইউ-বিরোধীরা (ফ্রান্স, ইটালি) ইতোমধ্যেই নিজ নিজ দেশে গণভোটের জন্য আওয়াজ তুলতে শুরু করেছে।
ইইউ ভেঙ্গে যেতে পারে, এর মানে এই নয় যে, ব্রিটেন সঠিক কাজটিই করেছে। ব্রিটেন একবিংশ শতাব্দিতে এসে একটি সামন্তবাদি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ব্রিটেন তার নিজেদের ক্ষতি এবং ইইউ’র সংশ্লিষ্ট ক্ষতির জন্য দায়ি থাকবে। ইতিহাস কাউকে ছাড়বে না।
কান্না শুরু করে দিয়েছে ব্রেক্সিটপন্থীরা.... পরদিন থেকে....
ভোটার ১: যদিও আমি (ইইউ) ছাড়ার জন্যই ভোট দিয়েছি, ভোটের ফলাফলে সত্যিই আমি হতাশ। আজ সকালে ঘুম থেকে ওঠে যা দেখলাম তাতে আঘাত পেয়েছি। কিন্তু আমি যদি আমার সুযোগ পাই, তবে থেকে যাবার জন্যই ভোট দেবো।
ভোটার ২: মিথ্যাকে বিশ্বাস করে আমি ভোট দিয়েছিলাম এখন আমার খুব আফসোস হচ্ছে। মনে হচ্ছে আমার ভোট সত্যিই ছিনতাই হয়েছে।
ভোটার ৩: আমি একটু আফসোসই করছি। আমি যা করলাম, এর পেছনে বিশেষ কোন যুক্তি ছিলো না।
ভোটার ৪: আমার ভোটটির জন্য আফসোস হচ্ছে।
ভোটার ৫: আমার ভোটটি যে এত বিশাল পরিণতিতে যাবে আমি বুঝতে পারি নি। ভেবেছিলাম অবশেষে আমরা (ইইউতে) থেকেই যাচ্ছি।
[নিউ ইয়র্ক টাইমস]
১৯| ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩৭
কালনী নদী বলেছেন: আপনার গল্প মোটেই দীর্ঘ হয়নি! বরং ইন্টারেস্টিং ছিল। বৃটেনের রাজনীুত ঠিকমত মাথায় না ঢুকলেও আবুলের মতন তাদেরকেও ভবিষ্যতে ইউরূপ ইউনিয়নের কাছে ধর্না দিতে হবে। ঘটনাতে সেটা পরিষ্কারভাবেই ফুটেছে ভাইয়া।
২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২০| ২৫ শে জুন, ২০১৬ ভোর ৪:০৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: বিশ্লেষণ ভাল লাগল, যদিও তথ্যে নতুন কিছু নেই, গতকাল প্রথম আলোর বেশ কিছু রিপোর্টে এসবই পড়লাম..
যাহোক, দেখি কি ঘটে... সারা বিশ্ব একটা অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, ঐদিকে ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলেতো আরেক তুলকালাম বাধায় দিবে!
২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শুরু হয়ে বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা।
পাউন্ডের মূল্য কমে গেছে ১০%, ইউরোপজুড়ে শেয়ারের মূল্য কমেছে ৮%।
জানি না এটি কোথায় গিয়ে ঠেকে।
২১| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:১১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন।
ব্রিটেনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ
আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত তো বটেই....
আপনাকে অনেকদিন পর দেখতে পেলাম।
২২| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৩
শূণ্য পুরাণ বলেছেন: দুনিয়ার বাঘা বাঘা রাজনীতিবিদ আর অর্থনীতিবিদ ইইউ তে থাকার পক্ষে ছিলেন আপনিও তাই আমি নিজেও তাই।শেষ পর্যন্ত জয়ী হল ব্রিটিশদের অহংবোধের যদিও খুব সামান্য ব্যবধানে।
২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//শেষ পর্যন্ত জয়ী হল ব্রিটিশদের অহংবোধের//.... ঠিকই বলেছেন।
২৩| ২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
বিপ্লব06 বলেছেন: এইগুলা শুরু কোত্থেকে হইছে গেস করেন দেখি?
