নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

© মাঈনউদ্দিন মইনুল। কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বলছি, অনুমতি ছাড়া কেউ এব্লগ থেকে লেখা বা লেখার অংশ এখানে বা অন্য কোথাও প্রকাশ করবেন না।

মাঈনউদ্দিন মইনুল

মুখোশই সত্য!

মাঈনউদ্দিন মইনুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকা ‘পৃথিবীর সেই বিরল শহরে’ রূপ নিচ্ছে যেখানে গাড়ির প্রয়োজন থাকবে না!

২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:০৫




ঢাকা ‘পৃথিবীর সেই বিরল শহরে’ রূপ নিচ্ছে যেখানে মানুষ গাড়ির চেয়েও বেশি গতিতে চলতে পারে। ট্রাফিক জ্যাম, জলাবদ্ধতা, বারোমাসি খুড়াখুড়ি, ত্রুটিপূর্ণ/সরু রাস্তা, আগের আমলের ট্রাফিক সিস্টেম, বাইপাস বিহীন সড়ক, মাঝ রাস্তায় পার্কিং ইত্যাদি ‘সুবিধা’ ধরে রাখার কারণে ঢাকা পৃথিবীর একমাত্র আদিম শহরে ‘উন্নীত’ হতে যাচ্ছে।

গতির শহর ঢাকা/ দুর্গতির শহর ঢাকায় প্রতি ঘণ্টায় গাড়ির গতি:
৭ কিলোমিটার (২০১৭/ বর্তমানে)
২৪ কিলোমিটার (২০০৪)
৪ কিলোমিটার (২০২৫/ বিশেষজ্ঞদের ধারণা)
৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় মানুষের হাঁটার গতি!
[তথ্য প্রথম আলো - অগাস্ট/২০১৭]


সবাই বলে, ঢাকা শহরের কোন পরিকল্পনা নেই। উন্নয়নের বাজেট নেই। সরকারের উদ্যোগ নেই। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন এবং আরও বেশি খারাপ! আরও 'অনেক কিছু' নেই!

ঢাকা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে গড়ে ওঠছে তা নয় - বরং এখানে আছে অগণিত পরিকল্পনা। রাজউক, সিটি কর্পোরেশন, পূর্ত মন্ত্রণালয়, হাউজিং কোম্পানি... এদের প্রত্যেকের রযেছে ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা। কৌশলগত সড়ক পরিকল্পনা, পানি পয়নিষ্কাশনের ব্যবস্থাপনা, গৃহায়ন পরিকল্পনা, ডিটেইল এরিয়া প্লান আরও কত কী! সবাই নিজ নিজ পরিকল্পনা এশহরের মানুষগুলোর ওপর দেদারছে ঢালছে।

পরিকল্পনার আধিক্য আর সমন্বয়হীনতাই ঢাকা একটি ব্যর্থ শহরে পরিণত হয়েছে। শুধু যানজটেই বছরে ২০,০০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে এদেশের মানুষ। [ডেইলি স্টার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬]

উদ্যোগেরও অভাব নেই। উদ্যোক্তাদের কেউ নদী ভরাট করে বাড়ি বানায়, আবার কেউ বাড়ি কেটে খাল বানায়। নদী শেষ তাকে নিয়ে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই, নতুন খাল খননে লেগেছে একটি কর্তৃপক্ষ। কেউ উচ্ছেদ করছে, কেউবা পুনর্বাসন করছে; কেউ সংস্কারের কর্মসূচি নিচ্ছে, কেউবা তার বিপক্ষে ধর্মঘট দিচ্ছে। একই সরকারের অধীনে। আরেকটি পক্ষ আছে যারা বর্ষা এলেই লেগে যায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে। বলে ‘উন্নয়নের কাজ চলিতেছে’। ‘সাময়িক সমস্যার জন্য দুঃখিত - কর্তৃপক্ষ’। বারোমাসের কাজকে বলা হয় ‘সাময়িক’। তাছাড়া ওই কর্তৃপক্ষটা যে আসলে কে বা কারা, সেটিও বিরাট প্রশ্ন।

বাজেটের কথা বলছেন? বাংলাদেশে সেক্ষেত্রে পৃথিবীর ধনী দেশের একটি, কারণ এখানে প্রতি কিলোমিটারে নির্মাণ খরচ সর্বোচ্চ। এবং মাত্র ছ'মাস পর সেই একই রাস্তার সংস্কারের জন্য আরেকটি টেন্ডার আসে।

বাংলাদেশ প্রতি কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের খরচ
৫৬ কোটি টাকা: উদাহরণ - ঢাকা সিলেট মহাসড়ক
৯৫ কোটি টাকা: উদাহরণ - ঢাকা মাওয়া সড়ক

ভারত: ১০ কোটি
চিন: ১২ কোটি
জমি অধিগ্রহণের খরচসহ।
[খরচের তথ্য বিডিনিউস২৪ ডটকম - জুন/২০১৭]


কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচলের রাস্তা দিয়ে ২/৩ কিলোমিটার এগুলেই একটি সুন্দর ব্রিজ চোখে পড়বে। নাম তার বোয়ালিয়া ব্রিজ। নদীর নাম বোয়ালিয়া। নদীতে পানি নেই - বোয়াল তো দূরের কথা! সেই নদীকে সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাস্তার পাশের দোকানপাট, বাড়িঘর সব ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। সেখানে খাল হবে! ঢাকার প্রাকৃতিক খালগুলোর একটিরও অস্তিত্ব নেই - এখানে ভিটে উচ্ছেদ করে নতুন খাল হবে!


