নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো লাগে ঘুরতে, ছবি তুলতে আর লিখতে ।

তিহাম

আমি ভবঘুরে, আমি দুর্বার; আমি অসৎ এর সাথে, অগ্নিল স্ফুলিঙ্গাকার । আমি কোমল, আমি দুর্বোধ্য; আমি হিংস্র, করি অসুরের দ্বার রুদ্ধ ।

তিহাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি হচ্ছে এসব!!

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

যাদের মাথায় হাত বুলিয়ে শান্তনা দেয়ার কথা ছিলো, তাদের উপর লাঠিচার্জ করে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করা হচ্ছে !!
যাদের কে যৌক্তিক ভাবে বুঝিয়ে, শান্ত করে ঘরে ফেরানো উচিত ছিলো; তাদের কে আহত করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে !!!

কি হচ্ছে এসব?
কেন বার বার তরুণ কন্ঠের ডাক না শোনে, তাদের কথা না বুঝে, তাদের দাবি কে অবজ্ঞা করে; প্রশিক্ষিত বাহিনী দ্বারা তাদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে?
আওয়ামী লীগ তথা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এত এত জ্ঞানী-গুনী এবং বিজ্ঞ লোকের বসবাস । উনারা কিসের ভিত্তিতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি কে, ছাত্রদের উপর ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন; তা কোন ভাবেই আমার বোধগম্য হয় না ।

মৃত্যুর এত বছর পর ও, শেখ রাসেল এর জন্য যদি আমাদের কষ্ট অনুভুত হয়; তবে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে, বাসের চাকায় পিষ্ট করে মর্মান্তিক ভাবে হত্যার শিকার হওয়া আমাদের ছোট ভাই-বোনের জন্য কি আমাদের কষ্ট অনুভূত হবে না? পুরো দেশবাসীর বিবেক নাড়া দেবে না? কেউ কি আওয়াজ তুলবে না?
শুধু কি এই দুজন? কিছুক্ষণ আগে সবার সামনে এক ছাত্রের উপর দিয়ে ট্রাক চালিয়ে পিষে চলে গেল এক ট্রাক ড্রাইভার । ক'দিন আগে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী কে খুন করলো বাসের চালক আর হেল্পার । রেষারেষি করতে গিয়ে তিতুমিরের ছাত্র রাজিবের হাত কাটা পড়লো, সে মারা গেল । মিরপুরে বেপরোয়া বাস, রিক্সায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো মা ও মেয়ে কে; সেই মা এখন চিরতরে পঙ্গু হয়ে হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন ।
খামারবাড়িতে বাসের চালক আর হেল্পারের হাত থেকে নিজের ইজ্জত রক্ষা করার জন্য চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে মারাত্মক আহত এক তরুণী । চলন্ত বাসে ধর্ষিত হলো টঙ্গির গার্মেন্টস কর্মী ।

প্রতিনিয়ত এমন ঘটছে, পিচঢালা রাস্রতায় রক্তের দাগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে । এর কি কোন শেষ নেই? স্বেচ্ছায় এমন ঘৃণ্য কাজ করে ওরা এভাবেই পার পেয়ে যাবে? এই নৈরাজ্য বন্ধ করার দায়িত্ব কার?

আজ স্কুল কলেজ পড়ুয়া বাচ্চারা গাড়ির লাইসেন্স চেক করছে, অথচ এই দায়িত্ব টা কার এবং উনারা কি করেন? সবাই জানে; ১০০, ৫০০ কিংবা ১০০০ । ব্যাস, হয়ে গেলো ।
রাস্তায় হাজারো ফিটনেস বিহীন গাড়ি, অদক্ষ-অযোগ্য, লাইসেন্স বিহীন নেশাখোর ড্রাইভার । নেশায় বুদ হয়ে গাড়ি চালাচ্ছে, খুন করছে, ধর্ষন করছে । এই অনিয়ম গুলো বন্ধ করার দায়িত্ব যাদের, উনারা কি কোন ভাবে ও এস্পব খুন আর ধর্ষন এর দায়ভার এড়াতে পারেন?

একজন শাহজাহান কিংবা উনার সাঙ্গপাঙ্গ কে ভয় পেয়ে, লাখো মানুষের জীবনের মূল্য না দেয়া; কোন ভাবেই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না ।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি হাজার বছরেরও শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সুযোগ্য কন্যা । বাংলার জনগণ আপনার হাতে ক্ষমতা সঁপে দিয়েছে । আপনি এই নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন । কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত না তুলতে নির্দেশ দিন । এবার অন্তত ছাত্র দের যৌক্তিক দাবি বুঝার চেষ্টা করুণ । এই বাঙ্গালি জাতি আপনার কাছে চির-কৃতজ্ঞ থাকবে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনি কি এখনও সেফ হননি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.