নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিরাপত্তা, জনপ্রিয়তা এবং সহকর্মীদের আনুগত্য একজন নেতার জন্য খুবই দরকার। দীর্ঘদিনের নিবেদিতপ্রাণ নেতৃত্বের জন্য এগুলোকে নেতার অর্জন বলেই বিবেচনা করা উচিত। অথচ শুরুতে এগুলো প্রলোভন হয়েই আসে। প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিদের জন্য এগুলো ফাঁদ হিসেবে কাজ করে। নিরাপত্তাকর্মীই নিরাপত্তার জন্য একনম্বর হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। সবচেয়ে অনুগত কর্মীটি কর্তৃপক্ষের আস্থার সুযোগে হয়ে ওঠে সবচেয়ে দুর্নীতিবাজ। নিজের নিরাপত্তার জন্য নিযুক্ত ‘আত্মীয় সহকর্মীটি’ অন্যান্য পেশাদার কর্মীদের জন্য ফ্রাংকেনস্টাইন হয়ে পুরো প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখে ফেলে। অতিরিক্ত নিরাপত্তাবোধ, তথা জনপ্রিয়তা লাভের আকাঙক্ষা, তথা নিজেকে সকলের মনযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার ইচ্ছা দায়িত্বশীল মানুষদেরকে নিষ্ক্রীয় করে তোলে। এগুলো দায়িত্ব পালন, সিদ্ধান্ত গ্রহণ অথবা পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করার প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এসবই নেতার জন্য প্রলোভন। এরকম সাতটি প্রলোভন নিয়ে আজকের লেখাটি।
প্রলোভন ১/ নিজের নিরাপত্তা... কমফোর্ট জোন
নিরাপত্তা একটি ফাঁদের নাম। আরাম একটি ভণ্ড প্রেমিকার (প্রেমিকের) নাম। নিরাপত্তাবোধ একটি কারপুরুষোচিত অনুভবের নাম। কথাগুলো গড়পরতা কোন মানুষের জন্য নয়। বলছি, নেতার কথা। নেতা যতক্ষণ নিজের নিরাপত্তা আর আরামের বিষয়ে ব্যস্ত থাকেন, ঠিক ততক্ষণ তার দল বা প্রতিষ্ঠান থাকে অবহেলিত। কমফোর্ট জোন একটি দল বা প্রতিষ্ঠানের জন্য মঙ্গলজনক, কিন্তু নেতার জন্য বিপদজনক। নেতার জন্য প্রথম প্রলোভন হলো, নিজের নিরাপত্তায় মগ্ন থাকা। এই বাক্স থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত নেতা কোন ‘আউট-অভ-দ্য-বক্স’ চিন্তা করতে পারেন না, কিন্তু দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, কোন সাহসী গন্তব্যের দিকে দলকে পরিচালনা দিতে পারেন না। ম্যাকিয়াভেলি বলেছেন, বিপদের মুখোমুখি না হয়ে মহৎ কিছু অর্জিত হয় নি।
প্রলোভন ২/ প্রাপ্তির প্রয়োজনীয়তা... সবকিছুতে বিশেষ হবার আকাঙ্ক্ষা
অতিরিক্ত প্রাপ্তির লোভ নেতাকে দিকভ্রষ্ট করে। অতিরিক্ত শ্রদ্ধাবোধ, দলের সদস্যদের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত মনযোগ, অতিরিক্ত সেবা ও অতিরিক্ত অর্থের আকাঙ্ক্ষা - এসবই নেতার জন্য প্রলোভন। অর্থ ও বস্তুগত প্রয়োজনীয়তার কোন অন্ত নেই। মাসলো’র চাহিদা বিধি অনুসারে, মানুষের প্রয়োজনীয়তা ক্রমবর্ধমান। একটি পাবার সাথে সাথে এরচেয়ে উচ্চতর আরেকটি পাবার ইচ্ছা হয়। মোটরবাইকের মালিক হবার পর, গাড়ির মালিক হবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। গাড়ির মালিক হবার পর দেখা যায়, সেটি অন্যান্য গাড়ির মতো আকর্ষণীয় নয়। তখন গাড়ির ব্রান্ড পরিবর্তন করার ইচ্ছে হয়। ইত্যাদি। এটি হতেই পারে। অভাব অনুভব করা, আর যেকোনভাবে সে অভাবকে পূরণ করার জন্য বেপরোয়া হলেই সেটি অপরাধের দিকে নিয়ে যায়।
প্রলোভন ৩/ সম্পর্কের সুবিধা... একই সাথে ফাঁদ এবং সুযোগ
