![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The weak can never forgive. Forgiveness is the attribute of the strong-Mahatma Gandhi
জোর যার মুল্লুক তার। কিন্তু কিসের জোর? কোন জোরে শত শত মানুষের সামনে শ্রেণিকক্ষের দরজা লাগিয়ে রেখে একটি মেয়েকে বিবস্ত্র করে তার ভিডিও তোলা যায়? তারপর তাকে পেটানো যায়? তারপর বীরদর্পে দুই সারি ছাত্রছাত্রীর মাঝ দিয়ে গার্ড অব অনার নেওয়ার ভঙ্গিতে তারা মাথা উঁচু করে বেরিয়ে যেতে পারে? মেয়েটিকে মাথা নিচু করে যেতে হয় হাসপাতালে। বাংলাদেশে আজ সাধারণ মানুষের মাথা হেঁট আর অপরাধীরা ঊর্ধ্বমুণ্ড।
দিনাজপুরে ক্লাস চলাকালে সবাইকে বের করে দিয়ে এক ছাত্রীকে ক্লাসরুমে আটকে রাখল দুই যুবক। তাদের পরিচয় তারা ছাত্রলীগ করে। ঘটনা গত ২ মে তারিখের (ঢাকা ট্রিবিউন, ৩ মে)। দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের সব শিক্ষার্থী সেই বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকল। অসহায় দাঁড়িয়ে থাকলেন শিক্ষকেরাও। কেউ থানায় খবর দেওয়ার কথা ভাবলেন না। হয়তো লাভ নেই বলেই। লাভ যে হতো না, তা বোঝা যায় পরে এই দুজনের একজনকে ধরে আবার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে।
অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে ঘুরছে। মেয়েটিও হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে। কিন্তু দুই ছাড়া পাওয়া এক নয়। ছেলে দুটি বিনা শাস্তিতে আরও আরও অপরাধের ছাড়পত্র পেল। কিন্তু প্রতিকারহীন কষ্টে মেয়েটি আটকা পড়ল হতাশা আর ক্ষোভের গর্তে। অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় সে হয়ে পড়ল আগের থেকে ভীত। তার পক্ষে স্বাভাবিক হওয়া কত কঠিন তা ‘মুচলেকাসর্বস্ব’ পুলিশ কি জানে?
শ্রেণিকক্ষে দুই মাস্তান ঢোকার মুহূর্ত থেকে তাদের বেরিয়ে যাওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত কত অল্প সময়। এটুকু সময়ের মধ্যে কত তফাত। কত বদলে গেল মেয়েটির জীবন, তা কি আইনের কর্তা রাষ্ট্রের হর্তারা জানেন?
আরেকটি ঘটনায় ঢাকার কমার্স কলেজের দুই ছাত্রছাত্রীকে বহিষ্কার এবং তাদের নয় বন্ধুর ভর্তি বাতিল করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্রের অপরাধ সে ছাত্রীর কাছে বিনীত ভঙ্গিতে প্রেম নিবেদন করেছে। ছাত্রীর অপরাধ সে আনন্দচিত্তে সেই নিবেদন গ্রহণ করেছে। আমরা অনুমান করতে পারি, ছাত্রটি প্রেম নিবেদনের পথে না গিয়ে দিনাজপুরের সেই দুই নিপীড়ক ছাত্রলীগারের মতো যদি নির্যাতনের পথে গেলে আরামে থাকত। প্রেম এখানে শাস্তিযোগ্য, অপরাধ নয়! এই বার্তাই দিচ্ছে আমাদের প্রশাসন।
অপরাধের শাস্তি না হওয়াই তো আসলে পুরস্কার। এই দেশে এখন সব অপরাধীকে সমান চোখে দেখা হয় না। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আদিবাসী ছাত্রীকে লাঞ্ছনা, ছিনতাই ও প্রহারের দায়ে আজীবন বহিষ্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতা-কর্মীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সম্প্রতি খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক যুবলীগ নেতার জীবনভিক্ষা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।
