নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মার্চের ৬ তারিখ। স্থান – ধানমণ্ডির ছায়ানট নাট্যমঞ্চ। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাটের রুদ্ধকণ্ঠ। তিনি অভিনয় করছেন মুখতার মাইয়ের ভূমিকায়। মুখতারন মাই। গণধর্ষণের শিকার পাকিস্তানের নির্যাতিতা নারী মুখতার মাই হয়ে বার্নিকাট বলে চলেছেন তার নির্যাতন আর বিচারহীনতার মর্মন্তুত কাহিনি। গ্রামের মোড়ল, স্থানীয় শালিস এমন কি সংবাদমাধ্যমও যাকে চুপ থাকতে বলেছিল, সেই মুখতার মাই দেখিয়েছেন কীভাবে সুবিচার আদায় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। বার্নিকাট যেন অভিনয় করছিলেন না, নিজেই মুখতার মাই হয়ে ওঠেছিলেন সেদিন সন্ধায়।...
ফিরে যাচ্ছি ২০০২ সালের ২২ জুনের দুপুর ২ঘটিকায়। স্থান মীরওয়ালা গ্রাম, মোজাফ্ফরগড় জেলা।মুখতার মাই ধর্ষিত হলেন চার নরপশু কর্তৃক। প্রতিহিংসার বশে ধর্ষণ। ধর্ষকেরা প্রভাবশালী।স্থানীয় থানা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ধর্ষকেরা একই গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে বীরদর্পে। তারা নিরক্ষর মুখতার মাইকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকে। বিভিন্ন রকমের সমঝোতার দলিল তৈরি করতে তারা মুখতার মাইকে টিপসই দিতে প্ররোচিত করে। মুখতার মাই বুঝতে পারেন তার নিরক্ষর থাকার পরিণতি। কিন্তু তিনি নিজ অবস্থানে অনড় থাকেন।...
পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে জুম্মাবারের মসজিতে খুদবার পর। ইমাম সাহেব আক্ষেপ করে ধর্ষণের ঘটনাটির উল্লেখ করেছিলেন। তাতেই খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে সবপর্যায়ের সাংবাদিকদের সামনে চলে আসে। পাকিস্তানে তখন গণমাধ্যম একটু একটু করে শাসকের রক্তচক্ষু থেকে অবমুক্ত হতে শুরু করেছে কেবল। খবরটি দাবানলের মতো দেশে এবং দেশের বাইরে ছড়িয়ে যায়।
এরই মধ্যে আদালতে শুরু হয় সাক্ষি এবং প্রমাণের লুকোচুরি। আদালত ইচ্ছে থাকাসত্ত্বেও যথাশীঘ্র কোন উপসংহারে আসতে পারছেনা।
ওদিকে মানুষ ক্রমেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছে। পত্রিকার প্রথম পাতায় সম্পাদকীয় শেষপাতায় প্রকাশ পেতে থাকে মুখতার মাইয়ের পক্ষে মানুষের সমর্থন। সুবিচার যদি পেতে হয়, তবে মুখতার মাই হবেন প্রথম প্রার্থী। এরইমধ্যে একজন সরকারী কর্মকর্তা মুখতার মাইয়ের সংগ্রামী চেতনায় তাড়িত হয়ে তার প্রেমে পড়ে যান।... সে কথা থাক।
আদালত মুখতার মাইয়ের পক্ষে রায় দেয়। পুলিশ সন্দেহভাজন ধর্ষক ও তার সহচরদেরকে গ্রেফতার করে। অতঃপর ধর্ষকেরা পায় মৃত্যুদণ্ড।
পাকিস্তান সরকার মুখতার মাইকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেয়। সেটি তিনি খরচ করেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়। মীরওয়ালা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় মুখতার মাইয়ের বিদ্যালয়!