অনৈতিক সুবিধা। পদ ও সুখ্যাতির কারণে অনেক লোভনীয় সম্পর্কের সুযোগ হয়। বিপরীত লিঙ্গের এমন কাওকে পেয়ে যাবেন, যাকে দেখেই মনে হবে তাকে কাছে টানি; তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ি। হয়তো চাইলেই পেয়ে যাবেন। নেতাকে মনে রাখতে হবে, এটি শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার নয়, এটি শুধু অনৈতিকতা নয়, এটি শুধু আপনার জনপ্রিয়তাকে কমিয়েই ছাড়বে না - এটি আপনার অতীত ও বর্তমানকে ধূলিস্যাৎ করে ছাড়বে। তিলে তিলে গড়া ব্যক্তি ইমেজকে, আপনার প্রতিষ্ঠানকে, আপনার কর্মীদলকে পরিচালনা দেবার আত্মবিশ্বাসকে, আপনার হুকুম দেবার শক্তিকে নিমিষে শেষ করে দেবে। পরদিন সকালে আপনি বের হবার শক্তিটুকু পাবেন না। এটি নেতৃত্বের প্রধান এবং প্রাচীণতম প্রলোভন, ইতিহাসে এবিষয়ে দৃষ্টান্তের অভাব নেই। কিন্তু অতিক্রম করতে পারলে এখান থেকে অপরিমেয় সম্ভাবনার দরজা খুলে যায়।
প্রলোভন ৪/ জনপ্রিয়তা... এর মিষ্টতাকে উপেক্ষা করাটা একটু কঠিনই
জনপ্রিয়তার প্রয়োজন আছে। এটি সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ করে, যোগাযোগকে সহজ করে। প্রতিষ্ঠান ও বৃহৎ স্বার্থকে অক্ষুণ্ন রেখেও জনপ্রিয়তা পাওয়া গেলে, সেটি সোনায় সোহাগা। কিন্তু সেটি যদি না হয়, তবে জনপ্রিয়তা নেতার জন্য একটি বিষের পেয়ালা মাত্র। এতে আসক্ত হবার মানে হলো নেতার অপমৃত্যু। ভক্ত ও সাগরেদ প্রাপ্তির লোভ এবং তাদের প্রতি আপনার বাড়তি দায়বদ্ধতা আপনার অগ্রগতিকে আটকে দেয়। নেতার প্রধান কাজ হলো সংশ্লিষ্টদের আস্থা অর্জন, জনপ্রিয়তা এর স্বাভাবিক পরিণতি। জনপ্রিয়তাকে উপযুক্ত মাত্রায় প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে জনপ্রিয়তাকে এড়িয়ে যাবার মধ্যেই নেতার সফলতা। জনপ্রিয়তা লাভের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নেতার কাজ নয়। নীতিতে অটল থাকতে চাইলে জনপ্রিয়তাকে বিসর্জন দিয়েই নেতাকে এগুতে হয়। যারা ভবিষ্যতকে দেখতে পায় না, তাদের সাথে নেতার ঐক্যমত সম্ভব নয়।
প্রলোভন ৫/ পরিবার ও আত্মীয়... নেতার প্রধান প্রতিপক্ষ তার নিজের লোক
নেতার নিরাপত্তার জন্য এমন সময় আসে, যখন নিজের লোককে পদ বা সুযোগ দেবার প্রয়োজন হয়। নিজের মানুষদের জন্য বা আত্মীয়ের জন্য তার একটি দায় থাকেই। কাছের মানুষকে সুবিধা দেবার দায় সবারই থাকে। এমন সময় আসে যে, নেতা ইচ্ছে করলেই সেটি পারেন। এটি তখনই প্রলোভন হয়ে যায়, যখন নিজের পদের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করতে হয়। পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুবান্ধবকে নিয়মবহির্ভুত সুযোগ পাইয়ে দেবার আকাঙ্ক্ষা নেতার জন্য বড় একটি প্রলোভন। এই প্রলোভনে পড়ে অনেকেই আস্থা হারিয়েছে এবং পদচ্যুত হয়েছে। সিদ্ধান্তগ্রহণ থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত সকল পর্যায়ে প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করবে আপনার নিকটজনেরা। তাদের উপস্থিতি অন্যান্য সহকর্মীদের মধ্যে আপনার পক্ষপাতহীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। আপনার নেতৃত্বকে করবে বিপদসংকুল।
প্রলোভন ৬/ অযাচিত আনুগত্য... বস নাকি প্রতিষ্ঠান?
