![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লায়েকুজ্জামান: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, একটু খোঁজ-খবর নিয়ে দেখুন মন্ত্রী-এমপিরা কি করেছেন এলাকায়। তাদের কর্মকাণ্ডের খবর নিলেই পেয়ে যাবেন কি কারণে একের পর এক এভাবে দুর্গের পতন হচ্ছে? কেন স্থানীয় নির্বাচনে এমন ভরাডুবি হচ্ছে? মন্ত্রী, এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সব খবর যে আপনার কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে না তার প্রমাণ হচ্ছে নির্বাচনে এমন শোচনীয় পরাজয়। আপনি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য যাদের মনোনয়ন দিয়ে এমপি বানিয়ে এনেছেন, মন্ত্রী করেছেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতা বানিয়েছেন, তারা কিন্তু আদর্শ বগলদাবা করে উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তারা আচার-আচরণে, চলনে-বলনে কেবল আপনাকেই তুষ্ট রাখে বাক্যবাণে, কারণ আপনি হচ্ছেন তাদের কামাই-জামাই করার তাবিজ। দল, জনগণ, নির্বাচনী এলাকা তাদের কাছে খুবই তুচ্ছ। বড় হচ্ছে মালপানি। বৃহত্তর ফরিদপুর থেকে নির্বাচিত একজন এমপি আগে ভাঙাচুরা একটা গাড়ি ব্যবহার করতেন, এখন তার দামি গাড়ি তিনটি। আগে থাকতেন ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে, এখন ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক। ওই এমপির নির্বাচনী এলাকার দলীয় কর্মীদের অভিযোগ, যারা টাকা নিয়ে আসেন তারা এমপির বাসার দোতলায় যেতে পারেন, যারা টাকা আনেন না তাদের ঠিকানা নিচে, তারা ওপরের তলায় পৌঁছতে পারেন না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, সাতক্ষীরা এলাকার কত জামায়াত-শিবিরের কর্মীর চাকরি হয়েছে সেখানে। দলীয় কর্মীদের চাকরি জুটেনি, কারণ তারা টাকা দিতে পারেননি। চট্টগ্রামে বনকর্মীদের ত্রাহি অবস্থা, চেটেপুটে যারা খাচ্ছে তাদের কিছু বলার ক্ষমতা নেই বনকর্মীদের। এক ক্ষমতাধর মন্ত্রীর নিকট আত্মীয় তারা। হয়তো আপনার কাছে রিপোর্ট আছে অথবা নেই- কম করে হলেও ১০০ এমপিকে এলাকায় যেতে হয় হয়তো পুলিশ না হয় প্রাইভেট বাহিনী নিয়ে। এলাকার নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এমন অবস্থায় পৌঁছেছে। কয়েক মাস আগে রাজশাহীর এক এমপিকে নিজের নির্বাচনী এলাকা থেকে ফিরতে হয়েছে দু’হাতে পিস্তলের গুলি ছুড়তে ছুড়তে। বিক্ষুব্ধ কর্মীদের রোষানল থেকে জীবন বাঁচাতে গুলি ছুড়ে পালাতে হয়েছে এমপিকে। এক কমিউনিস্ট মন্ত্রীর ভাগ্নে কিভাবে লুটে খাচ্ছে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ দুই দপ্তরের টেন্ডার- চোখ মেললেই তা দেখা যাবে। ওই কমিউনিস্ট মন্ত্রী ঢাকার প্লট বরাদ্দ দিচ্ছেন তার নির্বাচনী এলাকার নিকট আত্মীয়দের নামে। সরাসরি কোটার ওই প্লট পেতে অন্যরা গেলে তিনি বলে দেন প্রধানমন্ত্রীর সুপারিশ লাগবে। বৃহত্তর ফরিদপুরের আরেক জাঁদরেল মন্ত্রীর সোনার ভাই তো এলাকায় মন্ত্রীর জনপ্রিয়তা তলানিতে এনে ঠেকিয়েছেন। জেলার সব কাজে মন্ত্রীর ভাইয়ের পার্সেন্টেজ লাগবে, কাজের আগে বাড়িতে তার ভাগের টাকা পৌঁছে দিতে হয়। মন্ত্রী আবার জনসভাতে ভাইয়ের প্রশংসা করে বলেন, এমন ভাই পাওয়া যায় কপাল ফেরে। নিশ্চুপ হয়ে যান কর্মীরা, ধমকের ভয়ে কেউ সত্য কথাটা বলেন না মন্ত্রীকে। দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকার এক জেলা সদরের হায়ার করা একদা বাম নেতা এমপি তো