এভাবে এগিয়ে চলছে উল্টো রথে প্রাচীন পথে ঢাকার 'অগ্রযাত্রা'। নাকি পশ্চাৎযাত্রা! অগত্যা আমরাও আছি এর অংশ হয়ে। আপনিও আছেন সহযাত্রী হয়ে! গাড়িতে চলার খরচ বেঁচে যাবে আপনার। ক্রেডিট গউস টু হুম?


[ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি শেষে এত দীর্ঘ হলো যে, ব্লগে পোস্ট করতে হলো!]

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভয়াবহ অবস্থা । গ্রাম আরো উন্নত হলে সবাই গ্রামে চলে যাওয়া বেটার হবে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কেউ কেউ গ্রামে যেতে শুরু করেছে। কিন্তু জীবিকার উপায় ছাড়া গ্রামে গেলে যে না খেয়ে মরতে হবে! সেটি হলে কে পড়ে থাকে ইটপাথরের এই জঙ্গলে?

কবিকে অনেক ধন্যবাদ :)

২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঢাকা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে বেড়ে ওঠছে, এব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।

কিছুদিন আগে রেল সেতু সহ চারলেন দোতালা পদ্মা সেতুর সাথে ভারতের একটি সরু সেতুর তুলনা করে অনেক ফাজলামো করেছিল মিডিয়াগুলো। ফেবুতেও এ নিয়ে মাতামাতি হয়েছিল অনেক।
তবে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ-আমলারা দুর্নীতি করে না, একথা পাগলেও বলবে না।
সরকারি দুর্নিতি এদেশের বড় একটি সমস্যা।

বিশ্বে সড়ক নির্মাণে বাংলাদেশে ব্যয় সবচেয়ে বেশি হয়। এটা হবেই।
নির্মান খরচ বৃদ্ধির কারন দুর্নীতি একটি। ছাড়াও আরো কিছু কারন আছে। কারনগুলো ইচ্ছাকৃতভাবেই উল্লেখ করেনা মিডিয়াগুলো।
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ-আমলারা দুর্নীতি করে না, একথা পাগলেও বলবে না।
সরকারি দুর্নিতি এদেশের বড় একটি সমস্যা।

রাস্তার মাপ ইচ্ছাকৃত ভাবে অষ্পষ্ট রেখে ৭০০ ফুট ৪ লেন ডিভাইডেড হাইওয়ের সাথে ১০০ফুট সাধারণ ২ লেনের হাইওয়ের তুলনা হয়েছে কিনা, নিশ্চিত না।
কিছুদিন আগে রেল সেতু সহ চারলেন দোতালা পদ্মা সেতুর সাথে ভারতের একটি সরু সেতুর তুলনা করে অনেক ফাজলামো করেছিল মিডিয়াগুলো।

বিশ্বের যেকোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশে রাস্তা তৈরিতে খরচ দু-তিন গুন বেশী হতে বাধ্য।
এটা ৪গুন হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই।
বিদেশে রাস্তা তৈরিতে মাটি ফেলে উচু না করলেও চলে। পাথুরে ভুমি সমান করে এশফল্ট-বিটুমিন মিকচার ঢেলে রোলার চালিয়ে দিলেই রাস্তা হয়ে যায়।

এদেশে নীচু ভুমি খালবিল সহ রাস্তা এক দেড় মাইল পরপর ব্রীজ বা কালভার্ট, আর মাটি ভরাট করে ফ্লাড লেভেল করতে চার লেন রাস্তাটি ক্ষেত্র ভেদে ১৫ থেকে ২৫ ফুট পর্যন্ত উচু করতে হয়, কিছু যাগায় পাইলিংও করতে হয়। বিদেশে ড্যাম তৈরিতেও এত উচু করা লাগেনা।
আর রাস্তা/ রেলরোড তৈরিতে জমি এদেশে ওসব দেশের মত ফ্রী না। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘনবসতির দেশ। এখানে প্রতি ইঞ্চি জমি বাজার মুল্যে কিনতে হয়। বাংলদেশে কোন কোন এলাকার জমির দাম আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির জমির দামের চাইতে বেশি, এ রকম তথ্য কিছুদিন আগে একটি পত্রিকা তুলে ধরেছিল। ইতিমধ্যে দেশে ভূমি অধিগ্রহণ আইন সংশোধিত হয়ে ভুমি অধিগ্রহনে সরকারি ক্ষতি পূরণের হার ক্ষেত্রভেদে ২০০% থেকে ৩০০% বাড়ানো হয়েছে। রাষ্ট্র ধনী না হলে এটা পারতোনা।