কর্মীর আচরণে অতিরিক্ত আনুগত্য দেখা গেলে প্রথমেই সন্দেহ করা উচিত - কোন অতিরিক্ত বা অনৈতিক প্রাপ্তির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে সেটি করে থাকতে পারে। আদর্শ নেতা ব্যক্তিগত আনুগত্যের অপেক্ষায় থাকতে পারেন না, কারণ সেটি তার নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তিনি হয়তো অতিরিক্ত অনুগতদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে বসতে পারেন। আদর্শ নেতা চান, কর্মী প্রথমত দল বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি অনুগত হোক। সেটিই নেতার প্রতি প্রকৃত আনুগত্য।
প্রলোভন ৭/ কথা বলার আকুলতা... কথা কাজের প্রতিবন্ধকতা
শ্রোতা পেলে কথা বলার আকুলতায় আসবেই। পদবির খাতিরে কিছু দর্শকশ্রোতা জুটবেই। তারা শুনতেই চাইবে আপনার কথা, কারণ এই কথা থেকে তারা কিছু সিদ্ধান্ত পাবে; দিকনির্দেশনা পাবে। ঠিক একারণেই কথায় নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত, যেন অতিরিক্ত কিছু না বলা হয়। সবাই আগ্রহভরে আপনার কথা শুনবে, অন্তত দেখতে সেরকম দেখাবে। দেখবেন, তারা শুনেই যাচ্ছে। তাতে আপনি হয়তো আরও আগ্রহ পাবেন কথা বলার। কথা থেকে কথার শাখা প্রশাখা বের হয়ে বাক্য থেকে অনুচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ থেকে গল্পে পরিণত হবে। তাতে অনিচ্ছাকৃত কিছু ভুল, কিছু অসর্তক অসত্য, অসময়ের অযাচিত কথা, কিছু মানবিক দুর্বলতার বিষয় বের হয়ে আসবে। এটি আপনাকে সবার সামনে বিপদাপন্ন করবে। শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যৎ কর্মপ্রক্রিয়াকেও করে তুলবে বাধাগ্রস্ত। কাজ করতে চাইলে বক্তৃতা বন্ধ করতে হবে। বক্তৃতা করতে চাইলে কাজ বন্ধ করতে হবে।
----------------------------------------------
এলোমেলো লেখাটি ছুটির দিনের অলস চিন্তার ফসল। ক্রমান্বয়ে পরিমার্জিত হতে থাকবে। ঢাকায় ফিরলাম ৫দিন পর। সবাইকে বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা...
পরবর্তি পর্ব: নেতার শক্তির উৎস।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর ।+
জাতির উন্নয়নে একজন যোগ্য নেতা আবশ্যক।সে বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ। কবিকে আগত নতুন বছরের জন্য অনেক শুভেচ্ছা...