মুখতার মাই আজ একজন অধিকার কর্মী। বিশ্বব্যাপী অধিকাকেন্দ্রিক নাট্যআন্দোলনের প্রতীক। তার দৃষ্ঠান্ত পাকিস্তানের রক্ষণশীল সমাজে নারীজাগরণের প্রতিচিত্র।
বার্নিকাটকে মনে হয়নি যে তিনি অভিনয় করছেন। যেন তিনিই মুখতার মাই!... দর্শক মুগ্ধ হয়ে স্মার্টফোনের ফ্লাশ জ্বালিয়ে যাচ্ছে।
নাটক শেষ হবার পর সঞ্চালক দর্শকদের দিকে দৃষ্টিপাত করলেন এবার। ইংরেজি পর্বের দর্শক হয়ে এসেছেন যারা তাদের আশি শতাংশ বিদেশি কূটনীতিক, উন্নয়ন অংশিদার ও বহুজাতিক সংস্থার কর্ণধার। বলতে হয়, সকলেই অধিকার সচেতন।...
অভিমতপর্ব:
মন্তব্য দেবার আহ্ববান পেয়ে দর্শকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা লেগে গেলো। কে কার আগে হাত তুলবে, তার কাছেই চলে আসবে মাইক্রোফোন! এটি কেবলই একটি আনুষ্ঠানিকতা – দর্শকদের অভিমতের কোন মূল্য আছে বলে আমার মনে হয়নি। আমি প্রতিযোগিতায় যোগদেবার মতো কোন তাগিদ পেলাম না। তবে দেখার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চাই নি।
প্রশ্ন ছিল অনেক দীর্ঘ এবং বহু অর্থক। তবে প্রশ্নের মূলবক্তব্য ছিল অনেক এরকম: ’নারী অধিকার রক্ষায় আমাদের করণীয় কী?’ সঞ্চালক মনে করিয়ে দিলেন, অন্যকে পরামর্শনা দিয়ে যেন নিজেদের দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়।
কে শুনে নিয়মের কথা! নানাজনের নানান কথা। এক ম্যাডাম বলে বসলেন, যারা মঞ্চে বসে আছেন, অর্থাৎ উন্নত দেশের রাষ্ট্রদূতেরা, তারাই এদেশের সরকারকে পরামর্শ দিন, চাপ দিন, যেন সরকার নারী অধিকারের প্রতি আরও সহযোগী হয়। সম্প্রতি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আইনে ‘বিশেষ ব্যবস্থায় বাল্যবিবাহ গ্রহণযোগ্য’ রাখার বিষয়টিকে তিনি ইশারা করছিলেন।
আরেকজন সংস্থাপ্রধান সোজা বলেদিলেন, নারীকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের সুযোগ করে দিলে নারী অধিকারের উন্নয়ন হবে। সাফ কথা। তার উত্তরে মনে হলো, তিনি একদম প্রস্তুত হয়েছিলেন এই প্রশ্নের জন্য।
শিক্ষার কথা শুনে আরেকজন ইস্মার্ট আপু প্রায় ক্ষেপে গেলেন। শিক্ষা? এটি কি শুধু নারীর একারই প্রয়োজন? পুরুষ তার শিক্ষার অভাবেই নারীকে মানুষ মনে করেনা। পুরুষ যদি প্রকৃত শিক্ষা পায় তবে, নারীকে তার যোগ্য মর্যাদা দেবে। তার শিক্ষার প্রয়োজন নারী পুরুষ উভয়েরই। দর্শকের কর্তালি।
একজন বিদেশি ভাই বেশ মজা করে বললেন, সমস্যাটি নারীর নয়। নারীকে অবদমিত রাখা, তার অধিকারকে অবহেলা করা, একান্তই পুরুষের সমস্যা। এতে নারী কেন কেঁদেকেটে মরবে? যাদের সমস্যা তাদেরকেই সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই তাতে কর্তালি দিয়ে সমর্থন জানালো।
প্রেক্ষিত: নারীঅধিকার
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্টের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া বার্নিকাট একটি বিশেষ নাটকে অভিনয় করলেন সোয়া একঘণ্টা ধরে। সঙ্গে আরও ছ’জন। সবাই কোন-না-কোনদেশের রাষ্ট্রদূত! নাটকের নাম ‘সেভেন’। এর পূর্বের দিন হয়ে গেলো এর বাংলারূপ ‘সাত’এর মঞ্চায়ন।সেখানেও ছিলেন সুলতানা কামালসহ সাতজন প্রসিদ্ধ ব্যক্তিত্ব।
