![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
=======================================
পঞ্চদশ শংশোধনীর পর থেকেই বিএনপি তথা আঠার দলীয় জোট বলে আসছে তারা বর্তমান সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবেনা। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কালীন সরকারই তাদের প্রানের দাবী। এই দাবী আদায়ের লক্ষ্যে গত দুই বৎসর ধরে আন্দোলন চলে আসছে। কিন্তু সরকার এই দাবী পূরনে কখনওই আগ্রহী ছিলনা। বরং সরকারের কতিপয় অর্বাচীন মন্ত্রী সংবিধানের দোহাই দিয়ে হাসিনা সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। আর দলীয় কর্মী ও পুলিশি ডলায় বিরোধী দলের দাবীকে ভেনিশ করার চেষ্টা করা হয়েছে। দুর্বল আন্দোলন বেগবান হবার আগেই অবস্থা ভেদে কখনো চিঠি, কখনও বৈঠক,কখনও সংলাপের মূলা দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের কাংখিত সেই নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনার চিঠি বা আমন্ত্রন কখনোই আসেনি। বরং আন্দোলনের মাত্রা কমে এলেই সরকার তরফে তত্তাবধায়ক সরকারের দাবীকে অস্বীকার করা হয়েছে। অবশেষে, বাধ্য হয়ে আঠার দলীয় জোট টানা তিন দিনের হরতাল আহবান করে।
ঘোষিত হরতাল শুরুর আগের দিন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, মাননীয় বিরোধী দলীয় মন্ত্রীকে ফোন করে সংলাপে বসার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। আলোচনা সৌহার্দ পূর্ন হলেও বিরোধী দল নেতা হরতাল প্রত্যাহার এবং হরতাল চলাকালীন নৈশভোজে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। কারন হিসাবে তিনি বলেন এই হরতাল জোটগত ভাবে ডাকা হয়েছে এবং প্রত্যাহার করতে হলে জোটগত ভাবেই করতে হবে, যা এই স্বল্প সময়ে অসম্ভব। তবে তিনি এটাও বলেছেন, হরতাল শেষে অবশ্যই প্রধান মন্ত্রীর সাথে সংলাপে বসতে চান।
বেগম জিয়ার এই ঘোষনার পর কতিপয় ব্যাক্তি খুবই উস্মা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে এই প্রস্তাব বর্তমান সংকট উত্তোরনে খুবই সহায়ক ছিল,কিন্তু বেগম জিয়ার গুয়ার্তুমির কারনে সব শেষ হয়ে গেল। হতাশা প্রকাশকারীদের মধ্যে শ্রদ্ধেয় আইনজ্ঞ জনাব রফিকুল হক ও রয়েছেন। আমি তার মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কতিপয় বিষয়ের প্রতি সবার দৃষ্টি আকষর্ন করছি।
নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কালীন সরকার নিয়ে আলোচনায় সরকার অপেক্ষা বিরোধী দলই বেশী আগ্রহী যে কারনে তারা সব সময় এর তাগাদা দিয়ে এসেছে। গত পাঁচ বৎসর হামলা,মামলা আর নির্যাতনে বিরোধী নেতা কর্মীদের স্তব্দ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিরোধী নেতাকে ব্যক্তিগত ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে,তাকে বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। তাকে সব সময় অত্যন্ত নুংরা ভাবে ব্যাক্তি গত আক্রমনের শিকার করা হয়েছে। শুধু মাত্র দেশের শান্তির জন্য অসংখ্য নেতা কর্মীর রক্তের উপর দাড়িয়ে তিনি সংলাপ তথা সরকারের সাথে শান্তি পূর্ন আলোচনায় আগ্রহী। পর্যাপ্ত সময় এবং আস্থার অভাবে হরতাল প্রত্যাহার সম্ভব নয়। তবে তিনি এটাও বলেছেন, সরকার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনায় আগ্রহী থাকে,বিরোধী নেতা-কর্মীদের উপর নিপিড়ন বন্ধ করে,তবে তিনি নিকট ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচী দিবেননা বরং সরকার আহুত আলোচনায় অংশ নিবেন। শান্তি পূর্ন উপায়ে বর্তমান সমস্যার সমাধান খুজবেন। চলমান সংকট সমাধানে বেগম জিয়ার আগ্রহ রয়েছে এটাই তার বড় প্রমান।
এখন সরকারের উচিত বিরোধী দলের নেতা-কর্মীর উপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে তাদের সদিচ্ছার প্রমান দেওয়া। সরকার এবং বিরোধী দলের মধ্যে যে আস্থার সংকট রয়েছে সেটা সরকারকেই দূর করতে হবে। সরকার চাইলে ২৯ তারিখের পর বিরোধী দলের নেতার সাথে আলোচনা করে সংকট সমাধান করতে পারে।
©somewhere in net ltd.