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
জেন রসি বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। এসব বিষয় নিয়ে আপনার খুব গভীর ভাবনা চিন্তা আছে। তাই কিছু প্রশ্ন আপনাকে করা যেতে পারে।
যেসব প্রলোভনের কথা বললেন তা একজন নেতার জন্য ক্ষতিকর এমনটাই বলেছেন। এখন ব্যাপার হচ্ছে এসব প্রলোভনকে বুঝে শুনেও কিন্তু কেউ কেউ নিজের মত করে কাজে লাগিয়ে সারভাইভ করে যেতে পারে। একই সাথে বক্সের ভেতর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে তার বাইরেও যাওয়া যায়। বরং দেখা যায় যারা সুনির্দিষ্ট কোন নৈতিক মানদন্ড ঠিক করে সেটা ফলো করার চেষ্টা করে তারাই একটা বক্সের ভেতর আবদ্ধ হয়ে যায়। এবং তাদের নেটওয়ার্ক হয় দুর্বল।
বাস্তবে যারা প্রায়োগিক দিক থেকে সফল নেতা তারা কি এসব প্রলোভনকে দূরে রেখে সফল নাকি তাদের সফলতার কারন সমস্যা সমাধানের দক্ষতা?(নৈতিক মানদন্ড ফলো না করে)
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক চিন্তাজাগানিয়া মন্তব্য। যেমনটি আপনার কাছ প্রত্যাশিত।
লেখায় একটি মানদণ্ড তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, যা একান্তই লেখকের। নেতা যেসব প্রলোভনে পড়তে পারেন, যাতে তার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, দক্ষতার সংকুচিত হয়, সেটিই এলেখার উপজীব্য। তারপর তিনি কীভাবে প্রলোভন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন, বা আদৌ রাখবেন কিনা, সেটি তার বিষয়। যেমন কর্ম, সেরকম ফল তিনি পাবেন।
আপনি যেকোন আদর্শের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পারেন। ভালো, অথবা মন্দ। পুরোটাই নেতার চিন্তা এবং তার সিদ্ধান্ত। এখানে তিনি পুরো স্বাধীন। কিন্তু সিদ্ধান্তের পরিণতি থেকে তিনি মুক্ত নন। অতএব...
সমস্যা সমাধানে দক্ষতা নেতার শক্তির উৎস, যা পরবর্তিতে আলোচনার ইচ্ছে আছে।
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: কমফোর্ট জোনে আসলে বিকাশ কম হয়। ডেঞ্জার জোনেই আসল মানুষটিকে চেনা যায়, নিজেকে জানা যায়।
তবে, এটা ভেরি করে কোন স্টেজে আছি তার উপরে। যে কোন কাজের প্রাথমিক পর্যায়ে কমফোর্ট জোনে থাকাই শ্রেয়। ধীরে ধীরে যখন গ্রোথ ও ডেভেলপমেন্ট স্টেজের দিকে সে মানুষটি ধাবিত হবে, নিজেকে যত ছড়িয়ে দিতে পারবে, ডেঞ্জার জোনের কোন কোন কিছু কমফোর্ট জোনের ভিতর ঢুকে যাবে। ডেঞ্জার জোনের থাকা বিষয়গুলো যত আয়ত্বে আসবে, কম্ফোর্ট জোনের মাত্রা তত বেড়ে যাবে।
নেতাকে নিজের কমফোর্ট জোনের পরিধি বাড়াতে হবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য। আমার লেখাটির পরিপূরক হিসেবে কাজ করবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শাইয়্যান ভাই
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সাতটি প্রলোভনই মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতা বলে প্রায় সব নেতাই এসব প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করে। তারা কখনোই ভাবে না যে, নেতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মোটা দাগে একটা পার্থক্য থাকে। একজন সাধারণ মানুষ রিপুর তাড়নায় অনেক খারাপ কাজ করতে পারে, অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তাতে তার ব্যক্তিগত ক্ষতি হতে পারে। পরিবার বা বড়জোর সমাজের কিছু ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু একজন নেতা এরকম করলে শুধু তার নিজের, পরিবারের বা সমাজেরই ক্ষতি হয় না, পুরো দেশ ও জাতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
খুব ভালো ভালো একটা টপিকের উপর লিখেছেন মইনুল ভাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার অভিজ্ঞতা অস্বীকার করার উপায় নেই, হেনা ভাই। কিন্তু নেতার ভুল যে কত ব্যাপক ক্ষতি নিয়ে আসতে পারে, সেটি আপনার মন্তব্যে পাওয়া যায়। গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ছুটির দিনের অলস চিন্তার ফসল বর্তমান লেখাটি। এবিষয়ে আমার আগ্রহ অনেক। তাই এলোমেলোভাবে লেখতে শুরু করলাম। সঙ্গে থাকলে ভালো লাগবে।
শুভেচ্ছা... এবং নতুন বছরের জন্য আগাম হ্যাপি নিউ ইয়ার...