মুখতারমাই (পাকিস্তান), ফরিদা আজিজি (আফগানিস্তান), ইনেজ ম্যাকরম্যাক (উত্তর আয়ারল্যান্ড), ম্যারিনা পিসলাকোভা পার্কার (রাশিয়া), আনাবেলা ডি লায়ন (গুয়াতেমালা), মুসো চুয়া (কম্বোডিয়া) এবং হাফসা আবিওয়ালা (নাইজেরিয়া) – এই সাত নারীর প্রত্যেকেই একজন নাট্যকার। প্রতেক্যেই একটি করে সংগ্রাম করে এসেছেন।
’সেভেন’ নামের প্রামাণ্য নাটকটি আয়োজিত হয়েছে বিশ্বের সাত নারীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেবার জন্য। আফগানিস্তান, উত্তর আয়ারল্যান্ড, রাশিয়া, গোয়াতেমালা, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া এবং নাইজেরিয়ার সেই সাত নারী নিজেই লেখেছেন নাটকের সংলাপগুলো। নিজেরাই এর নাট্যকার। নিজেদের জীবনের।
এটি কোন সাধারণ নাটক নয়। এর অভিনেতাও মঞ্চ কিংবা চলচ্চিত্র থেকে আসেন নি। খেলা, অভিনয়, সাংবাদিকতা, কূটনীতি, রাজনীতি, ব্যবসায় ইত্যাদি ক্ষেত্রে যারা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন, যাদের কথা মানুষ শুনবে, যাদেরকে দেখতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে জমায়েত হবে – তাদেরকে নিয়ে মঞ্চায়িত হয় ‘সেভেন’। বাংলাদেশে বেশ কয়েকবার হয়েছে। চিত্রনায়িকা ববিতাকেও একটিতে দেখা গেছে।
এবছরের নারী দিবসকে কেন্দ্র করে এই আয়োজন। আয়োজক সুইডিশ এম্বেসি, এম্বাসেডরস ফর চেইন্জ এবং জাতিসঙ্ঘের নারী বিষয়ক সংগঠনসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। সাংগঠিকভাবে আমন্ত্রিত হয়ে এই সুযোগ পেয়েছিলাম।
এই অসাধারণ অভিজ্ঞতাটি পাবার জন্য দিনভর গাধার খাটুনি খেটেও সাতটার শো ধরেছিলাম।
আমাদের দেশের নারীকে কীভাবে আরও সক্ষমতা দিয়ে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যায়?
শিক্ষার অভাব, ক্ষমতার অভাব, শিক্ষা দাও, ক্ষমতা দাও, ক্ষমতায়ন করো – এসব বিষয়গুলো আমার কাছে খুবই দায়সাড়া গোছের মনে হয়। লোক দেখানো। এগুলোতে মূল সমস্যাকে ঢেকে রাখা হয়েছে। দেশের অর্ধেক জনতাকে ‘অবলা’ রেখে একটি সমাজ এগুতে পারেনা। নারী দিবসের বাণী হোক, সুযোগ সৃষ্টি।
আমাদের সমাজে নারীর প্রয়োজন ‘সুযোগ’। সুযোগের অভাবে এখনও নারী অবলা (শক্তিহীন অর্থে) হয়ে আছে।আপনঘর থেকেই এটি শুরু হওয়া প্রয়োজন। তার পরিবার, এমনকি তার বাবাও তাকে সুযোগ দিচ্ছেন না। তার জন্মদাত্রী মাও দিতে ভয় পান। তার ভাই তাকে সুযোগ দিচ্ছে না, কারণ ‘মেয়ে মানুষের বিপদের শেষ নেই’।
নারীর প্রয়োজন শুধুই একটি সুযোগের। অংশগ্রহণের সুযোগ। নিজেকে গড়ে তোলার সুযোগ। কাজের সুযোগ। সুস্থ থাকার সুযোগ।যাতায়াতের সুযোগ। কথা বলা বা মতপ্রকাশের সুযোগ। কর্মসংস্থান, ব্যবসায়, রাস্তাঘাট, বাজার, সংবাদমাধ্যম সবজায়গায় নারীর জন্য জন্য একটু জায়গা।
স্বীকৃতিরও দরকার নেই, যত দরকার সুযোগের। সুযোগ পেলে স্বীকৃতি না পেলেও নারীর অর্জনকে দেখতে পাওয়া যাবে।
অনেক ক্ষেত্রে নারী নিজেও নিজেকে সুযোগ দিচ্ছেননা, নিজেকে তুলে ধরছেন না। নিজেকে দুর্বল দেখিয়ে তিনি সুবিধা নিতে চান। দুর্বলতাকে নারীত্বের প্রতীক হিসেবে দেখিয়ে তাতে সৌন্দর্য্য খুঁজছেন।
তো... কে দেবে এই সুযোগ? প্রথমত ‘আমি’নিজে। পিতা ‘আমি’, ভাই ‘আমি’, সহযাত্রী ‘আমি’, সহকর্মী ‘আমি’। তারপর পরিবার। তারপর সমাজ। তার পররাষ্ট্র। এবং অবশ্যই নারী নিজে!