দুই নম্বরি করে ইরাক আক্রমণের ফলাফল এইসব। এখন ব্যাপারটা ঘুইরা ওদের পশ্চাৎদেশে কামড় বসাইছে! ইরাক আক্রমণ না হইলে আই এস হইত না। আই এস না হইলে সিরিয়ান রিফিউজি ক্রাইসিস হইত না। এই রিফিউজি ক্রাইসিস না হইলে ব্রেক্সিটের রেফারেন্ডাম হইত না (সবগুলা মেম্বার রাষ্ট্রকে নাকি ইইউ রিফিউজি নিতে বাধ্য করতেছিল)। এবং এই রিফিউজি ক্রাইসিস না হইলে টার্কি ব্লাকমেইল কইরা ইইউতে ঢুকার চেষ্টা করতে পারত না। টার্কির লোক ভিসা ফ্রি এক্সেস পাইলে ইইউ টার্কিশ লোকে সয়লাব হয়য়ে যাবে।
আর এই রিফিউজি/ফ্রি মাইগ্রেশনে ব্রিটদের ঘর আপত্তি।
এই ব্রেক্সিট ইইউ এর ভাঙ্গার শুরু হইতে পারে। স্কটল্যান্ড ইউকে থেকে বাইর হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। আনলেস সিচুয়েশন যদি চেঞ্জ না হয়।
ফাইনালি, ওরা গণভোটে ওদের ভাগ্য নির্ধারণ করছে। আমি ওদের ডিসিশনকে রেস্পেক্ট করি এবং ফুল্লি সাপোর্ট করি।
সমসাময়িক ব্যাপার নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
২৫ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: রেসপেক্ট করার প্রশ্ন আসছে কেন? রেসপেক্ট তো তাদের নিজেদের পিএম তার বক্তৃতা দিয়ে করেই দিয়েছে।
নিজ দেশের মানুষই রেস্পেক্ট করছে না: 'রিমেইন ক্যাম্পে' কাজ করার জন্য এক মুসলিম মহিলাকে বলা হয়েছে, প্যাক করে বাড়ি ফিরতে... আপনার আমার সাপোর্টেও কিছু যায় আসে না।
রেসপেক্ট/ডিসরেসপেক্ট এই লেখার উদ্দেশ্য নয়।
ব্রিটেন ঐতিহাসিক ভাবেই স্বার্থপর জাতি। এদেশকে শোষণ করা শেষ হবার পর, যখন নিচে গরম লাগা শুরু করেছে, তখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নাম দিয়ে বিদায় নিয়েছে। ওরা দু'শ বছর নাগাদ না থাকলে ভারত উপমহাদেশে আরও আগেই গণতন্ত্র জন্ম নিতো এবং আজ আমরা আরও পরিপক্ক গণতন্ত্র নিয়ে আরও সমৃদ্ধ দেশে থাকতে পারতাম। ধন্যবাদ।
২৪| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
জেন রসি বলেছেন: ব্রিটেন কখনো চায়নি ইউরোপের অন্য দেশগুলো অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী হোক। সেটা আমেরিকাও চায়নি। ইউরোপে রক্ষনশীলদের উসকে দেওয়ারও অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। আমি আপনার কাছে একটা ব্যাপার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। সেটা হচ্ছে ব্রিটেনের এই বিচ্ছিন্ন হওয়াতে আমেরিকা কি উপকৃত হলো?এই ঘটনাকে কোন মাস্টারপ্ল্যানের প্রথম স্টেপ বলে মনে করেন?
