![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“হাসনাত”
বোমা ফাটানো মন্তব্যের জন্য তিনি জগদীখ্যাত । যার কল্যানে রাবিশ,বুগাস আর ননসেন্স ইংরেজি শব্দ ত্রয় বাংলা ভাষায় স্থায়ী ভাবে জায়গা করে নিয়েছে । তার বক্তব্য অনুযায়ী নোবেল লরিয়েট ডঃ ইউনুস একজন নাদান ব্যাক্তি যিনি ৮৪ লক্ষ দরিদ্র মানুষকে ব্যাংকিং খাতে সংযুক্ত করে দেশের বারটা বাজিয়েছেন । তার মত অনুযায়ী শেয়ার বাজারের হতাশ,বেকার,বেচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ফটকাবাজ । বিলিয়ন পাউন্ডের ডিলে অভ্যস্ত তিনি ৪০০০ কোটি টাকার লোপাটকে কিছুই মনে করেননা । তার ভাষায় তার ব্যার্থতার সমালোচনাকারী অর্থনীতিবিদ নিতান্তই স্টুপিড । সাংবাদিক কুল তার বড়ই দুশমন,ওরা শুধু বুগাস মারে । আর বিরুধীদলের নেতারা তার কাছে নিতান্তই রাবিশ । এতক্ষন যার কথা বয়ান করলাম তার নাম আমার পাঠকরা সবাই জেনেগেছেন । তবু লিখছি, তিনি আমাদের রাষ্ট্রীয় মালের হেফাজতদার আবুল মাল । দিন দুই আগে তিনি আবারও একটি সরেস মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেছেন,তারেক একজন দস্যু প্রকৃতির লোক তার সাথে সরেস ভদ্রলোক জয়ের কোন তুলনা করা ঠিক হবেনা । সে বঙ্গবন্ধুর নাতি এবং জাতীয় নাতির স্ট্যান্ডার্ড সে বজায় রেখে চলছে ।
একজন রাজনৈতিক ব্যাক্তির সাথে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর আদর্শগত তুলনা হতে পারে । তাদের নেতৃত্ব গুন বা ভীশন নিয়েও তুলনা হতে পারে । আর গুণীব্যাক্তির সরেস তুলনা মূলক আলোচনা থেকে আমরা আমজনতা যেমন জ্ঞান লাভ করতে পারি,ঠিক তেমনি আমাদের ভবিষ্যত করনীয় কাজও নির্ধারন করতে পারি । কিন্তু রুচি জ্ঞান আর মানসম্মানের মাথা খেয়ে যখন জাতীয় ভাবে দুজন সুপরিচিত নেতৃত্বের ব্যাক্তি কেন্দ্রিক তুলনা করা হয়,তখন সেটা অশোভনীয় মনে হয় । আর এরুপ দায়িত্বহীন মন্তব্য যখন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তি বিশেষ করেন, তখন তার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো ছাড়া উপায় থাকেনা । তাই তারেক বন্দনা বা জয়কে ছুট করার জন্য নয় বরং মাল মুহিত সম্পর্কেই আমি কিছু লেখার ইচ্ছা পোষন করছি ।