এ দেশে শিক্ষকের এমন এক মর্যাদা ছিল, যা সহসা কেউ লঙ্ঘন করত না। সমাজের নীতি ও মর্যাদার প্রতীক ছিলেন তাঁরা। সত্য যে বহু শিক্ষক নিজের মর্যাদা নিজেই রাখতে পারেননি। তাই বলে শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষককে কান ধরে ওঠবস করানোর কথা চিন্তাই করা যেত না। অথচ নারায়ণগঞ্জে শিক্ষক শ্যামল কান্তির সঙ্গে সেটাই করা হয়েছে। ধর্ম অবমাননার যে অভিযোগ তাঁর প্রতি করা হয়েছে, তার কোনোই প্রমাণ মেলেনি। ক্ষমতাশালীরা ওই শিক্ষককে সরানোর প্রয়োজন বোধ করেছেন, তাই অপবাদ দিয়েছেন। তিনি যদি সত্যিই কোনো অন্যায় করেও থাকতেন, তার জন্য আদালত রয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন না। আইনপ্রণেতা সাংসদ কি আদালতকে উঠিয়ে দিতে চান? অথচ আমরা দেখছি যাদের জীবনে ধর্মের মহান নীতি ও আদর্শের কোনো ছাপই নেই, সেসব মাফিয়া, দুর্নীতিবাজ লোকেরাই ধর্মের দোহাই বেশি দিচ্ছে। এক লোক নিজের নামের আগে নিজেই শ্রী লাগায়। তো তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তার উত্তর: আমার জীবনে কোথাও শ্রী নাই, তাই নামের আগে শ্রী লাগিয়ে রেখেছি। দুর্বৃত্ততন্ত্র এভাবেই ধর্মকে অন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে ধর্মের অবমাননা করছে।
প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, ওঠবস করতে করতে শিক্ষক শ্যামল কান্তি একপর্যায়ে পেছনে হেলে পড়ে গিয়েছেন। কত লজ্জা আর অপমানে এই শারীরিক প্রতিক্রিয়া হয়? এই পতন কি তাঁর, নাকি আমাদের সামগ্রিক মর্যাদাবোধের? বাংলাদেশে মর্যাদাবোধও সবার সমান হতে পারে না। কারও কারও আবার সেটা বাড়াবাড়ি রকমের উৎকট। তাঁরা হেলিকপ্টারে চড়ে গ্রামে বেড়াতে যান, গাড়ির বহর নিয়ে পরিদর্শনে নামেন, অভ্যর্থনার জন্য শত শত তোরণ আর অজস্র শিক্ষার্থীর দাঁড়িয়ে থাকা দেখে গর্ব হয় তাঁদের। কিন্তু মর্যাদার অধিকার তো শুধু গুটিকয়েক লোকের হতে পারে না। সেটা সর্বজনীন। মানুষমাত্রই মর্যাদাবান। নাগরিক মর্যাদাবোধ আইন, সমাজ ও সভ্যতার মৌলিক শর্ত। সামন্ত যুগে রাজা-জমিদারেরা প্রজাদের মর্যাদা আছে বলে বিশ্বাস করতেন না। আমরা কি তবে সেই যুগের দিকেই ফেরত যাচ্ছি?
একজন শিক্ষক কেন, যেকোনো ব্যক্তি যদি অপরাধ করেন, তবে আইনে তাঁর বিচার হবে। আদালত কাউকে জুতাপেটা বা কানে ধরানোর শাস্তি দেন না।
মর্যাদাহানি কোনো শাস্তি হতে পারে না। কোনো সভ্য দেশে এমন কোনো শাস্তির কথা জানা যায় না। একজনের ফাঁসি হতে পারে, কিন্তু তাঁকে নগ্ন করা, তাঁকে পেটানো, তাঁকে কান ধরে ওঠবস করানো যেতে পারে না। অথচ আমরা দেখেছি, কলেজশিক্ষককে নাঙ্গা করে ঘোরাচ্ছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে, কারণ তিনি নাকি এক মন্ত্রীর নিন্দা করেছিলেন (প্রথম আলো, ২৭ জুন, ২০১৪)। গত এপ্রিল মাসে বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে পেটানো হয়েছে ফেনীতে
এসব রাজনৈতিক ও সামাজিক বর্বরতার লক্ষণ। আমরা কি সভ্যতার দিকে এগোতে এগোতে বাঁক নিয়ে বর্বরতার দিকে যাত্রা করছি? এত এত যে ঘটনা ঘটছে সমাজের মধ্যে জাগরণ নেই, প্রতিবাদ নেই। নাকি সমাজও বিবস্ত্র ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অসহায় দর্শকের ভূমিকায়? একদিকে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত শক্তির দাপট অন্যদের সমাজের অবশ দশাই আমাদের সময়ের চালচিত্র।
দিনাজপুরের ছাত্রী কিংবা কুমিল্লার তনু বা শিক্ষক শ্যামল কান্তির মতো সাধারণ মানুষের জীবন এই যে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো আঘাতে তছনছ হচ্ছে—এসব কিসের লক্ষণ? আমাদের এখন আর পেট্রল বোমার ভয় নেই, কিন্তু হঠাৎ ক্ষমতার তাপে দগ্ধ হওয়ার ভয় বেড়েছে। চারদিকে তাকালে গভীর অন্যায়ের ছায়া দেখা যায়। এই অশুভ ছায়ার মধ্যে অপমান আর নির্যাতনের দিনলিপি লিখে যাওয়াই কি এখন কাজ?