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... ইন্টারেস্টিং প্রশ্ন।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে কোন অর্থেই উপকৃত নয়... এটা ট্রাম্পের মাথায় আসবে প্রেজিডেন্ট হবার পর।
চিন বলুন আর ভারত বলুন, প্রাচ্যকে দমনে রাখতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রকে ইইউ'র সঙ্গ লাগবে। সেটি সম্ভব হতো কেবল ব্রিটেনের মাধ্যমে।
ফ্যাক্ট অভ্ দ্য ম্যাটার ইজ... যুক্তরাষ্ট্র এই এক্সিটে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে... প্রধান দু'টি কারণে:
১) যুক্তরাষ্ট্র 'ব্রিটেনসহ ইইউর' সরাসরি সুবিধাভোগী... ব্রিটেনের কান্ধে চড়ে ইউরোপে পণ্য রপ্তানি করে, লন্ডন তাতে গর্বিত
২) নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য পরস্পরের 'জানি দোস্ত'... তার উদাহরণ কি দিতে হবে?
কিন্তু ব্রেক্সিটে দারুণভাবে উপকৃত হয়েছে রাশিয়া... তাদেরকে সন্দেহ করলেও করতে পারেন
ব্রিটেন একটি বিশ্বায়ন-বিরোধী এবং আত্মকেন্দ্রীক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা তারা ভোটের পর বুঝতে পেরেছে।
এখন তারা ৭লাখ বা ১০ লাখ... এরকম ভাবে একত্রিত হয়ে পুনরায় ভোট চাইলে কি হয়?
এখন বলছে, আমরা প্রতারিত হয়েছি... এটা কি খেলা?
ভালো থাকবেন, জেন রসি! মন্তব্যে আনন্দিত হলাম
২৫| ২৫ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
নতুন বলেছেন: ব্রিটেন ইউ তে থেকেও ইউরো ব্যবহার করেনাই। তারা প্রথম থেকেই ততটা আগ্রহী ছিলো না মনে হয়।
তাদের জনগন ভালো মনে করেছে বলেই তারা ইউ থেকে বাইরে গিয়েছে।
এটা ভাল হবে বলেই আমার মনে হয়।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
শুধু ব্রিটেনের ভালো তো 'বিশ্বের ভালো' হতে পারে না।
এখন তো তারা পুনরায় রেফারেন্ডাম চাচ্ছে...
২৬| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৪০
মহা সমন্বয় বলেছেন: ক্যামেরুণেরই বা কি দোষ এটা তো জনগণই ভোট দিয়ে তাদের আলাদা করল।
বৃটেন বের হওয়াতে ইউরোপের জনও ক্ষতি হল তারা বড় এক অভিবাক হারাল।
ইউকেকে হারানোর যন্ত্রণায় কাঁদছে ইউরোপ ও তার কারেন্সি ইউরোও।
EUR/USD নেমে এসেছে ১.১০১৭ এ, অপেক্ষা এখন ১.১০ ভাঙার।
মাঝেখান থেকে লাভের লাভ সোয়ো সের হল আমেরিকার বা ডলারের। প্রায় সবগুলো কারেন্সির বিপরীতে ডলার শক্তিশালি হল ( শুধু জাপানের ইয়েন বাদে)
যে যাই বলুক ভাই আম্রেকির উপ্রে কিছু নাই। এরাই সারা পৃথিবীর অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করে।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমেরিকার আর্থিক এবং কূটনৈতিক ক্ষতি হবে.... হয়তো সেটি তাৎক্ষণিকভাবে বুঝা যাচ্ছে না...
কীভাবে?
২৪ নম্বর মন্তব্যের উত্তরে কিছু বলার চেষ্টা করেছি...