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: বাপরে! অনেক সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৬
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০০
সোহানী বলেছেন: মইনুল ভাই যথারীতি কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা।
ভাইরে যা বলেছে তা এক জনের মধ্যে পাওয়ার জন্য ডাইরেক্ট ফেরেস্তা হায়ার করতে হবে। অন্তত দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে কোনভাবেই সম্ভব না। যেমন ধরুন, আপনি একজন ফেরাসত্ আদমী। নিজের কোন নিরাপত্তা বা আরামের ধার ধারে না , কোনই লোভ নেই একেবারে মাটির মানুষ, লোভ নেই, আত্বীয় স্বজনের ধার ধারে না, খুব জনপ্রিয়.... একেবারে আপনার ফর্মুলা অনুযায়ী আদর্শ নেতা। এখন দরুন আপনার এলাকায় টেন্ডার হচ্ছে। আপনি হর্তাকর্তা। সৎ মানুষ হিসেবে কাউকেই পক্ষেপাতিত্ব করবেন না। এখন সমস্যা হচ্ছে এলাকার এমপির শালা বিট করেছে এবং রেইট হায়িস্ট। তাকে এ্যাওয়ার্ড দেবার কোনই সুযোগ নেই। আপনার অফিসের অসৎ কর্মচারী তাকে সাপোর্ট করছে। আপনি তাকে সাপোর্ট করলে নীতি বিরুদ্ধ আর না করলে হয় কল্লা দিবেন না হয় চাকরী ছাড়বেন............. এবার বলেন কোনটা বাছঁবেন????
ভাইরে একা ঠিক হলেই হবে না চারপাশের জগৎ টা ও ঠিক হতে হবে.........
অনেক ভালো থাকেন... পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়। হ্যাপি নিউ ইয়ার।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অত্যন্ত উদ্বেগের একটি বিষয় আপনি তুলে এনেছেন। শতভাগ সহমত।
ভালো থাকাটাই কঠিন হয়ে গেছে। তবে আমি কোন ফেরেসতার চরিত্র বর্ণনা করি নি। একজন নেতার কথা বলেছি, যার দৃষ্টান্ত আমাদের সমাজেই অনেক আছে।
নতুন বছরের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো....
৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ছুটির দিনের এলোমেলো লেখা ভালো লেগেছে
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... ধন্যবাদ। হ্যাপি নিউ ইয়ার...
৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: একজন নেতা কিংবা একজন সর্বোচ্চ পদের লোকের জন্য, এই প্রলোভনই তার চলার পথে আশির্বাদ হয়ে আসে (আমাদের সামাজিক মর্যাদার প্রক্ষীতে)।। খুব কম লোকই এর প্রলোভন এড়াতে পারে।। কারন বাস্তবতায় এসব পাওয়ার জন্যই থাকে তার আপ্রান প্রচেষ্টা!! এটাই তাদের কাছে, সামাজিক মর্যাদা!! তাদের মতে সিড়ি উপরে উঠার জন্যই।।
তাই বলবো, এসব মিলেই আজ আমাদের সমাজ।। আর আমরাও চলবো, এসব প্রলোভন নিয়েই।।
হ্যাঁ, ব্যতিক্রম যে নেই, তাও নয়।। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে, প্রচলিত কথা, বাম রাজনীতিবিদরা অপেক্ষাকৃত সৎ।। আজ কিন্তু তারও ভিত্তি নেই!!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ডান রাজনীতি এমন নি অরাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও অনেক দৃষ্টান্ত আছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর...
১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০১
প্রামানিক বলেছেন: আপনার সাত প্রলোভন পড়লাম। এই সব প্রলোভনে পড়লে নেতা আর নেতা থাকে না স্বার্থবাজ হয়ে যায় এবং দেশ জনতার বারোটা বাজিয়ে ছাড়ে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ছড়াকার প্রামানিক ভাই, অনেক ধন্যবাদ এবং ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা
১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৫
শামচুল হক বলেছেন: নেতাদের প্রলোভন নিয়ে চমৎকার লেখা। ঠিকই বলেছেন, নেতারা প্রলোভনে পড়েই নেতৃত্বের সততা হারিয়ে ফেলে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা!
১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: সবগুলো প্রলোভনই বড় মারাত্মক! ৩ নম্বরটা অনেক নেতার কাছেই অনতিক্রম্য। আর ৫ নম্বরটা সর্বভূক!