সূএ :
" অপরাধ না করার শাস্তি "
প্রথম আলো : ফারুক ওয়াসিফ :২৭ মে , ২০১৬
আমার বক্তব্য :
সমাজে সবচেয়ে দূর্বল শ্রেণী হল " সংখ্যা লঘু, নারী আর শিশু " ! একটি সমাজের সভ্যাতার প্যরামিটার হল ঐ সমাজে সবচেয়ে দুর্বলেরা কতটুকু নিরাপও্বায় আছে !
বাংলাদেশের সমাজে এই তিন শ্রেনীর উপরই চলছে বিভীৎস নারকীয়তা !
যে দেশের প্রধানমনএী সর্বোচচ আসন থেকে শিক্ষকদের উদদশ্যে কটাক্ষ করেন " পেটের সমস্যা মিটেছে এখন প্রেষটিজ নিয়ে টানাটানি " !
সে দেশের শিক্ষকরা উষটা লাথি খাবেই !
একাওরের আফিম খয়ে আমরা মুর্খের হাতে রাষট্র সমাজের ভার দিয়েছি !
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে ‘অপহরণ গুম খুন, কোথায় চলছে নারায়ণগঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সেলিনা হায়াৎ আইভী প্রধানমনএীর উদদ্যেশ্যে বলেন, ‘ একটি-দুটি পরিবারের পাশে থাকলে হবে না। জনগণের পাশে থাকতে হবে। এক পরিবারের পাশে থাকবেন আর বাকি পরিবার ওই পরিবারের কারণে আতঙ্কে থাকবে, তা তো হতে পারে না।’
শেখ মুজিব বসেছিল কারনে একটা চেয়ার ওসমান পরিবার পাহারা দিচছে। বিনিময়ে পুরো পরিবারটিকেই পাহারা দিচছে হাসিনা ।এক অদভুত বালখিল্য আচরন রাষট্রের শিরমণী থেকে !
ইডেন কলেজে নিজ ছেলেদের যৌন টেনডারবাজিতে শীরমণি যখন আচলে ঢেকে মুখ টিপে টিপে হাসে কোন এ্যাকশন নেয় না কিংবা নিজ সফরসংগী নিউইয়র্ক হোটেলে স হ কর্মীনীর উপর ঝাপায় পড়ার পরও যখন তাকে তার একানত সান্যিধ্যে রাখেসেই শিরমণীর তও্বাবধানে সভ্য সমাজ গড়ে উঠতে পারে না !বাপ মায়ের আচরনই বলে পরিবারটি কি ভাবে বিকশিত হবে !
একাওরের আফিম খেয়ে আমরা মুর্খের হাতে রাষট্রের ভার দিয়েছি । সেই মুর্খের শাসনে সভ্য সমাজ গড়ে উঠবে এটা চেতনা ধারীর চেতনাহীন বিকার প্রত্যাশা !
আওয়ামি লীগকে বুঝতে হবে উননয়ন দিয়ে অসভ্যতার গ্যাপ ফিল আউট হয় না !
একাওরের স্বপন ছিল একটি মানবিক সমাজ নীতি নৈতিকতার সমাজ নিয়ে আমরা স্বাধীন দেশে বাস করব ! আমাদের সে স্বপন আজও পুরন হয় নি ! পরিবর্তে উননয়নের মোড়কে গড়ে উঠছে এক অনৈতিক বর্বর সমাজ ! ভয়ংকর বিপওির দিকে ধাবিত হচছে এ সমাজ ! আদর্শবিহীন নীরক্ষরের - জ্ঞানবিহীন অসততার প্রতিযোগিতা চলছে শাসন খমতায় প্রতিযোগিতা চলছে সামাজিক খমতায় !
