নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিডিহাসনাত

আমি একজন নিয়মিত ব্লগার

ব্যারিষ্টার হাসনাত তালুকদার

ব্যারিষ্টার হাসনাত তালুকদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাসিনার কয়েদ খানা থেকে এরশাদ জীবন্ত ফিড়বেন কি!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১১

"হাসনাত "



আগের দিনে রাজারা তাদের বিরোদ্ধাচারনকারী প্রজা বা রাজ ক্ষমতার জন্য হুমকী বলে কেউ গণ্য হলে তাকে কয়েদ খানায় বন্দী করে রাখতেন ।এমন বন্দী শালায় যেমন ঠাই হত শত্রু পক্ষীয় লোকের,তেমনি ঠাই হত অনেক আপন জনেরও । ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেদ তার কাজিন “ কুইন মেরী অব স্কট” কে বন্দী করেছিলেন ।যাকে পরবর্তিতে রানীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার দায়ে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হয় ।



ফ্রান্সের ইতিহাসে মহা নায়ক সম্রাট নেপোলিয়ান বোনাপার্ট । তার জীবনে অসংখ্য যোদ্ধে তিনি বিজয়ী হয়েছেন ।ওয়াটারলোর যোদ্ধে তিনি বৃটিশ এবং পার্শিয়ান আর্মির মিলিত শক্তির মোকাবেলা করেন । বৃটিশ আর্মির নৃতৃত্ব দেন ডিউক অব ওয়েলিংটন “আয়রন ডিউক” আর পার্শিয়ানদের নেতৃত্বে ছিলেন মার্শাল ভন ভাউচার ।এবার তিনি পরাজিত হয়ে বন্দী হন ।তার ঠাই হয় নির্জন দ্বীপ সেন্ট হেলেনার কয়েদ খানায় ।এখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।কথিত আছে তাকে স্লো-পয়জন আরসেনিকের মাধ্যমে হত্যা করা হয়,যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে বলা হয়েছে তিনি আলসারে মৃত্যু বরন করেন।



মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব ক্ষমতার দন্দ্বে তার আপন তিন ভাইকে হত্যা করেন ।পিতা শাহজাহান যাতে বাধা হয়ে না দাড়াতে পারেন,সেজন্য তিনি বৃদ্ধ সম্রাটকে তিনি আগ্রা দূর্গে আটক রাখেন ।সম্রাট ছিলেন অসুস্থ তাই তার সেবার জন্য বোন জাহানারাকেও পিতার সেবায় সেখানে থাকতে দেন ।মুক্ত আলোর মহামোতি,মূগল সম্রাজ্যের মহান অধিপতি,প্রেমের সমাধী তাজমহলের নির্মাতা শাহজাহান আর কখনওই আগ্রা দূর্গের বাহিরে যাবার অনুমিতি পাননি ।সেই কয়েদ খানাতে দীর্ঘ আট বৎসর বন্দি থাকার পর কলেরা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন ।



এবার আমাদের দেশের দিকে দৃষ্ট্রি দেওয়া যাক ।চুরি-চামারি সহ সকল প্রকার ফৌজদারী অপরাধ আর রাজনৈতিক অপরাধের জন্য একই ধরনের কয়েদ খানায় থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে । শেখ মুজিবের শাসন আমলে এত অধিক সংখ্যক লোককে কয়েদে ঢোকানো হয়েছিল যে আর জায়গা অবশিষ্ট ছিলনা ।ফলে রক্ষীবাহিনীকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল নতুন কোন লোক কয়েদখানায় নেবার প্রয়োজন হলে তাকে যেন কয়েদ খানায় না নিয়ে বরং হত্যা করা হয় ।এমন আদিষ্ট হবার কারনেই প্রায় চল্লিশ হাজার বাম নেতা-কর্মি হত্যা করে রক্ষীবাহিনী, যাদের রক্তের উপর দাড়িয়ে আছেন আজকের তথ্য মন্ত্রী ইনু ।



৭৫`এ শেখ মুজিবের পতন হলে বাকশালী মহামোতিদের পতন হয় ।তাদের কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালালেও বেশীর ভাগ এমপি-মন্ত্রীর জায়গা হয় নাজিম উদ্দীন রোডের জেলখানায় । শাহ্ মোয়াজ্জেম,তাহের উদ্দীন ঠাকুর,কে এম ওবায়েদ সহ অসংখ্য নেতা আওয়ামিলীগ নেতা খন্দকার মুশতাকের সাথে হাত মিলিয়ে রক্ষা পেলেও জেলখানার ভেতর হত্যা কান্ডের শিকার হন জাতীয় চার নেতা ।জেনারেল এরশাদ কয়েদ পদ্ধতির কিছুটা উন্নতি সাধন করেন ।তিনি নাজিমউদ্দীন রোডের পরিবর্তে দুই নেতৃকে হাউজ এরেস্ট করেন । আর এরশাদ পদ্ধতির আর একটু উন্নতি সাধন করে উদ্দীন সরকার দুই নেতৃকে রেখেছিল সংসদ ভবনের সাব জেলখানায় ।



বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসলে এক বৎসরের ভেতরেই এক অভিনব কয়েদ খানার আবি্রভাব হয় লালবাগ মাদ্রাসা,যখানে ফজলুল হক আমিনি বন্দী হন ।মাদ্রাসার ছাত্রদের পড়াচ্ছেন,রাজনীতি করছেন,এমনকি সংবাদ সম্মেলনও করছেন মাদ্রাসার ভেতর ।কিন্তু মাদ্রাসার বাহিরে তিনি যেতে পারছেন না ।এ এক অভিনব কয়েদ খানা যার স্রষ্টা রানী হাসিনা ।ছেলে গুম পরে ফেরত,মামলা, গোয়েন্দা চাপ আর বন্দী জীবনের ঘানি টেনেই পরপপারে পাড়ি দেন এই শায়েকুল হাদিস আল্লামা..