২৭| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ২:২০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একসময়ের পরাশক্তি হলেও জাত্যাভিমান যায় নি।। সারা দুনিয়া থেকে লুট করে গড়ে তুলেছে সম্পদ এমন কি ভাষাও ( প্রতিবছর ইংরেী ডিক্সনারীতে োগ হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার শব্দ)।। আজ বুঝে না বুঝে সুপার গ্লুর মত লেগে আছে প্রথম শক্তি আমেরিকার সাথে।। কেন?? এর উত্তর খুজতে গেলেই পাওয়া যাবে বোধহয় সব উত্তর।। কিন্তু অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিক পরিবেশ যে অনেকখানিই বদলে গেছে, তা কিন্তু অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় নার মত।। তবে বোধহয় ভুল করলো।। আমেরিকা , ব্রিটেন একই পথের পথিক।। অনেক কছু বুঝেও বুঝে না।।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না// দারুণ বলেছেন!
ওরা স্বার্থান্ধ হয়ে গেছে। এখন তো নিজেদের একতাই রক্ষা করতে পারবে না। যুক্তরাজ্য হয়তো ভেঙ্গে যেতে পারে...
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সচেতনহ্যাপী
২৮| ২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অনেক সুন্দর করে যত্নশীল লেখার জন্য ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:২৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ।
২৯| ২৭ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬
সোহানী বলেছেন: ওদের অনেক পাপ জমা আছে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে না............
দারুনভাবে উপাস্থাপন করেছেন মইনুল ভাই ++++++++++++
২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ সোহানী...
পরিস্থিতি যে কোথায় গিয়ে গড়ায় সেটি নিয়ে ভাবছি....
ব্রেক্সিটের প্রভাব ব্রিটেন এবং ব্রিটেনের বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। শঙ্কার বিষয় হলো: গণভোট-ভিত্তিক মেরুকরণ শুরু হয়েছে। এবার শুরু হবে গণভোটের যথেচ্ছা ব্যবহার। ট্রাম্প-স্টাইলের উগ্রজাতীয়তাবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে করে তুলছে যুক্তিসঙ্গত পরিণতি।
✦ব্রেক্সিট বর্ণবাদকে আধুনিক স্টাইলে প্রতিষ্ঠিত করলো আবার। অন্যদেশ থেকে আগত কিন্তু ব্রিটেনের নাগরিকেরা বর্ণবাদের স্বীকার হচ্ছে যেখানে সেখানে। স্কুলের বাচ্চারা ব্রিটিশ অরিজিন বাচ্চাদের বুলি’র স্বীকার হচ্ছে। এসব নোংরামির একনম্বর স্বীকার হচ্ছেন নারী।
✦ব্রেক্সিট বাস্তবায়িত হলে স্কটল্যান্ড খুব শিঘ্রই যুক্তরাজ্য থেকে বের হবার আয়োজন করবে।
✦ইইউ থেকে ইটালি, ফ্রান্সের মতো ধনী দেশগুলোর উগ্র-জাতিয়বাদী দলগুলোও নিজ নিজ দেশে গণভোটের জন্য চাপ দেবে।
✦ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস-ক্যালিফোর্নিয়ার লোকেরা গণভোটের চিন্তা করছে। তারাও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের হয়ে যাবে।
✦অনেকেই না বুঝে বা মিথ্যা প্রচারণায় প্রলুব্ধ হয়ে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করেছে, তার ভোটে কিছু যাবে আসবে না। দিনশেষে ব্রিটেন ইইউতেই থেকে যাচ্ছে। সকালবেলা ঘুম থেকে জেগে তো চক্ষু চরক গাছ!