চীন, ভিয়েতনাম, রাশীয়ার মতদেশে সব জমি রাষ্ট্রের, সড়ক তৈরিতে ক্ষতিপুরন দিতে হয় না। বিটুমিন বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে প্রায় ফ্রীতেই পাওয়া যায়, রাস্তার পাশে পাহাড় পাথরও ফ্রী।
আমাদের দেশে পাথর ও বিটুমিন নগদ ডলারে কিনে জাহাজ ভাড়া দিয়ে আনতে হয়, এসব ইচ্ছাকৃতভাবে বিবেচনা করেনা হলুদ মিডিয়া গুলো।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হাসান ভাই, বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অতিরিক্ত খরচের পেছনে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন; সে সাথে দুর্নীতি এবং অপপরিকল্পনাকেও দায়ি করেছেন। আর কিছু বলার নেই।

ভালো থাকবেন :)

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

এম এ কাশেম বলেছেন: আমাদের দেশে আগে করতো চুরি এখন করে ডাকাতি।
আমাদের ডাকাতগুলো ধনী, তাই তাহাদের ডাকাতির অঙ্কও বড়, তাই খরচের অঙ্কও বড় হবে স্বাভাবিক।
অথবা খরচের অঙ্ক বেড়ে যাওয়ার পিছনে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র আছে।


২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


//খরচের অঙ্ক বেড়ে যাওয়ার পিছনে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র আছে// হাহাহা :)

কাশেম ভাই, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

৪| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:


দেশে যখন মগজহীন এমপি মন্ত্রী আছে দেশের অবস্থা তো এমন হবেই । আর আমাদের দেশে রাজনৈতিক লাইনে পড়াশোনায় এগিয়ে থাকা কেউ আসে না, আসে হচ্ছে যারা অনিয়মিত, এলাকার যে সব ছেলেগুলোর খারাপ তকমা আছে তারা । দেশের অবস্থা আর ভাল হবে কী করে ? দেশকে, দেশের অবকাঠামোকে এগিয়ে নিতে হলে তো জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ লোক দরকার । তা তো আমাদের সরকার, রাজনীতিতে বেশ অপ্রতুল ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কথা সত্য। সে সাথে দরকার দেশের মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল নেতৃত্ব।

কথাকথিকেথিকথনকে অনেক ধন্যবাদ :)

৫| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

জাহিদ অনিক বলেছেন: ইস্রাফিলের সিঙ্গাটা হাতে পেলে,
এক ফুসফুস বাতাস ভরে উগড়ে দিতাম ঢাকা শহরটার বুকে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

হুম... মাঝে মাঝে মন খুব বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

ধন্যবাদ, জাহিদ অনিক :)

৬| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উন্নয়নের মহা সড়কে বাংলাদেশ!!!!!!

আপনি কি সব তত্য দিয়েছেন সব দেশবিরোধীদের চক্রান্ত মূলক কথা!!!!
দেশৈর উন্নয় হচ্ছে বলেই তো গাড়ী বেড়েছ। তাই যানজট বেড়েছে! তাই জলাবদ্ধতা বেড়েছে!২০২০ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হবো আমরা!
আপনারা খালি দুষ ধরেন!!!!

এমন অর্বচাণী বোধ নিয়েই সমর্থকরা ডিফেন্ড করে! নমনু এই পোষ্টেও আছে ;) :P

এই নিয়েই ঢাকায় আছি ! ইতিহাসের অংশ হয়ে, হতে :( এক বিশাল ব্যার্থ রাজধানী আর তার অধিবাসী হবার ইতিহাস!!!!

দু:খজনক।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
এই মহাসড়ক থেকে মানুষ এবার মুক্তি চায়।

ধন্যবাদ, কবি বিদ্রোহী ভৃগু :)

৭| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

সুমন কর বলেছেন: ১০০% সহমত। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা বুঝি বাসেই থাকি !! (২০/২৫ মিনিটের পথ দেড় ঘণ্টা লাগে)
+।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ঢাকার মানুষের জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় হয় গাড়িতে.... বাড়িতে নয় :)

৮| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১

প্রামানিক বলেছেন: "ঘোড়াতে চড়িয়া মর্দ হাঁটিয়া চলিল" আমারো সেদিন সেই অবস্থা হয়েছিল। গত ১৬ তারিখে আমার বড় ভাইয়ের হজ্জ ফ্লাইট ছিল। তার সাথে দেখা করার জন্য মতিঝিল থেকে তিন ঘন্টা আগে রওনা দিয়ে মৌচাক যেতেই একঘন্টা পার হয়ে গেল। অগত্যা গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করে দিলাম। মগবাজার গিয়ে অন্য গাড়িতে চড়ে যখন হজ্জ ক্যাম্পে পৌছলাম ঠিক তার পাঁচ মিনিট আগে বড় ভাই ইমিগ্রেশন রুমে ঢুকে পড়েছে। আমার পক্ষে আর তার সথে দেখা করা সম্ভব হলো না। বাসের ভাড়াও দিলাম, রাস্তাও হাঁটলাম, দেখাও করতে পারলাম না, এ দুঃখ কার কাছে বলবো- - - - -?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এরকম অভিজ্ঞতা ঢাকার প্রতিটি মানুষের।