অসভ্যের হাতে টাকা পয়সা করায়ও্ব হলে ভয়ংকর বিপওি ঘটায় ! উননয়নের জোয়ার আর উপচে পড়া রিজার্ভে অমানবিক সমাজও ভয়ংকর বিপওি ঘটায় ! ভয়ংকর সেই বিপওির দিকেই ধাবিত হচছে এ ভুখনডের মানব সমাজটি ! পুকুরের্ কোথাও তরংগ সৃষটি হলে সে তরংগ ছাড়িয়ে পড়ে পুকুরের্ সবখানে !
একটি জাতি পারিপার্শ্বকি ঘটনা থেকে শিখে রাষ্ট্রের কাছ থেকে শিখে ! ! ! আমাদের রাজনীতিবিদরা মনে করেন আমরা যাই করি মানুষ সেদিকে না তাকিয়ে সকালে উঠে মদন মহন তর্কালংকারের বই পড়ে শিখবে - " সারা দিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি " !
!
অসমভব !
শিশু বই পড়ে শিখে না বাপ মার আচরন দেখে শিখে !
!
আমাদের সমাজের চারিদিকে অ নৈতিকতার অমানবিকতার ভয়বহ চিএ । উননয়নের জোয়ার দিয়ে এ বিভৎস আচরন দূর করতে পারবেন সমাজ থেকে ?
! অনৈতিক রাজনীতি অনৈতিক শাসনেরই স্বাভাবিক গতিধারা চলছে ফাসাী দিয়ে অপরাধ থামাবেন ? কোন গবেষনাতেই প্রমানিত হয় নি যে অপরাধের কারনে মৃত্যু দন্ড দেয়া হয় মৃত্যুদন্ড দেয়ার পরও অনুরুপ অপরাধের মাএা সমাজে কমেছে ! কোন গবেষনাতেই প্রমানিত হয় নাই যে অপরাধের কারনে ফাসি দেয়া হয় শাসতি দেয়ার পরও অনুরুপ অপরাধ সমাজে কমেছে ।
মূল্য বোধের নীতি বোধের সমাজে কায়েম না হলে শাসতি যতই দিন না কেন থাকেন সমাজে অপরাধ চলতেই থাক বে !
বাংলাদেশের মূল সংকট সামাজিক অবক্ষয়ের সংকট ! এক ভয়ংকর সমাজ অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে ! বিবেক আর নৈতিক মূল্যবোধ ধীরে ধীরে অপসারিত হয়ে সমাজ হয়ে উঠছে বাস অযোগ্য ভুমীতে !! সমাজ গড়ে উঠে মানুষ দিয়ে !
!
একটি মানবিক সমাজ সবার জন্যে নিরাপদ একটি অমানবিক সামাজ কারাে জন্যেই নিরাপদ নয় !
উননয়ন বিলডিং কালভার্ট সেতু দিয়ে যে সমাজ তৈরি হয় না আওয়ামি লীগের বিপর্যসত মুর্খতা সেটা বুঝতে অক্ষম !
সমাজ গড়ে উঠে মানুষ দিয়ে পদমা সেতু দিয়ে নয় ! আওয়ামি লীগ মনে করে আমরা যাই করি মানুষ সেদিকে না তাকিয়ে মদন মোহন তর্কালংকারের বই পড়ে শপথ নিয়ে সারা দিন তারা ভাল হয়ে চলবে ! অসমভব ! মানুষ বই পরে শিখে না শিখে চারিদিকের আচরন দেখে !
সাবধান ! উননয়নের আভরনে দাস প্রথায় ঢুকছে এ সমাজ ! বাংলাদেশ শুধু মধ্যম আয়ের দিকেই এগুচছে না
বাংলাদেশ মধ্যযুগীয় বর্বরতার দিকেও এগুচছে !!
একাওরে ক্যানটনমেনট ছিল বিজাতিয়দের ধর্ষন হত্যার ভাগার !
স্বাধীন দেশে বাংগালীর ক্যনটমেনট এখন বাংগালীর ধর্ষন হত্যার সেফ হোম !!!!