বহাল তবিয়তে লুটে যাচ্ছেন তার দুই পুত্রধন আর এক মদের ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতাকে সঙ্গে নিয়ে। ওই জেলার পাশে সীমান্ত এলাকার আরেক এমপি পুরো নির্বাচনী এলাকার টাকা রোজগারের সেক্টরগুলো তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ রেখেছেন নিজের হাতে, অন্য দুই সেক্টরের একটি দিয়েছেন ছেলেকে, আরেকটি বউকে। উত্তরবঙ্গের এক মন্ত্রী মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন তার ছেলেকে। টয়লেট নির্মাণের টেন্ডার হলেও তার ছেলে হাজির হয় সেখানে। দু’চারজন মন্ত্রী-এমপি বাদে বেশির ভাগেরই একই অবস্থা। এতো গেল কামাই রোজগারের দিক। দলের অবস্থা কি? দল এখন এমপি আর মন্ত্রীদের পকেটে। তৃণমূল থেকে নিজেদের নামটা একমাত্র করে আনতে এমপি-মন্ত্রীরা এখন ঝাঁপিয়ে পড়েছেন দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিজের লোক দিয়ে উপজেলা কমিটি গড়ে তুলতে। বৃহত্তর ফরিদপুরে দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখুন দলের কমিটিতে শেষ পর্যন্ত নিজের ছেলেকে প্রধান করেছেন অন্যদের ওপর ভরসা রাখতে না পেরে, এমনকি সেখানে এমন একজনকে কমিটিতে রাখা হয়নি বিগত দিনে যারা আওয়ামী লীগ করেছেন।
এতো গেল এমপি-মন্ত্রীদের কথা। আপনার আশপাশ দিয়ে যারা আছেন তাদের খবর কি? নিজের এলাকায় তারা কত বিঘা জমি কিনেছেন, ক’টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান করেছেন একটু খবর নিলেই জানতে পারবেন ওই সব ফুটন্ত গোলাপের কথা, সর্বশেষ তারা বিসিএস নিয়োগে ডাক তুলেছেন ১০ লাখ করে। ওই সব হচ্ছে আপনার নাগের ডগায় বসে। আপনার আশপাশেই তারা টাকা বানানোর মেশিন বসিয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কেবল টকশো আর মিডিয়াকে দোষারোপ করে লাভ নেই, এরা সমালোচনার সঙ্গে ভুল শোধরানোর সূত্রটাও কিন্তু ধরিয়ে দেয়। কেউ কেউ আছে উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলে, তাদের কথা ভিন্ন, সবাই কিন্তু এক নয়।
সর্বনাশ যা করার আপনার এমপি-মন্ত্রীরা কিন্তু করে ফেলেছেন। যতটুকু সময় আছে তাদের খোঁজ-খবর নিন, পারলে তাদের সামলান। সিটি নির্বাচনগুলোতে কেবলই জাতীয় ইস্যুতে হেরেছেন একেবারে এমনটি নয়- ওই সব এলাকার আপনার কেন্দ্রীয় নেতারা কে কি করেছেন খবর নিয়ে দেখুন সেখানে অনেকেরই ভূমিকা ছিল ‘বগলে ইট, মুখে শেখ ফরিদ।’
Click This Link
২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৫২
কালবৈশাখীর ঝড় বলেছেন:
৪ সিটি নির্বাচনে পরাজয়ের দুএকটি কারন, যা পত্রিকায় আসে নি
Click This Link
৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:৩৭
খাটাস বলেছেন: সর্বনাশ যা করার আপনার এমপি-মন্ত্রীরা কিন্তু করে ফেলেছেন। যতটুকু সময় আছে তাদের খোঁজ-খবর নি
মদন ভায়া মানুষ যখন হাত দিয়ে কোন কাজ করে, তখন তা মস্তিস্কের অনুমতিতেই করে। এক কাজ বেশি করলে অবস্থা এমন হয় যে হাত স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঐ কাজ করে, মস্তিস্কের সরাসরি নতুন অনুমতি লাগে না। কারণ সিস্টেম যে হয়েই গেছে অভ্যাসে ভায়া।
৪| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
চলতি নিয়ম বলেছেন: কথা একেবারে ফেলনা নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩০
নিষ্কর্মা বলেছেন: সব জামানায় আমাদের সরকারের নির্বাচনপূর্ব চিত্র এক ধরনের।
সো ডোন্ট ওরি, বি হেপি।
যা হবার তাই হবে, আগের চেয়ে আরো খারাপ হবে!