ধন্যবাদ, প্রামানিক ভাই, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য দিয়ে যুক্ত হবার জন্য :)

৯| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

আল ইফরান বলেছেন: আমি এই জন্য এখন আর মনের দুঃখে বাসে উঠি না অথবা যথাসম্ভব এড়িয়ে যাই।
কাছাকাছি দুরত্ব (৪/৫ কিলো) হলে চেস্টা করি গলি-ঘুপচি ধরে হেটে যাওয়ার অথবা রিকশাতে পাড়ি দেয়ার।
তবে সমস্যায় পড়তে হয় যখন শহরের এই মাথা থেকে ঐ মাথায় কোন কাজে যেতে হয়।
দিন যত গড়াচ্ছে ততই এই শহর বসবাসের অনুপোযুক্ত হয়ে উঠছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


//সমস্যায় পড়তে হয় যখন শহরের এই মাথা থেকে ঐ মাথায় কোন কাজে যেতে হয়//
//দিন যত গড়াচ্ছে ততই এই শহর বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠছে//


এরকম অসহায় অবস্থা আগে কখনও ছিল না :(

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

সোহানী বলেছেন: "সবাই নিজ নিজ পরিকল্পনা এশহরের মানুষগুলোর ওপর দেদারছে ঢালছে।" এর চেয়ে সত্য আর কিছু নেই।

ভাইরে কারে কি বলবেন। কানে দিয়েছি তুলো, চোখে দিয়েছি ধুলো...... সরকার বলেন মিনিস্ট্রি আমলা বলেন বা নেতা বলেন, সবারই একটাই ধান্দা কিভাবে টাকা কামাবো, বিদেশে ইনভেস্ট করবো ও সময়মত পালাবো। মাঝে মাঝে ভাবি, এদের কি একটু ও চক্ষু লজ্জা নেই। ঘৃনা, একরাশ ঘৃনা....... এতোটা ভয়াবহ পরিস্থিতি মনে হয়না কোনকালে ছিল। আতংক লাগে সব কিছু ভেবে। কিভাবে বাঁচবে পরবর্তী প্রজন্ম, আফ্রিকার সেই অসভ্য দেশের মতো হয়ে যাচ্ছি।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//কানে দিয়েছি তুলো, চোখে দিয়েছি ধুলো...// আর হাতে পেয়েছি মূলো, প্রতিশ্রুতি আর বাগাড়ম্বরপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে দেশের মানুষকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা চলছে। এদের চক্ষুলজ্জা নেই। পরবর্তি প্রজন্ম কি করবে, বর্তমান প্রজন্মকে নিয়েই তো এদের ভাবনা নেই। একরাশ ঘৃণা। অসভ্য দেশের মতো হয়ে যাচ্ছি। আমার কথাগুলোই বললেন, সোহানী। অনেক ধন্যবাদ, মন্তব্যের জন্য :)

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল ,



সারাটা সময় চোখের সামনে দেখেও, ভুক্তভোগী হয়েও তা বুঝতে না পারলে যে ধরনের ভবিষ্যত অবশ্যম্ভাবী, তা নিয়ে যা যা সত্য লিখেছেন তার মূল সুর একটাই --- পরিকল্পনা করাই হয় দিশাহীন দূর্নীতির সুযোগ যেন সেখানে থাকে ।

একটা পুরোনো গল্পের থীম নিয়ে আরেকটি গল্প ফাঁদা যাক যা বলতে চেয়েছি তা বোঝাতে ------
পরিকল্পনা করা হলো যে এলাকায় একটি বিশাল পুকুর খনন করা হবে এলাকাবাসীর পানীয় জলের অভাব দূর করতে । টেন্ডার হলো । পুকুর কাটার আগেই টাকার ভাগবাটোয়ারা যা হবার তা হলো । কোরবাণী সামনে তাই চাই বাড়তি টাকার যোগান । সে টাকার যোগানে আবার পরিবর্তিত পরিকল্পনা করা হলো, জায়গাটি বাছাই ঠিক হয়নি , ওটা অন্য জায়গায় করলে জনগণ বেশি সুফল পাবে । আবার নতুন টেন্ডার ডাকা হলো । এর মধ্যে কিন্তু আগের জায়গায় কাগজে কলমে পুকুর কাটা হয়ে গেছে আর নতুন পরিকল্পনার ফলে কাটা পুকুর ভরাট করাই যুক্তি সঙ্গত । করাও হলো তাই । পুকুর না কেটেই কাটা ও ভরাট করার জন্যে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে যা খসার তা খসানো হলো । আর নতুন পরিকল্পনাটির জন্যে পরিকল্পনা দপ্তর ব্যস্ত হয়ে পড়লো ।
কর্তাব্যক্তিরা ৭/৮/৯/১০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনে একেকজনে কোরবাণীর ব্যবস্থা করে ফেললেন ।