✦এরকম ১৯ লাখ ব্রিটিশ আবারও গণভোটের ব্যবস্থা করার জন্য চাপ দিয়েছে। কিন্তু ক্যামেরুন সাফ জানিয়ে দিলো, ’আর নয়। এত করে কইলাম শুনলা না। এবার প্রতিফল ভোগ করো। আমিও বিদায় নিচ্ছি।’ অজনপ্রিয় ক্যামেরুন আগেই বেশি কথা বলে বিষয়টাকে টক বানিয়ে ফেলেছিলেন। যা হোক।
✦ওদিকে যেসব গরীব দেশ শ্রমিক অথবা সস্তা শ্রমজাত পণ্য রপ্তানি করে একটু এগিয়ে যাবার ধান্ধা করছিলো, তারা পড়লো বিপাকে। বাংলাদেশ তার মধ্যে এক নম্বর।
৩০| ২৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০২
জুন বলেছেন: সারা পৃথিবীতে বৃটেনের যত কলোনী ছিল সব জায়গায় তারা তাদের বিখ্যাত "ডিভাইড এন্ড রুলস " পলিসি দিয়ে শাসন করেছে। করেছে যত অন্যায়। হাজার বছরের বন্ধুত্বকে শত্রু বানিয়ে তার ফল ভোগ করেছে। আজ শত বছর পরে হলেও তাদের সেই কর্মফল এখন ভোগ করতে হবে মাইনুদ্দিন মইনুল। জার্মানী, ফ্রান্স এর মত আমিও খুশী।
লেখাটি সময়োপযোগী ও ভালোলাগার মত।
+
২৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ঠিক বলেছেন... কর্মফল থেকে কেউ কাউকে রক্ষা করতে পারে না। তবে ব্রিটেনের কর্মফল অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে... এবং ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছেও।
অনেক থেংকু... ঝুনাফা
৩১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৩
জুন বলেছেন:
২৯ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহাহা... এই মজার বিষয়টি তো কোথাও পাই নি!!!
দারুণ তো....
হ.. কথা ঠিক, বিট্টিশরা আরা ই বা ইউ এসব ভাউয়েল আর ব্যবহার করতে পারে না। এই অধিকার তারা ভোট দিয়ে নিজেরাই প্রত্যাখ্যান করেছে....
৩২| ৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৮:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা সময়োপযোগী, সিরিয়াস আলোচনার সূত্রপাত করার জন্য ধন্যবাদ। দেখার বিষয়, পরিস্থিতি তারা কিভাবে সামাল দেয়। আমরা এখন এক অস্থির বিশ্বের বাসিন্দা। সামনের আমেরিকান নির্বাচনের পর পরিস্থিতি আরো মারাত্মক মোড় নিতে পারে।
৩১ নম্বরে জুন এর ব্রেকিং তথ্যটা দারুণ হয়েছে!
০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা, জুন আপা বরাবরই একজন মজার মানুষ
ঘটনাগুলো যে কতভাবে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত... ভাবলে অবাক হই। দেখুন ব্রেক্সিট, ট্রাম্প, রেফুজি বা মধ্যপ্রাচ্যের আইএস সংকট এসবের সাথে কীভাবে আমাদের নিরাপত্তা জড়িয়ে আছে। অথচ তারা ভিন্ন দেশের, ভিন্ন সংস্কৃতির।
আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা রইলো
৩৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
সোহানী বলেছেন: আবার আসলাম মইনুল ভাই..... কারন কিছুতেই বৃটিশ দু:খে হাসি চাপাতে পারছি না। আপনার কি মনে পড়ে গত ৪/৫ বছর ধরে স্টুডেন্ট ভিসা মারাত্বক ইজি করেছিল তারা। ফলে এক সপ্তাহের ভীতর প্রাইভেট ইনস্টিটিউশন গড়ে উঠে ও লাখ লাখ ছেলে-পেলেরা ঝাপিয়ে পড়েছিল সারা বিস্ব থেকে। নাম সর্বোস্য সেসব ইনস্টিটিউশন এ ওরা ভর্তি করে লাখ লাখ ডলার নিয়ে । কারন কি জানেন? কারন সে বছর তাদের বাজেট ঘাটতি ছিল- রিসেশান চলছিল। ৪/৫ বছর ওদের বাবা-মায়ের টাকা খাবার পর এবার তাদের সকলের ভিসা ও ওয়ার্ক পার্মিট বাতিল করে। ........ ওদের বুদ্ধি আর স্বার্থের কাছে সব কিছু ফেইল!!!!