আবুল মাল সাহেবের বিবেচনায় তারেক রহমান একজন দস্যু প্রকৃতির মানুষ, যিনি লুটপাট আর গণ বিদ্ধংশি কাজে জরিত । অনেক চেষ্টা আর মিডিয়া কারসাজির মাধ্যমে তাকে চরম দুর্নিতিবাজ হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে । বৎসরে ১৫ কোটি টাকা খরচ করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার অব্যাহত রাখা হয়েছে । এসব অপপ্রচারকে ভিত্তি করেই মাল সাহের তাকে দস্যু বলেছেন । কিন্তু বিজ্ঞ মাল জানেন না তারেক রহমান একজন জননেতা । তৃনমূলের রাজনীতি দিয়ে শুরু করে, তিনি আজ বিএনপির সিনয়র ভাই চেয়ারম্যান । তিনি একজন সফল সংগঠক । দলে তার জনপ্রিয়তা পর্বত প্রমান । লন্ডনের ইফতার মাহফিলে আগামী দিনের পরিকল্পনা ঘোষনায় তিনি নতুন ধারার রজনীতি সূচনা করেছেন । গতানুগতিক ব্লেইম গেমের বাইরে তিনি কৃষি,শিল্প,বানিজ্য আর বিদেশ নীতির উৎকর্ষ সাধনে আগামী দিন গুলো ব্যায় করতে চান । তার পরিকল্পনা সফল হলে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় স্থান পাবে । কিন্তু মাল মুহিতের ছানি পরা চোখ এসবের কিছুই দেখতে পায়ন ।
মাল সাহেব কেবল দেখতে পায় সজিব জয়ের চমক, যিনি হার্বার্ডে পাবলিক এডমিন নিয়ে পড়ালেখা করলেও নিজের পরিচয় দেন আইটি বিশেষজ্ঞ হিসাবে । নিজ দেশের কৃষ্টি কালচারে অপরিচিত জয়ের ভেতর তিনি খুজে বেড়ান শেখ মুজিবের ছায়া । জনবিচ্ছন্নতা,একাধিক দেশী বিদেশী নারী সঙ্গ, দেশের সম্পদ বিদেশ পাচার, ঘুষ আর কমিশনের ডিজিটালাইজেশন, হঠাৎ রেগে যাওয়া, গন্ডিবদ্ধ হয়ে চলা যদি শেখ মুজিবের আদর্শ হয়, তবে জয় অবশ্যই নানার যোগ্য নাতি । মাল মুহিত অযাচিত ভাবেই জয়কে শেখ মুজিবের সাথে তুলনা করে তার নানার সম্মান হানি করেছেন ।
আবুল মাল বর্তমান সরকারের অর্থ মন্ত্রী । তিনি একজন সাবেক আমলা এবং সাবেক সৈরাচার এরশাদের দুষর । তার দায়িত্বে অর্থ মন্ত্রনাল থাকা অবস্থায়ই শেয়ার বাজার লুট হয়েছে, অসংখ্য যুবক পথে বসেছে । বেশ কয়েক জন আত্ম হত্যা করেছে । দুরবৃত্তের কবলে পরে আজ ব্যাংক গুলো ফতুর । এসব নিয়ে তার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই । তিনি ব্যাস্ত জয় বন্দনায় । আশি বছরের বৃদ্ধ উজির যুবরাজ পদে তৈল মর্দনে সুখ লাভ করে । কিন্তু এসব করে শেষ রক্ষা হবে না । ক্ষতিগ্রস্থ যুবকরা মাথায় কাফনের কাপড় পড়ে অপেক্ষা করছে, জনতার আদালতে তার বিচার হবে । যুদ্ধাপরাধ আদালতে বয়ুবৃদ্ধ আঃ আলিম ফাঁসি থেকে মুক্তি পেয়ছেন যাবত জীবন কয়েদের বিনিময়ে । দেশের অর্থ খাত ধ্বংসকারী মাল সাহেব, শেয়ার বাজার আর ব্যাংকিং খাত ধ্বংস করে প্রকারান্তরে মানব বিপর্যয় ডেকে এনেছেন । বয়োজৈষ্ঠের অজুহাতে গণ আদালতে তিনি হয়ত ফাঁসি কাষ্ঠের অযোগ্য বিবেচিত হতে পারেন । কিন্তু বিনিময়ে পাবেন যাবত জীবন গনঘৃনা আর অসম্মান আর অভিশাপ। এই শাস্তি থেকে তাকে তার দল বা দলীয় প্রধান কেউ মুক্তি দিতে পারবেনা, তা যতই তিনি তৈলবাজী করেন ।
©somewhere in net ltd.