টাকা লাগবে ? পরিকল্পনা বানাও .......................... আমরা এই চক্করে পড়েছি ।

ক্রেডিট গউজ টু অল পরিকল্পনাবিদ ............... :(

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এক গল্পে সব ফায়সালা করে দিলেন, জী এস ভাই :)
এসব গল্পকে এরা মরতে দেবে না।

//টাকা লাগবে? পরিকল্পনা বানাও!... ক্রেডিট গউস টু পকিল্পনাবিদস// ;)

অনেক ধন্যবাদ.... বিগব্রো!

১২| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: লোভের মাত্রার এতটাই অাধিক্য ঘটেছে যে সমাজের উঁচু-নিচু সকলেই যেভাবে পারছে থলে ভরানোর ধান্ধায় রয়েছে। তাই এখানে যা কিছুই হচ্ছে কোনটাই টেকসই না। এই অত্যাচার আরো দশক দুই চলবে। তারপর কিছুটা হলেও শান্তি মিললেও মিলতে পারে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

//সমাজের উঁচু-নিচু সকলেই যেভাবে পারছে থলে ভরানোর ধান্ধায় রয়েছে। তাই এখানে যা কিছুই হচ্ছে কোনটাই টেকসই না।//

আরও দুই দশকের পরও কি বাঁচবো?
অবস্থা চরম খারাপের দিকে যাচ্ছে - প্রাকৃতিক নিয়মে কিছু পরিবর্তন আসতেও পারে। কে জানে!

আখেনাটেনকে অনেক ধন্যবাদ, গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য :)

১৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ভাবতে অবাক লাগে এমন অচল শহরকে সচল করতে যতনা উদ্যোগ তার চেয়ে বেশি উদ্যোগ আশেপাশের ঝিল আর বিল ভরাট করে নতুন মানুষ আমদানীর ব্যবস্থা করা।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ধন্যবাদ চিন্তিত নিরন্তর!

নদী বা খাল বাঁচাতে তত বাজেটের প্রয়োজন পড়ে না, যতটা প্রয়োজন নতুন খননে ;)
অতএব....

১৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:২৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: খুবই নির্মম সত্যবচন বলেছেন। আমিও ঢাকা নিয়ে একটা রিপোর্ট দেখেছিলাম আর বেশী দিন নেই এভাবে চললে গাড়ির গড় গতি পায়ে হাটার সমান হবে।

দেশে বড় বড় ফ্লাইওভার হচ্ছে, সত্যিকার অর্থে এগুলো জ্যাম নিয়িন্তনে কোন কাজে আসবে না বরং ফ্লাইওভারের কারনে ব্রিজের নিচের রাস্তা ব্লক হয়ে থাকে সেখানে গাড়ি চলতে পারে না, টং দোকান করে হকাররা, পায়খানা প্রসাব করে ভরে ফেলে, মেয়র হানিফ ফ্লাই ওভার তার জলন্ত প্রমান। তারপর ও টু পাইস কামানোর জন্য এই ধরনের ফ্লাই ওভার করা হয়।
পৃথিবিতে সব দেশের শহরগুলোতে মেট্রো ট্রেন করা হয়, যেমন থাইলেন্ডে আছে স্কাই ট্রেন, জাপান, পাশের দেশ ইন্ডিয়াতে আছে ইন্টার সিটিট্রেইন, মেট্রো।

সরকার আন্তরিক হলে ভোটের রাজিনিতির চিন্তা বাদ দিয়ে মেট্রো, স্কাই ট্রেইন প্রকল্প দ্রুত করা দরকার, সতে জ্যাম কমবে। আরো সুদুর প্রসারি চিন্তা করলে বিকেন্দ্রীকরণ করা দরকার, সব ব্যাবসা প্রতিস্থান, সরকারি অফিস সারা দেশে ছরিয়ে দেয়া দরকার, সব কিছুই আমাদের ঢাকা কেন্দ্রিক। এছারা আর আমাদের রক্ষা নেই।

সময় উপোযোগি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

কাছের মানুষ! অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। এজন্য ধন্যবাদ।

ফ্লাইওভার বলুন আর খালখনন বলুন... কোন কিছুর সাথে কোন কিছুর সমন্বয় নেই। প্রত্যেকটি নিজ নিজ গতিতে চলছে। এজন্য খরচ হচ্ছে এবং তথাকথিত উন্নয়নও হচ্ছে, কিন্তু ঢাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয় নি এক বিন্দু।

ভালো থাকবেন... :)

১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই জন্যই আমি ঢাকায় যাইতে চাই না।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


বিশেষ কোন দাওয়াত না পেলে আসার দরকারও নেই ;)

১৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



জাতীয় বিশৃংখলা চরম রূপ নিয়েছে ঢাকা শহরে; শহরের প্রশাসন নিশ্চয় বিশ্বের সেরা উজবুকেরা, যারা আবার মগদের মতো নীতিহীন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


মগদের মতো নীতিহীন...হাহাহা :)

কাজেই প্রমাণ হচ্ছে। কিন্তু বক্তব্য দিয়ে সব ঢাকতে চায়।

১৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

শায়মা বলেছেন: এমনিতেই যেদিকে তাকাই গাড়ির সমুদ্র বয়ে চলেছে অথই রাস্তায় এর ওপর রাস্তা কাটা, বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা সেই সাথে গাড়িবদ্ধতা! ব্যার্থ নগরায়ন পরিকল্পনা......:(

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


সবকিছুকে ইতিবাচকভাবে দেখলে মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা থাকে।
যেমন... ব্যর্থ নগরে বাস করে... বিদ্রোহী কবিদের জন্ম হচ্ছে। এটি কিন্তু রাজনৈতিক সফলতা ;)

শায়মাকে এখানে দেখে স্তম্ভিত বিস্মিত এবং পরিশেষে আনন্দিত হলাম :)

১৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২২

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার এই পোস্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সুলিখিত একটি পোস্ট। ব্লগাররা এমন বিষয়, সাধারণের সমস্যা, জাতীয় ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে, লিখবে তাই তো কাম্য! ভালো লাগল, আর নিচে কিছু অতি সুন্দর কমেন্ট ভালো লাগাকে বাড়িয়ে তুলল বহুগুণে। সবমিলে বলব, ব্লগিং এমনই হওয়া উচিৎ।

ভালো থাকুন।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


ঢাকার নাকাল অবস্থা নিয়ে মস্তিষ্ক বিষাক্ত হয়ে আছে বহুদিন থেকেই। বিষে বিষক্রিয়া! লেখার চেয়েও বেশি খারাপ অবস্থা। সময় থাকলে আরও লেখবো। সামুর 'বিরাট মাপের' পাগলীকে এরকম একটি ভয়ঙ্কর আলোচনায় পেয়ে আনন্দিত :)

১৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৩৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ঢাকা শহর পরিকল্পনাহীনভাবে গড়ে ওঠছে তা নয় - বরং এখানে আছে অগণিত পরিকল্পনা - চমৎকার বলেছেন কথাটা।
বারোমাসের কাজকে বলা হয় ‘সাময়িক’। তাছাড়া ওই কর্তৃপক্ষটা যে আসলে কে বা কারা, সেটিও বিরাট প্রশ্ন -- X((
ঢাকার প্রাকৃতিক খালগুলোর একটিরও অস্তিত্ব নেই - এখানে ভিটে উচ্ছেদ করে নতুন খাল হবে! - তুঘলকি কান্ড আর কাকে বলে?
অথবা খরচের অঙ্ক বেড়ে যাওয়ার পিছনে বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র আছে (৩ নং মন্তব্য) -- :)
বাসের ভাড়াও দিলাম, রাস্তাও হাঁটলাম, দেখাও করতে পারলাম না, এ দুঃখ কার কাছে বলবো (৮ নং মন্তব্য)? -- এক ঘন্টার পথ তিন ঘন্টা আগে রওনা হয়েও অতিক্রম করতে পারলেন না, প্রামানিক? হজ্জ্বগামী ভাইটির সাথে দেখা হলোনা? সত্যিই বড় দুঃখের কথা। এইতো মাত্র ক'দিন আগে হাতির ঝিলে একটা পয়েন্টে দেড় ঘন্টা ঠায় আটকে ছিলেন বহু যাত্রী তাদের যানবাহনে। পরে জানা গেল, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গুলশানে এসেছিলেন, আইভী রহমানের দোয়া মাহফিলে অংশ নিতে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই সর্বাগ্রে বিবেচনাযোগ্য। কিন্তু মহানগর পুলিশ কি বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিতে পারতো না? কিংবা রাস্তা ব্লকেডের সময়টুকু আরেকটু কমিয়ে আনতে পারতোনা?
পরিকল্পনা করাই হয় দিশাহীন দূর্নীতির সুযোগ যেন সেখানে থাকে -- বিলক্ষণ সত্য কথাটিই বলে গেছেন আহমেদ জী এস ১১ নং মন্তব্যে।
জটিল জটের একটি চিত্র এঁকেছেন। কে এর জট খুলতে পারবে?

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

এদের 'সাময়িক' দুর্দশা থেকে কি ইহকালে মুক্তি পাবো, জনাব খায়রুল আহসান?