০৭ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
'তুই একটা বিটিশ' ...বলে সেই গালিটার কথা খেয়াল আছে তো!
বাংলার প্রত্যেকটা গালির একেকটা ঐতিহাসিক ভিত্তি আছে, শুধু গভীরে যাবার জন্য প্রচুর অক্সিজেন থাকা চাই
মজার মন্তব্য নিয়ে পুনরায় ফিরে এসে আবার রিপিট করে ফের মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, সোহানী!
৩৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫০
প্রামানিক বলেছেন: লেখাটি সময়োপযোগী।
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই
৩৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০০
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ব্রিটেন ইইউ এক্সিট করে নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করতে গেছে। বেনিয়াদের বুনিয়াদি অর্থনীতিতে ব্যান্ড বাজানোর জন্য ব্রিটেনে কর্মরত ২৫০০ জার্মান কোম্পানি ( যেমন ভোদাফোন, জাগুয়ার, ফক্সওয়াগন) যথেষ্ট! ওরা যখন ইংল্যান্ড থেকে সব গুটিয়ে ফেরত চলে আসবে সাথে সাথে জার্মানে থাকা ৩৫০০ ইংল্যান্ডের কোম্পানিকে পাজাকোলা করে লন্ডন পৌঁছে দিবে। তখন বুঝবে কত ধানে কত চাল।
উপমহাদেশের ২০০ বছরের রাজত্ব কালে যা কামিয়েছে তা প্রবাসীরা সুদেমুলে তুলে ঘরে পাঠিয়েছে। এবার বাছা ধনেরা সময় এসেছে গতর খাটিয়ে ক্ষেতে নামার।
অলরেডি পাউন্ডে ধস নেমে এসেছে! বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ পল স্টিংজ বলেছেন সামনের বছরগুলোতে ব্রিটেনের জিডিপি ১ দশমিক ২ শতাংশ কমে যাবে। ব্রিটেনের জনগন যে রায় দিয়েছে, তা মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে হাস্যকর ও ব্যাপক বিনোদনের খোরাক বলে আমি মনে করি। নাকউঁচু ব্রিটিশ নাগরিকদের এহেন মুর্খতা দেখে নিশ্চয় ফরাসীরা বেশ মজা নিচ্ছে। নিবেই তো! ছিঁচকাঁদুনে ব্রিটিশরা যে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে ত্যাক্ত করে রেখেছিল। সাধে কি আর ড্যাভিড ক্যামেরুন পদত্যাগ করলেন। আহারে বেচারা! তার মুখের দিকে তাকিয়েই মায়া হয়েছে। পরাজিত সৈনিকের মত নয় বরং অভিমানী জেনারেলের মত তার বিদায়ী ভাষন শুনে টেমস থেকে শুরু করে সীন নদী পর্যন্ত সকল বুজুর্গ সেদিন হায় হুতাশ করেছে।
কিন্তু লন্ডন সেদিন হেসেছে। মাথামোটা ব্রিটিশ জাতির এই নব্যরুপ দেখে না হেসে পারলাম না। যদিওবা আমার দেশের অনেক পন্য ইংল্যান্ড ইম্পোর্ট করে। কিন্তু বাংলাদেশের পন্য একচেটিয়া ভাবে ইংল্যান্ড নির্ভর নয়। এদিকে জার্মানরা যেহেতু ৩০০ কোটি ডলারের পোষাক শিল্পের বাজারে ঘা মেরে দিয়েছে সেহেতু আমার ইইউ এর অন্য দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে। রাশিয়ার বাজারে আমাদের পোশাক শিল্পের প্রসার ঘটাতে হবে। একই সাথে পুর্ব ইউরোপ ও দক্ষিন পশ্চিম ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বাড়াতে সচেষ্ট হতে হবে।
যাই হোক অনেক কথা বললাম। আপনার বিশ্লেষণ দুর্দান্ত হয়েছে। বিশেষ করে আবুলের গল্পটা।
শুভকামনা ভাই।
২৬ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বিস্তারিত মন্তব্যে ব্রিটিশদের দুর্দশার কথা বলে দিয়েছেন। ভালো লেগেছে। তবে ওদের জন্য ভালো হলো না।
আপনার কি মনে হয়, বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কি সত্যিই ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে তৎপর?