-----------------------
*নোট: ভয়েসেস প্রজেক্ট নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন অধিকারকেন্দ্রিক নাটকগুলোকে জনপ্রিয়তা দিয়েছে। সঙ্গে আছে ইউএনউইমেন।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বাহ.... ভালো উদ্যোগ। অবশ্যই সেটি অনেক ভালো হবে। পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম...
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব সুন্দর একটা অনুষ্ঠানের উপর আলোকপাত করেছেন প্রাঞ্জল ভাষায়। চমৎকার একটি পোস্ট, নারী অধকার নিয়ে। + +
আমাদের দেশের নারীকে কীভাবে আরও সক্ষমতা দিয়ে দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যায় -- এ উপশিরোনামের অধীনে যাকিছু বলেছেন তা খুবই বাস্তবসম্মত এবং অর্থবহ। এ কাজগুলো সম্পন্ন করা আশু প্রয়োজন।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, জনাব খায়রুল আহসান
বিষয়ের প্রতি আপনার নিবিড় মনোযোগ লেখকের জন্য প্রেরণা।
দেরিতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
৩| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪২
প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই
ভালো থাকা হোক......
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
রবি১০ বলেছেন: এ উপশিরোনামের অধীনে যাকিছু বলেছেন তা খুবই বাস্তবসম্মত
https://naeemabbas1.wixsite.com/insectscontrol
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৮
অগ্নি সারথি বলেছেন: সুযোগ সৃষ্টি ভালো বলেছেন ।একই সাথে সমাজের ধ্যান-ধারনা এবং দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তনটাও জরুরী যেটি কিনা আপনার শেষ চরন গুলোতে চলে এসেছে। মুখতার মাইয়ের, হাজারো নিপীড়িত বাঙ্গালী নারীর অনুপ্রেরনা হয়ে ওঠবার প্রচেষ্ঠাটায় মুখতার মাইয়ের গল্পের বয়ানটা জনেজনে পৌছে দেয়াটা জরুরী।
শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ মাঈন ভাই।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অগ্নি সারথিকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:১১
বিজন রয় বলেছেন: চমৎকার অনুষ্ঠানের চমৎকার বর্ণনা।
দারুন অভিজ্ঞতা।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সত্যিই দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল....
তা, কবিতা দিবস কেমন গেলো, কবি বিজন রয়?
কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা জানবেন
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৮
জুন বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রে নারী নিজেও নিজেকে সুযোগ দিচ্ছেননা, নিজেকে তুলে ধরছেন না। নিজেকে দুর্বল দেখিয়ে তিনি সুবিধা নিতে চান। দুর্বলতাকে নারীত্বের প্রতীক হিসেবে দেখিয়ে তাতে সৌন্দর্য্য খুঁজছেন।
উপরের বক্তব্যটি অতি বাস্তব ।
চমৎকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন । মার্সিয়া বার্নিকাটের অভিনয় প্রতিভার কথাটি জানা হলো আপনার লেখায় ।
+
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জুন আপা, আপনাকে অনেক ঠেংকু
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,
একটি অজানা ও অদেখা, তা-ও আবার তেমন পর্যায়ের লোকজনের স্বতঃপ্রনোদিত ভাবে নির্যাতিত নারীদের ভুমিকায় অভিনয় করা নাটকের কথা জেনে সত্যিই অবাক হয়েছি ।
নাটকের অভিমত পর্বের সবক'টি অভিমতই মনে হলো যথাযথ ।
আর শেষে, সমাজ-রাষ্ট্রের উন্নয়নের বাগানে নারীর ভূমিকাকে কীভাবে ফসলি বীজ করে তোলা যায়, সে সম্পর্কে আপনার অবজারভেশান ও প্রস্তাবনা চমৎকার ।
২৪ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
প্রিয় আহমেদ জী এস ভাই... আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্বের প্রতিটি শিশুকে ফ্রি পড়ার সুযোগ দিলে, সমস্যা কমে আসবে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মৌলিক অধিকার হিসেবে প্রতিটি রাষ্ট্রেরই উচিত বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান, অন্তত উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত। কিন্তু মানুষের সামর্থ্য থাকলে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ দেয়াটা জরুরি নয়, যত জরুরি শক্ত নীতিমালা এবং এর প্রয়োগের।
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নারী অধিকার নিয়ে মুল্যবান পোষ্টটির জন্য রইল অভিনন্দন । অতি প্রাঞ্জল ভাবে তুলে ধরেছেন মুল কথাগুলি । যথা
নারীকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং সিদ্ধান্তগ্রহণের সুযোগ করে দিলে নারী অধিকারের উন্নয়ন হবে, পুরুষ তার শিক্ষার অভাবেই নারীকে মানুষ মনে করেনা। পুরুষ যদি প্রকৃত শিক্ষা পায় তবে, নারীকে তার যোগ্য মর্যাদা দেবে। তার শিক্ষার প্রয়োজন নারী পুরুষ উভয়েরই, নারীকে অবদমিত রাখা, তার অধিকারকে অবহেলা করা, একান্তই পুরুষের সমস্যা। এতে নারী কেন কেঁদেকেটে মরবে? যাদের সমস্যা তাদেরকেই সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে।
পরিশেষে বলা কথা গুলি যথা দেশের অর্ধেক জনতাকে ‘অবলা’ রেখে একটি সমাজ এগুতে পারেনা সুযোগের অভাবে এখনও নারী অবলা (শক্তিহীন অর্থে) হয়ে আছে।আপনঘর থেকেই এটি শুরু হওয়া প্রয়োজন। তার পরিবার, এমনকি তার বাবাও তাকে সুযোগ দিচ্ছেন না। তার জন্মদাত্রী মাও দিতে ভয় পান। তার ভাই তাকে সুযোগ দিচ্ছে না, কারণ ‘মেয়ে মানুষের বিপদের শেষ নেই’।কর্মসংস্থান, ব্যবসায়, রাস্তাঘাট, বাজার, সংবাদমাধ্যম সবজায়গায় নারীর জন্য জন্য একটু জায়গা। এ বিষয়গুলি নারী অধীকারের লক্ষ্যে আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ অপরিহার্য ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ডঃ এম এ আলীকে মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " কিন্তু মানুষের সামর্থ্য থাকলে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ দেয়াটা জরুরি নয়, যত জরুরি শক্ত নীতিমালা এবং এর প্রয়োগের।"
-বিশ্বের ৯০% দেশের মানুষের জন্য শিক্ষার ব্যয়টা বেশী বড়।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমাদের দেশে সর্বনিম্ন। সারা পৃথিবীতে এবং খুব সম্ভব দক্ষিণ এশিয়াতেও। অনেক উন্নয়ন হচ্ছে বলে খবরে দেখতে পাই, কিন্তু শিক্ষার কোন উন্নয়ন টের পাচ্ছি না।
প্রতি বছর জাম্বো সাইজের একটি বাজেট হচ্ছে, আর বলা হচ্ছে এটি পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙেছে। শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়াবার মতো দূরদর্শিতা আমাদের নেতাদের কি আছে?
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো একটি আয়োজন ছিলো। আমি এখন সেই সাতজনকে খুঁজবো। তাদের কথা মানুষকে জানাবো।