লেখা এবং মন্তব্য উভয়ই পড়ে একটি পরিশীলিত মন্তব্য দেওয়া আপনার স্বভাব। এটি আমি অর্জন করতে চাই :)

২০| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

বিষাদ সময় বলেছেন: যথার্থই বলেছেন। সেদিন আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট আসতে লাগলো পৌনে দু'ঘন্টা। এখনই বৃষ্টির দিনে যানবাহনে না চড়ে হেটে গেলে গন্তব্যে আগে পৌঁছানো যায়। ধন্যবাদ ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বিষাদসময় সময়ে বাস করছি। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন :)

২১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২০

নক্ষত্র নীড় বলেছেন: ঢাকা এখন এক জঘন্য নগরী।
ধন্যবাদ।এবং আমন্ত্রণ রইল।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


এই শহরের কি মাতাপিতা নেই?

২২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

বিজন রয় বলেছেন: তাই হোক, তবে তাই হোক।

গাড়ী বাদ দিয়ে মানুষ হাঁটুক বেশি বেশি।
তাহলে সুস্থ থাকতে পারবে বেশি দিন।

এমনিতেই এদেশিরা প্রচন্ড অলস।

তবে আমি ভাই আর বেশি দিন ঢাকায় থাকবো না।

মইনুল ভাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


প্রচণ্ড অলস... কোন সন্দেহ নেই। এর বখরা দিতে হচ্ছে সকল পর্যায়ে... আর যে কতদিন দেবো কে জানে :(


তবে কিছু ভয়ানক ভালো ব্যতিক্রমও আছে... যা থেকে মাঝেমাঝে শান্তি পাওয়া যায়
অলস না হলে হঠাৎ কোন সূর্যসেন সুভাষ ক্ষুদিরাম বা মুজিব গর্জে ওঠতো কি? ;)


কবিকে অনেক কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা....

২৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

করুণাধারা বলেছেন: ভাল বলেছেন। গাড়ীর বদলে নৌকা বা রিকশা চলবে, সেই রিকশাও বিচিত্র কায়দায় রিকশাচালক সাঁতার কাটতে কাটতে টানবেন! আমার গাড়ী একই জায়গায় ৪৫ মিনিট জ্যামে আটকে।ছিল। ইতিমধ্যে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হল।এইটুকু সময়েই পানি জমে গেল। গাড়ী গেল বন্ধ হয়ে। আমার কোমরসমান পানির মধ্যে দিয়ে হাঁটতে পারতাম না। একটা রিকশা পাওয়ায় বেঁচে যাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


গরিবের জন্য রিকশাই ভরসা.... :)

২৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৫৩

জেন রসি বলেছেন: পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থের লেনদেন হচ্ছে। ভাগ বাটোয়ারা হচ্ছে। কিছু পরিকল্পনা বাস্তবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিছু পরিকল্পনা ঝুলে থাকে বাসে ঝুলে থাকা মানুষের মত। কিন্তু বিকেন্দ্রীকরণের যে পরিকল্পনার দরকার তা কেউ করছেনা। বাস্তবায়ন করা আরো পরের ব্যাপার। এই একটা কাজ না করলে নগর পুড়তেই থাকবে। কেউ কেউ বাঁশি বাজাবে। আমরা শুনব।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


বাঁশি তো বাজতেই আছে.... শুনুন আর না-ই শুনুন। এবিষয়ে আরেকটি পোস্ট প্রস্তুত করছি। ভালো থাকবেন, জেন রসি :)

২৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:৫২

রিফাত হোসেন বলেছেন: একটা সেরাম___ সুনামি আসলে ঠিক হবার সুযোগ আছে, যা কাম্য নয়। এছাড়া .... :(

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


সুনামি আসার জন্য হয়তো চরম খারাপ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ঢাকা শহরের এখন দাওয়া না দোয়া কোনটার বেশী প্রয়োজন বুঝে পাই না ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

পরিস্থিতি চরমে... দু’টারই দরকার :)

২৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:০৬

অপু তানভীর বলেছেন: থাকুম আর না ঢাকা শহরে । আর দুই বছর তার পর চইলা যামু গা !

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

বাকি দু’বছরেই আপনার জান তামাতামা বানিয়ে দেবে... কথা দিলাম :)

২৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

ইব্রাহিম রাজ বলেছেন: কথাটা আসলেই সত্যি।

৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, ইব্রাহিম রাজ!

২৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০৮

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ব্লগে পোস্ট দিয়ে ভালো করেছেন মইনুল ভাই। আমার ধারনা, এক সময় মানুষ ঢাকা ছেড়ে মফঃস্বল বা গ্রামের দিকে ছুটবে। সে দিন আর খুব দূরে নয়। সব কিছু স্থবির হয়ে গেলে মানুষ ঢাকায় থেকে কী করবে? যে আশায় ঢাকায় আসা, সেই আয় রোজগারই তো বন্ধ হয়ে যাবে স্থবিরতার কারণে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪০

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


ঢাকা কীভাবে ছাড়া যায়, চিরতরে, ভাবতেছি। কবে যে সিদ্ধান্তে আসতে পারবো জানি না। দোয়া করবেন, আবুহেনা ভাই :)

৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমরা বেশি করে হাঁটা প্র্যাকটিস করি। স্বাস্থ্যের উপকার হবে।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:২২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ঢাকার রাস্তায় এখন এমন অদ্ভুত যানজট আর জনজটের সৃষ্টি হয়, যাতে পথচারির অধিকারটুকুও অবশিষ্ট থাকে না!