আন্তরিক প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন
৩৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: @ভ্রমরের ডানা, আপনার বিশ্লেষণটা ভাল লাগলো, তবে মাথামোটা ব্রিটিশ জাতি কথাটার সাথে একমত হতে পারলাম না।
ব্রিটিশরা তীক্ষ্ণবুদ্ধি আর ভয়ানক কূটচালে অভ্যস্ত জাতি। তা না হলে 'তুই একটা বিটিশ' গালি হতো না। মাথামোটাদের কেউ গালি দেয় না।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ব্রিটিশরা তীক্ষ্ণবুদ্ধি আর ভয়ানক কূটচালে অভ্যস্ত জাতি। তা না হলে 'তুই একটা বিটিশ' গালি হতো না। মাথামোটাদের কেউ গালি দেয় না।// একদম ঠিক কথা বলেছেন। হাসলাম
আপনি লেখাও পড়েন আবার মন্তব্যও যত্ন নিয়ে পড়েন।
একজন আদর্শ পাঠকই পারেন চিন্তাশীল লেখক হতে। আপনার দৃষ্টান্ত অনুকরণীয়।
শুভেচ্ছা জানবেন, জনাব খায়রুল আহসান ভাই
৩৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩২
নেক্সাস বলেছেন: ব্রিটিশরা যে হুজুগে বাসে এটা তার প্রমাণ মাইনুল ভাই
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
দেখেন এখন তারা মাথা চুলকাচ্ছে... এদিন না সেদিন....
৩৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১:২৪
কালীদাস বলেছেন: কেমন আছেন? অনেকদিন পর ...
পোস্টের টপিকে আসি। প্রথমত ইইউতে ইউকে খুব আহামরি কোন দেশ অন্তত রিসেন্ট পিরিয়ডে (গত ১০/১২ বছর) ছিল না। ইইউ-এর প্রধান দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি, ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডের ভূমিকাই চোখে পড়ে বেশি; শুধু ইকোনমিকালি না, পলিটিক্যালিও। তারপরও ইউকের বের না হয়ে উপায় ছিল না। আমার ডোমেইন ওয়েস্টার্ণ ইউরোপ, আমি নিজেই প্রতিদিন দেখি ইস্টার্ণ ইউরোপের গরীব দেশগুলোর লোকদের প্রতিনিয়ত পশ্চিম আগমন বা আরও পশ্চিমে যাত্রা। একটা দেশ টানা অনেকগুলো দেশের মাইগ্রেন্টদের মেইন ডেস্টিনেশন হলে ইকোনমিতে ভালই প্রেশার পড়ে। আমাদের নিজেদের কথাই ভাবুন না। আমরা গরীব দেশ, তারপরও এয়ারপোর্টে বা কোন এনজিওতে কোন এশিয়ানকে কাজ করতে দেখলে আমাদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায় আর ভাবি আমার কাজের জায়গায় ঐ বেটা/বেটি কেন? ইউকের পার্লামেন্টেও সেইম জিনিষ প্রতিফলিত হয়েছে।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট বলি বাংলাদেশিদের। বাংলাদেশিরা ইইউ-এর দেশগুলোতে সিটিজেনশিপ পাওয়া মাত্র ইউকেতে চলে যায়, রিসেন্টলি যারা পেয়েছে আমার প্রোভিন্সে হুড়াহুড়ি করে চলে যাচ্ছে এক্টিভ হওয়ার জন্য। নিজেরা ভাষার জটিলতায় কষ্ট করেছে, পরের জেনারেশনকে সেই কষ্টটা দিতে চায় না। ভাষার কষ্টটা অনেক বেশি, কারণ অডজবগুলো পাওয়া ইম্পসিবল না জানলে, যেটা বেশিরভাগ বাংলাদেশি প্রবাসীই করে ইউরোপে।