লেখাটা মোটেই "এলোমেলো" নয়, ভাবনাগুলো হতে পারে। অনেক বিক্ষিপ্ত ভাবনার নির্যাস ছেঁকে এ লেখাকে তৈরী করা হয়েছে। নেতাদের জন্য তো অবশ্যই এগুলো প্রাতঃস্মরণীয়, নেতৃস্থানে আসীন পাঠকবর্গের জন্যেও।
পোস্টে ভাল লাগা + +
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমাদের সমাজে কর্মীর অভাব নেই। তোর বড়ই অভাব। এর ফল আমরা বিভিন্নভাবে ভোগ করছি।
আপনার বিগদ্ধ মন্তব্য সবসময় আমাকে প্রেরণা যোগায়। ভালো থাকবেন
১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: @সচেতনহ্যাপী, দীলিপ বড়ুয়া, ইনু আর রাশেদ খান মেনন এর মন্ত্রীত্বকালীন আচরণ (পড়ুন অসদাচরণ) দেখার পর বাম রাজনীতিবিদরা অপেক্ষাকৃত সৎ - এ কথায় আর বিশ্বাস রাখা যায় না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
যা বলেছেন!
আসলে কি 'বাম' রাজনীতি বলে কিছু অবশিষ্ট আছে? প্রথাগতভাবে বাম মানে হলো বিরোধীদল, কারণ তারা কখনও ক্ষমতার জন্য নীতিতে আপস করে না। অতএব তারা ক্ষমতায় (ডানে) যেতেও পারে না। মূল কথা হলো, তারা সাম্যবাদী... সমঅধিকার পন্থী। তারা জনগণের অধিকারের জন্য রাজনীতি করেন। আমাদের সমাজে আজ তারা কোথায়?
ভালো থাকবেন, জনাব
১৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: বাম সম্পর্কে চমৎকার একটা ধারণা দিলেন। ধন্যবাদ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা... ধন্যবাদ আবারও!
আমাদের সমাজে এখন রাজনৈতিক অভিমত প্রকাশ করে সঠিকভাবে গৃহীত হতে পারা একটি সৌভাগ্যের ব্যাপার।
শুভেচ্ছা জানবেন
১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার আর্টিকেলটি গভির চিন্তা প্রসুত।
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ---- ডেঞ্জার জোনের থাকা বিষয়গুলো যত আয়ত্বে আসবে, কম্ফোর্ট জোনের মাত্রা তত বেড়ে যাবে।
সুন্দর বলেছেন তিনি।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, গিয়াসউদ্দিন লিটন ভাই
১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপন মহিমায় নেতা না হয়ে, পদাধিকার বলে যারা নেতা হয়েছে: শেখ হাসিনা, বেগম জিয়া, এরশাদ, জেনারেল জিয়া, এরা কেহই নেতৃত্ব দিতে পারেনি, এরা মানুষের মনে দুষ্ট হিসেবে স্হান পেয়েছেন, বা পাবেন। এদের সবকিছু সমস্যা, নিরপত্তা, মীরাপত্তা, সবই সমস্যা, এরা নিজেরাই সমস্যা
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কেউবা পদ পেয়ে নিজেকে এজাস্ট করে নেন, মিলিয়ে নেন। কিন্তু যাদের কথা বললেন, হয়তো তারা সেটি সেভাবে করতে পারেন নি। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, চাঁদগাজী ভাই।
১৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা ।
চারিদিকে চাটুকার। এরা নব্য রাজাকার। দেশটা চেটেপুটে খাচ্ছে আর মানুষের উপর জুলুম করছে ।
০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নব্য রাজাকার, নব্য মুক্তিযোদ্ধা, ভারপ্রাপ্তত মুক্তিযোদ্ধা... নব্য জেএমবি...
নব্য সামু... হাহাহহা!!!!
পুরাতনদের দিন খতম...
কবিকে শুভেচ্ছা....
১৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
বিজন রয় বলেছেন: একটু আগে আমার ওখানে কথা বলে এসেছেন দেখেছি।
অনেক পর এসে আমাকে অবাক করেছেন।
আমার ওখানে প্রতিউত্তর করতে দেরী হবে তাই এখানে কথা বলে গেলাম।
আপনাকে মিস করি, ব্লগ আপনাকে মিস করে।
নতুন পোস্ট নিয়ে একটু হলেও নিয়মিত হন।
শুভকামনা রইল।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কবিকে অনেক ধন্যবাদ। নতুন পোস্ট হলেই নিয়মিত হবো ক্ষণ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:০১
এম এস নবীন বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ভাল লাগল