৩১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: ঈদ মোবারক।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


ঈদ মোবারক! ধন্যবাদ।
আশা করি দিনটি ভালোই কেটেছিল, প্রিয় কবি :)

৩২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

জুন বলেছেন: ট্রাফিক জ্যাম, জলাবদ্ধতা, বারোমাসি খুড়াখুড়ি, ত্রুটিপূর্ণ/সরু রাস্তা, আগের আমলের ট্রাফিক সিস্টেম, বাইপাস বিহীন সড়ক, মাঝ রাস্তায় পার্কিং ইত্যাদি ‘সুবিধা’ ধরে রাখার কারণে ঢাকা পৃথিবীর একমাত্র আদিম শহরে ‘উন্নীত’ হতে যাচ্ছে।
হয়তো স্বার্থপর ভাববেন কিন্ত এই ট্রাফিক সিস্টেমের কথা মনে হলে আমার আর ফিরতে ইচ্ছে করে না । নইলে নিজের দেশ ছেড়ে পরভুমে কার ভালোলাগে ।
আমি একদিন মহাখালী ফ্লাই ওভারের উপরে পাক্কা দেড় ঘন্টা বসে আছি। গন্তব্যে পৌছাতে প্রায় চার ঘন্টা লাগলো ২০ মিনিটের পথ। কিযে পাইপ বসানো আর কিযে আইল্যান্ড ভাংগা বুঝি না কিছুই।প্রতিটি পরিকল্পনা করা হয় আমাদের দেশের নেতা ও সরকারী কর্মচারীদের অসীম দূর্নীতির সুযোগ নিতে।
+

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

জুনা আপা, একদম ঠিক বলেছেন।

দেশের রাস্তাঘাটের অবস্থা এত খারাপ আর কখনও দেখি নি। ৩ঘণ্টার রাস্তা লাগে ৮ঘণ্টা। নিয়মিত হয়ে গেছে। জানি কখন এ অবস্থার উন্নয়ন হবে। ভালো থাকুন, যেখানেই আছেন :)

৩৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০৬

কালীদাস বলেছেন: বছর দুয়েক আগের কথা। ইউরোপের কোন এক দেশের রাজধানীতে বেড়াতে গেছি। এয়ারপোর্ট থেকে ফ্রেন্ডের বাসায় যাচ্ছি, ফ্রেন্ডের বাবা গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রাত হয়ে গিয়েছিল, তারপরও ট্রাফিক মুটামুটি ভালই ছিল। আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন ভদ্রলোক, তোমাদের রাজধানীতে লোকসংখ্যা কত? বললাম, প্রায় ২০ মিলিয়ন। ভদ্রলোক এতটাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে গাড়ির কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছিলেন এক পলকের জন্য, লাকিলি কোন এক্সিডেন্ট করিনি।

এটাই আপনার পোস্টের উত্তর। ছেচল্লিশ বছর হয় দেশ স্বাধীন হয়েছে, এগ্রো বেসড ইকোনোমি থেকে ধীরে ধীরে হলেও ইন্ডাস্ট্রিয়ালের দিকে মুভ করছি আমরা, কেউ কোনদিন ভাবেনি বিকেন্দ্রীকরণের কথা। পলিটিকাল সরকার বলেন আর অদম্য মেধাবী(!), জাতির গৌরব আমলাদের কথাই বলেন। ব্রিটিশরা যে ইনফাস্ট্রাকচার রেখে গেছে, সেটার এক্সটেনশন পরিকল্পিতভাবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে কেউ করেনি। ২ কোটি লোক থাকার জন্য ইউটিলিটি সার্ভিসগুলোর যে সিনক্রোনাইজেশন থাকা দরকার, সেটা কেউ করেনা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই শহরটাকে ঠিক করার একমাত্র উপায় হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে এভাকুয়েট করে ডায়নামাইট দিয়ে সবকিছু গুড়িয়ে দেয়া, তারপর নতুন করে শুরু করা শূন্য থেকে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৮

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

আপনার চিন্তাশীল মন্তব্যগুলো নিজেই একেকটি পোস্ট।

//ইউটিলিটি সার্ভিসগুলোর যে সিনক্রোনাইজেশন থাকা দরকার// যারা দেশ বা নগরের কর্তৃপক্ষ, তাদের জীবনেই সিনক্রনাইজেশন নেই। তাছাড়া এত দেশ ভ্রমণ করেও ওরা জানলো না, কীভাবে নিজের শহরকে বাসউপযোগী করতে হয়। গুঁড়িয়ে দিয়ে আবার গড়ে তোলা ছাড়া আর তো উপায় দেখছি না।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। দুঃখিত দেরি হয়ে গেলো উত্তর দিতে :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.