এবার আসুন কিছু কনসিকোয়েন্স শুনি ইউকের। ব্রেক্সিটের পর এক বাংলাদেশি প্রফেসর আমাকে বলছিলেন এটা হবেই, না হয়ে উপায় ছিল না,....। দুইমাস পর গত সপ্তাহে উনি আমাকে বলছেন, ওনারা ভাল সমস্যায় পড়ে গেছেন অলরেডি। পাউন্ডের দাম তো কমেছেই প্লাস বড় সমস্যা হল ইইউ থেকে প্রজেক্ট পাওয়া পুরাই বন্ধ হয়ে গেছে। ইউনিগুলোর বেতন দেয়ার সিসটেম বাংলাদেশের মত না ইউরোপে; ফান্ড না আনতে পারলে, স্টুডেন্ট ম্যানেজ করতে না পারলে সিরিয়াস সমস্যার শিকার হতে হয়। এক্সপোর্ট সেক্টরে আমরা ক্ষতির শিকার হব প্লাস রেমিটেন্সেও চাপ পড়া শুরু হয়ে যাওয়ার কথা পাউন্ডের অভাবনীয় দাম কমার কারণে।
টু সাম আপ, ইউকে বের হয়ে যাওয়ায় সমস্যা ইইউ-এর না। সমস্যা মেইনলি ইউকের নিজের এবং ইস্টার্ণ ইউরোপের কিছু অদ্ভুত পাবলিকের। কেন অদ্ভুত বলেছি, সেটা অন্য কোন সময় ব্যাখ্যা করা যাবে
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:২৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ। বরাবরের মতো চিন্তাশীল এবং তথ্যপূর্ণ মন্তব্য। বিষয়টি নিয়ে কি আরও কিছু বলার বাকি আছে? বর্তমান ব্রিটিশরা নিজেরাই কি উত্তর নিচ্ছে না?
ব্রেক্সিটের অনিবার্যতা নিয়ে আপনার বক্তব্যে দ্বিমত নেই। এটি যে ব্রিটিশদেরই ক্ষতি তা তো বলাই বাহুল্য।
আমি অত্যন্ত দুঃখিত আপনার মূল্যবান একটি মন্তব্য নিরুত্তর থেকে গেলো। ১৮, ২৪ এবং ২৯ নম্বর মন্তব্যেও আরও কিছু অভিমত যোগ করেছি। আশা করি দেখে থাকবেন। সেখানে আপনার কথাগুলো অন্যভাবে ওঠে এসেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
মোঃ সাইফুল্লাহ শামীম বলেছেন: ইউরোপীয় ইউনিয়ন না হয় ছেড়েই দিলো, কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে ভৌগলিকভাবে কি বিচ্ছিন্ন থাকতে পারবে ব্রিটেন? বলতে কি পারবে, যাও তোমরা আর প্রতিবেশি নও?
আপনার সাথে অনেকাংশেই সহমত। তবে আমার মনেহয় সে দেশের মানুষ অবশ্যই আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ভালো বুঝে যে কোনটা তাদের জন্য ভালো হবে আর কোনটা খারাপ। তবে মোট জনসংখ্যার প্রায় সমান দুই ভাগ হয়ে যাওয়াটা তাদের সিদ্ধান্তকে আরও বেশী প্রশ্নের মুখে ফেলবে। অন্তত ক্যামেরনের পদত্যাগ সে কথাই বলে।