মীরপুরে মুকতিযোদধা মনএনায়ের কর্মকর্তার সনতান গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে তারপর লাশ ছাদ থেকে ফেলে দিল । পুলিশ এটাকে অপমৃত্যু বলে মামলা নিল মালিকের চাপে ! যদি সমাজিক বিপলব না ঘটাতে করতে পারেন মনে রাখবেন আগামিতে মুকতিযুদধের বিনিময়ে পাওয়া এ সমাজ দু শ্রেনীতে ভাগ হয়ে যাবে - মালিক আর দাস ! মালিকের ইচছায় দাসসরা বেচে থাকবে - মালিকের পৈশাচিকতা উললাস চলতে থাকবে দাসের উপর !২০১৬ তে এসে আমাদের সংগ্রামটা হওয়া উচিত ছিল দুর্নীতির বিরুদধে সুনীতির, অন্যায়ের বিরুদধে ন্যায়ের অমানবিকতার বিরুদধে মানবিকতার অপশাসনের বিরুদধে সুশাসনের । ৭১ এ রাজাকারের বিরুদধে মুকতি যুদধটা ছিল ভুখনড সৃষটির ! সমাজ সৃষটির নয় ! সমাজ সৃষটির যুদধ শুরু হওয়ার কথা ছিল একাওরের পরে ! সে যুদধ আমরা এখনও শুরু করতে পারি নি ৪৫ বছর পরেও ! পরিবর্বতে একাত্তরের যুদধটাই আমরা এখনও করছি ! ভুখনড সৃষটির যুদধ আর সমাজ গঠন যুদধ এক নয় । এর তফাৎটা আমাদের রাজনীতিবিদরা বুঝে না ! আমাদের মুল ধারার রাজনীটিবিদরা তফাৎটা আপাত:ভাবে বুঝার চেষটা করলেও জ্ঞানের স্বলপতার কারনে সমাজ গঠন যুদধের দর্শন বিশলেষন করতে অক্ষম ! অক্ষম বলেই তারা ৭১ এর গলপ শুনিয়ে আমাদের জন্যে একটা সমাজ গঠন করতে চায় ! সমাজ তো সৃষটি করতে হচছেই না বরং একাত্তরের গলপের মধ্যমে সমাজে যা হচছে তা একাত্তরের নামে প্রতিহীংসার চর্চা ! বাংলাদেশ ভুখনড সৃষটির পর ৭১ এর যুদধের কার্যকারিতা নেই তবে দর্শনের কার্যকারিতা আছে ! আমরা মুক্তি যুদধের আবেগের শক্তিটা বুঝি কিনতু দর্শনটা বুঝি না ! ভুখনড সৃষটির যুদধের আংগিক আবহ সেনটিমেনট আর সমাজ সৃষটির যুদধের আংগিক আবহ সেনটিমেনট এক নয় ! সমাজ সৃষটির যুদধটা হল সামাজিক অপশক্তির বিরুদধে সকলের মিলিত সংগ্রাম ! মানুষকে বিভাযিত না করে বরং ঐক্যবদধ করে মিলিত এক সামাজিক যুদধ !
এ কারনেই সমভবত: দক্ষীন আফ্রিককার নেতা নেলসন ম্যানডেলা উপনিবেশ মুক্তির যুদধটা শেষ হওয়ার পর সেটা আর অগ্রসর হতে দেন নি সমাজে !
আর আমরা ৪৫ বছরেও সমাজ গঠনের যুদধটা শুরু করতে পারলাম না । ভুখনড সৃষটির যুদধটাই আমরা এখনও চালিয়ে যাচছি ভুখনড সৃষটির ৪৫ বছর পরেও !
স্বাধীন এ ভুখনডে ৪৫ বছর পর রাজাকার ফাসী এক নমবর প্রাইওরিটি নয় । ১ নমবর প্রাইওরিটি হল মানবিক সমাজ গঠন ! রাজাকারের বিচার না হলে স্বাধীনতা কলংকিত হবে বা মানবিক সমাজ গঠিত হবে না সেটা কোন যুক্তিতে বলে না ! তা হলে দক্ষীন আফ্রিককার নেতা নেলসন ম্যানডেলা তার দেশের মুক্তি সংগ্রামে বিরোধিতাকারীদের ক্ষমা করতেন না বা ১৯৭৩ সালে শেখ মুজিব এ্যামনেষটি দিয়ে ২৩ হাজার রাজাকারদের জেল থেকে মুক্তি দিতেন না !