গত চারদিন আগে জেনারেল এরশাদকে গ্রেপ্তারের কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যান্টনমেন্ট থানায় । সেখান থেকেই তাকে বন্দী করে রাখা হয় সিএমএইচ এ ।তিনি যতই বলছেন অসুস্থ নন,তবু তাকে রিলিজ দেওয়া হচ্ছে না, ঘনিষ্ঠজনদেও কাছে ভীরতে দেওয়া হচ্ছে না ।বরং তাকে অসুস্থতার কথা বলে চেক-আপ করা হচ্ছে,রক্ত নেওয়া হচ্ছে এমনকি ঔষধও গেলানো হচ্ছে ।একই সাথে দলের ভাঙ্গন আর জেলের ভয় দেখানো হচ্ছে ।এখন পর্যন্ত যতদূর জানা যায় পল্টিবাজ এরশাদ এখনও পল্টি দেননি ।আর সে কারনেই তার কয়েদ হাসপাতালেরও অবসান হচ্ছে না ।



সাধারন কয়েদখানা,নির্জন কয়েদখানা,হাউজ এরেষ্ট এসবতো আগেই ছিল ।কর্ম ক্ষেত্রকে কয়েদখানা বানিয়ে সেখানে আমিনিকে আমৃত্যু বন্দী রাখার কৃতিত্ব একমাত্র রানী হাসিনার ।সিএমএইচের মত একটি সামরিক হাসপাতালে একজন সাবেক জেনারেল কে বন্দি রাখারও এক মাত্র ক্ষমতা তার ।আর এজন্যই বুঝি উজির আশরাফ দুই দিন আগে বলেছেন,হাসিনার রাজ্যে সব সম্ভব ।সত্যই তাই,হাসিনার রাজ্যে সব সম্ভব । তা না হলে এমন কোন রাজ্য আছে যেখানে প্রতিদিন ১০/১৫ জন লোক পুলিশের গুলিতে মারা যায়,কোথায় নির্বাচনের আগেই সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য পাশ করে যায়,কোথায় পদ ত্যাগ করলেও সেটা গ্রহন হয়না,সেটা সম্ভব একমাত্র অসম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। এসবের জন্য রানী হাসিনা নোবেল কমিটিতে বিবেচিত হবেন বলে আশা করা যায়। তবে সেটা আমার ভাবনার বিষয় নয় ।



আমার ভাবনার বিষয় হল, সম্রাট নেপোলিয়ান সেন্ট হেলেনা থেকে জীবিত ফেরেননি । সম্রাট শাহজাহান মৃত্যু বরন করেন আগ্রা ফোর্টে,আর চার নেতাও নাজিম উদ্দীন রোডের কয়েদ খানাতেই জীবন দেন ।পল্টিবাজ এরশাদ এখন রানী হাসিনার ভোটার বিহীন এমনকি প্রার্থী বিহীন নির্বাচনকে কিছুটা হলেও বৈধতা দেওয়ার শেষ অস্র ।যে এরশাদ ৮৬`এ রানী হাসিনাকে বিরোধী দলে বসিয়েছিল, ৯৬`এ ক্ষমতায় বসিয়েছিল,০৮`এ ক্ষমতায় বসিয়েছিল,এবারও গৃহ পালিত বিরোধীদল হয়ে সহযোগীতা করবে এটাই ছিল স্বাভাবিক প্রত্যাশা ।কিন্তু বলা নেই,কথা নেই হঠাৎ করেই নির্বাচনের মাঠ ত্যাগের ঘোষনা দিলেন ।আর সে কারনে সব চেষ্টা ব্যার্থ হবার পর সিএমএইচ পদ্মতির অবতারনা করা হয়েছে ।এখন এরশাদ পল্টি দিয়ে জীবন বাচাবেন, না চিকিৎসার নামে হত্যা কান্ডের শিকার হবেন সেটাই দেখার বিয়ষ ।











মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

উপপাদ্য বলেছেন: সম্ভাবনা কম।

হায়েনা খুব সহজে শিকার ছাড়তে চায় না।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৪

েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: 'আমি নির্বাচনে নেই'—মুখে এমন কথা বললেও বাস্তবে নির্বাচনে পুরোদমে সক্রিয় জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ। ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) থেকেই সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তিনি। একইসঙ্গে স্ত্রী ও দলের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নির্দেশ মেনেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে বণ্টনকৃত আসনসমূহে জাপা নেতারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। ওইসব আসনে দলীয় প্রার্থীদের জাপার নির্বাচনী প্রতীক 'লাঙ্গল' বরাদ্দ দেয়ার জন্য দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে দলের প্যাডে লিখিত চিঠি দিয়েছেন।http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMTJfMTZfMTNfMV8xXzFfOTM3MTc=

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৪

কলাবাগান১ বলেছেন: এই সরকারের বিরুদ্ধে যে যেমন ইচ্ছে তা লিখতে এবং বলতে পারছে

কিন্তু জামাত শিবির ক্ষমতায় আসলে কি হবে তা ভাবতেও পারছি না...। নাংগা তলোয়ার ছাড়া তো কোন কথাই নাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.