আমরা মুল প্রাইওরিটিকে পাশ কাটিয়ে কম প্রাইওরিটি নিয়ে সমাজে যুদধ করছি আর সেটা এ দেশের সমাজ রাজনীতির জন্যে নয় সেটি বিদেশী রাষট্রের রাজনীতির স্বার্থে !
একাত্তরের স্বাপনটি ছিল মানবিক সমাজ নীতি নৈতিকতার সমাজ নিয়ে আমরা স্বাধীন দেশে বাস করব ! আমাদের সে স্বপন আজও পুরন হয় নি !
মানবিক সমাজ সবার জন্যে নিরাপদ একটি অমানবিক সামাজ কারাে জন্যেই নিরাপদ নয় !
উন্নয়ন মানবিক সমাজ গড়ে তুলে না।বিলডিং কালভার্ট সেতু সমাজ সৃষটি করে না । মানবিক উপাদান দিয়ে সমাজ সৃষটি করতে হয় !
মানবিক সমাজ সকল অপশক্তিকে উগলে দেয় বিচার করে ফাসী দিয়ে মারার দরকার হয় না ! স্বাধীন ভুখনডের মুল লক্ষ্য মানুষের জন্যে একটা মানবিক সমাজ ! সকল রাজাকারের ফাসীর বিনিময়েও আমরা ঐ মানবিক সমাজ পাব তার কোন নিশচয়তা নেই ! তার পরেও অর্থহীন প্রচেষটার পিছনে আমরা দৌড়াচছি ! মানুষের জন্যে কল্যাণকর সমাজ গঠনে মুখ্য ফ্যাকটর রাজাকার মুক্তিযোদধা ইস্যু নয় মুখ্য ইস্যু হল অপশাসন, দূর্নীতি,সমাজ রাজনীতিতে দূর্বৃও্বায়ন, দেশ লুনঠন , অসাম্যের সমাজ গঠন এসব ইস্যু ! বাধা অবিচার কুশাসন ! এগুলোই এখন দেশের মূল সমস্যা ! স্বাধীনতা যুদধের প্রেক্ষাপট আর সমাজ গঠনের প্রেক্ষাপট এক নয় ! ভুখনড সৃষটির পরের যুদধটা হল সমাজ গঠনের যুদধ সে যুদধে সবাইকে এক করে সমাজের সকল অপশক্তির বিরুদধে একটা সফল যুদধ শুরু করুন ! শুরু না করতে পারলে হাজার হাজার তনু আপনার আমার মা বোন ধর্ষন হত্যার শিকার হতেই থাকবে !
সমস্যা বহুল দেশে দরকার অতিতের সব তীক্ততা ভুলে সবার সম্মিলিত প্রয়াসে মানুষের জন্যে কল্যানকর সমাজ গঠন
একাত্তরের চেতনাটি ছিল সাম্য সামাজিক ন্যায় বিচার মানবিক মর্যাদা সম্মনন একটি সমাজের মানবিক আকাংখা ! ৪৫ বছরে আমরা এ সমাজ সৃষটি করতে পারি নাই পরিবর্তে যে সমাজ সৃষটি করেছি সে সমাজ পুরোটাই একাত্তরের চেতনা বিরোধি !
৭১ এ যুদধ বিরােধিরা - রাজাকার ।
স্বাধীন দেশটিতে যারা একাত্তরের চেতনাবিরোধি সমাজ সৃষটি করল - তারা ??
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: লালূ সাহেব ব্যাপার কি? আপনাকে প্রায়ই আমার ব্লগে দেখি, কিন্তু কোন কথা না বলে চলে আসেন। কেন, কবিতা বুঝি আপনি পছন্দ করেন না।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:১৬
লালূ বলেছেন:
প্রথম পাতা ও কারো ব্লগে কমেনট করা থেকে আমি নিষিদধ সমুর নিষিদধ কানুনে ! লিখার চেষটা করি - কিনতু পোসট করার সাথে সাথে
সামু আমাকে জানায়
""" একটি ভুল পাওয়া গেছে
sorry,you are not allowed to comment in this blog """
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
আরজু পনি বলেছেন:
শিরোনামেই খুব জরুরী একটা প্রশ্ন রেখেছেন।
একাত্তরের পুনরাবৃত্তি আর দেখতে চাই না।